তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________38

0
433

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________38

সকাল ১১টা বেজে ২৫ মিনিট………
সবাই রেডি হচ্ছে মিমের শশুর বাড়িতে যাওয়ার জন্য । মাজে একটা দিন কেটে গেছে । মিম বার বার সালমাকে কল করে তাদের অবশ্যই যেতে বলছে । সজিব, সালমা, নীলা, তৃপ্তি রেডি হচ্ছে । বজলুর আগেই রেডি হয়ে নিচ তলায় সোফার উপর বসে আছে । নিদ্র নিজ রুমে বসে আন মনে কিছু ভাবছে । সালমা, সজিবকে তৈরি করে নিচে পাঠিয়ে দিয়েছেন বজলুরের কাছে । এরপর নিজে তৈরি হয়ে তৃপ্তির রুমের দিকে হাটা ধরলেন তিনি । নিদ্রর রুমের সামনে এসে থমকে দারায় সালমা । কারন নিদ্রর রুমের দরজা খোলা । সালমা কৌতুহল নিয়ে দরজার কাছে গিয়ে নিদ্রর রুমের ভিতরে তাকালেন । তিনি দেখলেন নিদ্র আন মনে কিছু একটা ভাবছে । সালমা আর দরজার পাসে দারিয়ে না থেকে নিদ্রর রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো । কারো উপস্থিতি টের পেয়ে নিদ্রর সামনে তাকালো । দেখলো সালমা তার দিকে আসছে । সালমা নিদ্রর সামনে এসে দারিয়ে বললো ।

:+যাবে না তুমি । রেডি হচ্ছো না কেন ।(সালমা)

নিদ্র মাথা নিচু করে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+কেমন যেন লাগছে ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে সালমা ভ্র-কুঁচকে নিদ্রর দিকে তাকালো । এরপর শান্ত গলায় বললো ।

:+শরীর খারাপ লাগছে ।(সালমা)

:+না । আচ্ছা,,, চাচি আম্মা আপনি যান । আমি রেডি হয়ে আসছি ।(নিদ্র)

ফ্লোরের দিকে তাকিয়েই বললো নিদ্র । সালমা নিদ্রর দিকে তাকিয়ে কিছু একটা বলতে গিয়েও বললো না । পিছনে ঘুরে আবার নিদ্রর রুম থেকে বেরিয়ে আসলেন তিনি । নিদ্র আর বসে না থেকে ওয়াসরুমে চলে গেল । সালমা নিদ্রর রুম থেকে বেরিয়ে তৃপ্তির রুমে এসে দেখে তৃপ্তি আর নীলার তৈরি হয়ে গেছে । এখুনি তারা বেরুবে এমন সময় সালমা আসে । সালমা তৃপ্তি আর নীলার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+হয়ে গেছে তোমাদের ।(সালমা)

তৃপ্তি সালমার কাছে এসে দারিয়ে বললো ।

:+হ্যাঁ আম্মু,,,,, চলো যাই ।(তৃপ্তি)

সালমা তৃপ্তিকে উপর থেকে নিচ প্রর্জন্ত দেখলো । তৃপ্তি নেভি ব্লু রঙের একটা বোরখা আর নিল রঙের একটা হিজাব পরেছে । নিকাব পরবে না তৃপ্তি । তৃপ্তি তো বোরখাই পরতো না । নিদ্রর করা বিদ্বেষে সে বোরখা পরেছে, সাথে নীলাও । নীলা কফি রঙের বোরখা আর কালো হিজাব পরেছে । সালমাও এদের মতোই বোরখা পরেছে । যাই হোক সালমা, তৃপ্তি, নীলা, তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে আসলো । নিদ্র এখনো ওয়াসরুমে । তার তৈরি হতে আরো কিছু মিনিট সময় লাগবে । সালমা, তৃপ্তি, নীলা নিচ তলায় এসে দারালো । সালমা গিয়ে সোফার উপর বসে পরলেন । তৃপ্তি আর নীলা দারিয়ে রইলো । তৃপ্তি বুঝতে পারছে না এখন বসে থাকার মানে কি ? তারা তো রেডি, তাহলে এখন বসে আছে কেন ? সালমা তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+এখানে বসো তোমরা । নিদ্র এখনো রেডি হয়নি । ও রেডি হয়ে আসলে । তারপর সবাই এক সাথে বের হবো ।(সালমা)

সালমার কথা সুনে সবাই সালমার দিকে অবাক হয়ে তাকালো । বজলুর বললো ।

:+রেডি হতে এতো সময় লাগে । আমিও তো রেডি হয়েছি । আমার তো পাঁচ মিনিটও সময় লাগে নি ।(বজলুর)

সালমা একটু বিরক্তি নিয়ে বললো ।

:+দেখো ও একটু আগে রেডি হতে গেছে । আর কথা বারিও না তুমি । চুপচাপ বসে থাকো ।(সালমা)

সালমার কথা সুনে কেও আর কিছু বললো না । তৃপ্তি আর নীলাও সোফার উপর বসে নিজেদের মতো কথা বলতে লাগলো । কিছু সময় যাওয়ার পর নিদ্র সিরি বেয়ে নিচ তলায় নামলো । নিদ্রকে নামতে দেখে সবাই বসা থেকে উঠে দারালো । সজিব হা করে নিদ্রর দিকে তাকালো । নিদ্র কালো ট্রি’শার্ট, কালো পেন্ট, কালো সু পরছে । চুল গুলো বাম দিকে সিতি করে ডান দিকে রাখা । কপালের উপরের সামান্য কিছু চুল মুখের উপর এসে পরে আছে । নিদ্র তাদের কাছে না গিয়ে বাড়ির মেন দরজার দিকে পা বারিয়ে বললো ।

