#প্যারাময়_লাভ❤❤
#written_by_Nurzahan_akter_Allo
#part_1
রিদয় মাঝারে! রেখেছি তোমারে!
তোমার জন্যও অনুভুতি আমার মনটা জুড়ে
এই দুটি চোখে! তোর সপ্ন জমেছে
অশান্ত এ মন ছুটে যায় তোর ই কাছে
আমার মনে অকারনে তুমি দিও না জালা
তুমি ছাড়া এ জীবনটা আমার বড় একেলা
তোমার পেলে এ জীবনে আর তো কিছু চাই না
সারাজীবন থাকবো পাশে!তোমায় ছেড়ে যাবো না
ম্যা হু তেরা আশিকি কাজল মেরে জিনদেগী
সাব কুছ ওদ য়া কারলিয়া
তুমছে পিয়ার কারে গী….
–
তোরে কতক্ষণ থেকে বলছি ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করতে আয়!তুই কথা শুনতে পাচ্ছিস না।আর সকালবেলা কেউ এভাবে গান বাজায়!আর এত বড় মেয়ে হয়ে তুই এভাবে বেডে উপর লাফাচ্ছিস কেন??তোর কি আর বুদ্ধি শুদ্ধি আর হবে না। (রিমি চৌধুরী গান বন্ধ করে দিয়ে )
–
রুহিঃ আম্মু গানটা বন্ধ করলে কেন?বাকিটা শুনে তারপর না হয় বন্ধ করবে।কেবল হাফ গানে নাচলাম! বাকিটুকু গানে না নাচলে গানটা কষ্ট পাবে তো।
আম্মুঃকয়টা বাজে তোর খেয়াল আছে!তুই কলেজ যাবি কখন।(রাগি চোখে তাকিয়ে)
রুহিঃধুর কলেজে যেতে ভালো লাগছে না।এত পড়ে কি হবে?বিয়ে দিয়ে দাও তো ল্যাটা চুকে যাক।এত পড়াশোনার প্যারা আর সহ্য করতে পাচ্ছি না।
আম্মুঃনিজের বিয়ের কথা নিজ মুখ ফুটে বলছিস! তোর লজ্জা করে না? (দাঁতে দাঁত চেপে)
রুহিঃযা বাবা! নিজের বিয়ের কথা নিজে বলতে লজ্জা লাগবে কেন শুনি?আর কোথায় লিখা আছে যে মেয়েরা নিজের বিয়ের কথা নিজে বলতে পারবে না।
আম্মুঃএতকিছু আমি বুঝি না!তারাতারি ফ্রেশ হয়ে নিচে আসবি।
রুহিঃহুমম!তবে যত যাই বলো আম্মু তারাতারি আমারে বিয়েটা দিয়ে দাও। আমি বিয়ে করবো….(লজ্জা পাওয়ার ভাব করে)
ইমরান চৌধুরীঃকি ব্যাপার মামনি?তুমি এখনো ফ্রেশ হওনি কেন?তারাতারি যাও ফ্রেশ হও!চল আমরা একসাথে ব্রেক ফাস্ট করবো! (রুহির বাবা রুহিকে উদেশ্য করে)
রুহিঃ
বাবা আমার কি বিয়ে হবে না?
ওহ বাবা আমার কি বিয়ে হবে না…(দুষ্টু হেসে ওর আম্মুর দিতে তাকিয়ে)
বাপিঃহা হা হা!হুম হবে তো মামনি আগে সেই রাজপুএকে খুঁজে বের করি।তারপর তার সাথে তোমার বিয়ে দিবো।
আম্মুঃযেমন বাবা তার তেমনই মেয়ে!আমার হয়েছে যত জালা!এসব কথা যাকে বললে তুই ঠিক হবি! আমি তাকেই বলবো দাড়া… (কথাটা বলে চলে গেল)
রুহিঃহুমম!যাও বলো আমি কাউকে ভয় পা।ওই উগান্ডার জলহস্তী’আমার কিছু করতে পারবে না।
কথাটা শুনে রুহি আর ওর বাপি রুম কাঁপিয়ে হাসতে শুরু করছে।রুহির আর ওর বাপির কাজ ওর আম্মুকে চেতানো।রুহির আম্মু কে রুহি আর ওর বাপি রাগিয়ে দেয় আর উনি রেগে বোম হয়ে যায়।তারপর রুহির বাপি রুহিকে ফ্রেশ হতে বলে নিচে চলে যায়।
–
(উপরের ঘটনা শুনে বুঝে গেছে যে একটা দুষ্টু মেয়ের কাহিনী নিয়েই আমার এই গল্পটি লিখা!আর যে বেডের উপর নাচানাচি শুরু করছে সে হচ্ছে রুহির চৌধুরী! ইমরান চৌধুরী আর রিমি চৌধুরীর একমাএ আদরের কন্যাই হচ্ছে রুহি চৌধুরী।অতিরিক্ত পরিমানের ভদ্র মেয়ে হচ্ছে রুহি!ঠিক কতটা যে ভদ্র সেটা খুব তারাতারি আপনারা বুঝে যাবেন।রুহি এবার অনার্স ১ম বর্ষের ছাএী!পড়াশোনাতেও অতিরিক্ত মেধাবী।এত পরিমান মেধাবী যে কোনরকম টেনেটুনে পাশ করে।এবার চলুন দেখি রুহি কি করছে ওয়াশরুমের ভেতর??)
