তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________20

0
116

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________20

নিদ্র তৃপ্তি আর আদি এসে পৌছালো পিন্সিপেল রুমের সামনে ।

:+আসতে পারি স্যার ।(নিদ্র)

:+আরে নিদ্র । আসো আসো ।(পি.স্যার)

তারা তিনো জনে পিন্সিপেল রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো । পিন্সিপেল স্যার নিদ্রকে উদ্দেশ্য করে বললেন ।

:+ বসো ।(পি.স্যার)

পিন্সিপেল টেবিলের সামনে দুটো চেয়ার রাখা । একটাতে নিদ্র বসলো আর আরেক টাতে তৃপ্তি বসলো । আদি দারিয়ে রইলো ।

:+তা হঠাৎ কি মনে করে এই কলেজে ।(পি.স্যার)

:+হঠাৎ কোথায় স্যার । প্রায় প্রতিদিনই তো আসি ।আর আদি আপনাকে কিছু বলেনি । আমি কি কারনে আসবো ।(নিদ্র)

:+ ওহ,,, হ্যাঁ,,, বলেছে । তা কে ভর্তি হবে এই মেয়েটা ।(পি.স্যার)

তৃপ্তিকে দেখিয়ে বললো পিন্সিপেল স্যার । নিদ্র বললো ।

:+হ্যাঁ,,,, স্যার ।(নিদ্র)

:+এ তোমার কে হয় ।(পি.স্যার)

:+আমার চাচা তো বোন । গ্রাম থেকে এসেছে ।না মানে গত দুদিন আগে আমি ওকে গ্রাম থেকে নিয়ে আসছি ।(নিদ্র)

:+ওওও । তা পড়া সুনায় কেমন ও ।(পি.স্যার)

:+ভালো স্যার । আচ্ছা স্যার কাজের কথায় আসি । আমাকে আবার অন্য যায়গায় যেতে হবে ।(নিদ্র)

:+ ওহ,,,হ্যাঁ,, এই নেও ফ্রর্ম । এটা পূরন করে দাও ।(পি.স্যর)

নিদ্র পিন্সিপেল স্যারের হাত থেকে ফ্রর্ম নিয়ে তা পূরন করা সুরু করলো । পিন্সিপেল স্যার তৃপ্তিকে উদ্দেশ্য করে বললেন ।

:+নাম কি তোমার মা ।(পি.স্যার)

:+জ্বি স্যার,,,,,, তৃপ্তি ।(তৃপ্তি)

:+পুরো নাম বলো ।(পি.স্যার)

:+তৃপ্তির ইসলাম তৃপ্তি ।(তৃপ্তি)

:+বাহ । খুব সুন্দর নাম তো । তা কে রেখেছে তোমার এই নাম ।(পি.স্যার)

:+ আমার আব্বু ।(তৃপ্তি)

:+পরিক্ষায় কত মার্ক্স পেয়েছো ।(পি.স্যার)

:+জ্বী,,,, A+ ।(তৃপ্তি)

:+তাই নাকি । দেখি তো তোমার মার্ক্সসিট’টা ।(পি.স্যার)

:+ মে আই কামিন স্যার ।(মেয়ে)

হঠাৎ দরজায় কারো গলার আওয়াজ সুনে সেদিকে তাকালো সবাই । পিন্সিপেল স্যার মেয়েটির উদ্দেশ্য বললো ।

:+ কানের নিচে দিবো দুটো আবার স্যার বললে ।বাসায়ও তোর জ্বালায় শান্তি নেই । এখানেও কি শান্তি পাবো না নাকি ।(পি.স্যার)

মেয়েটি রুমের ভিতরে প্রবেশ করতে করতে বললো ।

:+ওহ পাপা এটা কলেজ । এখানে আমি তোমার নাম ফুটিয়ে চলতে পারবো না । এখানে আমি আমার মনের মতো চলবো ।(মেয়ে)

এই বলে পিন্সিপেলের পাসে গিয়ে দারালো মেয়েটি ।

:+এখানে কি জন্য আসছিস এখন ।(পি.স্যার)

:+এমনি আসলাম বাসায় ভালো লাকছিল না তাই । আরে নিদ্র ভাইয়া যে । অনেক দিন পর দেখা । তা কেনম আছো ।(মেয়ে)

:+এই তো চলছে দিন কাল । তুমি কেমন আছো জুই ।(নিদ্র)

:+এই তো ভালো । তোমার পাসে এই মেয়েটা কে । তোমার গালফ্রেন্ড নাকি ।(জুই)

:+জুই এসব কি কথা বার্তা ।(পি.স্যার)

:+ওহ পাপা তুমি চুপ থাকো তো । তোমার পিন্সিপেল কথা বার্তা তুমি পরে বলো । এখন আমাকে কথা বলতে দাও । বলো ভাইয়া এটা তোমার গালফ্রেন্ড।(জুই)

:+আরে না । ও আমার চাচা তো বোন ।(নিদ্র)

:+ও আচ্ছা,,,, তাহলে এখন ও তুমি সিঙ্গেল আছো । আমি তো ভেবে নিয়েছি তুমি গালফ্রেন্ড জোগার করে নিয়েছো । ওই সময় আমি ছোট ছিলাম বলে । বলেছিলে আমার সাথে প্রেম করবে না । এখন আমি বড় হয়ে গেছি । এবার আমি ইন্টার ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হইছি । ssc পরিক্ষায় A+ পাইছি বুঝছো । আর এই কলেজেই ভর্তি হইছি । এবার তোমাকে আমার সাথে প্রেম করতে হবে হুম ।(জুই)

পিন্সিপেল জুইর দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো । বাকিদের ও একই অবস্তা । জুই গলা খেখিয়ে মুখে হাসি দিয়ে বললো ।

