তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_DaS #পর্ব__________19

0
115

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_DaS
#পর্ব__________19

পরের দিন রনি আরিয়ানের খোজে তার বাসায় গেল । কলিংবেল বাজানোর কিছুখন পর জান্নাত এসে দরজা খুলে দিলো ।

:+ভাবি আরিয়ান বাসায় আছে ।(রনি)

:+কেন কি দরকার ।(জান্নাত)

:+না এমনিই ।(রনি)

:+এমনি হলে আপমি এখন যান ও কোথাও যাবে না আজ ।(জান্নাত)

:+না মানে,,,,,,,,,,,,।(রনি)

জান্নাত রনির মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিলো । অতপর আরিয়ানের কাছে আসলো সে ।

:+কে এসে ছিল জানু ।(আরিয়ান)

:+তোমার ওই খচ্চর বন্ধু রনি ।(জান্নাত)

:+কোথায় এখন ও ।(আরিয়ান)

:+আমি দরজা লাগিয়ে চলে এসছি । মনে হয় এতোখনে চলেগেছে ।(জান্নাত)

আরিয়ান বসা থেকে উঠে বাহিরের দিকে পা বারাতেই জান্নাত আরিয়ানের হাত ধরে ফেললো ।

:+খবরদার,,,,,,, আজ বাসা থেকে এক পা বেরোলে খবর আছে তোমার । পা ভেঙ্গে ফেলবো একদম ।(জান্নাত)

আরিয়ান জান্নাতকে টান দিয়ে তার বুকের সাথে মিসিয়ে নিলো । এরপর কপালে চুমু খেয়ে বললো ।

:+সারাদিন বাসায় থাকলে মানুষ খারাপ বলবে না । বলবে দেখ ছেলেটা কত বউ পাগল সারাদিন বউয়ের আচলের নিচে বসে থাকে ।(আরিয়ান)

:+সারাদিন কোথায় । তুমি তো বিকেলে অফিস থেকে বাসায় আসো । সারাদিন তোমাকে কোথায় পাবো । আর কে কি বললো সেদিকে আমার কোন মাথা বেথা নেই ।(জান্নাত)

:+কিন্তু আমার আছে ।(আরিয়ান)

:+দেখ । আমি সারাদিন বাসায় একা থাকি ভালো লাগে না ।(জান্নাত)

:+একা কোথায় আম্মু আছে । আর পাসের ফ্লাটের আন্টিরা তো আছেই । তাদের সাথে গিয়ে কথা বলতে পরো ।(আরিয়ান)

:+ধুর,,, আমার ওই সব মহিলার সাথে কথা বলতে ভালো লাগে না । সারাখন সুধু সংসারে জামেলা লাগানোর কথা বলে । আর আম্মু তো একজন মানুষই বাবা । সারাখন সুধু তপসি আর কোরান নিয়ে বসে থাকেন । তার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি আমাকে কোরান দেখিয়ে দেন ।(জান্নাত)

:+তো আম্মুর সাথে কোরান পড়তে পরো না ।(আরিয়ান)

:+কতখন পড়বো বলো । সকালে ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে আম্মুর সাথে কোরান নিয়ে বসে পড়ি । ঠিক এক ঘন্টা বা দুই ঘন্টা পড়ি । এরপর নাশতা বানানো রান্না করা বাকি কাজ করে আবার সেই কোরান নিয়ে ,,,,।(জান্নাত)

আরিয়ান জান্নাতের ঠোঁটে আঙুল রেখে বললো ।

:+হয়েছে আমি বুঝতে পারছি । আমার জানুটার আর একা থাকতে ভালো লাগছে না ।(আরিয়ান)

:+হুমমম।(জান্নাত)

আরিয়ান জান্নাতের কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো ।

:+তাহলে কি আমার জানু বেবি আপদার করতে লজ্জা পাচ্ছে । যা মনের ভিতরে লুকিয়ে রেখেছে ।(আরিয়ান)

আরিয়ানের কথা সুনে জান্নাত আরিয়ানের বুকে টি শার্টের মধ্যে মুখ লুকালো । আরিয়ান জান্নাতকে জরিয়ে ধরে বললো ।

:+তাহলে তো আমাকে অনেক মেহনত করতে হবে দেখছি ।(আরিয়ান)

