অসম্ভবেও আমার তুমি নুসরাত সুলতানা সেজুথি পর্ব–২৮

0
78

#অসম্ভবেও আমার তুমি
নুসরাত সুলতানা সেজুথি
পর্ব–২৮

কাল ভার্সিটি এলিনা যে? কত অপেক্ষা করলাম।
কথাটা বেশ মুখ কালো করে বলল মেঘ। স্নিগ্ধা ওর দিকে তাকিয়ে ঠোঁট এলিয়ে হেসে বলল,

— কাল একটু সমস্যায় পরে গেছিলাম।তাই আর… কিন্তু তুই কেন এ নিয়ে এত মন খারাপ করছিস? বোকা মেয়ে!

মেঘ কিছু বলল না।মনে মনে বলল,

— অপেক্ষা তো আমার থেকেও ভাইয়া বেশি করছিলো।সেকি অস্থিরতা তার।তাই জন্যেই না.
আচ্ছা স্নিগ্ধাকে সেদিনের সেই হ্যান্ডসাম ছেলেটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করবো? ওর কে হয় ওটা জানতে চাইবো??
না থাক! স্নিগ্ধা উল্টোপাল্টা ভেবে বসে যদি। তার থেকে বরং ভাইয়া যে কাজ দিয়েছে সেটাই করি।

মেঘের ভাবুক মুখ দেখে ভ্রু কুঁচকে ওর হাতে মৃদূ ধাক্কা দিলো স্নিগ্ধা।

— কি রে কি হলো?

মেঘ ধ্যান ভেঙে থতমত খেয়ে তাকালো।নিজেকে সামলে মৃদূ হেসে বলল,

— না, কিছুনা। আচ্ছা তোর নিজের ফোন নেই?

স্নিগ্ধা দুদিকে মাথা নেড়ে বলল,

— উহু।

— কেন?

— এমনি।

কথাটা শুনে উত্তর না দিয়ে ব্যাগে হাত ঢোকালো মেঘ।কয়েক সেকেন্ড বাদে র‍্যাপিং করা কিছু একটা বের করে স্নিগ্ধার সামনে ধরলো। স্নিগ্ধা ভ্রু কুঁচকে বলল,

— এটা কি?

মেঘ এক গাল হাসলো। বলল,
— এটা তোর জন্যে আমার তরফ থেকে একটা ছোট্ট উপহার। নে ধর!

স্নিগ্ধা খানিকক্ষণ সেদিকে তাকিয়ে থেকে বলল,
— কি আছে এতে?

মেঘ ব্যাস্ত গলায় জবাব দেয়,

— আগে ধরবি তো!

কথা না বাড়িয়ে বক্স টাকে মেঘের হাত থেকে হাতে নিলো স্নিগ্ধা। কৌতুহলে মুখমন্ডল লাগামহীন ছেয়ে উঠেছে একেবারে। বক্স টাকে কিছু সময় হাতে নেড়েচেড়ে দেখলো।পরমুহূর্তে মেঘের দিকে তাকিয়ে মিষ্টি করে হেসে বলল,

— থ্যাংক ইউ মেঘ!

জবাবে মেঘও হাসলো।মুচকি হাসি। এক হাতে স্নিগ্ধাকে মৃদূ জড়িয়ে ধরে বলল,

— তোর আমার বন্ধুত্বের কাছে এটা কোনও ব্যাপারই নয়।

স্নিগ্ধা হালকা হেসে আবারও হাতের বাক্সটার দিকে তাকায়। দূর থেকে মৃনাল তৃপ্তিসূচক হাসে।
এতো ইজিলি তার পরিকল্পনা পূরনে প্রশান্ত হয়ে আসে বুকটা। এখন থেকে স্নিগ্ধার আওয়াজে ঘুম আসবে তার। ভাবতেই আনন্দ!

