দেওয়ান(আমার ভালোবাসা) #লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া #পর্বঃ_৮২

0
157

#দেওয়ান(আমার ভালোবাসা)
#লেখিকাঃ_রিক্তা ইসলাম মায়া
#পর্বঃ_৮২

.
🍂
ওদের এমন চাওয়া পাওয়ার জন্যই এখন সবাই মাথায় হাত রেখে চিন্তাত হয়ে বসে আছে যে কি করবে বা কি করা উচিত, কার কথা শুনবে বা কার কথা শুনবে নাহ,, সবাই এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝেই হঠাৎ করে রিদ মায়াকে কোলে করে নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে ……

.

রিদ মায়াকে কোলে করে ড্রয়িংরুমে সামনে আসতেই সবাইকে গম্ভীর মুখ চিন্তত হয়ে বসে থাকতে দেখে রিদ তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায় সেদিকে,, মায়া রিদকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে সামনের দিকে তাকাতে দেখে সেও রিদের দৃষ্টি অনুসরণ করে সামনে সবার দিকে তাকায়,, সবাইকে টেনশনের সহিত বসে থাকতে দেখে আস্তে করে রিদের কোল থেকে নেমে যায় সবার অগোচরে মায়া,,, ধীর পায়ে এগিয়ে সামনের দিকে যেতে নিলেই পাশ থেকে রিদ মায়ার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে সবার সামনে গিয়ে স্টংলি দাঁড়িয়ে সবাই এক পলক তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখে নিয়ে রিদ সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে……..

.

—” কোন দুঃখের শুক দিবস পালন করা হচ্ছে এখানে শুনি…….

.

রিদের এমন ত্যাড়া কথা সবাই চমকে উঠে রিদের দিকে তাকায় চোখে সামনে রিদও মায়াকে এক সাথে দাড়িয়ে থাকতে দেখে খানিকটা ভয় পেয়ে যায় সবাই বিশেষ করে ফিহা ও আরিফ… আরিফের ভয়টা হলো মায়াকে নিয়ে যে কি রকম রিয়েক্ট আরিফ সম্পর্কে এটা শুনার পর,, আর দ্বিতীয় বোনের বিবাহিত জীবনের তার জন্য যেন কোনো রকম সমস্যায় পরতে না হয় এটা ভেবেই আরিফ বেশ চিন্তত,,,,,,

.

আর ফিহার ভয়ের হচ্ছে শুধু রিদকে নিয়ে কারণ ফিহা সবার ওপর জোর খাটিয়ে কথা বলতে পারলেও রিদের সামনে সেটা বলার কোনো কালেই সুযোগ নেই,, তাছাড়া নিজের ভাই আয়নকেও আরিফের বিষয়ে রাজি করাতে পারবে কিন্তু রিদ সে তো আস্তো একটা বাঘের সমতুল্য কথা ছাড়া কাচা খেয়ে ফেলবে,, কি কথা বলতে চাই সেটাই শুনতে চাইবে না কোনো কালেই,, ফিহা এমন সব চিন্তা ভাবনায় করেছে আরও একধাপ নিজের ভয়টা বেড়ে যাচ্ছে আপন গতিতে,,, ফিহা ভয় ভয় নজর সবাইকে এক পলক দেখে নিলো কেউ রিদের সামনে নিজের মুখ খুলছে না উল্টো তার মতো করে ভয় পাচ্ছে যদি রিদ উল্টো রিয়েক্ট করে ফিহা ও আরিফের বিষয়ে তাই ফিহা সবাইকে ভয় ভয় নজরে সবাইকে এক পলক দেখে নিয়ে শুকনো একটা ঢুক গিলে রিদের দিকে তাকিয়ে থেকে ভয়াৎ কন্ঠে বললো……

.

—” আসলে ভাই, ইয়ে মানে, হয়েছে, ইয়ে মানে….

.

ফিহাকে তোতলাতে দেখে রিদ সন্দেহ দৃষ্টিতে ফিহার দিকে তাকিয়ে থেকে চাপা সুরে বলে উঠে…..

.

—” তোর যদি ইয়ে মানে মানে করা শেষে হয়ে থাকে তো আমরা কি পরে কথা গুলো শুনতে পারবো…..

.

রিদের চাপা সুরের কথা শুনে ফিহার জান যায় যায় অবস্থা ভয়ে কাচুমাচু করতে থাকে, ফিহা নিজের ভয় সংযত রেখে রিদকে কিছু বলতে যাবে তার আগেই পাশ থেকে হেনা খাঁন রিদকে উদ্দেশ্য করে কাটকাট গলায় বলে উঠে…….

.

—” ওহ কি বলবে আমি বলছি শুন, ফিহা আরিফকে ভালোবাসে আর ওকে বিয়ে করতে চাই তাও আবার কিছু দিনের মধ্যে,,

.

রিদ হেনা খাঁনের কথা কপাল কুচকে বলে উঠে……

.

—” তো

.

রিদের খাপছাড়া উত্তর পেয়ে হেনা খাঁন তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বলে…….

.
—” তো মানে তুই কি বুঝতে পারছিস না রিদ আমি কি বলছি হ্যা,, আরিফ ফিহাকে ভালোবাসে না আর একে বিয়ে করতে চাই না,,

.

দাদীর এমন কথায় রিদ আবারও দায়সারা ভাব নিয়ে বলে উঠে…….

.

—” তো সেটা আরিফের সমস্যা, আরিফ জানে ওহ কিভাবে ওর সমস্যা সমাধান করবে,, এতে ফিহার কি করার আছে ওহ তোহ আরিফকে ভালোবাসে তাই ওহ বিয়েটাও করবে,, ফিহা বিয়ে পর আরিফকে ঠিক করে নিতে পারবে নিজের মতো করে আর তাছাড়া বিয়ে করতে দুজনের ভালোবাসাটা থাকতে হবে এটা কোনো বাধতা মূলক কোনো কিছু নয় সো ফিহার ভালোবাসায় যথেষ্ট আরিফকে সুখে রাখার জন্য,,,

.

