হিংস্র_ভালোবাসা🌹 #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৩৮

0
675

#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৩৮
.
🍂
.
—” নো মোর ওয়ার্ডস ,,, যা বললাম তাই করবে তোমরা … জ্যাক সবাইকে পৌছে দিয়ে আসবে ..ওকে”

মেঘের মুখের উপর কথা বলার সাহস ইভা বার অন্য কারোর নেই বিধায় মাথা নেরে সম্মতি দিল…..মেঘ আর এক মুহূর্তের জন্য দারিয়ে চোখে সানগ্লাস পরে বেরিয়ে গেল গাড়ি নিয়ে…..মেঘ গাড়ি নিয়ে বের হবার পর পর সামিরার কানে পৌছে গেল খবর টা সামিরা তার লোক জন নিয়ে বেরিয়ে পরলো মেঘ কে শেষ করার টার্গেট নিয়ে… …… মেঘ ওর গাড়ি নিজেই ড্রাইব করে শহরের শেষ সীমানায় পৌছাতেই হঠাৎ করে তিনটা গাড়ি থেকে অনবরত গান ফায়ার করতে থাকে … হঠাৎ এতোদিন পর এমন আক্রমনে মেঘ কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে ও নিজেকে সামলে নেয় মেঘ ,,, গাড়ি থামাতে পিছুনের তিনটা গাড়ি থেমে যায় ,,,,গাড়ি থেকে থেকে কালো মুখোশ পরা লোক বেরিয়ে এসে মেঘের উপর গান ফায়ার করতে থাকে … মেঘের গার্ডরা গাড়ি নিয়ে কিছুটা পিছিয়ে পরায় মেঘ কে একাই লরাই করে যেতে হচ্ছে ….. মেঘ তার গাড়ি কে আড়াল করে একের পর এক শুট করতে থাকে কালো মুখোশ পরা লোক গুলোর উপর …. মেঘ একাই অর্ধেক শত্রু কে মেরে ফেলে কিন্তু তার কিছুক্ষন পর আরো গাড়ি আসে মেঘ খেয়াল করে দেখলো প্রত্যেকটা গাড়িতে SK সিম্বল টাই দেওয়া … মেঘের বুজতে আর বাকি রইল না কারা ওর উপর হামলা করছে ফাইভস্টার গ্রপ …. মেঘ যেন ডাবল স্পিডে গান চালাতে লাগলো …ততোক্ষনে মেঘের একদল গার্ড এসে মেঘ কে পাশ থেকে সার্পোট করতে লাগলো …… মেঘ অলমোস্ট সব শত্রুরা মেঘের হাতে প্রান হারায় কিন্তু তারপর ও SK গ্রপ থেমে থাকেনি পাল্টা জবাব দিচ্ছে মেঘের সব গার্ডের শেষ করে দিয়ে…. মেঘ ওর আসে পাশে তাকিয়ে দেখে আসলাম মেঘ কে যতোটা সম্ভব পাশ থেকে সার্পোট করতে লাগলো কিন্তু আসলাম দুর থেকে খেয়াল করলো হুডিয়ালা রেড কালার কোট প্যান্ট হাতে গান দুর থেকে বোঝা যাচ্ছে না এটা মেয়ে নাকি ছেলে?? আসলাম দেখলো দুর থেকেই মেঘের দিকে গান তাক করে শুট করে দিলো … আসলাম মেঘের সামনে গিয়ে দারাতে গুলিটা আসলামের পেটে লাগে … আসলাম মেঘের কোলে ঢোলে পরে …. আসলামের এমন কাজ দেখে মেঘ রেগে যায় ……

—” ওয়াট দ্যা হেল ,,, কেন করলি আসলাম আমাকে বাচাঁতে গিয়ে তোর গায় গুলিটা লাগলো ,,কেন করলি হুয়াই…??”

