তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡 #DcD_দীপ্ত #পর্ব__________68

0
95

#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________68

কেটে গেছে সাপ্তাহ খানিক……………
নিদ্র বা তৃপ্তি কারোরই খোঁজ পাচ্ছে না গেটের দারোয়ান । দুই দিন আগে গ্রাম থেকে গাড়ি’টা এনে রেখে গেছে চেয়ারম্যান বাড়ির ড্রাইভার । এদিকে মাস শেষ, উনার বেতন দেওয়ার খবর নেই । বাধ্য হয়ে আজ সকালে সুমিকে অফিসে যাওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলো দারোয়ান ।

:+ম্যাডাম একটু দাড়ান ।(দারোয়ান)

দারোয়ানের কথা শুনে সুমি দাড়িয়ে গেল । এরপর দারোয়ানের দিকে প্রশ্ন বোধক দৃষ্টিতে তাকালো । দারোয়ান কাচুমাচু হয়ে মাথা নিচু করে সুমিকে বললো ।

:+মালিক তো বাড়িতে নেই । তার উপর ছোট মালিকও কোথায় গেছে কে যানে । ছোট ম্যাডামও বাড়িতে নেই । এদিকে আমার টাকার দরকার । আপনার কাছে যদি বড় মালিকের নাম্বার থাকে, তাহলে একটু ফোন দেন ম্যাডাম ।(দারোয়ান)

দারোয়ানের কথা শুনে সুমি ভাবনার মাঝে পড়লো । দারোয়ান সুমিকে সাপ্তাহ খানিক আগেই বলেছে । যে নিদ্র আর তৃপ্তি বাড়ি থেকে চলে গেছে । নিদ্রর বন্ধুদেরও একই কথা বলেছে দারোয়ান । সবাই দারোয়ানের কথা শুনে ভেবে নিয়েছে, নিদ্র আর তৃপ্তি এক সাথে গ্রামে গেছে । কিন্তু নিদ্র তো বাড়ি খালি করে এতো দিন গ্রামে থাকবে না । তাহলে গেলো কোথায় । গেটের ভিতরে আজ গাড়ি লক্ষ করলো সুমি । দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করতেই, দারোয়ান বললো দুই দিন আগে গ্রাম থেকে একটা ড্রাইভার এসে রেখে গেছে । সুমি দারোয়ানকে “আমি দেখছি” বলে আবার বাড়ির ভিতরে আসলো । এরপর দোতলায় গেল । এখানে এসে সুমি প্রথমে তৃপ্তির রুম চেক করলো । রুমের ভিতরে কোনো মানবির আনা গোনা নেই । সুমি নিদ্রর ফোনে কল করতে করতে তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে আসলো । কিন্তু নিদ্রর ফোনে কল যাচ্ছে না । তৃপ্তির রুম থেকে বেরিয়ে নিদ্রর রুমে আসলো সুমি । এখনে এসে একটা ধাক্কা খেলো সে । সুমি দেখলো নিদ্রর ফোন বেডের উপরে । সুমি তাড়াতাড়ি বেডের কাছে এসে ফোন’টা হাতে নিলো । অফ হয়ে আছে ফোন’টা । বেডের পাসে ছোট টেবিলের উপর দু’টো কাগজ ভাজ করা দেখলো সুমি । কাগজ দু’টো হাতে নিয়ে ভাজ খুলে তাড়াতাড়ি পড়া সুরু করলো । কারো বৃত্তিগত জিনিস ধরতে নেই । কিন্তু সুমির কেমন যেন লাগছিল । তাই সে কাগজ গুলো পড়লো । দু’টো কাগজ পড়ে সুমির আর কিছু বুঝতে বাকি রইলো না । সুমি কাগজ দু’টো আর নিদ্রর ফোন নিয়ে নিচ তলায় আসলো । এরপর সোফার উপর বসে নিজের ফোন দিয়ে ফরহাদের নাম্বারে কল করলো সুমি । কপালে, মুখে ঘাম জমা হচ্ছে সুমির । ফরহাদ কল রিসিভ করতেই সুমি সালাম দিয়ে বলে উঠলো ।

:+আংকেল বাড়িতে অনেক বড় একটা সমস্যা হয়ে গেছে । আপনি আন্টিকে নিয়ে যত তাড়াতাড়ি পাড়েন দেশে চলে আসুন । আজ পারলে আজ, আর যদি এখনি পারেন, তাহলে এখনি চলে আসুন ।(সুমি)

