স্বপ্নের প্রেয়সী 💖 Part – 24

0
69

💖 স্বপ্নের প্রেয়সী 💖
Part – 24
_________________________

ছাদের দোলানা তে বসে পা উঠিয়ে বসে আছি।
এখন প্রায় 1 টা বাজে।
গোসল করেই কোনো রকম চুল মুছে চলে এসেছি ছাদে।
যদি ও এখন শীত নেই। কিন্তু আমার হালকা শীত লাগছে।
তাই দোলনাতে বসে রোদ পোহাচ্ছি।
বেশ আরাম ই লাগছে।
হঠাৎ করে ই হনহনিয়ে ফারহান ভাইয়া ছাদে আসলেন।
সোজা ছাদের এক কোনাতে দাড়িয়ে ফোনে কারো সাথে কথা বলতে লাগলেন।
কি কথা হলো আমি জানতে পারলাম না।
যদি ও জানার তেমন ইচ্ছে ও নেই।
আমি আমার মতো গায়ে রোদ মেখে চলছি।
আহা কত শান্তি যে লাগছে।
ফারহান ভাইয়া কথা শেষ করে সোজা আমার পাশে এসে বসে পড়লেন।
আমি বোকা বনে গেলাম বলা নেই কওয়া নেই সোজা বসে পরলেন।
আমি দোলনার মাঝামাঝি তে বসে ছিলাম।
যার দরুন তিনি আমার এক পাশে বসাতে একদম গা ঘেঁষে রইলো।
হালকা বিরক্তি নিয়ে ওনার চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করতে থাকলাম আর খানিকটা সরে বসলাম।
আরে ভাই তোর কি সমস্যা, আমি তো বেশ আরামে ছিলাম।
তোর সহ্য হলো না নাকি ।
মেজাজ টা গরম হলে ও মুখে বলার সাহস নেই।
আমি রাবন নই যে আমার ঘাড়ে অনেক গুলো মাথা থাকবে আর আমি দ্যা গ্রেট ফারহানের মুখে মুখে কথা বলব বা তর্ক করবো।
তাই বরাবরের মতো চুপ করেই আছি।
ফারহান ভাইয়া বেশ কিছুক্ষণ ফোনে স্কল করতে থাকলেন।
ফেসবুকে আছেন ওনি , আহা এই বিষয় টাতে আমার বেশ আগ্রহ।
যদি ও এই ফেসবুক চালানোর মতো সৌভাগ্য আমার হলো না আজ ও।
আড় চোখে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি।
হঠাৎ ফারহান ভাইয়া আমার দিকে তাকাতেই চোখ সরিয়ে নিলাম।

ওনি আবার ফোনে স্কল করতে থাকলেন আর আমি আড় চোখে তাকালাম।
আবার ওনি আমার দিকে তাকালেন আর আমি চোখ সরিয়ে নিলাম।
ওনি হালকা হাসতে থাকলেন আর ফোনে স্কল করতে থাকলেন।
5 মিনিটের মাথায় ওনি আমাকে ওনার ফোনটা হাতে ধরিয়ে দিলেন আর আমি অবাক হয়ে রইলাম।
ওনি দু হাত মেলে দিয়ে বললেন
– ফেসবুক চালাতে ইচ্ছে করে তোর ,তাই চালাতে দিলাম।

আমি ওনাকে কিছু না বলেই ফোন চালাতে ব্যস্ত হয়ে গেলাম।
আহা এত বড় সুযোগ হাত ছাড়া করার কোনো প্রশ্ন ই নেই।

ফারহান ভাইয়া আমার এহেম কান্ডে হালকা হেসে উঠলেন।

কিছু কিছু পোস্ট এতো টাই ফানি কি আর বলব।
হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছি আমি।
বেশ কিছুক্ষণ পর একটা কল এলো আর আমি ওনাকে ফোনটা দিয়ে দিলাম।
ফারহান ভাইয়া আমার পাশে বসেই কথা বললেন।
কিন্তু অপর পাশের লোকটার কথা আমি শুনতে পেলাম না।
ফারহান ভাইয়ার বলা কথা আমার মাথায় ঢুকল না।
ওনার কথা গুলো এমন
হুমমমম

