তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________37

0
100

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________37

বিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে তৃপ্তিকে নিয়ে চেয়ারম্যান বাড়ির দিয়ে হাটা ধরলো নিদ্র । রাগ তার চরম সিমায় পৌছে গেছে । বজলুর আজ না আটকালে নিরবকে হয়তো মেরেই ফেলতো । তৃপ্তি নিদ্রর হাটার সাথে পেরে উঠছে না । সে হুমড়ি খেয়ে বার বার পরে যাচ্ছে । এটা দেখে নিদ্র চট করে তৃপ্তিকে কোলে তুলে নিলো । তৃপ্তি ভয় কিছু বলতে পারছে না থর থর করে কাঁপছে সে । নিদ্র লম্বা লম্বা পা ফেলে চেয়ারম্যান বাড়িতে চলে আসলো । তৃপ্তিকে,,তৃপ্তির রুমে নিয়ে গিয়ে ,,,, তৃপ্তিকে বেডের উপর সুয়ে দিলো । এরপর চেপে ধরলো তৃপ্তিকে নিদ্র তৃপ্তির বেডের সাথে । তৃপ্তি চোখ মুখ বুঝে থর থর করে কাঁপছে । নিদ্রর চোখের দিকে তাকাতে পারছে না সে । কি হচ্ছে সে কিছুই বুঝতে পারছে না । দু’হাত মুঠি বব্দ করে ধিরে ধিরে চোখ খুলে নিদ্রর দিকে তাকালো তৃপ্তি । চট করে আবার চোখ বুঝে নিলো । এতো রাগ কেন ছেলেটার সেটা বুঝতে পারছে না তৃপ্তি । চোখ দু’টো থেকে যেন আগুন বেরুচ্ছে । নাক মুখ লাল হয়ে আছে । তৃপ্তি আবার ধিরে ধিরে চোখ খুলে নিদ্রর দিকে তাকালো । ভয়ে ভয়ে বলে উঠলো তৃপ্তি ।

:+ভা,, ভা,, ভাইয়া,,,,,,,,,,,,,,,,,।(তৃপ্তি)

তৃপ্তি আর কিছু বলার আগে নিদ্র তৃপ্তির ঠোঁট নিজের ঠোঁট দিয়ে চেপে ধরলো । তৃপ্তি থম থমি খয়ে দু’হাত দিয়ে নিদ্রর ট্রি’শার্ট খামছি মেরে ধরলো । শরীরের মধ্যে দিয়ে কয়েকশ কিলো মিটার বেগে ঝড় বয়ে গেল তৃপ্তির । তৃপ্তি চোখ দু’টো বড়ো বড়ো করে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে আছে । নিদ্র চোখ দু’টো এখন বন্ধ । এদিকে নিদ্র তৃপ্তির ঠোঁট দু’টো যেন ছিড়ে ফেলছে । রাগ পুরোটা যারছে সে তৃপ্তির ঠোঁটের উপর । তৃপ্তি ব্যথায় আবেসে চোখ বুঝে নিলো । কিছু সময় যাওয়ার পর তৃপ্তির আর নিতে পারছিল না । নিদ্রর মাথা দু’হাত দিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো সে । চলে গেল আরো কিছু সময় । তৃপ্তির নিশ্বাস ঘন হয়ে আসছে । জোরে জোরে বুক উঠা নামা করছে । এ কেমন ফিলিংস হচ্ছে তার,,, এর আগে তো কখনো এমন ফিলংসের সাথে পরিচিত হয়নি সে । তৃপ্তি চোখ বুঝে ফিলিংস’টা বুঝার চেষ্টা করলো । জীবনে প্রথম কোন পুরুষের ছোঁওয়া এতো গভির ভাবে পেল সে । না কিছুই বুঝতে পারছে না তৃপ্তি । নিদ্র আসতে করে তৃপ্তির হাত নিজের মাথা থেকে সরালো । এরপর তৃপ্তির ঠোঁট দু’টো থেকে উঠে আসলো সে । তৃপ্তির গায়ের উপর থেকে সরে এক পাসে সুয়ে পরলো নিদ্র । চোখ দু’টো বুঝে জোরে জোরে দু’টা নিশ্বাস নিলো । এরপর তৃপ্তিকে টেনে নিজের উপর নিয়ে আসলো । তৃপ্তি লজ্জায় চোখ খুলতে পারছে না । ফিলিংস’টা একে বারে নতুন তার জন্য । তৃপ্তি নিদ্রর বুকে ট্রি’শার্টের মধ্যে চোখ মুখ বুঝে মুখ লুকালো । নিদ্র তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হাসলো । জরিয়ে ধরলো সে তৃপ্তিকে । তৃপ্তি চোখ বুঝে রিনরিনিয়ে বললো ।

