#তুমি_বললে_আজ
লেখনীতেঃ #রিধিমা_জান্নাত_রূপা
পর্বঃ ৩৬.
.
নিউরোলজিস্ট ডা. রিয়াদ মাহমুদের চেম্বারে বিগত পনের মিনিট ধরে বসে আছি আমি ও তাসফি। আমার হাত খুব শক্ত করে ধরে রেখেছেন তাসফি। মনে হচ্ছে, হাতটা একটু আলগা হতেই আমি হয়তো পালিয়ে যাবো। সামনের চেয়ারে ড. অসীম রিপোর্ট গুলো দেখে চলেছেন লাগাতার। ওনাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে বয়স খুব একটা বেশি নয়। বড়জোর ২৯-৩০ বছর বয়স হতে পারে।
চেম্বারে ঢোকার পরেই তাসফির সাথে আলাপ করে নিলেন তিনি। এটাও জানালেন আমাদের চেম্বারে আসার আগেই যিনি রেফার করেছেন মেডিসিন ড. অসীম পান্ডে ফোনে বলে দিয়েছেন আমাদের আসবার কথা। আরও দু’মিনিট পর রিপোর্ট গুলো গুছিয়ে রেখে বলে উঠলেন,
“মি. তাশরিফ আপনার ওয়াইফ এর টেস্ট রিপোর্ট গুলো তো দেখলাম। আমি প্রথমেই কিছু বলছি না। শুধু মাত্র সন্দেহোর তালিকা থেকে আরও কয়েটা টেস্ট দিচ্ছি। সেগুলোর রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে সমস্যাটা আসলে ঠিক কি।”
“যেটা সন্দেহ করছেন, সেটা একটু ক্লিয়ার করে বলুন ডক্টর।”
ড. রিয়াদ মাহমুদের কথায় তাসফি অনেকটা গম্ভীর স্বরেই বললেন কথাটা। ড. রিয়াদ ওনার কথায় হালকা হেঁসে বললেন,
“দেখুন মি. তাশরিফ, আমাদের ডক্টরদের কাজ-ই হলো সন্দেহ করা। একজন ব্যাক্তির ছোট ছোট বিষয় নিয়েই আমারা অনায়াসে সন্দেহ করে ফেলি। আপনার ওয়াইফ এর ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই ঘটেছে।”
“কিন্তু ড. অসীম পান্ডে আপনার কাছে রেফারেন্সে হঠাৎ কেন পাঠালেন?”
“আপনার ভয় পাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয় মি. তাশরিফ। ড. অসীম স্যার আমার অনেক সিনিয়র এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। সেখানে উনি আমার কাছে কেন পাঠিয়েছেন সে প্রশ্নটা একদম স্বাভাবিক। স্যার হয়তো কিছু ভেবেই আমার কাছে পাঠিয়েছেন। তবে টেনশন করবেন না, এই টেস্ট গুলোর রিপোর্ট আসার পর ড. অসীম স্যার ও থাকবেন।”
সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে উনি আবারও বললেন,
“আপনি বরং আপনার ওয়াইফ এর বাকি টেস্ট গুলো আজকেই করে ফেলুন। রিপোর্ট গুলো আজকে তো আর পাবেন না। আপনি ওনাকে নিয়ে কালকে চারটায় ড.অসীম স্যারের চেম্বারে সরাসরি চলে আসবেন। রিপোর্ট গুলো আমি আমার স্টাফকে দিয়ে উঠিয়ে রাখবো।এই রিপোর্ট গুলোও আমার কাছে থাক।”
আর কিছু জিজ্ঞেস করলেন না তাসফি। টেস্ট গুলো করিয়ে নিচ্ছি করে আমাকে নিয়ে বেরিয়ে এলেন। পর পর টেস্ট গুলো করিয়ে নিলেন। তারপর আরও একবার ডক্টরের সাথে কথা বলে আমাক নিয়ে বেরিয়ে আসলেন হসপিটাল থেকে। ওনার চোখে মুখে চিন্তার ছাপ স্পষ্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। একদম চুপ করে আছেন, আমি কিছু বললেও হু, হ্যাঁ তে জবাব দিয়ে চলেছেন। তাই আমিও আর ঘাটালাম না ওনাকে, চুপ করে গেলাম। তাসফির এমন অবস্থায় আমারও অনেকটা টেনশন হতে লাগলো। মানুটা এই অল্প কিছু সময়ের মাঝেই চোখ মুখের করুন অবস্থা করে ফেলেছেন। টেনশনের মাত্রাটা কিছুটা বেড়ে যেতেই মাথার ব্যাথাটা আবারও চাড়া দিয়ে উঠলো যেন। বাইকের পিছনে কোন রকম ভাবে বসে ওনাকে শক্ত করে ধরে পুরোটা পথ পারি দিলাম।
