#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৩৩
.
🍁
.
ফারহা তিন্নি গাড়ি ছাড়াই বেরিয়ে পরে …কাউ কে কিছু না বলে … বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা দুরে যেতেই হঠাৎ করে ফারহা তিন্নির সামনে একটা মাইক্রো থেমে বেশ কিছু মুখোশ পরা লোক হাতে বড় বড় ছুড়ি গান নিয়ে বেরিয়ে আসে …..লোক গুলো ফারহার দিকে এগোতে নিলে ফারহা তিন্নি ভয় পেয়ে দৌড়ে পালাতে নিলে রাস্তায় হোচট খেয়ে পরে যায় ফারহা…..হুট করে ফায়ারিংয়ের শব্দ পেয়ে ফারহা অতি কষ্টে মাথা তুলে পিছুনে তাকিয়ে দেখে মেঘ …হ্যা ওর মেঘ হাতে ইয়া বড় ধারালো ছুড়ি ,,,,ছুড়িটা ঘেষে রক্ত বেয়ে পরছে আর ঠিক তার সামনে পাচঁ জন মুখোশ পরা লোক গুলোর নিথর গলা কাটা লাস পরে আছে…… ফারহা আর কিছু দেখতে পেল না তার আগে জ্ঞান হারালো……….
.
.
.
.
.
অপারেশন থিয়েটারের সামনে পাগলের মতো বিহেব করছে মেঘ কিছুক্ষন পর পর মেঘ থিয়েটারের সামনে গিয়ে দরজার কাচ দিয়ে ফারহা কে দেখার চেষ্টা করে যাচ্ছে যখনি তা সম্ভব নয় সবুজ রংয়ের পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া সব টা তখনি মেঘ অপারেশন থিয়েটারে ঢোকার চেষ্টা করে…. …. আদিল আফিফ ইভা আসলাম কেউ মেঘ কে শান্ত করতে পারছে না…. তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছে …….
—” বস প্লিজ নিজেকে সামলান .. বনুর কিচ্ছু হবে ট্রাস্ট মি বনু একদম ঠিক হয়ে যাবে…”(আসলাম)
আসলামের কথা শুনে মেঘ আসলাম কে জরিয়ে ধরে হু হু করে কেদে ওঠে…মেঘ কে এভাবে বাচ্চাদের মতো কাঁদতে দেখে আসলাম সহ বাকিরা হত বাক……
—” বস কাঁদছে ?? যার চোখে আগুন আর হিংস্রতা ছাড়া কখনো অন্য কিছু দেখি নি আজ তার চোখে পানি…???”(মনে মনে বললো আসলাম)
—” আসলাম আমার প্রেয়শী ঠিক হয়ে যাবে তো ?… ছেড়ে মম ড্যাডের মতো আমাকে ও একা রেখে চলে যাবে না তো..??? আমি বড্ড একা হয়ে যাবো আসলাম বড্ড একা ,,”,বলতে বলতে আবার কাদঁতে লাগলো মেঘ…..মেঘের কষ্ট ওর কান্না দেখে আফিফ ইভা আদিলের চোখ ভোরে এলো……
—” জিজু আপু কে এতোটা ভালোবাসে !! সত্যি আমার আপুটা বড় ভাগ্যবতী এমন একটা স্বামী পেয়ে….”(আদিল)
—” ঠিক বলেছিস আদিল ,,,,আমাদের ফারু বড় ভাগ্যবতী ,দেখিস ওর কিচ্ছু হবে না ,,, আল্লাহ্ ঠিকি ওকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দিবে …”(ইভা)
—” ইনশাআল্লাহ্ ফারুর কিছু হবে না কিন্তু আমরা এখানে সবাই আছি তিন্নি নেই কেন..?? আর ফারহার এক্সিডেন্ট টা কি করে হলো..???”(আফিফ)
মেঘের কানে তিন্নি নাম টা যেন এক মুহূর্তের জন্য বিষের মতো লাগলো ,,,আসলাম কে ছেড়ে দিয়ে আগুন চোখে আসলামের দিকে তাকাতে আসলাম বলে…….