মেঘ চিৎকার করে ওঠে মেঘের ভয়ঙ্কর চিৎকার শুনে এক সেকেন্ডের জন্য সবাই থমকে যায় কিন্তু যখনি মেঘের হাতে কোন অস্র দেখলো না তখনি SK গ্রপ নিজেদের গান নিয়ে মেঘ কে ঘিরে ধরলো …. আসলাম চোখ বুজতেই মেঘের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো .. মেঘ দুই হাতে দুটো গান নিয়ে হঠাৎ করে SK গ্রপে বৃষ্টির মতো গুলি করতে থাকে … SK সামনের সব লোক মারা গেল তখন একদল মেঘের পিছুন থেকে মেঘ কে শুট করতে যাবে তখনি একটা ব্লাক কার ফুল স্পিডে হাওয়ার গতিতে এসে ফায়ারিং করতে থাকে … এভাবে কেউ এট্যাক করতে পারে বলে SK কোন ধারনা না ছিলো না কিছুক্ষণের জন্য SK ভয় পেয়ে গেল … ইভেন Sk গ্রপের বাকি লোকজন ও অবাক হয়ে গেল … সেই সুযোগে সেই ব্লাক কার থেকে নেমে আসে কালো হুডিয়ালা জেকেট পরা কেউ …দুর থেকে শুট করতে করতে মেঘের পাশে এসে দারায় …. মেঘ হুডির ভিতরের মুখ টা দেখতে পেল না কিন্তু পাশ থেকে সার্পোট পেয়ে মেঘ একের পর এক শুট করতে থাকে … হঠাৎ করে মেঘ খেয়াল করে …দুর থেকে লাল রংয়ের হুডিওয়ালা জেকেট পরা কেউ অজানা মানুষ টাকে শুট করার জন্য গান তাক করলো…. মেঘ এক মুহূর্ত না ভেবে সেই কালো হুডিয়ালার হাত টান দিয়ে সরিয়ে আনতে নিলে আচমকা হাত লেগে মাথার হুডি টা পরে যায় …. মেঘ প্রচন্ড অবাক হয় তার সাথে সাথে খুশি ও হয় এটা ভেবে এই হুডির আড়ালে আর কেউ নয় তার প্রেয়শী …. ফারহাকে দেখে SK এর যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পরলো ভয়ে SK হাত পা কাঁপতে লাগলো এদিকে ফারহা যখন দেখলো হুডি টা সরে গেছে তখন একবার মেঘের দিকে তাকিয়ে সামনে তাকায় দেখে এবার গান টা মেঘের দিকে লক্ষ করা … শুট করতেই ফারহা মেঘ কে সরিয়ে দেয় কিন্তু পাশ থেকে SK গ্রপ মেঘ কে শুট করে গুলি টা মেঘের বা হাতে লাগে উল্টো দিকে ফারহা সেই লাল হুডিয়ালার দিকে শুট করে দেয় গুলিটা পায়ে লাগে সাথে সাথে SK গাড়িতে উঠে যায়….. মেঘের গুলি লাগার পর ও মেঘ SK গ্রপের দিকে ফায়ারিং করতে থাকে …. একসময় মেঘ জ্ঞান হারালে ফারহা একাই সবাই শেষ করে দেয় ….. SK কে চলে যেতে দেখে বাকি কিছু লোক ছিলো তারা পালিয়ে যেতে নিলে ফারহা তাদের কেও শুট করে দেয় ………. দু মিনিটের মধ্যে সব শান্ত হয়ে যায় …… তার পর পর মেঘের একদল গার্ডস এসে হাজির হয় কিন্তু তারা ফারহা হঠাৎ এই রুপে দেখে অবাক হয়ে যায় …

—” গাইস দ্রুত মেঘ আর আসলাম ভাই কে হসপিটালে নেওয়ার ব্যাবস্থা কর..”(ফারহা)

—” ম্যাম এম্বুল্যান্সে ফোন করবো..?”(গার্ড)

—” ইডিয়েস দ্রুত আসলাম ভাই কে গাড়িতে তুলুন আর মেঘ কে আমার গাড়িতে তুলুন….”(ফারহা)

—” ইয়েস ম্যাম..”(গার্ড)

মেঘ আসলাম কে ফারহা আর গার্ড রা মিলে হসপিটালে নিয়ে আসা হলো …. আসলাম আর মেঘের একসাথে O T শুরু করলো ডক্টর….. মেঘ কে OT তে নেওয়ার পর থেকে ফারহা পাগলের মতো OT বাইরে পাইচারি করতে লাগলো … গার্ড জ্যাক কে ফোন করে সব জানাতে জ্যাক আদিল কে নিয়ে হসপিটালে চলে আসে…..

