#দমকা_প্রেমের_গল্প
#Ayrah_Rahman
#পর্ব_১২
__________________
” তুমিই অরিত্রা বুঝি? ”
সদর দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে না করতেই কথাট কানে ঠেকলো অরিত্রার। সামনে তাকিয়ে দেখে মাঝ বয়সী একজন মহিলা হাস্যোজ্জ্বল মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। অরিত্রা মাথা নাড়ালো। মহিলা এগিয়ে এসে অরিত্রার মাথায় হাত রেখে মন ভরে দেখতে দেখতে বলল,
” মাশা আল্লাহ। ভারী সুন্দর দেখতে মেয়ে তুমি! ”
অরিত্রার বেশ নার্ভাস লাগতে শুরু করলো এমন পরিস্থিতি তে আগে কখনোই পড়ে নি। অরিত্রা চারপাশে তাকিয়ে দেখলো তিনজন মহিলা মায়া ভরা চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে।। তাদের চোখ ছলছল করছে কিন্তু কারণ বুঝলো না।
মহিলাটা অরিত্রার হাত ধরে সোফায় বসালো। অরিত্রা ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতে লাগলো।
পিছনে থেকে একজন মহিলা এগিয়ে এসে অরিত্রার পাশে বসে বলল,
” আমি মেহেরের মেঝো মা, তুমি ও আমাকে মেঝো মা ই বলো কেমন? আর এতোক্ষন তোমার সাথে যে ছিলো তিনি মেহেরের বড় মা। তুমিও বড় মা ই বলো কেমন? ”
মুনারা আক্তার এগিয়ে এসে বলল,
” আমি মেহেরের মা, তুমি আমাকে ছোট মা ই ডেকো কেমন? ”
অরিত্রা মাথা নাড়ালো মানে সে ডাকবে। একেকজন অরিত্রাকে এটা ওটা জিজ্ঞেস করছে অরিত্রাও সুন্দর ভাবে উত্তর দিচ্ছে। এক ফাকে তৃষা বেগম অরিত্রাকে বলল,
” তোমার আম্মা কেমন আছেন? ”
” জি আলহামদুলিল্লাহ ”
এতোক্ষণ ইফতেখার নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছিলো। এতোক্ষণে সে মুখ খুলল,
” তোমরা কি মেয়েটাকে এভাবেই দাড় করিয়ে রাখবে নাকি বড় মা? এই অরিত্রা আসো তোমাকে মেহেরের রুমে দিয়ে আসি। ”
অরিত্রা উঠে দাড়ালো। তৃষা বেগমের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে ইফতেখার এর সাথে হাটা ধরলো দোতলায়। অরিত্রা চক্ষুগোচর হওয়ার পর তৃষা বেগম আড়ালে চোখ মুছলেন। মেয়েটা কত বড় হয়ে গেছে!
” ভাবি মুনতাসিম ঠিক ই বলেছে যে কেউ দেখলেই বুঝবে অরিত্রা মাহাবুব ভাইয়ের মেয়ে একদম বাপের কার্বন কপি ”
মুনারা আক্তারের কথায় তৃষা বেগম মুচকি হাসলো।
অরিত্রা সিড়ি দিয়ে উঠে ডান দিকে যেতেই সামনের মানুষ টা কে দেখে থমকে দাড়ালো। সামনের মানুষ টাও অবাক হবার ভান করে বলল,
” আরে অরিত্রা তুমি এখানে! ”
অরিত্রা অবাক হয়ে বলল, ” আপনি এখানে সায়র ভাই? ”
সায়র কাঁদো কাঁদো গলায় বলল,
” আমার বাড়ি তে দাঁড়িয়ে আমাকেই বলছো আমি এখানে কি করি! হায় রে ভাগ্য আমার! ”
অরিত্রা আরোও বেশি অবাক হয়ে বলল,
” এটা আপনার বাড়ি? ”
সায়র মাথা নাড়ালো মানে এটা তার বাড়ি। অরিত্রা কিছু একটা ভেবে বলল,
” মেহের আপনার বোন?”
” হুম আমার ছোট বোন ”
” ওহ”
সায়র খুশি হয়ে বলল, ” যাক ভালোই হয়েছে এই ভাইয়ের বাড়ি তে এসেছো যে কোন সমস্যা হলে আমাকে জানাবে কেমন? ”
অরিত্রা মুচকি হেসে মাথা নাড়ালো। অরিত্রাকে মাথা নাড়াতে দেখে সায়র ও মুচকি হেসে হেলতে দুলতে চলে গেলো।
এতোক্ষণ ইফতেখার ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে ছিলো মানে সে কিছু তেই বুঝতে পারছে না অরিত্রাকে এরা চিনে কিভাবে?
