হিংস্র_ভালোবাসা🌹 #Season_2 #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-৫১

0
645

#হিংস্র_ভালোবাসা🌹
#Season_2
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-৫১
🌿
🌺
🌿
— “” আগুন যা বলেছি মনে থাকবে তো ?? সিকিউরিটি গার্ড কিছু জানতে চাইলে যা বললাম তুমি ঠিক তাই তাই বলবে … ভুল হয় না যেন…””(ফারহা)

—“” ওকে ,,””

মেঘ আবার এয়ারপোর্টের সামনে দারিয়ে আছে কারনটা হলো ফারহা … ফারহার লাস্ট লোকেশন এই এয়ারপোর্টে এসেছে বলে মনে হচ্ছে কারন এর পর থেকে ফারহার ফোন সুইচ অফ বলছে…..

মেঘ ফারহা কে খুজে না পেয়ে রিসোর্টে ব্যাক করে কারন মেঘ জানতে পারে ফারহা বিডি তে ব্যাক করেছে……

***পরের দিন…….মেঘ রিসিপশন থেকে জানতে পারে তাদের রিসোর্টের VIP গেস্ট জেরিন চৌধুরী মিসিং….নাম শুনে মেঘের চোখ মুখ রাগে লাল হয়ে যায় … হাতের কাছে জেরিন কে পেয়েও হাত ছাড়া হয়ে গেল…. মেঘ নিজে কে শান্ত করে রিসেপশনে জানিয়ে দেয় মেঘ আজ চেক আউট করবে…. মেঘ প্যাকিং করে চেক আউট করার সময় ,, উপরে মিসেস ফারহা খান নাম টা দেখে মেঘের মনে হলো ওর বুকে যেন কেউ ছুড়ি চালিয়ে দিল … মেঘ ম্যানেজারের কাছে গতকালে যারা চেক ইন করেছে রিসোর্টে তাদের ছবি দেখার জন্য সি সি ফুটেজ দেখার কথা বললে প্রথমে ম্যানেজার না বললে ও মেঘের পাওয়ার দেখে দেখাতে রাজি হয়… …. জেরিন কে কিডন্যাপ করার সময় ফারহা কে যাতে সি সি ক্যামেরায় না দেখা যায় তাই আগুন সি সি ক্যামেরা হ্যাক করে … কিন্তু রিসোর্টে ইন করার সময় হ্যাক করা না থাকায় ফারহা আগুনের প্রতিবিম্ব ল্যাপটপে পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে … মেঘের রাগ যেন এবার সপ্তমে উঠে যায় ,, মেঘ ম্যানেজারের সামনে নিজের রাগ টা কন্ট্রোল করে ম্যানেজার কে কিছু না বলে জানিয়ে রিসোর্ট থেকে বেরিয়ে যায়. ,,, মেঘকে চলে যেতে দেখে ম্যানেজার সাথে অন্য স্টাফরা যেন হাফ ছেড়ে বাচলো …………

🌿
🌺
🌿

-জ্যাক বাড়ি থেকে বের হতেই মিহু আদিলের কাছে ছুটে আসে…

—“” আদিল জ্যাক ভাইয়া কোথায় ছুটে গেল এভাবে..??””(মিহু)

—“” জানি না ,,, কিন্তু তুমি এখন এখানে ??? যাই হোক আপু জিজু কে নিয়ে কোথায় আছে এটা নিশ্চয় তুমি জানো..???””(আদিল)

— আদিলের কথায় মিহু ঘাবড়ে যায় ,,, মিহু আদিলের চাউনি দেখে কিছুটা আন্দাজ করতে পারে যে আদিল কিছু একটা বুজতে পেরেছে… মিহু আদিল কে কনফিউজড করার জন্য মুখে হাসি এনে বলে…..

