#মেঘের_শহর
#পর্ব_২১
Saji Afroz
.
মেঘের সারা শরীর কাঁপছে। চারদিক টা অন্ধকার দেখছে সে। সেই অন্ধকারেও সে খুঁজে বেড়াচ্ছে তার হুরায়রা কে।
আংটি হাতে মেঘ দাঁড়িয়ে রইলো। এদিকে মিন্নী তাকে তাড়া দিলো তা পরিয়ে দেয়ার জন্য।
আচ্ছা! এটা তো মজাও হতে পারে। হতে পারে মেঘ আংটি পরানোর সময় এই মেয়েটি হাত টি সরিয়ে ফেলবে। আর পেছনে দাঁড়িয়ে থাকবে তার হুরায়রা!
সকলে এক সাথে হেসে বলে উঠবে-
মজা করছিলাম আমরা।
.
কিন্তু হুরায়রা অভিমানী সুরে বলবে-
ওই মেয়ের হাতে আংটি পরাচ্ছিলে কেনো?
.
আর মেঘ দুষ্টু একটা হাসি দিয়ে বলবে-
ওই মেয়েটা তোমার থেকেও সুন্দরী তো তাই।
.
এরপর হুরায়রা মেঘের বুকে কিল-ঘুষি মারতে মারতে বলবে-
যাও যাও যাও। ওকেই বিয়ে করো।
.
-ভাইয়া আংটি পরাও!
.
মিন্নীর কথায় ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে এসে, কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছে নিলো মেঘ।
কাপাকাপা হাতে আংটি টা পরিয়ে দিলো সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির আঙ্গুলে।
কিন্তু এ কি! সকলে তালি দিয়ে উঠলো।
মেয়েটি সরলো না, তার হুরায়রাও আসলো না।
এরপর মেয়েটিও আংটি নিয়ে মেঘের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো।
নাহ আর অপেক্ষা করতে পারছে না মেঘ। সে বলেই ফেললো-
হুরায়রা কোথায়?
.
যে প্রশ্ন টা শুনে সকলে তার দিকে বিস্ময় চোখে তাকালো।
জাফর শেখ বললেন-
এ কেমন প্রশ্ন?
-এটা কেমন মজা আঙ্কেল? সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি তো হুরায়রা নয়।
.
জাফর শেখ হেসে বললেন-
হ্যাঁ ও হুরায়রার ভুত।
.
তার কথা শুনে সকলে হেসে উঠলে মেঘ গম্ভীর কণ্ঠে বলল-
আমি এই মেয়ে কে চিনি না। ও হুরায়রা নয়।
.
মেঘের কণ্ঠস্বর শুনে সকলে চমকে গেল। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির চোখে পানি চলে এল। তা দেখে মিন্নী তার কাঁধে হাত রেখে বলল-
ভাইয়া নিশ্চয় মজা করছে ভাবী।
-আমি মজা করছি না। আর এই মেয়ে তোর ভাবী নয়।
.
বেলী শেখ কান্নাজড়িত কণ্ঠে বললেন-
এইরকম বলো না বাবা। আমার মেয়েটা এতদিন পরে বিয়েতে রাজি হয়েছে। আর তুমিই তো ওকে বিয়ে করতে চেয়েছিলে। তাই না বলো?
-না, আমি ওকে বিয়ে করতে চাইনি।
.
এবার মেয়েটি নিজেকে আর সামলাতে পারলো না। কাঁদতে কাঁদতে ছুটতে লাগলো সে। তার পিছু নিলেন বেলী শেখ।
জাফর শেখ রেগে গিয়ে বললেন-
তোমার সাহস কি করে হয় আমার মেয়ে কে কাঁদানোর? এই নাটকের মানে কি মেঘ?
.
অন্তরা আহম্মেদ নরম স্বরে বললেন-
জাফর ভাই সাহেব। আমি একটু মেঘের সাথে কথা বলি। আমিও কিছু বুঝছি না!
-ঠিক আছে বলুন আপা। নিজে বুঝুন আর আমাকেও বোঝান।
.
অন্তরা আহম্মেদ ছেলের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন-
এসব কি হচ্ছে? তুই যা চেয়েছিস তা হচ্ছে৷ এখন এসব নাটকের মানে কি?