_______________________________________

গেট থেকে বের হতে ধরতেই স্নিগ্ধার সামনে এসে দাড়ালো মৃনাল।আচমকা ব্যাপারে হতভম্ব হয়ে উঠলো স্নিগ্ধা। কিঞ্চিৎ বিস্ময় নিয়ে বলল,

— এভাবে সামনে দাড়ালেন কেন?

মৃনাল থতমত খেয়ে গেলো স্নিগ্ধার এমন সোজাসাপটা প্রশ্নে।লজ্জ্বা পেয়ে মাথা নামিয়ে নিয়ে বলল,,

— না মানে আসলে…………

স্নিগ্ধা ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থেকে অন্যদিকে তাকায়। আবরারের কথা অনুযায়ী কোনও ছেলের সাথেই মিশবেনা এমন সিদ্ধান্ত তার।
কিন্তু এই মৃনাল ছেলেটাকে বড্ড বেশিই গায়ে পরা মনে হয় ।মাত্র কদিনেই মনে হচ্ছে তাকে ফলো করছে কিংবা নানান বাহানায় যেচে আসছে কথা বলতে। কিন্তু কেন?

অন্যদিকে মৃনাল চোখ তুলে তাকালো স্নিগ্ধার দিকে।চোখে মুখে স্নিগ্ধার প্রতি মুগ্ধতা তার ঠিকড়ে পরছে। মেয়েটার মুখে অন্য রকম যাদু।যা আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে তাকে।মোহে ফেলে দেয়। অন্য রকম মোহে।

মৃনাল কে চুপ করে থাকতে দেখে স্নিগ্ধা বিরক্তিতে ভ্রু কুঁচকে বললো,

— আপনি কি কিছু বলবেন?

মৃনাল দুদিকে মাথা নেড়ে বোঝালো “না”

স্নিগ্ধা ব্যাস্ত গলায় বলে ওঠে,

— তাহলে সরুন সামনে থেকে।আমার তাড়া আছে।

বাধ্য ছেলের মত মৃনাল এক পাশে সরে দাড়ায়।কোনও কিছু না বলে স্নিগ্ধা হাটতে নিলে পেছন থেকে ডেকে উঠলো আবারো।

— শোনো..
কপালে গাঢ় ভাঁজ নিয়ে পিছু ফিরলো স্নিগ্ধা।বলল,

— বলুন।

মৃনাল মাথার পেছন দিকে চুলকে মৃদূ স্বরে বলল,

— শাড়ি পরলে তোমাকে বেশ লাগে। শাড়ি পরেই আসবে। আমার অনুরোধ এটা।

কথাটায় স্নিগ্ধা অবাক হয়ে এলো।চোখগুলো সরু করে নিয়ে কঠিন কিছু বলতে যাবে তার আগেই ওপাশ থেকে একটা মুচকি হাসি হেসে চলে গেলো মৃনাল। স্নিগ্ধার কোনও উওরের অপেক্ষাও করলোনা।

স্নিগ্ধার কথাটায় রাগ হয়। মনে হয় হয়তো এই কারন গুলো ভেবেই আবরার তাকে শাড়ি পরে ভার্সিটি আসতে নিষেধ করেছে। বেশ করেছে। অন্তত আবরার সব সময় তার ভালো তো চাইবেই। বাবা মায়ের পর এই পৃথিবীতে আবরারের মত কেউ এরকম টা চাইবেনা। কখনওইনা।
আবরারের কথা মনে হতেই হুট করে স্নিগ্ধার মাথায় আসে তনয়ার কথা। নিজের সাথে বিড়বিড় করে বলে,

— আচ্ছা তনয়া আপুর এখন কি খবর? উনি কি এখন, আবরারের ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে নিজেকে শুধরে নিতে চাইছেন? হতেও পারে! মানুষ কত দিন আর নিজেকে খারাপ রাখতে চাইবে? একটা সময় তার ভেতরে লুকিয়ে থাকা ভালো মানুষ টাতো উঁকি দেবেই তাইনা?