জান্নাত আরিয়ানের পেটে গুতু দিয়ে বললো ।

:+যা দুষ্টু ।(জান্নাত)

:+আচ্ছা জানু এখন আমাকে যেতে দাও রনি ওয়েট করছে হয় তো । কথা দিচ্ছি আজ তারাতাড়ি চলে আসবো ।(আরিয়ান)

:+সত্যি তো । নাকি আজও লেট করে আসবা ।(জান্নাত)

:+না জানু সত্যি বলছি । রাত ৮টার আগেই চলে আসবো ।(আরিয়ান)

:+মনে থাকে যেন । নাহলে বুঝবে আজ এই জান্নাত কি করে তোমার হাল । কাল কিন্তু ছার দিয়েছি ।(জান্নাত)

:+তাহলে এখন ছারো । আমি যাই ।(আরিয়ান)

:+সুনো না ।(জান্নাত)

:+হুম বলো ।(আরিয়ান)

:+আমার না ।(জান্নাত)

:+হুম ।(আরিয়ান)

:+একটা পাপ্পি খেতে ইচ্ছে করছে ।(জান্নাত)

:+ওলে বাবালে । তাই জন্য বুঝি আমার জানু আমাকে এভাবে জরিয়ে ধরে আছে ।(আরিয়ান)

:+হুমমমমমমমমম।(জান্নাত)

হুম বলতে দেরি আরিয়ান জান্নাতের ঠোঁট নিজের দখলে করতে দেরি করলো না । দুজনে সমান তালে তাল মিলিয়ে চলছিল কিছুখন । আরিয়ান কিছু সময় পর জান্নাতকে ছেরে দিলো । এরপর কপালে একটা চুমু দিয়ে বলল ।

:+তাহলে আমি এখন যাই জানু ।(আরিয়ান)

:+হুম যাও । তবে যাওয়ার আগে আয়নায় নিজের মুখ অবশ্যই দেখে যাবা ।😌(জান্নাত)

এই বলে জান্নাত রুম থেকে বেরিয়ে গেল । আরিয়ান প্রথমে কিছু বুঝতে পারেনি জান্নাত তাকে কেন আয়না দেখতে বলছে । পরে যখন সে আয়নার সামনে এসে দারালো তখন সে নিজেকে নিজে দেখেই হেসে উঠলো । অতপর ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলো আরিয়ান । সোজা সেই আগের দিনের যায়গায় চলে গেল সে । গিয়ে দেখলো রনি বসে বসে সিগারেট খাচ্ছে ।

:+কিরে সালা এখন আসার টাইম হলো । ভাবি ছারতে চাচ্ছিলো না তাই না ।(রনি)

:+আরে তুই তো যানিস জান্নাত,,,,,,,,,,।(আরয়ান)

:+ধুর সালা বউ পাগল । আর কথা বারাস না এখন বাকি ইস্টুরি সুরু কর । আজ তোকে পুরোটা সুনাতেই হবে ।(রনি)

:+ওকে বাবা আজ পুরোটাই সুনিয়ে যাবো ।(আরিয়ান)

:+তাহলে সুরু কর ।(রনি)

:+কোথায় যেন শেষ করে রেখে গিয়েছিলাম ।(আরিয়ান)

:+উমমমমম।🤔ও হ্যাঁ মনে পড়ছে । সুমি নীলার কাছে গিয়ে নিদ্রর কথা বললো । নিদ্র বাড়িতে এসে পরছে,,,,, ।(রনি)

:+বাচ বাচ মনে পড়ছে আর বলতে হবে না ।(আরিয়ান)

:+তাহলে বল ।(রনি)

:+ওকে বাট কালকের মতো যদি গল্পের মাজখানে কথা বলিস তাহলে তোকে পিটামু আজ ।(আরিয়ান)

:+ঠিক আছে ভাই তুই বল আমি কিছু কমু না।(রনি)