—” আপু তুই সত্যি এসেছিস???”(ফারহা কে জরিয়ে ধরে বললো আদিল)

— “হুম দেখ তোর বোন টা এখনো মরে নি তোর সামনে জলজ্যান্ত দারিয়ে আছে দিব্যি …”(চোখে পানি ফারহার)

—” আপু তোকে কতো মিস করেছি আমি তুই জানিস ?? তোকে ছাড়া আমি কতোটা একা তা কি তুই জানিস হ্যা ?? জানলে হয়তো আমাকে ছেড়ে এভাবে চলে যেতিস না..?”(অভিমান করে বললো আদিল)

—” একা তুই না আদিল একা তো আমি তোর তো বাবা মা সব আছে আমার কি আছে..??? আমি তো নিশ্ব…”(দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো ফারহা)

—” মা,,,মানে ?? আপু কি সব টা জেনে গেল ?? কিন্তু কি ভাবে সম্ভব জিজু বা আমি তো কিছু বলে নি তাহলে ..??”(মনে মনে ভাবছে আদিল)

—” ম্যাম কিং কেমন আছে আর আসলাম কোথায়..??”(জ্যাক)

—” ওরা কোথায় সেটা না হয় বলছি তার আগে আমার কিছু ক্রশ্চেনের এন্সার আপনি দিন তো.??”(ফারহা)

—” ইয়েস ,,কি জানতে চান বলুন ??”(জ্যাক)

—” মেঘরাজের টাইট সিকিউরিটি গার্ড থাকতে ও ওর উপর কি করে এমন একটা মারাত্বক এট্যাক হয় ..??”(দাঁতে দাঁত চেপে বললো ফারহা)

ফারহার এমন ক্রশ্চেন শুনে জ্যাক হতবম্ব হয়ে যায় … কি বলবে বুঝে উঠতে পারছে না….ফারহা জ্যাকের এমন চুপ করে থাকা দেখে ফারহা প্রচন্ড রেগে যায় .. জ্যাকের কলার্ট ধরে ফারহা রাগে বলতে লাগলো…..

—-” আজ যদি আমার মেঘরাজের কোন মারাত্বক ক্ষতি হয় তাহলে আই প্রমিশ টু আল্লাহ আমি তোকে জিন্দা কবর দিবো … এখন তোর জিসাসের কাছে প্রে কর আমার মেঘরাজ যেন সুস্থ হয়ে যায় নয় তো ….”

ফারহা এই টুকু বলে থেমে গেল ও ভুলেই গেল পাশে আদিল দারিয়ে….ফারহা নিজেকে কোন ভাবে আদিলের সামনে নিজে কে শান্ত করে জ্যাকের কলার্ট ছেড়ে দিল..কিন্তু এদিকে আদিল ফারহার এমন অগ্নিকান্ড রুপ দেখে আদিল ফারহার থেকে দুরে সরে দারালো ……জ্যাক তো ফারহার এমন রুপ দেখে ভয়ে বার বার ঢোক গিলতে লাগলো আর জিসাসের কাছে প্রে করতে লাগলো যেন মেঘ দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়…..

ফারহা আদিলের দিকে দু পা এগোতে আদিল ভয়ে দু পা পিছিয়ে যায় এটা দেখে ফারহা মনে মনে আহত হলো ,,, ফারহা অসহায় দৃষ্টিতে আদিলের দিকে তাকিয়ে রইল…. আদিল ফারহার দু-চোখে তাকিয়ে অসহায়ত্ব দৃষ্টি দেখতে পেল… ফারহা এবার আদিলের দিকে এগিয়ে গেল কিন্তু আদিল এবার পিছিয়ে গেল না …. ফারহা আদিলের কাছে এসে আদিল কে জরিয়ে ধরে হু হু করে কাঁদতে লাগলো…. আদিল হঠাৎ ফারহার কান্না দেখে নিজে কে সামলাতে পারলো না পরম মমতায় যেন বাবা মেয়ে কে যে ভাবে আগলে রাখে ঠিক সে ভাবে আদিল ফারহা কে আগলে রাখলো……

—” আপু কান্না অফ কর দেখবি জিজুর কিচ্ছু হবে না …”(আদিল)

—” সত্যি তো ..”(ফারহা)

—” হ্যা আপু ,,কিন্তু তুই এতো দিন কোথায় ছিলি??? “(আদিল)

আদিলের প্রশ্ন শুনে ফারহা চোখের পানি মুছে আদিল কে ছাড়িয়ে প্রশ্নটা না শোনার ভান করে জ্যাকের সামনে গিয়ে দারালো…..

