অসম্ভবেও আমার তুমি নুসরাত সুলতানা সেজুথি পর্ব–২২

0
70

#অসম্ভবেও আমার তুমি
নুসরাত সুলতানা সেজুথি
পর্ব–২২

মাথায় কারো হাত বোলানো স্পর্শ টা স্নায়ুতন্ত্রে বেশ ভালো ভাবে নাড়া দিলে চোখ মেললো আবরার। পিটপিটিয়ে চোখ খুলতেই বুঝতে পারলো তার মাথাটা কারো কোলে রাখা। কপালে ভাঁজ ফেলে মুখ ওঠালো আবরার। আবরারকে নড়ে উঠতে দেখে হাত থামিয়ে দিলো তনয়া।
চোখ তুলে তনয়ার মুখটা দেখতেই ধড়ফড় করে সরে পরলো আবরার। ভড়কে গেলো তনয়া।
তাড়াহুড়ো করে বলল,

—- কি হলো আবরার?

আবরারের প্রথমে ভীষণ অস্বস্তি অনুভব হলো। তনয়ার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এদিকে ওদিকে ঘাড় ঘোরালো। কেবিনের থাই গ্লাস ভেদ করে বাইরের প্রকৃতির দিকে চোখ পৌঁছালে বোধগম্য হলো, রাতের অন্ধকার ফুরিয়েছে ,,
আবরার তনয়ার দিকে জিজ্ঞাসা নিয়ে তাকিয়ে অধৈর্য গলায় বলল

— সকাল হয়ে গেছে?

তনয়া ওপর নিচ ক্ষীন মাথা নাড়লো। ঠোঁটে হাসি টেনে বলল,
— সেতো অনেক আগেই হয়েছে।তবে আজকের সকাল টা কিন্তু আমার কাছে অনেক বিশেষ,, কেন জানেন? কারণ আজকে সকালের আলো আপনাকে নিয়ে দেখলাম আমি।

কথাটায় আবরারের কোনও অভিব্যক্তি প্রকাশ পেলোনা। অস্থিরতা নিয়ে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ালো, উদ্বিগ্ন হয়ে বলল,

— আপনি আমায় ডাকেন নি কেন তনয়া?

তনয়া দুই ভ্রু নাঁচিয়ে বললো
— ডাকবো কেন? আপনি তো ঘুমোচ্ছিলেন।আমার মনে হয় আপনি ক্লান্তও ছিলেন অনেক।তাই…

আবরার মাঝপথে কথা কেড়ে নিয়ে বিরক্তি সমেত বলে ওঠে ,

— আপনার আমাকে ডাকা উচিত ছিলো তনয়া।আমি এখানে রাত কাটাতে আসিনি,,আমার ফিরে যাওয়ার কথা ছিলো৷ স্নিগ্ধা এখন কি ভাববে কে জানে,,

কথাটা বলে চিন্তিত মুখে কপালে লাগাতার দু আঙুল ঘষতে লাগলো আবরার।স্নিগ্ধার নাম শুনতেই মুখ চোখ শক্ত হয়ে আসে তনয়ার। তবে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেনা সে।
আবরার তনয়ার দিকে এগিয়ে এসে বলল,

— আজ তো আপনার রিলিজ তাইনা।

তনয়া গম্ভীরমুখে হ্যা বোধক মাথা নাড়লো।আবরার ব্যাস্ত গলায় বলল,
— বেশ। আমি এখন আসছি তাহলে,,

কথাটা শুনতেই তনয়া ধড়ফড় করে বেড ছেড়ে উঠে দাড়ালো, আবরার দরজার দিকে হাটা ধরলে দ্রুত পায়ে এগিয়ে এসেই পেছন থেকে ওর এক হাত টেনে ধরে ধৈর্য হীন হয়ে বলল,

— কোথায় যাচ্ছেন আপনি?

আবরার ভ্রু কুঁচকে পেছন ফিরে তাকায়। বলে ওঠে,
— কোথায় যাচ্ছি মানে?

আবরারের মুখ চোখ দেখে উত্তেজনা মিইয়ে এলো তনয়ার। চোখ নামিয়ে আওড়ে উঠলো,

— না মানে,,আসলে…

আবরার কপালে ভাঁজ নিয়ে তাকিয়ে থেকেই তনয়ার হাত থেকে হাতটা ছাড়িয়ে নিলো নিজের।পরমুহূর্তে তনয়ার সামনে আঙুল তুলে তটস্থ হয়ে বলল,,

— দেখুন তনয়া।পরশু থেকে অনেক কিছু সহ্য করেছি। এতোটা ধৈর্য আমি কখনও কোনও কিছুতে দেখাইনি।যতোটা আপনার প্রতি দেখিয়েছি।কিন্তু অনেক হয়েছে! এবার এটা শেষ করা দরকার।
আপনি এখন সম্পূর্ন সুস্থ,,,তাই আপনার প্রতি দায়িত্ব কর্তব্য আমার এখানেই শেষ!
এরপর আপনি আপনার বাবার রেস্পন্সিবিলিটি।বুঝতে পেরেছেন?

