#তপ্ত ভালোবাসা
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৪৪
.
🍁
আমার এতো শত কিন্তুপণ্যতা মধ্যে দিয়ে শেষ হয় বর্ষা কৃতজ্ঞতা জানানো ধাপ রিদ খানকে। বর্ষা বার বার রিদ খানকে কৃতজ্ঞতা পূণ্য বাণি জানিয়ে চলছে কান্না করেই চলছে সেই কখন থেকে থামা থামি কোনো নামই নেই। বর্ষা এই কান্ডে আমি প্রথম প্রথম আবাক হলেও এখন বেশ বিরক্ত লাগছে আমার কাছে। আশ্চর্য এতো ধন্যবাদ জানানোর কি আছে মানলাম রিদ খান বর্ষার সাথে খারাপ কিছু করেনি তাই বলে এটা ধন্যবাদ জানাতে হবে এই গুন্ডা মহাশয়কে। একে তো গুন্ডামী করে বেড়ায় তার ওপর আবার এসব গুন্ডা মহাশয়কে বালতি ভড়ে ভড়ে ধন্যবাদ জানায়। কই আজ পযন্ত তো আমাকে একটা বারের জন্যও তো ধন্যবাদ দেয়নি বর্ষা কোনো কাজে জন্য তাহলে একে দেওয়া কি আছে আজব।
.
আমি বর্ষার এমন কর্ম কান্ড আর সয্য করতে না পেরে খানিকটা রেগে গিয়ে কর্কশ গলায় উচ্চ স্বরে বলে উঠি……
.
—” হয়েছে তোর বর্ষা, নাকি আরও বাকি আছে তোর এই লোকটাকে ধন্যবাদ জানানো? যদি থেকে থাকে তাহলে বলে দে আমরা চলে যাচ্ছি এখান থেকে। কারণ আমাদের আর সয্য হচ্ছে না তোর এই ড্রামাটা…….
.
আমার এমন কর্কশ গলায় কথা গুলো শুনে চমকে উঠে বর্ষা সাথে সাথে পিছন ফিরে আমার দিকে তাকায় কান্না সিক্ত চোখে অসহায় দৃষ্টিতে। হঠাৎ বর্ষার এমন অসহায় দৃষ্টিতে দেখে কেমন যেন মনের ভিতর একটা অপরাধ বোধ সৃষ্টি হয়। একটা মূহুর্তের জন্য মনে হয় বর্ষা যাহ করছে হয়তো ঠিক করছে আমাদেরও রিদ খানকে সত্যি কৃতজ্ঞতা জানোর দরকার। কি কেন তা জানি না। বর্ষা আমার দিকে অসহায় ফেস করে চোখে জল ছেড়ে দিয়ে কাতর কন্ঠে আস্তে করে বলে উঠে……
.
—” পৃপ্তীহহহহহহহ…..
.
বর্ষার ডাকে মূহুর্তেই কেঁপে ওঠে আমি। বর্ষা কি বুঝাতে চাইছে আমাকে তা বুঝতে না পেরে চুপ করে তাকিয়ে থাকি ওর দিকে। বর্ষা আমাকে ওর দিকে চুপ করে তাকিয়ে থাকতে দেখে ওঠে দাড়িয়ে আমার দিকে এগোতে এগোতে বলে উঠে……
.
—” পৃপ্তী তুই জানিস না আমাদের আ……
.
বর্ষাকে বাকি কথা গুলো বলতে না দিয়ে পিছন থেকে রিদ খান গম্ভীর মুখে বললো…….
.
—” মিস বর্ষা আপনাদের খাবার নিচে টেবিলে দেওয়া হয়েছে। তাই কথা না বাড়িয়ে নিচে ক্ষেতে যাবেন আপনি ওদের নিয়ে। আর আপনাকে যতটুকু বলা হয়েছে ততটুই করবেন আশা করি। এর বেশি কিছু করা বা বলা দুটোর জন্যই কতটা ভোক্ত ভোগী হতে হবে নিজেদের সেটার ধারণা নিশ্চয়ই আপনার আছে।
.
রিদ খানের এমন কথায় শুনে মূহুর্তে থেমে যায় বর্ষা। কিছুক্ষণ মন্ত হয়ে আমার দিকে অসহায় ফেস করে তাকিয়ে থেকে কাউকে কিছু না বলে চুপচাপ বেড় হয়ে যায় রুম থেকে। বর্ষাকে বেড় হতে দেখে কেয়াও বর্ষার পিছন পিছন দৌড়ে যায় সেই দিকে। আর আমি বর্ষার এমন কান্ড দেখে আবারও এক ধাপ অবাক হই বর্ষা রিদ খানের প্রতিটা কথা কতটা মনোযোগ সহকারে মানতে শুরু করে দিয়েছে। আর বর্ষা আমাকে বার বার কিছু বলতে চাইল কিন্তু এই রিদ খানের জন্য বরাবরই তা করতে পারছে না বর্ষা। এখনও রিদ খানের ডাবল মিনিং কথায় বর্ষা থেমে যায় আমাকে কিছুই বলে নি। বর্ষা ও কেয়াকে বাহিরের যেতে দেখেই আমি তেল বেগুনের জলে ওঠে রিদ খানকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে……
.