:+তোমরা ওখানে দারিয়ে আছো কেন সবাই,,, চলো ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা সুনে সবাই বাড়ির বাহিরে দিকে হাটা ধরলো । সজিব দৌড় দিয়ে নিদ্রর কাছে চলে গেল । সালমা পুরো ঘরে এক বার চোখ বুলিয়ে নিলেন । এরপর হাতে তালা আর চাবি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলেন তিনি । বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাড়ির মেন দরজা লাগিয়ে, তালা ঝুলিয়ে দিলো সালমা । পার্কিং লডে গাড়ির কাছে গিয়ে সালমা দেখে নিদ্র আর বজলুর কি নিয়ে যেন কথা কাটা কাটি করছে । আর নীলা, তৃপ্তি, সজিব, মিট মিট করে হাসছে । সালমা সেখানে গিয়ে দারিয়ে বললো ।

:+এই তোমরা কি নিয়ে এমন করছো ।(সালমা)

সালমার কথা সুনে নিদ্র সালমার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আমি বলছি আমার গাড়িতে উঠে বসতে । কিন্তু চাচু তার গাড়িতে উঠে বসলো ।(নিদ্র)

বজলুর নিজের গাড়ির ড্রাইভিং সিট থেকে গাড়ির জানালা দিকে মাথা বের করে বললো ।

:+আমার কি গাড়ি নেই নাকি । যে তোর গাড়িতে করে যাবো ।(বজলুর)

:+দেখো চাচু ভালো হচ্ছে না । আমার গাড়িতে করে গেলে সমস্যা কি ।(নিদ্র)

:+তোর,,,,,,,,,,,,,।(বজলুর)

বজলুরকে আর কিছু বলতে না দিয়ে সালমা বললো ।

:+এই স্টপ । সামান্য একটা বেপার নিয়ে তোমরা কথা কাটা কাটি করছো । বেলা ১২টার বেসি বাজে । কখন গিয়ে পৌছাবো আমরা ,,,খবর আছে ।(সালমা)

নিদ্র সালমার কথা সুনে নিজের গাড়ির পিছনের সিটের দরজা খুলে দিয়ে বললো ।

:+চাচি আম্মা । তোমরা সবাই আমরা গাড়িতে উঠো বসো । চাচু নিজের গাড়ি নিয়ে একা একা যাক ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথার পিঠে আর কথা বললো না সালমা । তিনি নিদ্রর গাড়ির পিছনের সিটে গিয়ে বসে পরলেন । সালমা গাড়িতে উঠতেই তৃপ্তি, নীলাও নিদ্রর গাড়িতে পিছনের সিটে উঠে বসলো সালমার পাসে । সজিব গিয়ে নীলার কোলে বসে পরলো । নীলার বিরক্তি লাগলেও সে এখন কিছু বলতে পারছে না । নিদ্র বজলুরের দিকে তাকিয়ে একটা ভিলেন মার্কা হাসি দিলো । বজলুরের মুখ’টা মলিন হয়ে গেলো । তিনি আসতে করে নিজের গাড়ি থেকে নেমে এলেন । নিদ্র গাড়ির ভিতরে সামনের ড্রাইভিং সিট এর পাসের সিট’টি দেখিয়ে দিলো বজলুরকে । বজলুরও চুপচাপ বসে পরলো । অতপর নিদ্র গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি র্স্টাড দিয়ে চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলো ।

—————————————-

বেলা ২টা বেজে ১৫ মিনিট………….
খান বাড়ির সামনে এসে গাড়ি দার করালো নিদ্র । সাথে আরো ৩ টে মাইক্রো এসে দারালো । সাথে ৩ টে মাইক্রো হলো মিমদের বাড়ির লোকজনদের । নিদ্র গাড়ি পার্ক করে ড্রাইভিং সিট থেকে নেমে দারালো । সাথে বজলুর, সালমা, নীলা, তৃপ্তি, সাজিবও নেমে দারালো । তারা গাড়ি থেকে নামতেই সামিয়া এসে দারালো তৃপ্তির কাছে । মিমের বিয়ের দিন মিমের সাথে সামিয়া আর ইকরা মিমের সাথে মিমের শশুর বাড়িতে আসে । সামিয়া তৃপ্তির কাছে এসে তৃপ্তির হাত ধরে বললো ।

:+কিরে,,, আসতে কোন সমস্যা হয়নি তো ।(সামিয়া)

তৃপ্তির পাসে দারিয়ে ছিল নীলা । সে সামিয়ার এমন কথা সুনে সামিয়ার কাছে গিয়ে সামিয়ার কানে কানে বললো ।

:+কি বেপার সামিয়া । তুমি ওদের হয়ে কথা বলছো কেনো । সামথিং সামথিং । হুম হুম হুম ।(নীলা)

নীলা নিজের ডান সিনা দিয়ে সামিয়ার বাম সিনায় বারি দিয়ে বললো । নীলার এমন কথা সুনে সামিয়া নীলার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আরে,,,,,না না না । আপু তেমন কিছু না । এমনি জিজ্ঞেস করলাম । আমাদের বেস্টু বলে কথা ।(সামিয়া)

সামিয়ার কথা সুনে তৃপ্তি বললো ।

:+হ্যাঁ,,রে সামিয়া,,, মিম কোথায় । আমাকে মিমের কাছে নিয়ে চল প্লিজ ।(তৃপ্তি)

