#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৮
.
.
🍁
ফাহাদ চৌধুরীর সামনে বসে আছে মেঘ হাতে এক ধারালো ছুড়ি যেটা দিয়ে ফারহা চৌধুরির গালে ছুড়ির কণা দিয়ে স্লাইট করে যাচ্ছে ৷ এদিকে ফাহাদের মুখ টেপ দিয়ে আটকানো বিধায় কোন কথা বলতে পারছে না কিন্তু চোখ দুটোই একরাশ ভয় এসে ধরা দিলো…….
— কি ভেবেছিলে মিস্টার ফাহাদ চৌধুরী আমার হাত থেকে বেচে যাবে .? (মুখের টেপ খুলে দিয়ে বললো মেঘ)
— মে,,মেঘ আ,,মায় ক্ষমা করে দে আ,,মি তো,,তোর চাচা হই….(ফাহাদ চৌধুরী )
— কি চাচা ,চাচা হোস চাচা হা হা হা ………..ফাহাদ চৌধুরীর কথাটা মেঘের কাছে জেনো জোকস মনে হলো শোনা মাত্র গা কাপিয়ে হাসতে লাগলো মেঘ ৷ হাসতে হাসতে মেঘ ধাড়ালো ছুড়ি টা ফাহাদ চৌধুরীর বা পায়ে গেথে দিলো সাথে সাথে ফাহাদ চৌধুরী বিকট চিৎকার দিয়ে উঠলো ..মেঘ বলে ……
“মেঘ দয়াকরে আমাকে ছেড়ে দে ৷ আমি তো,,তোর চাচা তোর বাবার মতো..”(ফাহাদ চৌধুরী )
ফাহাদের মুখে বাবা ডাক টা শুনে মেঘ যেনো রাগে আরো তেতে উঠলো ছুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি ফাহাদ চৌধুরীর দু পায়ে চালিয়ে যাচ্ছে মেঘ ৷ মেঘের এমন ভয়ঙ্কর রুপ দেখে জ্যাক এরিক ভয়ে কিছু বলছে না দুরে দারিয়ে মেঘের রাগ কমার অপেক্ষা করছে……
“জ্যাক আজ ফাহাদ চৌধুরীর মনে হয় শেষ দিন ৷যে ভাবে বস ছুড়ি চালিয়ে যাচ্ছে মনে হয় না আর বেশিক্ষন বাচঁবে বলে.”(এরিক)
” নো এরিক বস এতো তারাতারি ওকে মারবে না তিলে তিলে মারবে যতোক্ষন না বস তার সব প্রশ্নের উওর পায়”(জ্যাক)
” What শুধু মাত্র এই জন্য বস নিজের চাচা কে এভাবে টর্চার করছে..??”(এরিক)
” হুস আসতে বল বস যদি তোর এই কথা গুলো শুনতে পায় তাহলে তোকে জানে শেষ করে দিবে..”(জ্যাক)
জ্যাকের কথা শুনে অলরেডি এরিকের হাত পা কাপা শুরু হয়ে গেছে তা দেখে জ্যাক হাসি দিয়ে বলে উঠলো ” এরিক এভাবে না কেপেঁ তুমি জিয়াসের কাছে প্রে করো যেনো বসের মাথা যেনো ঠান্ডা হয়ে যায়..”
জ্যাকের কথা শুনে এরিক মাথা নারিয়ে সম্মতি জানিয়ে বির বির করে জিয়াসের কাছে প্রে করতে থাকে……
মেঘের ছুড়ি আঘাতে রক্তাক্ত হয়ে পরে আছে ফাহাদ চৌধুরী ৷ মেঘ ফাহাদের কাছ থেকে সরে আসতে দুজন গার্ড মেঘের হাত ধুয়ে দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসতে মেঘ হাতের ইশারায় থামিয়ে দিয়ে নিজে রক্ত মাখা হাত আর ছুড়ি ধুয়ে ফেলে…..
“জ্যাক এর ট্রিটমেণ্টের ব্যাবস্তা কর দেখিস যেনো না মরে তাহলে কিন্তু তোদের একটা কেও আমি ছাড়বো না …”(মেঘ)
” ই,,ইয়েস ব,বস “(এরিক)
” বস আপনার রেষ্টের জন্য হোটেলের রুম রেডি আছেআছে.”(জ্যাক)
” হোটেলে নয় জ্যাক আমি Newcastle বাড়িতে যাবো.”(মেঘ)
মেঘ বেরিয়ে গেলো তার Newcastle er আলিশান বাড়িতে যাওয়ার জন্য আর এদিকে জ্যাক এরিক ফাহাদ চৌধুরী কে নিয়ে হসপিটাল চলে যায় ট্রিটমেন্ট করানোর জন্য….
,
,
,
,
,
” ছাড়বো না আমি কিছু তেই ছাড়বো না ৷ আমার ফেবারিট কারের অবস্তা যে যে করেছে তাকে আমি ছাড়বো না” (আগুন)
আগুন রেগে লাল হয়ে পাইচারি করছে আর বির বির করে ফারহা কে বকা দিচ্ছে এর মধ্যে আগুনের ড্রাইবারের ফোন এলো ….
