#অবুঝ_প্রেম
পর্ব ১৩
লেখিকা #Fabiha_Busra_Borno
আমি নাস্তা শেষ করে উপরে উঠে আসি,, রুমের দরজা খোলা রেখে, তুর্জ উনাদের থেকে নেওয়া ল্যাপটপে কি যেন করছিলেন। বিষয় টা ক্লিয়ার করার জন্য আমি, চুপিচুপি উনার পিছনে দাঁড়িয়ে আছি। তুর্জ আর তনিমার অনেক ছবি ভিডিও এই ল্যাপটপের স্মৃতিতে আটকে রাখা ছিলো। তুর্জ সেগুলো ফোল্ডার খুঁজে খুঁজে রিমুভ করে দিচ্ছেন। হঠাৎ চোখ আটকে যায় একটা ভিডিওতে। এখানে তুর্জকে মাতাল অবস্থায় দুজন লোক ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। পিছনে তনিমা হেটে যাচ্ছে। ভিডিও টা মাত্র ৭ সেকেন্ডের। পরের ভিডিও তে ক্লিক করতেই লজ্জায় চোখ সরিয়ে নিলাম। পাশ ফিরে আসতেই তুর্জ আমার পায়ের শব্দ শুনতে পেয়ে হকচকিয়ে পিছনে তাকাই। আমি কোন কিছু না বলে বই হাতে নিয়ে বারান্দায় চলে আসছি।
কিছুক্ষণ পরেই তুর্জ এসে আমাকে বলে,, সারা তোমাকে কিছু কথা বলার ছিলো। আমি জানি তুমি না বুঝে আমাকে ভুল ভেবে বসে আছো। সব টা জানলে আমাকে যতটা খারাপ ভাবো ততটা খারাপ আর ভাব্বে না।
আপনার কোন কিছু শোনার বা জানার ইচ্ছে আমার নাই। আর আপনি খারাপ হোন আর ভালো হোন তাতে আমার কিছু যায় আসে না। যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন আপনি।
তাই বুঝি, যা ইচ্ছে তাই করতে পারবো আমি?? তোমার কোন আপত্তি নাই??
হ্যাঁ নাই,, আপনার যা ইচ্ছে করেন,,,
বাকি কিছু বলার আগেই, তুর্জ সারাকে বসা অবস্থা ওইভাবেই কোলে তুলে নেই।
আরে আরেএ কি করছেন ছাড়ুন বলছি,, পড়ে যাবো কিন্তু ছাড়ুন বলছি,,,
চুপ একদম চুপ,, এখনি তো বললা, আমার যা ইচ্ছে তাই করবো। তুমি বাধা দিবা না।তাহলে এখন চিংড়ি মাছের মতো লাগাচ্ছো কেন??
আমি তুর্জের চুলে খামছি দিয়ে বলি, ভালোই ভালো আমাকে ছেড়ে দিন নয়তো চুল গুলো একটা একটা করে তুলে মাথা টাক বানিয়ে দিবো।
তোমার বরকে যদি টাক মাথায় দেখতে ভালো লাগে তাহলে এখনি বানিয়ে দাও কোন প্রব্লেম নাই।
আমার বর,, কে যেন আমার বর, তার নামটা যেন কি ছিলো??