-মা আমি নাটক করছি না। আমি যে মেয়েটিকে ভালোবেসেছি এই মেয়েটি সেই মেয়ে নয়।
-মানে?
-হ্যাঁ মা।
-আমি কিছু বুঝছি না।
-আমিও বুঝছি না। হুরায়রার পিছু নিতে নিতে এই বাড়ির সামনে চলে এসেছিলাম। তখনি দেখেছি হুরায়রা কে এই বাড়িতে প্রবেশ করতে। কিন্তু ওই হুরায়রা এই হুরায়রা নয়।
.
জাফর শেখ বললেন-
সে যেই হুরায়রাই হোক। এই বিয়ে তো তোমাকে করতেই হবে। নাহলে আমি আইনের সহায়তা নিতে বাধ্য হব।
-নিন। তবে। আমি যাকে ভালোবাসি না তাকে কেনো বিয়ে করতে যাব! আমার হুরায়রা কে খুঁজতে হবে।
.
মেঘ চলে যেতে চাইলে তিনি তার পথ আটকালেন। আচমকা তার চোখে পানি চলে এল।
হাতজোড় করে তিনি বললেন-
আমার মেয়েটা মানসিকভাবে অসুস্থ। ওকে আরো অসুস্থ করো না। প্লিজ ওর মন টা ভেঙ্গে দিও না।
.
মেঘ তার হাত ধরে বলল-
আপনি প্লিজ বোঝার চেষ্টা করুন। আমার পক্ষে সম্ভব নয় এটা।
.
শত অনুরোধ করার পরেও মেঘ রাজি না হলে তিনি বাড়ির চাকর সহ দারোয়ান কে ডাকলেন।
কর্কশ কণ্ঠে বললেন-
এখুনি এই ছেলে কে বেঁধে রাখো। আজ শুধু এনগেজমেন্ট নয়। আজই বিয়েটা হবে এদের।
.
অন্তরা আহম্মেদ বললেন-
জোর করে বিয়ে দিবেন?
-হ্যাঁ, তাই দিব। এই ছেলে যা বলবে আমি কিভাবে বিশ্বাস করে নিব! ওর নাটক আমার সাথে চলবে না। আমার মেয়েকেই ওর বিয়ে করতে হবে।
-থামো তোমরা!
.
পেছনে ফিরে হুরায়রা দেখে সকলে শান্ত হয়ে গেল। গম্ভীর ভাবে মেঘের সামনে এসে সে বলল-
আপনি যার কথা বলছেন সে কোন ভার্সিটির ছাত্রী?
-আনন্দ নগর।
-আমি ওই ভার্সিটি তে পড়ি না। আপনি কি প্রায় ওর পিছু নিতেন?
-হ্যাঁ। শেষ দিন এই বাসাতেই তাকে প্রবেশ করতে দেখি।
-তার মানে ইচ্ছে করেই সে এই বাসায় প্রবেশ করেছিল। যাতে আপনি মনে করেন তার বাড়ি এটা।
.
জাফর শেখ বললেন-
তুই এসব কি বলছিস মা? এসব বলার তোর দরকার নেই। তোর মেঘ কে পছন্দ তো? ওকেই তোর সাথে বিয়ে দিব আমি।
.
হুরায়রা বাবার দিকে তাকিয়ে বলল-
আচ্ছা বাবা একটা প্রশ্নের উত্তর দাও তো।
-কি?
-তোমরা কি আমার কোনো ছবি মেঘ কে দিয়েছিলে বা দেখিয়েছিলে?
-আপা কে দিতে চেয়েছিলাম। নেননি।
-তাহলে উনি যা বলছেন তা সত্য। এটা পুরাটায় কাকতালীয় ঘটনা। যেটা অঘটনও বলা যেতে পারে। উনার ভালোবাসার মেয়েটি আমি নয়।
-হুরায়রা!