:+আরে বাবা আমি যাস্ট ফান করলাম । নিদ্র ভাইয়াদের সাথে আমাদের যায় নাকি । ওনারা মুসলিম আর আমরা হিন্দু । আমি যাস্ট ফান করলাম ।(জুই)

এই বলে হাসতে লাগলো জুই । আর পিন্সিপেল জোরে একটা নিশ্বাস ছারলেন সাথে নিদ্রও । নিদ্র পিন্সিপেলকে বললো ।

:+আচ্ছা স্যার এই নিন ফ্রর্ম আর এই হলো সব কাগজ প্রত্র। এখানে ওর ভর্তির সব কিছু আছে ।(নিদ্র)

পিন্সিপেল নিদ্রর হাত থেকে সব কাগজ প্রত্র নিয়ে নিলো ।

:+আচ্ছা স্যার তাহলে এখন আমরা উঠি ।(নিদ্র)

:+আরে এক কাপ চা তো খেয়ে যা ।(পি.স্যার)

:+না স্যার আরেক দিন খাবো । আজ আর সময় নেই ।(নিদ্র)

এই বলে চেয়ার ছেরে উঠে দারালো নিদ্র সাথে তৃপ্তিও ।

:+ আচ্ছা স্যার ওদের ক্লাস সুরু হবে কবে থেকে ।(নিদ্র)

:+এই তো সামনের মাসের ১ তারিখ থেকে ।(পি.স্যার)

:+ওহ । তাহলে তো এখনো অনেক দেরি আছে । এ মাসের মাত্র আজ ১৫ তারিখ ।(নিদ্র)

:+হুম ।(পি.স্যার)

নিদ্র বাহিরের দিকে পা বারিয়ে আবার কি যেন ভেবে দারিয়ে পিন্সিপেলকে বললো ।

:+স্যার আপনার কাছে একটা রিকুয়েষ্ট আছে ।(নিদ্র)

:+কি রিকুয়েষ্ট বলো । দেখি আমি রাখতে পারি কি না ।(পি.স্যার)

:+তেমন কিছু না । তৃপ্তি বোরখা হিজাব নিকাব এসব হাবিজাবি পরেই কলেজে আসবে আপনি প্লিজ এই জিনিসটা দেখুন ।(নিদ্র)

:+কিন্তু এটা তো রুলস এর বাহিরে । এখানে একটা নিদিষ্ট রুলস আছে । সব ছাত্র ছাত্রী নিদিষ্ট এক ড্রেস পরে কলেজে আসবে ।(পি.স্যার)

:+প্লিজ স্যার সুধু এক মাত্র ওর জন্য প্লিজ ।(নিদ্র)

:+কিন্তু ,,,,,,,,।(জুই)

নিদ্র কিছু না বলে পকেট থেকে ফোন বের করে একটা মেসেজ লিখে পিন্সিপেল স্যারের নাম্বারে সেন্ড করে দিলো । মোবাইলের টুং শব্দ হতে ফোন হাতে নিলেন পিন্সিপেল স্যার । তিনি দেখলেন মেসেজে লেখা ।

মেসেজঃ-*
স্যার প্লিজ রাজি হয়ে যান ও আমার ভবিষ্যৎ বউ হবে । আমি চাই না ওর উপর কারো চোখ পোরুক । কেও আক্রস হোক ওর উপর এটা আমি চাই না । আর এসব কথা যেন কেও না যানে । স্যার রাজি হয়ে যান । এতে আপনারই ভালো ।

মেসেজটা পড়ে পিন্সিপেল জোর পূর্বক একটা হাসি দিলেন । তিনি যানেন এখন নিদ্রর কথা না সুনলে তার কপালে দুঃখ আছে । পিন্সিপেল মুখে হাসি রেখেই নিদ্রকে বললেন ।

:+ঠিক আছে । কোন সমস্যা হবে না ।(পি.স্যার)

:+থ্যাংস স্যার । আর সব স্যার এবং ম্যাডাম দেরও বলেদিবেন । যাতে ওকে কেও কিছু না বলে ।(নিদ্র)

:+ঠিক আছে,,,,, ঠিক আছে বলে দেবো ।(পি.স্যার)

:+আচ্ছা স্যার আসি তাহলে ভালো থাকবেন ।(নিদ্র)

:+পাপা তাহলে আমিও এখন যাই ।(জুই)

এই বলে পিন্সিপেল স্যারের রুম থেকে বেরিয়ে আসলো নিদ্র তৃপ্তি আদি আর সাথে জুই ।

:+আদি তাহলে তুই এখন চলে যা । তোর ক্লাস সুরু হবে হয় তো ।(নিদ্র)

:+ঠিক আছে ভাই । আর কোন সমস্যা হলে আমাকে যানাবেন ।(আদি)

এই বলে আদি চলে গেল । ক্যাম্পাসের মাজ খান দিয়ে নিদ্রর ডান হাত নিজের দুই হাত দিয়ে জরিয়ে ধরে হাটছে তৃপ্তি । জুই তৃপ্তিকে উদ্দেশ্য করে বললো ।

:+আচ্ছা তোমার নাম কি ।(জুই)

:+তৃপ্তি ।(তৃপ্তি)

:+বাহ খুব সুন্দর নাম তো । আমার নাম জুই ।(জুই)

:+তোমার নাম টাও খুব সুন্দর ।(তৃপ্তি)

:+ওও তাই নাকি । কিন্তু আমার এই নাম টা মোটেও পছন্দ না । যাই হোক ,,,,,, তুমি নিদ্র ভাইয়ার হাত এভাবে জরিয়ে আছো কেন । লাভ টাব করো নাকি ।(জুই)

