প্রণয়ের_বন্ধন #সাদিয়া_শওকত_বাবলি #পর্ব_১

0
208

#প্রণয়ের_বন্ধন
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_১

( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )

– এই মেয়ে! এই মেয়ে! পা সড়াও।

কারো রাম ধমকে কপাল কুঁচকে সামনে তাকালো মেঘা। সামনে এক যুবক মহা বিরক্তি নিয়ে ভ্রু কুঁচকে দাঁড়িয়ে আছে তার দিকেই তাকিয়ে। মুখে মাস্ক, মাথায় ক্যাপ চোখ দুটো ছাড়া আর কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তবে ধমকে বোঝা যাচ্ছে লোকটি বেশ বিরক্ত। পড়নে তার হালকা আকাশি রঙের একটা শার্ট আর নেভি ব্লু রঙের একটা প্যান্ট। মেঘা ভ্রু কুঁচকে তাকালো সামনে দাঁড়ানো যুবকটির পানে। ওর পা নিয়ে এই যুবকের সমস্যা কি? সে কেন সড়াতে বলছে? যুবকটি আবার বিরক্তি ভরা কন্ঠে বলল – এই মেয়ে কি বললাম শোনোনি? পা সড়াও।

মেঘা এবার তাকালো তার পায়ের দিকে, চমকে গেল মেঘা। সে দাঁড়িয়ে আছে সামনে দাঁড়ানো যুবকটির পায়ের উপর। নিজের অবস্থান দেখেই মেকি হাসলো মেঘা। নিজের পা দুটো সরিয়ে নিল যুবকটির পায়ের উপর থেকে। ছোট করে বলল – স্যরি।

মাত্রই কলেজ ছুটি হয়েছিল তার। কলেজ ছুটি হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের ভীর থাকে অনেক। এত ভীর টপকে বাসে ওঠা যেন রীতিমত যুদ্ধ জয়। পরপর দুটো বাস মিস করেছে জায়গা পায়নি অতঃপর ভীর দেখেও এই বাসে উঠলো সে। বাসে উঠেই পা দুটো উঁচু করে দেখছিল কোথাও সিট আছে কিনা নয়তো পুরো পথটা এইভাবেই দাঁড়িয়ে যেতে হবে। সে যখন বাস পর্যবেক্ষণ করতে ব্যস্ত ছিল তখনই এই যুবক মহাশয় ধমকে উঠলো তাকে। নিজের কাজে ব্যস্ত থাকায় মেঘা একদম খেয়াল করেনি সে কারো পায়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে। হাত দিয়ে শক্ত করে সিটের এক অংশ ধরে দাঁড়িয়ে ছিল সে। হাতটা আলগা করে একটু পিছনে সড়ে আসতে চাইলো মেঘা ঠিক তখনই ব্রেক কষলো বাসের ড্রাইভার, হুমড়ি খেয়ে পড়লো সামনে দাঁড়ালো যুবকের উপর। খামচে ধরলো তার বুকে। মেঘার ঠোঁট গিয়ে ঠেকলো যুবকটির বুকের ঠিক বাম পাশে। থমকে গেল মেঘা, কেঁপে উঠলো সে। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিও বুঝি তার জন্য আজ অপেক্ষা করে ছিল। ভরা বাসে অজানা এক যুবকের বুকে কিনা চুমু খেয়ে বসেছে মেঘা। ভাবতেই ছিটকে সরে এলো সে। বারংবার বলল – স্যরি স্যরি। মাফ করবেন আমি বুঝিনি আসলে হঠাৎ গাড়িতে ব্রেক কষেছে তো তাই।

যুবকটি উত্তর দিল না কোনো। সামনের স্টেশন আসতেই এক প্রকার ছুটে নেমে গেল সে। ডাক্তার তাহসিন তালুকদার, এই পথ ধরেই নিজের গাড়িতে আসছিল সে। দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে, একটু পরই ওটি আছে তার। কিন্তু আজ ভাগ্য বোধহয় সহয় হয়নি। মাঝ পথেই গাড়ি নষ্ট হলো। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল ট্যাক্সির জন্য কিন্তু পেল না। মাঝ পথে কি আর ড্রাইভাররা তার জন্য খালি ট্যাক্সি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে নাকি? শেষে এক প্রকার বাধ্য হয়েই বাসে উঠতে হলো তাকে। বাস জার্নি তার সচরাচর করা হয় না। আর করলেও এভাবে দাঁড়িয়ে ভীরের মধ্যে কখনও হয়নি। লোকাল বাসের এমন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ একদম পছন্দ নয় তার। তার মধ্যে এই উদ্ভট মেয়ের সাথে দেখা যদিও মেয়েটির মুখ দেখেনি সে, মেয়েটিও মাস্ক পরিহিত ছিল। বুকে হাত দিল তাহসিন এখনও হার্টের গতি অস্বাভাবিক। মেয়েটির হঠাৎ স্পর্শে যেন ঝড় উঠেছিল তার বুকে। হার্টের ডাক্তার হয়ে নিজের হার্টের গতি রোধেই আজ ব্যর্থ সে। তাহসিন পিছন ফিরে একবার তাকালো। বাস তার দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে গেছে। মনে মনে সে ভাবলো – এভাবে মানুষ চলাফেরা করে? এইভাবে বাসে পুরুষদের সাথে ধাক্কা ধাক্কি করে চলাচল নারীদের জন্য মোটেই সেইভ নয়। নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা উচিৎ আর না হয় এমন নিয়ম করা উচিৎ যে কেউ ধাক্কা ধাক্কি কিংবা দাঁড়িয়ে বাসে যেতে পারবে না শুধু মাত্র যে কয়টা সিট সে কয়জন মানুষই যেতে পারবে।