সামিয়া তৃপ্তির কথা সুনে বললো ।

:+একটু ওয়েট কর বেস্টু । তার আগে এখানে কিছু ফরমালেটিস আছে সেগুলো তো হয়ে জেতে দে ।(সামিয়া)

:+ধুর । এখানে আবার কিসের ফরমালেটিস ।(তৃপ্তি)

এক রাশ বিরক্তি নিয়ে বললো তৃপ্তি । সামিয়া তৃপ্তির বিরক্তি দেখে বললো ।

:+কিছু করার নেই রে বেস্টু । এখানে বর পক্ষের লোকজন জেদ ধরছে আমাদের লোকদের গেট ধরবে বলে ।(সামিয়া)

সামিয়ার কথা সুনে নীলা বলে উঠলো ।

:+আমি বাবা গেটের কাছে আর যাবো না । এসব লুচ্চা লাফাঙ্গা ছেলের সামনে আমি আর যাবো না । যত সব বদের হাড্ডি এক একটা ।(নীলা)

নীলার কথা সুনে সামিয়া বললো ।

:+কিন্তু এখন কি করা যায় আপু ।(সামিয়া)

:+ইকরা কোথায় ।(নীলা)

সোজা প্রশ্ন করে নীলা সামিয়াকে । সামিয়া একটু সময় নিয়ে ভেবে বললো ।

:+আমার মনে হয় । ওই দিক টায় আছে ।(সামিয়া)

:+আচ্ছা তুমি যাও । ওকে ডেকে নিয়ে আসো ।(নীলা)

:+আমিও যাবো সামিয়ার সাথে ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা সুনে ভ্র-কুঁচকে তৃপ্তির দিকে তাকালো নীলা । এরপর বললো ।

:+তোকে কোথাও যেতে হবে না । তুই এখানেই আমার সাথে থাক ।(নীলা)

সামিয়া আর কিছু না বলে নীলা আর তৃপ্তির কাছ থেকে চলে গেল ইকরাকে খুজতে । তৃপ্তি নীলার হাত ধরে সেখানে দারিয়ে রইলো । তখন সালমা আসে দারালো তাদের কাছে । সালমাকে দেখে একটু নরে চরে দারালো নীলা আর তৃপ্তি । সালমা নীলার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+ওকে কোথাও একা ছেরো না । আর তৃপ্তি মা তুইও একা কোথাও যাস না । সব সময় নীলা মামুনির সাথে থাকবি,, ওকে ।(সালমা)

শেষের কথা তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বললো সালমা ।সালমার কথা সুনে তৃপ্তি ঠোঁট উলটে জবাব দিলো ।

:+ঠিক আছে আম্মু ।(তৃপ্তি)

সালমা তৃপ্তির মাথায় আলতো করে হাত বুলিয়ে সেখান থেকে চলে যায় নিদ্রর কাছে । নিদ্র গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দারিয়ে আছে আর নিদ্রর পাসে দারিয়ে আছে সজিব । সালমা সজিবের সামনে দারিয়ে বললো ।

:+সজিব আমার সাথে আয় ।(সালমা)

সালমার কথা সুনে সজিব অবাক হয়ে বললো ।

:+কোথায় যাবো । আমি কোথাও যাবো না । আমি ভাইয়ার সাথে থাকবো । তুমি যাও ।(সজিব)

সালমা সজিবের বক্তব্য সুনে কিছু খন চুপ করে থেকে তারপর বললো ।

:+ঠিক আছে । তুই তোর ভাইয়ার সাথে থাক ।(সালমা)

সজিব ৩২ দাত বের করে একটা হাসি দিলো । সালমা নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+সজিবকে নিজের সাথে রেখো । আর আমি তৃপ্তিকে বলে এসছি ও যাতে নীলার সাথে থাকে । আর আমিও চোখে চোখে রাখবো । তুমি সজিবের দিকে একটু খেয়াল রেখো ।(সালমা)

নিদ্র কিছু বললো না । সুধু মাথা নারিয়ে সাই দিলো । সালমা সেখান থেকে চলে গেল । বজলুর কোথায় আছে কে যানে । চেয়ারম্যান মানুষ এজন এটা বলে,,, ওজন ওটা বলে কোথায় নিয়ে গেছে তাকে কে যানে । নীলা আর তৃপ্তি দারিয়ে থাকার কিছুখন পর সামিয়া ইকরাকে নিয়ে আসলো তাদের কাছে ।

:+ইকরা,,,, গেটের ওখানে কি আয়োজন চলছে ।(নীলা)

নীলার এমন কথা সুনে ইকরা মুখ বাকিয়ে বললো ।

:+সালার উগান্ডার দলেরা নাকি আমাদের গেট ধরবে ।(ইকরা)

ইকরার এমন কথায় হেসে উঠলো সবাই । নীলা হাসি থামিয়ে বললো ।

:+আমি বাবা গেটের কাছে যাচ্ছি না । আর তোমরাও কেও গেটের কাছে যাবে না ।(নীলা)

নীলার এমন কথা সুনে ইকরা ভ্র-কুঁচকে নীলার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+কেন আমরা গেটের কাছে যাবো না ।(ইকরা)

:+আরে বুদ্দু মেয়ে । গেটের কাছে গেলে আজ আমাদের পঁচাবে ওরা ।(নীলা)

ইকরার কথা সুনে কিছু’টা দাত কটমট করে বললো নীলা । ইকরা রিনরিনিয়ে বললো ।

:+তাহলে এখন কি হবে ।(ইকরা)

:+আমি যা বলছি তাই করো ।(নীলা)

:+কি করতে হবে বলেন আপু ।(সামিয়া)

