#তপ্ত ভালোবাসা
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ৫৪
.
🍁
কেয়া কথায় আমার কোনো রকম হেলদোল না দেখে এবার আরও ক্ষেপ্ত হয়ে রাগান্বিত ফেস নিয়ে চলে যায় রিদ খানের সামনে উনাকে মনোযোগ সহকারে কাজ করতে দেখে কেয়া বিরক্তি নিয়ে বলে উঠে…….
.
—” আপনি সবসময় এতো কাজ কাজ করেও পৃপ্তীকে কখন পটালেন নিজের জন্য সেটাই তো বুঝতে পারছি না আমি।
.
কেয়ার এমন কথায় মনোযোগ ভস্ম হয় রিদ খানের। উনি দুই চোখ টান টান ভাব করে কপাল কুচকে তাকায় কেয়ার দিকে। একটা পলক কেয়াকে দেখে আবারও নিজের কাজের প্রতি মনোযোগী হতে হতে বিরক্তি নিয়ে বলে উঠে…….
.
—” যখন তুমি আমাকে নিয়ে রিতের কান বড়ায় ব্যস্ত ছিলে তখন……..
.
উনার এমন কথায় কেয়া আবাক হয়ে বলে উঠে…..
.
—” আমার এতো কিছু বলার পরও পৃপ্তী পটে গেলো আপনার সাথে ।
.
—” হুমমম……..
.
উনার হুমমম কথাটা শুনার সাথে সাথে নাক মুখ ছিটকে উনাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে……
.
—” ছি ছি ওর রুচিটা খুবই খারাপ শেষ পযন্ত এমন একটা ভিলেন স্বামী পছন্দ করলো নিজের জন্য……
.
কেয়ার এমন কথা উনি উচ্চ স্বরে সাথে সাথে বলে উঠে……
.
—” কিহহ,,,,
.
উনার উচ্চ স্বরে কিহহ শুনে আমরা সবাই তাকায় ওদের দিকে কৌতুহল চোখে । আর কেয়া উনাকে ভয় না পেয়ে উল্টো আফসোস সুরে সতেজ গলায় বলে উঠে………
.
—” কিহহহ মানে কি? যাহ সত্য তাই বলছি হহ। আমি পৃপ্তী ভবিষ্যত বলতে পারবো এক নিমিষেই, আমার বুনুটার জীবন তেজ পাতা হয়ে যাবে দুই দিনেই আপনার সাথে থেকে হুহ্।
.
কেয়া এমন কথায় আমরা সবাই হা হয়ে তাকিয়ে থাকি সেই দিকে। কেয়াকে এতটা নিভয় দেখে আমার হা হওয়ার ধাপটা আরও একগুণ ভেড়ে যায়। আমাদের সবাই হা হওয়ার মধ্যে দিয়ে কেয়া আবারও কৌতুহলী হয়ে রিদ খানকে প্রশ্ন সিক্ত কন্ঠে বলে উঠে……
.
—” আচ্ছা আমার একটা প্রশ্ন ছিল। আপনি সবসময় পৃপ্তীকে রিত বলে ডাকেন কেন? আমরা সবাই জানি ওর নাম পৃপ্তী তাহলে আপনি কি জানেন না ওর নাম কি সেটা হুমমম?
.
কেয়া এমন প্রশ্নে রিদ খান রাগান্বিত ফেস বলে উঠে…..
.
—” I know everything, who is she, so তোমার বলার দরকার নেই ওর নাম কিহ সেটা। আর বাকি রইল আমার রিত নামটা নিয়ে, তাহলে সেটা হলো ওর আসল পরিচয়ে জন্ম সূত্রে ওর নাম রিত।
.