তখনই তুর্জ তার হাতের বাধন আলগা করে দিতেই আমি ভাবছিলাম, মনে আমি ফ্লোরে পড়ে যাবো। আর তুর্জ যে লম্বুর লম্বু উনার কোল থেকে পড়া আর ছাদ থেকে পড়া সমান। নিজেকে নিজেকে এতো উচ্চতা থেকে নিচে পড়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে চোখ বন্ধ করে হাতের সামনে যা পেলাম তাই মুষ্টি বদ্ধ করে ধরে ফেললাম। দুই হাতে তুর্জের চুল গুলো এতো জোরে খামছে ধরলাম যে তুর্জ উউউ শব্দ করে উঠে। কি ব্যাপার? পড়ে গেলাম কিন্তু ব্যাথা পেলাম না কেন? আমি চোখ খুলে দেখি, আমি বিছানায় সুইয়ে আছি আর তুর্জে চুল আমি ধরে ছিলাম বলে সে আমার উপরে ইয়া বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে।
আমি চুলের খামছি ছেড়ে দিয়ে বলি,, সসসরি,, ভাবছিলাম পাঁচতলা বাড়ীর ছাদ থেকে নিচে পড়ে যাচ্ছি তাই নিজেকে বাঁচতে আপনার চুল গুলোকে আশ্রয় করি।
তুমি কি পাঁচতলা বাড়ীর ছাদে ছিলে নাকি আমার কোলে ছিলে??
আপনি যা খাম্বার মতো লম্বু!! আপনি আর আপনার পাঁচতলা বিল্ডিং একই রকম।
তা-ই না? তাহলে এই মশার মতো বডি নিয়ে ক্র্যাশ খাও কোন সাহসে??
আমি উত্তর দেওয়ার আগেই উনার ফোন বেজে ওঠে। উনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে ফোনে কথা বলে। উনি কাউকে বলছেন,, থ্যাংকস,, সরাসরি আমাদের সিক্রেট হাউজে নিয়ে এসো। অনেক বুঝাপড়া বাকি আছে।
উনি ফোন রাখতেই আমি জিজ্ঞেস করলাম,, কার সাথে কথা বললেন,, তনিমার সম্পর্কে কিছু বললেন মনে হয়?
হ্যাঁ,, তনিমা আর ওর হাসব্যান্ডের জামিন করিয়ে নিলাম। ওরা অপরাধ করেছে আমার সাথে তাই ওদের শাস্তি আমি দিবো।
তনিমার হাসব্যান্ড আছে শুনে চোখ দুটো বড় করে ফেলি। আমি শান্ত হয়ে বসে তুর্জকে জিজ্ঞেস করলাম,,, পুরো ঘটনা টা কি আমাকে বলা যাবে??
নাহ তোমাকে তো বলা যাবে না। তুমি না একটু আগে বললা আমার কোন কথা তুমি শুনবা না, তাহলে এখন কেন জানতে চাইছো??
আচ্ছা সরি,, আর বলবো না, আপনার কসম!!
তুর্জ সারার কসমের ধরন দেখে অবাক হয়ে যায়। মনে মনে ভাবছে, এটা কি? মানুষ নাকি অবুঝ পাখি। সে যায় হোক কিন্তু ওর এই অবুঝ প্রেম প্রেম ভাব ভিষণ ভাবে আকৃষ্ট করে তুর্জকে। তুর্জের ভাবনায় তুড়ি মেরে বিঘাত ঘটায় সারা।
সারাক্ষণ এতো কি ভাবেন,, বলবেন না আমাকে?
সারাক্ষণ সারার কথা ভাবি। যদি শুনতে চাও তাহলে রাতে স্পেশাল কিছু দিতে হবে! রাজি আছো।
তুর্জের এমন দুষ্টুমি কথার কারণে সারা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে। লজ্জার রেশ কাটাতে চুপচাপ বই নিয়ে বসে পড়ে। তুর্জ রেডি হয়ে বেড়িয়ে পড়ে। তুর্জের ড্রাইভার হামিদ আবারও তুর্জকে ফোন করে বলেন,, সিক্রেট হাউজে অপেক্ষা করছেন। তুর্জ ১০ মিনিটের মধ্যে এসে পৌঁছে যাবেন বলে ফোন রেখে দেন।
অন্ধকার ঘরে চোখ,হাত, পা, মুখ, বাধা অবস্থা বসে আছে তনিমা আর তার হাসব্যান্ড রাকিব। তুর্জ ভিতরে এসেই চোখের ইশারায় সব গার্ডদের বাইরে পাঠিয়ে দিলেন। তারপর রুমের লাইট জ্বালিয়ে তনিমার খুব কাছে চলে যায়। তুর্জের পায়ের শব্দ শুনে তনিমা আর রাকিব জিজ্ঞেস করে!! কে আপনি, কেন আমাদের জামিন করিয়ে এখানে বন্দী করে রেখেছেন?