:+সুনো তাহলে তোমরা দুজন ।(নীলা)

ইকরা আর সামিয়াকে উদ্দেশ্য করে বললো নীলা । ইকরা আর সামিয়া নীলার দিকে একটু এগিয়ে আসলো । নীলা বলা সুরু করল ।

:+তোমরা এখন দুজন গিয়ে, খুব বয়স’কো তিন চার জন মহিলাকে গেটে পাঠাও । সাথে তোমাদের মা, বাবা,ভাই,ব্রাদার্স, খালা,খালু,ফুফি,ফুফা যারা আছে সবাইকে পাঠাও । সুধু যত ইয়াং মেয়ে আছে তাদের সবাইকে এদিকে নিয়ে আসো । একটা মেয়েও যেন গেটের কাছে না যায় ।,,,,কুইক ।(নীলা)

:+আপু সেই রকমের একটা প্লেন । আমি সব বুঝে গেছি । আমি এতোখন কিছু ভেবেই পাচ্ছিলাম না এদের মোকাবিলা কি ভাবে করবো । সালাদের উপস করে মারবো । আমি এখুনি যাচ্ছি ।(ইকরা)

এই বলে ইকরা দিলো ভৌ দৌড় । ইকরার পিছু পিছু সামিয়াও চলে গেল । নীলা আর তৃপ্তি হেসে উঠলো । একটু দুরে গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দারিয়ে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে রইলো নিদ্র । কি মায়া কারানো হাসি হাসছে মেয়ে’টা । নিদ্র অপলক ভাবে তাকিয়ে রইলো ।

:+কিরে,,,, তোরা রেডি তো ।(নিরব)

নিরবের কথা সুনে ফোনের অপর-পাস থেকে একটা ছেলে বললো ।

:+হ্যাঁ,,ভাই আমরা সবাই রেডি আছি । সুজুক পেলেই সালাকে শেষ করে দেবো ।(ছেলে)

ছেলেটার কথা সুনে নিরব পৈশাচিক হাসি দিয়ে বললো ।

:+ঠিক আছে । তবে সালা যেন হাত থেকে ছাড়া না পায় । আমার গায়ে হাত তুলছে সালা । এই নিরব শেখের গায়ে হাত তুলেছে । ভরা বিয়ে বাড়িতে আমাকে অপমান করছে । সালাকে মেরে একে বারে হাড় গুর ভেঙে দিবি ।(নিরব)

:+ভাই টাকা,,,,,,,।(ছেলে)

ফোনের ওপাসের ছেলেটিকে থামিয়ে নিরব বললো ।

:+তোদের পেমেন্ট তোরা সময় মতো পেয়ে যাবি । আগে কাজ শেষ কর ।(নিরব)

শেষের কথা রেগে দাত কটমট করে বললো নিরব । ফোনের ওপাসে থাকা ছেলেটি “ঠিক আছে ভাই” বলে কল কেটে দিলো । নিরব নিজ রুমে দারিয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে হুঙ্কার দিয়ে হেসে উঠলো । তখনি নিরবের রুমের দরজায় ঠকঠক আওয়াজ হলো ।

:+নিরব দরজা খোল । কি করছিস ভাই তুই ভিতরে । এদিকে আমার শশুর বাড়ির সব লোকেরা চলে আসছে ।(নিলয়)(মিমের স্বামী)

নিলয়ের গালর আওয়াজ শুনে নিরব চুপ হয়ে গেল । কারন নিলয় এসব মারা মারি কাটা কাটি পছন্দ করে না । সে একজন ইনোসেন্ট ছেলে । এর আগে একবার নিরব মারা মারি করার কারনে নিলয় নিরবের সাথে বন্ধুত্ব ভেঙে দেয় । কিন্তু নিরব নিলয়ের পিছু ছারে না । সে নিলয়ের পিছু লেগেই আছে । নিরব নিজেকে শান্ত করে রুমের দরজা খুলে দিলো । নিলয় রুমের ভিতরে প্রবেশ করতে করতে বললো ।

:+কি করছিলি তুই রুমের ভিতরে । ওদিকে আমার শশুর বাড়ির সবাই খাওয়া দাওয়া সুরু করে দিয়েছে ।(নিলয়)

নিলয়ের এমন কথা সুনে নিরব বললো ।

:+উনারা আসছে । এখন খাচ্ছে । এতে আমি কি করবো ।(নিরব)

গলা মোটা করে বললো নিরব । নিলয় একটু ভরকে গেল । এরপর ভ্র-কুঁচকে নিরবের দিকে তাকিয়ে নিলয় বললো ।

:+তুই আবার কোন গন্ডগোল পাকাচ্ছিস । এবার যদি আমি কোন গন্ডগোলের আভাস পাই । তাহলে তোর আর আমার বন্ধুত্ব এখানেই শেষ । কথা’টা মনে রাখিস ।(নিলয়)

নিরবের সামনা সামনি দারিয়ে চোখে চোখ রেখে বললো নিলয় । এরপর সেখানে আর দারিয়ে না থেকে পিছনে ঘুরে নিরবের রুম থেকে বেরিয়ে আসলো সে । নিরব পিছন থেকে চিৎকার করে বললো ।

:+সালা তুই বন্ধু । নাকি শত্রু ।(নিরব)

নিরবের চিৎকার সুনে নিলয় দারিয়ে গেল । এরপর আবার পিছনে ঘুরে নিরবের রুমের দিকে তাকিয়ে আরো জোরে চিৎকার দিয়ে নিলয় বললো ।

:+শত্রুউউউউউউউউউউউ ।(নিলয়)

