#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_DaS
#পর্ব__________7
নিদ্রর কথা সুনে জুথি থ হয়ে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ফেলে দিলো ।
:+কি হলো জেসিকা অবাক হলি । আমি কি করে যানলাম তোর ছেলে মেয়ের কথা । সব তো সিগ্রেট ছিল তাই না ।(নিদ্র)
জুথি মাথা নিচু করে চোখের পানি ফেলতে লাগলো ।
:+এই একদম কাদবি না । তোর মতো মেয়েদের কান্না মানায় না । তোরা হলি পাশান । তোদের মন বলতে কিছু নেই ফিলিংস নেই তোদের । নিষ্পাপ দু’টো বাচ্চার গলায় ছুরি চালাতে তোর একটুও হাত কপলো না জেসিকা ।(নিদ্র)
চিৎকার দিয়ে শেষের কথা গুলো বলল নিদ্র ।
নিদ্রর কথা সুনে নিদ্রর দিকে অবাক চোখে তাকালো জুথি । তার কানে নিদ্রর শেষ কথা গুলো বারবার রিপিট হতে লাগলো । নিষ্পাপ দু’টো বাচ্চার গলায় ছুরি চালাতে তোর একটুও হাত কাপলো না জেসিকা ।
:+কি হলো জেসিকা । তুই ভাবছিস আমি কি করে যানলাম তোর ছেলে মেয়ের কথা । তাদের গলায় ছুরি চালানোর কথা ।(নিদ্র)
:+আমি ওদের মারিনি নিদ ।(জুথি)
:+এই একদম মিথ্যা কথা বলবি না । তুই মেরেছিস ওদের ।(নিদ্র)
:+বিস্বাস কর নিদ আমি ওদের দু’জনের একজনকেও মারিনি ।(জুথি)
:+তুই মেরেছিস ওদের । তুই এই পাপের পথে পা বারিয়ে তোর নিষ্পাপ দু’টো বাচ্চার বলি দিলি তুই জেসিকা ।(নিদ্র)
চিৎকার দিয়ে কথা বললো নিদ্র ।
বার বার নিদ্র চিৎকার ভেসে আসছে দোতলা থেকে । বাধ্য হয়ে বজলুর বললো ।
:+না আগে দেখে আসি ছেলে’টা এমন চিৎকার করছে কেন ।(বজলুর)
:+হুম সেটাই ভালো হবে ।(তৃপ্তি)
অধ্য খাওয়া রেখে হাত মুখ ধুয়ে । সালমা-বজলুর-তৃপ্তি-সজিব এলো দোতলায় নিদ্রর রুমের দরজার সামনে । রুমের দরজা হালকা চাপানো ছিল । তাই ধাক্কা দিতেই খুলে গেল । বজলুর নিদ্রর দিকে একবার তাকিয়ে চমকে উঠলো । দু’হাত দিয়ে সালমা সজিব তৃপ্তিকে ইসারা করলো যাতে রুমের ভিতরে না আসে । নিদ্রর রুমের দরজার সামনে দ্বারিয়ে রইলো বজলুর সালমা তৃপ্তি আর সজিব । দেখতে লাগলো নিদ্রকে সবাই । তাদের উপস্থিতি টের পায়নি নিদ্র । কারন সে জেসিকা মানে জুথির সাথে কথা বলতে বেস্ত ।
জুথি নিদ্রর দিকে অশ্রু মিশ্রিত নয়নে তাকিয়ে আছে । প্রশ্ন করলো নিদ্রকে জুথি ।
:+কে মেরেছে আমার বাচ্চাদের নিদ ? (জুথি)
:+হা হা হা । তোর বাচ্চা । তোর আবার বাচ্চাও আছে নাকি জুথি । আমি তো যানি ওরা জেসিকার ছেলে মেয়ে । আর তুই বলেছিস জেসিকা মরে গেছে । তাহলে ওরা তোর বাচ্চা হয় কিকরে ।(নিদ্র)
:+নিদ প্লিজ আমাকে বল আমার ছেলে মেয়ে ঠিক আছে তো ।(জুথি)
:+এই ইস্টপ । ইস্টপ । ইস্টপ ।(নিদ্র)
চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো নিদ্র । দরজার সামনে দারিয়ে থাকা বজলুর-সালমা-তৃপ্তি-সজিব চারো জনে কেপে উঠলো ।