:+ভাইয়া আমায় মারবে না তো । দেখো আমি কিছু করিনি ।(তৃপ্তি)

নিদ্র আসতে করে তৃপ্তির মাথায় চুমু দিয়ে বললো ।

:+আমি যানি ।(নিদ্র)

নিদ্রর সাভাবিক কথা সুনে তৃপ্তি নিদ্রর বুকে নাক ঘসে মুখ তুলে নিদ্রর দিকে তাকালো । নিমিষেই আবার মুখ লুকালো সে নিদ্রর ট্রি’শার্টে । নিদ্র এবার হালকা হেসে উঠলো ।

:+বাহ বাহ,,,,লজ্জা পাচ্ছে বুঝি আমার কিউটি’টা ।(নিদ্র)

তৃপ্তি নিদ্রর বুকে নাক ঘসে ট্রি’শার্টে মধ্যে ল মুখ লুকিয়ে গলা খাদে নামিয়ে তৃপ্তি বললো ।

:+তোমার ঠোঁটে ,,,আমার ঠোঁটের লিপস্টিক লেগে গেছে ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা সুনে মুহুর্তেই নিদ্র আবার ঘোড়ের মাঝে চলে গেল । তৃপ্তির মাথা নিজের বুক থেকে তুলে আবার ঠোঁট ডুবিয়ে দিলো তৃপ্তির ঠোঁটে । তৃপ্তি এবার আরো বড় ধরনের সক খেলো । কি হচ্ছে তার সাথে সে বুঝতেই পারছে না । এ কি ধরনের ফিলিংস ।তৃপ্তি এবার মোচড়াতে সুরু করলো । নিদ্রর বুকের ট্রি’শার্ট শক্ত করে খামছি মেরে ধরলো । কোন মতে নিজেকে সামলানোর চেস্টা করলো সে । হঠাৎ তৃপ্তির মাথায় দুষ্টু বদ্ধি নারা দিলো । তৃপ্তি মনে মনে বলে উঠলো ।

:+দারাও চান্দু দেখাচ্ছি মজা ।(তৃপ্তি)

মনে মনে এই বলে তৃপ্তি নিদ্রর ট্রি’শার্ট থেকে হাত সরিয়ে নিদ্রর মাথা আকড়ে পিস্ঠে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো । এরপর নিদ্রর ঠোঁট কামড়ে ধরলো তৃপ্তি । এবার নিদ্র ছুটার চেষ্টা করতে লাগলো । কিন্তু তৃপ্তি নিদ্রর মাথা আকড়ে পিস্ঠে শক্ত করে জরিয়ে ধরে নিদ্রর ঠোঁটে কামড় দিয়ে যাচ্ছে । নিদ্র ব্যর্থ চেষ্টা করেও ছুটাতে পারছে না । শেষে জোরে একটা ধাক্কা দিয়ে তৃপ্তিকে সে নিজের গায়ের উপর থেকে সরিয়ে দিলো । তৃপ্তি হেসে কুটি কুটি হয়ে বেডের এক পাসে লাফাতে লাগলো । যেন বিশ্ব-জয় করে ফেলেছে সে । নিদ্র নিজের ঠোঁটে হাত বুলাতে লাগলো । বুঝার চেষ্টা করতে লাগলো ঠোঁট কেটে গেছে কিনা । না ঠোঁট কাটেনি । নিদ্র চোখ গরম করে তৃপ্তির দিকে তাকাতে যাবে, ওমনি তৃপ্তি বেড থেকে নেমে এক ছুটে ওয়াসরুমের দরজার কাছে চলে আসলো । এরপর পিছনে ঘুরে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে মাথা উপর দু’হাত তুলে, মুখে ভেংছি কেটে ওয়াসরুমে ঢুকে পরলো । তৃপ্তির এমন কান্ড দেখে নিদ্র মুচকি হাসলো । এরপর সে তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে চলে আসলো ।