—” ম্যাম আ’ম সরি ,,ইট’স মাই মিসটেক ..”(জ্যাক)

—” নো জ্যাক ভাইয়া আ’ম সরি আপনার সাথে এতোটা রুড বিহেব করা ঠিক হইনি আমার..”(ফারহা)

—” নো ম্যাম আপনি আপনার জায়গায় ঠিক আছেন আসলে এটা আমার ভুল ছিল ৷ আমি আমার দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করতে পারি নি…ইট’স মাই মিসটেক ,,, আ’ম সরি..”(জ্যাক)

—” আপনি পুরো হসপিটালে গার্ড দিয়ে ঘিরে ফেলুন যেন কোন মানুষ তো দুরে থাক মাছি ও গলতে না পারে …”(ফারহা)

—” ওকে ম্যাম” জ্যাক বাকি গার্ডদের ফোন করার জন্য করিডরের দিকে চলে গেল তখন আদিল এসে ফারহার পাশে দারিয়ে বলে……

—” আপু তুই কিন্তু আমার প্রশ্নের উওর দিলে না… সত্যি টা বল আমাকে…??”(আদিল)

—“সময় আসলে সবটাই জানতে পারবি আদিল এখন আমার কাছে আমার মেঘরাজের সুস্থতা সবার আগে…..”(ফারহা)

প্রায় দু-ঘন্টা পর ডক্টর O.T থেকে বেরিয়ে এলো…..ডক্টর কে দেখে ফারহা দৌড়ে ডক্টরের কাছে এসে পাগলের মতো প্রশ্ন করতে থাকে….

—” ডক্টর আমার হাসবেন্ট কেমন আছে ও সুস্থ হয়ে যাবে তো?? আমি কি একবার ওকে দেখতে যেতে পারি..??? “(ফারহা)

—-” রিলেক্স মিসেস চৌধুরী ,,আপনার হাসবেন্ট এখন আউট অফ ডেন্জার …ওনাকে একটু পর কেবিনে দেওয়া হবে তখন আপনি দেখা করতে পারবেন….তবে ওনার সাথে যে ছেলেটি ছিল তার অবস্তা খুব ক্রিটিক্যাল ,,,৪৮ ঘন্টার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না আর এই ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যদি পেশেন্টের জ্ঞান না ফিরে তাহলে আর কোন আশা থাকবে না “(ডক্টর)

—” ওয়াট আসলাম ভাই সুস্থ হবে তো ডক্টর প্লিজ যা করার দরকার আপনারা করুন কিন্তু আসলাম ভাইকে সুস্থ করে দিন…”(ফারহা)

—” দেখুন মিসেস চৌধুরী আমাদের যা করার তা করেছি এখন বাকি টা আল্লাহর উপর … আপনারা আল্লাহর কাছে দোয়া করুন পেশেন্টের যেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসে”(ডক্টর)

ডক্টরের কথা শুনে ফারহার দুচোখ যেন ভোরে উঠল ফারহা ভাবতে পারছে না বড় ভাইয়ার মতো মানুষটার আজ এই অবস্তা… কিছুক্ষন পর মেঘ কে কেবিনে দিতে … ফারহা ছুটে গিয়ে মেঘের ঝাপিয়ে পরে কাদঁতে থাকে … হঠাৎ করে ফারহার মনে পরে মেঘের তো এখনো জ্ঞান ফেরেনি অসুস্থ হয়তো মেঘের কষ্ট হচ্ছে ..এটা ভেবে ফারহা মেঘের বুক থেকে উঠতে যাবে তখনি মনে হলো ফারহা কে একহাত দিয়ে মেঘ শক্ত করে জরিয়ে ধরে আছে…..ফারহা মুখ তুলে মেঘের দিকে তাকিয়ে দেখে মেঘের দুচোখ বন্ধ করা … কেবিনে কেউ না থাকায় ফারহা মেঘের ঠোট জোড়ায় আলতো করে চুমু দিয়ে মেঘের উপর থেকে উঠতে যায় তখনি মেঘ ডান হাত ফারহার চুলে গুজে দিয়ে ফারহার ঠোট জোড়া নিজের ঠোঁটের আয়ত্তে নিয়ে নেয় ………..
.
.
.
#চলবে……………… 🍁🍁🍁
[বিঃদ্রঃ ভূলট্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ৷ আর একটা কথা গল্পটা এর থেকে বড় করে দেওয়া সম্ভব না ৷ বিষয় টা সময় সাপেক্ষ ]

.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here