#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________60
খুব ভোরে নিজ রুমে ফিরে আসে তৃপ্তি । এরপর বেডের উপর শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে । কিন্তু ঘুম আর তার হলো না । একটু পড়ে’ই আমেনা এসে টেনে ওয়াসরুমে দিয়ে চলে গেছে । তৃপ্তি অজু করে, নামাজ পড়ে, আবার বেডের উপর শুয়ে পড়লো । এক ঘুমে সকাল ১০টায় ঘুম ভাঙলো তার । ফ্রেশ হয়ে হেলতে দুলতে নিচে নেমে আসলো সে । ডাইনিং টেবিলে নিদ্র আর লিয়া বসে সকালের নাস্তা শেষ করছে । তৃপ্তি খনিকের মধ্যে থমকে দাঁড়িয়ে গেল । মূহুর্তে’ই মন’টা খরাপ হয়ে গেল । মুখে নেমে এলো এক আকাশ কালো মেঘ । বুকের মধ্যে চিনচিন বেথা অনুভব করলো তৃপ্তি । লিয়া হাসতে হাসতে নিদ্রকে খায়িয়ে দিচ্ছে । আর নিদ্রও হাসতে হাসতে লিয়ার হাত থেকে খাবার মুখে নিচ্ছে । তৃপ্তি নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারলো না । সিরির কাছ থেকে’ই আবার নিজ রুমের দিকে দৌড় দিলো । সোজা রুমে এসে ধপাস করে বেডের উপর শুয়ে বালিশে মুখ গুজে দিলো । ফুফিয়ে উঠলো তৃপ্তি । এদিকে সকালের নাস্তা শেষ করে নিদ্র আমেনার কাছে কিচেনে গিয়ে বললো ।
:+MOM…..আমি বেরোলাম ।(নিদ্র)
আমেনা নিজের কাজে মন রেখে’ই বললো ।
:+হুমম,, শুনেছি ।(আমেনা)
আমেনার কথা শুনে নিদ্র কিচেনে থেকে বেরিয়ে আসলো । হঠাৎ লিয়া নিদ্রর সামনে এসে দারিয়ে বললো ।
:+আমিও তোর সাথে যাবো ।(লিয়া)
:+তোর যাওয়া লাগবে না । বাসায় থাক । মেয়ে মানুষ এতো বেশি,,,,।(নিদ্র)
নিদ্র শার্টের হাতা ভাজ করতে করতে বলছিল । লিয়া নিদ্রকে থামিয়ে, ফরফরিয়ে বলে উঠলো ।
:+কতদিন পর দেশে আসলাম । একটু ঘুরবো না ।(লিয়া)
:+ঘুরবি,,,ঘোর । তবে আমার সাথে একদম না । আর ক্লাবে তো একদম’ই যাবি না ।(নিদ্র)
নিদ্র আগের ভঙ্গিতে’ই বললো । হঠাৎ লিয়া নিদ্রর হাত থেকে বাইকের চাবি টান মেরে নিয়ে দৌড় দিলো । নিদ্র ভেবা চেকা খেয়ে লিয়ার দিকে তাকালো । এরপর চিৎকার করে বলে উঠলো ।
:+লিয়ার বাচ্চা,,,,বাইক নিবি না । ওই দাড়া ।(নিদ্র)
বলেই দৌড় দিলো নিদ্র । লিয়া সবে মাত্র বাইকে উঠে বসেছে । বাইক এখনো স্টাড দিতে পারেনি । নিদ্র দৌড়ে বাইকের কাছে এসেই, চাবি’টা টান মেরে বাইক থেকে খুলে নিলো । লিয়া দাঁত কটমট করে,নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+নিদ্দার বাচ্চা,, চাবি’দে বলছি । নাহলে তোর দাঁত ভাঙমু এখন ।(লিয়া)
লিয়ার কথা শুনে, নিদ্র ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বললো ।
