#বুকের_বা_পাশে🌿🌿
#written_by_Nurzahan_Akter_Allo
#Part_8
তুয়া আর তিন্নি বাসায় ফিরলো। তারপর তিন্নি ফ্রেশ হতে গেলো। তুয়া প্রত্যয়ের আম্মুর কাছে গেলো। প্রত্যয় যাওয়ার পর তুয়া ওদের বাসায় কম যায়। কিন্তু যাওয়া একেবারে বন্ধ করেনি। এখনও তুয়া প্রত্যয়ের আম্মুর সাথে গল্প করে, আড্ডা দেয়। তুয়া প্রত্যয়ের আম্মুকে মামনি আর প্রত্যয়ের বাবাকে ভালো বাবা বলে ডাকে।তুয়া প্রত্যয়দের ফ্ল্যাটের দরজার কাছে গেল আর কলিংবেল চাপ দিলো। তখন প্রত্যয়ের আম্মু, সোফাতে বসে প্রত্যয়ের সাথে ভিডিও কলে কথা বলছিলো। তুয়া দরজা থেকে থেকেই,
–“মামনি, আমার মাথায় একটু তেল দিয়ে দাও তো। আম্মু চুলে টান দেয় শুধু, আমি ব্যাথা পাই। তুমি সুন্দর করে দিয়ে দাও তো। মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করছে!” (তুয়া)
–“ওহ! তুয়া আয় বস এখানে। এদিকে আয়, দেখ এটা কে?” (প্রত্যয়ের আম্মু)
–“কাকে দেখবো মামনি?” (দুম করে সোফাতে বসে)
–“এই নে প্রত্যয়ের সাথে কথা বল। দেখছিস আমার ছেলেটা কত্ত বড় হয়ে গেছ! ও এখন ডাক্তার!” (ফোন হাতে ধরিয়ে)
প্রত্যয়ের কথা শুনে তুয়া শুধু একটা বার ফোনের দিকে তাকিয়েছে। তারপর সাথে সাথে মাথা নিচু করে নিয়েছে, ভুল করেও আর ফোনের দিকে তাকায় নি। তবে একবার তাকানোতেই বুঝতে পেরেছে যে কেউ একজন এক দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। আজকে এতদিন পর তুয়াকে দেখে প্রত্যয়ের মুখের কথা হারিয়ে গেছে!নিজেকে অনেক কষ্টে স্বাভাবিক করে প্রত্যয় আগে বললো,
–“ক.. কেমন আছিস তুয়া?”
–“ভাল আছি। আপনি কেমন আছেন ভাইয়া?” (মাথা নিচু করে)
–“হু হুমম ভাল আছি। তুই তো অনেক বড় হয়ে গেছিস! আর আগের সেই ছোট্ট তুয়া নেই।” (প্রত্যয় মুচকি হেসে)
–(তুয়া নিশ্চুপ)
–“পড়াশোনা কেমন হচ্ছে তোর?”
–“হুম ভালো।” (তুয়া)
–“তু…”
প্রত্যয় আর কিছু বলার আগেই তুয়া প্রত্যয়ের আম্মুর হাতে ফোন ধরিয়ে দিয়ে হনহন করে চলে গেলো! তুয়ার এমন কাজে প্রত্যয় খুব কষ্ট পেলো। তাও নিজেকে সামলে নিলো। যতটুকু সময় তুয়া ফোন ধরে ছিলো প্রত্যয় স্ক্রিনশট নিচ্ছিলো বাট তুয়া মাথা নিচু করে থাকার জন্য বুঝতেও পারলো না। প্রত্যয় আর একটু কথা বলতে চেয়েছিলো বাট তুয়া সেই সুযোগটা প্রত্যয়কে দিলো না। তারপরেও প্রত্যয় হাসি মুখে ওর বাবা মায়ের সাথে কথা বলা শেষ করে ফোন কেটে দিলো। তারপর ওর ফোনের গ্যালারিতে গিয়ে তুয়ার পিক গুলো দেখছে। সবুজ রং এর কামিজ পড়া এলোচুলের এক পাগলির ছবির দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো প্রত্যয়। এটা যেনো চাতক পাখির অনেক চাওয়ার পর অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ঝরে পড়া এক পশলা বৃষ্টি ।
তুয়ার রাগে মনে হচ্ছে এখন ওর পুরো শরীর জ্বলে যাচ্ছে। ও প্রত্যয়কে এখন কেন জানি আর সহ্যই করতে পারে না। তবে সে জানে না কিসের এত রাগ,কিসের এত বিরক্ততা। তুয়া ওর রুমে এসে দেখলো ওর ফোন বাজছে আর তিন্নিও রুমে নেই। তুয়া ফোন রিসিভ করলো,
–“আমার কলিজাটা কি করছে এখন?” (প্রিয়ম)
–“বসে আছি!তুমি কি করো?”