—“”” লাইক সিরিয়াসলি আদিল ,আমি জানবো ভাবি আর ভাইয়া কোথায় আছে??? তুমি ভুলে যাচ্ছো আমি যাষ্ট দুটো দিন হলো বি ডি তে এসেছি ,,, ভাবির সাথে আমার সৌজন্য মূলক কথা বার্তা ছাড়া অন্য বিষয়ে কোন কথা হয়নি তাহলে আমি কি করে জানবো ভাই ভাবি কোথায় আছে??? বরং এই প্রশ্ন টা আমার আপনাকে কাছে করা উচিত ছিল “”(মিহু)

মিহুর এমন চটপট পাল্টা প্রশ্নে আদিল বেশ অবাক হয়ে যায় ,,,, সাথে সাথে এক রাশ মুগ্ধতা নিয়ে মিহুর ঢেউ খেলানো দুটো চোখের দিকে হ্যা করে তাকিয়ে আছে … যেন অনন্ত কাল এই দু-চোখ দেখে অনায়াসে আদিল জীবন কাটিয়ে দিতে পারবে….. আদিলের এমন ভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মিহু এবার বেশ লজ্জা পেয়ে যায় …. পরক্ষনে মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চাপে … টেবিলের উপর বড় একটা বোলে পানিতে ভাসমান ফুল দেখতে পেয়ে … মিহু সেখান থেকে হাতে পানি নিয়ে আদিলের মুখে ছুড়ে মারে ,,, মিহুর এমন কাজে আদিল প্রথমে রাগ হলে ও পরে ভিষন লজ্জা পায় …. আদিল কিছু বলতে যাবে তার আগে বাইরে বিকট জোড়ে গুলির আওয়াজ শুনতে পায় আদিল মিহু……..

—“” বাইরে এতো গুলির আওয়াজ কেন ??”( আদিল)

—“” আদিল তুমি প্লিজ রুমে চলে যাও আমি বাইরে গিয়ে দেখছি বিষয়টা…””(মিহু)

—“” আর ইউ এ্যাভ গন ম্যাড মিহু?? আমি তোমাকে একা বাইরে বের হতে দিবো আর আমি রুমে চলে যাবো নো ওয়ে… তুমিও আমার সাথে রুমে যাবে বাইরে গার্ড আছে তারাই সামলে নিবে…””(আদিল)

হঠাৎ করে মিহু আদিলে হাত ধরে রুমের দিকে এগিয়ে যায় আদিল ভেবে নেয় মিহু ওর কথা শুনে ওর সাথে রুমে যাচ্ছে… মিহু আদিল কে রুমে ঢুকিয়ে হুট করে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় … আদিল পিছুনে ফিরে দরজা বন্ধ দেখে বুজতে পারে মিহু ওর সাথে ছলনা করলো….

—“” সরি আদিল আমি ভাবির কথা অমান্য করতে পারবো না … ভাবি আমাকে আগেই এরকম বিপদের কথা জানিয়ে দিয়েছিল আর দিয়েছে তোমাকে রক্ষা করার দ্বায়িত্ব যেটা আমি মরার আগ পর্যন্ত পালন করে যাবো…..””(মিহু)

মিহু নিজের রুমে গিয়ে দুটো গান নিয়ে ফিরে আসে ,,,,
🌿
🌺
🌿
—“”” ওয়াট কি বলছো ভাইয়া SK এট্যাক করেছে ?? আমি এখুনি আসছি…তোমরা ওদের বাইরে আটকে রাখার চেষ্টা করো যতোক্ষন না আমি ফিরছি”(ফারহা)

—“” হ্যা বনু ,, আমাদের কিছু লোক আহত হয়েছে ,,, বস ও নেই জ্যাক আফিফ কে খুজতে বাহিরে গেছে ,,আমরা মাত্র কিছু লোক আছি… ওরা অনেক লোক নিয়ে এসেছে বনু..””(আসলাম)

—“” ভাই একটা কাজ করুন ,, আপনি কোন ভাবে ওদের কানে পৌছে দিন যে কিং আসছে ওদের শেষ করতে .. সাথে নতুন আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে…””(ফারহা)

—“” ওকে দেখছি আমি..””

–“”হুম””(ফোন ডিসকানেক্ট করে)

–.আগুন তুমি এখান থেকে বাড়ি ফিরে যাও ,,, বাকিটা আমি সামলে নিচ্ছি…””(ফারহা)

–“” তা কি করে হয় তুমি একা ওদের সাথে লরাই করবে আর আমি ফিরে যাবো ?? এটা সম্ভব নয় …””(আগুন)

—“”” লিসেন আগুন আমি একা লরাই করে ওদের হারানোর ক্ষমতা রাখি ,,, তোমার সাহসাহায্য করার প্রয়োজন নেই ,,, তুমি প্লিজ তিন্নি কে সেইফ করো সামিরার হাত থেকে …. “””