:+আসছে আমার দাঁত ভাঙতে । বাইক থেকে নাম যলদি । নাহলে তোর চুল কেটে দিবো ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, লিয়া আতকে উঠলো । আগের বার যখন আসছিল, তখন নিদ্র সত্যি সত্যি লিয়ার চুল কেটে দিয়েছিল । লিয়া অসহায় ভাবে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+এই দেখ । তুই আমার চুলের দিকে নজর দিবি না । আমার এতো সুন্দর চুল,, অকারে আমি হারাতে চাই না ।(লিয়া)
:+তাহলে বাইক থেকে নাম ।(নিদ্র)
নিদ্র হাত দু’টো উপরে তুলে আড়মোরা ভেঙে বললো । লিয়া নড়ে চড়ে বসে বললো ।
:+আগে প্রোমিজ কর,,তোর সাথে আমাকে নিবি ।(লিয়া)
নিদ্র যানে এই মেয়ে, এখন কোনো ভাবেই মানবে না । একে সাথে করে নিয়ে’ই যেতে হবে । নিদ্র বিরক্ত হয়ে চোখ মুখ কুচকে বললো ।
:+পিছনে সরে বস ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, লিয়া খুশিতে গজগজিয়ে উঠে পিছনে সরে বসলো । নিদ্র বিরক্ত হয়ে বাইকে উঠে বসলো । এরপর বাইক স্টাড দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল । বারান্দায় দাঁড়িয়ে এতোখন প্রজন্ত সব কিছু দেখছিল তৃপ্তি । আর চোখের পানি ফেলছিল । নিদ্র আর লিয়া বেরিয়ে যেত’ই, সেও আবার রুমে এসে বালিশে মুখ গুজে দিলো ।
★
:+ওই রাহুল,,, রাশেদ কৈ রে । সকাল থেকে দেখছি না ।(জেক)
জেকের কথা শুনে, রাহুল চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে বললো ।
:+সেটা আমি কি করে যানবো । এদিকে নিদ্রও কাল সেই বিকেলে গেছে ক্লাব থেকে । আর এখনো আসেনি । আজ যে উত্তরের কলেজে যেতে হবে । এটা ওরা মনে হয় ভুলে গেছে ।(রাহুল)
রাহুলের কথা শুনে, সাব্বির বলে উঠলো ।
:+ওইতো নিদ্র এসে গেছে । কিন্তু নিদ্রর পিছনে এটা কে ?(সাব্বির)
সাব্বিরের কথা শুনে, সবাই পিছনে ফিরে তাকালো । ক্লাবের কাচের দরজা ভেদ করে,,সবার দৃষ্টি বাহিরে গেল । সুজন আঁতকে উঠে বললো ।
:+ও আল্লাহ গো বাচাও । এই ডাইনি কবে আসলো ।(সুজন)
এই বলে নিজের আসে পাসে তাকালো সুজন । কিন্তু সে কাওকে নিজের পাসে দেখলো না । আর্চবিশপ এখনি তো সবাই ওর পাসে বসা ছিল । সুজন পিছনে ঘুরে দেখলো, সব্বির,জেক আর রাহুল ক্লাবের পিছনের দরজার দিকে দৌড়াচ্ছে ।
:+ওই আমারেও নিয়া যা ।(সুজন)
বলেই দৌড় দিলো সুজন । ক্লাবে ভিতরে পিনপিন নিরবতা । নিদ্র আর লিয়া ক্লাবের ভিতরে প্রবেশ করলো । ক্লাবের ভিতরে কাওকে না দেখে লিয়া বললো ।
:+বেপার কি ? ক্লাবে কেও নেই কেন ? গেলো কোথায় সবাই ?(লিয়া)
লিয়ার কথা শুনে, নিদ্র হো হো করে হেসে উঠে বললো ।