” হ্যালো হা হাফিজ বল গাড়িটা ক্লিন করা হয়েছে..??”(আগুন)
” না স্যার গাড়িটায় এমন ভাবে সুইংগাম লাগিয়েছে যে কোন ভাবে গাড়িটা ক্লিন করা সম্ভব না তাই গাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিছে..”(ড্রাইবার)
ড্রাইবারের কথা শুনে আগুনের রাগ যেনো লাভায় পরিনত হলো কারন গাড়ি টা আগুনের বাবা আগুনের বার্থডে তে গিফ্ট করেছিলো ৷ খুব পছন্দের ছিলো গাড়িটা কিন্তু এক দিনে গাড়িটার এমন অবস্তা হবে তা আগুন কল্পনায় ভাবতে পারে নি ৷ রাগে নিজের মাথার চুল ছিড়তে লাগলো আগুন…..
” ইউ এ্যাভ টু পে ফর দিস ফারহা আ’ম নট এস্পার ইউ..”.(রেগে বললো আগুন)
,
,
,
,
মেঘ তার নিজের বিশাল বহুল বাড়িতে এসে ওয়াসরুমে চলে যায় হট শাওয়ার নিতে ৷ দু ঘন্টা ধরে শাওয়ার নেওয়ার পর টাওয়াল পরে বের হয়ে মেঘ চেন্জ করে এ্যাস কালার ট্রাওজার আর ব্লু কালার টিশার্ট পরে নিয়ে হেয়ার ড্রাইয়ার দিয়ে চুল শুকাতে থাকে তখনি মেঘের ফোনটা বেজে উঠলো মেঘ ফোন হাতে নিয়ে দেখে *Aslam is calling …………
মেঘ বিরক্ত নিয়ে কল রিসিব করতে আসলাম বলতে লাগলো……
” হ্যালো বস আপনি ঠিক আছেন তো..??”(আসলাম)
” কেনো আমার কি কিছু হওয়ার ছিলো নাকি ” (দাতেঁ দাতঁ চেপে বললো মেঘ)
” না মানে বস ফাহাদ চৌধুরী আপনার কোন ক্ষতি করেনি তো এটা ভেবে কথাটা বলে ফেললাম”( আমতা আমতা করে বললো আসলাম)
” তোকে এই সব নিয়ে ভাবতে হবে না আসলাম ৷ আসা আগে তোকে যা বলেছিলাম তা কি করেছিস..??”(মেঘ)
” ইয়েস বস ম্যাম কে বাড়িতে ঢুকানোর আগে পুরো বাড়ির লোডসেডিং করে দিয়েছিলাম পাচঁ মিনিটের জন্য এর ভিতর ম্যাম কে ওনার রুমে দিয়ে আসি সাথে আপনার কথা মতো ছোট্ট স্পাই ক্যামেরা টা ও সাবধানে রুমের এক কোনে রেখে এসেছি আপনি চাইলে একবার চেক করে নিতে পারেন..”(আসলাম)
“হু নিবো ৷ “(মেঘ)
” বস আর একটা নিউজ আছে আশিকুর রহমানের স্ত্রী মোহনা আশিকুরের মতো রাতে বের হয়েছেন কিন্তু…বলতে যেয়েও থেমে গেলো আসলাম…”
” আসলাম ইউ নো কথা বলতে বলতে থেমে যাওয়া আমি পছন্দ করি না..”(রেগে বললো মেঘ)
“সরি বস আর হবে না ৷ বস এই মহিলা ও কেমন যেনো রহস্যময় সেদিনের মতো আজ ও ওনাকে মাঝরাস্তায় হারিয়ে ফেলেছি.”( ভয়ে ভয়ে বললো আসলাম)
” আমি কাল আসছি বি ডি তে ৷ তুই ওদের উপর নজর রাখ..”(মেঘ)
মেঘ কথা শেষ করেই কল ডিসকানেক্ট করে দিয়ে বেডের উপর ফোন টা ছুড়ে মেরে ল্যাপটপ নিয়ে ডিভানে বসে পরে সারবেন্ট কে ব্লাক কফির অর্ডার দেয় মেঘ…..
মেঘ ল্যাপটপে মেঘের মম ড্যাড মেহরিমা চৌধুরী আর মেহবুব চৌধুরীর ছবি দেখতে থাকে ৷ মেঘ আনমনে মেহরিমা আর মেহবুব চৌধুরীর ছবির সাথে কথা বলতে থাকে ….
” মম ড্যাড তোমাদের যারা নিজের সার্থের জন্য খুন করেছে তাদের আমি এক এক জন কে খুজে বের করে ভয়ঙ্কর শাস্তি দিবো ৷ তাদের এমন অবস্তা করবো যে আল্লাহর কাছে মৃত্যুর দোয়া করবে কিন্তু তাও ওদের কপালে মৃত্যু জোটবে না৷ ইউ নো মম তোমার স্নেহ ভালোবাসা থেকে যারা আমাকে আর ছোট্ট বোন টাকে বন্চিত করেছে তাদের কেও তাদের ছেলে মেয়েদের থেকে আলাদা করে দিবো ৷ একটু একটু করে শেষ করে দিবো ওদের জীবন ৷ ”
মেঘ ওর ছোট বোন মিহু কে কোথায় রেখেছে তা একমাত্র মেঘ জানে পৃথিবীর আর দ্বিতীয় কোন ব্যাক্তি জানে না মিহু কোথায় কার সাথে আছে ৷
মেঘ কফি হাতে ল্যাপটপে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ৷ ক্যামেরা এমন ভাবে সেট করা হয়েছে যে ফারহার পুরো রুম টাই ক্যামেরায় ধারন করছে ৷ ফারহা ওর টেডি বিয়ার জরিয়ে ধরে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে পরনে সাদা গেন্জি লাল প্লাজু ৷ প্লাজু হাটু পর্যন্ত উঠে ফর্সা পা দেখা যাচ্ছে ৷ মেঘ সাথে সাথে চোখ সরিয়ে নিয়ে ফারহার মুখের উপর দৃষ্টি দিতে দেখে ফারহার ঘুমন্ত মুখের উপর ছোট ছোট বেবি হেহার গুলো এলোমেলো ভাবে মুখের উপর ছড়িয়ে আছে মেঘের ইচ্ছে করছে এই মূহর্তে ফারহার মুখের উপর থেকে বেবি হেয়ার গুলো সরিয়ে দিয়ে প্রয়শীর মুখটা দেখতে ছুয়ে দিতে ৷ এতো গুলো বছরের জমানো ভালোবাসা সব উজার করে দিতে ইচ্ছে করছে মেঘের ৷ কিন্তু তা এখন সম্ভব নয় বিধায় মেঘ সারা দিন ফারহার ঘুমন্ত মুখ দেখে কাটিয়ে দিলো ………
,
,
,
,
**পরের দিন…………
“মামুনিইইইই আমি কলেজ যাচ্ছি ” (চিৎকার করে)
” ফারহা নাস্তা করে যাও “(মামুনি)
” নাহ মামুনি হাতে একদম সময় নেই আজ চিপকুর ফার্স্ট ক্লাস দেরি করে গেলে হারি খাটে আমার মাথা কাটবে সবার সামনে আর যা কাল করেছি চিপকুর গাড়ির সাথে যদি তা জানতে পারে তাহলে তো আমাকে ওখানে মে বি মাডার্র করে ফেলবে” …(বির বির করে )
” কিহ সব বির বির করছি ফারহা ৷ নাস্তা করে যা নয়তো প্যাক করে দিচ্ছি ক্যানটিনে যেয়ে খেয়ে নিস..”(মামুনি)
” ওকে মামুনি তাই করো”
ফারহা বাড়ি থেকে বের হতে দেখে সামনে একটা রিকসা দারিয়ে আছে ৷
“বাহ আজ কার মুখ দেখে ঘুম থেকে উঠেছি সক্কাল সক্কাল রিকসাওয়ালা মামা হাজির যাকগে মুখতো সক্কাল বেলা আমার টাই দেখেছি ইসস আমি কি লাকি ভাবা যায়..”
ফারহা নিজের মনে বক বক করতে করতে রিকসাওয়ালার কাছে এসে দারালো….
” মামা যাবেন তো ..”(ফারহা)
” হো আফা জামু”
“এই ফারু টা আসছে না কেনো তিন্নি তুই জানিস কিছু..??”(ইভা )
” নাহ রে আমি তো ভাবলাম আমার দেরি হয়ে গেছে কলেজে আসতে তাই তারাহুরা করে চলে এসেছি ফারুর কথা একদম মাথায় ছিলো না”(তিন্নি)
” ওহ তাহলে ওকে কল দিয়ে দেখি “(ইভা)
ইভা ফোন হাতে ফারহা কে কল দিবে ঠিক তখনি ফারহা রিকসা এসে ওদের সামনে দারায়…..
” শালির ঘরের শালি তুই আমাকে না নিয়ে একা চলে এসেছিস কেনো..?? “😤😤(ফারহা)
” বেবি আমি ভাবলাম আমার লেট হয়ে গেছে তাই আর তোদের বাড়ি যাই নি.”(তিন্নি)
” ফারু কথা কম বলে রিকসা থেকে নাম আজ আগুন স্যারের ফাস্ট ক্লাস মনে আছে তো..??”(আফিফ)
” থাকবে না মানে খুব মনে আছে তাই তো আমার সাধের ঘুম টাকে কোরবানি দিয়ে এখানে এলাম..”😒(ফারহা)
রিকসা থেকে নেমে ভারা দিয়ে ফারহা আর ওর বন্ধুরা সবাই ক্লাসে যাওয়ার জন্য টিচারস রুমের সামনে দিয়ে যেতে যা দেখলো তা দেখে ফারহা সহ তিন্নি আফিফ ইভা রাব্বি হাসান ভয়ে থর থর করে কাপছেঁ ………….
*
,
*
,
#চলবে……………….🍁