#প্যারাময়_লাভ❤❤
#written_by_Nurzahan_akter_Allo
#part_13
মাঝে মাঝে রুহির যুক্তির কাছে মুগ্ধও হেরে যায়!আর এখনও ঠিক তাই হয়েছে এজন্য মুগ্ধ আর কোন কথা না বলে! মুগ্ধ রুহিকে খাওয়াতে থাকে আর রুহি তৃপ্তি সহকারে খাচেছ আর লিখছে….
–
তারপর দুজনেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে!মুগ্ধও রুহির সব পড়ানো শেষ করে রুহিকে ছুটি দেয়।রুহি মুগ্ধর রুমে থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসে! তারপর ড্রয়ার থেকে চকলেট নিয়ে চলে যায়!রুহি জানে এখানে সবসময় রুহির জন্য চকলেট থাকে।মুগ্ধ কিছু বলে না মুচকি হাসে শুধু….
–
মুগ্ধ কিছুক্ষন পরে রুমে থেকে বের হয় নিচে এসে দেখে!ড্রয়িং রুমের লাইট বন্ধ করে দিয়ে।রুহি আর ওর আম্মু সোফাতে বসে দই খাচ্ছে আর হা করে দুজনেই মুভি দেখছে!মুগ্ধর আম্মু একটা বাটিতে নিয়ে দই খাচ্ছে আর রুহি দইয়ের নাড়টাই ধরে বসে পড়ছে।মুগ্ধ টিভির দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করছে ওরা এত মনোযোগ দিতে কি দেখছে??রুহি আর মুগ্ধর আম্মু বসে বসে হরর মুভি দেখছে!মুগ্ধও সোফাতে বসে ম্যাগাজিন পড়ছিলো…
–
রুহি মুভিতে দেখছে ভূতটা একটা মেয়ের পাশে বসে আছে!আর পাশে বসে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ভয়ংকর হাসি দিচ্ছে। তখন রুহিরও কেন জানি মনে হচ্ছে ওর পাশের সোফাতে কেউ বসে আছে!রুহি আড়চোখে তাকিয়ে একটা চিৎকুর দিয়ে! মুগ্ধর আম্মুর কোলে উঠে বসে গলা জড়িয়ে ধরে ভূত ভূত করে চিৎকার করছে!মুগ্ধর আম্মুও আশে -পাশে না দেখে রুহির কথা শুনে উনিও চোখ বন্ধ করে ভূত ভূত করে চিৎকার করছে…
–
ওদিকে মুগ্ধ ওর বুকের হাত দিয়ে বসে আছে!কারন হুট করে এমন চিৎকারে ও হার্ট এ্যাটাক করছে কি না বোঝার চেষ্টা করছে।মুগ্ধর বাবা দৌড়ে আসে ড্রয়িং রুমে আর লাইট জালিয়ে দেখে!রুহি মুগ্ধর আম্মুর কোলে! আর মুগ্ধ পাশের সোফাতে বসে ওর বুকে হাত দিয়ে আছে।লাইট জালানো পর রুহি আর মুগ্ধর আম্মু চোখ খুলে তার শান্ত হয়ে দুজনেই বসে।হঠাৎ রুহি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে! মুগ্ধ আর ওর বাবা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলো রুহি কাদছে কেন???
–
মুগ্ধর বাবাঃআরে বোকা মেয়ে এগুলো সত্যি না তো!মানুষ এমন ভূত সেজে মুভি করে!কাঁদে না মা এখানে ভয়ে পাওয়ার কিছু নেই তো…
মুগ্ধঃ এত ভয় পাস তো এসব দেখিস কেন?মন চাচ্ছে থাটিয়ে একটা থাপ্পড় মারি!আর আম্মু তুমিও ওর সাথে এড হয়ে বাচ্চার মত চিৎকার করছো!!! (রেগে গিয়ে)
মুগ্ধর আম্মুঃভয় সবারই লাগে!বাচ্চা আর বুড়ো বলে কোন কথা নাই।আর মুগ্ধ তুই বা এভাবে ঘাপটি মেরে কখন এসে বসেছিস!!