:+তোর কি মনে হয় । তোর মতো ডাইনিকে দেখে কেও বসে থাকবে । নিশ্চয় সব কয়’টা তোকে দেখে পালিয়েছে ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, লিয়ার একটু রাগ হলো । নিদ্র তাকে ডাইনি বললো । লিয়ার ফর্সা মুখ’টা খানিক লাল হয়ে গেল । নিদ্রর পেটে গুতো মেরে ক্লাবের পিছনের দরজার দিকে চলে গেল লিয়া । নিদ্র বিরক্ত হয়ে একটা চেয়ারে বসে পরলো । এরপর টেবিলের উপরে তাকালো । গরম চায়ের কাপ থেকে ধোঁয়া উড়ছে । নিদ্র আবার হেসে উঠলো । সব কয়’টা এখানে বসা ছিল । লিয়াকে দেখে সবাই লুকিয়েছে । নিদ্র বেশ বুঝতে পারছে । তবে কতখন লুকিয়ে থাকতে পারবে নিদ্র যানে না । কারন লিয়া অনেক সাংঘাতিক মেয়ে । গোয়েন্দার মতো ঠিক খুজে বের করে নিয়ে আসবে । এদিকে লিয়া ক্লাবের পিছনের দরজার দিকে আসলো । দরজা খুলতে’ই দখা মিললো বিশাল এক দেয়ালের । লিয়া দরজা দিয়ে বাহিরে বেরিয়ে দু’পাসে তাকালো । ডান দিকে খুব’ই চিপা যায়গা । এখান দিয়ে বেরোতে অনেক মুশকিল হবে । বাম দিকে যায়গা’টা সরু । তবে কিছু ড্রাম রাখা । লিয়া এক’পা,,, দু’পা করে ড্রাম গুলোর সামনে এসে দারালো । ড্রামের একটু খানি ফাকা যায়গার দিকে চোখ গেল লিয়া’র । সিল্কি এক মাথা চুল ধরা দিলো তার চোখে । লিয়া মুচকি হেসে ফাঁকা যায়গা দিয়ে হাত গলিয়ে চুল গুলো শক্ত করে মুঠে নিয়ে টেনে ধরলো । সুজন “উঁহু” বলে আর্তনাদ করে উঠলো । এরপর লিয়ার হাত, নিজের দু’হাত দিয়ে ধরলো । লিয়া খিলখিলিয়ে হেসে উঠে বললো ।
:+সালা আমার থেকে লুকোবি ।(লিয়া)
বলেই চুল ধরে টান মারলো লিয়া । সুজন তাড়াতাড়ি ড্রাম গুলো ধাক্কা মেরে নিজের সামনে থেকে সরিয়ে নিলো । লিয়া সুজনের চুল ধরে টেনে নিজের সামনে দার করালো । এরপর মুখে চড়া এক হাসি এনে বললো ।
:+গালফ্রেন্ড কয়’টা যোগার করেছিস এবার ।(লিয়া)
:+আরে ভাই,,,। সবাই অনেক দিন পর দেখা হলে, কেমন আছো জিজ্ঞেস করে । আর তুমি প্রথমেই গালফ্রেন্ড কয়’টা আছে জিজ্ঞেস করছিস ।(সুজন)
নিজের মাথা থেকে লিয়া হাত সরিয়ে অসহায় ভাবে বললো সুজন । লিয়া নড়ে চড়ে দাড়িয়ে বললো ।
:+আমি যা বলছি সেটার উত্তর দে । আমি অভার একটিং পছন্দ করি না ।(লিয়া)
:+একটাও না ।(সুজন)
লিয়ার কথা শুনে, মাথা নিচু করে বললো সুজন । লিয়া হো হো করে হেসে উঠে বললো ।
:+তোর মতো ছেলের গালফ্রেন্ড নেই? এটা তুই আমাকে বিশ্বাস করতে বলছিস ।(লিয়া)
লিয়ার কথা শুনে, সুজন মাথা তুলে লিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+আমি সত্যি বলছি । দু’বছর আগে তুই ব্রেকআপ করিয়ে দেয়ার পর । আর আমি রিলেশনে যাই-নি ।(সুজন)
লিয়া আবারো হেসে বললো ।
:+কেন রিলেশনে যাসনি । দেবদাস হয়ে থাকবি না-কি ।(লিয়া)
লিয়ার কথা শুনে, সুজন আবার মাথা নিচু করে বললো ।