—————————————–

সুমি নীলাকে ওসব বলার পর থেকে নীলার মন আনচান করছে নিদ্রর সাথে দেখা করার জন্য । ছাদের দরজার কাছে এ প্রজন্ত চার/পাঁচ বার আপ-ডাউন করেছে সে । যতবার নীলা ছাদে দরজার কাছে গিয়েছে ততবার দরজা বন্ধ পেয়েছে । রাগে পুরো গা জ্বলছে তার । দরজা বন্ধ থাকার কারন নিদ্র আর তৃপ্তি ছাদে বসে আছে দোলনার উপর । আর নিদ্র তো ছাদে যাওয়া মাত্রই দরজা লাগিয়ে দিয়েছিল । এবার ছাদের দরজার কাছে গিয়ে পুরো মাথা গরম হয়ে গেল নীলার । কারন ছাদের দরজা তালা মারা । নিদ্র আর তৃপ্তি কোন সময় ছাদ থেকে নেমে গেছে সেটা নীলা টেরই পায়নি । শেষে রাগে দুঃখে নিজের রুমে গিয়ে তার টেডি টাকে জরিয়ে ধরে সুয়ে পরলো নীলা আর বললো ।

:+আজ দেখতে পাইনি তো কি হইছে । কাল তো দেখতে পাবো তোমায় । আমি চাইলে এখন নিচে গিয়ে তোমায় দেখতে পারি । কিন্তু দেখবো না ।
সুনেছি অপেক্ষার জিনিস খুব মিষ্টি ও ভালো হয় । দেখি আমার কপালে কি আছে ।
আর এটাও দেখবো মেয়েটা তোমার কে হয় । তোমার সাথে তার কিসের সম্পর্ক । আন্টিকে বার বার বলছি তুমি বাসায় এলে যেন আমাকে যানায় । কিন্তু ওই ডাইনিটা আমাকে কিছুই যানায়নি । ওকে তো আমি পরে দেখে নেবো । আগে তোমার সাথে আমার রিলেশন হোক তারপর ।(নীলা)

এই রকম আরো অনেক কথা বলতে লাগলো নীলা ।

নিদ্র আর তৃপ্তি ছাদ থেকে নেমে নিজেদের রুমে চলে গেল । লিফটের মধ্যে ঠিক আগের মতো জরিয়ে ধরে ছিল তৃপ্তি নিদ্রকে । সন্ধ্যা নেমেছে আজনও দিয়েছে তাই তৃপ্তি অজু করে নামাজে বসে পড়লো । নিদ্র নিজ রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল বন্ধুদের কাছে । তৃপ্তি নামাজ শেষ করে নিচে চলে গেল আমেনার কাছে । এরপর আমেনার সাথে গল্প জুরে দিলো তৃপ্তি ।

রাত ১১টায়………
খাবার টেবিলে বসে আছে নিদ্র /তৃপ্তি /ফরহাদ আর আমেনা । সবাই খাবার খাচ্ছে । ফরহাদ নিদ্রকে উদ্দেশ্য করে বললো ।

:+আর কতো এভাবে টো টো করে ঘুরে বেড়াবি । এবার তো অফিসে জয়েন কর ।(ফরহাদ)

:+পাপা আমি তোমাকে আগেও বলছি ।। এখন ও আবার বলছি ।। আমার সময় হলে আমি অফিসে জয়েন করবো ।। আমাকে প্লিজ এখন আমার মতো থাকতে দাও ।(নিদ্র)

:+তা তোর সময় কবে হবে সুনি । (আমেনা)

:+MOM………..।(নিদ্র)

:+আমেনা তুমি কিছু বলো না এখন । আমি তো এখনো আছি অফিস চালানোর জন্য । ওর সময় হক তারপর ও দেখবে না হয় । আমি তো সুদু ওকে এটা বলতে চেয়েছি যে । ওতো ঘুরে রেড়াচ্ছে অফিসে গেলে একটু ভালো হতো এই আর কি ।(ফরহাদ)

আমেনা চোখ লাল করে ফরহাদের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+তোমরা বাপ ছেলে যা ইচ্ছা কর । তবে আমার কোম্পানির কিছু হলে আমি কাওকে ছার দেবো না ।(আমেনা)

:+আমেনা,,,,,,।(ফরহাদ)

:+এখন খাবার খাও । কথা কম বলো ।(আমেনা)

ফরহাদ আর কিছু বললো না । তৃপ্তি তাদের তিন জনের দিকে এক বার তাকিয়ে আবার নিজের খাওয়ায় মন দিলো । সবাই খাবার খেয়ে যে যার রুমে চলে গেল । তবে আমেনা আজও তৃপ্তি সাথে ঘুমিয়েছেন । তৃপ্তির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে আমেনা । আর তৃপ্তি আমেনাকে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে ।

