তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________18 (বোনাস পর্ব)

0
116

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________18
(বোনাস পর্ব)

সকাল ভোরে আমেনা ঘুম থেকে উঠে পরেন । এরপর শান্ত গলায় তৃপ্তিকে ডেকে তুলেন তিনি ।

:+তৃপ্তি,,,, তৃপ্তি,,,,,উঠ মা । নামাজ পড়বি না । আযান দিয়ে দিয়েছে ।(আমেনা)

:+ঊহ । আম্মু যাও তো । আজ পড়বো না । প্লিজ ঘুমুতে দাও । প্রতিদিন ভালোলাগে না ।(তৃপ্তি)

আমেনা একটু হাসলো । এরপর তৃপ্তির কপালে চুমু দিয়ে মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললেন ।

:+আমি তোর আম্মু নই । তোর বড় আম্মু আমি ।(আমেনা)

তৃপ্তি চট করে চোখ খুলে আমেনার দিকে তাকালো । সে তো কিছু সময়ের জন্য ভুলেই গেছিল । যে সে তার বাড়িতে না তার বড় আব্বুর বাড়িতে আছে ।

:+আসলে বড় আম্মু । প্রতিদিন আম্মু নামাজের সময় ডেকে দেয় তো । তাই এমন হয়ে গেছে ।(তৃপ্তি)

:+বুঝচ্ছি । আর এমটাই হওয়া সাভাবিক । এক যায়গা থেকে আরেক যায়গায় আসছিস । একটু তো মানিয়ে নিতে কষ্ট হবেই ।(আমেনা)

তৃপ্তি আমেনাকে জরিয়ে ধরে বললো ।

:+বড় আম্মু তুমি খুব ভালো গো । ঠিক আমার মায়ের মতো সব কিছু করছো ।(তৃপ্তি)

:+হুমম । আর আমি এতো টাও ভালো না বুঝলি । আমার কথা না সুনলে পিটুনি খাবি ।(আমেনা)

তৃপ্তি আমেনার বুকে মুখ লুকিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরে বললো ।

:+আমি যানি তুমি আমাকে কোন দিনও পিটা দিতে পারবে না । এতএব পিটার কথা বলে লাভ নেই ।(তৃপ্তি)

আমেনা একটু হাসলো । এরপর তৃপ্তির মাথায় হাত বুলিয়ে বলেন ।

:+হয়েছে এবার ছার । নামাজের সময় পেরিয়ে যাচ্ছে । আমকেও তো আবার নামাজ পরতে হবে ।(আমেনা)

এরপর তৃপ্তি আমেনাকে ছেরে দিলো । আমেনা উঠে বেড থেকে নেমে তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে চলে আসলো । ফরহাদকে ডেকে তুলে নামাজে পাঠান তিনি । নিদ্রকে অনেক বার নামজের কথা বলেছেন আমেনা । কিন্তু ফল স্রুতিতে শূন্য পেলেন । যতবারই তিনি নিদ্রকে নামাজের কথা বলেছেন । তত বারই নিদ্র তাকে বিভিন্ন কথা সুনিয়ে দিয়েছে । নিজ রুমে গিয়ে আজু করে নামাজে বসে পরেন আমেনা । তৃপ্তি ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে আসলো । এতপর নামাজে বসে পরলো সে ।
আমেনা নামজ শেষ করে কিচেনে চলে যান ।
ফরহাদ নামাজ পড়ে এসে আবার ঘুমিয়ে পরেন ।
তৃপ্তিও নামাজ শেষ করে ঘুমিয়ে পরে ।

——————————————–

সকাল ৮টায়………
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচ তলায় নামলো তৃপ্তি ।
নিচ তলায় সোফার উপর বসে খবরের কাগজ পড়ছে ফরহাদ । তৃপ্তিকে দেখে তিনি বলেন ।

:+গুড মর্নিং মামুনি ।(ফরহাদ)

তৃপ্তি ফরহাদের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিয়ে বলল ।

:+গুড মর্নিং বড় আব্বু ।(তৃপ্তি)

:+আ হা । আজ দিনটা মনে হয় ভালো কাটবে ।(ফরহাদ)