——————————————-

সন্ধা সারে ৭টা বাজে…………..
নিদ্র,বজলুর,সালমা,নীলা,সজিব,তৃপ্তি, নিচ তলায় সোফার উপর বসে আছে । মিমকে তার বরের সাথে বিদায় দিয়ে নীলা, সালমা,সজিব,বজলুর,বিকেল ৫.৫৭মিনিটে চেয়ারম্যান বাড়িতে ফিরে আসে । মিম যাওয়ার সময় অনেক কান্না কাটি করেছিল । তৃপ্তি কথা বার বার বলছিল সে । নিদ্র সিঙ্গেল সোফায় মাথা নিচু করে বসে আছে । তৃপ্তি সবার দিকে ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছে । সবাই নিদ্রর দিকে তাকিয়ে আছে । নিরবতা ভেঙে বজলুর বললো ।

:+ওখানে কি হয়েছিল নিদ্র ।(বজলুর)

নিদ্র মাথা নিচু করেই আছে । সালমা অনেক বিরক্তি হচ্ছেন এতে । এতো বছর পর তার ভাইয়ের ছেলে দেশে আসছে আর আজ এমন কাজ ঘটালো নিদ্র । বজলুরের কথা সুনে তৃপ্তি বলে উঠলো ।

:+আব্বু আমি বলছি ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা সুনে সবাই তৃপ্তির দিকে তাকালো । নিদ্র আর-চোখে তৃপ্তিকে একবার দেখে নিলো । সবার তাকানো দেখে তৃপ্তি বলতে সুরু করলো ।

:+আসলে,,, আমি যখন সামিয়াকে খুজতে মিমদের বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করি,,, তখন কোথাকে যেন নিরব ভাইয়া এসে আমার সামনে দারায় । আমি কিছু না বলে পাস কাটিয়ে চলে যাবো । তখন তিনি আমার হাত ধরে ফেলেন । এরপর আমাকে মিমদের বাড়ির দেয়ালের সাথে ঠেকিয়ে ধরেন । আমি তখন,,,,,,,,,,।(তৃপ্তি)

তৃপ্তি আর কিছু বলার আগে নিদ্র সোফা থেকে উঠে সোজা দো’তলায় নিজের রুমে চলে আসলো । তৃপ্তির কথা গুলো সুনতে পারছে না সে । মন চাচ্ছে ওই নিরবের বেটাকে পুতে ফেলতে । এদিকে নিদ্র এমন রাগ দেখিয়ে চলে যাওয়ায় বেস অবাক হলো সবাই । সালমা অধির আগ্রহ নিয়ে তৃপ্তিকে বললো ।

:+তারপর কি হয়েছে মা ।(সালমা)

তৃপ্তি আবার বলা সুরু করলো ।

:+তারপর আমি তখন ভাইয়াকে বললাম । “ভাইয়া আমার হাত ছারুন । আমি ব্যথা পাচ্ছি” । কিন্তু ভাইয়া আমার হাত ছারলো না । তিনি বললেন । “তুই দেখছি খুব বড় হয়ে গেছিস । দেমাগ বেরেছে তোর দেখছি” । এই বলে ভাইয়া আমার হাত আরো শক্ত করে ধরলো দেয়ালের সাথে । এরপর একটা গোলাপ ফুল দিয়ে আমার মুখের উপর টাচ করতে লাগলেন । তখন আমার হাতের কাচের চুড়ি গুলো ভেঙে গেল । আর তখনি নিদ্র ভাইয়া সেখানে এসে আমাকে উনার হাত থেকে ছুটায় । তখন নিরব ভাইয়ার একটা ফ্রেন্ড এসে নিদ্র ভাইয়ার গালে চড় মারে । নিদ্র ভাইয়া তখন অনেক রেগে যায় । পরে ওই ছেলেটার গলা চেপে ধরে আর নিরব ভাইয়ারও । কিন্ত মাঝখান থেকে নিরব ভাইয়া যখন আমার হাতের চুড়ি গুলো ভেঙে দিয়েছিল তখন এই দেখো আমার হাত’টা কেটে গেছে ।(তৃপ্তি)

মন খারাপ করে শেষের কথা’টা বলে তৃপ্তি সবার সামনে নিজের বাম হাত’টা ধরলো । সালমা বিচলিত হয়ে মেয়ের পাসে এসে বসলেন ।

:+মা তোর আর কোথাও লাগেনি তো ।(সালমা)

