#হিংস্র_ভালোবাসা
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-২
.
.
.
.
মেঘ ছাড়ো আমাকে .. আমি তোমাকে সার্পোট করতে পারবো না তুমি যা করেছো তা অন্যায় ….আরহান চৌধুরী কথা শোনা মাত্র মেঘ আরহান চৌধুরী কে ছেড়ে দিয়ে আবার ফারহার হাত ধরে পাশে বসে পরে….
মেঘ এখুনি ফারহা মামুনি কে বাড়িতে পৌছে দেওয়ার ব্যাবস্তা করো ….
আরমান চৌধুরীর কথা শুনে মেঘের চোখ থেকে যেনো আগুন ঝরছে হুট করেই ফারহা কে কোলে তুলে নিলো মেঘ…..
কোথায় যাচ্ছো মেঘ ..??
মেঘ আরমান চৌধুরীর কথা না শুনে ফারহা কে কোলে নিয়ে বেরিয়ে গেলো……..
.
.
.
.
ফারহার বাবা ফারহা তো এখনো কলেজ থেকে ফিরলো না এদিকে পুলিশ এসেছিলো তদন্ত করতে ফারহা কে খুজছিলো……(মিসেস মোহনা)
কেনো এখানে কেনো তদন্ত করতে এসেছিলো ..?? আর ফারহা কে বা কেনো খুজছিলো..?? আমার বাড়িতে পুলিশ এসেছিলো কার পার্মিশনে …রেগে বলতে থাকলো
আরিফুল রহমান …..
এতো রেগে যাচ্ছো কেনো তুমি ..! এই না ভেবে ফারহা কেনো এখনো আসছে না তার খোজ নেও …মিসেস মোহনার কথা শুনে ফারহার বাবা রাগ টা কিছুটা দমন করে ফোন হাতে নিতেই আননোন নাম্বার থেকে একটা কল আসে রিসিব করে কানে ধরতেই হন্ত দন্ত হয়ে বেরিয়ে পরলেন মিসেস মোহনা ও আশিকের পিছু পিছু বার হয়ে গেলেন……
বস ওনারা আসছেন এখন আপনার এখানে না থাকাই ভালো আপনি চলুন আমার সাথে ..(আসলাম)
নো আসলাম আমি আমার জানপাখি কে এক মুহূর্তের জন্য ও একা ছাড়বো না আমি ওই পর্দার আড়ালে দারিয়ে থাকবো তুই বাইরে দারা …(মেঘ)
ওকে বস..মেঘের কথা মতো আসলাম হসপিটালের করিডরে এক কোনায় দারিয়ে রইল কিছুক্ষণ পর ফারহার বাবা মা আসতেই মেঘ কে মেসেজে সতর্ক করে দেয় আসলাম …….
এই যে বাবা ৫০৫ নাম্বার কেবিন টা কোন দিকে বলতে পারবেন …
জ্বি আঙ্কেল সামনেই ৫০৫ নম্বর কেবিন একটু এগিয়ে গেলে দেখতে পাবেন ….
ধন্যবাদ বাবা ….ফারহার বাবা মা কেবিনে ডুকতেই মেঘ পর্দার আড়ালে লুকিয়ে পরলো ততোক্ষনে ফারহা জ্ঞান ফিরে আসে …..
মা তোর এই অবস্তা কেনো আর তোকে এখানে কে নিয়ে আসলো ….(আশিক রহমান)
আমি শিওর ফারহার বাবা এটা হয়তো ওই পাগল টার কাজ ,,,,,মিসেস মোহনার কথা টা শুনে এক ধমক দিলেন ফারহার বাবা,,আহা কি হচ্ছে টা কি ফারহা মা তুমি এখানে কেনো এই সব বলছো থামো আমাকে কথা বলতে দেও …
মা তোমাকে কিচ্ছু বলতে হবে না তুমি সুস্থ হও তারপর বলবে ..
আমি বাবা কে কি করে বললো যে আমার অতিত আবার আমার সামনে এসে দারিয়েছে কি করে বলবো সেই হিংস্র ভালোবাসা যাকে ফেলে নতুন করে বাচতে চেয়েছিলাম সে আবার আমার জীবনে তার আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে …কথা গুলো ভাবতে ভাবতে চোখে কোনে পানি জমতে শুরু করেছে …….
ফারহার বাবা ডাক্তারের সাথে কথা বলে দেখো ফারহা কে কখন বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবো …??হ্যা তুমি বসো আমি ডাক্তারের সাথে কথা বলে আসছি…..
ফারহার বাবা কেবিন থেকে বেরোতে ফারহার নজর পরে পর্দার উপর খুব ভালো করে তাকাতেই ফারহা বুজতে পারলো কেউ একজন ওই পর্দার আড়ালে দারিয়ে আছে ঠিক তখনি কেবিনের সব আলো নিভে যায় ঘুট ঘুটে অন্ধকারে ফারহা বেড থেকে উঠে বসে তখনি আবার সব আলো জ্বলে উঠলো ……
এই সব কি হচ্ছে লোডসেডিং হচ্ছে তাও এই এতোবড় হসপিটালে ..(ফারহার মা)
আলো আসতেই ফারহা আবার পর্দার দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখলো ,,নাহ এখানে তো কেউ নেই তাহলে কি আমার মনের ভূল ..?? মা আমাকে এখানে কে নিয়ে আসলো ..?? আর তোমাদের খবর বা দিলো কে ..??
আমি তো জানি নারে মা তোর বাবার ফোনে হঠাৎ একটা কল আসে তারপরে কি রকম পাগলের মতো ছুটতে থাকে আমার সন্ধেহ হতেই আমি পিছু নি তারপর তোর বাবা এই হসপিটালে ডুকলো…….
ফারহার আর বুজতে বাকি নেই কাজ টা কে করেছে সোহেল ভাইয়ের মৃত্যু বলে দিচ্ছে সে ফিরে এসেছে তার হিংস্র ভালোবাসা নিয়ে ….
কি ভাবছিস মা ..??,,কিছু না মা তুমি বাবা কে বলো আমাকে এখান থেকে নিয়ে যেতে এখানে থাকতে আমার দম বন্ধ হয়ে আসে ….
তোর বাবা ডাক্তারের সাথে কথা বলতে গেলো মাত্র,,,,,
মা ..!!
কিছু বলবি ফারহা.(ফারহার মা )
মা আমার মনে হয় ও ,,বাকি টা বলার আগে কেবিনে ডক্টর কে সাথে নিয়ে ফারহার বাবা প্রবেশ করলো ডক্টর কে দেখে ফারহা জ্বিগাসা করলো…..
ডক্টর আমি আজ বাড়ি যেতে পারবো তো..??
অফকোর্স ইয়াং লেডি নাও ইউ আর এ্যাবসুলুটলি ফাইন আমি ডিসট্রাস পেপার রেডি করে দিয়েছি কিছুক্ষন পর সব ফর্মালিটি কম্পিলিট হলে যেতে পারবে……
.
.
.
.
.
.
একঘন্টা যাবত পুলিশের সামনে বসে আছি পুলিশ অফিসার কিছু জ্বিগাসা ও করছে না আর না আমি এখান থেকে উঠতে পারছি ,,,হসপিটাল থেকে বাড়িতে এসে দেখি পুলিশ আর সাথে চাচা চাচি বসে আছে আছে ,আসার পর থেকে তাদের সামনে বসিয়ে রাখা হয়েছে আমাকে অফিসার কিছু জ্বিগাসা করবে করবে করে ও করছে না আমার ইচ্ছে করছে এই পুলিশ গুলোর চুল গুলো টেনে ছিড়ে ফেলি বাট আনফরচুন্টেলি তা আমি করতে পারছি না ভিষন বিরক্ত লাগছে এবার অফিসার বলে উঠলাম ……
স্যার আপনি কি আমাকে কিছু জ্বিগাসা করবেন ..?না মানে আমি খুব ট্রায়াড …
ইয়েস মিসেস ..থামিয়ে দিয়ে ফারহা বললো..এক্সকিউজ মি স্যার আ’ ম নট এ্যা মিসেস …
সরি সরি মিস ফারহা আপনাকে হয়তো খুব বিরক্ত করছি কিন্তু কি করার বলেন এটা তো আমাদের কাজ …!
মানুষ কে অযথা বিরক্ত করা আপনাদের কাজের ভিতর পরে …(কপাল কুচকে জ্বিগাসা করলো ফারহা)
নো নো মিস আমি এটা বলছি না আমি …
থামুন অফিসার ,আপনি এখানে কেনো এসেছেন ..?এসেছেন আমার ছেলের খুনি কে সেটা বার করতে কিন্তু আপনি এখানে কি করছেন ..??(সোহেলের বাবা)
চাচা আপনার কি মনে হয় আমি সোহেল ভাইয়া কে খুন করেছি আর এখানে খুনের কথা আসছে কোথা থেকে ..??(ফারহা)
কারন আমার একমাত্র ছেলে খুন হয়েছে কাল তোদের বাড়ি থেকে বার হওয়ার পর থেকে ওকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না ….. (সোহেলের মা)
তাতে আমার দোষ টা কোথায় চাচি ..???
জানি না আমি কিচ্ছু জানি না আমি আমার ছেলের খুনির শাস্তি চাই সে যে হোক (ফারহার দিকে তাকিয়ে বললো )
আমি খুব ভালো করেই বুজতে পারছি চাচি আমাকে মিন করেই কথা গুলো বলছে ৷ নাহ এভাবে আর না কিছু একটা করতে হবে আমাকে………
.
.
.
.
.
.
বস এদের কি করবো..??তিন টা ছেলে কে দেখিয়ে বলল আসলাম….
ওদের দেখে বাকা হেসে মেঘ বলতে লাগলো…এগুলোর ব্যাবস্তা তো আমি নিজের হাতে করবো আসলাম আমার এস্পেশাল জিনিস গুলো কোথায়..??(মেঘ)
আসলাম একটা ট্রে করে কিছু হাতিয়ার নিয়ে আসে ধাড়লো হাতিয়ার ,,ছেলে গুলো মেঘে পা জরিয়ে ধরে বসে আছে তিন ঘন্টা যাবত বার বার ক্ষমা চাচ্ছে কিন্তু মেঘের কোন প্রকার হেলদোল খুজে পাওয়া যাচ্ছে না ওদের কথায় নিজের মতো করে প্রত্যেক টা হাতিয়ারে হাত বুলিয়ে যাচ্ছে.কিছুক্ষন পর মেঘ আসলাম কে বলে ওঠে..
আসলাম এখান থেকে একটা একটা ছেলে কে ওই রুমে পাঠাবে আমি যাচ্ছি ….
মেঘ পাশে হিম শীতল রুমে প্রবেশ করতেই আসলাম তিন টে ছেলের ভিতর একটি কে ঘাড় ধরে ওই রুমে নিয়ে আসে ছেলেটি রুমটা দেখে সাথে সাথেই বেহুস হয়ে পড়লো এটা দেখে মেঘ মুচকি হেসে আসলাম কে ইশারায় যেতে বললো………..
.
.
.
.
#চলবে………….🌵🌵🌵
(ভূলট্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আর ভালো না লাগলে প্লিজ ইগনোর করুন)