তৃপ্তি ফরহাদের কাছে এসে দারালো ।

:+কি ভাবে বুঝলে বড় আব্বু ।(তৃপ্তি)

:+এই যে সাত সকালে আমার মামুনির হাসি দেখে বুঝেছি ।(ফরহাদ)

তৃপ্তি ফিক করে হেসে দিলো ।

:+কারো হাসি দেখে দিন ভালো কাটে এটা আজ প্রথম সুনলাম বড় আব্বু ।(তৃপ্তি)

:+তাই ।(ফরহাদ)

:+হুম । আচ্ছা আমি বড় আম্মু কাছে যাই ।(তৃপ্তি)

:+ঠিক আছে ।(ফরহাদ)

এরপর তৃপ্তি ফরহাদের কাছ থেকে আমেনার কাছে কিচেনে চলে যায় । কিচেনের দরজার কাছে গিয়ে দারালো তৃপ্তি । ভিতরে তাকিয়ে দেখে একজন মহিলা মসলা বাটছেন । আর আমেনা সকালের নাশতার জন্য পরোটা ভাজচ্ছে । তার পরটা ভাজা প্রায় শেষ । তৃপ্তি আমেনার উদ্দেশ্য বলল।

:+কি করছো বড় আম্মু ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা সুনে দরজার দিকে তাকালো আমেনা । দেখলো তৃপ্তি দরিয়ে আছে । আমেনা একটু হেসে বললো ।

:+পরোটা ভাজচ্ছি । ঘুম থেকে উঠলি কখন । (আমেনা)

তৃপ্তি আমেনার কাছে এসে দারালো ।

:+এই তো সবে মাত্র । পরোটা ভাজচ্ছো কেন । রুটি বানাতে পারো না ।(তৃপ্তি)

:+পাড়ি তো । কিন্তু পরোটা ভাজলে সমস্য কি ।(আমেনা)

:+সমস্য আছে তো । আম্মু বলে সকালে খালি পেটে তেলের জিনিস খেতে নেই । খেলে পেটে গ্যাস হবে ।(তৃপ্তি)

আমেনা তৃপ্তির বাম গাল তার ডান হাত দিয়ে টান দিয়ে বলেন ।

:+ওরে পাকনা বুড়ি । তাই বলে বুঝি তোর আম্মু ।(আমেনা)

:+হুমমমম । বড় আম্মু তোমার হাতে এগুলো কি । হলুদের গুরো না ।(তৃপ্তি)

:+আয় হায় । আমি আমার পাকনা বুড়ির সুন্দর গালে হলুদের গুরো লাগিয়ে দিয়েছি । তারাতাড়ি বেসিংএ গিয়ে ধুয়ে ফেল যা ।(আমেনা)

তৃপ্তি কিচেনের বেসিংএ গিয়ে মুখ ধুয়ে ফেললো । এরপর আমেনার কাছে এসে মুখে লেগে থাকা পানি আমেনার কাপড়ের আচল দিয়ে মুছে নিলো ।

:+তুমি হলুদের গুরো লাগিয়েছো । তাই তোমার আচলে পানি মুছে নিলাম ।(তৃপ্তি)

আমেনা হেসে উঠলো । সাথে কাজের মহিলাও । যে মসলা বাটছিল ।

:+তা আমার পাকনা বুড়ি কি পরোটা খাবে । নাকি তার জন্য রুটি বানাবো ।(আমেনা)

:+পরোটা যেহেতু বানিয়ে ফেলেছো । তাহলে আজ পরোটাই খাবো । কাল থেকে আর এগুলো বানাবে না ।(তৃপ্তি)

:+তো কি বানাবো ।(আমেনা)

:+রুটি বানাবে । রুটি সাস্বতের জন্য ভালো ।(তৃপ্তি)

:+ঠিক আছে পাকনা বুড়ি তাহলে আপনার জন্য রুটিন চেঞ্জ করলাম ।(আমেনা)

:+সুধু আমার জন্য না । সবার জন্য পরোটা খাওয়া বন্ধ ।(তৃপ্তি)

:+ওকে বুড়ি ওকে । এবার যা তোর নিদ্র ভাইয়াকে ডেকে নিয়ে আয় ।(আমেনা)