—“”” ওকে এ্যাজ ইউর উইশ.. আমি চলে যাচ্ছি….””(আগুন)

আগুন এয়ারপোর্ট থেকে আলাদা গাড়ি নিয়ে চলে যায় … ফারহা জেরিন কে নিয়ে গাড়িতে উঠতে ড্রাইবার গাড়ি স্টাট দেয়…

—“” ড্রাইভার প্রথমে বাড়িতে চলো আর গাড়ি ফার্স্ট চালাও …””

—“” ওকে ম্যাম””

পনেরো মিনিটের মাথায় ফারহা পৌছে যায় … মিহু আড়াল থেকেই SK গ্যাং কে উদ্দেশ্যে করে গুলি ছাড়তে লাগলো… আসলাম সরাসরি এট্যাক না করে থেমে থেমে গুলি করছে …. তাতে করে SK গ্যাং আরো বেশি গতি নিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছে … ফারহা গাড়িতে থেকেই পিছুন থেকে শুট করে আসলাম আর মিহু ফারহাকে দেখে আড়াল থেকে বের হয়ে এসে বিরতি হীন ভাবে গুলির বর্ষন করে যায় sk গ্যাং ঘাবড়ে যায় হঠাৎ করে তিন দিক থেকে এভাবে এট্যাক করায় …. কয়েক মিনিটের মধ্যে SK গ্যাংয়ের লোকদের দেহ মাটিতে লুটিয়ে পরে…. …. ফারহা ইশারায় আসলাম কে বলে এদের লাশ গুম করতে …. আসলাম ফারহার ইশারা বুজে মাথা নারে … ততোক্ষনে মিহু দৌড়ে ভিতরে চলে যায় … আদিলের দরজার লক খুলে দিতে…….
🌿
🌺
🌿
—“” হ্যালো গাইস কেমন আছো তোমরা নিশ্চয় অনেক ভালো কারন আমার মেঘরাজ তো তোমাদের খারাপ থাকতে কখনো দিবে না তাই না???””(ফারহা)

—“” ফারহা তুই আমার মেয়ে হয়ে কি করে পারছিস এভাবে কষ্ট দিতে ?? ছেড়ে দে আমাদের কথা দিচ্ছি আমরা তোর সম্পত্তির উপর কখনো হাত দিবো না……””(মোহনা)

– মোহনার কথা শুনে ফারহা দাঁতে দাঁত চেপে বলে “””মেয়ে কার মেয়ে আমি তোর মেয়ে না আর না তুই আমার মা আমার মা আইরিন খান আর বাবা ফারুক খান তাদের একমাত্র মেয়ে ফারহা খান অরফে আলিয়া … আর তোরা হলে খুনি আমার বাবা মায়ের খুনি আর ওই লোকটা (আশিকুর কে ইঙ্গিত করে) ওকে তো আমি নিজ হাতে একটু একটু করে কষ্ট দিয়ে মারবো…. আ,,আমার সামনে আমার মাম্মাম কে ,,,বলতে গিয়ে ফারহার গলাটা যেন ভারি হয়ে আসলো…… ফারহা চোখ বন্ধ করে সেই ভয়ঙ্কর ঝড়ের রাতের দৃশ্য মুহূর্তের মাঝে চোখেরসামনে ভেষে উঠলো ফারহার চোখের কোন বেয়ে এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়লো …. ফারহা চোখ মেলে তাকায় মোহনা আশিকুর র ফাহিমের দিকে…….

—“”” তোদের এমন ভয়ঙ্কর মৃত্যু দিবো আমি যা দেখে তোদের মায়ের শরীল কেঁপে কেঁপে উঠবে ৷ আমার সামনে যতোটা না কষ্ট দিয়ে আঙ্কেল আন্টি মাম্মাম পাপা কে মেরেছিস তার থেকে ও হাজার গুন কষ্ট দিয়ে আমি তোদের আমার এই নিজ হাতে মারবো ,,, ওহ তার আগে তোদের মাস্টার প্লানার তার সাথে মিট করে নে …. আসলাম ভাইয়া….” আসলামের নাম নিতে আসলাম হুইল চেয়ারে জেরিন কে বসিয়ে নিয়ে আসে ….মোহনা আশিকুর ফাহিম জেরিন কে দেখে যেন আকাশ থেকে পরলো… মোহনা ফাহিম ফাহাদের সাথে জেরিন সব সময় ইমেইল অথবা ফোন কলে কথা বলতো ডিরেক্ট সামনা সামনি কখনো কথা বলতো না কারন টা হয়তো নিজেকে আড়াল করে রাখা সবার থেকে কিন্তু সেই আড়াল ভেদ করে ফারহা জেরিন কে সামনে এনেছে,,,,,

