তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________32

0
597

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________32

সকাল ৯টা বাজে…..
নিদ্র ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাশতা শেষ করে চেয়ারম্যান বাড়ির পিছনের পুকুর ঘাটে বসে আছে । ঠিক বসে আছে না । সে জেকের সাথে ফোনে কথা বলছে । তৃপ্তি কিচেনে সালমার কাজে হেল্প করছে আর সালমার মাথা খাচ্ছে । নিদ্রর নামে যত অভিযোগ আছে সব তুলে ধরছে সে । সজিব আজ স্কুলে যাবে না । সে সোফার উপর বসে টিভির দিকে তাকিয়ে হা করে কাটুন দেখছে । বজলুর একটু আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে চেয়ারম্যান অফিসের দিকে । নীলা সবে মাত্র ঘুম থেকে উঠেছে, আর-মোরা ভেঙে হাই তুলতে তুলতে সিরি দিয়ে নিচে নামছে সে । হঠাৎ সজিবের চোখ নীলার উপর পরে । নীলাকে দেখে সজিবের মুখ হা হয়ে যায়, চোখ দু’টো তার বড়ো বড়ো হয়ে যায় । কাল রাতে সজিব নীলাকে খেয়াল করেনি । সজিব সোফা থেকে নেমে এক দৌড়ে নীলার কাছে গিয়ে নীলাকে ঝাপটে জরিয়ে ধরে চিৎকার করে বললো ।

:+আম্মুউউউউউউউউউউউউউউ । বাড়িতে পরি ঢুকছে । কৈ তুমি তাড়াতাড়ি আসো । আমি ধরছি আম্মু,,,, তাড়াতাড়ি আসো ।(সজিব)

আচমকা সজিব নীলাকে জরিয়ে ধরে এমন চিৎকার করছে । নীলার খুব বিরক্ত বোধ হচ্ছে । এমনি তেই এই পিচ্চি ছেলে-টাকে সে চিনে না । তার উপর কাল এতো’টা পথ জার্নি করায় শরীর’টা কেমন যেন লাকছে । সজিবের কাছ থেকে নিজেকে সরাতে চাচ্ছে নীলা,,,,কিন্তু পারছে না । সজিব তার পায়জামা খামছি মেরে শক্ত করে তার পা জরিয়ে ধরে চিৎকার করছে । সালমা আর তৃপ্তি সজিবের চিৎকার চেচামেচি সুনে কিচেন থেকে বেরিয়ে আসলো । তারা কিচেন থেকে বেরিয়ে দেখলো । সজিব নীলার পা জরিয়ে ধরে চিৎকার করছে । সালমা আর তৃপ্তি,,,, নীলা আর সজিবের কাছে গেল ।

:+সজিব,,, কি হচ্ছে এটা ।(সালমা)

রাগ দেখিয়ে বললো সালমা । সজিব নীলার পা জরিয়ে ধরেই সালমার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আম্মু বাড়িতে পরি ঢুকছে । আমি পরি ধরছি আম্মু ।(সজিব)

:+ওটা পরি না ভাই,,,, ওটা নীলা আপু ।(তৃপ্তি)

একটা হাসি দিয়ে বললো তৃপ্তি । সজিব কিছুখন ভেবে বললো ।

:+কোন নীলা । আমি তো কোন নীলাকে চিনি না ।(সজিব)

:+ভাই,,, ওটা নীলা আপু । আমার সাথে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসছে ।(তৃপ্তি)

:+না আপু,,,, এটা কোন নীলা টিলা না । এটা পরি ।(সজিব)

এরপর সজিব সালমার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আম্মু আমি এই পরিকে বিয়ে করবো । প্লিজ আম্মু । আমি এই পরিকে বিয়ে করবো ।(সজিব)

সজিবের কথা সুনে নীলার মাথা চক্কড় দিয়ে উঠে । মনে মনে বলে ।

:+বলে কি এই পুচকে ।(নীলা)

