#অসম্ভবেও আমার তুমি
নুসরাত সুলতানা সেজুথি
পর্ব–২১
গভীর রাতে ফোন বেজে ওঠার শব্দে ঘুম ভাঙলো আবরারের। বড্ড বিরক্তি নিয়ে চোখ মেললো সে। স্নিগ্ধার চুলের সুগন্ধি টা তীব্রভাবে নাকে এসে লাগছে।আবরারের বুঝতে অসুবিধা হলোনা স্নিগ্ধা তার বুকের ওপরেই ঘুমিয়ে আছে,,রীতিমতো আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে দুহাতে।
আবরার চোখ নামিয়ে স্নিগ্ধার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো।অন্ধকারেও স্নিগ্ধার মুখটা অস্পষ্ট নয়। ভালোবাসার পূর্নতা পাবার উদ্ভাসনায় মুচকি হেসে আবরার একটা ছোট্ট চুমু খেলো স্নিগ্ধার কপালে। স্নিগ্ধা তখনও গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে।
আবারো ফোন বেজে উঠলো আবরারের। ধ্যান ভাঙে তার। স্নিগ্ধাকে এক হাতে জড়িয়ে রেখেই অন্য হাত দিয়ে হাতড়ে হাতড়ে ফোন খুজতে শুরু করলো। এক পর্যায়ে বালিশের পাশে পেয়ে ফোন এনে চোখের সামনে ধরলো আবরার।
স্ক্রিনের আলো চোখে পরায় নড়েচড়ে উঠলো স্নিগ্ধা। আধো আধো চোখ খুলে তাকালো।
কয়েক সেকেন্ড সময় লাগলো তার সব কিছু বুঝে উঠতে।
তনয়ার নাম আবরারের ফোনের স্ক্রিনে ভাসছে দেখে তাৎক্ষণিক মুখটা কালো হয়ে এলো স্নিগ্ধার । আবরারের বুক থেকে মুখ তুলে আবরারের মুখের দিকে তাকালো। ,,,স্নিগ্ধাকে তাকাতে দেখে আবরার ভ্রু কুঁচকে বলল,
— উঠে গেলে যে? ঘুম ভেঙে দিলাম?
স্নিগ্ধা উত্তর দিলোনা প্রশ্নের।শিথিলতা নিয়ে বলল,
— তনয়া আপুর কল এসছে,
আবরার মুখ স্বাভাবিক করে নিলো। স্নিগ্ধার থেকে চোখ সরিয়ে স্ক্রিনের দিকে মনোযোগ দিয়ে বলল,
— সেটা তো দেখলামই।তবে এতো রাতে কোন রাজকাজ্যের জন্যে কল করলো সেটাই ভাবছিলাম।
— ফোনটা ধরুন।লাইন কেটে যাবে,
কথাটায় আবরার বিদ্রুপাত্মক হাসলো,,স্নিগ্ধার দিকে চেয়ে বলল,
— আমি ফোনটা না ধরা অব্দি ও কল করতেই থাকবে।ওকে আমি ভালো করে চিনি। দেখছো না? বিশ্রামহীন কল আসছে।
স্নিগ্ধা ঠোঁট টেনে ফিচেল গলায় বলল,
— আমি জানি আপনি তনয়া আপুকে খুব ভালো ভাবে চেনেন। জানি আমি!
কথাটায় আবরার সরু চোখে তাকিয়ে বলল,
— বাই এনি চান্স, তুমি কি অন্য কিছু মিন করছো?
স্নিগ্ধা মৃদূ হেসে” না বোধক” মাথা নাড়লো। চোখ দিয়ে ফোন ইশারা করে বলল,
— কল টা ধরুন,দেখুন কি বলতে চায়,
কথা না বাড়িয়ে বাম হাত দিয়ে রিসিভ বাটন প্রেস করলো আবরার। কপালে ভাজ নিয়ে কানে ঠেকালো ফোন। প্রায় তাৎক্ষণিক ওপাশ থেকে তনয়ার ধৈর্য হীন গলার স্বর ভেসে এলো,
— হ্যালো আবরার,,,কোথায় আপনি?