—” বস মেয়েটা কে আটকে রাখা হয়েছে … আপনার পরবর্তী নির্দেশ অনুযায়ী ওর ব্যাবস্তা নেওয়া হবে…”(আসলাম)
আসলামের কথা শুনে আফিফ আদিল ইভা হতবাক … কি বলছে আসলাম তিন্নি কে আটকে রাখা হয়েছে কিন্তু কেন..?? সবার মনে একি প্রশ্ন উকি মারছে কিন্তু মেঘ কে সাহস করে কিছু জ্বিগাসা করতে পারছে না…. আদিল সাহস করে মেঘ কে প্রশ্ন করে …..
—“জিজু আপুর এক্সিডেন্ট টা কি করে হলো আমরা তো সবাই বাড়িতে যে যার রুমে ছিলাম আপু কখন বের হলো সেটা তো আমরা কেউ টের পাই নি…!!”(আদিল)
—” আমি বলছি আদিল… তোমরা সবাই ব্রেকফাস্ট করে যখন যে যার রুমে যাও রেস্ট করা জন্য ঠিক তার আগে তোমাদের ফ্রেন্ড তিন্নি তোমাদের আগে রুমে চলে যায় রাইট..? “(আসলাম)
—” একদম ,, আমাদের সামনে থেকে তো উঠে চলে গেল শরীল খারাপ লাগছে বলে ..তো??”(আফিফ)
—” একজেকলি আফিফ , তিন্নি রুমে চলে যায় তার কিছুক্ষন পর বনুকে বস রুমে রেখে আসে ..বস চলে যাওয়ার পর তিন্নি রুমে আসে… তিন্নি জানায় ওর নাকি মাইগ্রেনের ব্যাথাটা বারছে মেডেসিন দরকার ,তোমরা কেউ বাড়িতে নেই ,,,,তাই বনু কে নিয়ে মেডিকেল শপে যাওয়ার কথা বলে … বনু রাজি হয়ে যায় কারন ও জানে তিন্নির মাইগ্রেনের ব্যাথাটা বারলে কতোটা শরীল কতোটা খারাপ হয়ে যায়….তিন্নি বনু কে নিয়ে বাড়ির গাড়ি না নিয়ে বেরিয়ে যায় … কিছুদুর যেতেই একটা মাইক্রো করে কিছু লোক বনু কে এট্যাক করে …তখনি বনু নিজেকে বাচাঁতে দৌড়ানোর সময় রাস্তায় হোচট খেয়ে একটা বড় পাথরের সাথে মাথায় আঘাত লাগে…..”
—” ওয়ান সেকেন্ড আসলাম ভাই ,,, তিন্নি এতো গুলো মিথ্যে কেন বললো যে আমরা কেউ বাড়িতে নেই আমরা তো সবাই বাড়িতে ছিলাম … আর আপনি যে বলছেন লোক গুলো ফারু কে এট্যাক করে কিন্তু সেখানে তো তিন্নি ও ছিল ওকে কেন এট্যাক করলো না….??”(আফিফ)
—” তিন্নি বলবে কেন ওকে এট্যাক না করে বনু কে করল আর কেনই বা মিথ্যে বলে বনু কে বাড়ি থেকে বের করে আনলো….”(আসলাম)
—” কিন্তু আপনারা এতো কিছু কি করে জানলেন..??”(আদিল)
—“কারন বাড়ির প্রত্যেকটা রুমে প্রত্যেকটা কোনায় কোনায় সি সি ক্যামেরা লাগানো আছে আদিল ,,,তোমাদের প্রত্যেকটা মুভ মেন্ট আমরা বাইরে থেকে ও দেখতে পাই ….”(আসলাম)
আসলামের কথা শুনে প্রত্যেকের মনে হাজার ও প্রশ্ন উকি মারছে ,,,, “কেন তিন্নি এমন টা করলো ও তো ফারহার বেস্টফ্রেন্ড তাহলে…???”