-হ্যাঁ বাবা। আমি কেনো রাজি হয়েছি জানো? কারণ তুমি আমাকে কেবল বিয়ের কথায় বলতে। যাদের সাথে বলতে তারা অপরিচিত ছিল। হুট করে কেউ যখন আমাকে ভালোবেসেছে শুনেছি, আমার পিছু নিয়েছে শুনেছি অন্য রকম ভালোলাগা জন্ম নিয়েছিল মনে। মেঘের ছবি দেখেও ভালো লেগেছিল আমার। আমাকে কেউ এত ভালোবাসে, তাকে আমি হাতছাড়া করতে চাইনি। কিন্তু এখন যখন শুনলাম সে আমাকে ভালোই বাসেনা…
.
কথাটি বলে হুরায়রা দীর্ঘ একটা শ্বাস ফেলে বলল-
আমি এই বিয়ে টা করতে চাইনা বাবা। উনাদের যেতে দাও।
.
বেলী শেখ শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ ঢেকে কাঁদতে লাগলেন।
হুরায়রা তার পাশে এসে দুহাত ধরে বলল-
মা, তোমরা যাকেই বিয়ে করতে বলবে আমি করব। সত্যিই করব।
.
মেয়েকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি।
মেঘ হাসিমুখে বলল-
ধন্যবাদ হুরায়রা।
.
.
.
পার্ক থেকে সোজা অনাথ আশ্রমে গিয়েছিল জিকো। ক্লাস করিয়ে বাড়িতে ফিরে আসলো সে।
আজ পরশ মানসিক ডাক্তার শুনে তার সাথে বেশিক্ষণ সে কথা বলেনি। হুট করেই উঠে পড়েছিল। আসার সময় পরশ তাকে নিজের কার্ড টা দেয়।
এখন মনে হচ্ছে এই কাজটি করা তার উচিত হয়নি। একমাত্র পরশই তাকে বুঝতে পেরেছিল। তার কাছে হয়তো বা এর একটা সমাধান সে পেত!
পকেট থেকে কার্ড টি বের করলো জিকো। ভাবতে লাগলো পরশ কে ফোন দিবে কি না সে।
.
.
.
আজও ছোঁয়া কে ভুলতে পারেনি পরশ। অবশ্য অন্তর থেকে যাকে ভালোবাসা যায় তাকে কি এত সহজেই ভোলা যায়?
মা তো অনেক আগে থেকেই বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে যাচ্ছে। যখন তারা ছোঁয়ার কথা শুনেছিল কতই না খুশি হয়েছিল! কিন্তু হুট করেই তাদের সব খুশি বিলীন হয়ে গেল। জানতে পারলো তার পছন্দের মানুষ টি অন্য কাউকে ভালোবাসে৷ পরশ নিজে দায়িত্ব নিয়ে তার বিয়ের সমস্ত আয়োজন করেছে। চেয়েছে ভালোবাসার মানুষ টি সুখে থাকুক। কিন্তু কি হলো! সেই রাতেই না ফেরার দেশে চলে যায় ছোঁয়া।
দুই বছরেরও বেশি হতে চলেছে। ছোঁয়ার স্মৃতি এখনো তাড়া করে বেড়ায় পরশ কে। হাজারো যন্ত্রনা বুকে চেপে রেখে মা বাবার জন্য বেঁচে আছে সে। করে যাচ্ছে স্মৃতি তে ছোঁয়ার বন্দনা!
.
একঘেয়েমি জীবনে একটু শান্তির জন্য আনন্দ নগরে এসেছে সে। একবার ভেবেছিল বিষণ্ণ শহরে যাবে। কিন্তু বিষণ্ণ মন নিয়ে ওই শহরে গেলে শান্তি পাবে কিভাবে? তাই আনন্দ নগরেই আসা।
আনন্দ নগরের সৌন্দর্য দেখে সে মুগ্ধ। প্রথম বারের মতো আসা হয়েছে এখানে। এই শহরের মানুষ গুলোও বেশ ভালো। মনে হচ্ছে এখানে এসে ভুল করেনি সে।
পরশ রিকশায় বসে আছে। রিকশা চালক কে বলেছে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য, যেখানে গেলে কিছুক্ষণের জন্য সে কেবল তার প্রিয় মানুষের উপস্থিতি উপলব্ধি করতে পারবে।
রিকশা চালক ছেলেটি বয়সে ছোট। পরশের কথা শুনে একগাল হাসি নিয়ে বলল-
ভাইজান আপারে ডাক দিলেই তো পারেন।
-থাকলেই তো দিব।
-কই আপা?
