সে_আমার_চিত্তমহলের_প্রেয়সী #সাবিকুন্নাহার_সুমী #রাজনীতি+রোমান্টিক #পর্ব:৯

0
649

#সে_আমার_চিত্তমহলের_প্রেয়সী
#সাবিকুন্নাহার_সুমী
#রাজনীতি+রোমান্টিক
#পর্ব:৯
(🚫দয়া করে কেউ কপি করবেন না। কপি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ 🚫)
——সাবিহাদের বিল্ডিং এর ছাদে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে নাবহান আর সাবিহা। একপ্রকার ঝুঁ*কি নিয়ে নিজেদের ছাদ টপকে সাবিহাদে’র ছাদে এসেছে নাবহান।পাশাপাশি বিল্ডিং হওয়ায় খুব সহজেই সে আসতে পেরেছে।সাবিহা’র নিত্যদিনে’র জ্বালা*তনে নাবহান ছাদে আসা একপ্রকার বন্ধ করে দিয়েছিল।নিজেদের বাগানে ব্যায়াম করত সে।গতকাল রাতে সাবিহা’র লাভ লেটার নামক হু*মকি স্বরপ চিঠি পড়ে, নাবহান তাড়াহুড়ো করে নাদমানের রুম থেকে নিজের রুমে চলে এসেছিল।তখন’ই, সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সকালেই সাবিহাকে কষিয়ে দুই গালে দুইটা থা*প্পড় দিবে।কতবড় সা*হস মেয়ে’র! তারই, বড় ভাইয়ের মাধ্যমে তাকে হুম*কি স্বরপ চিঠি পাঠায়!ভুলক্রমে, চিঠিটা যদি তার বাবা দেখে ফেলতো তাহলে কি হতো?নির্ঘাত ওর বাবা অনেক বকা*ঝকা করত।সাবিহা মুগ্ধ নয়নে তার ভালোবাসার মানুষকে দেখছে।প্রথম যেদিন নাবহানকে ছাদে দেখেছিল, তখনই অষ্টাদশীর চিত্তে ভালোবাসা কড়া নাড়ে।প্রতিদিন এর মতো আজও সাবিহা, নাবহান এর অপেক্ষায় ছাদে পায়চারি করছিল। তার, অগাধ বিশ্বাস ছিল নাবহান আসবে।তার, বিশ্বাসকে সত্যি করে দিয়ে নাবহান এসেছে।

নাবহান বাজ*খাঁই কন্ঠে সাবিহাকে বলল,
~এই বে*য়াড়া পিচ্চি, আমার ভাই আর আমার মধ্যে পার্থক্য করতে পারো না।আবার আমাকে ভালোবাসি বলতে আসো!তোমার গালে কষিয়ে থা*প্পড় মা-রা উচিত।

সাবিহা মুখ ভেং*চি দিলো।
~অর্ধেক শরীর দেখানো ব্যাটা মানুষকে
না চিনার কি আছে?আমি ইচ্ছে করেই আমার বান্ধবীকে দিয়ে নাদমান ভাইয়াকে চিঠিটা দিয়েছি। আপনি-তো পা*লিয়ে বেড়াচ্ছেন।

নাবহান কপাল কুঁ*চকে প্রশ্ন করল,
~কি!আমি অর্ধেক শরীর দেখানো ব্যাটা মানুষ?

~সন্দেহ আছে? অফিস ব্যতীত যখন দেখি তখন-ই তো হাফপ্যান্ট পড়া অবস্থায় দেখি।আর ছাদে এসেই তো খালি শরীরে আশেপাশের ছাদের মেয়েদের বডি দেখিয়ে বেড়ান।
শোনে, রাখেন বিয়ের পর এসব হাফপ্যান্ট পড়া যাবেনা।আমার হবু ভাসুর এর মতো সুশীল হতে হবে।

এই, কথা শুনে নাবহানের ইচ্ছে হলো সাবিহাকে ছাদ থেকে ধা*ক্কা দিয়ে ফেলে দিতে।সে হাফপ্যান্ট পড়ে! এই পিচ্চি তাকে অপমান করল! কত বড় সাহস এই মেয়ের!একদম বিয়ে পর্যন্ত চলে গিয়েছে ভাবা যায়!
নাবহানে’র রা*গ তরতর করে বাড়ছে।হাঁটুর বয়সী একটা মেয়ে তাকে যা নয় তা বলে অপমান করছে।

~এই মেয়ে আমি তোমাকে খু*ন করবো।

সাবিহা মৃদুস্বরে বলল,
~আমি আপনার প্রেমে কবেই খু*ন হয়েছি।আর, হাজারটা নাদমান ভাইয়া’র মাঝেও আমার আপনাকে
চিনতে ভুল হবে না।