:+নিলয় বাবা এভাবে চিৎকার করছো কেন ।(সালমা)

কারো নরম গলার আওয়াজ শুনে নিলয় থম থমি খেয়ে সামনে ঘুরে তাকায় । দেখলো সালমা দারিয়ে আছে । নিরল সাথে সাথে মাথা নিচু করে নত যানু হয়ে সালমাকে বললো ।

:+আসসালামু-ওয়ালাইকুম আন্টি,,, কেমন আছেন ।(নিলয়)

সালমা নিলয়ের এমন ব্যাবহারে মুগ্ধ হন । তিনি মুখে হাসি এনে বললেন ।

:+ওয়ালাইকুম-আসসালাম আমি ভালো আছি বাবা । তুমি কেমন আছো ।(সালমা)

:+এই তো আন্টি ভালো । বাড়ির সবাই কেমন আছে ।(নিলয়)

শিতল কন্ঠে বললো নিলয় । সালমা আবারো একটু হেসে বললো ।

:+বাড়ির সাবই অনেক ভালো আছে । আচ্ছা তুমি একটু আগে কাকে চিৎকার করে “শত্রু” বলছিলে ।(সালমা)

সালমার এই বক্তব্য সুনে নিলয় সালমার দিকে তাকিয়ে একটু বিরক্তির ভোঙিতে বললো ।

:+আর কি বলবো আন্টি । এই নিরব বেটা সেই বিয়ে বাড়ি থেকে এসে রুমে যে ঢুকছে । আর বের হয় নাই । রুম বসে বসে কি কি ভাবছে কে যানে । আপনি ওকে কিছু বলবেন । এভাবে আমি আর ওর সাথে থাকতে পারছি না ।(নিলয়)

:+ওহ । ওর রুম কোন’টা ।(সালমা)

শান্ত সুরে বললো সালমা । নিলয় সালমাকে আগে থেকে চিনে । নিলয় যানে নিরবের ফুফি হয় সালমা । নিলয় পিছনে ঘুরে হাতের ইসারায় নিরবের রুম দেখিয়ে দিয়ে বললো ।

:+ওই যে সামনের রুম’টা । আচ্ছা আন্টি আমি যাই । ওদিকে আবার কি হচ্ছে,,,,, না হচ্ছে । কে যানে ।(নিলয়)

কিছু’টা বেস্ত সুরে বললো নিলয় । নিলয়ের কথা শেষ হতে সালমা নিলয়ের গালে আলতো করে হাত রাখে বললেন ।

:+সোনার টুকরা একটা ছেলে পেয়েছে মিম । সুখি হও দুজনে ।(সালমা)

সালমার কথা শেষ হতেই নিলয় সালমার পা ছুয়ে সলাম করে দারিয়ে বললো ।

:+দোয়া করবেন আন্টি । যাতে আমি মিমকে সুখি রাখতে পারি ।(নিলয়)

:+দোয়া রইলো । যাও এবার ।(সালমা)

সালমার কথা শেষ হতেই নিলয় সালমার পাস কাটিয়ে চলে গেল । সালমাও নিরবের রুমের দিকে হাটা ধরলো । নিরব বেডের উপর সুয়ে সুয়ে ফোন গেম খেলছিল । তখন আবার রুমের দরজায় ঠকঠক আওয়াজ হলো । নিরব এক রাশ বিরক্তি নিয়ে বললো ।

:+কে ?(নিরব)

নিরবের গলার আওয়াজ সুনে সালমা একটু সময় চুপ থেকে জোরে একটা নিশ্বাস নিয়ে কাঠ কাঠ গলায় বললো ।

:+আমি তোর ফুফি,,, রুমের দরজা খোল ।(সালমা)

সালমার কাঠ কাঠ গলার আওয়াজ সুনে নিরব একটু ভরকে গেল । সুকনো একটা ঢোক গিলে ধর ফরিয়ে সোয়া থেকে উঠে বসলো সে । নিরবের কোন সারা শব্দ না পেয়ে সালমা আবার বললো ।

:+কিরে কথা কানে যায় না । রুমের দরজা খুলছিস না কেন ।(সালমা)

সালমা রাগে গজগজ করতে করতে বলে উঠলো । ঝরের আগে শান্তির আভাস পাচ্ছে নিরব । নিরব আসতে করে বেড থেকে নেমে রুমের দরজার কাছে এসে দারালো । অতপর রুমের দরজা খুলে দিলো সে । রুমের দরজা খুলতেই সজোরে নিরবের গালে একটা চড় মারলো সালমা । নিরব চড়ের টাল সামলাতে না পেরে দুই/তিন পা পিছিয়ে গেল । কিন্তু সালমা থেকে থাকলেন না । তিনি নিরবের দিকে এগিয়ে এসে আরো দু’টা চড় মেরে বললো ।

:+তোর সাহস হয় কি করে আমার মেয়ের দিকে চোখ দেয়ার । শুয়োরের**চ্চা তোর বাবা কি তোকে কম কিছু দিয়েছে রে । যদি তোর এতোই মেয়ের প্রয়োজন । এতোই মেয়ের সখ । তাহলে একটা বিয়ে কেন করছিস না ।(সালমা)

সালমার কথা শেষ হতেই নিরব খপ করে সালমার হাত ধরে বললো ।

:+তোমার মেয়েকে আমার পছন্দ হয়েছে ফুফি । বিয়ে দেবে ওকে আমার সাথে । তৃপ্তিকে আমার খুব ভালো লেগেছে ।(নিরব)