সুমির কথা শুনে এপাস থেকে ফরহাদ হতভম্ব হয়ে শোয়া থেকে উঠে বসলেন ।

:+কি হয়েছে সুমি । আমাকে সব খুলে বলো আগে ।(ফরহাদ)

:+আংকেল নিদ্র ভাইয়া বাড়ি ছেরে চলে গেছেন । আর তৃপ্তিও গ্রামে চলে গেছে । নিদ্র ভাইয়া আর তৃপ্তির মধ্যে বড় একটা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে । দু’জন দু’জনকে ভুল বুঝে দুরে সরে গেছে । আপনি আন্টিকে নিয়ে তাড়াতাড়ি দেশে ফিরে আসুন । আর একটা কথা আংকেল । তৃপ্তির কাছে বা ওর আব্বুর কাছে এখন ফোন দিয়ে কিছু জিজ্ঞেস বা কিছু বলবেন না । আপনারা দেশে আসলে নিজেরাই সব বুঝতে পারবেন ।(সুমি)

:+কিহহহহহ । এই কয়দিনের মধ্যে এতো কিছু হয়ে গেছে । এই জন্যই নিদ্রর ফোন অফ পাচ্ছি । তৃপ্তির ফোনেও কল যাচ্ছে না । আমি ভেবে ছিলাম আজ বজলুরকে কল করবো ।(ফরহাদ)

:+না না না আংকেল । উনাকে এখন কিছু বলবেন না । আপনি দেশে যত তাড়াতাড়ি পারেন চলে আসুন ।(সুমি)

:+আচ্ছা,,,, তুমি একটু বাড়ির দিকে খেয়াল রেখো । আমরা আজই দেশে আসছি ।(ফরহাদ)

:+ঠিক আছে আংকেল । রাখছি তাহলে এখন । আপনারা যত তাড়াতাড়ি পারেন চলে আসুন ।(সুমি)

এই বলে সুমি কল কেটে দিলো । এদিকে ফরহাদ চিন্তিত হয়ে পড়লেন । আমেনা নিশ্চিতে ঘুমাচ্ছে । ফরহাদ বসে না থেকে বেড থেকে নেমে ওয়াসরুমে চলে গেল । ফ্রেশ হয়ে এসে উনার পি.এ.কে কল করলেন । পি.এ.কে দেশে আসবেন বললেন ফারহাদ । এরপর কল কেটে আমেনাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুললেন । দেশে ফিরে আসার কথা শুনে আমেনা অবাক হয় । সবে মাত্র ৮বা ৯দিন হয়েছে তারা এখানে আসছে । আর এখনি আবার চলে যাবে । নিদ্রর বিষয়’টা এড়িয়ে যায় ফরহাদ । অফিসের কাজ আছে বলে চালিয়ে দেয় । আমেনা আর ফরহাদের কথার উওরে কিছু বলেন না । অভিমান হয়েছে উনার । সারাদিন এতো কাজ কাজ করে থাকে । এখানে একটু রেস্ট নিয়ে আসলো তাও আবার কাজের জন্য দেশে ফিরতে হবে । আমেনা কিছু না বলে ফ্রেশ হতে চলে যায় ।

:+তোর কি হয়েছে বল তো তৃপ্তি । বাড়িতে আসার পড় থেকে তোকে কেমন যেন লাগছে ।(সামিয়া)

সামিয়ার কথা শুনে ঘার বাকা করে সামিয়ার দিকে তাকালো তৃপ্তি । এরপর ভ্র নাচিয়ে বললো ।

:+আমার আবার কি হবে ।(তৃপ্তি)

:+তুই আমার থেকে কিছু একটা লুকোচ্ছিস । তোকে আগের মতো একদমই দেখছি না । সারাখন চুপচাপ হয়ে থাকিস । কিছু বললে হুম,, হ্যাঁ,,বল,,শুনছি । এর থেকে বেশি টুকুও কথা বলিস না । কি হয়েছে তোর সোনা আমাকে বল ।(সামিয়া)

শেষের কথা’টা বলে তৃপ্তিকে নিজের কাছে টেনে আনলো সামিয়া । তৃপ্তি আর নিজেকে সামলাতে পাড়লো না । হুমড়ি খেয়ে সামিয়াকে জরিয়ে ধরে হু হু করে কেদে উঠলো । সামিয়া থমথমি খেয়ে গেল তৃপ্তির এমন কান্ড দেখে । ছোট থেকে এক সাথে বড় হয়েছে । মেয়ে টাকে কখনো এমন ভাবে কাদতে দেখেনি সামিয়া । তৃপ্তির মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করে সামিয়া বললো ।