তনয়া চুপ হয়ে তাকিয়ে রইলো শুধু। আবরারের কথাগুলোর খুব কম সংখ্যকই কানে পৌছেছে তার। মনে মনে আবরারকে আটকানোর চিন্তায় ব্যাস্ত তার পাকা মস্তিষ্ক।

তনয়ার ভাবুক মুখ দেখে আবরার চোখ সরু করে বলল,

— আপনি কি শুনতে পেয়েছেন আমি কি বলছি?

ধ্যান ভাঙে তনয়ার।সামান্য ইতস্তত করে বলে,
— না মানে,আমি ভাবছিলাম বাবা আসা অব্দি যদি থেকে যেতেন, তবে অন্তত!

আবরার ব্যাস্ত গলায় বলল,
— আপনার বাবা কখন আসবেন না আসবেন সেসব আমি জানিনা।আমাকে এখনি যেতে হবে,,

তনয়া কপাল কুঁচকে নিয়ে গলা বাড়িয়ে বলল,

— কেন এত তাড়া কিসের আপনার? আপনি সব সময় আমার থেকে পালিয়ে বেড়ান।

আবরার অবাক হয়ে তাকালো।পরমুহূর্তে ঠোটে বাকা হাসি মেখে বলল,
— যেখানে আমি আপনার কাছে ধরা দেই-ইনি সেখানে পালানো তো বহুদূরের ব্যাপার!

এটুকু বলে কব্জিতে বাধা ঘড়িতে হাত বোলালো আবরার। ঠোঁট ভিজিয়ে নিয়ে বলল,
— আজ স্নিগ্ধার ক্লাশের প্রথম দিন। আমার এখনি যাওয়া উচিত নাহলে দেরি হয়ে যাবে।

আবরার আবারো হাটতে উদ্যত হলে তনয়া ডেকে উঠলো পেছন থেকে,
— আবরার!

তীব্র বিরক্তি নিয়ে পেছন ফিরলো আবরার। দাঁত চিবিয়ে বলল,
— আপনার সমস্যা কোথায় তনয়া? বলতে পারেন আমাকে?

তনয়া মুখ কালো করে নিয়ে বলল,
— আমার একা থাকতে অস্বস্তি লাগছিলো,তাই! আপনি বিরক্ত হলে ইটস ওকে, আপনি চলে যান।

আবরার বিদ্রুপাত্মক হেসে বলল,
— সেতো আমি যাবোই। আপনি বললেও,, না বললেও। আর বারবার ভয় লাগছে ভয় লাগছে বলে কি প্রমান করতে চাইছেন বলুন তো? দেখুন! আপনি আমায় বাঁচিয়েছেন তাই আপনার প্রতি যতটুকু কর্তব্য ছিলো তার থেকেও অনেক বেশি করেছি আমি। এবার আমার ছাড় পাওয়ার দরকার।
আপনি পুরোপুরি সুস্থ,, তাই পাগলামির ভান করে ন্যাকামি করা বন্ধ করুন। দুটোই ভীষণ অসহ্য লাগে আমার কাছে। আর পারলে এই গায়ে পরা অভ্যাস টাও পরিত্যাগ করুন। ইউজলেস!

শেষের কথাগুলো অনেকটা ক্ষিপ্ত স্বরে বলল আবরার। তনয়ার চোখ ভরে আসে দুঃখে, আবরার কে ধরে না রাখতে পারার ক্ষোভে।
তনয়ার চোখের পানিতে তোয়াক্কা করলোনা আবরার।
আর এক মুহুর্তও দাড়ালোনা সে। বেরিয়ে পরলো কেবিন ছেড়ে।

তবে দরজা ঠেলে বাইরে আসতেই অন্য পাশ দিয়ে আসা তোফায়েলের মুখোমুখি হয়ে পরলো আবরার। সাথে আমিনুলও রয়েছে।

আবরার স্বাভাবিক নজরে দুজনের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে পাশ কাটিয়ে হেটে গেলেও আমিনুল তোফায়েল দুজনেই অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো আবরারের যাওয়ার দিকে। এত সকাল সকাল আবরারের এখানে উপস্থিতির মানে কারোরই মাথায় ঢুকলোনা। একে অন্যের মুখ চাওয়াচাওয়ি করলো কিছুক্ষন।

প্রশ্নের উত্তর নিতে তোফায়লে চোখ সরিয়ে নিয়ে দ্রুত পায়ে কেবিনে ঢুকলো। দরজা ঠেলতেই তনয়াকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আরো একদফায় বিস্মিত হয়। মেয়ের মুখ চোখ খেয়াল করতেই বুঝতে পারলো কিছু একটা ঘটেছে।নাহলে তনয়ার চোখে জল কেন ? আবরার নিশ্চয়ই আবার কিছু বলেছে!