মুগ্ধঃ ঘাপটি মেরে বসবো কেন??তোমাদের সামনে দিয়ে এসেই তো বসলাম।তোমরা পারোও বটে…..
মুগ্ধর বাবাঃকি হলো এখনো কাঁদছিস কেন রুহি মা!তুই তো আমার সাহসী মেয়ে কাঁদে না মা
রুহিঃ আ আম আমি ভয়ে পেয়ে কাঁদছি না বড় বাবা!আমার সব দই মেঝেতে পড়ে নষ্ট হয়ে গেল!এখন আমি কি খাবো??আমার এখন দই খেতে ইচ্ছে করছে বড় বাবা!এখন যদি আমি দই না খায় তো আমার ভবিষ্যৎ বাচ্চাদের মুখ দিয়ে লালা পড়ছে শুধু… (ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে)
মুগ্ধঃদেখছো বাবা কেমন হ্যাংলা একটা মেয়ে!ও এখনও দই খাওয়া নিয়ে পড়ে আছে।
মুগ্ধর বাবাঃ মুগ্ধ বাইক টা বের করো আর রুহিকে নিয়ে গিয়ে দই কিনে দাও!
মুগ্ধঃএত রাতে এখন আমি যেতে পারবো না!কালকে আমি দই এনে দিবো।
রুহিঃনা আমি এখনই খাবো।এখন দই না খেলে আমার ঘুম আসবে না। (মুখ ফুলিয়ে)
মুগ্ধর বাবাঃযাও মুগ্ধ! কোন কথা না….যাও
–
মুগ্ধর আর কি করা!রুহিকে নিয়ে ছুটলো দই কিনতে।মুগ্ধ পাশে বসে আছে রুহি!রুহি মুগ্ধর কাধে থুতনি রেখে বললো…
রুহিঃএই যে আমার হুঁকোমুখো বরটা!আমি কি আপনার কাঁধে একটু মাথা রাখতে পারি।
মুগ্ধঃ কেন আপনি আমার কে হন যে আপনাকে আমার কাঁধে মাথা রাখতে দিবো??(দুষ্টু হেসে)
রুহিঃআপনি আপনার লাল টুকটুকে বউ!
মুগ্ধঃ আপনি ভুল করছেন মিস! আমি এখনো বিয়ে করিনি তাই আমার বউ নেই (দুষ্ট হেসে)
রুহিঃ তাই না দাড়াও দেখাচ্ছি মজা…(মুগ্ধর পেটে চিমটি কেটে)
মুগ্ধঃআউচচচ! চিমটি কাটছিস কেন???উফফ ব্যাথা পাচ্ছি তো।
রুহিঃ ব্যাথা দেওয়ার জন্যই তো চিমটি দিসি (মুগ্ধর কাধে থুতনি রেখে।
মুগ্ধঃ দই খাওয়ার অভিনয় টা না করলেও পারতেন তাই না। (মুচকি হেসে)
রুহিঃ তোমার সাথে আর একটু থাকার লোভটা সামলাতে পারলাম না।তুমি সেই সকালে অফিসে যাও সন্ধ্যায় আসো আমাকে তো সময়ই দাও না এজন্য….
মুগ্ধঃহুমমম এজন্য এত রাতে দইয়ের নাম করে বের
হয়েছেন।
রুহিঃহুমমম! এই সুযোগ ছাড়ার মত বোকা মেয়ে আমি না।
–
তারপর দুইজন গিয়ে দই কিনলো!মুগ্ধ রুহিকে আলাদা কিনে দিসে আর ওর মায়ের জন্য আলাদা কিনছে!কারন রুহি আর মুগ্ধর মা খুব বেশি দই পছন্দ করে!রুহি মুগ্ধর দিকে তাকিয়ে ছানার মিষ্টি দেখিয়ে দেয়! মুগ্ধ দোকানদারকে দুই জায়গায় ছানার মিষ্টিও প্যাক করে দিতে বলে।তারপর ওরা বাসায় ফিরে যায়!রুহি এক প্যাকেট নেয় আর মুগ্ধ এক প্যাকেট নিয়ে যে যার বাসায় চলে যায়।তারপর রুহি বেশ আয়েশ করে বসে তৃপ্তি সহকারে প্রাণ দই খায়..আর রাতে জমপেশ একটা ঘুম দেয়।
.