—” এই আপনি কি করেছেন বর্ষার সাথে এই বদ্ধ রুমে ভিতর টানা দুই ঘন্টা যাবত হ্যাঁ। যার জন্য মেয়ে কেমন পাগল টাইপ হয়ে গেছে । সেই কখন থেকে উল্টো পাল্টা কথা ও কর্মকান্ড করেই চলছে থামা থামি নেই। আর বর্ষা আপনাকে ওর শত্রুর না ভেবে বন্ধু কেন ভাবছে?
.
আমার এমন কথায় রিদ খান আমার দিকে বাঁকা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে অলসতা ঝেড়ে বলে উঠে……..
.
—” অবশ্যয় বলতে বাধ্য নয়…..
.
উনার এই কথাটা যেন আগুনে ঘীঁ ডালার মতো ছিল আমার জন্য। কারণ এমনিতেই আমি রাগে জ্বলে পুড়ে যাচ্ছিলাম আর এখন উনার এই কথাটা যেন মূহুর্তেই আমার রাগটা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। আমি সেই রাগের রেশ ধরে গজগজ করতে করতে উনাকে আবারও বলে উঠি…….
.
—” অবশ্যই আপনি বলতে বাধ্য আমার কাছে। আপনাকে বলতে হবে আপনি বর্ষার সাথে বন্ধ রুমে ভিতর কি করছিলেন এতক্ষণ যাবত। আপনি বর্ষার সাথে বন্ধ রুমে ভিতর থাকতে পারবেন না।
.
আমার এমন কথা উনি কি বুঝতে পারলো তা জানি না তবে উনি সঙ্গে সঙ্গেই স্মিথ হাসেন আমার কথায়। উনার হাসি দেখে মূহুর্তে কপাল কুচকে এলো আমার কি এমন বললাম আমি যাতে এই বদজাত লোকটা হেসে ফেললো। আমার এমন ভাবনা চিন্তা মধ্যে দিয়েই বলে উঠে ……
.
—” কেন থাকতে পারবো না।
.
—” আমি বলেছি তাই। (নাক ফুলিয়ে)
.
আমার এমন কথায় উনি হালকা হেসে আমার দিকে এগিয়ে আসতে আসতে বলে উঠে……..
.
—-” কেন জ্বলে কারও সাথে থাকলে?
.
উনার কথার মানে বুঝতে না পেরে কনফিউজড হয়ে বলে উঠে…….
.
—” মানেহহহ…?
.
—” কথা গুলো বলেই উনি একদমই আমার কাছে চলে আসে। আমার চোখ মুখে দিকে নিজের দৃষ্টি স্থির রেখে আস্তে করে বলে উঠে……
.
—” মানে আমাকে অন্য মেয়ে সাথে দেখলে তোমার জ্বলে নাকি…?
.
এতক্ষণ উনার কথার মানে বুঝতে পেরে আমি সাথে সাথে নাক মুখ ছিটকে বলে উঠি…..
.
—” ছিইইইইইই, কখনোই না……
.
আমাকে নাক মুখ ছিটকাইতে দেখে রিদ খান সাথে সাথে আমার কমড় চেপে ধরে নিজের সাথে বেঁধে নিয়ে বলে উঠে……
.
—” ছিইই। কিন্তু আমার তো অন্য কিছু মনে হচ্ছে তোমাকে নিয়ে । আর তুমি যায় বলো বদ্ধ দরজার ভিতরে বর্ষার সাথে না করা কাজটা কিন্তু আমি ঠিকই করতাম তোমার সাথে যদি তুমি প্রাপ্ত বয়স্কর হতে তো। উঁহুম তুমি যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হতে তো তাহলে কাহিনিই অন্যটা হতো তোমার। আর বদ্ধ দরজার ভিতর তুমিই থাকতে বর্ষার জায়গায় আমার সাথে। আর আমি সেই সব অসম্পূর্ণ কাজ গুলো করতাম তোমার সাথে যাহ এখন অবধি করা হয়নি আমার।
.
( অসংখ্য ধন্যবাদ আপিরা আমাকে এতটা ভালোবাসা আর সাপোর্ট করা জন্য)
.
.
.
.
চলবে……….