গল্প:- সি অফ মারমেইড
লেখায়:- যাবেদ খাঁন আবু বকর
পঞ্চম পর্ব
পনেরো.
গাড়িটি নিচে পতিত হওয়া মাত্রই বিশাল কালো এক প্রাণী গাড়িটা টেনে গভীর সমুদ্রে নিয়ে যায়। রন গাড়ি থেকে কোনোমতে বেরিয়ে আসতেই তাকে গিলে নেয় কালো প্রাণীটি। এরপর তার গন্তব্য পথে চলতে আরম্ভ করে। পানির তলদেশ দিয়ে গভীর সমুদ্র পথে রওনা হয়। ধীরে ধীরে তার সম্পূর্ণ দেহটি দৃশ্যমান হয়। কালো প্রাণীটি একটি তিমি মাছ। তবে সে নিজের ইচ্ছেতেই বড় কিংবা ছোটো হতে সক্ষম। দ্রুত বেগে পানি চিঁড়ে কক্সবাজার সমুদ্র থেকে অন্য সমুদ্রে যাবার পরিকল্পনায় পাড়ি দিল। ইতোমধ্যেই তার চারপাশে আরও বেশ কিছু তিমি মাছের দেখা মিলছে। দুটো তিমি তার সামনে আছে। এবং তার দুই পাশে দুইটি। এছাড়াও পেছনে গার্ড হিসেবে আছে দুটি তিমি মাছ। যেন তারা ইচ্ছাধারী তিমিকে গার্ড দিয়ে নিয়ে চলেছে। সাথে তাদের অশ্রাব্য হাঁক। বহু পথ পাড়ি দিয়ে চলেছে তারা। তবে তারা অক্লান্ত। কোনো জিরিয়ে নেয়া হয়নি তাদের। যেন এটি তাদের কর্তব্য এবং কাজ।
দূর থেকে কিছু হাঙরের দেখা মিললেও এতগুলো তিমি একসাথে দেখে সামনে আগাবার সাহস দেখাল না। জানের মায়া কারই-বা না থাকে! নিজ নিজ প্রাণের মায়া সবার কাছেই আছে। এছাড়া তিমিদের দলবদ্ধ হয়ে চলাটা সকলের জন্য একটা বিষয় শিক্ষা প্রদান করে। একা চলা আসলেও বিপদজনক! এখানে একটা তিমি থাকলে নির্ঘাত হাঙরদের দলের খাবার তথা শিকার হতে পারত। কিন্তু একজোট হয়ে থাকার ফলে শত্রুপক্ষ সামনে আগাতে ভয় পেয়ে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
ষোল.
রাজসভায় বসে আছে রাজদরবারের সকল সদস্য। সিংহাসনের ডান পাশে একটি প্রবেশদ্বার রয়েছে। যেখান দিয়ে রাজসভায় প্রবেশ করলেন মৎস্য রাজা অরগাড এবং তার স্ত্রী নিয়ানো। পাশেই আছে তাদের মেয়ে তথা রাজকুমারী ডায়ানা। রাজা অরগাড রাজ সিংহাসনে বসলেন। ডান পাশে তার স্ত্রী এবং বাম পাশে রাজকুমারী ডায়ানা। যথারীতি রাজদরবারের কার্যক্রম শুরু হলো। সেনাপতি রিবিয়ান তার আসন থেকে উঠে রাজা অরগাডের সামনে এসে দাঁড়ায়। মাথাটা নিচু করে সম্মান জানিয়ে বলল, ‘ অভিবাদন মহারাজ। ‘
প্রত্যুত্তরে রাজা অরগাড বললেন,
‘ চারদিকের কী খবর?’
