অসম্ভবেও আমার তুমি নুসরাত সুলতানা সেজুথি পর্ব–২৪

0
69

#অসম্ভবেও আমার তুমি
নুসরাত সুলতানা সেজুথি
পর্ব–২৪

বরাবরের থেকে একটু বেশিই উৎকট স্পিডে এসে গাড়িটাতে ব্রেক কষলো আবরার। এরপর দ্রুত হাত চালিয়ে বেরিয়ে এলো দরজা খুলে।চোখে মুখে রাগ ছোটাছুটি করছে তার। ক্রোধে চোখা নাকের ডগাটা লাল আভা দিচ্ছে।

বাড়ির সদর দরজায় এসে কলিং বেল বাজালো আবরার। কয়েক মুহুর্ত অপেক্ষা করার পরেও দরজা খুললোনা স্নিগ্ধা। এতে রাগ টা আরো জেঁকে বসলো কাধে। ব্যাগ্রতায় দরজার লক টা টেনে খানিকক্ষন নাড়াচাড়া করে ভাঙার চেষ্টা চালালো। পরমুহূর্তে কিছু একটা মাথায় এলে প্যান্টের পকেটে হাত ঢোকালো আবরার,,,বুঝতে পারলো দরজার এক্সট্রা চাবি তার সাথেই আছে।চাবিটা বের করে নিয়ে হাত চালিয়ে দরজা খুলতে সময় নিলোনা সে।

হন্তদন্ত পা চালিয়ে ভেতরের ঘরে এলো আবরার। মকবুল যাওয়ার পর এখন এই বাড়িতে শুধু স্নিগ্ধা আর সে। আগে একা মানুষ থাকার দরুন একজনের ব্যাতীরেকে অন্য কোনও কাজের লোকের দরকার পরেনি তার।
__________________________________

শূন্য বাড়িতে আবরারের পায়ের জুতোর শব্দটা একটু বেশিই ভারী শোনালো। হাত দিয়ে রুমের দরজা ঠেললো আবরার। দরজায় বাইরে দাঁড়িয়েই পুরো রুমে একবার চোখ বোলালো। কক্ষ একবারে ফাকা।
স্নিগ্ধা কোত্থাও নেই। তার মানে ফেসবুকে দেখতে পাওয়া ছবিটাই সত্যি?

অস্থিরতায় বিছানার ওপর বসে পরে হাত দিয়ে মাথা চেপে ধরলো আবরার। মাথার একপাশে যন্ত্রনা হচ্ছে।তার মধ্যে সকাল থেকে কিছুই পেটে পরেনি এখন অব্দি।

যার জন্যে উদ্ভ্রান্তের মত ছুটে আসা নিয়ে ভাবছিলো সে কিনা এখন ছেলেদের সাথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফুচকা চিবোচ্ছে!

ভাবতেই ক্রোধানল চেপে ধরলো আবরারকে। মনে মনে শপথ নিলো আজ স্নিগ্ধার এতোটা সাহসিকতার মূল্য বেশ ভালো ভাবে চুকিয়ে নেবে সে।

হাত ঘড়িতে একবার চোখ বোলালো আবরার। দুপুর ১ঃ৩০ বাজে এখন। দেখা যাক মহারানী কখন আসেন!
___________________________________

আধঘন্টার মধ্যে বাড়ির সামনে গাড়ি পার্ক করার শব্দ এলো কানে। হাতের ম্যাগাজিন থেকে চোখ উঠিয়ে দরজার দিকে একবার তাকালো আবরার। গাড়ি দেখে বোধগম্য হলো স্নিগ্ধা সাথে হেনাল কে নিয়ে গেছিলো।

সদর দরজা খুলে রেখেছে আবরার । স্নিগ্ধার একটু তাড়াতাড়ি আসতে যাতে অসুবিধা না হয় তার এক ক্ষুদ্র প্রয়াস এটা।

কয়েক সেকেন্ড পরই গাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে এলো স্নিগ্ধা। হাতে মোটা একটা বই। বইটা দেখতে পেয়ে আবরারের ভীষণ কৌতুকের ন্যায় মনে হলো।ভাবলো স্নিগ্ধা হয়তো এটা শো-অফ করতে নিয়েছে সাথে।।
সেদিকে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে আবরার আবারো চোখ রাখলো ম্যাগাজিনের পাতায়।

প্রথমে সদর দরজা খোলা দেখে থমকালো স্নিগ্ধা।কপালে ঈষৎ ভাঁজ পরলো। পরক্ষনে কৌতুহল নিয়ে পা চালিয়ে ভেতরে আসতেই আবরার কে সোফার ওপর বসে থাকতে দেখে বেরিয়ে এলো চোখ দুটো। বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে রইলো। স্নিগ্ধার মুখের অভিব্যাক্তি বুঝতে আবরার পুনরায় ওর মুখের দিকে চোখ তুলে তাকায়। সাথে সাথে স্নিগ্ধা মিষ্টি করে মুচকি হেসে, ব্যাস্ত গলায় বলে — আপনি কখন এলেন?