:+দেখ বেস্টু,, কষ্টের কথা মনে রাখিস না । নাহলে আরো অনেক কষ্ট পাবি । কষ্টের কথা মানুষদের সাথে বললে একটু কষ্ট’টা হালকা হয় । এখন কান্না থামা প্লিজ । তোর কান্না আমার সহ্য হচ্ছে না ।(সামিয়া)

:+সে আমাকে ধোঁকা দিয়েছে সামিয়া । যার জন্য সব ছেরে দুর দেশে তার জন্য গেছি । আর সেই আমাকে ধোঁকা দিয়েছে ।(তৃপ্তি)

ফুফিয়ে ফুফিয়ে বলে উঠলো তৃপ্তি । সামিয়া কিছু’টা বুঝতে পারলো । কিন্তু কি নিয়ে ধোঁকা দিবে বুঝতে পারছে না সামিয়া । মানুষ’টাকে দেখে তো একমন মনে হয়নি ।

:+কি হয়েছে আমাকে সব খুলে বল । দেখি আমি কিছু করতে পারি কিনা ।(সামিয়া)

:+তোর কিছু করতে হবে না । আর আমি চাইও না ওই ধোঁকা বাজের কাছে যেতে ।(তৃপ্তি)

কথা’টা বলে সামিয়াকে ছেরে সোজা হয়ে বসলো তৃপ্তি । সামিয়া তৃপ্তির ডান হাত’টা নিজের দু’হাতের মুঠোয় নিয়ে বললো ।

:+ঠিক আছে, আমি কিছু বলবো না বা করবো না । তুই এখন আমাকে সব খুলে বল ।(সামিয়া)

সামিয়ার শান্ত কন্ঠের কথায় তৃপ্তি উদাস হলো । মেঝেতে চোখ রেখে ধিরে ধিরে সব খুলে বললো সামিয়াকে । আপনার বেস্ট ফ্রেন্ড । আপনি আপনার বাবা মার কাছে যেটা শেয়ার করতে পারবেন না । সেটা কিন্তু ঠিকই বেস্টফ্রেন্ডদের কাছে শেয়ার করতে পারবেন । তৃপ্তিও তার বেস্ট ফ্রেন্ড সামিয়াকে সব বলছে ।

:+যানিস সামিয়া । আমি যখন বাড়িতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । তখন কলিজা’টা ওখনে ছিরে ফেলে আসছি । বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় বার বার পিছনে ফিরে তাকিয়েছি । এই বুজি সে এসে আমাকে জরিয়ে ধরবে । আমার কাছে অসহায় মুখ করে ক্ষমা চাইবে । কিন্তু সে তার কিছুই করেনি । তার দেহের জ্বালা মিটিয়ে পড়ে পড়ে ঘুমিয়ে ছিল । কি কারনে ওখানে থাকবো বলতে পারিস । এখন তো সুধু তার দেহের ভোগ বস্তু হয়ে থাকতে হতো । যাই হোক,,আমি এখন বাড়িতে যাই । ১০টা বেজে আসছে । সেই সকালে আসছি তোদের বাড়িতে । এখন বাড়িতে না গেলে নিশ্চয়ই আম্মু বকা দিবে ।(তৃপ্তি)

এই বলে তৃপ্তি বসা থেকে উঠে দারালো । এরপর আবার কি মনে করে যেন পিছনে ফিরে সামিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+তোর আল্লাহ দোহায় লাগে সামিয়া । তুই এই কথা গুলো কাওকে বলবি না । আর কেও আমার বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করলে তাকেও কিছু বলবি না । এমন কি তোর বিএফ । মানে রাহুল ভাইয়াকেও কিছু বলবি না ।(তৃপ্তি)

এই বলে তৃপ্তি সামিয়ার রুম থেকে বেরিয়ে গেল । আর সামিয়া হতভম্ব হয়ে বসে রইলো । তৃপ্তির কথা গুলো তার মাথা খেলা করতে লাগলো । নিদ্র এমন কাজ করতে পারে বলে সামিয়ার মনে হচ্ছে না । কিন্তু তৃপ্তির কথাও সামিয়া ফেলতে পারেছে না । মেয়ে’টা যেভাবে নিদ্রকে পরিক্ষা করেছে । এভাবে তো,,,,,। না সামিয়া আর কিছু ভাবতে পারছে না । একবার ভেবে নিলো রাহুলকে কল করবে সামিয়া । কিন্তু তৃপ্তি তো তাকে আল্লাহর দোহায় দিয়ে গেছে । ভেবেই ফোন’টা পাসে ফেলে বেডের উপর টান টান হয়ে শুয়ে পড়লো সামিয়া । নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডের কষ্ট মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে সামিয়ার ।