আবরারের কপালের ভাজ গাঢ় হলো আরো।বিরক্ত লাগলো বেশ অনেকটা। কোনও মতে সেসব প্রশমিত করে বলল,
— এত রাতে কোথায় থাকতে পারে একটা মানুষ? অবিয়েস্লি তার বাসায়।
তনয়ার স্বর উত্তেজিত হয়ে এলো আগের থেকেও,,ব্যাস্ত গলায় বলল,
— আবরার আমার খুব ভয় লাগছে।আপনি প্লিজ একবার আসবেন আবরার।
আবরার বিস্ময়ের সাথে কৌতুহল মিশিয়ে বলে,
— আপনি কি পাগল হলেন? এত রাতে আমি আপনার কাছে যাবো?
এটুকু শুনতেই বাকি অন্য কথা শোনার আগ্রহ মিইয়ে এলো স্নিগ্ধার।পূর্বের চেয়েও মলিন হয়ে এলো মুখটা। মাথাটা আবরারের বুক থেকে সরাতে উদ্যত হলো,,তবে এর আগেই ওর দিকে না তাকিয়েই অন্য হাতে স্নিগ্ধার মাথাটা চেপে ধরে রাখলো আবরার। স্নিগ্ধা অবাক হলো। কিন্তু বললোনা কিছু। আবরারের দিকে চুপচাপ তাকিয়ে রইলো।আবরার মৃদূ ক্ষিপ্ত হয়ে তনয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল,
— রাত বিরেতে আমার এসব মজা ভালো লাগছেনা তনয়া। আপনি ফোন টা রাখুন।
উত্তরে তনয়া অস্থিরতা নিয়ে বলল,
— প্লিজ আবরার। ফোনটা রাখবেন না। বিশ্বাস করুন আমার খুব ভয় করছে,,বাবা এখানে নেই।থাকলে আমি আপনাকে বিরক্ত করতাম নাহ। কিন্তু আমার এই মুহুর্তে আপনার কথা ছাড়া কারো কথা মাথায় আসেনি। প্লিজ আবরার একবার আসুন প্লিজ।
আবরারের ক্রোধটা চেপে ধরলো বড্ড। রাগে নাক মুখ কুঁচকে ফেলে বলল,
— আমি এলেই আপনার ভয় কমে যাবে? ফাজলামো করছেন আমার সাথে? আপনার কথা শুনেতো মনে হচ্ছেনা আপনি অসুস্থ এখন আর। তাহলে কেন এসব নাটক করছেন? মানে কি এগুলোর?
তনয়ার স্বর এবার ধরে এলো।কাপা গলা নিয়ে বলে উঠলো,
— আ…ব…রা.র আ..পনি আসবেন… না??
— না।
তটস্থ গলায় জবাব দেয় আবরার।
ওপাশ থেকে তনয়ার ভাবভঙ্গি বোঝা গেলোনা ঠিকঠাক। তবে গলার স্বর টা শক্ত হয়ে এলো। বলে উঠলো,
— বেশ। আমি রাতের শেষ প্রহর অব্দি অপেক্ষা করবো আপনার জন্যে। আর আপনি না এলে আমি আজ হাতের শিরা কেটে ফেলবো আবরার।
আবরার আঁতকে উঠে বসে পরলো। স্নিগ্ধার মাথাটা আপনা আপনি সরে গেলো ওর বুক থেকে,, কিছুটা হকচকালো মেয়েটা। প্রশ্নকরন চাহনীতে তাকালো আবরারের দিকে।আবরারের দৃঢ় স্বর টা উৎক হয়ে আসে। নরম গলা বলে,
— তনয়া আপনি এসব কি বলছেন? আপনি এরকম কিচ্ছু করবেন না।
তনয়া উদ্বেগ হীন হয়ে বলল,
— হ্যা। ঠিক বলছি,আমি এটাই করবো।ভয়ে ভয়ে রাত পার করার থেকে একবারে মরে যাওয়াই ভালো।