বিচলিত হয়ে তৃপ্তির সারা শরীরে চোখ ঘুরাতে আর হাত বুলাতে বলে উঠলো সালমা । তৃপ্তি সালমাকে শান্ত হওয়ার জন্য বললো ।

:+না আম্মু,, আমার আর কোথাও লাগেনি । সুধু এই হাত’টাতে ব্যথা পেয়েছি ।(তৃপ্তি)

সালমা তৃপ্তির হাত’টা নিজের কাছে নিয়ে দেখেন হাতের দুই/তিন যায়গায় কেটে গেছে । মলম লাগানো হাত’টাতে । সালমার দু’চোখ দিয়ে দু’ফোটা চোখের পানি এলিয়ে পরলো । তৃপ্তির সালমার চোখে পানি দেখে বললো ।

:+আম্মু তুমি কাদছো কেন ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা সুনে সালমা তৃপ্তিকে নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরলেন । এরপর ঠুকরে কেদে উঠলেন ।

:+জানোয়ার টাকে আমি ছাড়বো না ।(সালমা)

ভাঙা গলায় বলে উঠলো সালমা । তৃপ্তি সালমার পিঠে আলতো করে হাত বুলাতে বুলাতে বললো ।

:+আম্মু কেদো না প্লিজ । আমার ভালো লাকছে না ।(তৃপ্তি)

সালমা নিজেকে শান্ত করার চেস্টা করেন । বজলুর সোফা থেকে উঠে সেখান থেকে চলে যান । মেয়ের কথা সুনে নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারছেন না তিনি । নীলা ঠাই সোফায় বসে মা মেয়ের দিকে তাকিয়ে রইলো । যখন এই ঘটনা’টা ঘটে তখন নীলা মিমের পাসে ছিল । তখন তার তৃপ্তির কথা মনেই ছিল না । সালমা কোন মতে নিজেকে শান্ত করে তৃপ্তির মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বললেন ।

:+হাতে মলম কে লাগিয়ে দিয়েছে মা ।(সালমা)

তৃপ্তি একটু নড়ে চড়ে সালমা বুকে মাথা রেখে বললো ।

:+নিদ্র ভাইয়া লাগিয়ে দিয়েছে ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা সুনে সালমা একটা ভাবনার মাঝে পরে যান । তিনি কি না কি ভেবেছে এতোখন নিদ্রকে নিয়ে । এখন নিজের উপরই বিরক্তি হচ্ছেন তিনি । এই ছেলের ভরসায়ই তো তিনি মেয়েকে ঢাকা পাঠিয়েছেন । তাহলে একেই অবিশ্বাস করছেন তিনি । সালমার এখন নিজের উপর খুব বিরক্তি লাগছে । নীলা বললো ।

:+আমি ছেলে’টাকে গেটে দেখেই বুঝে গিয়ে ছিলাম । ছেলে’টা তেমন সুবিদের না । যেভাবে ডেব ডেব করে তাকিয়ে ছিল আমাদের দিকে ।(নীলা)

নীলার কথা সুনে সালমা বেস অবাক হলেন । কিন্তু নীলার কথার পিঠে সালমা কোন কথা বললেন না । তিনি ভাবতেও পারছেন না তার ভাইয়ের ছেলে এমন একটা কাজ করবে । সজিব সোফা থেকে নেমে সালমা আর তৃপ্তির কাছে গেল । এরপর সজিব তৃপ্তির ডান হাত টেনে বললো ।

:+ওই আপু সরো । তুমি একা আম্মুর আদর খাচ্ছো কেন । আমিও আম্মুর আদর খাবো ।(সজিব)

সজিবের কথা সুনে নীলা চোখ বড় করে সজিবের দিকে তাকালো । তৃপ্তি মুখ বাকিয়ে আরো একটু শক্ত করে সালমাকে জরিয়ে ধরে বললো ।

:+তুই সর এখান থেকে । এটা আমার আম্মু । সুধু আমার । তোর কোন আম্মু নেই । তোকে আমরা পাসের বাড়ি থেকে এনেছি ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা বলার ভঙি দেখে সালমা আর নীলা হেসে উঠলো । সজিব কপট রাগ দেখিয়ে বললো ।

:+ওই আপুওওওও । তোমাকে পাসের বাড়ি থেকে এনেছে । আমাকে না । যাও ভাগো ।(সজিব)

সজিবের রাগ দেখে সালমা আর নীলা উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো । তৃপ্তি আবার মুখ বাকিয়ে বললো ।