————————————————

রাত ১১টা বাজে……………….
ফরহাদ আর আমেনা সোফার উপর বসে আছে । পাসের সিঙ্গেল সোফায় সুমি বসা । একটু দুরে দাড়িয়ে দারোয়ান মাথা নিচু করে আছে । সুমি ফরহাদের দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+এই নিন আংকেল নিদ্র ভাইয়ার ফোন । আর এই হলো দু’টো কাগজ । উপরের কাগজ’টা পড়ার দরকার নেই । ওটা ভাইয়া তৃপ্তির জন্য লিখেছে হয়তো । নিচের কাগজ’টা পড়ুন ।(সুমি)

সুমির কথা শুনে আমেনা ফরহাদ আর সুমির মুখের দিকে তাকাচ্ছে । ফরহদা সুমির হাত থেকে কাগজ দু’টো নিলো । সুমি আবার বলে উঠলো ।

:+আজ এক সাপ্তাহ হয়ে গেছে । আমি ভেবে ছিলাম নিদ্র ভাইয়া আর তৃপ্তি গ্রামে গেছে । কিন্তু আজ সকালে যখন দারোয়ান চাচা আমাকে জিজ্ঞেস করলো আপনাদের ফোন করতে, তখন আমার সন্দেহ হয় । আবার বাড়ির ভিতরে গাড়িও দেখতে পারই । কিন্তু এই গাড়ি’টা তৃপ্তি নিয়ে গিয়েছিল । দারোয়ান চাচা নিজে চোখে দেখেছেন । আর নিদ্র ভাইয়া রাত প্রায় ১১টা বাজে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় । আমি ঠিক বলছি তো দারোয়ান চাচা ।(সুমি)

শেষের কথা দারোয়ানের দিকে তাকিয়ে বললো সুমি । দারোয়ান মাথা তুলে সবার দিকে তাকিয়ে বললো ।

:+হ্যাঁ,,স্যার ম্যাডাম ঠিক বলছে । ছোট স্যার রাতে বেরিয়ে যায় । আমি জিজ্ঞেস করে ছিলাম তিনি কোয়ায় যাচ্ছেন । উনি আমার বললেন একটু সুখের আসায় । অজানা কোনো শহরে ।(দারোয়ান)

:+মানে,, কি বলছো তোমরা এসব । আমার ছেলে কোথায় গেছে ।(আমেনা)

দারোয়ানের কথা শেষ হতে চিৎকার করে উঠে আমেনা । এরপর ফরহাদের হাত থেকে দ্বিতীয় কাগজ’টা নিয়ে ভাজ খুলে পড়া সুরু করলো আমেনা ।