এমনিতেও তো আপনি আমায় ভালোবাসেন না।তাই আমার মরে যাওয়াই উচিত। এখন আমার কাছে কেউ নেই। আমি সুইসাইড করলেও কেউ টের পাবেনা আবরার। কেউনা। তবে আপনি ভাব বেন না আমি আপনাকে দ্বায় দেবোনা।
কিন্তু পুরো পৃথিবী না জানলেও আপনি মনে মনে ঠিকই জানবেন যে আমার মৃত্যুর জন্যে আপনি দ্বায়ী৷
তনয়ার এরুপ পাগলামিতে বিরক্তিতে তেতো হয়ে আসে আবরারের মুখ। পাশাপাশি চিন্তাও হয়।
“””
কোনও ভাবে মাথায় আঘাত পেয়ে মেয়েটার মস্তিষ্কের সঠিক চললন বিগড়ে গেলো কিনা সেই ভাবনাও আসে মনে। এরকম হলে যা বলছে সত্যি সত্যিই করে বসতেও পারে। সাত পাঁচ ভেবে নিয়ে নিচের ঠোঁট টা জ্বিভ দিয়ে ভেজালো আবরার। ব্যাস্ত শীতল গলায় বলল
— বেশ আমি আসছি।তবে আপনি নিজের কোনও ক্ষতি করবেন না। আমি এক ঘন্টার মধ্যেই আসছি।
বুকটা ধক করে উঠলো স্নিগ্ধার। ঘন কালো মেঘ জমলো মুখমণ্ডলে।
“”
আজকের রাতেও তাদের মাঝে অন্য কেউ এলো?
আবরার কল কেটে ঘাড় কাত করে স্নিগ্ধার দিকে ফিরলো। কিছু একটা ভেবে শান্ত ভাবে বলতে এলো,,
— পরি আমি..
স্নিগ্ধা মাঝপথে কথা কেড়ে নিয়ে ফিচেল গলায় বলল,
— শুনেছি। তনয়া আপুর কাছে যাবেন তাইতো?
আবরার চোখ নামিয়ে নিয়ে ওপর নীচে মৃদূ মাথা নাড়লো। স্নিগ্ধা ক্ষীন হাসলো এতে,পরমুহূর্তে আবরার চোখ উঠিয়ে ধৈর্য হীন গলায় বলল,
— আমাকে বিশ্বাস করোতো?
স্নিগ্ধা খানিকক্ষণ একভাবে তাকিয়ে থাকলো। উত্তর দিলোনা। আবরার ফোস করে একটা নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল,
— বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে বহুদূর। ঠিক তেমনি বিশ্বাসে মিলায় ভালোবাসা,ভরসা।
আশা করবো আমার স্ত্রীর এই দুটোই থাকবে আমার ওপর।
কথাগুলো বলা শেষ করে আবরার উঠে পরলো বিছানা ছেড়ে। কাপর -হীন দেহে তোয়ালে পেচিয়ে ঢুকে পরলো ওয়াশ রুমের দরজা ঠেলে। আর বিছানার ওপর হতাশ চোখে সেদিকে তাকিয়ে রইলো স্নিগ্ধা।
টুপ করে চোখ থেকে জল গড়ালো এক ফোটা। হাত দিয়ে ফোটা অশ্রুকনা টিকে আঙুলের ডগায় এনে চোখের সামনে ধরলো স্নিগ্ধা।
কেন এই চোখের জল? আগে পিছে সব কথাই তো শুনেছে সে! তবে কেন এত কষ্ট হচ্ছে! শুধুমাত্র আবরার তনয়ার কাছে যাচ্ছে তাই?
মিনিট সাতেক পর ওয়াশ রুমের শাওয়ার অফ করার শব্দ পেয়ে উল্টো ঘুরে শুয়ে পরলো স্নিগ্ধা। আবরার কে চোখের পানিটা দেখানো অপ্রয়োজনীয় মনে হলো তার কাছে।
অন্তত যাকে ভালোবাসি তার কাছে দূর্বলতা প্রকাশ করতে নেই। এতে আবেগও দূর্বল হয়ে পরে সেই মানুষ টার কাছে। সবাইকি সব ভাবে আবেগ অনুভূতির মূল্য দিতে জানে?