সালমা চোখ বড় বড় করে সজিবের দিকে তাকায় । সাথে তৃপ্তিও । সজিব একটা ডেবিল মার্কা হাসি দেয় ।

:+সজিব ওটা পরি নয়,, ওটা নীলা আপু ।(তৃপ্তি)

দাঁত কটমট করে বললো তৃপ্তি । সজিব এবার নীলাকে ছেরে দিয়ে নীলার চার পাসে ঘুরে নীলাকে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলো । নীলার কেমন যেন অস্থির লাকছে । সালমা সুধু সজিবকে দেখছে ।

:+সব ঠিক আছে আম্মু । কিন্তু ডানা নেই । ডানা থাকলে ঠিক পরির মতো লাগতো ।(সজিব)

মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললো সজিব । সালমা সজিবের দিকে একবার আবার নীলার দিকে একবার তাকাচ্ছে । নীলা জোর পূর্বক হাসছে । দাঁতে দাঁত চেপে মনে মনে নীলা বলছে ।

:+ইজ্জতের ফালুদা বান্নাচ্ছে । নাকি প্রসংশা করছে । কিছুই বুঝতে পারছি না ।(নীলা)

মনে মনে বলে উঠলো নীলা । সালমা সজিবকে চোখ রাঙিয়ে বললো ।

:+সজিব এখান থেকে যাবি । নাকি এটা দিয়ে এখন সায়েস্তা করবো ।(সালমা)

হাতে খুন্তি দেখিয়ে বললো সালমা । সজিবকে আর পায় কে । সালমার হাতে খুন্তি দেখলেই সে এক ছুটে নিজের রুমে । এবারও তার বেতি-ক্রম হলো না । সে এক ছুটে নিজের রুমে চলে গেল । সালমা হেসে উঠলো সাথে তৃপ্তি আর নীলাও ।

:+এ আমার ছেলে সজিব । কাল রাতে তোমার সাথে দেখা হয়নি । তাই এমন করছে । তুমি কিছু মনে করো না ।(সালমা)

:+দেখেই বুঝতে পারছি আন্টি । তৃপ্তি আমাকে ওর কথা প্রায়ই বল-তো ।(নীলা)

:+আচ্ছা নাশতা করবে আসো ।(সালমা)

:+না আন্টি আমি এখনো ফ্রেশ হইনি । আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি ।(নীলা)

:+ঠিক আছে । তারাতাড়ি ফ্রেশ হয়ে আসো ।(সালমা)

নীলা আবার নিচ থেকে নিজের রুমে বেক করলো । সালমা আর তৃপ্তি আবার কিচেনে চলে গেল ।

————————————

বিকেল ৩টা বাজে………
নীলা তৃপ্তি আর সজিব যাচ্ছে মিমদের বাড়ির দিকে । দুপুরে খেয়ে দেয়ে নিজের রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পরেছিল নিদ্র । এখনো তার ঘুম ভাঙেনি । নিদ্রর ঘুম না ভাঙায় তৃপ্তিও আর নিদ্রকে ডাকার প্রয়োজন মনে করেনি । নীলার ডান হাত ধরে হাটছে তৃপ্তি আর নীলার বাম হাত ধরে হাটছে সজিব । নীলার কাছে মনে হচ্ছে । তৃপ্তি নীলাকে মিমদের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে না । উলটো নীলা এদের মিমদের বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে । সজিব নীলার বাম হাত নারাতে নারাতে বললো ।

:+আচ্ছা পরি । তুমি এতো কিউট কেন ।(সজিব)

সজিবের কথা সুনে নীলা সজিবের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো । এই প্রথম কেও তাকে কিউট বললো । তার উপর সেই সকাল থেকে বিচ্চু’টা তার পিছনে লেগে আছে । সকাল থেকেই তার প্রসংশা করে চলেছে পিচ্চু’টা । কিন্তু নীলার এসবে খুব বিরক্তি লাগছে । নীলা সজিবের দিকে তাকিয়ে একটা হাসি দিলো । তৃপ্তি বললো ।