:+আচ্ছা ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তি কিচেন থেকে বেরিয়ে আসলো । কাজের মহিলা আমেনার উদ্দেশ্য বলল ।

:+ মাশাআল্লাহ । এই মেয়েটা কে আপা । এতো দেখতো ভারি মিস্টি মেয়ে ।(কাজের মহিলা)

আমেনা হেসে বললেন ।

:+এ আমার দেবোরের মেয়ে । আজ থেকে এখানেই থাকবে । পড়া লেখা করতে এসছে এখানে ।(আমেনা)

:+ওওওও ।(কাজের মহিলা)

:+তুমি কাজ করো ।(আমেনা)

কাজের মহিলা আবার নিজের কাজে মন দিলো ।
তৃপ্তি কিচেন থেকে বেরিয়ে সোজা দোতলায় নিদ্রর রুমের সামনে চলে আসলো । এরপর দরজা খুলে রুমের ভিতরে গেল সে । এখন আর তৃপ্তির দরজা খুলতে সমস্যা হয় না । নিদ্র দেখিয়ে দেওয়ার পর থেকে তৃপ্তি অনেক বার দরজা খুলছে আর লাগিয়েছে । নিদ্রর বেডের কাছে গিয়ে দারালো তৃপ্তি । নিদ্র অতল ঘুমে তলিয়ে আছে । বেডের পাসে ছোট একটা টেবিলের উপর টেবিল লাইটের পাসে নিদ্রর ফোন রাখা । ফোন দেখে তৃপ্তির মুখে হাসি ফুটে উঠলো । তারাতাড়ি ফোন হাতে নিয়ে নিদ্রর পাসে বেডে সুয়ে পরলো সে । ফোনের কল খুলে গেম অপেন করলো তৃপ্তি । এতপর সব ভুলে আপন মনে গেম খেলতে লাগলো । ২০ লেভেলের শেষ প্রজায় গিয়ে আউট হয়ে গেল তৃপ্তি । এই সময় আউট হলে যে কারো মাথা খারাপ হয়ে যাবে । তৃপ্তিরও বেতিক্রম হলো না রাগ উঠে গেল তার । বাম হাতে ফোন রেখে ফোনের দিকে তাকিয়ে । ডান হাত আর ডান পা দিয়ে বেডে ঘুশি আর লাথি দিতে লাগলো । কিন্তু তৃপ্তি তো ভুলে গেছে যে তার পাসে সুয়ে আছে নিদ্র

হঠাৎ লাথি ঘুশি নিদ্রর শরীরে পরায় ধরফরিয়ে উঠে বসলো সে । চোখ ছোট ছোট করে পাসে তাকিয়ে দেখলো তৃপ্তি ফোনের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছে । নিদ্র দু’হাত দিয়ে চোখের পাতা মুছে ঘাড় কাত করে একটু যুকে ফোনের স্কিনে তাকিয়ে দেখলো । laval 20 lodgin…….এটা দেখে নিদ্র বুঝে গেলো । তৃপ্তি লেভেল ২০ এ আউট হওয়ার পর এখন আবার নতুন করে লেভেল ২০ এ ডুকছে । নিদ্র একটু হাসলো । তৃপ্তি এক দৃষ্টিতে ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে । নিদ্র টান দিয়ে তৃপ্তির হাত থেকে ফোনটা নিয়ে নিলো । হঠাৎ এমন হওয়ায় তৃপ্তি আরো রেগে গেল । নিদ্রকে ধাক্কা দিয়ে বেডে সুয়িয়ে দিয়ে নিদ্রর পেটের উপর উঠে বসলো তৃপ্তি ।

:+ফোন দে সয়তান । লেভেল ২০ এ আউট হয়ে গেছি । এমনি তেই মাথা গরম আছে । আর মাথা গরম করিস না ।(তৃপ্তি)

:+আহহ । বেথ্যা পাচ্ছি তৃপ্তি সর ।(নিদ্র)

:+না আগে ফোন দাও ।(তৃপ্তি)

:+এ নে ।(নিদ্র)

নিদ্র তার হাত থেকে তৃপ্তির হাতে ফোনটা দিয়ে দিলো ।

:+এবার সর ।(নিদ্র)