–“হসপিটাল থেকে বাসায় ফিরলাম। এখন বেডরুমে শুয়ে আছি।”
–“হসপিটালে কেন?” (জিজ্ঞাসু সুরে)
–“বাইক থেকে পড়ে গিয়ে হাতে ব্যাথা পেয়েছি।”
–“হাতে কি বেশি ব্যাথা পেয়েছো? এখন হাতের কি অবস্থা?”
–“তেমন কিছু হয়নি। পিচ ঢালা রাস্তা তো একটু ছিলে গেছে আর কি! এখন ঠিক আছি আমি।”
–“একটু সাবধানে চলতে কি খুব কষ্ট হয়? আর তুমি বাসায় ফিরলে কখন?”
–“ওখান থেকে ফেরার পথেই এমন হয়েছে। আর আমি কেবল ফিরলাম বাসায়। বাবা রে বাবা! ম্যাম আপাতত আপনার ইন্টারভিউ নেওয়া শেষ করেন প্লিজ।”
–“হুমম।”
–“তারপর বলেন, আপনার মন খারাপ কেন?” (প্রিয়ম)
–“আমার মন খারাপ তোমাকে কে বললো?”
–“কিছু কিছু কথা মুখে না বললেও কাছের কেউ ঠিকই বুঝতে পারে। হয়তোবা মনের বা আত্মার টান বলতে পারেন। তা আমার কলিজাটার মন খারাপ কেন শুনি?”
–“আরে সেরকম কিছু না এমনিতেই! তুমি মেডিসিন খেয়ে নিবে মনে করে! আর না হলে রাতে জ্বর আসতে পারে।” (তুয়া)
–“জি অবশ্যই টুপা রাণী।” (প্রিয়ম)
–“ওকে, আমি এখন রাখলাম; পরে কথা বলবো। ভাইয়া ডাকছে আমাকে।” (তুয়া)
–“ওকে যাও। এই এই পিচ্চি আর একটা কথা শোনো রে। (আদর মাখা সুরে)
–“জি, বলেন সাহেব।”
–“ভালবাসি! তোকে অনেক বেশি ভালবাসি রে পাগলি।” (প্রিয়ম ফিসফিস করে )
–“আমিও আপনাকে অনেক ভালবাসি সাহেব!” (তুয়া ফিসফিস করে)
–“হুম। এবার মনে হলো আমার কলিজাটা ঠান্ডা হলো।আহ্ কি শান্তি!” (প্রিয়ম)
–“হা হা হা! ফাজিল একটা।”
পরেরদিন সকালে_______
প্রত্যয় খুব সকালে উঠে নামাজ পড়ে হালকা ব্রেকফাস্ট করে হসপিটালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেছে। প্রত্যয় আর সাদ এখন একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকে। পৃথাও অন্য ফ্ল্যাটে থাকে। পৃথা প্রত্যয়দের সাথে থাকতে চেয়েছিলো কিন্তু প্রত্যয় রাজি হয় নি। কারণ দুইটা ব্যাচেলর ছেলের সাথে এক ফ্ল্যাটে থাকাটা প্রত্যয়ের ঠিক মনে হয়নি।যদিও এখানে এসব কোন ব্যাপার না, তারপরেও প্রত্যয় রাজি না। সাদ আর প্রত্যয়কে রান্না করে দেওয়া জন্য একজন কুক রাখা হয়েছে। উনি এসে রান্না করে দিয়ে যায়। আরেকজন এসে রুম পরিষ্কার করে। প্রত্যয় এখন যে হসপিটালের ডাক্তার, সেই হসপিটাল থেকে প্রত্যয়কে নতুন গাড়ি দিয়েছে। প্রত্যয় এখন সেই গাড়িতেই চলাফেরা করে।
প্রত্যয় রাস্তায় ড্রাইভ করছে হাই স্পিডে। কারণ এখানে প্রতিটা গাড়িই হাই স্পিডেই চলাচল করে। অবাক করা বিষয় হলো প্যারিসের রাস্তায় কোন ট্রাফিক সিগন্যাল নেই! তবে ২০১২ সালের মাত্র একটা স্থানে “stop” সিগন্যাল ছিলো! কিন্তু ওটাও এখন নেই, অনেক আগেই সেটা তুলে নেওয়া হয়েছে।
অতি দ্রুত গতিতে গাড়ি চলার পরেও এখানে ট্রাফিক সিগন্যাল রাখার প্রয়োজন হয়নি! এর মূল কারণ এখানকার রাস্তা গুলো যেমন পরিষ্কার তেমনি রাস্তা গুলো ব্যাপক প্রস্ততার। তবে প্যারিসের সবার একটা নিয়ম জানা যে, দুই রাস্তার সংযোগ স্থলে ক্রসিংয়ের সময় রাস্তার ডানদিকে থেকে যে আসে, সব সময় তার প্রাধান্য বেশি দেওয়া হয়! অর্থাৎ যে বামদিক থেকে আসবে তার যানবাহনের গতি কমিয়ে নিতে হবে। আর ডানদিকের যানবাহনটি কে যাওয়ার জন্য রাস্তা করে দিবে। এটাই এখানকার নিয়ম এবং এই নিয়ম মানতে সবাই বাধ্য।