~বেয়া*দব পিচ্চি তোমার সাথে মিট করাটাই আমার ভুল হয়েছে।

নাবহান আর বাক্য ব্যয় করল না।সে স্থান ত্যাগ করল।এখানে থাকলে রাগের মাথায় কোন অঘটন ঘটিয়ে ফেলতে পারে।সাবিহা মুখ চেপে হাসল।
********
—–রান্নাঘরে ব্যস্ত হাতে দুপুরের রান্না করছে রাজিয়া তালুকদার। জেসমিন টুকটাক সাহায্য করছে।সীমা তালুকদার এর বাবার বাড়ি থেকে ফোন আসায়। তাড়াহুড়ো করে রুমে গিয়েছেন তিনি ।রাজিয়া তালুকদার কড়াইয়ে তরকারি বসিয়ে খু*ন্তি দিয়ে নাড়াচাড়া করছেন। তিনি নিজ হাতে রান্নাবান্না করতেই বেশি পছন্দ করেন। দুপুরের খাবার আজ নাদমান আর তামিম বাসায় এসে করবে।তাই তিনি আরও মনোযোগ দিয়ে রান্না করছেন।হঠাৎ তার শাড়ির আঁচলে টান পড়ে, পিছনে ঘুরতেই তিনি স্বর্ণভাকে দেখলেন।স্বর্ণভার হাতে তার শাড়ির আঁচলের একাংশ। রাজিয়া তালুকদার চুলার আঁচ কমিয়ে স্বর্ণভাকে কোলে নিল।

রাজিয়া তালুকদার মুখে হাসি বিদ্যমান রেখে বলল,
~পরী আজ হঠাৎ কিচেনে!কি বলতে এসেছে?

স্বর্ণভা’র ফোলা গাল হাসিতে জ্বলজ্বল করল।

আহ্লাদিত কন্ঠ রাজিয়া তালুকদারকে বলল,
~আমার বাবাই বিরিয়ানি লাইক করে।

রাজিয়া তালুকদার ও আহ্লাদী স্বরে বলল,
~হ্যাঁ, তোমার বাবাই বিরিয়ানি লাইক করে।

প্রথমে স্বর্ণভার এই কথা বলার কারণ রাজিয়া তালুকদার বুঝতে না পারলেও, পরমুহূর্তে সে ঠিকই স্বর্ণভার কথার মানে বুঝতে পারল।স্বর্ণভার ফোলা ফোলা গালে রাজিয়া তালুকদার চুমু দিল।

~ওরে পাকা বুড়িরে তোমার বাবাই এর জন্য বিরিয়ানি রান্না করব?

স্বর্ণভা মাথা উপর নিচ করে হ্যাঁ বলে।
রাজিয়া তালুকদার অজস্র চুমু দিলো নাতনির পুরো মুখে।তখনই, সীমা তালুকদার রান্নাঘরে প্রবেশ করল।

~কি হয়েছে আপা তুমি হাসছো কেন?

~আর বলিস না। স্বর্ণভার দিকে ইশারা করে বলল,
~তার, বাবাই বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করে, সেটা আমরা ভুলে গিয়েছিলাম।তাই,পাকা বুড়ি আমাকে জানাতে এসেছে।

সীমা তালুকদার হাসল।
~সত্যিই আপা? এইটুকু বয়সে নাদমান এর প্রতি কি টান।একেই বলে, বাবার প্রতি সন্তানের নিখুঁত ভালবাসা।

সীমা তালুকদার এগিয়ে এসে কোলে নিল স্বর্ণভাকে।তালুকদার বাড়ির আদরের রাজকন্যা। নাদমান সাইক তালুকদার এর কলি*জা-র টুকরোটা-কে সেও যে অনেক স্নেহ করে। এমন একটা নিষ্পাপ বাচ্চা আর এমন ভালো একজন স্বামী-কে রেখে, কিভাবে একজন নারী পালাতে পারে?সেটা ভেবেই তার আফসোসের শেষ নেই।
******
স্বরবর্ণের সপ্তম বর্ণটি অর্থাৎ ঋ বর্ণটি মনোযোগ দিয়ে খাতায় লিখছে স্বর্ণভা।তার সামনে’র চেয়ারে বসে আছে আনজারা। আগামীকাল থেকে সে স্বর্ণভা’কে পড়াতে আসতে পারবে না।আনজারার পরীক্ষার কথা চিন্তা করে নাদমান তাকে আপাতত কয়েকদিন আসতে নিষেধ করেছে।আনজারা, স্বর্ণভা’র চেহারা’র দিকে মনোযোগ সহকারে তাকিয়ে আছে। স্বর্ণভা’র চেহারা’র সাথে আনজারা তার পরিচিত কারও চেহারা’র মিল পায়।কিন্তু, কোন ব্যাক্তির সাথে মিল পায়? সেটা তার মষ্তিস্কে আসে না।

~আমার মেয়ের খাতায় মনোযোগ না দিয়ে,তার চেহারায় কি মনোযোগ দিয়ে দেখছেন আনজারা?আপনি ইদানিং বেশ ফাঁকি*বাজি করছেন।ভাগ্যিস,আজ তাড়াতাড়ি পার্টি অফিস থেকে এসেছিলাম, নয়তো আপনার ফাঁকি*বাজি মিস করতাম।

আনজারা নাদমান এর কথায় পাত্তা না দিয়ে, অস্ফুটস্বরে বলল,
~স্বর্ণভা দেখতে কার মতো হয়েছে? আপনার মতো নাকি আপনার ওয়াইফ এর মতো?