” অরিত্রা তুমি সায়র কে চিনো কিভাবে? ”
অরিত্রা হাটতে হাটতে বলল, ” সায়র ভাই আর আমি একই ভার্সিটি তে পড়ি সেটা মনে হয় ভুলে গেছেন ভাই! ”
ইফতেখার মাথা চুলকে হাসলো, আসলেই তার মাথা থেকে কথাটা বেরিয়ে গিয়েছিল। ততক্ষণে ইফতেখার এসে দাড়ালো মেহেরের রুমের সামনে। অরিত্রা কে নিয়ে ভেতরে ঢুকতেই দেখে পুতুলের মতো একটা মেয়ে চেয়ার টেবিলে বসে ঝিমাচ্ছে। অরিত্রা মনে মনে হাসলো।
ইফতেখার অরিত্রা কে রুমে দিয়ে চলে গেলো তার কাজে। অরিত্রা এগিয়ে গেলো সে দিকে। তার জন্য পেতে রাখা চেয়ারে বসে মেহেরের মাথায় হাত বুলাতেই জেগে উঠলো মেহের। চোখ গোল গোল করে তাকালো অরিত্রার দিকে।
” ওয়াও আপু , ইউ আর সোও প্রিটি লাইক ডল ”
অরিত্রা হেসে বলল, ” ইউ অলসো লুক লাইক বেবি ডল ”
মেহের হেসে বলল, ” তুমি ই বুঝি অরিত্রা আপু? আমি কিন্তু মোটেও তোমাকে ম্যাম ডাকতে পারব না, আমি তোমাকে অরি আপু ডাকবো। ওকেহ্? ”
অরিত্রা মাথা নাড়িয়ে বলল, ” ঠিক আছে যা ইচ্ছে হয় ডেকো। এখন তোমার বই সব বের করো তো। এতোদিন কি কি পড়া হয়েছে দেখি ”
মেহের কপাল কুঁচকে বলল, ” কিছু ই পড়ি নি। নতুন বছরের শুরু তে কেউ পড়ে? ”
” নতুন বছর কোথায়? তিন নাম্বার মাস চলছে মেহু ”
” ওই একই কথা। তুমি নতুন করে শুরু করো ”
অরিত্রা মেহের কে পড়ানোর মধ্যে দিয়েই বলল, ” মেহের তোমার নামটা তো ভারী সুন্দর, কে রাখলো নামটা? ”
” বড় ভাইয়া ”
” কে সায়র ভাই? ”
মেহের নাকচ করে বলল, ” উহুম সায়র ভাইয়া তো ছোট ভাইয়া, আমার নাম রাখছে বড় ভাইয়া। সায়র ভাইয়া আমার নাম রাখলে সেদিন ই আমার নামের রফাদফা হয়ে যেতো। ”
” কেন শুনি?”
মেহের মিটমিট করে হেসে বলল, ” ছোট ভাইয়া আমার নাম হইতো ইঁদুর নয়তো বাদর রাখতো। বুঝো না! যে যেমন সে তো সবাইকে তেমন ই মনে করে ”
বলেই মেহের খিলখিল করে হেসে উঠলো। অরিত্রা কিছু ক্ষন বোকার মতো তাকিয়ে থেকে সেও হেসে উঠলো। বুঝলো মেয়েটা মারাত্মক দুষ্ট!