—“”” মম তু,,তুমি এখানে??””(ফাহাদ)

–“”” তোদের মতো মাকাল নির্বোধ ছেলে মেয়ে যার আছে সে এখানে থাকবে না তো কোথায় থাকবে ??? তোদের নির্বোধিতার জন্য এই দুই আঙ্গুলের পুচকি মেয়ে আমাকে আমেরিকা থেকে তুলে এনেছে ,,,যেখানে পুলিশ পর্যন্ত আমার ট্রেস করতে পারে না সেখানে এই পুচকি মেয়ে ,,, বাকিটা বলতে পারলো না তার আগেই ফারহার হাতের থাপ্পোর গিয়ে পরলো জেরিনের গালে …. সাথে সাথে মোহনা ফাহিম হুংকার দিয়ে চেচিয়ে উঠে বলে…….

—“”” ফারহা তোর সাহস কি করে হয় আমার সামনে আমার মমের গায় হাত তোলার তোর ওই হাত আমি ভেঙ্গে ফেলবো …. জ্বালিয়ে দিবো তোকে আমি…””(মোহনা)

ফারহা এবার জেরিন কে ছেড়ে দিয়ে মোহনার দিকে এগিয়ে গিয়ে মোহনার মুখ শক্ত করে চেপে ধরে এতোটা শক্ত করে চেপে ধরে মোহনার দাঁতের সাথে গাল কেটে গল গল করে রক্ত বের হচ্ছে…….. ফারহা মোহনার গাল ধরে বলে……

—“” তোর মমের গালে সামান্য এক থাপ্পোর দেওয়ায় তোর রাগ তেজ যেন উপচে পরছে আর ছয় বছর আগে একটা বাচ্চা মেয়ের সামনে তার বাবা মা কে নৃশংস ভাবে খুন করেছিস তোরা আর ও (আশিকুর কে ইঙ্গিত করে) তুই আমারি সামনে আমার মাম্মাম কে ধর্ষন করে গলা টিপে খুন করে আমি ওকে ছেড়ে দিবো !!! নিজ হাতে জানোয়ার টাকে টুকরো টুকরো করবো তারপর ওই যে পুলে দেখছিস ব্লাক ডাইমন্ড ওদের কে খেতে দিবো……আর তুই কি যে বলছিলি??? আমাকে জ্বালিয়ে মারবি তাই না ??? কে কাকে জ্বালিয়ে মারে এবার তোকে আমি দেখিয়ে ছাড়বো …. যাষ্ট ওয়েট এন্ড সি…. ভাইয়া ব্যাবস্তা করো ,,, আর এই বুড়িকে আলাদা খাচায় রাখো আলাদা রুমে এদের সাথে নয় আমি আসছি ……

—“” ওকে বনু…..””

ফারহা জেরিন ফাহিম মোহনা আশিকুর কে রেখে বাড়ির উদ্দ্যশ্যে বেরিয়ে পরে ….. বাড়িতে ঢুকে ফারহা আদিল কে সুস্থ স্বাভাবিক দেখে ফারহা ছুটে আদিল কে জরিয়ে ধরে বলে…..

—“” আদিল তুই ঠিক আছিস??”(জরিয়ে ধরে বললো ফারহা)

—“” আরে আপু এতো হাইপার হচ্ছিস কেন দেখ আমি একদম ঠিক আছি ,,, কিন্তু তুই ,,,,আর বলতে পারলো না আদিল কারন তার আগে ফারহা জ্ঞান হারিয়ে ফেললো ,,,, আদিল ফারহা কে এভাবে জ্ঞান হারাতে দেখে আদিল ভয় পেয়ে আপপপপপপু বলে চিৎকার করে ওঠে………….
.
.
.
#চলবে………..
((((বিঃদ্রঃ স্টোরি লেখার পর রি-চেক করা হয় না কখনো তাই ভূলট্রুটি হলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ৷ আর ভালো না লাগলে প্লিজ ইগনোর করুন ))))

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here