:+এই লাভ টাব আবার কি ।(তৃপ্তি)

:+জুই ওকে তুমি এসব কিছু বলো না ।(নিদ্র)

:+কেন,,,,,, আর ওকি লাভ,,,,,,,।(জুই)

:+ও লাভ টাবের বেপারে কোন কিছুই যানে না । আর ও আমার হাত ধরে আছে এটার কারন । ও এখন ভয় পাচ্ছে ।(নিদ্র)

:+ভয় পাচ্ছে মানে । আমরা এতো গুলো মানুষ এখানে তাও ভয় পাচ্ছে । কিসের ভয় এখানে । আমি কিছু বুঝতে পারছি না ।(জুই)

:+আচ্ছা জুই আমি তোমাকে এই বেপারে পরে বললো । এখন এসব বেপারে কথা না বলাই ভালো । বাই দা ওয়ে । তুমি বলে ছিলে। তুমি এবার SSC দিয়েছো । তাহলে কি তুমি এবার ইন্টারে ভর্তি হয়েছো ।(নিদ্র)

:+হ্যাঁ,,,,, *****ডিপার্টমেন্টে । আরে ওই সময় বললাম না এই কলেজেই ভর্তি হইছি ।(জুই)

:+তাহলে তো ভালোই হলো । তৃপ্তি আর তুমি ফ্রেন্ড হতে পারো । তৃপ্তিও এই ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হইছে ।(নিদ্র)

:+তাই নাকি । তাহলে তো ভালোই হলো । একটা ফ্রেন্ড পেয়ে গেলাম আজ । তৃপ্তি হাত মিলাও আজ থেকে আমরা ফ্রেন্ড ।(জুই)

তৃপ্তির দিকে হাত বারিয়ে বললো জুই । তৃপ্তি নিদ্রর মুখের দিকে তাকালো । নিদ্র চোখের ইসারায় হাত মিলাতে বললো । তৃপ্তি কিছুটা সংখচ বোধ করতে করতে হাত মিলালো ।

:+ঠিক আছে ফ্রেন্ড ।(তৃপ্তি)

হঠাৎ কোথা থেকে বৃষ্টি এসে দ্বারালো তাদের মাজে । চোখ মুখ লাল হয়ে আছে বৃষ্টির ।

:+বাহ,,,,,,, মি.নিদ্র,,,,,,,,বাহ । আমি প্রপোজ করে ছিলাম বলে । আমাকে কতো ঙ্গেয়ান দিলেন । আর এখন নিজেই একটা খেত মার্কা মেয়ের সাথে রিলেশন করলেন ।(বৃষ্টি)

:+মাইন্ড ইউর লেঙ্গউইচ । তুমি কাকে খেত বলছো ।(নিদ্র)

:+কাকে আবার । এই যে আপনার হাত ধরে আছে । এই মেয়ে টাকে বলছি । কেন গায়ে লাকছে বুঝি ।(বৃষ্টি)

:+বৃষ্টি মুখের ভাষা ঠিক করো ।(নিদ্র)

:+ঠিক করবো না । কি করবেন আপনি । আপনাদের মতো ছেলেদের চেনা আছে আমার । এই সব মেয়েদের সরলতার সুজুক নিয়ে নোংরামি করে বেরান আপনারা । আমাদের থেকে তো এটা এতো সহজে পাবেন না । তাই এমন খেত মার্কা মেয়েদের বেছে নেন আপনারা । আর এই মেয়ে গুলোও একই রকম । বড়লোক ছেলে দেখলেই তার পিছনে লেগে পরে । বোরখা হিজাব পড়ে উপরে ধর্মের নিতি দেখায় এরা । আর নিচে যত নোংরামি কাজ করে বেরায় ।(বৃষ্টি)

কথা গুলো সুনে নিদ্র মাথা গরম হয়ে গেল । তৃপ্তির হাত নিজের হাত থেকে ছারিয়ে ঠাসসস করে একটা চড় বসিয়ে দিলো বৃষ্টির বাম গালে । বৃষ্টি নিজের বাম গালে তার বাম হাত রেখে নিদ্রর উদ্দেশ্য বললো ।

:+তোর এতো বড় সাহস তুই আমার গায়ে হাত তুললি । তোকে তো এটার জন্য শাস্তি পেতেই হবে । দেখে নিস । এই মেয়েকে আমি কি করবো তুই নিজেও ভেবে পাবি না ।(বৃষ্টি)

কলেজের প্রায় অনেক ছাত্র-ছাত্রী তাকিয়ে আছে তাদের দিকে । নিদ্র শার্টের হাতা ভাজ করতে করতে বললো ।

:+ তোর অনেক কিছু এ প্রজন্ত সজ্জ করে আসছি আমি । কিন্তু আর না । যা তুই যদি কিছু করতে পারিস তো করে দেখাস ।(নিদ্র)

:+বৃষ্টি আপু তুমি এসব কি বলছো । তৃপ্তি নিদ্র ভাইয়ার চাচা তো বোন হয় ।(জুই)

কিন্তু বৃষ্টির জুইয়ের কথা কানে গেল না । সে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে নিদ্রর দিকে চোখ লাল করে একবার তাকিয়ে সেখান থেকে চলে গেল । এই কলেজের সব সুন্দরী মেয়ের মধ্যে বৃষ্টি হলো একজন । কলেজের প্রায় সব ছেলেরাই বৃষ্টির উপর ফিদা । কিন্তু বৃষ্টি ফিদা নিদ্রর উপর । বৃষ্টির রাগ জেদ আর অহংকার বেসি তাই কোন ছেলে সাহস করে তাকে প্রপোজ করতে আসে না । বড়লোক বাপের মেয়ে বলে কথা । আর গায়ের পোশাকের কথা তো বলার বাহিরে । কি সব পোশাক যে পরে সে । এসব পোশাক পড়ে ছেলেদেরকে নিজের প্রতি আরো আক্রসন করে তুলে সে । যাই হোক,,,, এতখন প্রজন্ত তৃপ্তি নিদ্রর পিছনের শার্ট খামছি মেরে ধরে ছিল । বৃষ্টি চলে যেতেই তৃপ্তি নিদ্রর ডান হাত নিজের দু হাত দিয়ে আবার জরিয়ে ধরে বললো ।