কিছুটা হতাশ কণ্ঠে বলল সেনাপতি,
‘ খুব বাজে মহারাজ। দিন দিন অক্টাইসের সৈন্যদের আক্রমণ বেড়েই চলেছে। গতকালও কয়েকজন প্রাণীকে তারা তাদের গ্রাসে নিয়ে নিয়েছে। এছাড়া কয়েকজন মৎস্য মানবকে শিকারের জন্য ধাওয়া করেছিল। ‘
কিঞ্চিৎ আহত কণ্ঠে এবং অস্থিরতা ভাব নিয়ে বললেন রাজা অরগাড,
‘ বলো কী? কোনো মৎস্য মানব নিহত হয়েছে?’
‘ আজ্ঞে মহারাজ এখনো না। তবে এরকমভাবে চললে এই ঘটনা ঘটতে খুব একটা দেরি লাগবে বলে মনে হচ্ছে না। ‘
এমতাবস্থায় রাজসভার প্রধান প্রবেশদ্বার দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন একজন বৃদ্ধা। বয়স খুব একটা বেশি না হলেও মাথার চুল-দাড়ি সব পেকে গেছে। এছাড়াও তার দাড়িগুলো বেশ বড়সড়। পরনে সবার থেকে আলাদা পোষাক। হালকা গোলাপি রঙের একটি আলখাল্লা ধরনের জামা পরিধান করা। যা কাঁধের উপর থেকে পা পর্যন্ত ঢাকা। হাতে একটি ভিন্ন রকমের লাঠি। দেখতে কিছুটা জাদুকরী লাঠির মতোও বটে। তার উপস্থিতি দেখা মাত্রই সবাই তার দিকে তাকায়। কিন্তু সে সেদিকে ধ্যান না দিয়ে সোজা রাজা অরগাডের সামনে চলে যায়। মাথাটা সামান্য নিচু করে সম্মান জানিয়ে বলতে আরম্ভ করলেন, ‘ অভিবাদন মহারাজ। আপনার জন্য একটি সুখবর আছে।’
কিঞ্চিৎ হেসে উৎসুক হয়ে সাথে সাথেই জানতে চেয়ে প্রশ্ন করলেন রাজা অরগাড,
‘ জ্যোতিষী জিয়াং মহাশয় যে। বলুন কী সুখবর? ‘
মুখে হাসির রেখা ফুটিয়ে বলতে লাগলেন জ্যোতিষী,
‘ খুব শীঘ্রই নতুন রাজার রাজ্যাভিষেক হতে যাচ্ছে। তবে কিছু সমস্যাও আছে বটে। যেদিন রাজ্যাভিষেক হবে সেদিনই বিরাট এক কাণ্ড ঘটে যেতে পারে। ‘
‘ কী ঘটবে এমন? এছাড়া নতুন রাজার তো এখনো কোনো খবর পেলাম না। ‘ কিছুটা হতাশ কণ্ঠ এবং কিছুটা জানতে চাওয়া মন।
‘ চমকপ্রদভাবেই দু-একদিনের মাঝে নতুন রাজার আগমন ঘটবে মারমেইড শহরে। এমনটাই আমার গননা বলছে।’
সতেরো.
ক্যাপ্টেন বার্কের উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন ব্রুস,
‘ আপনারা হারিয়ে যাওয়া জাহাজ দুটো উদ্ধার কার্যে আরও ভালোভাবে লেগে পড়ুন। ওই জাহাজ দুটো আমার চাই। তবে আমি এখনো বুঝতেই পারছি না ঠিক কী হয়েছিল বা ঘটেছিল?’