:+নিদ প্লিজ বল আমার ছেলে মেয়ে ঠিক আছে তো ।(জুথি)
:+এই তোকে মুখ বন্ধ রাখতে বলছি না বিস্বাস ঘাতক ।(নিদ্র)
জুথি মাথা নিচু করে ঠোঁট কামরে কাদতে লাগলো ।
নিদ্র তার হাত দু’টো ল্যাপটপের সামনে এনে চিৎকার দিয়ে বললো ।
:+এই দু’টো হাত । এই দু’টো হাতের উপর সুয়ে শেষ নিশ্বাস তেগ করছে তোর মেয়ে রিধি ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা সুনে চিৎকার দিয়ে নিদ্রর দিকে তাকালো জুথি ।
:+না এটা হতে পারে না । আমার বাচ্চাদের কেও কিছু করতে পারে না । আমি আম্মুর কাছে ওদের দিয়ে এসে ছিলাম ।(জুথি)
:+হুসসসসসসসস ।(নিদ্র)
নিদ্র নিজের ঠোঁটে আঙ্গুল রেখে এমন আওয়াজ করলো ।
:+ মুখ বন্ধ কর তুই । তোর ওই মুখে আন্টির নাম নিবি না । আন্টি খুন হওয়ার এক মাত্র কারন তুই ।(নিদ্র)
:+কি বলছিস তুই নিদ । আম্মুকে কে খুন করছে ।(জুথি)
:+হা হা হা । কি বললি আম্মু । খুব দরদ উতলে পরছে এখন আন্টির জন্য হ্যা । এই পাঁচ বছরে একটা বারো খবর নিয়েছিস তারা বেচে আছে না মরে গেছে ।(নিদ্র)
:+আমি কিছু বুঝতে পারছি না নিদ । আমি সুধু এতো টুকু যানি যে । আমি আমার স্বামী আর দু’বন্ধুকে খুন করিয়েছি । আমার ছেলে মেয়ে আম্মুকে কে খুন করছে ।(জুথি)
:+তোর সাথে রাতের পর রাত কাটানো ওই ছেলে গুলো । যাদের দিয়ে তুই আমার কলিজার বন্ধুদের মেরেছিস । তারাই তোর ছেলে মেয়ে তোর আম্মু তোর স্বামী মানে আমার কলিজার বন্ধুদেরকে মেরে দিয়েছে ওই দিনই ।(নিদ্র)
জুথি এবার চিৎকার করে কাদতে লাগলো । নিদ্র আবার বলল ।
:+হসপিটালের বেডে সুয়ে আম্মু আম্মু করতে করতে শেষ নিশ্বাস তেগ করে তোর ছেলে রিসব ।(নিদ্র)
জুথি এবার আরো চিৎকার করে কাদতে লাগলো । নিদ্র আবার বলে উঠলো ।
:+দেখবি তোর ছেলেকে ।(নিদ্র)
জুথি চমকে উঠলো । কারন নিদ্র এই মাত্র বলেছে তার ছেলে মরে গেছে । তাহলে এখন কেন আবার বলছে তার ছেলেকে দেখাবে । কান্না থামিয়ে হাটুতে ভর দিয়ে ল্যাপটপের দিকে আরো একটু এগিয়ে গেল । পাগলের মতো উন্মাদ হয়ে বলে উঠলো জুথি ।
:+কোথায় আমার ছেলে নিদ । তুই ওকে বাচিয়ে নিয়েছিস তাই না । আমাকে সারপ্রাইজ দিবি বলে । কোথায় আমার ছেলে নিদ । দেখা একটু আমাকে প্লিজ । তোর দু’টো পায়ে পরি নিদ একটা বার দেখা ওকে প্লিজ ।(জুথি)
নিদ্র উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো । জুথি চোখে জল নিয়ে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলো নিদ্রর দিয়ে ।
:+হ্যা হ্যা দেখাবো তো । ১০ মাস ১০দিন তো তুই অনেক কষ্ট করেছিস ওদের এই পৃথিবীতে আনার জন্য । তোকে না দেখিয়ে রাখতে পারি । তোর জন্য অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ যমা করে রেখেছি এই পাঁচ বছর ধরে । তাতো তোর অবশ্যই দেখা উচিত ।(নিদ্র)