–
পরের দিন সকালে…
রুহি মুগ্ধদের বাসায় আসে বই নিতে!কালকে রাতে বই গুলো এখানে রেখে চলে গিয়েছিলো!রুহি মুগ্ধদের বাসায় গিয়ে দেখে মুগ্ধর আম্মু কাঁদছে!রুহি দৌড়ে গিয়ে রুহির আম্মুকে ডেকে আনলো!তারপর মুগ্ধর আম্মু কাছে জানতে চাইলো কাঁদছে কেন??মুগ্ধর আম্মু জানালো যে উনার বাবা খুব অসুস্থ কিন্তু মুগ্ধ কে একা রেখে উনি যেতে চাচ্ছে না।মুগ্ধ তখন অফিস জন্য রেডি হয়ে নিচে নামছিলো তখন মুগ্ধর আম্মু মুগ্ধকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলে…
–
মুগ্ধর আম্মুঃ কতদিন মুগ্ধকে বলছি!মুগ্ধ এবার বিয়েটা করে ফেল বাবা!কিন্তু না কে শুনে কার কথা ওর দুইটা বন্ধু বিয়ে করে বাচ্চার বাবা হয়ে গেছে আর আমার ছেলে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে! আজকে বাসায় একটা বউ থাকলে আমি নিশচিন্তে যেতে পারলাম…..(শুনিয়ে শুনিয়ে)
মুগ্ধঃ আবার সকাল সকাল শুরু করছো!তুমি যাও নানাভাইকে দেখতে আমি কি তোমাকে না করছি??এখন দোষ পাচ্ছো না আমাকে নিয়ে টানাটানি শুরু করছো। (ওর আম্মুর দিকে তাকিয়ে)
রুহির আম্মুঃভাবি আপনি নিশচিন্তে যান!মুগ্ধ এই কয়েকদিন আমার বাসায় থাকবে আর আমার বাসায় খাবে।আমরা আছি তো…
মুগ্ধঃউফফ মেজ আম্মু তুমিও! আমি বাচ্চা না যে বাসায় একা থাকে পারবো না।তবে তুমি চাইলে রান্না করে খাবার পাঠিয়ে দিও তাহলেই হবে।
মুগ্ধর আম্মুঃএতদিনে যদি বিয়ে করে ফেলতি তাহলে আমিও নাতি-নাতনীর মুখ দেখতে পেতাম।আমার কি শখ জাগে না!
রুহিঃ আসল কথা কি জানো বড় আম্মু ??তোমার ছেলে কচি থাকতে চাই বুঝলে!এজন্য বিয়ে করতে চাচ্ছে না।বিয়ে করলে তো কোন মেয়ে আর উনার পেছনে পড়ে থাকবে না তাই…
মুগ্ধঃ এই তুই কলেজ যাবি না!যা ভাগ এখান থেকে।উনি দাড়িয়ে দাড়িয়ে আরো তেল মারছে…
(তোমার ছেলে যে এই পিচ্চি টাকে খুব ভালবাসে আম্মু!কিছু দিন সময় দাও আমার পিচ্চি বউটা আর একটু বড় হোক তখন না হয় বউ করে আনবো।আর এখন বিয়ে করলে আমাকে আর তোমাকে এমনিতেই জালিয়ে মারে তখন আরো করুন অবস্থা করে ছাড়বে। সময় হোক সব হবে।মনে মনে)
–
তারপর মুগ্ধর বাবা আর ওর আম্মু চট্টগ্রাম চলে যায়!মুগ্ধও অফিস চলে যায়!রুহিও কলেজে চলে যায়।রুহি আজকে কলেজে গিয়ে জানতে পারে সামনে সপ্তাহ থেকে ওর পরীক্ষা! রুহি পরীক্ষা রুটিন নিয়ে বাসায় চলে আসে!সন্ধ্যায় মুগ্ধ বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ওর রুমে শুয়ে ছিলো!তখন রুহি পড়তে আসে।রুহি হুট করে মুগ্ধর উপর শুয়ে পড়ে আর জড়িয়ে ধরে!মুগ্ধ আজকে কিছু বলে না!রুহি মাথা তুলে মুগ্ধর দিকে তাকিয়ে বলে…
–
রুহিঃচল আমরা বিয়ে করে ফেলি!(মুগ্ধর বুকে থুতনি রেখে)
মুগ্ধঃ বিয়ে করে কি হবে??এখনই যেমন আছি তেমনই তো ভাল আছি।তুই তো একটা প্যারা..