কাগজের লিখা ।
MOM….ভেঙে পড়ো না । যানি কষ্ট পাবে খুব । যখন শুনবে আমি তোমাদের সবাইকে ছেরে চলে গেছি । তবে MOM…এতো টুকু বিশ্বাস রাখো । সুইসাইড করবো না । বাংলার অজানা কোনো শহরে থাকবো । একটু শান্তিতে ঘুরতে যাচ্ছি । আসল কথায় আসি । আমি অনেক বড় ভুল করে ফেলেছি MOM । নিজের অজান্তে আমার কলিজায় আঘাত করে ফেলেছি । ভুলে নেশা করে ফেলেছি রাতে । সেই রাতে ওর সব ছিনিয়ে নিয়েছি আমি । অসুরের মতো ওর উপর ঝাপিয়ে পড়েছি । অবশ্য আমার তখন হিতাহিত ঙ্গেন ছিল না । পরের দিন পিঠে জ্বালা অনুভব হতে ঘুম ভেঙে যায় । ধরফরিয়ে শোয়া থেকে উঠি আমি । আয়নায় নিজেকে দেখে ঘৃণা হচ্ছিল । মেয়ে’টা কতো চেষ্টা করেছে আমার থেকে ছোটার জন্য । নিজের গায়ে অসংখ্য নখের আঁচড় দেখে বুঝতে পারি । কিন্তু MOM..বিশ্বাস করো । আমি এমন’টা চাই নি । আমি তো ওকে নিয়ে শেষ সুখে থাকতে চেয়েছিলাম । রাগ হচ্ছিল নিজের উপর । ভুলে রুমের মধ্যে থাকা ড্রিংস(মদ) আবার খেয়ে ফেলে । নিজেকে সামলানো দায় হয়ে পড়েছিল । তাড়াতাড়ি ওয়াসরুমে চলে গেলাম । নিজেকে যথা সম্ভব শক্ত রাখার চেষ্টা করছি কিন্তু পাড়িনি । ওয়াসরুম থেকে বেরোতেই তৃপ্তি এসে আমার সামনে দাড়ায় । মেয়ে’টার উস্ক খুস্ক চুল চোখ ভরা পানি । কেমন যেন আরো মাতাল করে তলেছিল । নিজেকে আর ধরে রাখতে পারিনি । আবারো ডুব দিয়েছি ওর মাঝে । কিন্তু MOM…আমি যানতাম না যে ও আমাকে পরিক্ষা করতে এসেছে । মেয়ে’টা বাচ্চা না MOM…। ও আমার ভালোবাসা পাবার জন্য এমন বাচ্চাদের মতো থেকে ধিরে ধিরে আমাতে, আমার ভালোবাসা কেরে নিয়েছে । এখন সুধু এতো টুকুই বলবো MOM…। ও যেহেতু আমাকে না বুঝে চলে গেছে । সেহেতু ওকে ওর মতো থাকতে দাও । ওকে আমি যে বাড়ি থেকে চলে আসছি, এটা বলার দরকার নেই । একটু কষ্ট’টা দুর কোথাও ফেলে ঠিকই আবার আমি তোমার কাছে ফিরে আসবো । টেকয়ার নিজের যন্ত নিয়ো । আর আমি যা বলেছি তা মনে রেখো । ওকে এই বিষয়ে কিছু বলার দরকার নেই ।
ইতি
তোমার এক মাত্র জান ।

কাগজ’টা পড়ে হু হু করে কেদে উঠলো আমেনা । ফরহাদ আমেনাকে শান্ত করার চেষ্টা করলো । তখনি বাসার মধ্যে হুড়োহুড়ি করে সাব্বির, রাহুল, জেক, সুজন আর রাশেদ প্রবেশ করলো । মূলত সুমিই একটা মেসেজ দিয়েছে ফেসবুকে মেসেঞ্জার গ্রুপে । সেই মেসেজ দেখে সবাই ছুটে আসে । আমেনা চিৎকার করে কেদে উঠলেন ।

:+আমার ছেলেকে ফিরে এনে দাও ফারহাদ । আর কতো কষ্ট ভোগ করবে ছেলোটা । আমার এই টুকু ছেলে’টা এই প্রর্যন্ত কতো কষ্ট সহ্য করছে । আমার ওদেরকে একা রেখে যাওয়া ঠিক হয়নি ।(আমেনা)

আমেনা হাই হুতাশ হয়ে পড়লেন । একটাই ছেলে । তারও যদি এই অবস্থা হয় । তাহলে কি করে মেনে নিবে পিতা মাতা । ফারহাদ আমেনাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন । কিন্তু আমেনা হাই হুতাশ করতে করতে ঙ্গেন হারান । ফরহাদ, রাশেদ আর সুজন মিলে আমেনাকে ধারা ধরি করে রুমে নিয়ে আসেন । সুমির থেকে এখানে এসে সব শুনেছে সবাই । একটা ভুলে কত বড় খতি হয়ে গেছে এখন বুঝতে পারছে সবাই । নিদ্রকে যে কোনো মূল্যে বাড়িতে ফিরিয়ে আনবে বলছে নিদ্রর সব বন্ধুরা । ফরহাদকে শান্তনা দিয়ে সবাই বেরিয়ে পড়ে । মেসেঞ্জার গ্রুপে, ফেসবুক গ্রুপে, হোয়াটসঅ্যাপে, টুইটারে । সব যায়গায় নিদ্রর পিক দিয়ে দেয় সবাই । কলেজ, ভার্সিটির সব স্টুডেন্টের কাছেও পিক দিয়ে দেয় । যেখানে নিদ্রকে দেখবে সাথে সাথে যেন তাদেরকে যানায় । নিদ্রর সব বন্ধুরা বলে দিয়েছে ।

#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,

[।কপি করা নিষেধ।]

[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here