:+ভাই,,,তুই তো কখনো আমাকে কিউট বলিস’নি ।(তৃপ্তি)

একটু মুখ কালো করে বললো তৃপ্তি ।

:+আপু রাগ করো কেন । তুমি তো আমার সুইট আপি । সবার থেকে বেস্ট কিউট ।(সজির)

:+ তাই ।(তৃপ্তি)

:+হুমমম ।(সজিব)

এই বলে সজিব টুসুর করে নীলার হাতে একটা চুমু দিয়ে তারপর আবার বললো ।

:+কিন্তু আপু,,, পরি হচ্ছে আমার কিউটি । আমি পরিকে বিয়ে করবো ।(সজিব)

সজিবের কথা আর কাজ দেখে নীলা সক হয়ে দারিয়ে গেল । আর মনে মনে বললো ।

:+হে আল্লাহ আমারে উঠাইয়া নেও । এই দিনও দেখতে হলো । এ আমি কার পাল্লায় পরলাম । করে কি এই বিচ্চু । এর বোন তো হাবা,গোবা,সাদা,সিধে । কিন্তু এই পিচ্চু তো দেখছি দুরন্ত চালু । ওখায়ে গিয়ে আবার আমার ইজ্জত নিয়ে না টানা টানি সুরু করে দেয় ।(নীলা)

কপাল কুঁচকে সুকনো একটা ঢোক গিললো নীলা ।

:+কি হলো আপু দারিয়ে গেলে যে ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথায় হুস ফিরে নীলার ।

:+আরে আপু ওটা তুমি বুঝবে না । একটা সক দিলাম তো ।(সজিব)

নীলার দিকে তাকিয়ে চোখ মেরে বললো সজিব । সজিবের কথা আর কাজ দেখে নীলা চোখ বড় বড় করে তাকালো ।

:+হায় আল্লাহ আর কি দেখার বাকি আছে । এই টুকু পিচ্চু এখনি এতো রোমান্টিক । না যানি বড় হলে এ-কি করবে ।(নীলা)

মনে মনে বললো নীলা । এরপর জোরে একটা নিশ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করে নীলা বললো ।

:+এটা একটু বেসি হয়ে যাচ্ছে না সজিব ।(নীলা)

:+আরে না,,, কি বলো । কোথায় বেসি করলাম । এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে । আগে প্রেম করবো, তারপর বিয়ে করবো, তারপর বাসর করবো, তারপর,,,,,,।(সজিব)

নীলা তাড়াতাড়ি সজিবের মুখ চাপা দিয়ে ধরলো ।

:+তারপর আর বলা লাগবো না ভাই । আমি তারপর থেকে সব যানি । এখন তোর মুখ’টা বন্ধ রাখ প্লিজ ।(নীলা)

:+উমমমম উমমমম ।(সজিব)

মুখে হাত থাকায় কথা বলতে পারছে না সজিব । তৃপ্তি রাগ দেখিয়ে সজিবকে বললো

:+সজিব এসব কি ধরনের কথা বাত্তা বলছিস ।(তৃপ্তি)

নীলা সজিবকে বললো ।

:+আমি এখন তোর মুখ থেকে হাত সরাবো বাট তোর কাছে একটা রিকুয়েষ্ট । ওখানে গিয়ে এমন কথা বলিস না । আমার মান-সম্মান নিয়ে এভাবে খেলিস না প্লিজ ।(নীলা)

নীলা সজিবের মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিলো । এবার তৃপ্তি বললো ।

:+আপু তাড়াতাড়ি চলো লেট হচ্ছে । ওর কথা বাদ দাও ।(তৃপ্তি)

নীলা তৃপ্তির দিকে অসহায় দিষ্টিতে তাকিয়ে বললো ।

:+বোইন আমার । ওর কথা তুই যতই বাদ দিতে কস । আমি বাদ দিতে পারুম না । কারন এই পিচ্চু আমার ইজ্জতের ফালুদা বানাই দিবো । সেই সকাল থেকে আমার পিছনে লেগে আছে এই পিচ্চু । তুই আগে এই পিচ্চুর মুখ বন্ধ কর ।(নীলা)