ব্যাস! স্নিগ্ধার হাসিটা দেখতেই ক্রোধ সব পানসে হয়ে আসে আবরারের। এতক্ষনের জমে রাখা রাগ কর্পূরের মতোন উবে যেতে শুরু করে ।তবুও স্নিগ্ধার সামনে মুখটা শক্ত করে রাখতে যথাসম্ভব গম্ভীরতা নিয়ে বসে রইলো আবরার। আবরার উত্তর না দেয়ায় স্নিগ্ধা তাড়াহুড়ো করে এগিয়ে এসে বসে পরে ওর পাশে। চিন্তিত মুখে বলে,

— আপনি কি কিছু খেয়েছেন? আপনার মুখটা কেমন শুকনো শুকনো লাগছে!

আবরার এবারো উত্তর দেয়না। গুম মুখ করে বসে থাকে।স্নিগ্ধা ভ্রু কুঁচকে বলে ওঠে,

— কথা বলছেন না কেন?
আবরার একবার স্নিগ্ধার দিকে পাশ ফিরে তাকিয়ে আবারো চোখ সরিয়ে সামনের দিকে তাকায়। ভেতরে ভেতরে পূর্বের রাগ জমা করার চেষ্টা চালায়,,,অন্তত কঠোর হয়ে স্নিগ্ধাকে কিছু বলার চেষ্টা!

পরমুহূর্তে স্নিগ্ধা আনন্দ ধ্বনি নিয়ে বলতে শুরু করে,,

— জানেন আমি কোথায় গিয়েছিলাম? ভার্সিটিতে! দুটো ক্লাশ হয়েছে আজ,আর কত্তগুলো বন্ধু হয়েছে আমার,,,,ওদের মধ্যে মেঘ সব থেকে ভালো। ও খুব ভালো ছাত্রী। আর আজ ওর জন্মদিন ছিলো তাই আমাদের সবাইকে ফুচকা খাইয়েছে ও…!! আমি প্রথমে যেতেই চাইনি,কিন্তু ও জোর করে নিয়ে গেলো।

আমি আপনার জন্যে সকাল থেকে অপেক্ষা করছিলাম।কিন্তু আপনি আসছিলেন-ইনা।তাই হেনাল ভাইকে নিয়ে আমিই চলে গেলাম ভার্সিটিতে। আমিতো চিনিনা,,ভাগ্যিস হেনাল ভাই চেনে। আজ যদি না যেতাম আমিতো কারো সাথেই পরিচিত হতে পারতাম না। দেখা যেত সবাই সবার সাথে পরিচিত হয়ে নিতো,,, নিজেদের মত বন্ধু বানিয়ে নিতো। তারপর কাল যখন আমি যেতাম তখন সবার মধ্যে আমার খুব অস্বস্তি হতো!

আমি একা গিয়েছি বলে আপনি রাগ করেননিতো? আচ্ছা আপনি এলেন না কেন? তনয়া আপুর কি রিলিজ হয়ে গিয়েছে? আপনি কি ওনাকে বাসায় পৌছে দিতে গিয়ে ছিলেন? তাইজন্যে আসতে দেরি হয়ে গেছিলো?

পুরো এক দমে গলগল করে কথাগুলো আওড়ে থামলো স্নিগ্ধা। আবরার অদ্ভূত চোখে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। এমন দৃষ্টিতে মুগ্ধতা আছে নাকি ক্রুর বোধগম্য হচ্ছেনা স্নিগ্ধার। কৌতুহল নিয়ে বলল,

— আপনার কি হয়েছে বলুন তো? শরীর খারাপ লাগছে?.

আবরার উত্তরে এবার ঠোঁটদুটো এলিয়ে হাসলো। স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে উদ্বেগ হীন গলায় বলল,

— তোমার আমার ওপর রাগ হচ্ছেনা?

স্নিগ্ধা ভ্রু কুঁচকে নিয়ে অবাক হয়ে বলল,
— অহেতুক রাগ কেন হবে?

আবরার সামান্য হেসে থেকেই বলল,

— অহেতুক কোথায়? এই যে আমি মাঝরাতে তোমাকে একা ফেলে তনয়ার কাছে গেলাম।সারারাত ওখানে ছিলাম,তোমার ক্লাশের প্রথম দিন জেনেও সময় মতো এলাম নাহ,এত কিছুর পরেও তোমার রাগ হলোনা আমার ওপর?