:+এই আপুটা কে ভাইয়া । এমন রেগে আছে কেন । তুমি আপু টাকে মারলে কেন । আর এসব কি আবুলতাবুল কথা বললো উনি ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তি কথা সুনে তৃপ্তির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো জুই ।

:+ তুমি কিছু বুঝতে পারোনি । বৃষ্টি আপু কেন রেগে আছে ।(জুই)

:+না ।(তৃপ্তি)

:+আরে বৃষ্টি আপু,,,,,,,,,,,।(জুই)

জুইকে আর কিছু বলতে না দিয়ে নিদ্র জোরে একটা নিশ্বাস ছেরে বললো ।

:+জুই আমরা এখন বাসা যাবো । তোমার সাথে পরে কথা হবে,,,, বাই ।(নিদ্র)

:+কিন্তু,,,,,,,,,আচ্ছা ঠিক আছে । তৃপ্তি কলেজে সুরু হলে দেখা হবে তাহলে ।(জুই)

:+ ঠিক আছে । বাই ভালো থেকো ।(তৃপ্তি)

:+তুমিও ।(জুই)

:+চল ।(নিদ্র)

এই বলে নিদ্র তৃপ্তির হাত ধরে বাইকের কাছে নিয়ে আসলো । সেম আগের মতোই হলো । কলেজে আসার সময় যেমন তৃপ্তি চোখ মুখ বুঝে নিদ্রকে জরিয়ে ধরে ছিল । ঠিক তেমনই ভাবে যাওয়ার সময়ও জরিয়ে ধরে আছে । বাসার সামনে এসে বাইক পার্ক করলো নিদ্র । তৃপ্তি চোখ মুখ বুঝে এখনো নিদ্রকে জরিয়ে ধরে আছে ।

:+বাসায় চলে এসছি এবার আমাকে ছেরে নাম বাইক থেকে ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে চোখ খুলে তাকালো তৃপ্তি । একবার চারপাশে তাকিয়ে বাইক থেকে নামলো সে । এরপর সোজা বাড়ির ভিতরে চলে গেল । নিদ্রও বাইক থেকে নেমে তৃপ্তির পিছুপিছু বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো । আমেনা সোফার উপর বসে একটু জিরচ্ছেন । তার সবে মাত্র রান্নার কাজ শেষ হয়েছে । তৃপ্তি বাড়ির ভিতরে এসে দেখলো আমেনা বসে আছে । এটা দেখে তৃপ্তি পা চালিয়ে আমেনার পাসে গিয়ে বসে পরলো । নিদ্র সেদিকে কোন শুরুক্ষেপ না দিয়ে দোতলার সিরির দিকে চলে গেল । সিরির কাছে গিয়ে থমকে দাঁড়ালো নিদ্র । কারন সে সুনতে পেল তৃপ্তি আমেনাকে বলছে ।

:+যানো বড় আম্মু আজ একটা মেয়েকে ভাইয়া ঠাসসসসসস করে চড় বসিয়ে দিয়েছে ।(তৃপ্তি)

আমেনা অবাক হয়ে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বললেন ।

:+কেন ।(আমেনা)

:+আমি কিছু বুঝতে পারিনি তারা কি নিয়ে কথা বলছিল । তবে ভাইয়া যে মেয়ে টাকে চড় মেরেছে । সেই মেয়েটা দেখলাম খুব রেগে ছিল ।(তৃপ্তি)

নিদ্র সেখানে আর দারিয়ে না থেকে তাড়াতাড়ি আমেনা আর তৃপ্তির সামনে এসে দারালো ।

:+তৃপ্তি এসব কি,,,,,,,।(নিদ্র)

নিদ্রকে থামিয়ে আমেনা বললো ।

:+মেয়েটাকে চড় মেরেছিস কেন । আর তোদের মাজে এমন কি কথা হলো যে তুই মেয়েটাকে চড় মারলি ।(আমেনা)

নিদ্র তৃপ্তির দিকে একবার চোখ পাকিয়ে আবার আমেনার উদ্দেশ্য বলল ।

:+না mom তেমন কিছু না । মেয়েটা একটা বাজে কথা বলছিল তাই চড় মেরেছি ।(নিদ্র)

:+কি এমন বাজে কথা বললো যে তুই ওকে চড় না মেরে থাকতে পারলি না । আর এসব ঠুংকা কথা না । আমাকে প্রথম থেকে সব বল ।(আমেনা)

:+MoM,,,,,,,,,,।(নিদ্র)

:+আমি সব বলতে বলছি ।(আমেনা)

:+ভাইয়া তুমি কথা বলতে থোক্কাচ্ছো কেন । বড় আম্মুকে সব বলো । আম্মুকে সব বলতে হয় এটা তুমি যানো না ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা সুনে । তৃপ্তির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো নিদ্র । এরপর বিরবির করে বলে উঠলো ।

:+হয়রে আমার ঙ্গেয়ান দাতা । তোর এই ঙ্গেয়ানের জন্য তোকে পরে দেখছি ।(নিদ্র)