:+না সরবো না । আমার হাত থেকে ফোন নিলে কেন । এটা তার শান্তি ।(তৃপ্তি)

এই বলে তৃপ্তি নিদ্রর পেটের উপর বসেই গেম খেলতে লাগলো । নিদ্রর কেমন যেন আনিজি ফিল হচ্ছে । কিছু একটা ভেবে তৃপ্তিকে টান দিয়ে নিজের বুকের সাথে জরিয়ে ধরলো নিদ্র ।

:+আহহ । ভাইয়া প্লিজ ছারো গেমে আউট হয়ে যাবো ।(তৃপ্তি)

কে সুনে কার কথা নিদ্র তৃপ্তিকে জোর করে জরিয়ে ধরে আছে । আর তৃপ্তি ছোটার চেস্টা করে যাচ্ছে ।

:+যা আবার আউট হয়ে গেলাম ।(তৃপ্তি)

মন খারাপ করে ফোনটা সাইডে রেখে নিদ্রর দিকে তাকালো তৃপ্তি । নিদ্র তৃপ্তির কপালে চুমু দিয়ে বললো ।

:+ভালো হইছে । এবার বল রুমে এলি কেন ।(নিদ্র)

তৃপ্তি কিছু খন ভেবে নিজের মাথায় নিজে থাপ্পড় দিয়ে বললো ।

:+ধুর ছাই । বড় আম্মু তোমাকে ফ্রেশ হয়ে নিচে যেতে বলছে । এই জন্য তোমার রুমে এসছি ।(তৃপ্তি)

:+তো এখানে এসে এসব কি হচ্ছে ।(নিদ্র)

:+ধুর । ছারো খুদা লাকছে নিচে যাবো । বড় আম্মু বসে আছে হয় তো ।(তৃপ্তি)

:+তোকে,,,,,,,,,,।(নিদ্র)

নিদ্র আর কিছু বলার আগে তৃপ্তি নিদ্রর থেকে জোর করে ছুটে নিচে চলে গেল । নিদ্র সুয়া থেকে উঠে ওয়াসরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেল । এতপর নাশতা শেষ করে যে যার কাজে চলে গেল ।
ফরহাদ চলে গেল অফিসে । আমেনা চলে গেল কিচেনে । নিদ্র চলে গেল বাহিয়ে বন্ধুদের কাছে । নিদ্র তৃপ্তিকে বলেছিল আজ কলেজে যাবে কিনা ভর্তির জন্য । কিন্তু তৃপ্তি না করে দিয়েছে আজ সে ভর্তি হতে যাবে না কাল যাবে । এতপর নিদ্রর ফোন তৃপ্তির কাছে রয়ে গেল আর নিদ্র বাহিরে বন্ধুদের কাছে চলে গেল ।

————————————–

বিকেল আরে ৫টায়………
নিজ রুমে শুয়ে শুয়ে নিদ্রর ফোনে গেম খেলছে তৃপ্তি । নিদ্র নিজের রুমে ঘুমোচ্ছিল । দুপুরে খেয়ে রুমে এসে ঘুম দিয়ে ছিল সে । বেকার ছেলের আর কি কাজ এখন । অর্নাস কমপ্লিট করে টো টো করে ঘুরে বেরাচ্ছে বন্ধুদের সাথে । ফরহাদ বার বার বলছেন তার সাথে অফিসের কাজে হাত লাগাতে কিন্তু নিদ্র তার কথায় কোন কান দিচ্ছে না । ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে তৃপ্তির রুমে আসলো নিদ্র । তৃপ্তি আপন মনে গেম খেলছিল । নিদ্র তৃপ্তির পাসে সুয়ে তৃপ্তিকে নিজের দিকে টেনে এনে জরিয়ে ধরলো । হঠাৎ নিদ্র এমন ভাবে জরিয়ে ধরায় তৃপ্তি কেপে উঠলো । তারপর নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বুকে ফু দিলো সে ।

:+আসার সময় একটু নক করে আসতে পারো না ভয় পেয়ে গেছিলাম ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির হাত থেকে ফোন নিয়ে বললো ।

:+চল ।(নিদ্র)

:+আরে আমার গেম,,,,,,।(তৃপ্তি)