তনিমা ফর্সা মায়াবী চেহারায় কালো রঙের কাপড় দিয়ে চোখ বাধার জন্য ঠোঁট দুটো অসাধারণ সুন্দর লাগছে। তুর্জের বারবার ইচ্ছে করছে ঠোঁট দুটো দখল করে নিতে। কিন্তু তনিমার নাগিন চরিত্রের কথা গুলো মনে হতে রাগ জেকে ধরে তুর্জকে।
পকেট থেকে পিস্তল বের করে তনিমার নাকে ঠেকিয়ে তা আস্তে আস্তে ঠোঁটে তারপর গলায় ছুঁইয়ে দিতে থাকে। তনিমা বারবার জিজ্ঞেস করেছে কে? কে আপনি?
তুর্জ তার ডান হাতের আঙুল দিয়ে তনিমার ঠোঁট চেপে ধরে, তারপর পুরো হাতের তালু আঙুল দিয়ে তনিমার গালে আঁকিবুঁকি করতে থাকে। তারপর হাতটা আলতো করে মাথার পিছনে হেয়ার ব্যান্ড দিয়ে স্টাইল করে বেধে রাখা চুলের মুঠি চেপে ধরে বলে,,,
আমার সুইটহার্ট, এতো তারাতাড়ি আমার স্মেইল তোমার নাক থেকে চলে গেছে? তুমি না বলতা,, তোমার ভালোবাসা আকর্ষণে আমার স্মেইল না এক কি মি দূরে থেকে তোমার নাকে যায়!! তাহলে আজ কেন তোমার নাক সেই স্মেইল টা নিতে পারছে না।
তুর্জ তনিমার চুল গুলো ধরে চেয়ার সহ ঠেলে নিচে ফেলে দেয়। তারপর বলে,, তোর এই রুপ আর ছলনাময়ী কথা ছলে আমার ৫ টা বছর নষ্ট করেছিস। আজ তোর এমন অবস্থা করবো যেন তোর দিকে কেউ ফিরে না তাকাই।
তুর্জ আমাকে ক্ষমা করো,, আমার ভুল হয়ে গেছে। প্লিজ এমন করো না!!
ক্ষমা!!? আর তোকে,, তোকে যদি ক্ষমা করি তাহলে তুই আবারও আমার মতো আরো অনেক ছেলেকে তোর মিথ্যা ভালোবাসার জালে ফাসিয়ে তাদের সর্বশান্ত করার প্ল্যান করবি। প্রতি সপ্তাহে সপ্তাহে হাজার হাজার টাকার শপিং, ফাইভস্টার, থ্রিস্টার রেস্টুরেন্টে লান্স,ডিনার,, মাসে মাসে কত হাজার টাকা তোর পিছনে ঢেলেছি তার শেষ নেই। টাকা গুলো যদি একটা এতিমিখানায় দিতাম তাহলে মিনিমাম ১০০০ বাচ্চাদের ৫ বছরের খাবার হতো।
আর তুই!! কুউত্ততার বাচ্চা,, তোর মতো নোংরা মানুষ আমি জীবনেও দেখিনি,,শুধু মাত্র টাকা আর আমার প্রোপার্টির জন্য নিজের বউ কে দিনের পরে দিন এভাবে আমার পিছনে লেলিয়ে দিতে তোর একটুও খারাপ লাগে নি?? তুই তোমার নোংরা চোখ দিয়ে সারার দিকে কু নজরে তাকিয়েছিস, এই হাতে আমার সারাকে স্পর্শ করেছিস, এই জিভ দিয়ে সারা কে নিয়ে বাজে বাজে কথা বলেছিস,,এগুলো কেটে আমি যত্ন করে রেখে দিবো।
তনিমা আর রাকিব দুজনেই প্রাণ ভিক্ষা চাইতে চাইতে গলা শুকিয়ে ফেলার উপক্রম। তুর্জ ওদের সামনে একটা বেতের তৈরি রকিং চেয়ারে বসে দুজন গার্ড কে ডেকে বলেন,,
৪ টার আগে, এক বোতল এসিড জোগাড় করে দিবি।