নীলার কথা সুনে তৃপ্তি রাগ দেখিয়ে সজিবকে বললো ।

:+সজিব এটা কি ধরলেন বেয়াদপি । বললাম না এটা আপু হয় । এটা কোন পরি না । আর একটা কথা বললে সোজা বাড়িতে পাঠিয়ে দেবো ।(তৃপ্তি)

সজিব মাথা নিচু করে বললো ।

:+না আপু আর একটা কথাও বলবো না ।(সজিব)

:+মিমদের বাড়িতে গিয়ে কোন কথা বললে তোর খবর আছে ।(তৃপ্তি)

:+না আপু কিছু বলবো না ।(সজিব)

সত্যিই সজিব আর কোন কথা বললো না । অতপর মিমদের বাড়ির উঠানে এসে দারালো তারা । সজিব নীলার হাত ছেরে দিয়ে কোথায় যেন চলে গেল । বাড়ির উঠানে পেন্ডেল করা । লোকজন বিভিন্ন কাজে বেস্ত । তৃপ্তি উঠানে দারিয়ে এদিক ওদিক তাকিয়ে কাকে যেন খুজতে লাগলো । নীলা তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+এদিক ওদিক তাকিয়ে কাকে খুচ্ছিস । বাড়ির ভিতরে নিশ্চয়ই তোর ফ্রেন্ডরা আছে । চল বাড়ির ভিতরে যাই ।(নীলা)

তৃপ্তি নীলার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+ওরা কোথায় আছে এটা আমি যানি আপু । কিন্তু তার আগে মিমের আম্মুর সাথে দেখা করতে হবে ।(তৃপ্তি)

:+কেন ।(নীলা)

:+আন্টির সাথে দেখা করে তারপর আমি বাড়ির ভিতরে ঢুকি ।(তৃপ্তি)

:+ওহ ।(নীলা)

:+চলো ওই দিক’টায় দেখি । দেখি আন্টি ওই দিকে আছে কি না ।(তৃপ্তি)

:+চল ।(নীলা)

নীলা আর তৃপ্তি উঠানের পশ্চিম দিকে রান্না ঘরের দিকে গেল ।

:+আপুউউউউউউউউউউউউউউ ।(মিমি)

কোথা থেকে মিমের ছোট বোন মিমি দৌড়ে এসে তৃপ্তিকে জরিয়ে ধরলো । তৃপ্তিও মিমিকে জরিয়ে ধরলো ।

:+কেমন আছো আপু ।(মিমি)

:+আমি ভালো আছি । তোরা কেমন আছিস ।(তৃপ্তি)

:+আমরাও ভালো আছি । কতদিন পর তোমায় দেখলাম ।(মিমি)

মিমি তৃপ্তিকে জরিয়ে ধরায় । নীলা তৃপ্তিকে বললো ।

:+এটা কে সুইটি ।(নীলা)

তৃপ্তি নীলার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+এটা মিমের ছোট বোন মিমি । আমার ভাইয়ের সাথে পড়ে । এবার ক্লাস ফোর-এ ।(তৃপ্তি)

:+ওহ ।(নীলা)

:+আর মিমি । এই হচ্ছে নীলা আপু । ঢাকা থেকে এসছে, আমাদের এখানে বেড়াতে ।(তৃপ্তি)

নীলাকে দেখিয়ে বললো তৃপ্তি । মিমি তৃপ্তিকে ছেরে দিয়ে নীলার চার পাসে ঘুরে তারপর নীলার সামনে এসে দারিয়ে বললো ।

:+ওহ তাহলে আপনি সে । আপনি আমার সজিবের পরি । আপনিই আমার সজিবকে পাগল করেছেন ।খবরদার মিস নীলা আপনি আমার সজিবের আসে পাসেও আসবেন না । তার থেকে দুরে দুরে থাকবেন । নাহলে খুব খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু ।(মিমি)

