অসম্ভবেও আমার তুমি নুসরাত সুলতানা সেজুথি পর্ব–২৭

0
67

#অসম্ভবেও আমার তুমি
নুসরাত সুলতানা সেজুথি
পর্ব–২৭

সারাটা পথ অস্থিরতায় কেটেছে স্নিগ্ধার। নিজের প্রতি আবরারের এমন অবিশ্বাস কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা সে। প্রথম দিকে আবরার চুপ করে থাকলেও শেষের রাস্তাটুকু কেটেছে স্নিগ্ধার নিশ্চুপতায়।স্নিগ্ধাকে অসুস্থ ভেবে আবরার ও কোনও রকম কথা তোলেনি। তবে শুরু থেকে শেষ অব্দি স্নিগ্ধাকে বুকের সাথে এক হাত দিয়ে পেঁচিয়ে রাখতে ভোলেনি।

__________________________________________

বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থেমে যেতেই আবরারের বুক থেকে মুখ তুললো স্নিগ্ধা।চুপচাপ সরে বসলো। আবরার ও গাড়ির ইঞ্জিন অফ করে দরজা খুলে বেরিয়ে পরলো। ঘুরে এসে স্নিগ্ধার দরজাটা খুলে দিলো তারপর। স্নিগ্ধার দিকে ঝুঁকে যেতে উদ্যত হলে স্নিগ্ধা মৃদূ আওয়াজে বলে উঠলো,,

— দরকার পরবেনা। আমি একাই নামতে পারবো।

কথাটা বলার সময় স্নিগ্ধা তাকায়নি আবরারের দিকে।আবরার থেমে গিয়ে সোজা হয়ে দাড়ালো। ঠান্ডা গলায় বলল,

— এতো পাকামো আমার পছন্দ নয়।

কথাটা বলতে সময় লাগলেও স্নিগ্ধার দিকে ঝুঁকে আসতে সময় লাগলোনা আবরারের। সিটে বসা অবস্থাতেই স্নিগ্ধাকে দুহাতে তুলে নিয়ে বের করলো গাড়ি থেকে। আচমকা ব্যাপারটাতে চমকে গিয়ে আবরারের গলা জড়িয়ে ধরলো স্নিগ্ধা।

“” সেতো ভেবেছিলো আবরার হয়তো তাকে নেমে আসতে সাহায্য করবে,,কিন্তু তাই বলে এতোটা করবে সেসব ভাবেনি….!!
অবাক হলেও আবরারের কোলেই চুপ করে রইলো স্নিগ্ধা। পা দিয়ে গাড়ির দরজাটা ঠেলে আটকালো আবরার। এরপর উল্টো ঘুরে হাটা ধরলো বাড়ির ভেতরে….!!

___________________________________________

কামড়ার ভেতরে এসে ধীরে সুস্থে বিছানার ওপর স্নিগ্ধাকে বসিয়ে দিলো আবরার। সোজা হয়ে দাড়িয়ে বলল,

— কিছুক্ষন বিশ্রাম নাও।তারপর না হয় তোমাকে ফ্রেশ করে দেবো??

স্নিগ্ধা খানিকক্ষণ অদ্ভুত চোখে তাকিয়ে থাকলো আবরারের স্নিগ্ধ মুখটার দিকে। কত যত্নশীল লোকটা।
স্নিগ্ধা তাকিয়ে আছে, বিষয় টা চোখে পরলে আবরার ভ্রু নাঁচিয়ে বলল,

— কি দেখছো?

স্নিগ্ধা উত্তর না দিয়ে চোখ নামিয়ে নিলো। মুখটা বড্ড শুকনো তার। কিছুতেই মেনে নিতে পারছেনা ভালোবাসায় সন্দেহের এরুপ অযাচিত প্রবেশ।

হুট করে দুহাতে ভর দিয়ে স্নিগ্ধার মুখের সামনে ঝুঁকে আসে আবরার। মুখমন্ডলে আবরারের ঠিকড়ে পরা উষ্ণ নিঃশ্বাসের স্পর্শে স্নিগ্ধা চোখ তুলে তাকায়।
আবরার শান্ত স্বরে বলে ওঠে,

— আমার পরির কি খুব রাগ হয়েছে আমার প্রতি??