নিরবের এই কথা সুনে সালমার মাথায় রক্ত উঠে গেল । তিনি নিজের হাত নিরবের থেকে যেরে ফেলে আবার একটা সজোরে চড় মারলো নিরবের গালে ।

:+তোর মতো জানোয়ারের কাছে আমি আমার মেয়ের বিয়ে দেবো,, তুই এটা ভাবলি কি করে । SSC তে ১বার,,, HSC তে ২বার ফেল করা ছেলের সাথে ভাবছিস তুই আমি আমার মেয়ের বিয়ে দেবো । তুই যেমন পরা লেখাতে গবেট । তেমনই কাজেও গবেট । তুই আজীবন সপ্নই দেখে যাবি আমার মেয়েকে নিয়ে । কিন্তু তুই তাকে ছুতে পারবি না ।(সালমা)

সালমা রাগে থর থর করে কাঁপছে আর বলছে । ডান হাত’টা ঝিম ঝিম করে উঠো সালমার । চড় গুলো এতো জোরে মেরেছেন যে হাত ঝিম ঝিম সুরু হয়ে গেছে তার । সজোরে টানা কয়েকটা চড় পরায় নিরবের মাথা ঝিম মেরে উঠে । ঠোঁটের কোন ফেটে রক্ত অনেক আগেই পরা সুরু করে দিয়েছে । নিরব মাথা দু’হাত দিয়ে চেপে ধরে বেডের পাসে বসে পরলো । কিন্তু এতে সালমার কিছুই যায় আসে না । কারন তার মেয়ের গা থেকে রক্ত যরিয়েছে জানোয়ার’টা,,, সেকি ছেরে দেবে নাকি । তার মেয়ে তার জান । সালমা রাগে কাপতে কাপতে নিরবের দিকে আঙুল তুলে আবার বলা সুরু করলো ।

:+ভালো আছে এখান থেকে যতো তাড়াতাড়ি পারিস আবার ডুবাই ফিরে যা । নাহলে তোর লাশও কেও খুজে পাবে না । যার সাথে তুই পাঙ্গা নিচ্ছিস সে কিন্তু ভদ্রলোক নয় । উপর থেকে দেখছিস তুই তাকে । কিন্তু আমি তার আসল রুপ যানি । তোর কিছু হয়ে গেলে আমি ভাইয়াকে মুখ দেখাবো কি করে । কি বলবো আমি তাকে । তোর ভালোর জন্য আমি এখনো তোকে বলছি । ফিরে যা । বিয়ের দিন তুই আমার মেয়ের হাত থেকে রক্ত যরিয়েছিস । আমার মেয়ের গায়ে বাজে ভাবে হাত দেয়ার চেস্টা করেছিস । তুই যানিস এতোখনে তোর কি হতো । তোর কোন আন্দাজও নেই তোর কি হতো । বিয়ের দিন রাতে আমি যদি ওকে না থামাতাম । তাহলে গত কাল থেকে আর তোকে পাওয়া যেতো না । কোথায় থাকতি তুই,,, তুই নিজেও যানতে পারতি না । তাই বলছি ফিরে যা,,, যতো তাড়াতাড়ি পারিস,,,ফিরে যা । আর খবরদার আমার মেয়ের দিকে দ্বীতিয় বার চোখ দিলে আমি আর সুপারিশ করবো না । আমি আর থামাবো না ওকে । তখন তোর কপালে কি লিখা থকবে আমি যানি না ।(সালমা)

রাগে গজগজ করতে করতে কথা গুলো বলে নিরবের রুম থেকে হন হন করে বেরিয়ে গেল সালমা । নিরব সুধু হাবলার মতো তাকিয়ে ছিল । কথা গুলো তার ডান কান দিয়ে ভিতরে গেছে আর বাম কান দিয়ে বাহিরে চলে গেছে । নিরব কিছুই বুঝতে পারছে না ।

:+হাই,,,মিম,,, কেমন আছো ।(নীলা)

মিমের পাসে বসতে বসতে বললো নীলা । মিম নীলার দিকে একবার তাকিয়ে আবার হাতের দিকে তাকিয়ে ডান হাতের বালা বান হাত দিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে বললো ।

:+এই তো আপু ভালো । তুমি কেমন আছো ।(মিম)

:+হুম আমিও ভালো আছি । আসলে সরি,,,অনেক খিদে পেয়েছিল তাই আগে খেয়েনিলাম । তারপর তোমার সাথে দেখা করতে আসলাম । লেট হওয়ার জন্য দুঃখীত ।(নীলা

নীলার কথা সুনে মিম মাথা তুলে একবার আসে পাসে দেখে বললো ।

:+যাও তোমাদের কারো সাথে কথা বলবো না । যাও ভাগো এখান থেকেএএএএএ,,,,,,,, ।(মিম)

মিম এই টুকু বলে সামনে তাকাতেই দেখলো তৃপ্তি দু’হাত দিয়ে বোরখা উঁচু করে মিমের দিকে মিম বলে হাক ছেরে দৌড়ে আসছে । মিম নীলার হাত খপ করে ধরে কিছু’টা আহতো গলায় জোরে বললো ।

:+এই ডানে যা ,,,,বামে যা,,, বাট আমার উপরে না । এই,,,, এই,,,, এই,,,,এই।(মিম)

মিমের পুরো কথা শেষ হওয়ার আগেই তৃপ্তি মিমের উপর হুমড়ি খেয়ে পরলো । ফলে মিম আর তৃপ্তি স্টেজের সোফার উপরে নীলার কোলে সুয়ে পরলো । নীলা মিমের বাম পাসে বসা ছিল । মিম আসতে করে “ও মা গো” বলে উঠলো । তৃপ্তি মিমের গালে একটা টুসুর করে কিস দিয়ে বললো ।