:+আচ্ছা,,,,, বড় আম্মু । তোমাদের বাড়ির এই রুম গুলো এতো বড় কেন ।(তৃপ্তি)

:+বাড়ি বানানোর সময় রুম গুলো বড় করেই বানানো হয়েছে । যাতে পরে কোন সমস্যা না হয় । আর রুম বড় থাকা ভালো । রুমের ভিতরে সব কিছু সুন্দর ভাবে গোছ গাছ করে রাখা যায় ।(আমেনা)

:+ওওও । আর,,,,,। (তৃপ্তি)

:+এই চুপ আর একটা কথাও না । এখন ঘুমো রাত অনেক হইছে । যা বলার আছে কালকে বলবি।(আমেনা)

:+ঠিক আছে ।(তৃপ্তি)

এই বলে তৃপ্তি আমেনাকে জরিয়ে ধরে চুপ চাপ ঘুমিয়ে পরলো । আমেনা তৃপ্তির কপালে একটা চুমু দিয়ে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে নিজেও ঘুমিয়ে পরলেন ।

———————————

প্রতিদিনের মতো আজও ভোরে ঘুম থেকে উঠে পড়েন আমেনা। তৃপ্তিকে ডেকে ওয়াসরুমে দিয়ে তিনি তার নিজের রুমে চলে যান । এরপর অজু করে নামাজ পড়ে নিজের কাজে লেগে পড়েন ।
তৃপ্তি নামাজ পড়ে আবার ঘুম দিলো । রিতি মতো ৮টায় ঘুম ভাঙ্গলো । ফ্রেশ হয়ে নিদ্রর রুমে চলে গেল তৃপ্তি ।

:+ভাইয়া,,,,, এই ভাইয়া উঠো আর কতো ঘুমোবে ।(তৃপ্তি)

কিন্তু নিদ্রর কোন হেল দোল নেই । একে বারে নিশ্চিন্তে ঘুমুচ্ছে সে । তৃপ্তি এভাবে আরো কয়েক বার ডাক দিলো কিন্তু তাও কোন হেল দোল নেই । এবার তৃপ্তির রাগ উঠে গেল । নিদ্রর এক হাত ধরে টানতে লাগলো আর বলতে লাগলো ।

:+উঠ সায়তান আর কতো ঘুমুবি । ৮টার বেসি বাজে । আমি কলেজে যাবো ভর্তি হতে ,,,,উঠ ।(তৃপ্তি)

এভাবে টানাটানি আর চিৎকার চেচামেচির কারনে নিদ্রর ঘুম ভেঙ্গে যায় । চোখ খুলে তৃপ্তিকে দেখলো সে । তৃপ্তিকে দেখে এক টানে তৃপ্তিকে বিছানায় ফেলে দিলো নিদ্র । এরপর তৃপ্তিকে জরিয়ে ধরল ।

:+আহ,,, ভাইয়া কি করছো ছারো বড় আম্মু ডাকছে নিচে যেতে হবে ।(তৃপ্তি)

:+আমি আরো একটু ঘুমোবো ।(নিদ্র)

:+না ভাইয়া প্লিজ উঠে পরো । আমার সোনা ভাইয়া । আজ না কলেজে ভর্তি হতে যাবো ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির গলায় মুখ গুজে দিয়ে বললো ।

:+আমি এখন আরো একটু ঘুমোবো । আর তুই এখন এখানে চুপ করে শুয়ে থাকবি ।(নিদ্র)

:+না ভাইয়া প্লিজ আজ না কাল । কাল তুমি যতখন বলবে ততখন তোমার পাসে শুয়ে থাকবো । কিন্তু এখন উঠে পরো প্লিজ ।(তৃপ্তি)

:+না আজই শুয়ে থাকবি ।(নিদ্র)

:+ধুরর।(তৃপ্তি)

এই বলে তৃপ্তি নিদ্রকে জোরে একটা ধাক্কা দিয়ে বেড থেকে নেমে সোজা নিচে চলে আসলো ।
ধাক্কা খেয়ে নিদ্রর হুস ফিরলো । শুয়া থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে চলে গেল । অতপর সকালের নাশতা শেষ করলো । সকালের নাশতা শেষ করে ফরহাদ চলে যান অফিসে আর আমেনা কিচেনে রান্না করার জন্য চলে যান । তৃপ্তি বোরখা হিজাব নিকাব পরে তৈরি হয়ে নিচ্ছে কলেজে যাওয়ার জন্য ।