:+আসলে তা না । একজনকে মনে ধরছে । কিন্তু তাকে বলতে সাহস পাইনি । আর এখনো সাহস পাচ্ছি না ।(সুজন)
:+ধুর বেটা,, এটা কোনো কথা বললি । দিলি তো একটা ব্রেকআপের মোড মাটি করে । কতো সুন্দর করে ভেবে এসেছিলাম, তোর ব্রেকআপ সবার থেকে ভিন্নি ভাবে করিয়ে দেবো । কিন্তু তুই সব মাটি করে দিলি । ওয়েট,, এক মিনিট । আমি কি করে বিশ্বাস করবো তুই সত্যি বলছিস । এমনো তো হতে পারে তুই মিথ্যা বলছিস । ব্রেকআপের থেকে বাচতে ।(লিয়া)
মাজায় হাত দিয়ে সুজনের দিকে সন্দেহ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো লিয়া । সুজন মাথা তুলে, পকেট থেকে ফোন বের করে লিয়ার দিকে বারিয়ে বললো ।
:+এই নে আমার ফোন । দেখ কোনো মেয়ের নাম্বার আছে কি না ।(সুজন)
লিয়া টান মেরে ফোন’টা হাতে নিয়ে নিলো । এরপর কিছুখন ঘাটাঘাটি করে সুজনকে আবার ফেরত দিয়ে বললো ।
:+তুই হয় তো আমার আগমন দেখে সব ডিলিট করে দিয়েছিস ।(লিয়া)
:+আমি সত্যি বলছি । আমি এখনো রিলেশনে যায়-নি ।(সুজন)
লিয়ার হাত থেকে ফোন নিয়ে বললো সুজন । লিয়া একটু সময় কিছু ভাবলো । অতপর বললো ।
:+কান’টা এদিকে নিয়ে আয় । কিছু কথা বলবো ।(লিয়া)
লিয়ার কথা শুনে, সুজন আতংকের সাথে বলে উঠলো ।
:+না না না ,,,, যা বলার সরা সরি সামনা সামনি বল । তোকে বিশ্বাস নেই । যে কোনো সময় কামড় বশিয়ে দিতে পারিস ।(সুজন)
সুজনের কথা শুনে, লিয়া হো হো করে হেসে উঠে বললো ।
:+তেমন কিছু করবো না । সত্যি বলছি । কান’টা এদিকে নিয়ে আয়, কিছু প্ল্যান বলি তোকে । আমার হেল্প করতে পারবি তুই ।(লিয়া)
যদিও লিয়াকে এখনো বিশ্বাস করতে পারছে না সুজন । তবুও আমতা আমতা করে কান পেতে দিলো । লিয়া ফুসুরফাসুর করে কতো কিছু বললো । সুজন লাফ দিয়ে দুরে সরে সোজা হয়ে দারিয়ে বললো ।
:+সত্যি তো । আমি যদি এই কাজে তোকে হেল্প করি । তাহলে আমাকে ওটা দিবি । আগের বার কিন্তু আমাকে ধোকা দিয়েছিলি ।(সুজন)
সুজনের কথা শুনে, লিয়া নিজের গলায় হাত দিয়ে চিমটে ধরে বললো ।
:+এই প্রোমিজ করছি । এবার তোকে ওটা দিবো । যদি আমাকে হেল্প করিস ।(লিয়া)
:+আমি রাজি । আমি রাজি ।(সুজন)
খুশিতে গজগজিয়ে উঠে বললো সুজন । লিয়া এবার আড়মোড়া ভেঙে বললো ।
:+তাহলে বল,, ওরা সবাই কৈ ?(লিয়া)
:+আজ আর ওদের পাওয়া যাবে না । আমরা বরং কাল থেকে প্ল্যান স্টাড করি । ওরা তিন’টা পালিয়ে গেছে ।(সুজন)
লিয়ার কথা শুনে বললো সুজন । লিয়া কিছুখন ভেবে বললো ।
:+আচ্ছা তাহলে এখন ক্লাবে ভিতরে চল ।(লিয়া)
:+হুম চল ।(সুজন)
এই বলে সুজন আর লিয়া,, ক্লাবের ভিতরে চলে আসলো ।
———————————————
বিকেল ৪টা বাজে………..