‘ তা আমারও অজানা স্যার। তবে খুব শীঘ্রই খুঁজে বের করার আশ্বাস দিচ্ছি। ‘ কথাটি বলে ক্যাপ্টেন বার্ক ব্রুসকে স্যালুট জানিয়ে উক্ত স্থান ত্যাগ করে।
ব্রুস নিজেও উক্ত স্থান ত্যাগ করে জাহাজের ভেতরে চলে যান। পূর্বের মতো এখন সামনে এবং পেছনে চারজন করে বডি গার্ড রয়েছে। ব্রুস জাহাজের কয়েকটি কম্পার্টম্যান্ট নিচে নেমে এলেন। তার আগে থাকা গার্ডসগুলো সবদিক সামাল দিয়ে নিচ্ছে। তিন তলায় এসে একটি দরজার কাছে সমাগম হয়ে দাঁড়ায় সবাই। সামনেই একটি দরজা রয়েছে। একজন গার্ড দরজায় করাঘাত করে। ভেতর থেকে একজন দরজা খুলে দেয়। পরনে তার সাদা এপ্রোন। মুখে মাস্ক লাগান। হাতে গ্লাভস পরিধান করা। বেশভূষা একটু ব্যতিক্রম বলা যায়। দেখতে কিছুটা সাইন্টিস্টদের মতোই লাগছে। ব্রুসকে দেখা মাত্রই লোকটি অবাক চোখে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। কিছু সময় বাদে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,
‘ হ্যালো স্যার। ‘
‘ হ্যালো মিস্টার সাইন্টিস্ট নিকোলাস। ‘ কিঞ্চিৎ ঠোঁটের কোণে হাসি রেখে প্রত্যুত্তরে বললেন ব্রুস।
নিকোলাস দরজা থেকে সরে গিয়ে বললেন,
‘ আসেন আসেন। ভেতরে আসেন স্যার। আমি তো আপনাকে দেখে হয়রান হয়ে গেছিলাম। ভাবতেও পারিনি আজকে আপনাকে দেখব!’ অবাক স্বরে বললেন সাইন্টিস্ট নিকোলাস।
দরজা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে করতে জবাব দিলেন ব্রুস,
‘ সে যাইহোক। এসেছিলাম এখানের পরিস্থিতি দেখতে। এরকম হুট করেই আচমকা দুটো জাহাজ গায়েব হয়ে যাবে, এমনটা হওয়া সম্ভব না! ‘ হতাশ কণ্ঠে বললেন ব্রুস।
‘ আমারও অজানা স্যার। তবে ক্যাপ্টেন বার্ক তার দলবল নিয়ে কাজে নেমে গিয়েছে। ‘ একটি হাসি দিয়ে কথাটি বললেন সাইন্টিস্ট নিকোলাস।
‘ তোমরা তোমাদের কাজ নতুনভাবে শুরু করে দাও। কয়েকদিনের মাঝেই আরও দুটো জাহাজ এসে এখানে পৌঁছাবে। তখন সব কাজ আবার আগের মত শুরু হয়ে যাবে। ‘ কিঞ্চিৎ রাগ এবং কিঞ্চিৎ হাসি মিশ্রিত কণ্ঠে বললেন ব্রুস।
‘ জি স্যার। ‘ মাথা নেড়ে সম্মাতি জানিয়ে বলল সে।
আঠারো.
ব্রেকিং নিউজ,
গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশে গাড়ি নিয়ে হোটেলে ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। পথিমধ্যে বেশ গতিতে এসে একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। গাড়িসহ সোজা সমুদ্রে পতিত হন তিনি। এরপর আর কাউকে পানি থেকে উঠে আসতে দেখা যায়নি। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে পাওয়া যায়, দুজন লোক ছিল সেই ট্রাকে। এটি একটি প্রি-প্লান মার্ডার তা খুব সহজেই বুঝা যাচ্ছে। সকালে সমুদ্রের কিনারায় গাড়ির কিছু ভাঙা অংশ বিশেষ এবং পানিতে গাড়ি দেখে ভড়কে যায়। অতঃপর স্থানীয়দের মাঝে কেউ একজন থানায় কল দুয়ে অবগত করেন। পুলিশ কর্মকর্তারা সেখানে উপস্থিত হয়ে ইনভেস্টিগেট আরম্ভ করে দেয়। সমুদ্রের তীরে উপস্থিত বাড়ির সিসি টিভি ফুটেজ থেকে মিলে ভিন্ন রহস্য। কেস তার উলটো দিশায় চলতে আরম্ভ করে। কালো পর্দার পেছনে নতুন রহস্য বেরিয়ে আসতে থাকে। সংঘর্ষ হওয়া গাড়িটির প্লেট নাম্বার ” ঢাকা মেট্রো, 642809 “।
প্রশ্ন হচ্ছে, এই রহস্যের উন্মোচন কি আসলেই হবে? না-কি পূর্বের মত এবারেও এই কেস এখানেই বন্ধ হয়ে যাবে?