তনিমা তখনই প্রাণপণে চেষ্টা করে তুর্জের কাছে আসতে,, তারপর বারবার রিকুয়েষ্ট করতে থাকে যেন এমনটা না করে। তুর্জ নিশ্চিত মনে ফোন থেকে ওদের সেই ফ্ল্যাটভিডিও দেখিয়ে বলে,,, কিভাবে এতো আয়োজন করেছিলি? আমার বিশ্বাস গুলোর কোন মর্যাদা ছিলো না তোর কাছে,, এই বিশ্বাস ভাঙার শাস্তি দিতে না পারলে আমি শান্তিতে থাকতে পারবো না।
অন্যদিকে আজ তুর্জের মায়ের প্রেশার হাই হয়ে গেছে। তাই উনাকে প্রেশারের ঔষধ খাইয়ে দিয়ে রেস্ট করতে বলে সারা। আপাতত আজকের রাতের রান্না সারাকে করতে হবে কারণ ময়নার বোনের বিয়ে কাল, তাই ময়না আজ সকালে চলে গেছে। আগামী ৪/৫ দিন সে কাজে আসবে না। সারা ছোট ছোট রান্না করতে পারে কিন্তু বড় বড় রান্না করার কথা কখনো চিন্তাও করে নি।
রান্না ঘরে বসে সারা চিন্তা করছে কি দিয়ে কি দিয়ে কয় রকম রান্না করবে সে, তার চিন্তা এতো গভীর যে সেই দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেছে এখন, কিন্তু সারা চিন্তা শেষ হচ্ছে না। আসলে সারার চিন্তা ইউনিক কিছু রান্না করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেওয়া। যা এখন পর্যন্ত কেউ কখনো খায় নি এমন সুস্বাদু খাবার রান্না করবে সে। সে রান্না ঘরে অনেক রকম সবজি দেখেছে। ফ্রিজে গরুর মাংস আছে নাকি দেখার চেষ্টা করে। কিন্তু কাচা বা রান্না করা মাংসের কালার দেখে সে কখনোই বুঝতে পারে না এটা কিসের মাংস। একমাত্র তার সামনে যদি জবাই করা হয় তাহলেই শুধু বুঝে সেটা কিসের মাংস।
অনেক চিন্তা হয়েছে। আরো চিন্তা করতে থাকলে আজকে আর রান্না হবে না। মা ভাগ্যিস ঘুমিয়ে ছিলেন নয়তো এই চিন্তার চোটে না খেয়ে থাকতে হতো অসুস্থ মানুষটাকে। একটু পরেই বাবা অফিস থেকে বাসায় আসবে তাই আর দেরি না করে কাটাকুটাতে হাত লাগায় সারা। এক পোটলা মাংস বের করে,, কিসের মাংস তা দেখার সময় নাই। মাংস গুলো ভিজিয়ে দিয়ে,, টাটকা পালংশাক পরিষ্কার করে বেঁছে নিতে শুরু করে। পালংশাক বাছাইয়ের পরে আদা রসুন এবং অন্যান্য মসলা খুঁজে বের করে। অনেক গুলো গুড়ো মসলা বিভিন্ন বয়ামে ভরে রাখা আছে। সারার ধারণা রান্না ঘরে যা থাকে সব কিছুই রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয়। তাই প্রতিটি বয়ামে যা কিছু আছে সব গুলো এক একটা মসলা হবে।