তাহসিন দাঁড়িয়ে রইলো কিছুক্ষণ। মনে তার বাস নিয়ে হাজারো জল্পনা কল্পনা। অতঃপর নিজের চিন্তা ভাবনাকে দমিয়ে একটা টেক্সি ডেকে উঠে পড়লো সে, তাড়াতাড়ি হাসপাতালে পৌঁছাতে হবে।

_____________________________________

রাত হয়েছে, এই ৮ টা কি ৯ টা বেজেছে। কৃত্রিম আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেছে শহরটা। হাসপাতালের আনাচে কানাচেও কৃত্রিম আলোয় আলোকিত। হাসপাতালের করিডোর থেকে হেঁটে যাচ্ছিলো তাহসিন। হঠাৎ কারো কান্নার আওয়াজে থমকে দাঁড়ালো সে। একটা মেয়ে পেট চেপে বসে কেঁদে যাচ্ছে। তাহসিন ভালো করে তাকালো মেয়েটির দিকে শ্যামবর্না মুখশ্রী, কাঁদতে কাঁদতে চোখ মুখ ফুলে লাল হয়ে গেছে। নাক টেনে যাচ্ছে বারবার। তাহসিন দাঁড়ালো না পা বাড়ালো সামনে। কিন্তু মেয়েটির ক্রন্ধন ধ্বনি যেতে দিল না তাকে। মেয়েটির কান্নার শব্দ যেন তার ভিতরের সত্ত্বাকে নাড়িয়ে দিচ্ছে ভীষণ ভাবে। কে এই মেয়ে যার কান্না এভাবে আহত করছে তাকে। হাসপাতালে সারাদিন তো অজস্র রোগী, রোগীর স্বজন আসে কান্না কাটি করে, জ্ঞান হারায় কই তখন তো এমন হয় না। মানুষ বলে ডাক্তাররা কষাই। কষাইই তো এদের কোনো মায়া, ভালোবাসা থাকতে পারে না। দীর্ঘশ্বাস ফেললো তাহসিন আবার সামনের দিকে পা বারালো কিন্তু যেতে আর পারলো না, অনিচ্ছা সত্ত্বেও ক্রন্দনরত মেয়েটির কাছে এগিয়ে গেল। বসলো তার পাশে, শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো – নাম কি?

পাশে দাঁড়ানো মধ্য বয়সী মহিলা উত্তর দিল – মেঘা।

– সমস্যা কি?

মেঘা উত্তর দিল না কোনো তবে তার উত্তর দিতে ইচ্ছে হচ্ছিলো ভীষণ যে – দেখছেন না পেটে ব্যথা তারপরও জিজ্ঞেস করছেন সমস্যা কি? আপনি ডাক্তার না আরও কিছু? পেট চেপে কাঁদছি এসে জিজ্ঞেস করছেন সমস্যা কি?

তবে মুখে বলতে পারলো না কিছুই। শুধু পেটে ব্যথায় কেঁদে যাচ্ছে। পাশে দাঁড়ানো মধ্য বয়সী মহিলাটি উত্তর দিল – পেটে ব্যথা দুপুর থেকে।

তাহসিন তাকালো মহিলার দিকে, বলল – রোগী আপনার কি হয়?

– মেয়ে।

– তো উনার উত্তর উনিই দিক। উনাকে উনার সমস্যাগুলো বলতে বলুন।

মেঘার এবার ভীষণ ইচ্ছে হলো বলতে যে দেখছেন না পেটে ব্যথায় কেঁদে মরছি উত্তর দিব কখন। মুখে বলতেও উদ্ধতও হলো সে। মাথা তুলে তাকাতেই চমকে গেল মেঘা এ তো সেই বাসের ছেলেটি। ওকে ধমকেছিল, তখনও মাস্ক পড়া ছিল এখনও মাস্ক পড়াই। তবে চোখ দেখেই চিনে ফেলেছে মেঘা, এদিক থেকে আবার তার স্বরন শক্তি খুব ভালো। ছাত্রী হিসেবেও ভালো সে। ভ্রু কুঁচকে এলো মেঘার। এই ব্যাটা আবার ডাক্তার নাকি?

মেঘাকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে তাহসিন গম্ভীর কন্ঠে প্রশ্ন করলো – আজ বাইরের কি খেয়েছেন?

মেঘা ভয়ে ভয়ে উত্তর দিল – কিছু না।

মা যদি জানতে পারে সে আজ রাস্তায় আবার ফুচকা খেয়েছে মেরে ফেলবে একদম। এমনি তার গ্যাস্টিকে প্রচুর সমস্যা। ডাক্তার তাকে বাইরের খাবার খেতে বারন করেছে। কিন্তু ফুসকা! ফুচকার সাথে জড়িয়ে আছে অন্তরকম ভালোবাসা, একটা আবেগ। চাইলেই কি ফুচকা ছেড়ে দেওয়া যায়? উহু একদম যায় না। তাই আজ সে আজ ফুচকা খেয়ে ফেলেছিল, দেখে লোভ সামলাতে পারেনি আর কি? তাহসিন এবার শক্ত কন্ঠে বলল – সত্যিটা জানতে চাইছি।

মেঘা মিনমিনিয়ে বলল – ফুচকা।

তেতে উঠল মেঘার মা সুফিয়া বেগম, বললেন – তোকে না বাইরের খাবার খেতে নিষেধ করেছিলাম তবুও খেলি কেন? আমাকে না জ্বালালে তোর শান্তি হয় না। একটু কি শান্তি দিবি না আমাকে?

তাহসিন আবার শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো – ফুচকাওয়াকে গিয়ে কি বলেছিলেন?

ভ্রু কুঁচকালো মেঘা। এ আবার কেমন প্রশ্ন? ফুচকাওয়ালাকে গিয়ে আবার কি বলবে, অবশ্যই ফুসকা চেয়েছে। আর সেটা এই ডাক্তারের জানতে হবে কেন? তার সাথে ওর চিকিৎসার সম্পর্ক কি? এবার বিরক্ত হচ্ছে মেঘা। এমনি পেট ব্যথায় মরে যাচ্ছে তার মধ্যে এসব ফালতু প্রশ্ন। তাহসিন আবার বলল – কিছু জিজ্ঞেস করেছি আপনাকে উত্তর দিন।

মেঘা বিরক্তিভরা কন্ঠে বলল – ফুচকা চেয়েছি।

– এক্সেক্টলি কিভাবে ফুচকা চেয়েছেন?

মেঘা মায়ের দিকে তাকালো, আস্তে করে বলল – এক প্লেট ফুসকা দিন।

– এভাবে নয় যেভাবে ফুচকাওয়ালাকে বলেছেন সেভাবে বলুন।

ভ্রু কুঁচকালো মেঘা, বলল – কেন আপনি কি ডাক্তারি রেখে ফুচকা বিক্রি শুরু করেছেন হাসপাতালে যে ফুচকাওয়ালার কাছে যেভাবে ফুচকা চাইছি আপনার কাছেও সেভাবে চাইতে হবে।

ধমকে উঠলেন সুফিয়া বেগম, বললেন – মেঘা!

তাহসিন বাঁকা চোখে তাকালো মেঘার দিকে, বলল – যেটা জিজ্ঞেস করেছি তার উত্তর দিন।

মেঘা মিনমিনিয়ে উত্তর দিল – মামা বেশি ঝাল দিয়ে কড়া করে দুই প্লেট ফুসকা দিন তো।

– পড়ো কোন ক্লাসে?

– ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে।

তাহসিন মেঘার দিকে তাকালো, পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করলো অতঃপর বলল – হাত পা দেখলে তো মনে হয় ২/৩ বছরের বাচ্চাও তোমার থেকে মোটা।

মেঘার কান্না আপনা আপনি থেমে গেছে। অপমান বোধ হচ্ছে তার খুব। এই লোক ডাক্তার নাকি অন্য কিছু? ডাক্তাররা মানুষকে এভাবে অপমান করে নাকি? ডাক্তার হবে ভদ্র, সুশীল তা নয় এই লোক তো মহা বদমাইশ। ইচ্ছে করছে এখনই এই লোকের মাথাটা ফাটিয়ে দুই ভাগ করে দিতে। ওকে কিনা বলেছে দুই / তিন বছরের বাচ্চাও ওর থেকে মোটা। মেঘার আকাশ পাতাল চিন্তা ভাবনার মধ্যেই কেবিনে প্রবেশ করলো মধ্যে বয়সী এক লোক। সাদা অ্যাপ্রোন গায়ে জড়ানো, এনার মুখে মাস্ক নেই, হাস্যজ্জ্বল মুখশ্রী। লোকটি এগিয়ে এলো তাহসিনের দিকে তাকিয়ে বলল – কি খবর? হার্টের ডাক্তার আজ হঠাৎ গ্যাস্ট্রিকের রোগীর কাছে?