________________________________________
আলমারি খুলে শার্ট গায়ে পরে নেয় আবরার। তাড়াহুড়ো করে বেড সাইড টেবিলের ড্রয়ার খুলে গাড়ির চাবি নেয় হাতে। স্নিগ্ধা ততক্ষনে ঘুমিয়ে থাকার ভান ধরার চেষ্টায় চোখ গুলো বন্ধ করে নিয়েছে।
আবরার স্নিগ্ধাকে ঘুমন্ত ভেবে ঝুঁকে এসে ওর গালে গভীর ভাবে ঠোঁট ছুইয়ে চুমু খায়।
এরপর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বালিশের পাশে থাকা ফোন উঠিয়ে প্যান্টের পকেটে ভরলো।অতঃপর দ্রুত পায়ে হেটে বেরিয়ে গেলো রুম ছেড়ে।
,,
,,
আবরার চলে গেছে বুঝতে পেরে মাথা তুললো স্নিগ্ধা।দরজার দিকে চোখ দিলো। রুমের দরজাটা খোলা,,,গায়ে চাদর জড়িয়ে উঠে এসে সিটকিনি তুলে দিলো দরজার।
দুঃখের পাশাপাশি মনে মনে তীব্র অভিমান হলো আবরারের প্রতি। পরমুহূর্তে মনটা নরম ও হয়ে এলো,
“” আর যাই হোক অন্তত লোকটার তো দোষ নেই এতে! উনিতো আর যেচে যেতে চাননি। তনয়া আপুই কিসব উল্টোপাল্টা বকছিলো। কিন্তু আদৌ কি এসব সত্যি ছিলো? নাকি তনয়া আপুর নাটক? আবরার কে নিজের কাছে নিয়ে যাওয়ার?
_______________________________
ম্যাম উনি আসছেন, তাড়াতাড়ি করুন।
নার্সের কথাটা শুনতেই চোখ বড় বড় করে ফেললো তনয়া। পপ কর্নের বাটিটা হাত থেকে নামিয়ে রেখে ধড়ফড় করে বিছানায় শুয়ে পরলো সোজা হয়ে। নার্স মেয়েটিকে ইশারা করে অধৈর্য হয়ে বলল,
— এই বাটিটা বেডের নিচে লুকিয়ে রাখো।আর আমার হাতে ক্যানেল টা লাগাও।ফাস্ট।
মেয়েটা সব টা তাড়াহুড়ো করে করতে লাগলো একে একে। কাজ শেষে তনয়া ফিসফিসিয়ে বলল,
— হয়েছে এবার যাও তুমি। তাড়াতাড়ি। আবরার এসে তোমাকে দেখলে সব ঘেটে যাবে,
মেয়েটি অস্থিরতায় বলল— ওকে ম্যাম আমি যাচ্ছি।
দ্রুত পায়ে মেয়েটি কেবিন ছেড়ে বের হলো।তার কয়েক মিনিটের মাথায় গটগট বুটের শব্দ তুলে কেবিনের কাচের দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকলো আবরার।
তনয়া গুটিশুটি হয়ে শুয়ে আছে।মাঝে মাঝে মৃদূ কাপছে। আবরার ভ্রু কুঁচকে বিষয় টা পর্যবেক্ষণ করে এগিয়ে এলো ওর কাছে। মাথাটা হালকা নিচু করে নরম গলায় ডেকে উঠলো,
— তনয়া..??
আধো আধো ভঙ্গিতে চোখ মেললো তনয়া। আবরার কে দেখে তাড়াহুড়ো করে উৎসুক কন্ঠে বলে উঠলো
— আবরার আপনি এসছেন? আপনি এসেছেন আবরার।আমি জানিতাম আপনি ঠিক আসবেন।
আবরার গম্ভীর মুখে বলল,
— আপনি এভাবে শুয়ে আছেন কেন? আর এতো কাপছেনই বা কেন আপনি?
তনয়া নিজের দিকে তাকালো,পরমুহুর্তে আবরারের দিকে তাকিয়ে ভীত চেহারা নিয়ে বলল,
— আমার ভীষণ ভয় লাগছে আবরার।ভীষণ ভয় করছে!
আবরার চোখ সরু করে নিয়ে বলল,
— কিসের ভয়?