–
রুহি আপাতত এক ড্রাম পরিমান চিন্তায় মগ্ন হয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে! আর ওয়াশরুমের বালতি টা উপুর করে রেখে তার উপরে বসে পরে!রুহি সাওয়ার অন করে!আর সাওয়ারের পানিতে ভিজে ভিজে বালতির উপর বসে বসে চিন্তা করছে…
–
রুহিঃ এবারেও মনে হয় পরীক্ষাতে ফেল করবো!ধুর আর ভাল লাগেনা আর পড়াশোনা।আমার বিয়ে হবে কবে! আমার বরটা যে কোথায় আছে কে জানে?আচ্ছা আমার বরটার কি জন্ম হয়েছে নাকি পৃথিবীতে আসার প্রস্তুতি নিচেছ।নানু একটা বাংলা মুভি দেখতো না! কি যেন মুভিটার নাম।ধুরর মনে পড়ছে না এখন।মেয়েটার বয়স ১২ আর বরটার বয়স সাতদিন মাএ!আমার সাথে যদি এমন হয় তো আমি কি করবো??যদি এমন হয় তো আমিও কি আমার বরকে কোলে নিয়ে ঘুরবো…..আর শেষে কি না আমার বরের ড্রায়াপার আমাকে বদলে দিতে হবে।নাআআআাআ ছিঃ!ছিঃ! এ হতে পারে না।আমি এসব পারবো না। (এক লাফে বালতির উপর উঠে দাড়িয়ে)
–
তারপর রুহি বিভিন্ন ধরনের কল্পনা কল্পনা শেষ করে সাওয়ার নিয়ে বের হলো!পিংক কালারের লেডিস গেন্জী আর কালো লেডিস থ্রীকোয়াটার পড়ে আছে।ভেজা কাপড় গুলো বারান্দায় মেলে দিয়ে! টাওয়ালটা মাথাতেই জড়িয়ে এগিয়ে গেল ড্রেসিং টেবিলের সামনে।তারপর আয়নার সামনে এসে কি মনে করে দাড়ালো। আয়নাতে একবার তাকিয়ে! মুখ ভেংচি দিয়ে নিচে চলে গেল।রুহীর আম্মুর রুহির মাথা থেকে টাওয়াল খুলে চুল মুছে দিলো!আর মাথায় একখান ঠুয়া মেরে বললো….
–
আম্মুঃবিয়ে করবো বিয়ে বলে লাফাতে পারো আর চুল গুলো মুছতে পারো না।
রুহিঃইসস্ আম্মু মেরো না তো!আমি মোছা শিখে কি করবো! আমার বরের শিখলেই হবে।(মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)
বাপিঃহা হা হা! শোনা মামনি খাওয়া শুরু করো!আর তোমরা সাবধানে চলে যেও! আমি সন্ধ্যায় ওখানে পৌঁছে যাবো।আজকে আমি সারাদিন একটু বিজি থাকবো।
রুহিঃআমরা কোথায় যাবো বাপি?আমি আগেই বলে দিচ্ছি! কোথাও যেতে পারবো না।
আম্মুঃতোর বড় মামার ছেলে অভিকের খাৎনা!তাই একটা অনুষ্ঠান করবে!অনেক রিলেটিভরা আসবে।
রুহিঃ বাঙালিরা পারেও বটে!৬ বছরের একটা বাচ্চা ছেলের ইয়ে কেটে দিবে! আর এটা নিয়ে নাকি অনুষ্ঠান করবে?রিলেটিভদের তো শুধু খাওয়ার ধান্দা।আর বড় মামা তার ছেলের খাৎনাতে আবার অনুষ্ঠান করবে কোন সুখে।এটা অনুষ্ঠান করার কোন রিজন হলো…খাৎনা করতে নাকি অনুষ্ঠান করা লাগে। যত্তসব ঢং…
আম্মুঃতোর এসব নিয়ে এত ভাবতে হবে না!তোকে যেতে বলছি তুই যাবি ব্যস্।
রুহিঃনা তুমি ড্রাইভারকে নিয়ে চলে যাও!আমি কালকে সুমি আর ইরাকে(বেষ্টু) নিয়ে চলে যাবো।আর এখন বকবক শুরু করলে কালকেও যাবো না।
বাপিঃথাক তাহলে মামনিকে আর জোর করো না!কালকে ও যাবে। তুমি তাহলে গাড়ি নিয়ে চলে যাও….