স্নিগ্ধার ভাবনার ঘোর কাটলো পেছন থেকে উৎকট শব্দে ভেসে আসা গাড়ির হর্নের শব্দে। হকচকিয়ে পেছনে তাকালো সে। আবরারের গাড়ি দেখেই চিন্তিত মুখে এক গাল হাসি ফুটলো।দ্রুত পা ফেলে এগিয়ে গেলো গাড়ির দিকে। স্নিগ্ধাকে আসতে দেখে
বরাবরের মত বেরিয়ে এসে গাড়ির দরজা টা খুলে দিলো আবরার।
মৃদূ ঠোঁট এলিয়ে বলল,

— ক্লাশ কেমন হলো?

স্নিগ্ধা মাথা নাড়লো — ভালো।

আবরার গাড়ির সিট ইশারা করে বলল,

— ওঠো…

স্নিগ্ধা উঠে বসলো।গাড়ির দরজা ঠেলে আটকে দিয়ে ঘুরে এসে বসলো আবরার। গাড়ি চালু করেই এক পর্যায়ে ভার্সিটির গেট থেকে অস্তিত্ব মিলিয়ে এলো তাদের। কিন্তু তবুও চোখ সরালোনা মৃনাল।এক ভাবে চোখ ছোট ছোট করে তাকিয়ে রইলো আবরার আর স্নিগ্ধার গাড়িটার যাওয়ার দিকে। নিজের সাথে বিড়বিড় করে বলে ওঠে,

— লোকটা কে হতে পারে স্নিগ্ধার ??

____________________________________________

কতবার বললাম আবরারের ভাবনা ঝেড়ে ফেল,ঝেড়ে ফেল।ভুলে যা ওকে! কিন্তু শুনলিনা আমার কথা? কি অবস্থা করেছিস নিজের দেখেছিস??
এখন আর কি! ধুকে ধুকে মরতে থাক।আজ অসুস্থ হলি আবার কাল হবি,,সমস্যা নেইতো…কোনও সমস্যা নেই।আমার আর কি! একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর দিন গুনতে থাকি।তাও জেলে বসে বসে….

ক্ষিপ্ত গলায় এক নাগাড়ে কথাগুলো আওড়ে থামলো তোফায়েল। পাশেই ক্লান্ত মুখ চোখ করে বসে আছে তনয়া। লম্বা করে একটা নিঃশ্বাস টেনে বলল,

— এক গ্লাশ পানি দাওনা বাবা।

এ পর্যায়ে মেয়ের কথায় ব্যাস্ত হয়ে উঠে মেঝেতে রাখা মাটির কলসি থেকে গ্লাশ ভর্তি করে পানি ঢেলে এনে ওর সামনে ধরলো তোফায়েল। স্নেহমূলক স্বরে বলল,

— নে খা আস্তে আস্তে খা মা..

গ্লাসের প্রান্তে চুমুক বসিয়ে ঢকঢক করে পানিটা খেয়ে নিলো তনয়া। গ্লাশ ফাকা করে বাবার দিকে তাকিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে বলল,

— অফিসার আমিনুল কোথায় বাবা? আজ না কোর্টে বেল আপিল করার কথা ছিলো?

তোফায়েল মুখ কালো করে বলল,

— ছিলো তো! রাতে তুই অসুস্থ হয়ে পরলি বলে তোকে হসপিটালাইজড করতে হলো,,তারওপরে উকিল টাও মোটা টাকা চাইছে,,,সব বিপত্তি একসাথে। তোর ব্যাপার সামলে উঠতেই তো আমিনুলের কোর্টে যেতে দেরি হয়ে গেলো,, দেখি কখন আসে!

বলতে না বলতেই ওপাশ থেকে জুতোর শব্দ তুলে হেটে আসার আওয়াজ এলো কানে। চোখ তুললো তোফায়েল তনয়া দুজনেই। গারদের বাইরে এসে দাড়িয়েছে আমিনুল।ওকে দেখতেই উদ্বেগ নিয়ে উঠে এলো তোফায়েল আর তনয়া।
তোফায়েল শিকের ফাকে হাত বন্দী করে দাঁড়িয়ে অধৈর্য গলায় বলল,,

— কি খবর আমিনুল ? জামিন মঞ্জুর হলো?

