স্বপ্নের প্রেয়সী 💖 Part – 2

0
114

💖 স্বপ্নের প্রেয়সী 💖
Part – 2

ফ্রেশ হয়ে এসে ফারহান স্যার এর সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। বসব নাকি তাই নিয়ে কনফিউশন এ পড়লাম। কারণ পান থেকে চুল খসলেই আমাকে শাস্তি দিবেন এই লোক। গভীর চিন্তায় মগ্ন আমি। এমন সময় ফারহান স্যারের ধমকে চমকে গেলাম।

“তোকে এখানে সং সেজে ঢং করে দাঁড়িয়ে থাকতে বলেছি? শুধু শুধু টাইম ওয়েস্ট করার ধান্দা।”

আমি চুপ। কথা বলার মতন ভাষাটা পেলাম না। হাতে একটা ইয়া লম্বা প্রশ্ন ধরিয়ে দিয়ে পুনরায় বললেন,”ফাস্ট এই গুলো সলভ করে দে। একটা যদি ভুল হয় তো দশ বার কান ধরে উঠ বস করবি।”

ফারহান স্যারের হাত থেকে প্রশ্ন নিয়ে আমি হা হয়ে আছি।
রাগি ফেস নিয়ে তিনি বললেন,”কী হয়েছে? হাবুলের মতো তাকিয়ে কেন?”

আমি একটা শুকনো ঢোক গিলে বললাম “না স্যার কিছু না।”

“ওকে গুড। ফাস্ট লিখে দে।”

একটা কেবলা হাসি দিয়ে বললাম,”জি স্যার।”

৩০ মিনিট পর। সব কমপ্লিট। একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলাম। আর নিজেই নিজেকে বলা শুরু করলাম, ‘বাহ ফারাবি বাহ সব শেষ। এই বার দেখি বেটা বজ্জাত হনুমান দ্য গ্রেট ফারহান তুই আমাকে কেমন করে বকা দিস।’

মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। কিন্তু কতক্ষণ থাকবে জানি না। তাই কিছুটা ভীত হয়ে বললাম,”স্যার হয়ে গেছে।”

“ওকে দে,পেপারটা।”

স্যার খাতা দেখছেন আর আমার বুক কাঁপছে। দুজনের মধ্যে নীরবতা বিরাজ করছে। বেশ কিছুক্ষণ পর ফারহান স্যার বললেন,”হুম,ভালো হয়েছে।”

এইবার যেন আমার দেহে প্রাণ আসল। স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম। কিন্তু হঠাৎ ই মনে পড়ল আমার ইংলিশ গাইডে
নিশির প্রেম পত্র! উফ এই আরাফ ভাইয়ের জন্য আজ আমি শেষ।

নিশি আমার বান্ধবী। বলতে গেলে বেস্ট ফেন্ড ই বটে।
আরাফ ভাই আমাদের দুই ব্যাচ সিনিয়র। নিশি আর আরাফ ভাইয়ের দুই বছরের প্রেম। মাসে দশ বার হয় ব্রেকআপ! তিন দিন আগে বেশ ঝগড়া হয়েছে আরাফ ভাইয়ের এক্স কে নিয়ে। নিশি তো সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ব্লক লিস্ট এ রেখে দিয়েছে দুই দিন ধরে। যদি ও এমন বহু বার হয়। আর তাই আরাফ ভাই কোনো উপায় না পেয়ে আমি স্কুল থেকে ফেরার সময় চিঠি আর দুই টা ডার্ক চকলেট হাতে দিয়ে বলেছে নিশি কে দিতে। সেই চকলেট ব্যাগে রেখে চিঠিটা রেখেছিলাম ইংলিশ গাইডের ভেতরে।
আর কালকের পড়ার চাপে চিঠিটা বের করার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। যার ফল স্বরূপ ফারহান স্যারের হাতে।
নিশির বাচ্চা তোকে তো আমি কাঁচা চিবিয়ে খাব। যদি একটা ও চকলেট দেই তার পর বলিস আমায়। উফ আমি তো শেষ!

স্যার পেজ উল্টো করেই পেয়ে গেল নিশি কু ত্তি র চিঠি ।আমার তো মনে হচ্ছে আমি শেষ। আম্মু গো তোমার মেয়ে আর বাঁচবে না গো। আমার বাচ্চা গুলো অনাথ হয়ে যাবে গো। আমার জামাই টার কপাল ই খারাপ ও তো বিধবা হয়ে যাবে। এই কথা ভাবা মাত্রই বেকুব বনে গেলাম। পুরুষ মানুষ বিধবা হয় নাকি? ধুর যাক গে সে হবে হয়তো। কিন্তু আমার
মৃ ত্যু নিশ্চিত।

স্যার চিঠি টা পড়ছে আর তার মুখে রাগ স্পষ্ট ফুটে উঠছে। রাগ যেন বেরেই চলছে আমি তো এবার শেষ। চোখ মুখ খিঁচে দাঁড়িয়ে আছি। কখন যে আমার উপর দিয়ে সাইক্লোন, টর্নেডো, ফনি যাবে তার অপেক্ষায়। তিনি আমাকে ডকলেন,

“ফারাবি।”

আমি তো এবার শেষ। ভয়ে আমি প্রায় কেঁদেই দিলাম। পরক্ষণেই আবার ফারহান স্যার ডাক দিলেন। আমাকে চুপ থাকতে দেখে আমার সামনে আশা শুরু করলেন। আর আমি তো আল্লাহ কে ডাকছি আল্লাহ এবারের মতো এই হনুমানের থেকে আমায় বাঁচিয়ে দাও।

(জানি না গল্প কেমন হচ্ছে। গল্প লেখার অভিজ্ঞতা নেই তেমন। ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন। আপনাদের মতামত আশা করছি। পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন। গল্পটা আমি আমার মতো করে সাজাচ্ছি। আশা করি ভালো লাগবে। কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না। আপনাদের অনুপ্রেরণা আমার শক্তি। পাশে থাকুন।)

বি: দ্র: ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।

ফাতেমা তুজ
চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here