তুর্জ এসিড এর বতোল ভালো ভাবে ঝাকিয়ে তনিমার ডান হাতের উপর নিজের পা রেখে দাঁড়িয়ে আছে। এতো বিশাল দেহের একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ কারো হাতের উপর এভাবে দাড়ালে কি অবস্থা হতে পারে তা আপনারা একটু ভাবুন। তনিমা ব্যাথায় আঙুল গুলো টান টান করে চিৎকার করছে। তুর্জ শান্ত ভাবে বোতলের মুখ খুলে তনিমার একটা আঙুলের উপর ভিজিয়ে দেওয়ার পরে পা সরিয়ে নেয়। সাথে সাথে তনিমার চিৎকারে পুরো রুমে প্রতিধ্বনি হতে শুরু করে। রাকিব এমন ভয়ানক শাস্তির নমুনা দেখেই ভয়ে কাপটি মেরে বসে আছে। সে বুঝতে পারছে তাদের অবস্থা এখন কি হবে।
তনিমার আঙুলের মাংস গুলো খসে খুসে পড়ে যাচ্ছে। এতো চিৎকার করছে যে তুর্জ কিছুক্ষণের জন্য বাইরে চলে আসে। আসার সময় রাকিব কে বলে আসে, প্রথম শাস্তি ভোগ করার জন্য সে যেন প্রস্তুত থাকে।
সারার কাটাকাটির মাঝে মনে হয়,, ইশ আজ যদি কোন স্পেশাল বিরিয়ানির সাথে স্পেশাল মাংসের রেসিপি করি তাহলে সবাই আমার ট্যালেন্ট দেখে বাহব্বাহ দিবে। সে ইউটিউব দেখে কয়েক রকম বিরিয়ানির রেসিপি শিখে নিয়েছে। কিন্তু তাদের মতো রান্না করলে তো সারা তাদের মতোই হয়ে যাবে। তাই সে সব রকম বিরিয়ানির সিস্টেম এক রকম বিরিয়ানিতে এপ্লাই করবে। প্রায় সব গুলো রেসিপিতে দেখেছে,, বিরিয়ানি বেশ কিছু সময় হালকা আঁচে চুলার উপর রাখতে হয়। তাই সারা মনে মনে স্থির করে, প্রথমে বিরিয়ানি রান্না করে চুলার উপর রেখে সেই ফাঁকে মাংসের জন্য পেয়াজ কাটা থেকে শুরু করে সব মসলা বেটে নিবে।তাই কাটাকাটি বাদ দিয়ে সে আগে বিরিয়ানির চালের সাথে কিছু ভাতের চাল মিশিয়ে ভালো করে ধুঁয়ে নিচ্ছে। পুরাই ইউনিক রান্না বলে কথা, তাই চাল গুলো দু রকম নিলো,কারণ সবাইকে দেখেছে একরকম চাল নিতে।
বিরিয়ানিতে পেয়াজ খুব পাতলা করে কাটা দেখেছে প্রতিটি ভিডিওতে।কিন্তু সারা চাইলেও পেয়াজ কাটতে পারছে না। অনবরত চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। তাই এক গাদা পেয়াজ উপরের খোসা সহ ব্ল্যান্ডারে দিয়ে ব্ল্যান্ড করে নেয়। পেয়াজের উপরের খোসার জন্য পেয়াজের পেস্ট গুলোর কালার টা জোশ লাগছে। একইভাবে আদা রসুন সহ হাতের সামনে যা যা পেয়েছে সব কিছু ব্ল্যান্ডারে দিয়ে কাটাকুটির কেল্লাফতে করে দিয়েছে। এমন ওয়েস্টার্ন যুগে কেউ এইসব হাতে কাটাকুটি করে নাকি??আজকের রান্নার শেষে আমিও একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলবো। নাম দিবো, #সারা_বেলা_রান্না_ঘরে উউফফ চ্যানেল নামটাও একদম ইউনিক হিহিহিহি।
চলবে,,,