:+কি বেপার বেস্টু । “ও মা গো” বলে উঠলি কেন । আমি তো তোকে এর আগেও অনেক বার এমন করে জরিয়ে ধরছি ।(তৃপ্তি)

তৃপ্তির কথা সুনে মিমের মুখ লাল হয়ে উঠলো । নীলা এটা দেখে মিমের দিকে একটু ঝুকে ফিসফিস করে বললো ।

:+কি বেপার মিম ।,,, হুমমমমমম,,, । দুলাভাই বুঝি একটু বেসিই আদর করছে ।(নীলা)

নীলার এই কথা সুনে মিমের যেন লজ্জায় প্রান যায় যায় অবস্থা । মিম তৃপ্তি কোমড়ে আসতে করে কাতুকুতু দিয়ে বললো ।

:+যা ভাগ সালি । তোর জন্য ধরা খেলাম । এতোখন প্রজন্ত কেও ধরতে পারেনি ।(মিম)

কাতুকুতু খেয়ে তৃপ্তি ধর ফরিয়ে মিমের গায়ের উপর থেকে উঠে বসলো । মিমও আসতে করে উঠে বসে নিজেকে ঠিক করতে লাগলো । মিমের কথা সুনে নীলা চোখ বড় বড় করে বললো ।

:+মানেএএএএ,,,,,।(নীলা)

নীলার কথা সুনে মিম নীলার দিকে তাকিয়ে একটা রহস্যর হাসি দিয়ে বললো ।

:+মানে,,, কিছু না ।(মিম)

নীলা একটু মিমের দিকে ভালো করে তাকালো । মিমের ঘারের উপর থেকে কাপড় সরে যাওয়ায় সেখানে একটা গাদ দেখলো নীলা । ফর্সা যায়গায় লাল হয়ে আছে দাগ’টা । এটা দেখে নীলা মুচকি হেসে উঠলো । এরপর নীলা নিজের ডান সিনা দিয়ে মিমের বাম সিনায় বারি দিয়ে মিমের কানের কাছে গিয়ে ফিস ফিস করে বললো ।

:+লাভ বাইট্টা,,,,যাস্ট ওসাম মিম ।(নীলা)

নীলার কথা সুনে মিমের হাত আপনা আপনি ঘারে চলে যায় । এটা দেখে নীলা ফিক করে হেসে উঠে । মিম লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো । মিমের এখন মন চাচ্ছে মাটি ফেটে দু’ভাগ হয়ে যাক । আর সে সেখানে গিয়ে চুপটি করে বসে এই লজ্জার কাছ থেকে বেচে যাক । কিন্তু তা-কি আদো সম্ভব । সবার কাছ থেকে মিম এই প্রজন্ত লুকিয়ে আসছে বেপারটা । কিন্তু এই সময় এসে তৃপ্তির জন্য নীলার হাতে ধরা খেলো সে । নীলা আসতে করে মিমেকে আবার গুছিয়ে দিতে লাগলো । তৃপ্তি বসে বসে মিমের কানের কাছে বক বক করতে লাগলো । এভাবে বসে মিমের সাথে নীলা আর তৃপ্তি কথা বলতে লাগলো । এদিক এখন কেও নেই । নীলা কিছুখন পর পর মিমকে এটা ওটা বলে লজ্জায় ফেলছে । কিছু দুরে দারিয়ে মিমের লজ্জায় ঘেড়া মুখ’টা দেখছে নিদ্র । নিদ্রর পাসে দারিয়ে আছে সজিব । নিদ্র মিমের লজ্জায় ঘেরা মুখ দেখে মুচকি মুচকি হাসছে । সজিবও হাসছে । এতো কিছুর পরও মিমের চোখ দু’টো একজনকে এখনো খুজচ্ছে । সুধু শেষ বারের মতো দেখার আখাংক্ষায় । কিন্তু তার দেখা এখনো পেল না মিম । মিম ভেবে নিলো সে আসেনি । এভাবে কিছু সময় যাওয়ার পর হঠাৎ নীলার কাছে একটা মেয়ে আসলো । সেই মেয়েটি নীলার কানের কাছে গিয়ে কি যেন বললো আর নীলা মেয়েটির সাথে চলে গেল । নিদ্র এটা দেখে সজিবকে বললো ।

:+সজিব ।(নিদ্র)

:+হুম ভাইয়া ।(সজিব)

:+কিছু দেখলি ।(নিদ্র)

:+হ্যাঁ,,ভাইয়া । পরি কোথায় যেন গেছে ।(সজিব)

:+আর তুই এখানে দারিয়ে আছিস । তুই ওর পিছনে যা । গিয়ে দেখ কি করে । কিছু হলে গন্ডগোল বাঝিয়ে দিবি । বাকিটা আমি বুঝে নেবো ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শেষ হতেই সজিব ভৌ দৌড় দিলো নীলার পিছনে । নিদ্র সেই একই যায়গায় দারিয়ে দু’হাত বুকে ভাজ করে মিমের দিকে তাকিয়ে আসতে করে বললো ।

:+পাগলি মেয়ে । এখনো আমাকে খুচ্ছে । কিন্তু আমি তো তোর সামনে যাবো না ।(নিদ্র)