— কি হয়েছে তনু?

তনয়া ভেজা ক্ষিপ্ত চোখ নিয়ে বাবার দিকে তাকালো। উত্তর না দিয়ে এগিয়ে গিয়ে পা দুলিয়ে বসে পরলো বেডে।তোফায়েল আমিনুলের দিকে তাকিয়ে বলল,
— তুমি রিসিপশনে গিয়ে সব ফরমালিটি পূরন করে এসো না হয়।আমি ততক্ষন কথা বলি ওর সাথে,,

— ওকে স্যার!
ঘাড় কাত করে কথাটা বলে বেরিয়ে পরলো আমিনুল। তোফায়েল সেদিক থেকে চোখ সরিয়ে ধীর পায়ে এসে মেয়ের পাশে বসলো। নরম গলায় বলল,
— আবরার এখানে?কখন এলো?

বাবার দিকে তাকালো না তনয়া। ঠান্ডা স্বরে জবাব দিলো,
— কাল রাতে।

তোফায়েল অবাক হলো এতে।বিচলিত ভাবে বলল,
— রাতে? কেন?

তনয়া উদ্বেগ হীন গলায় বলল,
— আমি ডেকেছিলাম।

— তুমি ডাকলে আর ও এলো? ওকি তবে তোমায় নিয়ে ভাবছে?

বাবার কথায় ভেতরের কষ্ট টা নাড়া দিয়ে উঠলো তনয়ার।আচমকা তোফায়েলের গলা জড়িয়ে ধরেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো।ঘটনাক্রমে হতভম্ব হয়ে পরলো তোফায়েল।

তনয়া ভাঙা গলায় আওড়ে উঠলো,
— আমি কেন আবরার কে পেলাম না বাবা! কেন??
ও কেন আমায় ভালো না বেসে অন্য কাউকে ভালোবাসলো? আমিতো ওর জন্যে সব করেছি।তাহলে কেন?

তোফায়েলের কাছে উত্তর নেই। মলিন মুখটা নিয়ে ধীর হাতে শুধু মেয়ের মাথায় হাত বোলালো সে। ভেতরে ভেতরে আক্ষেপ হলো খুব।

“” তখন যদি সম্পত্তির লোভে আবরার কে ফাসাতে না চেয়ে সরাসরি আসাদের কাছে বিয়ের প্রস্তাব টা রাখতাম! আজ হয়তো আমার মেয়েটাকে এভাবে কাঁদতে হতোনা। সবই আমার লোভের শাস্তি….!!
কথা গুলো ভেবে ভারী এক দীর্ঘশ্বাস ফেললো তোফায়েল। কি লাভ আর! কিছু জিনিস জীবনে শুধু আফসোসই বাড়ায়,সমাধান দেয়না,আবরার ও নাহয় এর একটা হলো!

______________________

_____________________________________

যথাসম্ভব দ্রুত ড্রাইভ করছে আবরার। বারবার হাত ঘড়িটাও দেখছে। চিন্তাও হচ্ছে! সারারাত তনয়ার কাছে থাকা নিয়ে স্নিগ্ধা আবার উল্টোপাল্টা ভেবে বসলো কিনা সেই চিন্তা।মাঝরাতে বউ কে বাড়িতে একা রেখে অন্য মেয়ের কাছে যাওয়ার সঙ্গাতো ভীষণ ভয়ানক হয়। অন্তত একজন স্ত্রীর কাছে।

মনে মনে শত বার প্রার্থনা করলো আবরার– এমন যাতে না হয়। স্নিগ্ধা যেন তাকে ভুল না বোঝে।

উল্টো দিকের মানুষ টার বিশ্বাস ভরসাই যে সব থেকে বড় শক্তি জীবনের। সেটাতেই যদি ফাটল ধরে!তবে বেঁচে থাকাই যে কারনহীন মনে হয়।

————————–

সিগন্যাল পরতেই গাড়িতে ব্রেক কষলো আবরার।শীতকাল হলেও আজকে রোদের প্রখরতা প্রতিদিনকার তুলনায় বেশ অনেক।খানিকটা ঘেমেও গিয়েছে সে। দুহাত দিয়ে কোর্ট টা ঝাড়া দিয়ে, হাত বাড়িয়ে এসি টা অন করলো আবরার।
রাস্তায় আজকেই জ্যাম,সিগন্যাল সব ঝামেলা একসাথে।