আমেনা তৃপ্তিকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে বললেন ।

:+দেখলি আমার এই টুকু মেয়েটা যানে যে আম্মুর কাছে কোন কথা লুকাতে নেই । আর তুই এতো বড় একটা হাদারাম হয়েছিস যে আমার কাছে কথা লুকানোর চেস্টা করছিস । ভালো আছে তাড়তাড়ি সব বল ।(আমেনা)

:+ইয়ে মানে MoM । ওই বৃষ্টি মেয়েটা আছে না ।(নিদ্র)

:+কোন বৃষ্টি । ওহ মনে পড়ছে । একদিন তোর সাথে মার্কেটে গিয়ে ছিলাম । তখন একটা মেয়ে তোকে কি সব কথা বললো,,,,, ওই মেয়েটা ।(আমেনা)

:+হ্যাঁ,,, ওই মেয়েটা ।(নিদ্র)

:+তো কি হয়েছে ।(আমেনা)

অতপর নিদ্র আমেনাকে সব খুলে বললো । সব সুনে আমেনা বললো ।

:+ছি,,, মেয়েটা এতো বাজে । তুই ওকে একটা চড় মেরেছিস কেন আরো দুটো চড় মারতে পারলি না । আমার ফুলের মতো মেয়েটাকে বাজে কথা বললো আর তুই সুধু একটা চড় মারলি ।(আমেনা)

নিদ্র মুখ ভেংচি কেটে বলে উঠলো ।

:+তোমার ফুলের মতো মেয়েকে বাজে কথা বলছে । আর আমাকে যে বাজে কথা বলছে সেটা ।(নিদ্র)

:+তোকে বাজে কথা বলছে । আচ্ছা আমি কিছু বুঝতে পারছি না । তোর পিছনে এতো মেয়ে কেন লেগেছে । একটু আগেও আমাদের বাড়ির পাচ তলার ভারাটিয়ার মেয়ে নীলা এসে তোকে খুজে গেল ।(আমেনা)

:+ কি বললে MOM । কে আমাকে খুজচ্ছে ।(নিদ্র)

:+ওই পাচ তলার ভাড়াটিয়ার মেয়ে নীলা ।(আমেনা)

:+এদের ফ্লাট ভারা দেওয়াই ভুল হয়েছে । তুমি উনাদের বলে দিও । ওই মেয়েকে যেন সামলায় । নাহলে আমি ঘার ধাক্কা দিয়ে এই বাড়ি থেকে বের করে দেবো । আমাকে খুব ডিস্টার্ব করতেছে ওই মেয়ে ।(নিদ্র)

:+আচ্ছা আমি বলবো । এখন যা এখান থেকে । ১২টা বেজে গেছে গোছল করে নে যা ।(আমেনা)

নিদ্র আর কথা না বরিয়ে সেখান থেকে সিরি বেয়ে নিজের রুমে চলে আসলো । তৃপ্তি আমেনাকে বললো ।

:+বড় আম্মু আমি কিছু বুঝতে পারছি না । তোমরা কি বলছো এসব ।(তৃপ্তি)

:+তোর বুঝতে হবে না । এখন যা রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে বা গোছল করে নে ।(আমেনা)

:+কিন্তু,,,,,,,,।(তৃপ্তি)

:+কথা কম । আমি যেটা বলছি সেটা কর যা ।(আমেনা)

:+ঠিক আছে ।(তৃপ্তি)

এই বলে তৃপ্তি বসা থেকে উঠে সিরি বেয়ে নিজের রুমে চলে গেল । আর আমেনা সোফার উপরেই বসে রইলেন । নিদ্র নিজের রুমে এসে শাওয়ার নিয়ে নিলো । তৃপ্তিও রুমে এসে বোরখা হিজাব নিকাব এসব হাবি জাবি খুলে শাওয়ার নেয়ার জন্য ওয়াসরুমে চলে গেল ।

————————————–

দুপুর ২টা বাজে………….
নিদ্র খাবার খেয়ে সবে মাত্র রুমে এসে বেডের উপর বসলো । আর তৃপ্তি আমেনার সাথে নিচ তলায় বসে গল্প করছে । নিদ্রর বসে থাকতে ভালো লাগছিল না তাই সে সুয়ে পরলো । কিছু সময় পর নিদ্রর রুমের দরজা ফাক করে কেও একজন রুমে ভিতরে প্রবেশ করলো । কারো উপস্থিতি টের পেয়ে দরজার দিকে তাকালো নিদ্র । আগন্তক বেক্তিকে দেখে নিদ্রর মাথা গরম হয়ে গেল । নিদ্র সুয়া থেকে উঠতে যাবে তার আগেই সেই বেক্তি নিদ্রর উপর উঠে বসে তাকে বেডের সাথে চেপে ধরলো ।

:+এতো তারা কিসের,,,, মাই সুইট সুপার হিরো । কবে আসলেন আপনি গ্রামের বাড়ি থেকে । একবারও তো আমার সাথে দেখা করলেন না ।(নীলা)

হুম আগন্তক বেক্তি আর কেও নয় । সে হলো নীলা । নীলা হাইটে প্রায় ৫ফুট ২ ইঞ্চি হবে । নিদ্রর থেকে ৩ বছরের ছোট নীলা । যাই হোক,, গল্পে ফিরি ।

:+তোর মতো বেয়াদপ মেয়ের সাথে কে দেখা করবে । আমি তোকে বার বার বলছি আমার সামনে আসবি না কিন্তু তুই তাও আসছিস । এটার তো একটা বেবস্তা করতেই হবে এবার । এখন তুই আমার গায়ে উপর থেকে নাম । আমাকে ছার ।(নিদ্র)

:+না ছারবো না । আচ্ছা আপনার কোন কিছু ফিল হচ্ছে না আমার উপর । গত ১মাস ধরে আমি আপনার পিছনে গুর গুর করছি ।(নীলা)