রুহিঃ কি!তুমি আমাকে এটা বলতে পারলে (মুগ্ধর বুকে কিল বসিয়ে)
মুগ্ধঃ কই আমি তো কিছু বলিনি!আর বিয়ে বিয়ে করিস কেন??এখনই লুকোচুরি প্রেম করে তো খুব খুব ভালো আছি…
রুহিঃবিয়ে করলে আমি তোমাকে সারাজীবনের জন্য পেয়ে যাবো আর বড় মা পাবে নাতি-নাতনি!!!
মুগ্ধঃসেসব চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন মাথায় থেকে! আর পড়াশোনাতে মন দিন।
রুহিঃওহহ একটা কথা বলতে তো ভুলেই গেছি!আজকে পরীক্ষার রুটিন দিয়েছে আগামী সপ্তাহ থেকে পরীক্ষা। আমার না খুব ভয় লাগছে
মুগ্ধঃআরে ধুর কিসের ভয়!এই উঠ আর পড়তে বস!এখন এই কয়েকদিন ভালো করে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে…
রুহিঃআর একটু থাকিনা!কতদিন তোমার বুকে মাথা রাখি না।একটু শান্তি দাও না প্লিজ। তোমাকে জড়িয়ে ধরলে এত শান্তি লাগে কেন??মনে হয় আমার সব সুখ তোমার বুকের মধ্যে আছে।আজকে একটা সত্যি কথা বলবে আমাকে??
মুগ্ধঃকি সত্যি কথা শুনি ???
রুহিঃতুমি আমাকে দুরে ঠেলে দাও কেন??তোমার কি আমাকে কাছে পেতে মন চাই না???নাকি আমাকে ভালো লাগে না।
মুগ্ধঃতোকে দুরে সরিয়ে রাখি কারন তুই বেশি কাছে আসলে আমি যদি নিজেকে কনট্রোল করতে না পারি।আমারো তোকে কাছে পেতে মন চাই বাট নিজের মনকে বোঝায় যে এসব এখন ঠিক না বুঝলি রে গাধী।কারন আবেগের বশে কোন ভুল করে সারাজীবন সেই ভুলের মাশুল গুনতে আমি রাজি না।
রুহিঃহুমমম
–
তারপর উঠে মুগ্ধ রুহিকে পড়ায়! রুহি পড়া শেষ করে দুজনেই রুহিদের বাসায় গিয়ে ডিনার করে নেয়!,মুগ্ধ ডিনার করে ওর বাসায় এসে ঘুমিয়ে পড়ে।এভাবে কিছু দিন চলে যায় আর রুহির পরীক্ষার দিন ঘনিয়ে আসে।রুহি এখন সারাদিন বই মুখ গুজে থাকে!পরীক্ষার টেনশনে রুহি জর এসে গেছে!মুগ্ধ অফিস থেকে এসে অনেকক্ষণ বসে থাকার পর রুহিকে আসতে না দেখে মুগ্ধ রুহিদের বাসায় যায়!আর গিয়ে শুনে রুহির জর এসেছে!
–
মুগ্ধ রুহির রুমে গিয়ে দেখে রুহি ঘুমিয়ে আছে!মুগ্ধ আস্তে করে রুহির কপালে হাত ছোঁয়াতেই রুহি চোখ পিটপিট করে খুলে মুগ্ধকে দেখে একটা হাসি দেয়।তারপর মুগ্ধর হাতটা ওর বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে। রুহির আম্মুর এদিকে আসার শব্দ পেয়ে মুগ্ধ ওর হাত ছাড়িয়ে নেয়!রুহির আম্মু রুহিকে আর মুগ্ধকে খেতে ডাকে!রুহি জেদ ধরে খাবে বলে…মুগ্ধ উঠে চলে যায়।তারপর খাবার এনে রুহিকে জোর করে টেনে তুলে খাবার খাইয়ে দেয় সাথে মেডিসিনও।মুগ্ধও অল্প করে খেয়ে নিলো! এখন ওর না চাইলেও বাসায় যেতে হবে তাই রুহি আর ওর আম্মুকে বলে বাসায় চলে গেল।
–
রুহির পরীক্ষার দিন মুগ্ধ নিজে রুহিকে কলেজে দিয়ে আসে!রুহি মুগ্ধর পাশে দাড়িয়ে আছে তখন রুহি মুগ্ধর দিকে তাকিয়ে বললো…
রুহিঃ একটা কথা বলবো তোমাকে??