-না ফেরার দেশে।
.
সাথে সাথে ছেলেটির মুখের হাসি গায়েব হয়ে গেল। পরশের দুঃখে দুঃখিত হলো সে।
যা দেখে পরশের ভালো লাগলো। আপন না হয়েও কেউ কারো দুঃখে সহানুভূতি দেখালে ভালোই লাগে।
খানিকবাদে রিকশা থামলো। রিকশা চালক বললেন-
একশো টা টাকা দেন ভাইজান। জায়গা টার নাম নীল বাগান।
-নীল বাগান?
-হ্যাঁ। এখানে যে নীল ফুল আছে যা আর কোথাও পাওয়া যায়না। এই জায়গা তে আপারে দেখতে না পাইলে টাকা ফেরত দিব।
-আচ্ছা! তুমি বুঝি টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আমার জন্যে অপেক্ষা করবে?
.
ছেলেটি হাসলো। পরশ তার দিকে ১৫০টাকা বাড়িয়ে দিয়ে বলল-
তোমাকে বিশ্বাস করলাম। তাই খুশি হয়ে ১৫০দিলাম।
.
ভাড়া চুকিয়ে সামনে হাঁটতে লাগলো পরশ। খানিকটা সামনে আসতেই বিশাল এক মাঠ চোখে পড়লো।
যতদূর চোখ যায় কেবল নীল রঙের ফুল দেখা যাচ্ছে। এই ফুলটার নামই বুঝি নীলাশা!
পরশ ফুলের বাগানের মাঝে চলে এল। কোথাও লেখা নেই যে ফুল ছেড়া যাবে না। তবুও সে ফুল ছিড়লো না। ফুলের কাছে নিজের নাক টা নিয়ে ঘ্রাণ নিলো। ঘ্রাণ নাকে আসতেই চোখ বন্ধ করে ফেললো সে। অসাধারণ!
চোখ খুলতেই সামনে নীল শাড়ি পরিহিতা পেছনে ফেরা এক মেয়েকে দেখতে পেল সে। যাকে চিনতে ভুল হলোনা তার।
নিজের অজান্তেই মুখ থেকে তার একটি শব্দ বেরিয়ে এল-
ছোঁয়া!
.
সাথে সাথে মেয়েটি ঘুরে তার দিকে তাকালো। হ্যাঁ মেয়েটি আর কেউ নয়। তার ছোঁয়া!
পরণে নীল শাড়ি, হাতে নীল চুড়ি, কানে নীল ঝুমকো, আর খোপায় নীলাশা ফুল!
দারুণ লাগছে দেখতে তাকে। পরশের দিকে তাকিয়ে হেসে যাচ্ছে সে। পরশ স্থির তাকিয়ে আছে তার দিকে। তার ছোঁয়ার দিকে!
.
নানারকম চিন্তা করে পরশের নাম্বারে ডায়াল করলো জিকো।
ফোনের রিংটোন বেজে উঠতেই কল্পনার জগত থেকে বেরিয়ে এল সে। নিজের মনে হেসে ফোন রিসিভ করলো। ওপাশ থেকে জিকো বলল-
আমি জেসিকা মানে জিকো বলছিলাম।
-সকালে যার সাথে দেখা হয়েছিল?
-হ্যাঁ।
-জি বলুন কি বলবেন।
-আপনি ছাড়া আমার কথা কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি। এখন আপনি কি এর কোনো সমাধান দিতে পারবেন? আমি আবার ছেলে হতে চাই।
-আপনাকে তো আমি সরাসরি দেখেছি। মনে হয় না কোনো চিকিৎসায় আপনি আগের রূপ ফিরে পেতে পারেন। যদিও আমি এসব বিশ্বাস করিনা। কিন্তু আপনার ব্যাপার টা আমার স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না।
-যেমন?
-মনে হচ্ছে এটা কোনো অভিশাপ বা জাদুর দ্বারা হয়েছে। কারণ এক রাতে শারীরিক পরিবর্তন হলেও চুল লম্বা হয় না। এখন আপনিই বলতে পারবেন আপনি কার সাথে কি ধরনের অন্যায় করেছেন, যার কারণে এই শাস্তি পেতে হচ্ছে আপনাকে।
.