এটুকু বলে পরমুহূর্তে আবরার মুচকি হেসে বলল,

— ওপ্স স্যরি,,পরির তো তার বরের প্রতি রাগ হয়না।অভিমান হয়,,তা সেটাইকি হয়েছে এখন??

স্নিগ্ধা উদ্বেগ হীন চোখে চেয়ে বলল,

— এরকম কেন মনে হলো? আপনার সাথে রাগ বা অভিমান করার মত এরকম কিছু কি করেছেন আপনি?

আবরার বাকা ঠোঁটে হেসে বলল,

— শিওর কিছু করিনি। তবে তোমার মুখ দেখে বুঝে নিয়েছি প্রিয়তমা। আসলে ভালোবাসলে সব বুঝতে পারা যায় পরি।অপর পাশের মানুষ টার কিসে রাগ হয়,, সে কিসে দুঃখ পায়,,কোনটা করলে তার মন ভালো হয়,, সব কিছু জানতে বুঝতে পারা বলতে পারো গভীর ভালোবাসার একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ।
আমার ভালোবাসা তো গভীরের থেকেও আরো বেশি গভীর।একেবারে ডিপপ,,সো আমাকে তো বুঝতে হতোই তাইনা?

কথার প্রেক্ষিতে স্নিগ্ধা উত্তর না দিয়ে ক্ষীন হাসলো শুধু। আবরার এগিয়ে স্নিগ্ধার সামনে বসলো,, স্নিগ্ধার এক হাত এবার নিজের দুহাতে মুঠো করে ধরে ওর চোখের দিকে তাকালো। শান্ত গলায় বলল,

— পরি আমি জানি,,তোমার পেছনে আমি লোক লাগিয়েছি কথাটা বেশ আঘাত করেছে তোমায়। তুমি হয়তো ভাবছো আমি তোমাকে বিশ্বাস ভরসা কোনও টাই করিনা। বা করলেও খুবই স্বল্প তার পরিমান। কিন্তু এরকম নয়।
আর প্রথম কথা হচ্ছে আমি তোমার পেছনে লোক লাগাইওনি।

কথাটায় স্নিগ্ধা উদগ্রীব হয়ে বলল,
— তাহলে তখন গাড়িতে যে বললেন??

আবরার মৃদূ হেসে বলল,

— মজা করেছিরে বাবা। আর তুমিও সবটা সিরিয়াসলি নিয়ে নিলে? এখনও তফাৎ বুঝতে শিখলেনা কোনটা মজা আর কোনটা সত্যি! আচ্ছা যাই হোক,,, আমি তো সেদিনি তোমাকে বললাম কখনো তোমাকে অবিশ্বাস করবোনা! তাহলে এই কথা আমি কি করে ভুলে যেতে পারি বলো? আমার পরিকে দেয়া কথাতো? রাখতে তো আমাকে হতোই তাইনা?

এতক্ষনে স্নিগ্ধার কালো মেঘ জমা মুখে এলে উঠলো হাসি।ভালোলাগার হাসি। উচ্ছ্বাস নিয়ে বলল,

— সত্যি বলছেন?

আবরার দুচোখের পাতা এক করে আস্বস্তি দিয়ে বলল,

— জ্বি হ্যা…

এতটুকুই যথেষ্ট ছিলো স্নিগ্ধার সব রাগ অভিমান উবে আসার। ভেতরে ভেতরে জমা করা সুপ্ত উৎকন্ঠা উদ্বিগ্নতা ঝেড়ে ফেলে আবরার কে জড়িয়ে ধরলো স্নিগ্ধা। আবরারের বুকে মাথা রেখে মৃদূ লাজুক গলায় বলল

— আপনি জানেন? আমার কাছে পৃথিবীর সব থেকে শান্তির জায়গা কোথায় ?