” তোমার ভাই কয়জন শুনি! ”
” আমার তো তিন ভাইয়া, ছোট ভাইয়া মানে সায়র ভাইয়া, মেঝো ভাইয়া হলো তন্ময় ভাইয়া আর বড় ভাইয়া হলো মুনতাসিম ভাইয়া ”
অরিত্রা কপাল কুঁচকে বলল, ” মুনতাসিম? ”
” হ্যা তো আমার বড়ো ভাইয়া ”
” পড়াতে এসে ফাও কথা বলা কোন ধরনের ম্যানার মিস ভদ্রতা? ”
পরিচিত কন্ঠ শুনতে পেয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকালো অরিত্রা। মুনতাসিম পকেটে হাত গুজে দরজার সাথে হেলান দিয়ে দাড়ালো। অরিত্রা তৎক্ষনাৎ দাঁড়িয়ে গিয়ে বলল,
” আপনি? ”
মুনতাসিম চোয়াল শক্ত করে হাটতে হাটতে অরিত্রার সামনে এসে দাড়ালো,
” কেন? মানা আছে? নাকি আপনার অনুমতি নিয়ে ঢুকতে হবে? ”
অরিত্রার নাকের পাটা ফুলিয়ে জোরসে একটা শ্বাস ফেলে বলল,
” আপনি এখানে কেনো? কাজ নাই আপনার সভাপতি সাহেব? ”
” তুমি আমাকে কাজ দেখাচ্ছো মেয়ে?” গম্ভীর কন্ঠে কথা টা বলেই মেহেরের দিকে তাকালো মুনতাসিম। মুনতাসিমের তাকানো দেখে মেহের কে আর পায় কে, এক দৌড়ে নেটওয়ার্কের বাইরে।
অরিত্রা মুনতাসিমের থেকে চোখ সরিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে বলল,
” অবশ্যই দেখাচ্ছি। কাজ বাজ নেই শুধু পারেন মানুষের সাথে ঝগড়া করতে আর গুন্ডামী করতে। কি দেখে যে আপনাকে ছাত্রদলের সভাপতি করেছে আল্লাহ মালুম ”
কথাটা বলেই সোজা হয়ে অরিত্রা মুনতাসিমের দিকে তাকালো। মুনতাসিম চোখ ছোট ছোট করে অরিত্রার দিকে তাকালো। আরেকটু এগিয়ে এসে তর্জনি দিয়ে অরিত্রার নাকের ডগায় একটা জোরে টোকা দিয়ে বলল,
” দেখতে তো লিলিপুটের মতো, তোমাকে তুলে হাজার খানেক আছাড় দিলেও এই মুনতাসিমের কিচ্ছু হবে না, এক বিন্দু শক্তি ও খরচ করতে হবে না। আর এখানে আসার আগে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে আসবে নয়তো আমি নিজ দায়িত্বে মুখটা সেলাই করে দিবো, মাইন্ড ইট মিস ভদ্রতা ”
বলেই পকেটে হাত গুঁজে ভাব নিয়ে চলে গেলো। অরিত্রা ভ্যাবলার মতো তাকিয়ে রইলো, যখন সে বুঝতে পারলো মুনতাসিম তাকে অপমান করে গেলো সাথে থ্রেড ফ্রি দিলো রাগে গজরাতে গজরাতে চেয়ারে বসলো, সাথে বিরবির করে বলল,
” ছাড়বো না আপনাকে সভাপতি সাহেব। আমাকে অপমান! আপনাকে যদি নাকে দড়ি দিয়ে না ঘুরিয়েছি আমার নাম ও অরিত্রা মাহাবুব না! ”
” অরি আপু বড়ো ভাইয়া কি তোমাকে গালে মেরেছে? ”
অরিত্রা তড়িৎ গতিতে তাকালো মেহেরের দিকে, ভ্রু কুঁচকে বলল, ” কেন বলো তো? ”
” না তোমার গাল টা লাল হয়ে আছে, আসলে ভাইয়া এমন ই সবাই ভয় পায় ভাইয়া কে ”
” না মেহু তোমার ভাইয়া আমাকে মারে নি। আমার গরম লাগছে তো আর রাগ হচ্ছে তাই গাল লাল হয়ে গেছে, ওটা ঠিক হয়ে যাবে। তুমি পড়ো তোমাকে যা পড়তে দিলাম। আজ প্রথম দিন তো তাই বেশি কিছু দিলাম না। আজ আসি। পড়া গুলো কমপ্লিট করো কেমন? ”
মেহের মাথা দুলালো মানে সে করবে। অরিত্রা হাত ঘড়িতে সময় দেখে ব্যাগ হাতে উঠে দাড়ালো। সাড়ে আট’টার উপর বাজে। এখন নাস্তার জন্য বাসায় গেলে ভার্সিটিতে যেতে লেট হয়ে যাবে আর না গেলে উপোস থাকতে হবে। অরিত্রা সেকেন্ড টাই চুজ করলো। এখন বাসায় যাবে না সোজা ভার্সিটি। কথা গুলো ভাবতে ভাবতে ই সিড়ি বেয়ে নিচে নেমে এলো।
অরিত্রাকে দেখে মুনারা আক্তার এগিয়ে এলেন,
” কেমন লাগলো মা তোমার নতুন ছাত্রী কে। মেয়েটা ভীষণ দুষ্ট আর পড়া চোর ”