ছোট্ট একটা নিশ্বাস ফেলে সে বলল-
অন্যায় তো অনেকের সাথেই করেছি।
-যেমন?
-ইভটিজিং করতাম, মানুষের টাকা মেরে দিতাম, মেয়েদের দূর্বলতা নিয়ে হাসিতামাশা করতাম।
-যেদিন রাতে ছেলে হয়েছেন সারাদিন কি কি করেছেন মনে আছে?
.
জিকো নিশ্চুপ। সে ভাবছে। পরশ বলল-
মনে করুন।
-সকালে ন্যাপকিন কেনা অবস্থায় এক মেয়ে কে নিয়ে হাসিতামাশা করেছি।
-এছাড়া আর কি কি করেছেন?
-সারাদিন কাজে ব্যস্ত ছিলাম। তবে রাতে…
-কি?
-বন্ধুদের সাথে মদ খেয়েছি।
-এসবও করেন আপনি!
.
খানিকটা লজ্জা পেয়ে জিকো বলল-
জি।
-তারপর?
-তারপর কিছু করিনি। বাসায় এসে ঘুম দিয়েছি।
-ঘুম থেকে উঠেই আপনি মেয়ে হয়ে গিয়েছিলেন তা দেখেছেন?
-হ্যাঁ।
-এর সাথে আর কোনো অস্বাভাবিক কিছু কি ঘটেছে? যার কারণ আপনার জানা নেই?
-নাহ।
-ওহ।
-হ্যাঁ মনে পড়েছে। আমার হাঁটুর উপরে রক্ত লেগে ছিল।
.
পরশ হেসে বলল-
মাতাল অবস্থায় আপনি নিশ্চয় কিছু করেছেন। যার কারণে আপনার আজ এই অবস্থা।
মাতাল অবস্থায় কার সাথে কি করেছেন তা মনে করুন আপনি। একমাত্র সেই আপনার এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
আপনার চিকিৎসায় কোনো লাভ হবে না। একমাত্র সেই ব্যক্তি টাকেই প্রয়োজন আপনার, যে আপনার এই অবস্থা করেছে।
.
.
.
আজ হুরায়রার সাথে মেঘের এনগেজমেন্ট হয়েই গেল। মেঘ নিশ্চয় অনেক খুশি!
চিঠি হাতে মেঘের বাড়িতে আসলো সাইয়ারা। উদ্দেশ্য মেঘের কোনো একটা বই এ চিঠি টা রেখে দিবে। এ শহরে সে আর থাকবে না। চলে যাবে নিজের গ্রামে। কিন্তু মনের কথাটা মেঘ কে জানাবে। জানাবে সাইয়ারা নামের কোনো এক মেয়ে তাকে ভীষণ ভালোবাসে।
কিন্তু এখানে এসে মিন্নীর মুখে আজকের ঘটনা শুনে সে অবাক হলো। মেঘের রুমে এসে জিজ্ঞাসা করলো এসব সত্যি কি না। মেঘ বলল-
হ্যাঁ।
-তাহলে হুরায়রা কোথায়!
-আমিও এটা ভাবছি। আচ্ছা তুমি কি আজ ক্লাসে গিয়েছিলে?
-নাহ।
-হুরায়রা আজ গিয়েছিল কি না জানা যাবে?
-হ্যাঁ।
.
সাইয়ারা তার বান্ধবী কে ফোন করে জানলো, আজও সে আসেনি।
মেঘ হতাশকণ্ঠে বলল-
কোথায় আমার হুরায়রা!
-চিন্তা করবেন না। নিশ্চয় চলে আসবে। আর ক্লাসে আসলেই আমি আপনাকে খবর দিব।
.
মেঘ নিশ্চুপ। সাইয়ারা বলল-
হতাশ হবেন না। হুরায়রা কে নিশ্চয় খুঁজে পাবেন আপনি।
.
চলবে
.
বি:দ্রঃ খুব দ্রুত নতুন বই (বিষাক্ত প্রজাপতি) এর পান্ডুলিপি জমা দিতে হবে। তাই নিয়মিত গল্পটা দিতে পারছি না। বই এর লেখা শেষ করতে আমার সময় প্রয়োজন। আশা করি কেউ রাগ করবেন না। পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। 💕