নিদ্র এক যাটকায় নীলাকে নিজে থেকে ছারিয়ে নিলো । নীলা ছিটকে বেডের এক পাসে পরে গেল । নিদ্র সুয়া থেকে উঠে বেড থেকে নেমে দারিয়ে বলতে লাগলো ।

:+তোর প্রতি আমার কোন ফিলিংস নেই । আমি তোকে এ কথা আগেও বলছি । তাও কেন আমার পিছনে পরে আছিস । দেশে কি ছেলের অভাব পরছে নাকি ।(নিদ্র)

নীলা নিজেকে সামলিয়ে বেডের উপর ঠিক হয়ে বসে বললো ।

:+না দেশে ছেলের অভাব পরে নি । কিন্তু আপনার মতো যে কেও নেই ।(নীলা)

:+দেখ আমি তোকে আবারও সাবধান করছি । আমার পিছনে লেগে কোন লাভ হবে না । কারন আমি একজনকে আমার জীবনের চেয়েও বেসি ভালোবাসে ফেলছি ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে চমকে উঠলো নীলা । আজ ১মাস প্রজন্ত সে নিদ্রর পিছনে লেগে আছে । কিন্তু নিদ্র কখনো নীলাকে বলেনি যে সে ওন্য কাওকে ভালোবাসে । নীলার পরিবার নিদ্রদের বাড়িতে পাচ তলা ভারা নিয়েছে আজ তিন মাস হলো । নীলা কিছুটা তোতলাতে তোতলাতে বললো ।

:+আ আমি এ এটা বিস্বাস করি না ।(নীলা)

:+বিস্বাস করা বা না করা । এটা তোর একান্তই নিজের বেপার । তবে সুনে রাখ এটাই সত্যি ।(নিদ্র)

:+কিন্তু আপনি তো আমাকে এটা আগে বলেন নি ।(নীলা)

:+আগে বলিনি কারন সে আমার থেকে তখন দুরে ছিল । এখন সে আমার অনেক কাছে ।(নিদ্র)

নীলা নিদ্রর থেকে চোখ ফিরিয়ে নিয়ে জোরে একটা নিস্বাস নিয়ে বললো ।

:+আচ্ছা একটা সত্যি কথা বলবেন ।(নীলা)

:+কি ।(নিদ্র)

:+আপনার সাথে যে মেয়েটা গত পরসু এসছে সেই মেয়েটা নয় তো । যেই মেয়েকে আপনি ভালো বাসেন ।(নীলা)

:+তোকে কেন বলবো ।(নিদ্র)

:+একটু তো ভালো ভাবে কথা বলুন আমার সাথে । আমি এতো টাও খারাপ নই বুঝচ্ছেন ।(নীলা)

:+যদি এতোই ভালো হতি তাহলে কেন লেগে আছিস আমার পিছনে । আমি বার বার বারন করছি আমার পিছনে না লাগার জন্য । তাও কেন পরে আছিস ।(নিদ্র)

:+ভালোবাসি যে তাই । আচ্ছা তাহলে আপনি এখন কি চাচ্ছেন । আপনাকে যেন আমি আর ডিস্টার্ব না করি ,,,,তাই তো ।(নীলা)

:+হ্যাঁআআআ ।(নিদ্র)

:+ওকে ডিস্টার্ব করবো না । তবে আমাকে বলতে হবে আপনি কোন মেয়েকে ভালোবাসেন । যার জন্য আমাকে রিজেক্ট করছেন ।(নীলা)

:+যদি না বলি ।(নিদ্র)

:+তাহলে আমিও আপনার পিছু ছারবো না ।(নীলা)

:+হে আল্লাহ এ কোন পাগলের পাল্লায় পরলাম আমি ।(নিদ্র)

:+হ্যাঁ,,,,,, আমি পাগল । এখন আপনি যটপট বলে ফেলুন কোন মেয়েকে ভালোবাসেন । নাহলে আমি আপনার পিছু ছারবো না ।(নীলা)

:+ওকে,,, ওকে । তোর ভাবনাই সঠিক । গত পরসু যেই মেয়ে আমার সাথে এসছে,,,,, ওই মেয়েই ।(নিদ্র)

:+হায় আল্লাহ তাহলে আমার বান্ধবী সুমির কথাই সঠিক । আপনি আপনার চাচা তো বোনের প্রেমে পড়লেন । যা আমার লাক টাই খারাপ ।(নীলা)

:+এবার তো আমার পিছু ছার ।(নিদ্র)

:+না ছারবো না ।(নীলা)

:+ছারবি না মানে । এই না বললি আমি যদি বলি আমি কাকে ভালোবাসি তাহলে আমার পিছু ছেরে দিবি ।(নিদ্র)

:+হ্যাঁ,,,,,, বলেছি । তবে ভালোবাসার অধিকার আর চাইবো না । বন্ধুত্বের অধিকার তো পেতে পারি ।(নীলা)

:+মানে ।(নিদ্র)

:+মানে আপনাকে আমার সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে ।(নীলা)

:+যদি না করি ।(নিদ্র)

:+তাহলে আমি আপনার পিছু ছারবো না ।(নীলা)

:+আ আ আ আ আ আ । ঠিক আছে,,,,, ঠিক আছে ফ্রেন্ড । এবার আমার রুম থেকে বিদেয় হ ।(নিদ্র)

:+আরে দোস্ত যাবো তো একটু তো কথা বলতে দে ।(নীলা)

:+হোয়াট,,,দা,,, দে । তুই আমাকে,,,,,,, তুই করে বলছিস ।(নিদ্র)

:+হ্যাঁ,,,বলছি । কারন বন্ধুত্বে তুমি বা আপনি বললে রিলেশন ঠিক জমে না । আর তুইও তো আমাকে তুই করে বলছিস ।(নীলা)