আমিনুল নিচের দিকে তাকিয়ে ফোস করে একটা নিঃশ্বাস নিলো। তোফায়েলের দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,

— কোর্ট আপনার জামিন মঞ্জুর করেনি।

কথাটা শুনতেই হতাশ হলো তোফায়েল তনয়া।মুখচোখে কালো মেঘ জমে আসে তাদের। তনয়ার চোখ থেকে পানি পরতে সময় লাগেনা আর। কান্নায় ভেঙে পরে কাঠের চকির ওপর বসে পরলো।
বিষয় টা চোখে পরলে আমিনুল তোফায়েলের থেকে চোখ সরিয়ে তনয়ার দিকে তাকালো।
মৃদূ গলা বাড়িয়ে বলল,

— আপনি কেন কাঁদছেন ম্যাডাম? আমিতো বললাম আপনার বাবার বেল মঞ্জুর হয়নি।তবে আপনার যে হয়নি সেটাতো বলিনি?

এরুপ বাক্যে চমকে উঠলো তোফায়েল তনয়া দুজনেই। তোফায়েল ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলল,

— মানে?

আমিনুল মুচকি হেসে হাতের কাগজ টার দিকে চোখ বোলালো, বলল,

— তনয়া ম্যাডামের বেল মঞ্জুর হওয়ার চান্স নাইন্টি পার্সেন্টে এসছে। অবশ্য এর জন্যে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে আমার । কিন্তু আপনার বেল টা আর হলোনা।

তনয়া উদগ্রীব হয়ে এগিয়ে এসে বাবার পাশে দাড়ালো।আমিনুলের দিকে প্রশ্ন ছুড়লো…

— কিন্তু এটা কি করে সম্ভব? আমি আর বাবা তো একই মামলার আওতাভুক্ত? তাহলে বাবার বেল হলোনা আমার কিভাবে হলো?

— কিছুদিন আগে আপনার মাথার অপারেশন হলোনা?? সেই অপারেশন কে ইস্যু করে আপনার মেন্টাল প্রব্লেমের সার্টিফিকেট বানিয়েছি,আর ব্যাস তাতেই বেল মঞ্জুর…!!

তনয়া তোফায়েল বিস্ময়কর চাহনীতে তাকালো। তনয়া অবাক হয়ে বলল,
— তার মানে আপনি বুঝিয়েছেন আমি মানসিক ভাবে অসুস্থ?

আমিনুল চটপট উত্তর দেয়,

— জ্বি।এছাড়া আপনি ছাড়া পেতেন না। তবে আপনার বাবা এই মার্ডার কেসের পেছনে মুখ্য ভাবে জড়িত থাকায় ওনার বেলটা আর করাতে পারলাম নাহ। এখন নাই মামার থেকে কানা মামা অন্তত ভালো তাইনা?
সেজন্যেই ভাবলাম,, যখন আপনার বেল পেলাম সেহেতু করে ফেলি। পরে নাহয়,স্যারের টা করাবো।

তনয়া আহত হয়ে বাবার দিকে তাকালো। মেয়ের কালো মুখ দেখে তোফায়েল আস্বস্তি দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে হেসে বলল,

— কোনও ব্যাপার না তনু।তুই বের হ অন্তত।জেলের এই পরিবেশ তোর জন্যে ঠিক নাহ। পরে না হয় সুযোগ পেলে আমিও বেরোবো।টাকা যতদিন আছে আঈনের ফাকফোকর হাতের মুঠোয় থাকবে।ভাবিস না আমাকে নিয়ে।

তনয়া কালো মুখ নিয়েই মাথা কাত করলো। পরমুহূর্তে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলল,