:+তুই ভাগ ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির এই কথা সুনে সজিব রাগে ফুঁসে উঠলো । সে কোন কথা না বলে সোফার উপর উঠে তৃপ্তির পিঠে চড়ে সুয়ে পরলো । এরপর মুখে সিস বাজাতে লাগলো । সিস তো বাঝচ্ছে না । সুধু হাওয়া বেরুচ্ছে মুখ দিয়ে । তৃপ্তি অসহায় দিষ্টিতে সালমার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আম্মু ওকে সরতে বলো না । গরম লাগছে ।(তৃপ্তি)

সালমা তৃপ্তির মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন ।

:+এখন তুইও আমাকে ছার । রান্না করতে হবে রাতের জন্য ।(সালমা)

তৃপ্তি ধুর ভালো লাগে না বলে সালমাকে ছেরে দিলো । সজিব তাড়াতাড়ি তৃপ্তিকে আঁকড়ে পিস্ঠে জরিয়ে ধরলো । এরপর বললো ।

:+আপু তুমি এটা কি করছিলে । এখনি তো আমি পরে যেতাম ।(সজিব)

তৃপ্তি সোজা হয়ে বসে সজিবকে নিজের পিঠ থেকে নামিয়ে বললো ।

:+যা ভাগ এখান থেকে । তোর জন্য আমি এখন আদর খেতে পারলাম না ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা সুনে সজিব মুখ কালো করে নিজের রুমের দিকে চলে গেল । সালমা দু’পাসে মাথা নারিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছেরে সোফা থেকে উঠে রান্না ঘরের দিকে চলে গেল । নীলা এসে তৃপ্তির পাসে বসলো । এরপর চার পাসে একবার চোখ বুলিয়ে, নীলা তৃপ্তিকে ফিসফিসিয়ে বললো ।

:+আচ্ছা সুইটি,,, তোকে যখন নিদ্র বাড়িতে নিয়ে এসছিল তখন কি নিদ্র তোকে কিছু বলছে বা কিছু করছে ।(নীলা)

নীলার কথা সুনে তৃপ্তির মুখ কাচুমাচু হয়ে যায় । স্পষ্ট লজ্জার আভা ভেসে উঠে । তৃপ্তি নিজেও যানে না এটা কি কারনে হচ্ছে তার । নীলা এটা দেখে চোখ বড় বড় করে ফেলে । সুকনো একটা ঢোক গিলে নীলা বললো ।

:+কিরে বল । কি করেছে বা বলেছে ।(নীলা)

নীলার কথা সুনে তৃপ্তি রিনরিনিয়ে বললো ।

:+আমি বলতে পারবো না । আমার লজ্জা করছে ।(তৃপ্তি)

এই বলে তৃপ্তি দু’হাত দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে ফেললো । নীলা এবার পুরো বুঝে গেছে বাড়িতে আসার পর কিছুতো একটা হয়েছে । নীলা তৃপ্তির একটা হাত নিজের কাছে নিয়ে বললো ।

:+বল না,,,,লজ্জা পাওয়ার কি আছে । এখানে তো আমি আর তুই । আর আমি তো তোর ফ্রেন্ডস । ফ্রেন্ডকে তো এগুলো বলাই যায় ।(নীলা)

নীলার কথা সুনে তৃপ্তি ঠোঁট কামড়ে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলো । নীলা তৃপ্তির গালে আলতো করে হাত রেখে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বললো ।

:+সুইটি এখানে আমি আর তুই ছারাতো কেও নেই । আমাকে বলতে পারিস । আমি কাওকে বলবো না ।(নীলা)

তৃপ্তি বুঝে গেল নীলা তার থেকে এটা সুনেই ছাড়বে । তৃপ্তি মাথা নিচু করে রিনরিনিয়ে বললো ।

:+একদিন তোমার সাথে টিকটক দেখছিলাম । তখন একটা ভিডিওতে একটা ছেলে আর একটা মেয়ে কিসব করছিল তোমার মনে আছে ।(তৃপ্তি)

নীলা তৃপ্তির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বললো ।

:+আব,,,,,,মানে ।(নীলা)

নীলার কথা সুনে তৃপ্তি সোফার উপর থেকে একটা ছোট বালিশ নিয়ে, নিজের মুখ লুকিয়ে রিনরিনিয়ে বললো ।