অরিত্রা হেসে মুনারা আক্তারের হাত ধরে বলল, ” ওসব নিয়ে চিন্তা করবেন না ছোট মা, মেহের কে বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। এই বয়সে একটু আধটু দুষ্টুমী সবাই করে ”
অরিত্রার কথা মুনারার বেশ মনে ধরলো, মেয়েটা বেশ গুছিয়ে কথা বলে। একদম বাবার মতো।
” অনেক কথা হয়েছে এখন চলো নাস্তা করবে ”
অরুনা বেগম এসে অরিত্রার বাহু চেপে ধরে কথা গুলো বলল। অরিত্রা তৎক্ষনাৎ নাকচ করে বলল, ” এমা না না মেঝো মা, আমি খেয়ে এসেছি। আমার খিদে নেই ”
তবুও অরুনা বেগম টানতে টানতে নিয়ে যেতে যেতে বলল,
” মিথ্যা বলো না মেয়ে। মা ডেকেছো অথচ মায়ের কাছে ই মিথ্যা কথা বলো! ”
অরিত্রাকে জোর করে চেয়ারে বসিয়ে বলল,
” চুপচাপ এখানে বসো, একদম নড়চড় করবে না আর একটা শব্দ ও শুনতে চাই না মেয়ে ”
অরিত্রা চুপ করে গেলো। ডাইনিং টেবিলে দেখলো সাইডের একটা চেয়ারে মুনতাসিম বসা, অরিত্রা রাগী দৃষ্টিতে মুনতাসিমের দিকে তাকিয়ে পাশে তাকালো। মুনতাসিমের সেদিকে কোন খেয়াল নেই সে তো এক মনে খেতে ব্যস্ত। তার পাশে সায়র বসেও খাচ্ছে। অরিত্রা তাকাতেই সায়র হাত নেড়ে হায় দিলো। সায়র থেকে একটু দুরে মেহের বসে আছে।
” মা ওই কি অরিত্রা? ”
অচেনা কারো কন্ঠে নিজের নাম শুনতে পেয়ে পাশে তাকালো অরিত্রা। অচেনা একটা মেয়েকে দেখে তার দিকেই পূর্ণ নজর দিলো।
” হ্যা ওই অরিত্রা ”
মেয়েটা অনেক খুশি হয়ে অরিত্রার পাশে বসে পড়লো। মনে হলো সে যেন এটারই অপেক্ষা করছিলো। অরিত্রার মনে হলো মেয়েটা তার থেকে অনেক বড়ো।
অরিত্রা মেয়েটার দিকে দেখলো মেয়েটার গায়ের রং তার থেকেও উজ্জ্বল। হাসি দিলে এক পাশের বাঁকা দাঁত টা সৌন্দর্য আরোও বাড়িয়ে দেয়।
” হেই অরি আমি মিনু। এইবার ল’ কমপ্লিট করে হাই কোর্টে প্রেক্টিস করছি ”
প্রথম দেখায় কেউ কাউকে এভাবে আদর করে ডাকতে পারে জানা ছিলো না অরিত্রার তবে মেয়েটাকে বেশ লাগলো তার। অরিত্রা মুচকি হেসে বলল,
” আমি অরিত্রা মাহাবুব, অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ”
মিনু মাথা নাড়িয়ে বলল, ” গুড গুড। তুমি আমাকে মিনু আপু বলেই ডেকো কেমন? ”
অরিত্রা মাথা নাড়িয়ে খেতে শুরু করলো। বাড়ির মানুষ গুলো কে অরিত্রার বেশ ভালো লাগলো ভীষণ মিশুক স্বভাবের। সবাই ই ভালো একমাত্র ওই বদ লোক ছাড়া!
কথাটা চিন্তা করেই আবারো রাগী দৃষ্টি তে তাকালো মুনতাসিমের দিকে, মুনতাসিম নিচের দিকে তাকিয়ে তখনো খাচ্ছিলো, অরিত্রা মুনতাসিমকে পর্যবেক্ষন করছে আর দাঁতে দাঁত চাপছে, হুট করেই মুনতাসিম নিচের দিকে তাকিয়ে ই বলে উঠলো,
” আরেকটু চাপলে সব কটা ভেঙে যাবে ”
অরিত্রা চোখ বড়ো বড়ো করে তাকালো সাথে সকলে মুনতাসিমের দিকে তাকাতেই, মুনতাসিম মোবাইল হাতে ভয়েস রেকর্ড পাঠানোর মতো ভান করে সামনে তাকাতেই দেখে সবাই তার দিকে প্রশ্নাত্নক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, মুনতাসিম ভ্রু কুঁচকে চোয়াল শক্ত করে বলল,
” হুয়াট’স হ্যাপেন? ”
কথাটা কানে যেতেই সকলে আবার যার যার কাজে ব্যস্ত হলো। অরিত্রা নিচের দিকে তাকিয়ে বিরবির করে বলল,
” হাহ্ ভাব। এসব নাটক অরিত্রার ভাজা ভাজা। কি ভাবটাই না ধরলো! খচ্চর বেডা! ”
চলবে..
[ কেমন লাগলো আজকের পর্ব সবাই সুন্দর সুন্দর কমেন্ট করে জানাবেন কিন্তু ]