বিরক্তিতে ফোস করে একটা নিঃশ্বাস নিয়ে কাঁচের জানলা দিয়ে একবার বাইরে তাকালো আবরার। সেকেন্ডের কম সময়ে আবার চোখ ঘুরিয়ে সামনে তাকালো।আচমকা কিছু একটা খেয়াল পরতেই কপালের রগ গুলো টানটান হয়ে এলো।

চমকে আবারো জানলা দিয়ে ফিরে তাকালো আবরার। বেশ অনেকটা দুরুত্বে রাস্তার পাশে লাগানো পাইপ লাইনের ট্যাব থেকে পানি খাচ্ছে মকবুল। রীতিমতো ঢকঢক করে খাচ্ছে।

পেছন থেকে দেখেও মকবুল কে চিনতে অসুবিধে হলোনা আবরারের। দ্রুত হাতে গাড়ির ইঞ্জিন অফ করে সিট বেল্ট খুলে নিলো সে। গাড়ির দরজা
খুলে বেরিয়ে পরলো তারপর।

________________________________

মুখমন্ডলে পানির ঝাপটা দিয়ে ধীর সুস্থে ট্যাব বন্ধ করলো মকবুল।গলায় ঝোলানো গামছা টা দিয়ে মুখটা মুছে নিলো।উল্টো ঘুরে হাটা দেয়ার আগেই খপ করে ওর ঘাড় টা চেপে ধরলো আবরার।ঘটনাক্রমে হকচকিয়ে গেলো মকবুল।ভয়ে ভয়ে পেছন ফিরলো কোনও মতে।চোখের সামনে আবরার কে দেখে যম দেখার মত অনূভূতি হলো। চোখ গুলো বড় বড় হয়ে এলো,,ভীত হয়ে এলো মুখটা।

আবরার কিছু বলার আগেই ধড়ফড় করে বসে পরে ওর পা জড়িয়ে ধরলো মকবুল। আবরার ভ্রু কুঁচকে সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো।মকবুল পা জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পরে বলল,

— সাহেব,আমার ভুল হয়ে গিয়েছে সাহেব।আমাকে পুলিশে দেবেন না।আমি গরিব মানুষ।

সন্দেহ এবার গাঢ় রুপ নিলো আবরারের। এতদিন সব কিছুর জন্যে মকবুল কে মনে মনে দ্বায়ী ভাবলেও আজ মকবুলের এরুপ আচরনে সম্পূর্ণ পরিষ্কার যে ওই এসবের পেছনে রয়েছে।

মুহুর্তেই চোয়াল শক্ত হয়ে অাসে আবরারের।মকবুলের কাধের এক পাশে শক্ত হাতে চেপে ধরে দাড় করালো ওকে।ভয়ে হাত পা শীতল হয়ে এলো মকবুলের। আবরারের সামনে হাত জোর করে বলল,

— সাহেব,আমি আর এরকম পাপ কাজ করবোনা।বিশ্বাস করুন।

আবরার ভ্রু নাঁচিয়ে বলল,
— এতো সহজে? যা করেছো তাতে কি তুমি ক্ষমার যোগ্য?

মকবুল পূর্বের থেকেও বেশি কান্নায় ভেঙে পরলো। আফসোসের সুরে বলল,

— টাকা দেখে আমি অন্ধ হয়ে গেছিলাম।একটু ভালো থাকার লোভে ভালো মন্দের জ্ঞান টুকু লোপ পেয়েছিলো আমার। যখন শুনলাম এই কাজের জন্যে পুরো পঞ্চাশ হাজার পাবো তখন আর না করতে পারিনি। সারাজীবন কাজ করলেও এত টাকা হবেনা আমার। সেসব ভেবেই তনয়া ম্যাডামের কথায় রাজি হয়েছিলাম,,

এটুকু শুনতেই চোখ সরু করে নিলো আবরার। মাঝপথে বলে ওঠে,
— কার নাম বললে?

মকবুল ভেজা চোখে চেয়ে বলল,
— কেন স্যার? তনয়া ম্যাডাম!

আবরার প্রথম দফায় বিস্মিত হলো।কয়েক সেকেন্ড সময় নিলো নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে,,,আরো বিস্তারিত জানার আছে তার। পুনরায় মকবুলের দিকে তাকিয়ে সন্দিহান গলায় বলল,

— তোমাকে টাকা তো তোফায়েল দিয়েছিলো। তাইনা? আমাকে মারতে?

মকবুল চোখ নামিয়ে নিয়ে বলল,
— জ্বি। তবে তার আগে তনয়া ম্যাডামও টাকা দিয়েছিলেন!

আবররা অবাক হয়ে বলল,
— আমাকে মারতে?

মকবুল মৃদূ” না “বোধক মাথা নেড়ে নরম গলায় বলল,
— স্নিগ্ধা ম্যডাম কে মারতে!

চলবে,

তনয়ার এবার কি হপ্পে🥺🥺🥺🥺🥺

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here