একটু রাগ দেখিয়ে বললো মিমি । তৃপ্তি মিমির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো । নীলা মিমির কথা সুনে মাথায় হাত দিয়ে উঠানে বসে পরলো ।

:+হায় আল্লাহ । এ আমি কোথায় এলাম । কোন যোগতে আছি আমি । ঢাকার ছেলে মেয়ে রাও তো এতো ফাস্ট না ।(নীলা)

মনে মনে বললো নীলা । এরপর জোরে জোরে দু’টা নিশ্বাস ছেরে নীলা মিমির গালে আলতো করে হাত রেখে বললো ।

:+আপু-মনি আমার সাইজ দেখো আর সজিবের সাইজ দেখো । আমার সাথে কি ওর যায় বলো ।(নীলা)

মিমি মাথা চুলকাতে চুলকাতে বললো ।

:+না যায় না । তোমাকে দেখে মনে হচ্ছে তুমি আমার আপুর থেকেও বড় । কিন্তু সজিব যে বললো তুমি ওর পরি । ও নাকি তোমায় বিয়ে করবে ।(মিমি)

নীলা নিজের গালে তো-বা করতে করতে বললো ।

:+এ মা কখন বললো তোমায় এগুলো সজিব ।(নীলা)

:+এই তো একটু আগে ।(মিমি)

:+শয়তান টাকে কাছে পেলে আচ্ছা মতো দু’টা কানের নিচে দিবো ।(নীলা)

:+আচ্ছা বাদ দাও । চলো তোমাদের মিম আপুর কাছে নিয়ে যাই ।(মিমি)

তৃপ্তি সুধু নীলা আর মিমির কথা সুনছিল । এদের কথা কিছুই বুঝতে পারছে না সে । এবার তৃপ্তি বললো ।

:+আচ্ছা মিমি আন্টিকে দেখছি না যে । আন্টি কৈ ।(তৃপ্তি)

মিমি তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আম্মু বাজারে গেছে আব্বুর সাথে,, কি যেন দরকারে । তোমরা চলো আমি তোমাদের মিম আপুর কাছে নিয়ে যাই ।(মিমি)

:+আচ্ছা চল ।(তৃপ্তি)

:+শয়তান বিচ্চু । তোরে সামনে পেলে দেখামু মজা ।(নীলা)

এই বলে মিমির পিছু পিছু হাটতে লাগলো তৃপ্তি আর নীলা । অতপর তারা মিমের রুমের সামনে এসে হাজির হলো । মিমের রুমের দরজা খোলাই ছিল । তৃপ্তি দরজার বাহির থেকে দেখলো । মিম মন মোরা হয়ে খাটের মাজ খানে বসে আছে । আর সামিয়া সহ মিমের কাজিন’রা মিমকে ঘিরে চার পাসে বসে আছে । তৃপ্তি এক ছুটে দৌড়ে সবার উপর দিয়ে মিম আর সামিয়ার উপর ঝাপিয়ে পড়লো । হঠাৎ এমন আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিলনা কেওই । মিম চিৎকার করে উঠলো ।

:+আম্মাআআআআআআ গো গো । মরে গেলাম গো ।(মিম)

:+ওরে আম্মাআআআআআ । তোমার মেয়েরে মাইরা লাইতাছে গো ।(সামিয়া)

ওদের চিৎকার সুনে তৃপ্তি বললো ।

:+ওই সালি’রা চুপ থাক । নাহলে দু’নো ডারে যাতা দিয়া সত্যি সত্যি মাইরা লামু ।(তৃপ্তি)

এতোখনে মিম আর সামিয়া বুঝনো এটা কে ।

:+তু তু তু তু তুই ।(মিম আর সামিয়া এক সাথে)

:+হুমমম,,,আমি ।(তৃপ্তি)

:+তুই কখন এলি ।(মিম)

:+কাল রাতে । তোরা দুই ডার একটাও তো আমার খোজ খরব নেশ নাই ।(তৃপ্তি)