:+চুপ এখন গেম অফ । অনেক খেলেছিস । এখন চল ।(নিদ্র)

তৃপ্তি কিছুটা অবাক হয়ে বললো ।

:+কোথায় যাবো এখন ।(তৃপ্তি)

:+গেলেই দেখতে পারবি ।(নিদ্র)

এই বলে তৃপ্তিকে ছেরে দিয়ে বেড থেকে নেমে দারালো নিদ্র । এতপর রুমের বাহিরে বেরিয়ে আসলো । তৃপ্তিও নিদ্রর পিছু পিছু বেরিয়ে আসলো । নিদ্রর হাত ধরে পায়ে পা মিলে হাটতে হাটতে তৃপ্তি নিদ্রকে বললো ।

:+এখন কোথায় যাবো ভাইয়া ।(তৃপ্তি)

:+চল তারপর দেখবি ।(নিদ্র)

দোতলায় লিফট এর কাছে গিয়ে দারাতেই তৃপ্তি অবাক হয়ে বললো ।

:+এটা কি ভাইয়া ।(তৃপ্তি)

:+এটা লিফট ।(নিদ্র)

:+এটা দিয়ে কি করে ।(তৃপ্তি)

:+ঊফ এতো কথা বলছিস কেন চুপচাপ দেখতে থাক ।(নিদ্র)

তৃপ্তি চুপ হয়ে গেল । লিফট এসে দারালো তাদের সামনে । লিফটের দরজা খুলতেই নিদ্র আর তৃপ্তি দেখতে পেল লিফটের ভেতরে একটা মেয়ে দারিয়ে আছে । তৃপ্তি চোখ বড় বড় করে মেয়েটির দিকে তাকালো । এটা কি জিনিস আর এটার ভিতরে মেয়েটি কি করছে এটা তৃপ্তির মাথায় আসছে না । নিদ্র তৃপ্তির হাত ধরে লিফটের ভিতরে ঢুকে মেয়েটির উদ্দেশ্য বললো ।

:+আরে সুমি অফিস থেকে ফিরছো নাকি ।(নিদ্র)

:+হুমম । তুমি কোথায় যাচ্ছো । ছাদে ।(সুমি)

:+হ্যাঁ ।(নিদ্র)

:+গ্রাম থেকে ফিরলে কখন ।(সুমি)

:+গত কাল দুপুরে ।(নিদ্র)

:+কৈ কাল দেখলাম না যে ।(সুমি)

:+ট্রায়াড ছিলাম তাই কাল ছাদে যাইনি ।(নিদ্র)

:+ওহ ।(সুমি)

নিদ্র পাচ তোলার সুইচ বাটনে চাপ দিলো । লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে গেল । লিফট যাকুনি দিতেই তৃপ্তি বাবা গো বলে নিদ্রকে জরিয়ে ধরল । সুমি তৃপ্তির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো । নিদ্র তৃপ্তিকে পরম জনতন্ত্রে জরিয়ে ধরলো । আর তৃপ্তি চোখ মুখ বুঝে নিদ্রকে জরিয়ে ধরে আছে । তৃপ্তি বলে উঠলো ।

:+ভাইয়া প্লিজ এটা থামাও আমি এটা থেকে বেরোবো । আমার অনেক ভয় করছে ।(তৃপ্তি)

:+আরে বোকা ভয় কিসের আমি আছি না ।(নিদ্র)

:+এটা কে নিদ্র ভাই ।(সুমি)

তৃপ্তিকে দেখিয়ে বলল সুমি ।

:+এটা আমার চাচা তো বোন তৃপ্তি গ্রাম থেকে এসছে । এখানকার এসব জিনিসের সাথে ও নতুন তাই এমন ভয় পাচ্ছে ।(নিদ্র)

:+চাচা তো বোন নাকি ওন্য কিছু ।(সুমি)

:+আরে না চাচা তো বোন ।(নিদ্র)

:+নিদ্র ভাই তুমি কিন্তু এটা ঠিক করছো না ।(সুমি)

:+কোন টা ।(নিদ্র)