তনয়া শুকনো ঢোক গিললো একটা। ঘাবড়ে যাওয়ার ভান করে বলে ওঠে,
— আমি যখনই ঘুমোনোর জন্যে চোখ বন্ধ করি আমার শুধু মনে হয় কেউ আমার মাথার ওপর আবার ঝাড় ফেলবে,,তারপর অনেক রক্ত বেরিয়ে আসবে অনেক রক্ত। মাথায় উৎকট ব্যাথা হবে।
আমি কিছুতেই একা ঘুমোতে পারছিলাম না আবরার। আমার খুব ভয় লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো কেউ আমাকে মারতে আসছে।
আবরার ছোট্ট একটা দম ফেলে চেয়ার টেনে বসলো। তার মনে হলো,
হয়তো এত বড় একটা দূর্ঘটনায় ট্রমাটা এখনও কেটে ওঠেনি তনয়ার।
আবরার তনয়াকে আস্বস্ত করে বলে উঠলো,,
— ভয় পাবেন না।এরকম কিছুই হবেনা।এটা আপনার মনের ভুল।
তনয়া ক্ষান্ত হলোনা এটুকুতে।খপ করে আবরারের হাতটা টেনে ধরে বলল,
— আমি কিচ্ছু জানিনা আবরার,আমি শুধু জানি আপনি থাকলে আমি কোনিছুকে ভয় পাইনা।
তনয়ার ধরে থাকা হাতটার দিকে একবার চোখ বোলালো আবরার। একটু অস্বস্তি লাগলো তার।কিন্তু সেসব প্রশমিত করে ঠান্ডা গলায় বলে উঠলো,
— বুঝতে পেরেছি। এখন কি করতে বলছেন আমায়?
তনয়া উদ্বিগ্ন হয়ে বলল,
— আপনি প্লিজ আমার সাথে থাকুন এখানে।
আবরার চকিত হয়ে বলল,
— কি বলছেন এসব? আমি কি করে..
তনয়া মাঝপথে কথা কেড়ে নিয়ে বলল,
— সারারাত নয়,আমি ঘুমোনো অব্দি।তখন কার মত।আমি ঘুমোলেই আপনি চলে যাবেন না হয় ।কিন্তু এইটুকু সময় শুধু আমার পাশে বসে থাকুন।
আমি জানি আপনি থাকলে আমার কোনও ক্ষতি হবেনা।
আবরার ঠোঁট কাম ড়ে কিছু একটা ভাবতে বসলো।
বুঝতে পারলো তনয়াকে বুঝিয়ে লাভ নেই।
ওদিকে বাড়িতে স্নিগ্ধাও তো একা! মেয়েটা তো আরো ছোট,,,
এদিকে তনয়ার এমন অসুস্থতার ওপর এমন ভয়ার্ত মুখ।তারওপর ফোনে বলা সুইসাইডের কথা। কোনও কিছুকেই উপেক্ষা করতে পারছেনা আবরার।
দায়িত্ব বোধ একটা মানুষকে যেমন সঠিক করে তোলে,, ঠিক তেমনই মাঝে মাঝে কিছু ক্ষেত্রে হাত -পা বেধেও দেয়। ঠিক যে অবস্থায় আজ সে নিজেই পরলো।
এতোটা দোটানার স্বীকার নিজেকে এই প্রথম বার মনে হলো আবরারের। এখন তো মনে হচ্ছে তোফায়েলের প্ল্যানিং টা সাকসেসফুল হলেই ভালো হতো।অন্তত এতোটা ঝামেলাগ্রস্ত মনে হতোনা নিজেকে!
_________________________
তনয়া তীক্ষ্ণ চোখে তাকিয়ে আবরার কে দেখছে। আবরারের মৌনতা বলছে সে সফল। মুহুর্তে বাকা হাসি ফুটলো তার ঠোঁটের কোনায়। মনে মনে বলল,
— ঠিক এইভাবে একদিন স্নিগ্ধার থেকে পুরোপুরি আপনাকে সরিয়ে আমার কাছে নিয়ে আসবো আবরার। খুব তাড়াতাড়ি।
চলবে
আজকের লেখা গুলো অনেক অগোছালো হয়েছে।মাথাব্যাথা নিয়ে লিখেছি কোনও মতে।রিচেক করতেও পারিনি😥