সিলেট থেকে প্রাইভেট জেটে চড়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন একজন লোক। সম্পূর্ণ গতির সাথে কক্সবাজার রানওয়েতে প্রাইভেট জেটটি অবতরণ করে। রানওয়েতে বিমানটি থেমে যাওয়া মাত্রই ভেতর থেকে পরপর ছয়জন লোক হাতে বন্দুক এবং পরনে কালো প্যান্ট এবং সাদা শার্টের উপরে কালো ব্লেজার। এবং সবার কানে ব্লুটুথ লাগানো। বিমান বন্দরের ভেতরে থাকা লোকেদের মাঝে অনেকেই চমকে যায়। কিছু সময়ে বাদে বিমানের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসে বেগুনি রঙের প্যান্ট এবং ভেতরে সাদা শার্ট। তার উপরে বেগুনি রঙের একটি ব্লেজার। হাতে রোল এক্স ব্রান্ডের ঘড়ি। এবং চোখে কালো চশমা। গায়ের রঙ ধবধবে সাদা। এরকম লুকিং যে কোনো মেয়েকে তাক লাগিয়ে দিতে সক্ষম। লোকটি বিমানের সিঁড়ি দিয়ে রানওয়েতে নামতেই পূর্বের মতো এবারেও চারজন কালো প্যান্ট ভেতরে সাদা শার্ট এবং উপরে কালো রঙের ব্লেজার পরিহিত অবস্থায় বিমানের ভেতর থেকে বের হয়। শোঁশোঁ শব্দ তুলে তাদের দিকেই এগিয়ে আসছে চারটি গাড়ি। একটি জীপ এবং বাকিগুলো পাজারু। তাদের কাছে এসে থামতেই গার্ডদের মাঝে একজন জীপের দরজা খুলে বলে উঠল, ‘ স্যার।’
লোকটি গাড়িতে চড়ে যান। গার্ডগুলো সামনে এবং পেছনের গাড়িগুলো দখল করে বসে পড়ে। চলতে আরম্ভ করে গাড়ি। কিছু সময় বাদেই সমুদ্র সৈকতের দিকে দেখা যায় চারটি গাড়ি এগিয়ে আসছে। উৎসুক জনতার ভীর। এছাড়াও ” নট এন্টার ” টেপ দিয়ে সমুদ্র তীরে বেশ কিছু স্থান নিয়ে ঘেরাও দেয়া আছে। টিভি চ্যানেলের লোকজন সেখানে উপস্থিত। কেউ কেউ রিপোর্ট করছে, তো কেউ এমনিতেই ভিডিও সংগ্রহ করছে। নট এন্টার এরিয়ার ভেতরে বেশ কিছু পুলিশের দেখা মিলছে। উপস্থিত আছেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার রবিন। উপস্থিত পুলিশ সবাই চারদিকে খুঁজতে ব্যস্ত। এমতাবস্থায় একে একে চারটে গাড়ি তাদের দিকে আসতে দেখে সবাই সেদিকে নজর দেয়। গাড়ি চারটে নট এন্টার এড়িয়ার কাছাকাছি এসে থেমে যায়। পেছন এবং সামনে থেকে দ্রুত গার্ডগুলো বাইরে বেরিয়ে আসে। একজন গার্ড মাঝে থাকা জীপ গাড়িটির দরজা খুলে দেয়। ভেতর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন বেগুনি রঙের প্যান্ট এবং ভেতরে সাদা শার্ট। তার উপরে বেগুনি রঙের একটি ব্লেজার। হাতে রোল এক্স ব্রান্ডের ঘড়ি। এবং চোখে কালো চশমা পরিহিত লোকটি। তাকে দেখা মাত্রই উপস্থিত সবার মাঝে গুঞ্জন লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু সেদিকে ধ্যান না দিয়ে গার্ডদের নিয়ে ” নট এন্টার ” এরিয়ার দিকে হাঁটতে থাকেন।