:+এই যে আমাদের ছাদে যেতে দাও না । তোমাদের বাড়ি বলে আমাদের ছাদে যেতে দিবে না এটা কিন্তু ঠিক না । তোমার ছাদে এমন কি জিনিস আছে যে আমাদের ছাদে যেতে দাও না ।(সুমি)

:+অনেক কিছু আছে ।(নিদ্র)

:+যত কিছুই থাকুক এক বারের জন্য হলেও আমাকে ছাদে যেতে দিও প্লিজ ।(সুমি)

লিফট দারিয়ে পরলো ।

:+তোমার ফ্লোর এসে পেছে নামো ।(নিদ্র)

:+এমন করেন কেন । একবার ছাদে গেলে কি হয় ।(সুমি)

লিফট থেকে নেমে দারিয়ে বললো সুমি । লিফটের দরজা বন্ধ হয়ে গেল । লিফট আবার চলতে সুরু করলো । তৃপ্তি কোন কিছু বলছে না । সুধু নিদ্রকে জরিয়ে ধরে আছে । সুমির পরিবার নিদ্রদের বাড়িতে চার তলায় ফ্লাট ভারা নিয়েছে । চার তলা ফ্লোর আসতে তাই সে নেমে গেল । লিফট থামতেই নেমে গেল নিদ্র আর তৃপ্তি পাচ তলায় । এতপর এক তলার সিরি বেয়ে ছাদের দরজার কাছে আসলো তারা । ছাদের দরজা তালা লাগানো । নিদ্র কাও কে ছাদে আসতে দেয় না । পকেট থেকে চাবি বের করে তালা খুললো নিদ্র । দরজা খুলতেই দোমকা বাতাস এসে লাগলো তাদের গায়ে । সঙ্গে সঙ্গে চোখ বুজে নিলো তৃপ্তি । চোখ বুঝে কিছু ফুলের সুবাস নিতে লাগলো সে । নিদ্র তৃপ্তির ডান হাত ধরে টান দিয়ে ছাদে নিয়ে আসলো । এরপর ছাদের দরজা বন্ধ করে দিলো নিদ্র আবার । তৃপ্তি চোখ খুলতেই দেখতে পেল কতো রকমের ফুল গাছ দিয়ে সাজানো এই ছাদ । ছাদের এক পাসে একটা দোলনা । নিদ্র তৃপ্তির পিছনে দারিয়ে দেখছে তৃপ্তি কি করে । তৃপ্তি পিছনে গুরে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে এক গাল হেসে বললো ।

:+ভাইয়া এই ছাদ তোমার । এতো গুলো ফুল গাছ । কি সুন্দর দেখতে ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির কাছে এসে তাকে উলটো দিকে ঘুরিয়ে পিছন থেকে জরিয়ে ধরল ।

:+এখন থেকে এই ছাদ সুধু আমার একা না । তুই ও এখন থেকে এই ছাদের মালিক ।(নিদ্র)

:+কিহহ । আমি,,,,,,। (তৃপ্তি)

:+হ্যাঁ আপনি এখন থেকে এই ছাদের দ্বিতীয় মালিক বুঝচ্ছেন । মাই কিউটি ।(নিদ্র)

:+তাহলে আমার কথা মতো সব করতে হবে কিন্তু ।(তৃপ্তি)

:+ওকে মাই কিউটি । বলেন কি করতে হবে ।(নিদ্র)

:+এই ফুল গাছটা এখানে না । ওখানে রাখলে সুন্দর দেখাবে আরো অনেক ।(তৃপ্তি)

:+ওয়েট,,,,, ওয়েট । কোনটা কোথায় রাখলে সুন্দর হবে সেটা কাল দেখা যাবে । এখন এসব কিছু করতে পারবো না আমি ।(নিদ্র)

:+তো এখন কি করবো ।(তৃপ্তি)

নিদ্র তৃপ্তির হাত ধরে টেনে দোলনার কাছে নিয়ে আসলো । এরপর নিজে বসে তৃপ্তিকে কোলে তুলে নিলো নিদ্র ।

:+আমি এখন আমার কিউটিকে নিয়ে এখানে বসে থাকবো । ওই পরন্ত অর্ধ ডুবা সূর্য টাকে দেখবো আজ । নিদ্র)