চমকে উঠলো মেঘা। এই লোক হার্টের ডাক্তার? আর তার ব্যাথা করছে পেটে। তার উপর এতক্ষন বস্তায় বস্তায় অপমান করলো তাকে। একে তো হার্টের ডাক্তার হয়ে তার পেটের চিকিৎসা করতে এসেছিল তার উপর এতগুলো কথা। মেঘার ছোট্ট মনটা ঘোর প্রতিবাদ করলো। মেঘা কটমট করে তাকালো তাহসিনের দিকে, বলল – হৃদপিন্ডের ডাক্তার হয়ে আমার পেটের চিকিৎসা করতে এসেছিলেন আপনি? বলি আমার হৃদপিন্ড কি বুক থেকে খসে পেটে এসে পড়েছে নাকি?

তাহসিন ভ্রু কুঁচকালো। দাঁতে দাঁত চেপে বলল – হৃদপিন্ডের ডাক্তার হলেও এটুকু বোঝার মতো জ্ঞান আমার আছে যে আপনি কি করে পেটের জ্বালা বাধিয়েছেন।

মেঘা তাকালো তার মায়ের দিকে, উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বলল – আর এক মুহূর্তও এখানে নয় মা। এখানের হৃদপিন্ডের ডাক্তাররা পেটের চিকিৎসা করে। উনার কত বড় সাহস আমার এই টুকু পেট তা নিয়ে টানাটানি শুরু করেছিল।

তাহসিন ধমকে উঠলো, বলল – স্টপ! এসব কি ধরনের কথা। ম্যানার্স নেই কোনো।

মেঘা মুখ বাঁকালো, বলল – হৃদপিন্ডের ডাক্তার হয়ে পেটের চিকিৎসা করতে এসে আবার ম্যানার্স শিখাচ্ছে আমাকে।

মধ্যবয়সী লোকটা এতক্ষন ধরে চুপচাপ শুনছিল ওদের কথা, এবার মুখ খুললো সে বলল – কি হয়েছে এখানে?

তাহসিন মহা বিরক্তি নিয়ে বলল – আপনার রোগীদের তো হাসপাতালে থাকাই দায় করে দিয়েছে মিস্টার আফজাল তালুকদার। কান্নাকাটিতে করিডোর থেকে পর্যন্ত হাঁটা যাচ্ছে না।

দীর্ঘশ্বাস ফেলল আফজাল তালুকদার। সম্পর্কে তাহসিন তার ভাইয়ের ছেলে তবে তার মুখ থেকে চাচা ডাকটা শোনা হলো না তার কখনও। ছোটবেলা থেকেই এমন ছেলেটা একরোখা তবে শান্ত। যতক্ষন না কেউ তার গায়ে যেচে পড়ে কিছু করছে সে রাগে না। তবে একবার রাগলে কুরুক্ষেত্রের থেকে কম হয় না। বড্ড চুপচাপ ছেলেটা, প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলে না। আজ এই মেয়ের সাথে এত কথা বলতে দেখে প্রথমে বেশ অবাকই হয়েছিল আফজাল তালুকদার। ছেলেটার এমন হওয়ার পিছনে দায়ী শুধু মাত্র তারাই। তাদের জন্যই চঞ্চল ছেলেটা গুটিয়ে নিয়েছে নিজেকে। অতঃপর আফজাল তালুকদার শান্ত কন্ঠেই বলল – তা হঠাৎ আমার ডিপার্টমেন্টে এলে যে? এদিকটায় সহজে তো দেখা পাওয়া যায় না তোমার।

চলবে….
পরের পর্বটি পেতে পেইজে ফলো দিয়ে রাখুন। ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ

____

( Note : গল্পটি কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। গল্পটি মাথায় আসলো আর লিখে ফেললাম। বাকি লেখা আপনাদের সাড়ার উপর নির্ভর করছে, সাড়া পেলে লিখবো, সাড়া না পেলে অন্য গল্প লেখা শুরু করবো। তবে হ্যা সাড়া পেলে #তুমি_আমার_শেষ_ঠিকানা ( দ্বিতীয় অধ্যায় ) শেষ হলেই এই গল্পটি দেওয়া শুরু করবো )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here