:+মানে,,, ওই ছেলেটা মেয়েটার সাথে যা করছিল ভাইয়াও আমার সাথে তা করছে ।(তৃপ্তি)

বলেই সোফার উপর থেকে নেমে এক ছুটে নিজের রুমে চলে গেল তৃপ্তি । নীলা ইয়া বড়ো হা করে তৃপ্তির যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো । তখন কোথা থেকে সজিব এসে নীলার মুখের সামনে তুরি বাজালো । নীলা ভেবা ছেকা খেয়ে সজিবের দিকে তাকালো । সজিব একটা ভাব নিয়ে নীলার পাসে বসে বললো ।

:+যানো পরি । ভাবতেছি তোমার আর আমার বিয়ে’টা তারাতারি সেরে ফেলবো । আর একটা একটা থাকতে ভালো লাগে না । তোমার আমার লাভ ইস্টুরি’টা কেমন হবে যানো । পুরো রহিম আর রুব্বানের মতো ।(সজিব)

সজিবের কথা সুনে নীলা ভ্র-কুঁচকে সজিবের দিকে তাকালো । সজিব একটা ডেবিল মার্কা হাসি দিলো । নীলার গা জ্বলে যাচ্ছে এখন । নীলা আর সেখানে বসে না থেকে হন হনিয়ে সেখান থেকে চলে গেল । সজিব উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো । সোফার পিছন থেকে বেরিয়ে আসলো নিদ্র । সজিব আর নিদ্র একে অপরের মুখ দেখে হাতে হাত মিলিয়ে আবার হেসে উঠলো ।

——————————————-

রাত ১০.৪৫ মিনিট বাজে…………..
সবাই খাবার খেয়ে যে যার রুমে চলে গেল । নিদ্র রুমে এসে দেখলো তার ফোন উরা ধুরা ভাবে বেজে চলেছে । নিদ্র চার্জ থেকে ফোন হাতে নিয়ে দেখলো রাশেদ কল করছে । নিদ্র ফোন চার্জ থেকে খুলে রাশেদের কল রিসিপ করে কানে ধরলো ।

:+কিরে বেটা,,, কি করছিস ।(রাশেদ)

ফোনের ওপাস থেকে বলে উঠলো রাশেদ । নিদ্র বেডের উপর গোল হয়ে বসে একটা বালিশ কোলে নিলো । এরপর দু’হাতের কনুই বালিশে ঠেকিয়ে বাম হাতের নখ দেখতে দেখতে বললো ।

:+কি করবো,,, বসে আছি । এই মাত্র খাওয়া দাওয়া করে আসলাম ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে রাশেদ বললো ।

:+আচ্ছা,,, যে জন্য কল করেছি সুন ।(রাশেদ)

নিদ্র ডান হাতের নখ দাত দিয়ে খুঁটতে খুঁটতে বললো ।

:+সুনছি বললো ।(নিদ্র)

:+আমরা আগামি পসু চলে যাচ্ছি ।(রাশেদ)

সোজা সাপ্টা বলে উঠলো রাশেদ । রাশেদের কথা সুনে নিদ্র অবাক হয়ে বললো ।

:+চলে যাচ্ছিস মানে । আমি না আসা প্রজন্ত কোথাও যাবি না ।(নিদ্র)

নিদ্র এমন বক্তব্য সুনে রাশেদ বললো ।

:+দেখ ভাই,,, এখানে এসছি আজ প্রায় দুই মাসের উপরে হয়ে গেছে । আব্বু অনেক বকা দিচ্ছে চলে যাওয়ার জন্য ।(রাশেদ)

রাশেদের কথা সুনে নিদ্র বললো ।

:+আমি বলছি । আমি না আসা প্রজন্ত কোথাও যাবি না,,, মানে যাবি না । আমার কথার উপর কথা বললে তোদের আস্ত রাখবো না বলে দিলাম ।(নিদ্র)

:+আরে সুন আব্বু,,,,,,,,।(রাশেদ)

রাশেদ আর কিছু বলার আগে নিদ্র কল কেটে দিয়ে ফোন সুইচঅপ করে দিলো । নিদ্র যানে রাশেদ এখন আবার কল করবে । তাই সে ফোন সুইচঅপ করে ফেললো । হঠাৎ নিদ্রর রুমের দরজায় ঠকঠক আওয়াজ হলো । নিদ্র কে বলে উঠলো । দরজার ওপাস থেকে সালমার গলার আওয়াজ আসলো ।