উনার এমন কথায় আমি ও কেয়া দুইজনই চমকে উঠি। তার মানে উনি আমার পরিবার সম্পর্কে হয়তো কিছু জানে যার জন্য উনি আমাকে এই নাম ধরে ডাকছেন। আমি উনাকে এই রিত নামটা নিয়ে কখনো প্রশ্ন করতে পারিনি কিন্তু আজ কেয়ার প্রশ্ন করাতে আমার মনে মধ্যে অনেক বেশি কৌতুহল জেগে ওঠে যে আসল পরিচয় কি আমার। আমি একটু এগিয়ে কিছু বলতে যাবো তার আগেই কেয়া চমকে উঠে উত্তেজিত কন্ঠে উনাকে বলে উঠে……
.
—” মানে আপনি জানেন পৃপ্তী আসল পরিচয় কি তাহলে বলুন না ওর আসল পরিচয়টা কি?
.
কেয়াকে একে পর এক প্রশ্ন করতে দেখে উনি বিরক্তি নিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বলে উঠে………..
.
—” কেন তুমি না ভবিষ্যত বলতে পারো এক নিমিষেই। তাহলে বাকিটা তুমি নিজেই বের করতে পারবে। আমাকে প্রশ্নে না করেই।
.
কথা গুলো বলে এখন থেকে ধপদাপ পা ফেলে বাহিরের দিকে চলে যায় উনি কেয়াকে কিছু বলতে না দিয়ে। উনার এমন আজগুবি কথায় আমি আর কেয়া চিন্তা সিক্ত থাকলেও বর্ষা আর আসিফ ছিল স্বাভাবিক বগিতে। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল তারা আমার পরিচয় সম্পর্কে সবটা আগের থেকেই জানে।
.
.
🍁
উনার কথা অনুযায়ী আমরা এই মূহুর্তে উনার বাড়িতে আছি এই মূহুর্তে। আমরা তিনজনকে তিনটি রুম দেওয়া হয়েছে থাকার জন্য। আমার রুমটা সাথেই উনার রুমটি অবস্থান করছে। এই মূহুর্তে আমরা তিন বান্ধবী ছাড়া অন্যকেউ নেই এই বাড়িতে তবে বেশ কিছু বডিগার্ড রয়েছে এখানে আমাদের সাথে। উনি আমাদের রেখে কোথায় গেছে তা বলতে পারি না তবে এতটা বলে গেছে যে আজকে পর থেকে আমি সবসময়ের জন্য মুক্ত থাকবো সবকিছুর থেকে। কেউ আর আমাকে নিয়ে গেইম খেলতে পারবে না। উনার এমন কথায় তখন শুধু আমি করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম উনার দিকে কিছু না বলে। উনি আমার কপালে উনার ঠোঁট চেপে ধরে আস্তে করে চলে যায় আসিফ কে নিয়ে। আর এখন প্রায় রাত বারোটা ভাজে। কেয়া বসে বসে টিভি দেখছে আর আমি বিছানার উপর বসে আছি। বর্ষা এখন মাত্র ফোনটা হাতে নিয়ে কিচেন রুমে দিকে গেছে কিছু একটা হাতে নিয়ে। খুব সম্ভবত মোগ টাইপের কিনা হবে। তবে বর্ষাকে আজ সন্ধ্যা থেকে বেশ চিন্তিত দেখাচ্ছে কোনো এক কারণে তবে আমাদের কিছু বলছে না কিন্তু বার বার নিজের ফোনের দিকে তাকাচ্ছিল।
.
আমার এমন চিন্তা ভাবনায় মাঝে হঠাৎ করে কিচেন রুম থেকে বর্ষার উচ্চ শব্দের চিৎকার ভেসে ওঠে আমাদের কানে। চিৎকারের শব্দ কানে আসতেই ঝটপট করে আমি ও কেয়া দ্রুততা সঙ্গে দৌড়িয়ে কিচেন দিকে যায় যে কি হয়েছে সেটা দেখার জন্য। কিন্তু আমি ও কেয়া কিচেন রুমের পৌঁছাতে চোখে সামনে যাহ দেখলাম তা জন্য আমি বা কেয়া মোটেও কেউ প্রস্তুত ছিলাম না। এটা ভয়াবহ দৃশ্য দেখে মূহুর্তেই পাথর মূতিই রুপ হয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে পরি ভাবহীন চোখে………
.
.
.
চলবে……….