আবরার স্নিগ্ধাকে জড়িয়ে রেখেই জবাব দেয়,

— আমার বুকে

উত্তরে স্নিগ্ধা আরেকটু শক্ত করলো হাতের বাধন।তৃপ্তিসূচক হাসলো তার ওষ্ঠদ্বয়। ভালোবাসার মানুষের কাছে একটা চাওয়াই তো থাকবে,,,

“” আমি কিছু বলবোনা কিন্তু সব বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব তোমার…

ঠিক আজ তাই হলো স্নিগ্ধার র বেলায়। আবরার কি করে তার না বলতে পারা কথাগুলো বুঝে নিলো? তাও এত সঠিক সহজ ভাবে?? এটাই হয়তো আবরারের ভালোবাসতে পারার মহৎগুন। যেটা তার নিজের মধ্যে একটু হলেও কম আছে।

অন্যদিকে কয়েক সেকেন্ডে হাসি মাখা মুখের ভঙিমা পাল্টে নিলো আবরার।গম্ভীর হয়ে এলো তার মুখশ্রী। স্নিগ্ধা কে জড়িয়ে রেখে ওর চুলে হাত বোলাতে বোলাতে মনে মনে বলল,

— স্যরি পরি,,লোক তোমার পেছনে না লাগালেও অন্য কারো পেছনে ঠিকই লাগিয়েছি। কারন ওই চোখে আমি তোমার প্রতি মুগ্ধতা দেখেছি,,, দেখেছি অন্য কিছু।আর প্রশ্ন যেখানে আমার ভালোবাসার,, কোনও রিস্ক আমি নেবোনা সেখানে। কিন্তু তোমাকে এ ব্যাপারে আমি বলতেও পারবোনা কিছু,,নাহলে আবার তুমি ভাববে হয়তো আমি তোমাকে বিশ্বাস করছিনা। তবে আমি কিন্তু সত্যিটা লোকালেও মিথ্যেও বলিনি তোমার কাছে। এটুকু ভেবেই শান্তি।

_____________________________________________

বিরক্তিকর সব জিনিস গুলোকে একত্র করলে তার মধ্যে শীর্ষ তালিকাভুক্ত হয় যদি গভীর ঘুমে ফোনের রিংটোনের শব্দ আসে কানে। রাত্রীর নিরবিলি পরিবেশে সামান্য শব্দটাকেও মনে হয় গগনবিদারী চিৎকার দিচ্ছে।

ঠিক যেমন অনুভূত হচ্ছে বেড সাইড টেবিলের ওপর রাখা ল্যান্ড ফোন বাজতে থাকায়। হাতড়ে হাতড়ে ফোনের রিসিভার কোনও মতে ওঠালো আবরার। অন্যহাতে স্নিগ্ধা আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে তার বুকের ওপর। মেয়েটা ঘুমে তলিয়ে আছে একেবারে।

ক্রিং ক্রিং শব্দটা বাড়ছে বৈ কমছে না।এত রাতে কার এমন রাজকার্য পরলো সেই কৌতুহল মেটাতে রিসিভার কানে ঠেকালো আবরার।
ঘুম জড়ানো গলায় হ্যালো শব্দটা উচ্চারণ করার পূর্বেই ওপাশ থেকে অন্য একটা পুরুষালি আওয়াজে ভেসে এলো কথাটা।
গলার স্বর শুনেই কপালে ভাঁজ পরলো আবরারের।ঘুমে জুবুথুবু মুখটা কিঞ্চিৎ সিরিয়াস হয়ে আসে।

ওপাশে থাকা ব্যাক্তিটি আবারও বলে ওঠে,
— হ্যালো…!!

আবরারের চোখ গুলো সরু হয়ে আসে,,জিজ্ঞাসু কন্ঠে বলল,
— কে বলছেন??

ওপাশের ব্যাক্তিটি হয়তো কাঙ্ক্ষিত আওয়াজ শুনতে পেলোনা। আবরারের স্বর শুনেই পুরো দমে চুপ মেরে রইলো। শুধু তার নিঃশ্বাসের শব্দ গুলো বাতাসের শো শো শব্দের মত বাড়ি খাচ্ছে আবরারের কানের মধ্যে। সাড়া শব্দ না পেয়ে আবরার পুনরায় বলল,

— হ্যালো।,কে আপনি?