:+দরজা খোলা আছে চাচি আম্মা ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে সালমা দরজা ঠেলে নিদ্রর রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো । নিদ্র আগের মতোই বসে আছে । সালমা আসতে করে এসে নিদ্রর বেডের পাসে বসলো । এরপর বললো ।

:+আমি ভাবতেও পারিনি আমার ভাই পো এমন হবে । ও মাস খানিক পর আবার ডুবাই চলে যাবে । প্লিজ ওকে কিছু করো না ।(সালমা)

চট করে নিদ্র হাত ধরে ভাঙা গলায় বললো সালাম । নিদ্র কিছু’টা অবাক হওয়ার ভান করে বললো ।

:+কি বলো চাচি আম্মা । আমি ওকে কি করবো ।(নিদ্র)

নিদ্র কথা শুনে সালমা বললো ।

:+আমি যানি তুমি কেমন । প্রয়োজন পরলে আমি ওকে শাস্তি দেবো । তবুও প্লিজ ওকে কিছু করো না । আমি তাহলে ভাইয়ার কাছে মুখ দেখাতে পারবো না ।(সালমা)

কিছু’টা কাদো কাদো সুরে বললো সালমা । নিদ্র সালমাকে সাই দিয়ে বললো ।

:+কিছু করবো না চাচি আম্মা । তুমি নিশ্চিতে থাকতে পারো । তবে আবার যদি তৃপ্তির দিকে নজর দেয় । তাহলে ওর চোখ আর যায়গায় থাকবে না । আমি ওর চোখ তুলে ফেলবো । এটা ওকে বুঝিয়ে বলো ।(নিদ্র)

সালমা চোখের পানি মুছে বললো ।

:+না ও আর কখনো তাকাবে না । আমি ওকে বুঝাবো ।(সালমা)

:+চাচি আম্মা । যে ভয়ে তুমি তৃপ্তিকে আমাদের বাড়িতে পাঠাতে চাওনি । আজ সেই ভয় তোমার ঘরে । আমার কথা যদি বুঝতে পারো তাহলে ভালো । আর না বুঝতে পারলে আমার কিছু করার নেই । তুমি বুঝদার মানুষ । এটুকু তো বুঝবেই ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে সালমা নিদ্রর বেড থেকে দারিয়ে গেল । এরপর নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আমি বুঝতে পারছি তুমি কিসের কথা বলছো । আমি আর ওকে আমার মেয়ের পাসে ঘেসতে দেবো না ।(সালমা)

সালমা কথা সুনে নিদ্র একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললো ।

:+চাচি আম্মা । আমরা যে কয়দিন আছি । সেই কয়দিন ওকে এই বাড়িতে আসতে দিও না । আমরা চলে যাওয়ার পর নাহয় ওকে এই বাড়িতে আসতে বলো ।(নিদ্র)

:+ঠিক আছে,,, আমি তাই করবো । তুমি ঘুমাও আমি এখন যাই ।(সালমা)

নিদ্র মাথা নারিয়ে সাই দিলো । সালমা নিদ্রর রুম থেকে বেরিয়ে গেল । নিদ্র একটা হাসি দিয়ে সুয়ে পরলো ।
নিজের ভাই পোকে বাচানোর জন্য সালমা আসছে নিদ্রর কাছে । কারন সালমা যানে নিদ্র হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না । হাত গুটিয়ে বসে থাকার লোক নিদ্র না । সালমা আসতো না নিদ্রর কাছে । কিন্তু নিরবের কিছু হয়ে গেলে তিনি নিজের ভাইয়ের কাছে মুখ দেখাবেন কি করে । এই ভয়ে তিনি নিদ্রর কাছে আসেন । সালমা মনে মনে ঠিক করে নেন নিজের মেয়েকে নাহয় চোখে চোখে রাখবেন । ওই ছেলের থেকে দুরে দুরে । সালমা যানে নিরবও কোন অংশে কম জেদি না । তার অপমানের প্রতিশোধ সে নিবেই । কিন্তু নিদ্রকে নিয়ে সব ভয় সালমার । নিরব যতই জেদি হকো না কেন । কিন্তু নিদ্র????

:+ছারবো না আমি তোকে নিদ্রওওওওওওওওওওও ।(নিরব)

দো’তলা বাড়ির ছাদে দারিয়ে আকাশ পানে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে উঠে নিরব ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

[।কপি করা নিষেধ।]

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here