– হঠাৎ করে মেঘের ফোনটা বেজে ওঠে ,,, মেঘ না চাইতেও কল টা রিসিব করে কানে ধরতে ফোনের ওপাশ থেকে যা বললো তা শুনে মেঘের রাগে সারা শরীল কাঁপতে থাকে ,,,, চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে গেছে ,,,, রাগের মাথা হাতের ফোন টা আচাড় মেরে ভেঙে ফেলে মেঘ বলে “আই ওোন্ট স্পেয়ার ইউ ,,ছাড়বো না তোকে আমি ,,কঠিন মৃত্যু দিবো আমি তোকে ……. আচমকা মেঘের এমন রাগ দেখে আফিফ আসলাম ইভা আদিলের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ ফুটে উঠল ……আসলাম ধিরে ধিরে মেঘের পাশে গিয়ে দারালো…. মেঘের কাছে কিছু জানতে চাই তেও ভয় হচ্ছে আসলামের …. তারপর ও কিছু বলতে যায় মেঘ কে আসলাম কিন্তু তার আগে অপারেশন থিয়েটারের লাইট অফ হয়ে যায়……
—” জিজু অপারেশন শেষ..”(ইভা)
ইভার কথা শুনে মেঘ দ্রুত দরজার সামনে গিয়ে দারাতে ডক্টর বেরিয়ে আসে……
—” ডক্টর আমার ওয়াইফ এখন কেমন আছে ..?? ও ঠিক আছে তো ..?? ওর কিছু হয়নি তো..??”…পাগলের মতো একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকে ডক্টর কে মেঘ…..
—-“কাম ডাউন মিস্টার চৌধুরী ,, অপারেশন ইটস সাকসেসফুল ,, মিসেস চৌধুরী কে কিছুক্ষণ পর জেনারেল বেডে দেওয়া হবে বাট মিস্টার চৌধুরী ….!!”(ডক্টর)
অপারেশন সাকসেস ফুলি হয়েছে শুনে মেঘের মুখে হাসি ফুটে উঠলে ও ডক্টরের কিন্তু বলাতে মেঘের মনে ভয়ে ধুক ধুক করছে….
—” কিন্তু কি ডক্টর??বলুন প্লিজ…???”(মেঘ)
বাকিরা উৎসক হয়ে আছে ডক্টরের কথা শোনার জন্য……
—” বাট সরি টু সে মিস্টার চৌধুরী ,,মিসেস চৌধুরীর মাথার আঘাত টা এতোটাই গভীর ছিলো যে ,,, মিসেস চৌধুরীর স্বৃতি শক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে তবে তা ফিফটি ফিফটি চান্স আছে … বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা……”(ডক্টর)
ডক্টরের কথা শুনে মেঘ ডক্টরের গলা চেপে ধরে . …. মেঘ ভাবতে পারছে না ,,,তার প্রেয়শী তাকে চিনতে পারবে না ,,,, তাকে আর ভালোবাসবে না…পরক্ষনে মেঘের চোখ মুখ আরো ভয়ঙ্কর হতে লাগলো … আসলাম মেঘের হাত থেকে ডক্টর কে ছাড়িয়ে ডক্টরের কাছে জানতে চাইলো ফারহার জ্ঞান কখন ফিরবে…..???
—” দেখুন মিস্টার সার্জারি টা যেহেতু মটে ও সহজ ছিল না .. আর মিসেস চৌধুরীর উপর বেশ ধকল গিয়েছে আশা করি চব্বিশ ঘন্টার ভিতর জ্ঞান ফিরে আসবে……”(ডক্টর)
—-” Thanks ডক্টর ……আর প্লিজ ওনার হয়ে আমি আপনার কাছে সরি বলছি বুজতে পারছেন তো”(আসলাম)
—” Thanks দেওয়ার কিছু নেই আর হ্যা আমি কিছু মনে করেনি .. ওনার মনের অবস্তা টা আমি বুজতে পারছি….”(ডক্টর)
.
.
🍁
.
.