:+দেখা নিদ । তারাতারি দেখা ।(জুথি)
নিদ্র নিজের ফোন থেকে একটা ভিডিও প্লে করলো । সেই ভিডিও ল্যাপটপের সামনে ধরলো ।
:+দেখ জেসি দেখ । ভালো করে দেখ ।(নিদ্র)
জুথি নিদ্রর হাতে থাকা ফোনের দিকে তাকালো । ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে । হসপিটালের বেডের উপর নিদ্র জুথির ছেলের পাসে বসে আছে । আর জুতির ছেলে মানে রিসব জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে আর বলছে ।
:+আম্মু আম্মু । কোথায় তুমি আম্মু । একটি বার আসো না আম্মু । আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে আম্মু । অনেক কষ্ট হচ্ছে । আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে আম্মু । আম্মু আম্মু আম্মু,,,,।আম্মুওওওওওওওও।
শেষ একটা চিৎকার দিয়ে চোখ মুখ বুঝে স্তব্ধ হয়ে যায় রিসব । কারন সে এই দুনিয়ার মায়া তেগ করে চলে গেছে না ফেরার দেশে । তারপর দেখা যাচ্ছে নিদ্র ছোট রিসবের শরীর জরিয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পরছে । এতো টুকু দেখিয়ে ফোন সাইডে রাখলো নিদ্র । নিজের মুখে দু’হাতের তালু দিয়ে চোখের পানি ফেলতে লাগলো নিদ্র । নিদ্রর এমন কান্না দেখে দরজার পাসে দারিয়ে থাকা চরজন বৃক্তিও কেদে দিলো । তবে সেটা নিশ্বদের কান্না । কোন শব্দ নেই সুধু চোখের পানি । জুথির মুখের ভাষা হারিয়ে গেছে । ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে আছে আর চোখ দিয়ে পানি পরছে । এতো বড় একটা সারপ্রাইজ পাবে সে কোন দিনও ভাবেনি । নিজের চোখের সামনে আজ সে দেখতে পেলো তার নিজের পেটের ছেলের মরন জন্তনা । নিদ্র নিজেকে একটু শান্ত করে বলল ।
:+সারপ্রাইজ’টা খুব সুন্দর ছিল তাই না জেসিকা ।(নিদ্র)
জুথির মুখে কোন কথা নেই । সুধু ল্যাপটপের স্কিনে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে আছে ।
:+কিরে এখন খুশি তো তুই । তোর পিছুটান এখন আর কেও রইলো না । কেও নেই তোকে বাধা দেওয়ার । এক মাত্র আমি ছারা । তুই একটা কাজ কর তুই আমাকেও মেরে ফেল । দেখবি তখন আর কেও থাকবে না তোকে বাধা দেওয়ার জন্য ।(নিদ্র)
:+নিদ তোর কাছে একটা জিনিস চাইবো দিবি ।(জুথ)
ভিডিওটা দেখার পর থেকে জুতির চোখের পলক পরা যেন বন্ধ হয়ে গেছে । এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে জুথি ল্যাপটপের স্কিনে নিদ্রর দিকে ।
জুতির এরকম কথায় নিদ্র একটু অবাক হয়ে জুথির দিকে ভালো করে তাকালো । কি এমন জিনিস চাইবে জুথি নিদ্রর কাছ থেকে,,,,,,,,,,,,,।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
((কপি করা নিষেধ))
[বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ]