তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________49

0
116

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________49

কেটে গেছে আরো ১৫টা দিন…………..
কলেজে যাওয়া, বাসায় এসে নীলা আর সুমির সাথে আড্ডা দেওয়া, ফোনে গেম খেলা, কাটুন দেখা, আবার ফাকে ফাকে সামিয়া আর মিমের সাথে ফোনে কথা বলা, রাতে পড়তে বসা, সকালে নিয়ম করে সালমার সাথে ভিডিও কলে কথা বলা । এই নিয়েই কেটে গেছে তৃপ্তির ১৫টা দিন ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল’টা একটু অন্যরকম । আকাশ কিছু’টা মেঘলা আচ্ছন্ন । হতে পারে আজ ঝম ঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে । তৃপ্তির মন চাচ্ছে না আজ কলেজে যাওয়ার জন্য । কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার হবার সুবাদে, নিদ্র বেস কড়া ভাবেই বলে দিয়েছে আজ কলেজে যেতে হবেই । আমেনারও একই মত । কারন আগামি কাল শুক্রবার । তাই কলেজ বন্ধ থাকবে । সেই সুবাদে আজ তৃপ্তিকে কলেজে যেতে হবেই । বাইকের পিছনে চুপচাপ বসে আছে তৃপ্তি । আর নিদ্র এক মনে বাইক চাচ্ছে । তৃপ্তি এখন আর বাইকের পিছনে বসতে ভয় পায় না । নিদ্র বাইক চাচ্ছে, আর তৃপ্তি এদিক ওদিক তাকাচ্ছে । কলেজের গেট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে, বাইক পার্ক করলো নিদ্র । তৃপ্তি সাথে সাথে মন খারাপ করে বাইক থেকে নেমে সোজা ক্লাস রুমের দিকে হাটা ধরলো । নিদ্র পিছন থেকে সুধু তাকিয়ে রইলো । আর মুচকি মুচকি হাসতে লাগলো । ক্লাস রুমে প্রবেশ করার আগেই জুইর সাথে দেখা হয়ে যায় তৃপ্তির । ক্লাস রুমে প্রবেশ করার পর্ব মুহূর্তে একবার পিছনে ঘুরে তাকালো তৃপ্তি । দেখলো নিদ্র এখনো বাইকের উপর বসে তার দিকে তাকিয়ে আছে । তৃপ্তি নিকাবের ভিতর দিয়ে নৈঃশব্দের একটা হাসি দিয়ে ক্লাস রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো । এদিকে নিদ্র এখনো তাকিয়ে আছে । কিছুখন পর সেদিক থেকে চোখ নামিয়ে সামনে তাকালো নিদ্র । সামনে তাকিয়ে নিদ্রর মাথা পুরো গরম হয়ে গেল । কারন বৃষ্টি ঠিক নিদ্রর বাইকের সামনে বুকে দু’হাত গুজে দারিয়ে আছে । আর তার হাতে নিদ্রর বাইকের চাবি । নিদ্র বুঝতে পারছে না, বাইক থেকে চাবি খুললো কখন বৃষ্টি । যাই হোক,,,। নিদ্র কিছু বলার আগেই বৃষ্টি বলে উঠলো ।

:+তোমার সাথে শেষ বারের মতো কিছু কথা বলতে চাই । প্লিজ একটু এদিকে আসো ।(বৃষ্টি)

বলেই কলেজের লাইব্রেরির দিকে হাটা ধরলো বৃষ্টি । নিদ্রর মন চাচ্ছে এই মেয়েকে এখানেই মাটির নিচে পুতে ফেলতে । এতোবার বারন করার পরও আবার তার সামনে আসলো । আর তার বাইকের চাবি নিয়ে চলেও গেল । সেদিনের কথা কি মনে নেই এই মেয়ের । এমন ভাবে পুরো কলেজের সামনে অপমানিত হওয়ার পরও । এই মেয়ে আবার তার সামনে এলো । নিদ্র রেগে পুরো আগুন হয়ে গেল । বাইক থেকে নেমে কলেজের লাইব্রেরির দিকে হাটা ধরলো সে । নিদ্র লাইব্রেরি রুমের ভিতরে প্রবেশ করতেই, পিছন থেকে ঠাস করে দরজা বন্ধ হয়ে গেল । নিদ্র পিছনে ঘুরে দেখলো বৃষ্টি দরজার কাছে দারিয়ে আছে । আর এক আঙুল দিয়ে বাইকের চাবি ছড়কির মতো ঘুরাচ্ছে । পুরো লাইব্রেরি রুমের ভিতরে আর কাওকে দেখা যাচ্ছে না । নিদ্র তেরে গিয়ে, বৃষ্টি সামনে দারিয়ে, টান মেরে বাইকের চাবি বৃষ্টির হাত থেকে নিয়ে নিলো । এরপর নিদ্র ককর্শ গলায় বলে উঠলো ।

:+তোর সাহস হয় কি করে, আমার বাইকের চাবি হাতে নেওয়ার । তোকে না বলছি আমার সামনে আসবি না । তাও কেন তুই আমার সামনে আসছত ।(নিদ্র)

নিদ্রর রাগান্বিত চেহারা দেখে বৃষ্টি ভয় পেয়ে গেল । কিন্তু সেই ভয় ভিতরেই ধামা-চাপা দিয়ে, উপরে সাহস যুগিয়ে বৃষ্টি এক পা এগিয়ে এসে নিদ্রর শার্টের কলার ধরে, নিজের কাছে টেনে এনে বললো ।

:+আমাকে কেন ভালোবাসতে পারবে না । ওই মেয়েটার জন্য? নাকি অন্য কোনো কারন ।(বৃষ্টি)

বৃষ্টির এমন কথা আর কাজ দেখে নিদ্রর মাথা আরো গরম হয়ে গেলো । সে ঝারা মেরে বৃষ্টির হাত নিজের শার্টের কলার থেকে ছারিয়ে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বললো ।

:+এক – আমি ওকে আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি । তোকে বার বার এ কথা বলতেছি তুই শুনছিস না ।
দ্বিতীয় – তোর মতো এমন নষ্টা মেয়েকে আমি ভালোবাসবো, এটা তুই ভাবলি কি করে । আমি দ্বিতীয় কথা’টা বলতে চাইনি । কিন্তু তুই আজ আমাকে বাধ্য করলি বলতে । শেষ বারের মতো বলছি । তুই তোর রাস্তা মাপ । আমার ধারে কাছে একদম আসবি না । আমার লাইফে তোর মতো নষ্টা মেয়ের কোনো যায়গা নেই । যে কিনা নিজের সতিত্ব রক্ষা না করে, সবার মাঝে বি’লি’য়ে দেয় । এমন মেয়েকে যেনে শুনে কোনো ছেলে বিয়ে করবে না ।(নিদ্র)

কথা গুলো বলে সোজা হয়ে দারালো নিদ্র । এদিকে বৃষ্টি পুরো রেগে আগুন হয়ে গেল । নিদ্রর মুখে তার নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা শুনে । নিজেকে ঠিক রাখতে পারছে না সে । রাগের কারনে থরথর করে কাপছে । চোখ দু’টো দিয়ে গাল বেয়ে পানি গড়িয়ে পরছে । বৃষ্টির এমন কাপা-কাপি আর চোখ দিয়ে পানি পরছে দেখে, নিদ্র নিজেকে শান্ত করে । শান্ত গলায় আবার বললো ।

:+নিজেকে ভালো ভাবে গড়ে তোল । পর্দা করতে সেখ । দেখবি একদিন ঠিক কোনো ভালো ছেলের সাথে তোর বিয়ে হবে । আমার থেকেও দেখতে স্মাট হবে । তার অনেক টাকা থাকবে । যেসব ছেলেদের সাথে তুই রিলেশন করেছিস । ওরা সবাই বাটপার নাম্বার ওয়ান । ওরা সুধু তোকে ই’উ’চ করে তোর সতিত্ব নিয়ে নিয়েছে । কিন্তু ওরা তোকে বিয়ে করবে না । তোর লাইফ পাটনার ওরা হবে না । তাই বলছি । নিজেকে পর্দার আড়াল কর । দেখবি সময় মতো সব কিছু তুই ঠিকই পাবি ।(নিদ্র)

এই বলে বৃষ্টির পাস কাটিয়ে লাইব্রেরি রুমের দরজা খুলে বেরিয়ে গেল নিদ্র । আর বৃষ্টি ধপাস করে ফ্লোরে বসে পরলো । নিদ্র যে তার আকামের কথা যানে, এটা যানতো না বৃষ্টি । নিজেকে পুরো পাগল মনে হচ্ছে তার । নিজের চুল গুলো ধরে টানতে লাগলো সে । বৃষ্টি এখন কোন পথ যাবে । নিদ্র যে তার আকামের কথা যেনে গেছে । নিদ্র তো এখন আরো কোনো ভাবেই তাকে মেনে নিবে না । কেন সে রাজের সাথে রিলেশন করতে গেল । আর কেন সে রাজকে পুরো বিস্বাশ করে তার হাতে নিজের সতিত্ব ছেরে দিলো । রাজ যে এতো বড় ধো’কা’বা’জ, এটা যানতে পারেনি বৃষ্টি । রাজের সাথে শারিরীক সম্পর্ক হবার পর, রাজ তার সাথে ব্রেকআপ করে চলে যায় । তারপর অনেক ছেলের সাথে রিলেশনে গিয়েছে বৃষ্টি । কিন্তু সবাই তার দেহ ভোগ করেছে । সত্যি কারে কেও তাকে ভালোবাসে নি । নিজেকে অনেক বুঝিয়ে সেই পথ থেকে বেরিয়ে আসে বৃষ্টি । কশম কাটে আর কোনো ছেলেকে বিস্বাশ করবে না সে । কিন্তু একটা নেশা যে কাজ করে গেছে তার মনে । সেই নেশা যে কোনো ভাবেই দুর করতে পারছে না সে । শেষে প্রতিদিন ঘুমের ঔষধ খেয়ে খেয়ে , নিজেকে ঘুমের দেশে তলিয়ে রেখেছে কয়েক মাস । কয়েক মাস পর যখন কলেজে এলো তখন দেখা হয় রুমির সাথে । বন্ধুত্ব হয় রুমির সাথে বৃষ্টির । এরপর হুট করে একদিন শপিং মহলে নিদ্রকে দেখে বৃষ্টি । নিদ্রকে দেখে তার পছন্দ হয়ে যায় । মনে মনে নিদ্রকে নিজের করে পাবার বাসনা যেগে উঠে বৃষ্টির । সেই থেকে নিদ্রর পিছনে পরছে সে । আর এখনো পর্জন্ত লেগে আছে । কিন্তু আজকে নিদ্রর মুখে নিজের নষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা শুনে ভেঙে পড়ছে বৃষ্টি । নিজেকে সামলানো বড়ো দায় হয়ে পরছে । হঠাৎ বৃষ্টি চোখের পানি মুছে ফ্লোর থেকে উঠে দারালো । এরপর শয়তানি হাসি দিয়ে বললো ।

:+আমি যেহেতু তোমাকে পাবো না । তাহলে ওই মেয়েকেও তোমাকে পেতে দেবো না । আমি ওই মেয়েকে খুন করাবো । আর তোমার বুকে ধরিয়ে দেবো বেদনার আগুন । বিরহের আগুন । I HAT BOYS । I HAT LOVE…..।(বৃষ্টি)

বলেই উচ্চ স্বরে হেসে উঠলো বৃষ্টি ।

:+কিরে কী হয়েছে । এভাবে গালে হাত দিয়ে মেয়েদের মতো বসে আছিস কেন? (নিদ্র)

ক্লাবের সামনে বাইক পার্ক করে,, কথা গুলো রাহুলকে বললো নিদ্র । রাহুল গালে হাত দিয়ে, ক্লাবের সামনে বসে, আপনমনে কিছু ভাবছিল । নিদ্রকে দেখে গাল থেকে হাত নামিয়ে বসা থেকে উঠে দাড়ালো । জেক ক্লাবের ভিতরে পরে পরে ঘুমাচ্ছ । যা বাহিরে থেকেই দেখা যাচ্ছে । নিদ্র বাইক থেকে নেমে, ক্লাবের ভিতরে যেতে যেতে আবার রাহুলকে বললো ।

:+সমস্যা কী ? ক্লাবের সামনে গালে হাত দিয়ে বসে আছিস কেন ? বৌ মরছে নাকি ।(নিদ্র)

কথা’টা বলে মুচকি হাসলো নিদ্র । রাহুল মাথা চুলকাতে চুলকাতে, নিদ্রর পিছু পিছু ক্লাবের ভিতরে প্রবেশ করে বললো ।

:+সামিয়াকে তার আব্বু,আম্মু বকা দিয়েছে আমার সাথে কথা বলার জন্য ।(রাহুল)

নিদ্র ক্লাবের একটা চেয়ারে বসে, রাহুলের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো ।

:+মানে,,,।(নিদ্র)

নিদ্র ফেস দেখে রাহুল চট করে বলে উঠলো ।

:+রাতে ওর সাথে কথা বলি । ওর আম্মু হয়তো কিছু’টা আচ করতে পারছে । তাই ওর আব্বুকে দিয়ে ওকে গতকাল রাতে অনেক বকা খাওয়াইছে । আবার নিজেও অনেক বকছেন ।(রাহুল)

রাহুলের কথা বলার ভঙি দেখে নিদ্র হেসে উঠে বললো ।

:+সালা,,, কোনো পরিবার কী চাইবে, তাদের মেয়ে কোনো ছেলের সাথে রিলেশনে জাক । এই নিয়ে একটু আদটু ধমক বা চড় মাড়বেই এটাই সিম্পল । তোর উচিত ওকে শান্ত করা । তা না করে তুই গালে হাত দিয়ে ক্লাবের সামনে মেয়েদের মতো বসে আছিস ।(নিদ্র)

রাহুল একটা চেয়ারে বসে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+আমি ওকে শান্ত করেছি । কিন্তু আমার টেনশন অন্য খানে । এভাবে কতো দিন চলবে । ওর বাবা, মা একদিন না একদিন তো যানবেই । আমি ভাবছি তার আগেই সব কিছু সমাধান করতে । যাতে ওর বাবা, মা আমার বেপারে কোনো কিছু যানতে না পারে । এখন’কার বাবা,মাদের তো বুঝিস । এনারা যেই যানবে তাদের মেয়ে কোনো ছেলের সাথে রিলেশন করছে । সেই শক্ত হয়ে যাবে । এবার ওই ছেলে যতো বড়লোক ঘড়ের ছেলেই হোক কেন । এনারা বিয়ে তার সাথে দেবেই না । তাদের মতে যারা প্রেম করে তারা একনাম্বার ফ্ল্যোট । ধান্দা বাজ ।(রাহুল)

রাহুলের কথা শুনে নিদ্র কিছুখন হাসলো । এরপর শান্ত হয়ে বসে বললো ।

:+তার মানে,,, তুই সামিয়াকে বিয়ে করে নিয়ে আসতে চাচ্ছিস । ওকে সমস্যা নেই, আমি চাচি আম্মার সাথে কথা বলছি । উনি সামিয়ার আব্বু, আম্মুর সাথে কথা বলে, তোর আর সামিয়ার বিয়ে পাকা করে ফেলবেন ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে, রাহুল একটু বিরক্তিকর ভঙিতে বললো ।

:+আমি তো পারিনা, ওকে এখনি বিয়ে করে নিয়ে আসি । কিন্তু সামিয়ার অমত এই বিয়েতে । সে এখন বিয়ে করবে না । সে এই এক বছর গ্রামে পড়বে । তারপর বলছে আমাকে বিয়ের কথা বলতে । বিয়ের পর এখানে এসে, তৃপ্তির সাথে সেকেন্ডিয়ারে ভর্তি হবে ।(রাহুল)

রাহুলের কথা শুনে নিদ্র আবারো হেসে উঠলো । সাথে জেকও হেসে উঠলো । জেকের ঘুম ভেঙে গেছে এদের কথা শুনে । জেক মাথা চারিয়ে চেয়ারে বসে বললো ।

:+তুই হাবাগোবা একটা ছেলে । তাই তোর সাথে একটা চালাক মেয়ে পড়ছে । সামিয়ার বুদ্ধি আছে বলতে হবে । এই সেমিনার সে গ্রামে শেষ করবে । তারপর দ্বিতীয় সেমিনারে, তোকে বিয়ে করে, এখানে এসে, তৃপ্তির সাথে ভর্তি হবে । বুদ্ধি’টা ভালোই খাটিয়েছে ও ।(জেক)

বন্ধুদের মহলে হাসি, ঠাট্টা, সুরু হয়ে গেলো । রাহুলকে আজ ইচ্ছে মতো পচাবে নিদ্র আর জেক ।

—————————————

বেলা ১টা বেজে ৩০ মিনিট………….
নিদ্র কলেজের ভিরতে বাইক পার্ক করে বসে আছে । কলেজ ছুটি হয়েছে সবেমাত্র । বিভিন্ন ক্লাস রুম থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা বেরিয়ে আসছে । তবে এখনো ফাস্ট ইয়ারের ক্লাস রুম থেকে এখনো কোনো ছাত্র-ছাত্রী বের হয়নি । নিদ্র বসে বসে ফোন দেখতে লাগলো । হঠাৎ একটা মেয়ে নিদ্রর কাছে এসে হাফাতে হাফাতে নিদ্রর হাত ধরে বললো ।

:+ভাইয়া প্লিজ একটু হেল্প করুন । ওই ছেলে গুলো আমাদের বিরক্ত করছে । আমাদের কলেজের গেট দিয়ে বেরোতে দিচ্ছে না । আজে বাজে কথা বলছে আমাদের ।(মেয়ে)

মেয়েটার কথা শুনে নিদ্র কলেজের গেটের দিকে তাকালো । দেখলো প্রায় ১০/১২ টা ছেলে দাঁড়িয়ে মেয়ের টিচ করছে । নিদ্রর তো মাথা গরম হয়ে গেলো । এখানকার ছেলেদের এতো সাহস হবে না কোনো মেয়ে বিরক্ত করার । তবে এই ছেলে গুলো কারা । কোথা থেকে এসেছে এরা । নিদ্র, মেয়েটির হাতের উপর হাত দিয়ে একটু শান্ত কন্ঠে বললো ।

:+একটু দারাও আপুনি । আমি দেখছি ।(নিদ্র)

এই বলে ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপে একটা মেসেজ দিলো নিদ্র । এরপর মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+কি বলছে ওরা তোমাকে আপুনি ?(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে মেয়েটি মাথা নিচু করে নিলো । এরপর কাদালো কন্ঠে বললো ।

:+আমি মুখে বলতে পারবো না ভাইয়া । এসব ভাষা আমার মুখে দিয়ে আসবে না ।(মেয়ে)

বলতে বলতে মেয়েটি কেদে উঠলো । নিদ্রর তো এবার রাগের সীমা অতিক্রম হয়ে গেছে । একে তো এই ছেলে গুলোকে চেনা, পরিচিত মনে হচ্ছে না । তার উপর আবার তাদের এরিয়ায় এসে, মেয়েদের টিচ করছে । নিদ্র বাইক থেকে নেমে দারালো । কলেজের ভিতর থেকে আদি দৌড়ে বেরিয়ে আসলো নিদ্রর কাছে । সে হাফাতে হাফাতে বললো ।

:+কি হয়েছে ভাই । এমন আর্জেন্ট মেসেজ দিলেন গ্রুপে ।(আদি)