—” ওহ শীর্ট কি করেছিস তোরা ..?? একটি সামান্য মেয়ে কে মারতে পারলি না .!!এই নাকি তোরা গুন্ডা ছিঃ…”(ফাহিম)
—” দেহেন স্যার আপনার কাজ করতে যাইয়া আমার তিন জন লোক মরছে আর আপনে কারে মারার লেইগ্গা আমাদের পাঠাইছেন তা কি আপনে জানেন ?? এখন আমরা ক্যামনে বাচুম হেই চিন্তা করতাছি আর আপনে আছেন আপনার কাম নিয়া…”( জগ্গু)
—” যাই হোক এই নে এখানে পাঁচ লক্ষ টাকা আছে এটা নিয়ে যতো তারাতারি সম্ভব এই শহর ছেড়ে অন্য কোথাও গা ঢাকা দে…”(ফাহিম)
—” হো স্যার হেইডাই করুন লাগবো নয়তো উনি আমারে ছাড়বো না এক্কালে জানে শেষ করে দেবে…”(জগ্গু)
—” কথা কম বলে যা বললাম তাই কর..”(ফাহিম)
জগ্গু টাকা গুলো নিয়ে চৌধুরী ম্যানশন থেকে বার হতেই একটা গাড়ি এসে জগ্গু কে তুলে নিয়ে গেল…..
—” ভাই এই সব কি তুই ফারহা কে মারার জন্য লোক লাগিয়ে ছিলি…”(মোহনা)
—” হুম …”
—” আর ইউ ম্যাড ভাই.?? তুই জানিস না ফারহার যদি কিছু হয়ে যায় তাহলে ওর সমস্থ সম্পত্তি ট্রাস্টে চলে যাবে …???”(মোহনা)
—” ওয়াট!!! কি বলছিস কি তুই ??”(অবাক হয়ে বললো ফাহিম)
—” ইয়েস ,,, ফারুক খান স্পষ্ট ভাষায় উইল করে গেছেন ..ফারহার ২২ বছর পূর্ন হলে সব সম্পত্তি ওর নামে হয়ে যাবে আর তার আগে যদি ফারহা মারা যায় বা তার প্রান নাশের আশঙ্কা থাকে তাহলে সরকার নিজ দ্বায়িত্বে সব সম্পত্তি ট্রাস্টে দিয়ে দিবে …..”(মোহনা)
—” ওহ নো এটা আমাকে আগে জানাবি তো …!!”উইল টা কোথায়..??”(ফাহিম)
—” উইলটা তো আশিকের কাছে ভাই…”(মোহনা)
—” ওয়াট দ্যা হেল ,,এখন কি হবে উইল টা ছাড়া আমি কিছুই করতে পারবো না মোহনা”(ফাহিম)
—” তাহলে আশিক কে যে করে হোক মেঘের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে আনো ভাই…”(মোহনা)
—” হুম এখন তো দেখছি তাই করতে হবে…”(ফাহিম)
.
.
🍁
.
.
ফারহার হাত ধরে মেঘ বসে আছে … এই চব্বিশ ঘন্টায় এক মিনিটের জন্য ও মেঘ ফারহার হাত ছাড়ে নি …সারাক্ষন ফারহার হাত ধরে বসে ছিল…….. আসলাম আদিল অনেক চেষ্টা করেও একচুল নড়াতে পরে নি মেঘ কে….. মেঘ ফারহার হাতে ধরে একদৃষ্টেতে ফারহার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল মেঘ হঠাৎ করে মেঘ ফিল করে ফারহার হাতের আঙ্গুল গুলো নড়ছে মেঘ আর একটু শিওর হওয়ার জন্য হাতের দিকে তাকাতে দেখে সত্যি ফারহার হাত নরছে…. খুশিতে মেঘের চোখে পানি টলমল করতে লাগলো…. ফারহা ধিরে ধিরে চোখ মেলে ঝাপসা চোখে মেঘ কে দেখতে পায়……
—” চোখ মেলে তাকাতে দেখি আমার রাক্ষস বর টা আমার হাত ধরে বসে আছে … মাথায় প্রচন্ড যন্ত্রনা হচ্ছে সব কিছু যেন ধোয়াশা ধোয়াশা লাগছে….. ফারহা আবার জ্ঞান হারায়… মেঘ ফারহা কে আবার জ্ঞান হারাতে দেখে পাগলের মতো চেচিয়ে ডক্টর কে ডাকতে থাকে … মেঘের চিৎকার শুনে ডক্টর রা দ্রুত কেবিনে এসে ফারহাকে চেকয়াপ করতে লাগলো ……
—” ওয়াট’স হেপেন্ড ডক্টর আমার প্রেয়শী আবার কেন জ্ঞান হারালো ..???”(রাগি গলায়)
—” মিস্টার চৌধুরী প্লিজ কাম ডাউন ,,সি ইজ ওকে ,, বাট ভিষন দূর্বল যার কারনে জ্ঞান হারিয়েছে … টেনশন করার কিছুই নেই….আমি এখুনি একটা ইনজেকশন ইনজেক্ট করে দিচ্ছি দু মিনিটে মিসেস চৌধুরীর জ্ঞান ফিরে আসবে……. “(ডক্টর)
ডক্টর ফারহার হাতে ইনজেকশন দিয়ে দেওয়ার দু মিনিট পর ফারহার আবার জ্ঞান ফিরে আসলো…….
—” চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি আমার চারিপাশে আদিল ইভা আফিফ আসলাম ভাই ঘিরে আছে … হাতে তরল জাতীয় কিছু টের পেতে পাশে তাকিয়ে দেখি আমার রাক্ষস বর ,,,উস্কসুস্ক চুল ,, মুখ টা কেমন ফ্যাকাশে হয়ে আছে ,, চোখ জোড়া রক্ত জবার মতো লাল হয়ে ফুলে আছে … গায়ের শার্ট টা রক্ত লেগে কুচকে আছে … মুখে অক্সিজেন মার্কস থাকায় কিছু বলতে পারছি না…. হাত দিয়ে মুখে লাগানো অক্সিজেন মার্কস টা খুলে ফেললাম … সাথে সাথে রাক্ষস টা চেচিয়ে উঠল……
—” কি করছো কি প্রেয়শী অক্সিজেন মার্কস খুলছো কেন..?? তোমার কষ্ট হবে তো…??”(উত্তিজিত হয়ে বললো মেঘ)
—” মেঘ শান্ত হও আমার কোন কষ্ট হচ্ছে না কিন্তু আমি এখানে কি করছি আর তোমার চোখ মুখের এই অবস্তা কেন…??”(ফারহা)
—” কি বলছিস কি ফারু তোর এক্সিডেন্টের কথা কিছু মনে নেই …?? দেখ কাল তোর এক্সিডেন্টের পর থেকে জিজু পাগলের মতো করছিল দাতে একটা দানা ও কাটে নি আর না ফ্রেস হয়েছে ..গতকাল থেকে তোর হাত ধরে এখানে বসে ছিল… “(ইভা)
— “আমি অবাক হয়ে ইভার কথা শুনছি ,,একটা মানুষ সত্যি আর একটা মানুষ কে এতোটা ভালোবাসতে পারে বলে আমার জানা ছিলো না …” ঝাপিয়ে পরলাম আমার রাক্ষস বরটার বুকের উপর ..কারন এই একটা মাত্র যায়গাই হলো আমার একমাত্র সেইফজন…. ”
মেঘের বুকে চুমু দিয়ে ফারহা শক্ত করে জরিয়ে ধরে … আফিফ ইভা আদিল আসলাম মেঘ কে জরিয়ে ধরতে দেখে ওরা নিরবে কেবিন থেকে বেরিয়ে যায়……
মেঘ ফারহা কে বুকে পেয়ে যেন একটা সমুদ্র পরিমান পিপাশা মিটে গেল … ফারহা কে বুকে থেকে তুলে সারা মুখে চুমুর বর্ষন দিতে লাগলো মেঘ যেন কতো বছরের পিপাসা মিটাতে ব্যাস্ত মেঘ …. হঠাৎ করে ফারহা কে ছেড়ে দিয়ে মেঘ বসা থেকে উঠে দারিয়ে দরজার কাছে এসে দেয়ালে ঘুশি মারে …. মেঘের হঠাৎ এমন আচরনে ফারহা চমকে যায় ,,, ফারহা হাতের ক্যানেলা খুলে বেড থেকে নামতে যায় তখনি মেঘ সামনে তাকিয়ে বলে উঠলো …………………..
.
.
.
.
#চলবে ………………. 🍁