স্নিগ্ধা মুচকি হেসে বলল,
— ভালোবাসায় বিশ্বাস থাকলে রাগ হয়না।অভিমান হয়! আমারও অভিমান হয়েছিলো, কিন্তু এই যে আপনাকে দেখলাম সব অভিমান জলে গুলে গিয়েছে….

আবরার তৃপ্তিসুচক শব্দহীন হাসি হাসলো। পরক্ষনে মুখটা কালো করে বলল,

—- কিন্তু আমার খুব রাগ হয়েছিলো তোমার ওপর!

স্নিগ্ধা অবাক হয়ে বলল,
— আমার ওপর রাগ? কেন? কি করেছি আমি?

জবাবে আবরার পকেট থেকে ফোন টা বের করে স্নিগ্ধার সামনে ধরলো। আঙুল ইশারা করে বলল,

— এই ছবিটা দেখে,

স্নিগ্ধা চোখ সরিয়ে নিয়ে স্ক্রিনের দিকে তাকালো। আজকে বন্ধুদের সাথে ফুচকা খাওয়ার সময়ে তোলা ছবির কোনও একটা ভেসে আছে সেখানে। হাতে এক প্লেট ফুচকা সমেত হাসিমুখে দাঁড়িয়ে আছে সে। এক পাশে মেঘ আর অন্য কয়েকজন মেয়ে,,,অন্যপাশে দুটো ছেলে। স্নিগ্ধা কপালে ভাঁজ ফেলে আবরারের দিকে তাকিয়ে বলল,

— এটাতো ওই সময়কার ছবি। ওরা সেলফি নিচ্ছিলো তখন,
এটা দেখে রাগ কেন করলেন?

আবরার একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে ফোন টা টেবিলের ওপর রেখে দিয়ে বলল,

—- জানিনা। তবে রাগের প্রথম এবং একমাত্র কারন টা ছিলো তোমার পাশের ছেলেটা তোমার দিকে কেমন ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে ছিলো সে নিয়ে।আমার বউয়ের দিকে ও ওভাবে কেন তাকাবে?

স্নিগ্ধা প্রথমে নাক মুখ কুঁচকে নিলো। পরমুহূর্তে ঠোঁট বাকিয়ে হেসে দুই ভ্রু নাঁচিয়ে বলল,

— বাবাহ! এতো জেলাস?

আবরার স্নিগ্ধার দিকে ঝুঁকে যায়,শীতল গলায় বলে,
— যা আমার তা শুধুই আমার।

কথাটা বলে স্নিগ্ধার ঠোঁটে ছোট্ট করে চুঁমু খায় আবরার। স্নিগ্ধা কিছু বলতে ধরলেও ওর ঠোঁটে নিজের আঙুল ছুইয়ে থামিয়ে দিয়ে বলে,

— আমি কথা দিচ্ছি আর কখনও এসব কারন নিয়ে তোমার ওপর রাগ করবোনা।সব সময় তোমাকে বিশ্বাস করবো। আই প্রমিস ইউ।

স্নিগ্ধা মুগ্ধতায় হেসে আবরারের বুকে মুখ লোকায়। আবরার আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নেয় ওকে।
ভেতরে ভেতরে ভীষণ আক্ষেপ হয় তার,,

— খানিকক্ষণ আগেও মেয়েটাকে মনে মনে উল্টোপাল্টা বকছিলাম। তাও সামান্য একটা ছবি দেখে? অথচ আমি এত কিছু করার পরেও ও একটুও রাগ করলোনা? সন্দেহ করলোনা আমায়?উল্টে কত সহজ ভাবে নিলো তনয়ার বিষয় টা? সত্যিই আমার পরি ব্যাতিক্রম। সবার থেকে আলাদা আমার পরি।
সবার থেকে!

কিছু সময় বাদে স্নিগ্ধা আবরারের বুক থেকে মুখ ওঠালো। উদ্বেগ নিয়ে প্রশ্ন ছুড়লো…

— আচ্ছা,তনয়া আপুর কাল রাতে কি হয়েছিলো?

আবরার ভাবলেশহীন ভাবে স্বাভাবিক গলায় বলল,

— নাটক করছিলো কিছুই হয়নি।

স্নিগ্ধা চোখ জোড়া বড় বড় করে বলল,
— তার মানে আমি ঠিক ভেবেছিলাম?

কথাটায় আবরার সরু চোখে তাকিয়ে বলল,

— আজকাল তুমিও ভাবছো? বাহ বেশ বুদ্ধি হয়েছে দেখছি!