সকাল ১০টা…………..
নিদ্র রেডি হয়ে নিচে বসে আছে । তৃপ্তিকে নিয়ে কলেজে যাবে বলে । তৃপ্তি রেডি হয়ে নিচে এসে দারালো নিদ্রর সামনে ।

:+এখানেও বোরখা পরে যাবি ।(নিদ্র)

:+হুম কেন ।(তৃপ্তি)

:+আচ্ছা আমাকে একটা কথা বল । তুই কি বাড়িতে যখন স্কুলে যেতি তখনও কি বোরখা পরে যেতি ।(নিদ্র)

:+হুম । বোরখা পরেই যেতাম ।(তৃপ্তি)

:+ও ও ও ।(নিদ্র)

:+আচ্ছা তুমি আমাকে একটা কথা বলো । আমাকে কি বোরখা পড়লে খারাপ দেখায় ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির পা থেকে মাথা প্রজন্ত দেখলো । তৃপ্তি নীল কালারের বোরখা বাদামি কালারের হিজার আর কালো নিকাব পড়ছে । হিজাব আর নিকাবের মাজ খান দিয়ে চোখ দুটো যেন হনির এর মতো দেখাচ্ছে । যে কাওকে ঘায়েল করা যাবে এই চোখ দিয়ে । নিদ্র তৃপ্তির থেকে চোখ নামিয়ে বললো ।

:+একটা চশমা আর হাতে মুজা পরে নিলে ভালো হতো ।(নিদ্র)

:+কেন ।(তৃপ্তি)

নিদ্র বিরবির করে বললো ।

:+তাহলে আর এই রুপে কেও ঘায়েল হতো না । চোখ দুটো তো একে বারে হরিনের মতো করে রেখেছিস । আর হাত দুটো তো,,,,,,,, হে আল্লাহ আমি আবার নামাজ পড়া শুরু করবো । তুমি প্লিজ আমার কিউটিকে আমার করে রেখো ।(নিদ্র)

:+এই তুমি কি বিরবির করছো ।(তৃপ্তি)

:+না কিছু না । চল যাই ।(নিদ্র)

:+হুম চলো ।(তৃপ্তি)

:+সাটিফিকেট আর বাকি কাগজ গুলো নিয়েছিস তো ।(নিদ্র)

:+হুম।।নিয়েছি ।(তৃপ্তি)

এরপর নিদ্র আর তৃপ্তি বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলো । নিদ্র বাইকে উঠে বসলো ।

:+পিছনে উঠে বস ।(নিদ্র)

:+না বাবা আমি পারবো না । আমার ভয় করে । আমি কখনো বাইকে উঠিনি ।(তৃপ্তি)

:+পিছনে উঠে বস । আমি আছি কোন প্রবলেম হবে না ।(নিদ্র)

:+না আমার ভয় করছে । গাড়ি কোথায় । গাড়ি নিয়ে চলো ।(তৃপ্তি)

:+গাড়ি পাপা নিয়ে গেছে । তুই পিছনে উঠে বস কোন সমস্যা হবে না ।(নিদ্র)

:+না আমি বাইকে উঠবো না ।(তৃপ্তি)

:+ধুর উঠ তো । লেট হচ্ছে ।(নিদ্র)

একটু ধমকের সুরে বলল নিদ্র । ধমক খেয়ে বাইকের পিছনে উঠে বসলো তৃপ্তি । নিদ্র বাইক ইস্টাড দিতেই তৃপ্তি চোখ মুখ বুজে নিদ্রকে পিছন থেকে শক্ত করে জরিয়ে ধরল ।

:+কুতা আজ বাসায় আগে আসি তারপর দেখাবো মজা ।(তৃপ্তি)

মনে মনে বলল তৃপ্তি । নিদ্র কিছু একটা ভেবে ঘার কাত করে পিছনে একবার তাকালো । এরপর বাইক নিয়ে সোজা কলেজে চলে আসলো । মাত্র তিন মিনিট সময় লাগলো তাদের কলেজে আসতে । কলেজের মাঠের এক কোনায় বাইক পার্ক করলো নিদ্র । তৃপ্তি এখনো চুপচাপ শক্ত করে জরিয়ে ধরে আছে নিদ্রকে । নিদ্র একটু হেসে সান্ত কন্ঠে তৃপ্তিকে ডাক দিলো ।