দুজন গার্ড লোকজের ভীড় ঠেলে রাস্তা তৈরি করে দিতে ব্যস্ত। লোকটির সামনে এবং পেছনে তিনজন করে গার্ড রয়েছে। এছাড়াও দুই পাশে দুজনের অবস্থান রয়েছে। উপস্থিত জনতা অবাক হওয়ার সর্বোচ্চ সীমায় অতিক্রম করেছে। পুলিশ সুপার রবিন লোকটিকে দেখা মাত্রই হতবাক হয়ে বড়বড় চোখে তাকায়। দ্রুত এগিয়ে যান তার দিকে।
‘ সালাম স্যার। আপনার দর্শন পেয়ে আমার জীবন ধন্য। বলুন স্যার আপনার জন্য কী করতে পারি?’ উৎসুক হয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়ে প্রশ্ন করলেন পুলিশ সুপার রবিন।
‘ হ্যালো। আমার জন্য বেশি কিছু করতে হবে না। শুধু এর সুস্থ তদন্ত করলেই হবে। দ্রুত খুঁজে বের করতে হবে গাড়ির ভেতরে থাকা লোকটাকে। এছাড়াও তার উপর এরকম হামলা কে বা কেন চালানো হয়েছে সে বিষয়েও ইনভেস্টিগেট করতে হবে জোরদার ভাবে। যত দ্রুত সম্ভব তাদের দুজনকে এবং আক্রমণ হওয়া রন ইওহার্ডকে আমার সামনে উপস্থিত করুন।’ হাত মিলিয়ে স্বাভাবিক স্বরে কথাগুলো বললেন লোকটি।
‘ জি স্যার অবশ্যই হবে। কিন্তু আমার মনে একটা প্রশ্ন দৌড়াদৌড়ি করছে। আমি এখনো বুঝতে পারছি না আপনি এখানে কেন? আর কেনই বা এই কেসের কথা বলছেন? আর আক্রমণ হওয়া ব্যক্তির নাম যে রন ইওহার্ড তা আপনি জানেন কী করে!’ জানতে চেয়ে প্রশ্ন করলেন রবিন।
‘ রন ইওহার্ড! হি ইজ মাই ব্রাদার। যত দ্রুত সম্ভব ওকে উদ্ধার করুন। যত টাকা খরচ হবে করুন। প্রয়োজনে সাবমেরিন ব্যবহার করুন। যাই করুন না কেন, আমার ভাইকে আমি জীবিত অবস্থায় চাই। আর হামলাকারীদের লাশও দেখতে চাই। ‘ চেহারায় কিঞ্চিৎ রাগী ভাব ফুটিয়ে কথাগুলো বললেন লোকটি।
পুলিশ সুপার রবিন লোকটির কথা শুনে দুটি চোখ বড়বড় করে তার দিকে তাকিয়ে রইলেন। এখনো তার মাথায় পুরো ব্যাপারটি ঢুকছে না।
[– চলবে –]
• পুলিশ সুপার রবিন কি পারবে রন ইওহার্ডকে উদ্ধার করতে?
• রন ইওহার্ডকি তবে মারা গেছে?
• এখন কি রিবন ইওহার্ড তার ভাই হত্যার প্রতিশোধ নেবে?