আদির কথা শুনে নিদ্র কলেজের গেটের দিকে হাত বারিয়ে রাগে গর্জিয়ে উঠে বললো ।

:+এসব কি । এই ছেলে গুলো কারা । তোদের কলেজে এসে, তোদের ছোট বোনদের বিরক্ত করছে, আর তোরা,,,,,,,। আমি এখুনি এদের হসপিটালে দেখতে চাই ।(নিদ্র)

নিদ্রর কথা শুনে আদি কলেজের গেটের দিকে তাকালো । ছেলে গুলোকে আদিও চিনতে পারলো না । তাই সে তার সাঙ্গ, ফাঙ্গকে কল করে আসতে বললো । আদির কল পাওয়া মাত্র কলেজের ভিতর থেকে হাতে হকিস্টিক, ক্রিকেট বেট, স্টাম নিয়ে, কলেজের গেটে দারিয়ে থাকা ছেলে গুলোর উপর হামলে পড়লো প্রায় ৩০/৩২টা ছেলে । আচমকা আক্রমণে ছেলে গুলো কিছু বুঝে উঠতে পারলো না । নিদ্র আর আদি দারিয়ে দারিয়ে দেখতে লাগলো । আর মেয়েটা ভয়ে কাচুমাচু হয়ে দারিয়ে আছে । ভয়ে মেয়ে’টার হাত, পা কাপছে । এমন সময় মেয়ে’টার ফ্রেন্ড গুলো এসে মেয়েটার পিছনে দারালো । ১০ মিনিটের ভিতরে ১০/১২ টা ছেলেকে মরা লাসের মতো কলেজের গেটের সামনে শুয়িয়ে দিলো আদির ৩০/৩২টা ছেলে । একটা ছেলে আদির কাছে এসে বললো ।

:+আদি ওরা সদরঘাট থেকে এসেছে । ওদের নাকি টাকা দিয়ে এখানে আনা হয়েছে । আমাদের কলেজের একটা মেয়ে নাকি টাকা দিয়ে ওদের এখানে এনেছে । তবে মেয়েটার নাম যানে না ওরা ।(ছেলে)

ছেলেটার কথা শুনে নিদ্র অবাক হয়ে গেলো । আদিও বেস অবাক হলো । এই কলেজের কোন মেয়ে এমন কাজ করবে । নিদ্র বুঝতে পারছে না । হঠাৎ নিদ্রর সামনে জুই এসে দারিয়ে বললো ।

:+ভাইয়া তৃপ্তি কোথায়? ওকে দেখছি না যে ।(তৃপ্তি)

জুইর কথা শুনে নিদ্রর যেন মাথা চক্কড় দিয়ে উঠলো । নিদ্র এদিক ওদিক তাকিয়ে জুইকে বললো ।

:+কি বলছো তুমি । তৃপ্তি না তোমার সাথে ক্লাস রুমে ছিল ।(নিদ্র)

জুই মাথা চুলকে বললো ।

:+হ্যাঁ,,, ছিল । কিন্তু ছুটির পর আমরা ওয়াসরুমে গিয়ে ছিলাম । ওখানে আমি একা ওয়াসরুমের ভিতরে গেলাম । কিন্তু তৃপ্তি যায়নি । ও বাহিরে দারিয়ে ছিল । আমি ওয়াসরুমের ভিতর থেকে বেরিয়ে দেখি । ও নেই । তাই ভাবলাম, আমার দেরি হচ্ছে ভেবে । তৃপ্তি হয়তো তোমার কাছে চলে আসছে ।(জুই)

জুইর কথা শুনে নিদ্র বিচলিত হয়ে পড়লো । তৃপ্তি কোথায় যাবে । তৃপ্তি তো এখানের কিছু এখনো ভালো মতো চেনে না । আদি আর কিছু ছেলে-পেলেকে নিয়ে তৃপ্তিকে খুজতে কলেজের ভিতরের দিকে চলে গেলো নিদ্র । তৃপ্তির কিছু হলে নিদ্র বাচবে কি করে ।

আমার ফেসবুক আইডি,ফলো করুন সবাই প্লিজ👇

https://www.facebook.com/profile.php?id=100076569764322

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

[।কপি করা নিষেধ।]

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here