:+আমি তুই করে বলছি কারন তুই আমার ছোট । আর রিলেশন মানে কি ।(নিদ্র)

:+আরে বন্ধুত্বের রিলেশন ।(নীলা)

:+ধুর এখন তুই আমার রুম থেকে বের হ । আর যাতে তোকে আমার সামনে না দেখি ।(নিদ্র)

:+বন্ধুত্ব করছি কি দুরে থাকার জন্য নাকি । এখন তো আমি তোর পিছনে আরো বেসি করে ঘুরবো ।(নীলা)

:+তুই আমাকে,,,, তুই করে বলছিস আবার বলছিস আমার পিছুও ছারবি না । তুই জানিস তোরা আমাদের এই বাড়ির ভারাটিয়া । আমি চাইলে যে কোন সময় তোদের এই বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারি ।(নিদ্র)

:+হ্যাঁ যানি তো ।(নীলা)

:+তাহলে এমন ওভার কনফিডেন্স নিয়ে আমার সামনে এসেছিস কেন ।(নিদ্র)

:+আজ ভারাটিয়া বলে ।(নীলা)

:+আজ ভারাটিয়া বলে মানে ।(নিদ্র)

:+আজ ভারাটিয়া বলে ।(নীলা)

:+আরে বাবা আজ ভারাটিয়া বলে মানে কি ।(নিদ্র)

:+আজ ভারাটিয়া বলে । তুই আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলছিস ।(নীলা)

:+সালার টিকটোকার । তুই এখন রুম থেকে যাবি ।(নিদ্র)

:+হ্যাঁ,,,, যাচ্ছি তবে মনে রাখিস । আজ থেকে তুই আমার ফ্রেন্ড । আমারও একটা অধিকার আছে তোর উপর ।(নীলা)

:+তোর অধিকার মাই ফুট । তুই সুধু একটা মিনিট দারা ।(নিদ্র)

এই বলে নিদ্র রুমের ভিতরে কিছু একটা খুজতে লাগলো । অবস্তা সাংঘাতিক দেখে নীলা তারাতাড়ি নিদ্রর রুম থেকে বেরিয়ে আসলো । নীলা রুম থেকে বেরিয়ে যেতেই নিদ্র পিছন থেকে চিৎকার করে বললো ।

:+আর যাতে তোকে আমার সামনে না দেখি । তাহলে তোর খবর আছে বলে দিলাম ।(নিদ্র)

এই বলে নিদ্র আবার বেডে সুয়ে ঘুমুয়িয়ে পরলো ।
নিদ্রর রুমে থেকে বেরিয়ে নীলা লিফটের দিকে যাচ্ছিল । ঠিক তখনি তৃপ্তি নিচ তলা থেকে দোতলায় নিজের রুমে যাওয়ার জন্য সিরি বেয়ে উপরে উঠছিন । সিরি কাছে গিয়ে থমকে দাঁড়ালো নীলা । তৃপ্তিকে দেখে সে চমকে উঠলো ।

:+আচ্ছা তাহলে এই তার রহস্য । এই মেয়েটাই মনে হয় সেই মেয়ে । মেয়েটার ঠোঁট দুটো তো সেই সুন্দর । চোখ দুটো তো,,,,,,,বাহ এই কারনেই ওই সালা এই মেয়ের উপর আসক্ত । এই কারনেই ওই সালা আমাকে রিজেক্ট করছে । আমার বান্ধবী সুমি তো দেখছি ঠিকই বলছে ।(নীলা)

কথা গুলো মনে মনে বললো নীলা । তৃপ্তি সিরি বেয়ে উপর উঠে দেখলো একটা মেয়ে দারিয়ে আছে । সে কিছু না বলে মেয়েটার পাস কাটিয়ে চলে যাবে এমন সময় মেয়েটা তৃপ্তির উদ্দেশ্য বললো ।

:+নাম কি তোমার ।(নীলা)

তৃপ্তি দারিয়ে পরলো । এরপর নীলার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আমাকে বলছেন ।(তৃপ্তি)

:+তুমি ছারা এখানে আর কেও আছে ।(নীলা)

তৃপ্তি একবার চারপাসে তাকিয়ে বললো ।

:+না কেও নেই ।(তৃপ্তি)

:+তাহলে ।(নীলা)

:+ওহ আমার নাম তৃপ্তি ।(তৃপ্তি)

:+বাহ নামটাও তো খুব সুন্দর । চেহারা যেমন নামটাও তেমন ।(নীলা)

:+কিহ ,,,,, আপু আমি ঠিক বুঝলাম না ।(তৃপ্তি)

:+তোমাকে কিছু বুঝতেও হবে না তুমি যাও ।(নীলা)

:+কিন্তু,,,আপনার নাম কি আপু ।(তৃপ্তি)

:+আমার নাম দিয়ে তুমি কি করবে ।(নীলা)

:+না এমনি জ্বিঙ্গেস করলাম । আপনি আমার নাম জ্বিঙ্গেস করলেন । তাই আমিও আপনার নাম জ্বিঙ্গেস করলাম ।(তৃপ্তি)

:+এমন বাচ্চাদের মতো কথা বলছো কেন । আমার নাম নীলা । এই বাড়ির পাচ তলায় ভারা থাকি ।(নীলা)

:+ওহহহহ ।(তৃপ্তি)

:+যাও এবার ।(নীলা)

তৃপ্তি আর কথা না বলে সেখান থেকে চলে আসলো নিজের রুমে । আর নীলা চলে গেল নিজের ফ্ল্যাটে ।