আম্মুঃহুমমম
–
রুহি রুমে এসে সুমিকে ফোন দিয়ে বলল! কলেজে আজকে না যেতে! আর রুহির বাসায় আসতে বললো।আজকে সারাদিন সারারাত পার্টি হবে!কারন রুহির আম্মু বাসায় থাকবে না।ওদিকে রুহির আম্মু রেডি হয়ে রুহিকে এত এত উপদেশ দিয়ে উনি চলে গেল।তার কিছুক্ষন পরে সুমি আর ইশা আসে।তারপর আবার ফুল ভলিউমে গান দিয়ে তিনজন উরাধুরা ডান্স করতে থাকে…তিনজন মিলে অনেক মজা করে।সারাদিন ওরা দুষ্টুমি করেই কাটায়…
–
রাতে বাইরে থেকে খাবার এনে তিনজন খেয়ে একবেডে শুয়ে আছে।রুহি সুমি পেটের উপর পা তুলে শুয়ে আছে আর গল্প করছে!হুট করে ইশা রুহির দিকে তাকিয়ে বললো…
ইরাঃ আচ্ছা রুহি সিগারেট খোর দের তোর কেমন লাগে?
রুহিঃহুমম ভালোই লাগে!সিগারেট খাওয়াটাও একটা আর্ট…। আমার বর সিগারেট না খেলে আমি তারে বিয়ে করবো না এমনকি কিসও করবো না।
সুমিঃছিঃ!এসব কি বলিস??
রুহিঃকেন রে হুট করে এমন কথা বললি কেন??
ইরাঃনা এমনি জানতে চাইলাম আর কি?
রুহিঃ সত্যি কথা বলবি নাকি এক লাথি দিয়া উগান্ডায় পাঠাবো তোরে??এই এই তারমানে তুই কি কোন সিগারেট খোরের প্রেমে পড়ছিস নাকি???
ইরাঃহুমমম!আমাদের একটা সিনিয়র ভাইয়া আছে না রাহাত নামের।আমি উনাকে ভালবেসে ফেলছি?বাট উনি সিগারেট খায়! কিন্তু আমি তো সিগারেটের গন্ধ সহ্য করতে পারি না।এজন্য রাহাত বাদ..(মন খারাপ করে)
রুহিঃতুই চাস রাহাত ভাইয়া সিগারেট টা ছাড়ুক তাই তো?? (ইরার দিকে তাকিয়ে)
ইরাঃহুমমম! মন থেকে চাই…
রুহিঃ ওকে! আর শোন কালকে মামাদের বাসায় যাবো।বাট সকালে কলেজে গিয়ে আগে রাহাত ভাইয়া র সাঁতার কাটার ব্যবসথা করবো।দেখি আমার হবু জিজু সিগারেট না ছেড়ে থাকে কি করে?শোন!কালকে হবু জিজুকে আমি হালকার উপর ঝাপসা করে একটু আদর দিয়ে আসবো… (দুষ্টু হেসে)
–
পরেরদিন সকালে..
ইরা আর সুমি মিলে রুহিকে অনেক কষ্টে ঘুম থেকে টেনে তুলে!কারন রুহিকে ঘুম থেকে তোলা আর যুদ্ধ করা প্রায় সমান।তারপর ওরা ব্রেক ফাস্ট করে!আর কলেজের উদেশ্যে তিনজন বেরিয়ে পড়ে।রুহি গাড়ি ড্রাইভ করছিলো! তারপর কিছুদুর গিয়ে গাড়িটা এক সাইডে রেখে একটা দোকানে যায়! আর দুই প্যাকেট সিগারেট কিনে ব্যাগ ঢুকিয়ে নেয়!তারপর সেন্টার ফ্রুট নিয়ে মুখে ঢুকিয়ে চিবাতে থাকে।রুহি আরো কয়েকটা সেন্টার ফ্রুট ইরা আর সুমিকেও দেয়। তারপর তিনজন কলেজে গিয়ে রাহাতকে চিরুনী তল্লাশি করে খুঁজতে থাকে!পুরো কলেজ রাহাতকে হন্য হয়ে খুঁজে না পেয়ে!রুহি একটা গাছের নিচে বসে সেন্টার ফ্রুট দিয়ে বেলুনের মত ফুলাতে থাকে…রুহি রেগে গিয়ে তার বিখ্যাত কিছু গালি দিয়ে রাহাতের গুষ্ঠী উদ্ধার করতে থাকে…
To be continue……
(এবার থেকে আপনাদের হাসানোর দায়িত্ব আমার!আর আমাকে উৎসাহিত করার দায়িত্ব আপনাদের!)