কোনও উত্তর না দিয়েই দুম করে লাইন টা কেটে দিলো আগন্তুক।এতে সন্দেহে ভ্রু কুঁচকে আসে আবরারের। রিসিভার টা চোখের সামনে এনে চোখ বোলালো একবার। নিজের সাথে বিড়বিড় করে বলল,

— কেটে দিলো কেন? কে ছিলো?

এটুকু বলে স্নিগ্ধার ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকালো আবরার। নিচের ঠোঁট কামড়ে ধরে খানিকক্ষণ কিছু একটা ভাবলো। পরমুহূর্তে ব্যাস্ত হাতে ফোনের রিসিভার রেখে দিলো যথাস্থানে। ব্যাপারটা অন্য সবার কাছে সাদামাটা হলেও আবরারের মন মানলোনা। ভোরের আলো ফুটলেই এ নিয়ে তদন্তে নামার সিদ্ধান্ত নিলো মনে মনে।

কিন্তু আপাতত বিষয় টাকে মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে স্নিগ্ধাকে নিজের সাথে আরবকটু জাপটে ধরে ঘুমে পাড়ি জমাতে উদ্যত হলো।

____________________________________________

ঘরময় পায়চারি করছে মৃনাল।হাতে মুঠোফোন তার। উদ্বেগ পূর্ণ কদম এগিয়ে একবার রুমের এ মাথায় যাচ্ছে অন্যবার আসছে অন্য মাথায়। কখনও কখনও নিজের সাথে বিড়বিড় করছে,,

— মেঘ তো আমাকে এই নম্বর টাই দিলো। তাহলে কে ছিলো ওটা?? স্নিগ্ধার ভাই? নাকি ওর বাবা?উহু,গলার স্বর টাতো বয়স্ক কারো ছিলোনা,,,তার মানে ওর ভাই হবে হয়তো।
ল্যান্ড লাইনের নম্বর যেহেতু,, হতেই পারে। যে কেউ তো ফোন তুলবেই।

এটুকু বলে মৃনাল অধৈর্য হয়ে বলল,,

— ধুর! মেয়েটা কেন যে একটা ফোন ব্যাবহার করেনা? আজকাল কার মেয়ে হয়েও এত রুলস কেউ মেইনটেইন করে নাকি? আজ যদি ওর নিজের একটা ফোন থাকতো কি সুন্দর ওর আওয়াজ টা এখন মন ভরে শুনে নিতে পারতাম!
যাক গে কি আর করা যাবে,,,নিজের রাস্তা তো নিজেই পরিষ্কার করতে হবে তাইনারে মৃনাল। নিজেই ব্যাবস্থা কর কিভাবে কি করবি!

মাথা চুল্কে চুল্কে কথাগুলো আওড়ে ফোন রেখে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পরলো মৃনাল। যত তাড়াতাড়ি রাত পার হবে তত তাড়াতাড়ি স্নিগ্ধার মিষ্টিমুখটা চোখবন্দী হবে তার।

___________________________________________

সকাল বেলা আবরার গলায় টাই বাধছে ব্যাস্ত হাতে আর তার পাশেই দাঁড়িয়ে আছে স্নিগ্ধা। হাতে স্যান্ডউইচের প্লেট তার।

আজকে স্নিগ্ধা সকাল সকাল উঠে সব কাজ সাড়লেও আবরারের উঠতে দেরি হলো। আবরারের তৈরি হতে গেলে ব্রেকফাস্ট সাড়তে পারবেনা ভেবে স্নিগ্ধা আবরারের সাথে সাথে ঘুরছে খাবারের প্লেট সমেত।

ব্যাপারটা স্নিগ্ধার কাছে বেশ ভালো লাগলেও ভালো লাগছেনা আবরারের। এ নিয়ে বহু বার নিষেধ করেও শোনাতে পারলোনা স্নিগ্ধাকে।
আবরার কত বার বলল,
বাইরে থেকে খেয়ে নেবে,,কিন্তু স্নিগ্ধারও সোজা উত্তর,
— ,বাইরের খাবার সকাল সকাল নট এলাউড!