স্নিগ্ধা ভাব ধরে বলে ওঠে,
— হবেনা! আফটার অল আ’ম স্নিগ্ধা আবরার চৌধুরী।

আবরার ঠোঁট প্রসারিত করে হাসে,পরমুহূর্তে মুখটা সিরিয়াস করে বলে,

— ভার্সিটির কোনও ছেলেদের সাথে মিশবেনা। আমি এসব ছেলে বন্ধু পছন্দ করিনা। স্পেশালি তোমার আশেপাশে তো নয়ই।

স্নিগ্ধা ভ্রু কুঁচকে বলল—
তনয়া আপু যে আপনার বন্ধু ছিলো তার বেলা?
মেয়ে বন্ধুতো ঠিকই পছন্দ করেন।

আবরার মুচকি হাসলো কথাটায়,শিথিল গলায় জবাব দিলো,

— তার ফল তো পাচ্ছি।আমি একা নই সাথে তুমিও পাচ্ছো।আই হোপ এতেই বুঝবে!

স্নিগ্ধা ঠোঁট উল্টে বলল,
— জানি জানি।থাক আপনি না চাইলে আমি কোনও ছেলেদের সাথে মিশবোনা।

আবরার মৃদূ হেসে স্নিগ্ধাকে আবারো বুকে টেনে নিলো,,,,
— জানো তনয়া এখন পুলিশ কাস্টাডিতে,

আবরারের কথাটায় স্নিগ্ধা চমকে তাকালো। লাফিয়ে উঠে কিছুক্ষন হা করে চেয়ে থেকে বলল,

— কেন?

আবরার স্নিগ্ধার কাধের থেকে নিজের হাত টা সরিয়ে এনে চুলে রাখলো স্নিগ্ধার। সেখানে হাত বুলিয়ে বলতে শুরু করলো একে একে সবটা। আস্তেধীরে স্নিগ্ধার মুখের ভঙিমা আরো পাল্টাতে শুরু করলো।
আশ্চর্যকিত হওয়ার সব সীমা অতিক্রম করে নিলো মস্তিষ্ক। ঘটে যাওয়া ঘটনার পুঙখানুপুঙখ বলে নিয়ে থামলো আবরার। ফোস করে একটা নিঃশ্বাস ফেললো। স্নিগ্ধা অধিক উৎকন্ঠিত গলায় বলল,

— তনয়া আপু এরকম করলো? আমিতো ভাবতেই পারছিনা!

আবরার পরিতাপের সুরে বলল,
— কিছু মানুষ কুকুরের লেজের মত হয়,,বাকা ত্যারা। ছাড়ো এসব,,,
এটুকু বলে স্নিগ্ধার গালে হাত ছোয়ালো আবরার,,বলল,

— খিদে পায়নি?

স্নিগ্ধা মাথা নেড়ে বলল,
— নাহ। কিন্তু আপনার খুব খিদে পেয়েছে তাইনা? আপনি বসুন আমি এক্ষুনি খাবারের বন্দোবস্ত করছি।

আবরার মৃদূ হেসে ঘাড় কাত করে স্বায় দিলো। স্নিগ্ধা কোলের উপরে রাখা বইটা পাশে রেখে দিয়ে উঠে দাড়ালো। সামনের দিকে হাটতে ধরলে পেছন থেকে হাতটা টেনে ধরলো আবরার।

স্নিগ্ধা জিজ্ঞাসা নিয়ে তাকালে আবরার ভ্রু কুঁচকে বলল,
— আজ তোমার পাশের ছেলেটা কে ছিলো?

স্নিগ্ধা কোনও কিছু না ভেবে বেশ সহজ ভাবে জবাব দিলো,
— মেঘের ভাই।

— একই ভার্সিটিতে পড়ে? দেখেতো তোমার ব্যাচমেট মনে হয়নি,,সিনিয়র লাগছিলো!

— হ্যা। সিনিয়র তো! ফোর্থ ইয়ারে,উনি।

স্নিগ্ধা এটুকু বলে পরমুহূর্তে কৌতূহল নিয়ে বলল, — কিন্তু কেন?

আবরার হাত টা ছেড়ে দিলো স্নিগ্ধার,,,লম্বা শ্বাস টেনে বলল, — কিছুনা। এমনি,,যাও।

এ নিয়ে আর খুব বেশি ভাবলোনা স্নিগ্ধা।বিষয় টাকে সোজাসাপ্টা নিয়ে হেটে গেলো রান্নাঘরের দিকে। স্নিগ্ধা যেতেই সেদিকে একবার তাকিয়ে ফোন টাকে হাতে ওঠালো আবরার। কারো একটা নম্বরে ডায়াল করতেই প্রায় সাথে সাথে রিসিভ হলো কলটা। ওপাশ থেকে কারো আওয়াজ না শোনা গেলেও আবরার ঠান্ডা স্বরে বলে ওঠে,,,

—- আমি একটা ছবি পাঠাচ্ছি,,এর ওপর টুয়েন্টি ফোর বাই সেভেন নজর রাখবি।

চলবে,,,

কে এই নতুন আগন্তুক🤔🤔🤔

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here