— আমি তোমাকে খুব তাড়াতাড়ি বের করার ব্যাবস্থা করবো বাবা। খুব তাড়াতাড়ি।

তোফায়েল হেসে মেয়ের মাথায় হাত বোলায়।

পাশ থেকে আমিনুল গলায় জোর দিয়ে বলল,

— আপনি কিন্তু আজকেই বের হচ্ছেন না ম্যাডাম…

কথাটায় বাবা মেয়ে দুজনেই অবাক হয়ে আমিনুলের দিকে তাকালো। তনয়া বাবার বুক থেকে মুখ উঠিয়ে কৌতুহল নিয়ে বলল,

— তাহলে?

আমিনুল উদ্বেগ হীন গলায় বলে ওঠে,

— আরো মাস খানেক লাগবে। বললাম না নাইন্টি পার্সেন্ট হয়েছে বাকি টেন পার্সেন্ট বাকি এখনও। তবে ভাববেন না, দায়িত্ব যখন নিলাম,, হয়ে যাবে এক মাসের মধ্যেই।

তনয়ার মুখমণ্ডল মলিন হয়ে আসে কথাটা ভাবতেই যে এক মাস এই স্যাতস্যাতে জায়গায় কাটাতে হবে তার। পরক্ষনেই কপাল কুঁচকে তাকিয়ে বলল,

— আচ্ছা! অফিসার নকল মেডিকেল রিপোর্ট বানানো যায়?

আমিনুল বাকা হেসে উত্তর দেয়,

— যাবেনা কেন? টাকা হলে বাঘের চোখ ও পাওয়া যায়,

এটুকু শুনতেই কিছু একটা ভেবে মুখে হাসি এলে উঠলো তনয়ার। মনে মনে বলল,

— তবে তো আরো অনেক কিছু করা যাবে।

____________________________________________

______________________________

তোমার হাতে কি এটা ..??

আবরারের প্রশ্নে স্নিগ্ধা নিজের হাতের দিকে তাকালো। রঙিন পেপার মোড়ানো বাক্সটার দিকে চোখ বুলিয়ে হেসে বলল,

— মেঘ দিয়েছে। উপহার। তবে কি আছে জানিনা।

আবরার সামনের দিকে চোখ নিয়ে মৃদূ হেসে বলল,

— বাহ।আচ্ছা! সেদিন যে মেয়েটাকে দেখেছিলাম তোমার পাশে ওইটাই মেঘ ছিলো তাইনা?

স্নিগ্ধা ওপর নিচে মাথা নেড়ে বলল,
— হ্যা…!

— তো অপেক্ষা কিসের,খুলে দেখো।কি আছে?
আমিও একটু দেখি না হয়,

আবরারের কথায় উচ্ছ্বাস নিয়ে বইয়ের ব্যাগ টা আবরার আর ওর সিটের মাঝখানে রাখলো স্নিগ্ধা।
দুহাতের মধ্যে বাক্সটাকে নিয়ে আস্তে ধীরে খুলতে নিলো। আবরার ড্রাইভ করার ফাকে ক্ষনে ক্ষনে তাকাচ্ছে সেদিকটায়।

কিছু সময় বাদেই র‍্যাপিংয়ের পুরো কাগজ বাক্স থেকে উন্মুক্ত করলো স্নিগ্ধা। ওপরের নকশা দেখতেই মুখের ভঙিমা পাল্টে এলো আবরারের। স্নিগ্ধা উল্টে পাল্টে দেখে বলল,

— এটা আবার কি? এতে কি থাকতে পারে?

কথাটা বলে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আবরারের মুখের দিকে তাকালো স্নিগ্ধা।
আবরার শক্ত মুখে চোখ সরিয়ে নিয়ে গম্ভীর গলায় বলে ওঠে,

— মোবাইল ফোন।

চলবে,

আজকের পর্বে পাঠকরা আমায় জ্যান্ত ছাড়বে তো?🥴🥴🥴

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here