রাত হয়েছে অনেকটা। বাসায় আসার পর সবাই কি হয়েছে জানতে চাইলে উনি বললেন, কালকে আবারও যেতে হবে। বাসায় আর কেউ কিছু বললো না। রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়ার শেষে উনি ওই বাসায় চলে যেতে চাইলেও আমি ঘোর বিরোধিতা করলাম। ওনাকে রুমে আসতে বলে বিভিন্ন ভাবে আটকানো চেষ্টা করলাম। আমার বারণ না শুনলে হঠাৎ কান্না পেয়ে গেল। তাসফির হাত ছেড়ে দিয়ে আস্তে করে বললাম,
“আচ্ছা ঠিক আছে, যান আপনি।”
বলেই বারান্দায় ছুটে এসে ফুপিয়ে কেঁদে উঠলাম। হসপিটাল থেকে হঠাৎ ওনার চুপ হয়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছি না আমি। কেন জানি হাজারো ভয় এসে জেঁকে ধরেছে আমায়। বারবার মনে হচ্ছে হারিয়ে ওনাকে হারিয়ে ফেলবো আমি।
প্রায় দু’মিনিট পর পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলেন তাসফি। ছটফট করে ছাড়িয়ে নিতে চাইলেও পারলাম না। ওনার হঠাৎ স্পর্শে আবারও ফুপিয়ে কেঁদে উঠলাম। উনি আরও গভীর ভাবে জড়িয়ে নিলেন। কানের কাছে মুখ নিয়ে আস্তে করে আদুরে গলায় বলে উঠলেন,
“আমি যাচ্ছি না তো রে বাবা, ইস্ এটুকু তেই কেঁদে কেটে কি অবস্থা করছিস বউ।”
“আ..আপনি খুব খারাপ। বারবার আমাকে শুধু কষ্ট দেন। আপনার চুপ করে যাওয়ায় আমি ঠিক কতটা খারাপ লাগছিলো, জানেন? আপনার যাবার কথা শুনে আমার আরও বেশি কষ্ট হচ্ছিলো, বারবার মনে হচ্ছে আপনাকে হারিয়ে ফেলবো আমি। আমি তো আপনাকে ছাড়া থাকতে পারবো না, বোঝেন না কেন আপনি?”
এবার বেশ জোরেই কেঁদে উঠলাম। শুন্য অনুভূতিতে ছেয়ে গেল আমার মন। আমাকে সামনের দিকে ফিরিয়ে গালে হাত রাখলেন তাসফি। আলতো করে দু’হাতে জড়িয়ে নিয়ে মুছে দিলেন জমে থাকা পানিগুলো। পুরো মুখ জুড়ে চুমু দিয়ে জরিয়ে নিলেন শক্ত করে। মিনিট দুয়েক সময় নিয়ে বলে উঠলেন,
“আমি আছি তো রুপুসোনা। কিছু হবে না তোমার, কিছু হতে দিবে না তোমাকে। এভাবেই বেঁধে রাখবো নিজের সাথে।”
.
দুরুদুরু বুক নিয়ে রেডি হচ্ছি হসপিটালে যাবার জন্য। বিছানায় বসে রিফাপু আমার রেডি হওয়া দেখে চলেছে আর তাড়া দিয়ে যাচ্ছে। রিফাপুকে তাসফি পাঠিয়েছে আমাকে দূত রেডি হবার জন্য। তাড়াতাড়ি হিজাবটা আঁটকে রিফাপুর সাথে বেরিয়ে আসলাম রুম ছেড়ে। ড্রয়িং রুমে আসতেই উনি উঠে দাঁড়ালেন। আম্মু ও বড়মা কে বলে আমাকে নিয়ে বেরিয়ে আসলেন। আজকে আর যাবার সময় বাইক না নিয়ে রিকশাতে উঠলেন।
ড. অসীম পান্ডের চেম্বারে আসতেই উনি বসতে বললেন আমাদের। তারপর কাউকে ফোন করে আসতে বলে কথা বলতে লাগলেন তাসফির সাথে। ড. অসীম তাসফির দাদুর পরিচিত একজন। দাদু বেঁচে থাকতে ওনার সাথে অনেক ভালো একটা সম্পর্ক ছিলো। পরিচিত ডক্টর বলেই তাসফি আমাকে ওনার কাছে নিয়ে এসেছিলেন।
ওনাদের কথার মাঝেই ড. রিয়াদ চেম্বারে ঢুকলো হাতে কিছু ফাইল নিয়ে। যতদূর বুঝলাম সেগুলো নিশ্চয়ই আমার টেস্ট রিপোর্ট গুলো। তিন জনে দু’একটা করে কথা বলতে লাগলেন, আর আমি শুধুই নিরব শ্রোতার ভূমিকা পালন করলাম। কিছু কথার পর ড. অসীম বললেন,
“দেখো তাসফি তোমায় আমি ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি বলেই রিয়াদের কাছে রেফার করে পাঠিয়েছি। ছেলেটার কাজ এবং বয়সের মাত্রা তুলনামূলক কম হলেও এক্সপেরিয়েন্স আমার থেকেও অধিক।”
“দূর, আপনি এগুলো কি বলছেন স্যার?”