মিমের গালে নাক ঘসে নাক টেনে বললো তৃপ্তি ।

:+সর খাচ্ছড় ।(মিম)

সামিয়া বললো ।

:+খোজ খবর নেই না, ,,, না,,,, দ্বারা ।(সামিয়া)

এরপর সামিয়া মিমের কাজিন দের উদ্দেশ্য বললো ।

:+আপু’রা আপনারা একটু রুমের বাহিরে যান তো । । এর সাথে আমাদের কিছু বুঝা পরা আছে । আপনারা কিছুখন পর আসিয়েন ।(সামিয়া)

সামিয়ার কথা সুনে তৃপ্তি একটা শুকনো ঢোক গিললো । সে মিম আর সামিয়ার গায়ের উপর থেকে সরে আসতে যাবে । ওমনি মিম আর সামিয়া আরো শক্ত করে তৃপ্তিকে জরিয়ে ধরলো ।

:+কি চান্দু,,, কোথায় যাও । তোমার সাথে আগে বুঝা পড়া হোক । তারপর তুমি যাবা ।(মিম)

:+দেখ মিম ভালো হবে না কিন্তু ।(তৃপ্তি)

:+দারাও তোমার ভালো দেখাচ্ছি । আগে সবাই রুম থেকে বের হোক,,, তারপর ।(সামিয়া)

তৃপ্তি সামিয়ার গালে চুমু দিয়ে বললো ।

:+বেস্টু আমার । কলিজা আমার,,, এমন করিস না প্লিজ ।(তৃপ্তি)

:+আক্রমণ সামলানোর জন্য তৈরি হন মিস তৃপ্তির ইসলাম তৃপ্তি ।(মিম)

মিমের কথা সুনে তৃপ্তি এবার জোরে জোরে চেস্টা করছে মিম আর সামিয়ার থেকে ছুটার জন্য । সামিয়ার কথা মতো মিমের রুম থেকে বেরিয়ে গেল মিমের কাজিন’রা । নীলাও রুমের ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনি তার আগেই মিমি মিমের রুমের দরজা লাগিয়ে দিয়েছে বাহিরে থেকে । নীলা মিমির দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+দরজা লাগিয়ে দিলে কেন ।(নীলা)

মিমি নীলার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আপু,,,,,, আজ তৃপ্তি আপুর খবর আছে । সুধু কান পেতে আমার মতো সুনতে থাকুন ওরা কি করে ।(মিমি)

:+মানে,,,,,, কি বলছো তুমি । আমি কিছু বুঝতে পারছি না ।(নীলা)

:+আপনার বুঝা লাগবে না । আপনি সুধু আমার মতো দরজায় কান পেতে সুনুন উনারা কি করে ।(মিমি)

মিমির কথা মতো নীলাও মিমির সাথে দরজায় কান পাতলো । এই ফাস্ট সে কারো দরজায় কান পতলো । মিম সামিয়াকে বলছে ।

:+সামিয়া তুই ওর হাত বাধ ।(মিম)

:+দেখ ভালো হচ্ছে না কিন্তু মিম ।(তৃপ্তি)

:+ভালো তো হবে এবার ।(সামিয়া)

এই বলে সামিয়া নিজের ওলনা দিয়ে তৃপ্তির হাত বেধে ফেললো । এরপর খাটের এক পাসে ফেলে মিম আর সামিয়া তৃপ্তিকে শুরশুড়ী দিতে লাগলো । তৃপ্তি উচ্চো স্বরে হেসে উঠলো । আর বলতে লাগলো ।

:+প্লি প্লি প্লিজ বে বে বেস্টু এ এ এমন ক ক করিস ন ন না ।থা থা থাম প্লি প্লি প্লিজ (তৃপ্তি)

কিন্তু কে কার কথা সুনে । মিম আর সামিয়া নিজেদের মতো তৃপ্তিকে শুরশুড়ী দিতে লাগলো ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

(।কপি করা নিষেধ।)

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here