অথচ আমাদের বাংলাদেশে হলে ড্রাইভের সাথে ড্রাইভারের গালাগালি, মারামারি, ফাটাফাটি তো আছেই। শেষ মুহূর্তে ট্রাফিক পুলিশ এসে দুজনের নামেই কেস টুকে দেয়। এবার যাও মাসে মাসে কোর্টে গিয়ে হাজিরা দিয়ে এসো! ব্যাস হয়ে গেলো বাংলাদেশের রাস্তার সমাধান।
সকাল বেলা প্রিয়ম জ্বরের শরীর নিয়ে নিচে নেমে এসেছে। রাত থেকে ওর খুব জ্বর, তবে এটা কেউ জানে না! তখন ওর বাবা মা ব্রেকফাস্ট করছিলো। প্রিয়ম সোফাতে বসে ওর আম্মুকে ডেকে বললো,
–“আম্মু আমাকে ঝাল ঝাল করে কিছু বানিয়ে দাও তো। আমার এসব খেতে ইচ্ছে করছে না।”
–“প্রিয়ম তুমি এখন বড় হয়েছো। খাবার নিয়ে এতো বাহানা তোমাকে মানায় না। আর দেখতে পারছো না আমি অফিসের জন্য বের হচ্ছি?” (আম্মু)
–“কিছু বানিয়ে দিতে যদি তোমার খুব কষ্ট হয় তো থাক, লাগবেনা।” (প্রিয়ম)
–“অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে এখন আমি রান্নাঘরে রান্না করবো? দিন দিন তোমার বুদ্ধি কি লোপ পাচ্ছে নাকি প্রিয়ম?” (বিরক্ত হয়ে ওর আম্মু)
–“সরি আম্মু। আমি ভুলে গিয়েছিলাম। আচ্ছা, যাও তুমি অফিসে যাও।”
–*হুম। ব্রেকফাস্ট করে নিও।” (আম্মু)
–“হুম। আচ্ছা আম্মু, কোনোদিন অফিস থেকে ফেরার পর যদি এসে দেখো যে আমি মারা গেছি। তখন কি তুমি কষ্ট পাবে? তোমার চোখ দিয়ে কি একফোঁটাও পানি ফেলার সময়টা হবে আম্মু?” (প্রিয়ম)
এই কথা শুনে প্রিয়মের আম্মু ও’কে কষে একটা থাপ্পর দিয়ে বলল,
–“মিডিল ক্লাস লোকজনের সাথে মিশে এসব ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করা কথা গুলো শিখেছো, তাই না? আমি মিডিল ক্লাস ঘরের বউ না যে, যারা সংসার সংসার করে সারাটা জীবন সেই সংসারের জন্য নিজের ইচ্ছে আর স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে বসে থাকবো।” (থাপ্পর দিয়ে)
এই কথাটা বলে প্রিয়মের আম্মু মনি সাফায়েত রেগে হনহন করতে করতে চলে গেলেন। আর প্রিয়ম ওর মুখের সেই ভুবন ভুলানো হাসিটা দিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ওর রুমে চলে গেলো। প্রিয়ম আবার গিয়ে বালিশে মুখ গুঁজে শুয়ে পড়লো। ওইদিকে তুয়া কালকে রাত থেকে প্রিয়মকে ফোন করেই যাচ্ছে। কিন্তু প্রিয়মের ফোনের চার্জ শেষ হওয়ার কারণে ফোনটা বন্ধ হয়ে বেডের এক কোণাতে পড়ে আছে। তুয়া আর আজকে কলেজে গেলো না। তিন্নি তো এখনো পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছে! ও ঘুমালে কেউ ওকে কিডন্যাপ করলেও সে বুঝতে পারবে না। তাই তুয়া আর তিন্নিকে ডাকলো না। বরং তুয়া রেডি হয়ে ওর আম্মুকে দরকারী কাজের কথা বলে বের হলো।