:+তৃপ্তি ।(নিদ্র)

:+হুম ।(তৃপ্তি)

:+ছার আমায় । দেখ কলেজে চলে এসছি ।(নিদ্র)

তৃপ্তি চট করে চোখ খুললো । সে চোখ খুলে চার পাসে তাকিয়ে দেখলো কলেজের প্রায় সব ছেলে মেয়েরা তাদের দিকে তাকিয়ে আছে ।

:+ছার আমায় বাইক থেকে নাম ।(নিদ্র)

:+এতো তারাতাড়ি চলে এলাম আমরা ।(তৃপ্তি)

:+হুম এখন বাইক থেকে নাম ।(নিদ্র)

তৃপ্তি আর কোন কথা না বলে নিদ্রকে ছেরে দিয়ে বাইক থেকে নেমে দারালো । নিদ্র বাইকের চাবি হাতে নিয়ে বাইক থেকে নেমে দারালো । নিদ্র বাইক থেকে নামতেই তৃপ্তি নিদ্র ডান হাত তার দুহাত দিয়ে জরিয়ে নিলো । তখন আদি আসলো তাদের কাছে ।

:+কিরে পিন্সিপেল স্যারের সাথে কথা বলেছিস ।(নিদ্র)

:+হুম ভাই কথা বলে রেখেছি । আপনি সুধু এখন যাবেন আর ভর্তি ফ্রম পূরণ করবেন বাচ এতো টুকুই ।(আদি)

:+ভাইয়া এই ছেলেটা কে । আরে এই ছেলেটা সেই ছেলেটা না । যে তোমার পা ধরে ছিল ।(তৃপ্তি)

নিদ্রকে উদ্দেশ্য করে বললো তৃপ্তি ।

:+তৃপ্তি এই সব বলতে নেই । আদি ওর ভুল বুঝতে পেরেছে । আর আদি তোর বড় আজ থেকে আদিকে ভাই বলে ডাকবি ।(নিদ্র)

:+কিন্তু,,,,,,।(তৃপ্তি)

:+কোন কিন্তু না ।(নিদ্র)

:+ঠিক আছে ।(তৃপ্তি)

:+সরি আপুনি আমরা বুঝতে পারিনি ।(আদি)

:+ইটস ওকে ভাইয়া ।(তৃপ্তি)

:+আচ্ছা আদি চল তোদের পিন্সিপেল স্যারের কাছে যাই ।(নিদ্র)

:+হুম ভাই চলেন ।(আদি)

এরপর নিদ্র তৃপ্তি আর আদি পিন্সিপেল রুমের দিকে হাটা ধরলো । কিন্তু এতোখন প্রজন্ত এক জোরা চোখ তাদের দিকে খুব মন জোগ দিয়ে তাকিয়ে ছিল ।

:+দেখলি বৃষ্টি । আমার আগেই সন্দেহ হয়েছিল নিদ্র ভাইয়ার উপর । নিদ্র ভাইয়ার কারো না কারো সাথে রিলেশন আছেই । নাহলে তোর মতো এতো সুন্দর একটা মেয়েকে কেও রিজেক্ট করে । আর দেখ কেমন খেত মেয়ের সাথে রিলেশন করছে । বোরখা হিজাব নিকাব এসব কি ভাই । এসব পরে কেও কলেজে আসে । আর দেখ কেমন বুড়ি বড়ি দেখাচ্চে মেয়েটাকে ।(রুমি)

:+রুমি তুই চুপ করবি ।(বৃষ্টি)

:+চুপ করে থাকি কি করে বল । আমাদের এতো সুন্দর বান্ধবীকে রিজেক্ট করে শেষে কিনা একটা খেত মেয়ের সাথে রিলেশন করলো ।(রুমি)

:+আমি তো দেখে নেবো ওই মেয়েকে ।(বৃষ্টি)

চোখ মুখ লাল করে বান্ধবী রুমির পাস থেকে উঠে চলে গেল বৃষ্টি ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

((কপি করা নিষেধ))

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here