হ্যাঁ সমস্যা নেই

আই নো ইউ ক্যন ডু দিস

ওওওওও

টাইম নিয়ে কোনো সমস্যা নেই

ওকে ওকে

বাই

কথা শেষ হলে ফারহান ভাইয়া ফোনে আমাকে অনলাইন ক্লাস দেখালেন।
ফেসবুক থেকে ফরম ফিলাপ করে এডমিট করালেন।
আমি আগা গোড়া কিছুই বুঝতে পারছি না ।
ফারহান ভাইয়া বলল
– এক্সামের জন্য এই ক্লাস গুলো দরকারি।
আমার ফোন থেকেই ক্লাস করবি তুই।

আমি শুধু মাথা ঝাকালাম।
ফারহান ভাইয়া আমার মুখে আসা চুল গুলো কানের পিঠে গুঁজে দিলেন।
ওনার ছোঁয়া তে আমি কেঁপে উঠলাম।

আর ওনি হনহনিয়ে নিচে চলে গেলেন।
কিছুক্ষণ ওনার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম।
এই লোকটা কখন কি করে বুঝতে পারি না।
ধ্যাত বুঝে কাজ ও নেই।
ওনাকে বুঝতে গিয়ে দেখবো আমি পাগল হয়ে গেছি।
দোলনা থেকে উঠে ছাদে ঘোড়াঘোড়ি করে আমি ও নিচে চলে গেলাম।
___________________________

ব্যলকনিতে বসে বসে কালো গোলাপ গাছটা কে দেখছি।
বাহ্ এক দিনেই অনেকটা সতেজ হয়ে গেছে।
এই গাছটি যে আমার বড্ড প্রিয়।
যার কারন আমার অজানা।
আমার জীবনের অনেক কিছুই আমার অজানা ।
আমি অতো ভাবতে পারি না।
তাই জানার ইচ্ছে থাকলে ও তেমন আগ্রহ করি না।
দুটো বেজে গেছে জানান দিতে ঘড়ির কাঁটা ঘন্টা বাজালো।
কিছুক্ষণ পর মনিকা আপু এসে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল
– কি হয়েছে আমার ননদের।
ননদিনী কি এতো ভাবছে হুমম ?

আমি মনিকা আপুর হাত জড়িয়ে ধরে বললাম
– দেখো গাছটা এক দিনেই কেমন সতেজ হয়ে গেছে।
এখন দেখতে কতো ভালো লাগছে ।

মনিকা আপু আমাকে ছাড়িয়ে গাছটা কে ভালো করে দেখে বলল
– বাহহহ। এতো উন্নতি , দেখতে হবে না কে যত্ন করেছে।
ফারহান ভাইয়া বলে কথা।

আমি হালকা ভেঙ্চি কেঁপে বললাম
– ইসসস ওনি কিছু করেন নি।
সব ক্রেডিট তো আমার।

মনিকা আপু ফিক করে হেসে বলল
– ওরে আমার ননদিনী রে।
আজকাল ফারহান ভাইয়া কে ও হিংসে হচ্ছে।

আমি মনিকা আপুর দিকে কিছুক্ষণ ভেবলার মতো তাকিয়ে থেকে ফিক করে হেসে দিলাম।
আর মনিকা আপু ও আমাকে জড়িয়ে ধরে হেসে দিলো।

________________________

( আসসালামুআলাই রির্ডাস । পার্ট টা ছোট দেওয়ার জন্য দুঃখিত । সন্ধ্যা বেলা বড় করে দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশআল্লাহ ।
গল্পটা কেমন হয়েছে কমেন্ট করে জানাবেন প্লিজ । বিভিন্ন গ্রুপে রিভিউ আশা করছি ।
আমর লেখা গল্প পেতে পেজ এ লাইক দিয়ে আর বন্ধুদের ইনভাইট দিয়ে পাশে থাকুন।)

বি : দ্র : ভুল ত্রুটি মাপ করবেন ।

💜 হ্যাপি রিডিং 💜

চলবে
ফাতেমা তুজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here