:+আমি তো তোকে আগেই বলছিলাম তুই ওই মেয়ের থেকে কিছু না । এখন আমার কথার প্রমাণ পেলি ।(সুমি)

নীলা জোরে একটা হাসি দিয়ে বললো ।

:+তুই কি ভাবছিস । আমি ওই নিদ্রর পিছনে রিলেশন করার জন্য পরে ছিলাম ।(নীলা)

:+তাহলে ।(সুমি)

:+আরে বাবা আমি ছাদে যাওয়ার জন্য প্লেন করছিলাম । এখন একটা প্লেন সাকসেসফুল হবে ।(নীলা)

:+মানে কি এসবের । তুই এই ১মাস সুধু ছাদে যাওয়ার জন্য নিদ্র ভাইয়ার পিছনে রিলেশনের বাহানা দিয়ে গুর গুর করছিলি ।(সুমি)

:+হ্যাঁ,,,,,তবে রিলেশন হয়ে গেলেও ছারতাম না তাকে ।(নীলা)

:+তাহলে কি ছাদে যাওয়ার পারমিশন দিয়ে দিছে ।(সুমি)

:+আরে না দেয়নি । ওই ছেরা আমার সাথে ঘার তেরা করে কথা বলে ।(নীলা)

:+তাহলে এই যে বললি একটা প্লেন সাকসেসফুল হবে ।(সুমি)

:+হুম হবে । এখন থেকে ওই সালা নিদ্র বাদ এখন থেকে আমার টার্গেট তৃপ্তি ।(নীলা)

:+তৃপ্তি,,,,,এ আবার কে ।(সুমি)

:+আরে ওই মেয়ে । নিদ্রর চাচা তো বোন ।(নীলা)

:+কি করবি ওই মেয়ের সাথে ।(সুমি)

:+বন্ধুত্ব পাতাবো ।(নীলা)

:+মানে ।(সুমি)

:+হুম বন্ধুত্ব পাতাবো । তারপর ওর দারা ছাদে যাবো । ছাদের প্লেসটা নিশ্চয়ই খুব সুন্দর হবে । ওখানে টিকটক ভিডিও বানালে আরো লাইক কমেন্ট বেসি পাওয়া যাবে কি বলিস ।(নীলা)

সুমি নিজের কপালে হাত রেখে বললো ।

:+তুই ছাদে টিকটক ভিডিও বানোর জন্য এতো দিন নিদ্র ভাইয়ার পিছনে এভাবে গুর গুর করছিলি ।(সুমি)

:+তো তোর কি মনে হয় এখন ।(নীলা)

:+সালি তোর জন্য আমি কতো কথা সুনছি । তুই সুধু এই টিকটক ভিডিও বানোর জন্য নিদ্র ভাইয়াকে এতো দিন জালিয়ে ছিস । আমাকে কতো কথা সুনিয়েছস । দারা তুই একটু ।(সুমি)

এই বলে সুমি বসা থেকে উঠে কিছু একটা খুজতে লাগলো । নীলা আর সেখানে না বসে থেকে দৌড়ে সুমির রুম থেকে বেরিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে চলে গেল ।

——————————————-

রাত১০.৩০বাজে……….
খবার টেবিলে বসে আছে । আমেনা তৃপ্তি নিদ্র আর ফরহাদ । আমেনা নিদ্রর উদ্দেশ্য বললো ।

:+কলেজ কবে থেকে সুরু হবে বলছে ।(আমেনা)

:+সামনের মাসের ১তারিখ থেকে ।(নিদ্র)

:+ওহ ।(আমেনা)

:+আচ্ছা বড় আম্মু নীলা মেয়েটা কে ।(তৃপ্তি)

আমেনা আর নিদ্র তৃপ্তির দিকে অবাক হয়ে তাকালো ।

:+কেন ।(আমেনা)

:+না মানে দুপুরে আমি যখন রুমের দিকে যাচ্ছিলাম তখন আমার সাথে দেখা হয় ।(তৃপ্তি)

:+কি বলেছে তোকে ও ।(নিদ্র)

:+তেমন কিছু বলেনি সুধু আমার নাম জিঙ্গেস করলো । আমি আমার নাম বললাম । এরপর আমিও তার নাম জিঙ্গেস করলাম তখন সে বললো তার নাম নীলা । তারা নাকি পাচ তলায় ভারা থাকে । (তৃপ্তি)

:+হুম ওরা পাচ তলায় ভারা থাকে । আর কিছু বলছে ।(আমেনা)

:+না আর কিছু বলেনি বড় আম্মু ।(তৃপ্তি)

:+অনেক কথা হয়েছে এবার খাবার খাও ।(ফরহাদ)

ফারহাদের কথায় সুনে সবাই খাবার খাওয়ার দিকে মন দিলো । অতপর খাবার খেয়ে সবাই নিজেদের রুমে চলে গেল । তবে আমেনা তৃপ্তির সাথে আজও ঘুমানোর জন্য এসছে । আমেনাকে জরিয়ে ধরে সুয়ে আছে তৃপ্তি ।

:+বড় আম্মু তুমি এখন আর আমার সাথে না ঘুমুলেও পারো । আমার এখন আর ভয় করে না ।(তৃপ্তি)

:+তাই নাকি ।(আমেনা)

:+হুম । কাল থেকে তুমি তোমার নিজের রুমে গিয়ে ঘুমুতে পারো ।(তৃপ্তি)

:+ঠিক আছে । কাল কেরটা কাল দেখা যাবে । এখন ঘুমা ।(আমেনা)

এরপর তৃপ্তি আমেনাকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরলো । আমেনা কিছু সময় তৃপ্তির মাথায় হাত বুলিয়ে তিনি নিজেও ঘুমিয়ে পরলেন ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

(।কপি করা নিষেধ।)

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here