রিদের কথা শুনে ফিহা খুশিতে লাফিয়ে উঠে বলে…..

.

—” ভাইয়া ইউ আর দ্যা বেস্ট…..

.

পাশ থেকে ফিহার আম্মু ফিহাকে চোখ রাঙ্গি চুপ করিয়ে বলে উঠে……

.

—” রিদ তুই বুঝতে পারছি না, ফিহা আর একসাথে কিভাবে,, আর সবচেয়ে বড় কথা ভালোবাসা না থাকলে সংসারও হয় না বাবা……..

.

ফিহার আম্মুর এমন কথায় রিদ স্বাভাবিক কন্ঠে বলে উঠে………

.

—” সবিই হয় ফুপি, মূল বিষয়টা হচ্ছে চেষ্টা,, চেষ্টা থাকলে হবে শত% আর তুমি যেটা বুঝাতে চাইছো সেটা হচ্ছে আরিফের আথিক অবস্থা তেমন ভালো নয় সেটা,, তো তোমার মেয়ে সুখে থাকতে পারবে কিনা,, আমার জানা মতে ফিহা সর্বোচ্চ সুখে থাকবে আরিফের কাছে,, আর আরিফ মেধাবী ছেলে নিজের মতো করে দুটো বিজনেস ও দাড়া করিয়েছে কিছু গেলেই সফলতা আরিফকে ছুইবে সো এই নিয়ে তোমাকে টেনশন করতে হবে না,,, আমার মনে হয় আমি কথা গুলো সবাইকে বুঝতে পারেছি তাই আর কোনো কথা বলতে হবে না আমাকে, দাদাভাই তুমি আরিফের আম্মু আব্বুকে খবর দাও ওনারা খান বাড়িতে আসুক আরিফ ও ফিহার বিয়ে জন্য পরে তোমরা সবাই একসাথে বসে বিয়েটা ঠিক করে ফেলো, যেখানে ভালোবাসাটা আছে সেখানে আর কিচ্ছু প্রয়োজন হয় না,,,,,

.

রিদের এমন সব কথা সবাই হতবাক হয়ে তাকিয়ে থেকে রিদের দিকে, কারণ যেই ছেলে ভালোবাসার ‘ব’ ও বুঝতো না সেই ছেলে আজ অন্যে ভালোবাসা ঘর ঠিক করে দিচ্ছে,, সবার এমন সব চিন্তা ভাবনায় মাঝেই মায়া খুশিতে লাফিয়ে উঠে দৌড়ে গিয়ে ফিহাকে শক্ত হাতে জরিয়ে ধরে, ফিহাও সাথে সাথে মায়াকে জরিয়ে ধরে দুজন একসাথে লাফাতে থাকে খুশিতে,, মায়ার খুশি দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আরিফ কারণ মায়াকে নিয়ে যে ভয় পেয়ে ছিল সেটি এখন দূর হয়ে গেছে মায়ার হাসি মুখটা দেখে,,, সবাই খুশিমতো তার ও কোনো রকম আপত্তি নেই কোনো কিছুতে……

.

.

🍁
নিজের রুমের সুইমিং পুলের সামনে চিন্তত হয়ে বসে আছে রিদ দৃষ্টি তার সুইমিং পুলের নীল পানির ওপর,, রিদের শত চিন্তা ভাবনায় কারণ হলো মায়ার সাথে ঘটে যাওয়া আজকে ঘটনাকে ক্রেন্দ করে,, রিদ মায়ার বডিগার্ড গুলোকে যখন গুলি করবে তখনই ওরা ভয়ে রিদের সামনে বলে যে ওদের নাকি কেউ একজন ডেকে নিয়ে একটা রুমের ভিতর আটকে রাখে তাই সময় মতো মায়ার কাছে থাকতে পারিনি তারা বন্দী অবস্থায় ছিল বলে,,,,

.

রিদ সম্পূর্ণ কথা গুলো শুনার পর শান্ত হয় পরে আশিকদের ছেড়ে দেয় কারণ রিদ বুঝতে পারে মায়ার কাছে আসা আজকের ব্যাক্তিটি প্রোপার প্লেনিং করেছে এসেছিল মায়াকে নিয়ে যেতে কিন্তু ভাগ্য ভালো থাকায় আজ আয়ন ঠিক সময় এসে পরে তাই মায়া বেচে যায়,, কিন্তু ব্যাক্তির এখন পযন্ত তেমন একটা সঠিক সন্ধান করে উঠতে পারিনি রিদ কারণ মায়ার বণনা অনুযায়ী রিদ কিছু তথ্য কালেকশন করেছে সেই ব্যাক্তিটি,,, সেই তথ্য অনুযায়ী ব্যাক্তির নাম সাব্বির বয়স ছাব্বিশ, বাবা হোসেন শিকদার,, বাড়ি ঢাকা উত্তরা,, সাব্বিরের সব তথ্য রিদের হাতে থাকার শর্তেও রিদের কেন জানি সাব্বিরকে স্বাভাবিক মেনে নিতে পারছে না,, রিদের মনে হচ্ছে সাব্বিরের সেটা আইডিতে আছে সেই সম্পূর্ণটাই ফেক তথ্য,, যেটা রিয়েল সেটা লুকায়িত সবার কাজ থেকে আর সেটা কি হতে পারে সেটা নিয়েই রিদ গভীর মনোযোগ সহকারে ভেবেই যাচ্ছে পর পর…….

.

.

.

চলবে…………

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here