:+এটা কোন কথা । আর তুমি আমার কিউটি আমার কিউটি করো কেন । আমি কি তোমার নাকি ।(তৃপ্তি)

:+হুমম । কিউটি আপনি তো আমার ই ।(নিদ্র)

:+তোমার মানে ।(তৃপ্তি)

:+মানে কিছু না সময় হলে সব বুঝতে পারবেন ।(নিদ্র)

:+ধুর ।(তৃপ্তি)

সুমি লিফট থেকে নেমে নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলো । এরপর খাবার খেয়ে তার বান্ধবী নীলার কাছে পাচ তলায় আসলো সে । নিদ্রদের বাড়িতে সুমির বান্ধবী নীলার পরিবার পাচ তলা ভারা নিয়েছে । সুমি পাচ তলায় এসে সোজা নীলার রুমে চলে গেল । গিয়ে দেখে নীলা টিকটক ভিডিও বানাচ্ছে । সুমি কিছু খন দরজার সামনে দারিয়ে থেকে রুমের ভিতরে আসলো ।

:+সারাদিন টিকটক ভিডিও নিয়ে পরে থাকিস । ওদিকে যে তোর হিরো তার গ্রামের বাড়ি থেকে আবার বেক করেছে সেদিকে কোন খেয়াল আছে ।(সুমি)

সুমির কথা সুনে ভিডিও বানান বন্ধ করে সুমির দিকে তেরে আসলো নীলা ।

:+কি বললি তুই বেস্টু । আমার হিরো বেক করেছে ।(নীলা)

:+হ্যাঁ । আমি কিছু খন আগে ছাদে যেতে দেখলাম । গত কাল আসছে গ্রামের বাড়ি থেকে ।(সুমি)

:+তুই সত্যি বলছিস ।(নীলা)

:+হুম ভাই আমি সত্যি বলছি । সাথে একটা মেয়ে কেও দেখলাম । জিজ্ঞেস করে ছিলাম মেয়েটা কে । আমাকে বললো মেয়েটা নাকি তার চাচা তো বোন ।(সুমি)

:+কি বলছিস তুই ।(নীলা)

:+হুম আমি ঠিকই বলছি । তবে আমার ওন্য কিছু মনে হচ্ছে ।(সুমি)

:+কি মনে হচ্ছে ।(নীলা)

:+আমার মনে হচ্ছে । মেয়েটা ওর ওন্য কিছু । যে ভাবে লিফটের মধ্যে জরিয়ে ধরে ছিল।(সুমি)

:+কিহহহহহ।(নীলা)

:+হ্যাঁ । তবে তুই ওই মেয়ের থেকে কিছু না । ওই মেয়ের যেমন ফিগার ফিটনেস । তেমন দেখতেও মাশাআল্লাহ । তবে মেয়েটা একটু খাটো ।(সুমি)

:+যতই ফিগার ফিটনেস থাকুক । আমি তো আমার হিরোকে আমার করেই ছারবো । তুই দেখে নিস ।(নীলা)

———————————–

:+আবার আরেক মেয়ে তুই কি পাগল আরিয়ান ।(রনি)

:+আরে ভাই নিদ্রর লাইফে অনেক মেয়ে আসবে অনেক মেয়ে যাবে । কিন্তু নিদ্রর কাওকেই পাত্তা দিবে না । কারন তার সব হচ্ছে এখন তৃপ্তি ।(আরিয়ান)

:+ধুর কি বালের গল্প বলছিস তুই ।(রনি)

:+আমি কিন্তু এখন চলে যাবো রনি । আমার জানু আমার জন্য ওয়েট করছে । আর আমি তোকে এখানে বসে গল্প সুনাচ্ছি । আর তুই আমার গল্পকে অপমান করছিস ।(আরিয়ান)

:+ভাই,,,, ভাই,,,, সরি তুই বল । আর কিছু কমু না আমি ।(রনি)

:+ধুর আমি আজ গেলাম আবার কাল দেখা হবে বায় ।(আরিয়ান)

:+আরে ভাই কোথায় যাচ্ছিস বাকি টা তো সুনিয়ে যা ।(রনি)

:+কালে আবার । আজ আর হবে না বায় ।(আরিয়ান)

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

((কপি করা নিষেধ))

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here