হাত ঘড়ি টা বাধতে নিলো আবরার।পাশ থেকে কাটা চামচের মাথায় স্যান্ডউইচের অংশ তুলে আবরারের মুখের সামনে ধরলো স্নিগ্ধা। আবরার ওর দিকে তাকালো।বলল,

— আর খাবোনা।
উত্তরে স্নিগ্ধা চোখ রাঙিয়ে বলল,

— পুরোটা শেষ করুন।

আবরার দুঃখি দুঃখি মুখ করে হা করলো।সাথে সাথে খাবারের অংশ টুকু মুখে পুড়ে দিলো স্নিগ্ধা।মুচকি হেসে বলল,

—– এই তো লক্ষী ছেলে!

প্রত্যুত্তরে আবরার কপাল কুঁচকে কিছু সময় তাকিয়ে থেকে পরমুহূর্তে ঠোঁট এলিয়ে হাসলো।এক হাত দিয়ে স্নিগ্ধার কোমড় জড়িয়ে ধরে টেনে আনলো নিজের দিকে। স্নিগ্ধা হকচকিয়ে উঠে পুরো মিশে গেলো আবরারের বুকের সাথে। ব্যাস্ত হয়ে বলল,

— আরে প্লেট পরে যাবে হাত থেকে।

আবরার শুনলোনা। মুখ কালো করে বলল

— তুমি সব সময় আমাকে এত ঝামেলায় ফেলে দাও কেন?

স্নিগ্ধা অবাক হয়ে বলল,

— আমি আবার কি করলাম?

জবাবে আবরার দুষ্টু হেসে স্নিগ্ধার নাকে নাক ঘষে বলল
—– এমন একটা বউ ফেলে কাজে যেতে কার মন চায় বলোতো?

স্নিগ্ধা চোখ ছোট করে তাকিয়ে বলল,
— সব সময় ফাজলামো।আপনার না দেরি হয়ে যাচ্ছিলো??

আবরার অন্য হাত দিয়ে গলার টাই ঢিলে করে বলল,
— সেতো হচ্ছিলোই।কিন্তু দেরি যখন করেই ফেলেছি আজ আর অফিসে যাবোনা ভাবছি।

স্নিগ্ধা কপাল কুঁচকে বলল,,

— ওমা কেন?

কথাটার উত্তর না দিয়ে আবরার স্নিগ্ধার দিকে ঠান্ডা চোখে তাকিয়ে বলল

— আর তুমিও আজ ভার্সিটি যাচ্ছোনা।

স্নিগ্ধা কৌতুহলী হয়ে তাকালো। আবরার হুট করে কোলে তুলে নিলো ওকে।ঘটনাক্রমে পুরোপুরি ভড়কে গেলো স্নিগ্ধা। অবাক হয়ে বলল,,
— একি করছেন?

কথাটা বলে হাতের কাঁচের প্লেট টা আবরারের কোলে থেকেই কোনও মতে পাশে থাকা টেবিলে রাখলো স্নিগ্ধা।
এরপর একঝাক প্রশ্ন মুখে নিয়ে তাকালো আবরারের দিকে । আবরার স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে বাকা হেসে গেয়ে উঠলো……

“”” এখন তো সময় ভালোবাসার,,,,,,,
“”””””” এ দুটি হৃদয় কাছে আসার…
তুমিযে একা, আমিও যে একা,,,, লাগে যে ভালো।
ও প্রিয়……!!

চলবে,

পাঠক দের উদ্দেশ্যে বলছি আপনারা এত অধৈর্য হবেন না। গল্প আমি যেভাবে সাজিয়েছি নিশ্চয়ই আমি কমন কোনও কাহিনীর সাথে মেলাবোনা।ধৈর্য নিয়ে পড়ুন,,হতাশ হবেন না😊

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here