এই বলে নিদ্র সেখান থেকে স্টেজের দিকে তাকিয়ে রইলো । আর মিমের চোখ জোরা সুধু তাকে এক বার দেখার জন্য চার পাসে তাকাচ্ছে । এদিকে নীলা মেয়েটির সাথে স্টেজের পিছনে এসে দেখলো । একটা ছেলে দারিয়ে আছে । মেয়েটি নীলাকে সেখানে রেখে চলে গেল । ছেলেদিকে দেখে নীলার বুক দূর দূর করে উঠলো । এ কেমন ফিলিংস হচ্ছে তার । এর আগে তো এমন কোনদিন হয়নি । আজ প্রকন্ত অনেক ছেলে দেখেছে সে । কিন্তু কখনো তো এমন হয়নি । নীলা ছেলেটির দিকে তাকালো । ছেলেটি মাথা নিচু করে আছে । যেন কোন অপরাধ করেছে সে । নীলা আসতে করে ছেলেটির সামনে গিয়ে দারালো । ছেলেটি এক পলক নীলাকে দেখে আবার মাথা নিচু করে নিলো । নীলাও মাথা নিচু করে রিনরিনিয়ে বললো ।

:+আমাকে ডেকেছেন ।(নীলা)

ছেলেটি মাথা নারিয়ে সাই দিলো । সে ডেকেছে । নীলা এবার আরো কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো ।

:+কেন ডেকেছেন ।(নীলা)

ছেলেটি এবার একটু নরে চরে দারালো । নীলা এক পা পিছিয়ে গেল । ছেলেটি নীলার চোখে চোখ রাখলো । ছেলেটির চোখে চোখ পরতেই নীলা চোখ নামিয়ে নিলো । যেনো কোন অপরুপ মায়ায় ঘেরা ছেলেটির চোখ । ছেলেটি একটা মুচকি হাসি দিলো । নীলা আর-চোখে সেই হাসি একটু দেখলো । সাথে সাথেই বুকের ভিতর ধরত করে উঠলো । এ কি হচ্ছে নীলার । নীলা মনে মনে বললো ।

:+হায় আল্লাহ,,, আমার এ-কি হচ্ছে । আমার এমন লাকছে কেন ।(নীলা)

মনে মনে এগুলো বলে আবার চোখ তুলে নীলা ছেলেটির দিকে তাকালো । সাথে সাথে আবার চোখ নামিয়ে নিলো নীলা । কারন ছেলেটি নীলার দিকে অপলক ভাবে তাকিয়ে ছিল । নীলার এবার হেঁচকি উঠে গেল । ঘন ঘন ঢোক গিলতে লাগলো নীলা । গলা যেন সুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে তার । ছেলেটি এটা দেখে কাকে যেন কিছু একটা ইসারা করলো । একটু পরই একটা ছেলে এসে এক বোতল পানি দিয়ে গেল ছেলেটির হাতে । ছেলেটি নীলার দিকে পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে বললো ।

:+পানি খান,,,, ঠিক হয়ে যাবে ।(ছেলেটি)

ছেলেটির কন্ঠ সুনে নীলার বুক দ্বিতীয় বারের মতো দূর দূর করে উঠলো । নীলা আর সাত পাচ না ভেবে ছেলেটির হাত থেকে ছো মেরে পানির বোতল নিয়ে ঢোক ঢোক করে পানি খেতে লাগলো । ছেলেটি মুচকি হাসি দিয়ে দারিয়ে রইলো । নীলা পানি খেয়ে আসতে করে জোরে একটা নিশ্বাস নিয়ে শান্ত হয়ে দারালো ।

:+আর,,, ইউ,,,,ওকে ।(ছেলেটি)

নীলা মাথা নারিয়ে সাই দিলো । সে ঠিক আছে । ছেলেটি নিজের পকেট থেকে ভাজ কারা একটা কাগজ বের করে নীলার দিকে বারিয়ে দিলো । নীলা কাগজ’টা হাতে নিয়ে কাপা গলায় বললো ।

:+এ এ এটা ক ক কি ?(নীলা)

ছেলেটি কিছুখন চুপ থেকে তারপর বললো ।

:+এটা আপনার জন্য । তবে এটা এখানে খুলবেন না । বাসায় গিয়ে খুলবেন । আর হ্যাঁ । উওর যদি হ্যাঁ হয় । তাহলে নিচে ফোন নাম্বার আছে । আর যদি উওর না হয় । তাহলে,,,,,,,,,।(ছেলেটি)

:+ওই তাহলে কি ,,,, হ্যাঁ ,,,, তাহলে কি,,,,, ।(সজিব)

ছেলেটি আর কিছু বলার আগেই কোথা থেকে সজিব এসে এমন বললো । ছেলেটি এটা মুচকি হাসি দিয়ে সজিবের মাথায় হাত রাখতে যাবে ওমনি সজিব এক যাট কায় ছেলেটির হাত সরিয়ে চিৎকার দিয়ে বললো ।

:+ওই,,, একদম আমাকে টাচ করবি না । তুই আমার পরির সাথে কি কথা বলছিস রে । মেরে ঠেং ভেঙে দেবো একদম । পরি সুধু আমার । আমার বৌয়ের সাথে,,,,,,,,,,,।(সজিব)

সজিব আর কিছু বলার আগে নীলা সজিবের মুখ চাপা দিয়ে ধরলো । এরপর ছেলেটির উদ্দেশ্য “সরি ” বলে নীলা সজিবের মুখ চাপা দিয়ে ধরে আলগি দিয়ে কোলে নিয়ে সেখান থেকে দুরুত পায়ে চলে আসলো । নীলা সেখান থেকে চলে যেতেই ফিক করে হেসে উঠে ছেলেটি বললো ।

:+ওয়েট করবো তোমার উওরের জন্য । মাই নিল পরি ।(ছেলেটি)

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

(।কপি করা নিষেধ।)

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here