ছাদের রেলিং ধরে উদাস নয়নে দুর আকাশে তাকিয়ে আছে তৃপ্তি । বুকের ভিতর’টা কেমন যেন দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে তার । কান্না করার কারনে চোখ মুখ লাল হয়ে আছে মেয়েটার । আকাশ থেকে চোখ নামিয়ে পাসের গোলাপ গাছ’টার সামনে এসে দারালো তৃপ্তি । এরপর ফুটন্ত একটা গোলাপ হাত দিয়ে ছুয়ে অপলকে তাকিয়ে বললো ।
:+সে কি আমার হতে পারে না ফুল । আমি যে তাকে ছারা থাকতে পারবো না । আমার যে তাকে সব সময় পাসে চাই । এমন’টা আমার সাথে কেন হলো ফুল । আমি যে তাকে ছারা বাচবো না । তিন’টা বছরের দেখা সপ্ন আমি কি করে ভেঙে দেবো । যার জন্য সব ছেরে এই দুর দেশে পারি যমিয়েছি । শেষে আমার তাকে’ই হারাতে হবে । কিন্তু আমি তো যানি সেও আমাকে চায় । তাহলে মাঝখান থেকে কেন বার বার আপদ আসে ।(তৃপ্তি)
কথা গুলো বলে চোখের পানি ফেলতে লাগলো তৃপ্তি । এভাবে আরো কিছু সময় অতিবাহিত হলো । তৃপ্তি গোলাপ গাছ’টা খুব মনোযোগ দিয়ে দেখছে । গাছ’টা যেন মৃদু বাতাসে হেলে দুলে তাকে কিছু বলছে । হঠাৎ পিছন থেকে কেও তাকে জরিয়ে ধরলো । তৃপ্তি থমথমি খেয়ে তাড়াতাড়ি চোখের পানি মুছলো । কারন মানুষ’টা তার খুব পরিচিত । যার স্পর্শ চাইলেও কখনো ভুলতে পারবে না তৃপ্তি । নিদ্র চট করে তৃপ্তিকে নিজের দিকে ঘুরালো । মেয়ে’টা মাথা নিচু করে আছে । নিদ্র দু’হাত তৃপ্তির দু’গালের উপর রেখে মুখ’টা নিজের দিকে তুললো । গাল, নাক, চোখ দু’টো খানিক লাল হয়ে আছে তৃপ্তির । নিদ্র কেমন করে যেন তৃপ্তির দিকে তাকালো । মেয়ে’টার কি হয়েছে বুঝতে পারছে না নিদ্র ।
:+কি হয়েছে তোর । এমন দেখাচ্ছে কেন তোকে ।(নিদ্র)
কিছু’টা আতংকের সাথে বললো নিদ্র । তৃপ্তি ছলছল চোখে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে আছে । তৃপ্তির উত্তর না পেয়ে নিদ্র বিচলিত হয়ে বললো ।
:+কথা বলছিস না কেন ? কে তোকে কি বলেছে । কান্না করছিলি কেন ?(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, তৃপ্তি নিজেকে কিছু’টা সামলে নেয় । এরপর নিদ্রর হাত দু’টো নিজের গাল থেকে নামিয়ে তৃপ্তি বললো ।
:+কেও আমাকে কিছু বলে-নি । বাম হাত’টা কেমন যেন বেথা করছিল ।(তৃপ্তি)
নিজের বাম হাত ডলতে ডলতে বললো তৃপ্তি । নিদ্র চট করে হাত’টা নিজের দু’হাতের মধ্যে নিয়ে বললো ।
:+ধুর পাগলি । এর জন্য আবার কান্না করা লাগে ।(নিদ্র)
তৃপ্তির বাম হাত’টা একটু মালিস করে দিয়ে বললো নিদ্র । তৃপ্তি তাকিয়ে আছে নিদ্রর দিকে । মুখে কিছু বলতে পারছে না সে । গলা যেন জরিয়ে আসছে । নিদ্র তৃপ্তির মুখের দিকে তাকালো । তৃপ্তি মাথা নিচু করে নিলো । নিদ্র তৃপ্তির হাত ছেরে দিয়ে, আবার তৃপ্তির দু’গালে হাত রেখে নিজের দিকে মুখ তুলে বললো ।
:+আজ সারাদিন তোকে দেখতে পাই-নি । দুপুরে খাওয়া টেবিলেও না । তার উপর এখানে এসে কান্না করছিস । হাত বেথা করলে আমাকে একটু বলতে পারতি না ।(নিদ্র)
তৃপ্তি কিছু বলছে না সুধু তাকিয়ে আছে । আর সে বলবে কি করে । তার যে এখন কথা’ই গলা দিয়ে আসছে না । যা আসছে সব কান্না ভেজা কথা । যা তৃপ্তি কখনোই নিদ্রর সামনে বলবে না । নিদ্র তৃপ্তির উত্তর না পেয়ে, ঠোঁট জোড়া তৃপ্তির টকটকে লাল গালে ছুয়ে দিয়ে বললো ।
:+রাগ করেছে বুঝি “মাই কিউটি” ।(নিদ্র)
বলতে বলতে তৃপ্তিকে নিজের সাথে মিসিয়ে নিলো নিদ্র । তৃপ্তি শক্ত করে জরিয়ে ধরলো নিদ্রকে । যেন কেও নিদ্রকে ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তৃপ্তির থেকে । নিদ্র মুচকি হেসে তৃপ্তির মাথায় হাত রাখলো ।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
[।কপি করা নিশেদ।]
[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]