তুয়া প্রিয়মের বাসায় গিয়ে দেখে ওদের বাসার দুইজন বুয়া বসে বসে টিভিতে সিরিয়াল দেখছে। তুয়া ওদের দিকে একবার তাকিয়ে প্রিয়মের রুমে চলে গেল। প্রিয়ম উপুড় হয়ে শুয়ে আছে। তুয়া ওর ব্যাগটা রেখে প্রিয়মের শরীরে হাত দিতেই আঁতকে উঠলো। কারণ প্রিয়মের শরীর জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে! তুয়া তারাতাড়ি করে ওয়াশরুমে গিয়ে মগে পানি এনে রুমাল ভিজিয়ে প্রিয়মের কপালে দিয়ে রাখলো। তারপর প্রিয়মের শার্ট খুলে টাওয়াল ভিজিয়ে এনে প্রিয়মের শরীর মুছে দিলো।তুয়া কাজ গুলো করছে ঠিকই ব
কিন্তু ওর চোখের পানি ঝরতেই আছে! প্রিয়ম অনেক কষ্টে বেশ কয়েকবার চোখ খুলে কিছু বলার চেষ্টা করছে কিন্তু ওর কথা জড়িয়ে যাচ্ছে। প্রিয়মের এই অবস্থা দেখে তুয়া জান বের হবার উপক্রম! তুয়া প্রিয়মকে ঠিক করে শুইয়ে দিয়ে রান্না ঘরে গেল। তারপর কিছু একটা খাবার বানিয়ে প্রিয়মের রুমে এলো। রুমে এসে দেখে প্রিয়ম বমি করছে! কিন্তু পেট খালি তাই বমি আসছেনা।
তুয়া দৌড়ে গিয়ে প্রিয়মকে ধরে আর ওর মাথা চেপে ধরে। একটু পর তুয়া প্রিয়মের মুখ ধুয়ে দিয়ে একটু পানি খাওয়ালো। তারপর তুয়া অনেক কষ্টে প্রিয়মে খাইয়ে মেডিসিন খাইয়ে দিলো। প্রিয়মের চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। মনে হচ্ছে এক্ষুনি রক্ত গড়িয়ে পড়বে। তুয়ার কান্না দেখে প্রিয়ম অনেক কষ্টে ওর মুখে হাসির রেখা টেনে বললো,
–,ইসস রে! আমার পিচ্চি বউটার কান্না করে চোখ মুখের কি অবস্থা করছে? আ আম আমি ঠিক আছি তো সোনাপাখি। আর কাঁদিস না জান।” (জড়ানো কন্ঠে প্রিয়ম)
–“এ এই অবস্থাতেও বলছো ভাল আছো? তুমি কি মানুষ? আর তোমার গালে কি হয়েছে?” (তুয়া কেঁদে কেঁদে)
–“তোমার হবু শাশুড়ি উপহার দিয়েছে। তাই গাল লাল হয়ে আছে।” (মুচকি হেসে)
–“এতো জ্বর শরীরে তাও উনি তোমার গায়ে হাত তুললে পারলো? উনি কি আসলেই মানুষ?”
–“ওরে বাবা রে আমার বাঘিনী রেগে গেছে! তা এখন কি আপনি বিয়ের আগেই শাশুড়ির সাথে ঝগড়া শুরু করবেন নাকি, হুম?” (প্রিয়ম)
–“এতো জ্বর নিয়ে মজা না করলেই নয়, তাই না? তুমি নিজেও শান্তিতে থাকবা না! আর আমাকেও শান্তিতে থাকতে দিবা না, তাই না?”
–“এদিকে এসে আমার বুকের বা পাশে মাথা রাখেন। আর আমার বুকের জ্বলন্ত অগ্নি শিখাটা আপনার শীতল পরশে শীতল করে দেন।” (প্রিয়ম)
তুয়া প্রিয়মের কাছে এসে ওর বুকে একটা আদর দিলো।তারপর প্রিয়মের বুকে মাথা রাখলো। প্রিয়মও তুয়াকে ওর বুকের সাথে চেপে ধরলো। প্রিয়ম তুয়ার কপালে আদর দিতেই ওর চোখ থেকে পানি পড়লো তুয়ার মুখে।তুয়া মুখ তুলে তাকাতে গেলে প্রিয়ম তুয়াকে আরো শক্ত করে আবার বুকের সাথে জড়িয়ে নিলো। এই অশ্রু কাউকে দেখানো যাবে না! এই অশ্রু খুশির, কারণ কেউ তো আছে যে প্রিয়মের কষ্টে কষ্ট পায়! কেউ তো আছে প্রিয়মের পাশে। প্রিয়মের বড় পাওয়া তুয়া প্রিয়মকে পাগলের মতো ভালোবাসে।
To be continue…!!
(সত্যি বলতে আপনাদের উৎসাহ না পেলে, আমার একটা শব্দও লিখতে ইচ্ছে করে না!গল্পটা পড়ে আপনাদের অনুভূতিটা তো জানাতে পারেন তাই না?)