“তুমি আমার স্টুডেন্ট বলে এসব কথা বলছি না রিয়াদ, তোমার কাজের বায়ো-টাই এই কথা বলে। যাই হোক, আসল কথায় আসি।”
বলেই একটু থামলেন উনি। একটা নিশ্বাস ছেড়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
“মামুনি তুমি একটু বাইরে গিয়ে হাঁটাহাঁটি করো, তাসফি একটু পরেই যাবে তোমার কাছে।”
“কক্…কেন?”
অজানা একটা ভয় বিরাজ করতে লাগলো মনে। তাসফির হাতটা শক্ত করে ধরে রইলাম। মনে মনে ভেবে নিলাম, যাই বলুক না কেন, কিছুতেই বাইরে যাবো না আমি। ড. রিয়াদ বলে উঠলেন,
“স্যার আমার মনে হয় মিসেস রামিয়াতের বিষয়টিতে অবগত থাকা উচিত।”
ড. অসীম কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকার পর বলে উঠলেন,
“তুমি ঠিক বলেছো রিয়াদ। দেখো তাসফি তোমার ওয়াইফের সমস্যা গুলো শোনার পর সন্দেহর তীর
টা একদিকেই ছুটে গেছে। টেস্টগুলো করার পর রিয়াদের কাছে পাঠিয়েছি, ফোনে ওকে সমস্তটা বলার পর ও জোড়ালো ভাবে বলতে না পারলেও সন্দেহটা ঠিকই করেছিলো। আজকে রিপোর্ট গুলো হাতে পাবার পরই রিয়াদ সেগুলো চেক করে আমাকে জানিয়ে। আসলে আমাদের সন্দেহটাই ঠিক ছিলো।”
“আপনারা আসলে ঠিক কি বলতে চাচ্ছেন একটু ক্লিয়ার করে বলেন স্যার।”
“তাসফি এসব বিষয়ে লুকিয়ে লাভ নেই। তাই সরাসরিই বলছি, সি ইজ সাফারিং ফ্রম ব্রেইন টিউমার।”
হঠাৎ ওনার কথায় চমকে উঠলাম আমি। বুঝতে পারলাম না ঠিক শুনলাম কি না। ব্রেইন টিউমার মানে, আমার? তাসফি কাঁপা কাঁপা গলায় আস্তে করে বললেন,
“মা…মানে?”
“তোমার মনের অবস্থাটা আমি বুঝতে পারছি তাসফি। তোমার ওয়াইফের সমস্যা গুলো শুনে কিছুটা আন্দাজ ছিলাম। চিনচিনে মাথা ব্যাথা, মাঝে মাঝে হুটহাট মাথা ঘুরে ওঠা, বমি বমি ভাব বা সকালের দিকে বমি হওয়া, খাবারের অরুচি, খিটখিটে মেজাজ হওয়া, এসব ব্রেইন টিউমারের দিকেই ইঙ্গিত করে। তবে কেন জানি সিয়র হতে পারছিলাম না। রিয়াদকে দিয়ে আরও কয়েকটা টেস্ট করিয়ে তবেই সিয়র হলাম।”
আমার হাত ধরে রাখা তাসফির হাতটা থেকে থেকে কেমন করে জানি কেঁপে উঠছে। ওনার দিকে তাকানোর সাহসটা পেলাম না আমি। শুধুমাত্র আন্দাজ করে নিলাম। ওনার কণ্ঠটাও আর শুনতে পেলাম না আমি। ড. রিয়াদ বললেন,
“মূলত সিটিস্কানের মাধ্যমেই বিষয়টা ধরা দিয়েছে। মি. তাশরিফ ব্রেইন টিউমারে প্যানিক হবার কোন কারণ নেই। এটা খুবই সাধারণ একটা বিষয়। কিন্তু রোগী এবং তার বাড়ির লোকজন ভয় বা অতিরিক্ত প্যানিক নিয়ে তাদের মনোবল হারিয়ে ফেলে। সেটা নিতান্তই একটা ভুল কাজ। আমরা ডক্টরা কিন্তু এই বিষয়টা খুব নরমাল ভাবেই দেখি।”
এবারও কিছু বললেন না তাসফি, আমিও চুপ করে শুনে গেলাম তাদের কথা। ড. রিয়াদ আবারও বললেন,
“দেখুন, মাথাব্যথা খুবই সাধারণ একটি সমস্যা। যা যেকোনো বয়সীদেরই হতে পারে। মাথাব্যথা নানা কারণেই হয়ে থাকে। তবে সবসময় মাথাব্যথাকে সাধারণ মনে করাটাও একটা বোকামির কাজ। কারণ ব্রেইন টিউমারের অন্যতম একটি লক্ষণ হচ্ছে মাথাব্যথা। তাই তো সাধারণ মাথাব্যথা ভেবে বিষয়টিকে এড়িয়ে যাওয়া মোটেও সঠিক নয়।
কারণ দেরি হয়ে গেলে, প্রাথমিক অবস্থায় টিউমারের বিষয়টি সনাক্ত করা যায় না। এজন্য দীর্ঘদিন ধরে মাথাব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকলে হেলাফেলা না করে বরং দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়া উচিত। এই বিষয়টাতে আপনি সত্যিই এটা ভালো করেছে ওনাকে এনে। অনেকে সাধারণ মাথা ব্যাথা ভেবে একদম সেকেন্ড বা লাস্ট টেজে নিয়ে আসে রোগীকে।”
সেকেন্ডের মতো সময় নিয়ে আবারও বলতে লাগলেন,
“ব্রেইন টিউমার কিন্তু দুই ধরনের হয়ে থাকে। যার একটি হচ্ছে ‘ম্যালিগ্যান্ট’ বা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার এবং অপরটি হচ্ছে ‘বেনাইন টিউমার’। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার প্রাথমিক বা প্রাইমারি টিউমার এবং মেটাস্ট্যাসিস বা সেকেন্ডারি টিউমার এই দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। এদের মধ্যে প্রাথমিক টিউমারের শুরুটি হয় মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে, অপরদিকে মাধ্যমিক টিউমার শরীরের অপর কোনো অংশ থেকে বিস্তৃত হয়ে মস্তিষ্কে আসে যা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় ব্রেইন মেটাস্টাসিস টিউমার নামে পরিচিত। এই নিবন্ধে মূলত মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে যে টিউমারের উৎপত্তি তা নিয়েই লিখিত। মস্তিষ্কের সকল প্রকারের টিউমারের লক্ষণ মস্তিষ্কের টিউমারের অবস্থান অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। মিসেস রামিয়াতের ভাগ্যটা ভালো বলা চলে, ওনার টিউমারটা ‘বেনাইন টিউমার’ মানে ক্যান্সারবিহীন। এটি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় এবং চিকিৎসার পর পূনরায় বৃদ্ধির কোন চান্স নেই। কিন্তু ‘ম্যালিগ্যান্ট’ টিউমারের ক্ষেত্রে পুরোটাই উল্টো। সে ক্ষেত্রে ওনাকে লাকি বলা চলে। খুব ছোট একটা অপারেশনই টিউমারটা অপসারণ করা যাবে। একদম সুস্থ হয়ে যাবেন উনি।”
ড. রিয়াদের কথার আংশিক বুঝতে পারলেও বাকিটুকু বুঝতে পারলাম না। শুধু শেষের কথাগুলোই মাথায় ঢুকে গেল। ছোট একটা অপারেশনই সুস্থ হয়ে যাবো আমি, কিছু হবে না আমার। তাসফির সাথেই কাটিয়ে দিতে পারবো বাকিটা জীবন। এবার তাসফির দিকে তাকালাম আমি। উনিও আমার দিকে তাকালেন। শেষ কথাগুলো শুনে উনিও হয়তো আমার মতোই স্বস্তি পেয়েছেন, যেটা ওনার চোখে মুখে স্পষ্ট দেখতে পারছি আমি। তাসফি ওনাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,
“তাহলে আপনারা দূত চেষ্টা করুন। কি করতে, কোথায় নিয়ে গিয়ে অপারেশন করতে হবে সমস্ত ব্যাবস্থা করুন। টাকা নিয়ে কোন টেনশন করতে হবে না, আপনারা শুধু ওর দূত চিকিৎসার ব্যাবস্থা করুন। আমি শুধু ওকে সুস্থ দেখতে চাই।”
তাসফির কথায় ওনারা চুপ করে থাকলেন কিছুক্ষণ। ড. অসীম বললেন,
“আসলে সমস্যাটা অন্য জায়গায় তাসফি।”
তাসফি আবারও আমার দিকে একবার তাকালেন। তারপর শান্ত সুরে ওনার দিকে তাকিয়ে বললেন,
“কি সমস্যা?”
“সি ইজ প্রেগন্যান্ট।”
.
.
(চলবে…..)
রি-চেক করার সময় পাই নি। ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং ধরিয়ে দেবার চেষ্টা করবেন।🖤