মুগ্ধঃহুমমম (ফোনে টিপতে টিপতে)
রুহিঃচারদিকে তাকিয়ে দেখো সবাই কত পড়ছে!বাট আমি কি পড়বো সেটা বুঝতে পারছি না।সত্যি বলতে আমি তো পড়ায় খুজে পাচ্ছি না।
মুগ্ধঃসবাই পড়ছে পড়ুক তোর কি??তুই একটু রিলেস্কে থাক!পড়লেই হয় না মাথা কিছু ধরে রাখতে হয়।আর এখানে যারা পড়ছে তারা বেশিরভাগই লোক দেখানো পড়ছে।নিজের উপর বিশ্বাস রাখ দেখবি তুইও পারবি…. মনের জোর আর বুকে সাহস থাকলে কঠিন কাজকেও সহজ করা সম্ভব।
রুহিঃহুমমম! আচ্ছা আমি যদি ভাল রেজাল্ট করি তো আমাকে তারাতারি তোমার বউ বানাবে তো।নাকি ফাকি দিয়ে অন্য ডালে উড়ে বসবে।
মুগ্ধঃ এসব কথা আজকে থাক!২মিঃ আছে আর যা গিয়ে সিটে বস!
–
রুহি মায়া ভরা দৃষ্টিতে একবার মুগ্ধর দিকে তাকিয়ে মুগ্ধর একটু কাছে এসে কানের কাছে ফিসফিস করে বললো…
রুহিঃ এই রুহি তোমার জন্য নিজেকে একটু বদলেছে!শুধু তোমাকে ভালবাসে তাই!পরীক্ষা দিচ্ছি রেজাল্টও ভাল আসবে ইনশাআল্লাহ। তখন যদি বিয়ে না করে আ উ আ য়ু করো তো তোমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবো।আমার কাছে তুমি আগে তারপর বাকি সব কিছু… মনে রেখো কথাটা (কানে কানে)
–
রুহি কথাটা বলে মুগ্ধর দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হেসে একটা ফ্ল্যাইং কিস ছুড়ে চলে গেল।আর মুগ্ধ শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলো।আর রুহি পরীক্ষা দিতে চলে গেল…
–
মুগ্ধ বেশ কিছু কাজ সেরে আবার রুহির কলেজে চলে আসে!পরীক্ষা শেষ হতে আর ৩ মিঃ বাকি।মুগ্ধ ওর বাইকের উপরে বসে আছে!পরীক্ষার শেষ ঘন্টাটা বেজে উঠলো একটু পর রুহিও বের হয়ে আসলো।রুহি আর সুমি বের হয়ে দেখে মুগ্ধ বাইকের উপর হিরো সেজে বসে আছে!সুমি আর ইরা চলে গেল।আর রুহি মুগ্ধর সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। মুগ্ধ রুহির কোশ্চেন টা দেখলো! যা পড়িয়েছে তার মধ্যে সব এসেছে এখন রুহি কি লিখছে সেটা রুহি জানে..মুগ্ধ রুহিকে বললো বাইকে উঠতে!রুহি বাইকে উঠতে উঠতে বললো…
–
রুহিঃ ওহ ভাইয়া!আমার পরীক্ষা কেমন হয়েছে তুমি জিজ্ঞাসা করবে না???
মুগ্ধঃনা! কারন পড়াচোর রা খারাপ পরীক্ষা দিয়েও বলে ভালো পরীক্ষা দিয়েছে!তাই একেবারে রেজাল্টেই দেখবো।কেমন পরীক্ষা দিয়েছেন….
To be continue….