স্বর্ণভা ড্যাবড্যাব চোখে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে।নাদমান তৎক্ষনাৎ আনজারা’র প্রশ্নের উত্তর দিলো না।বরং,স্বর্ণভা-কে আদেশ দিলো।

~মামনি তুমি তোমার সাহিম চাচ্চু’র সাথে গিয়ে খেলাধুলা করো।

স্বর্ণভা বাবার আদেশ পাওয়া মাত্রই খাতা বন্ধ করে। চেয়ার থেকে উঠে দৌড় দিলো।
আনজারা উৎসুক চোখে তাকিয়ে আছে নাদমান এর দিকে।

নাদমান গম্ভী*র।
~আমার লাইফ আমার ওয়াইফ নিয়ে এত কৌতূহল কেন আপনার আনজারা?নাকি সাড়ে চারবছর পূর্বে আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া’র জন্য আপনি অনু*তপ্ত?

আনজারা চোয়াল শ*ক্ত হলো।সবসময় লোকটা তার সাথে এমন ত্যা*ড়ামি করে।
~মাথা ন*ষ্ট পুরুষ । আমি নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আপনার মতো একজন ভোট চো*র এমপি কে আমি ফিরিয়ে দিয়েছি।আপনার মতো একজন হুতোম পেঁচাকে, কে বিয়ে করবে?আমি নিজ দায়িত্বে মাইক নিয়ে প্রচার করব আপনি ভোট চোর।

নাদমান কিংকর্তব্যবিমূঢ় এই মেয়ে এসব কি বলে? সে কখন ভোট চু*রি করল।দুনিয়ায় ভালো মানুষের দাম নেই।
আনজারা চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াল। পার্স হাতে নিয়ে ধপাধপ পা ফেলে রুম থেকে বের হয়ে গেল।

নাদমান মুখ চেপে হাসি আটকে বলল,
~সাবধানে সিঁড়ি দিয়ে নামবেন আনজারা।

আনজারা’র সাড়া পাওয়া গেল না।
নাদমান বুকে হাত রাখল।আক্ষেপের স্বরে একা একা বিড়বিড় করে বলল,
~আমাকে ফিরিয়ে দিয়ে অনেক বড় অ*ন্যায় করেছেন আনজারা। অন্যায় আপনি করেছেন। দহ*নে পুড়*ছি আমি। এত, নিষ্ঠু*র না হলেও পারতেন।

******
এসির ঠান্ডা বাতাসে পুরো রুমে শীতলতা বহমান। সুয়ারেজ সিকদার তার আলিশান খাটে আধশোয়া হয়ে বসে আছে। দৃষ্টি তার মোবাইল স্ক্রিনে। পুরো রুমময় তার আধুনিকতার ছোঁয়া। সুয়ারেজ এর বাবা সাইফুদ্দীন সিকদার বেশ রুচিশীল একজন মানুষ। দুইতলা বিশিষ্ট ডুপ্লেক্স বাড়িটাকে নিজের মনের মতো করে সাজিয়েছে।প্রতিটি আসবাবপত্রে তার আধুনিকতার ছোঁয়া চাই। সুয়ারেজ সিকদার নিজের রিলস ভিডিও গুলো’র কমেন্ট পড়ছে। আর কু*টিল হাসি হাসছে।কমেন্টে কত মানুষ তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সুয়ারেজ হাসে মানুষ এত বোকা কেন? উপরের চাকচিক্য দেখে তারা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। অথচ, এসব দান খয়রাত, মানুষের উপকার করা সবটাই তার লোক দেখানো। এই-যে জনগণ তার আর নাদমান সাইক তালুকদার এর ভালো সম্পর্ক নিয়ে এত আলোচনা করে। তারা কি আর জানে ঘরের চার দেয়ালে তাদের সম্পর্ক কেমন?সুয়ারেজ এর সমস্ত মনোযোগের বি*ঘ্ন ঘটলো রাফানে’র কলে।কল রিসিভ করে মোবাইল কানে নিয়ে হ্যালো বলতে’ই।
অপরপাশ থেকে রাফানের চিন্তি*ত কণ্ঠ শোনা গেল।

~ভাই তাড়াতাড়ি হসপিটাল এ আসেন।আমি হসপিটালে’র ঠিকানা মেসেজ করে দিচ্ছি। আপনার হোয়াটসঅ্যাপ এ।
সুয়ারেজ কিছু বলবে তার, আগেই কল কেটে দিল রাফান।
******
—নাদমান এর পার্টি অফিস এর সামনে। বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এর সাংবাদিক’রা এসে ভি*ড় জমিয়েছে। আজকের তরতাজা খবর-কে মুখরোচক করে তাদের নির্ধারিত টিভি চ্যানেলে পেশ করার জন্য তারা ব্যস্ত।একেক জন সাংবাদিকদে-র হাতে তাদের চ্যানেলের লগু লাগানো মাইক্রোফোন।ক্যামেরা’র সামনে দাঁড়িয়ে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে আজকের ঘটনা তারা তুলে ধরছে। ঢাকা ১৯ আসনের সংসদ সদস্য, এমপি নাদমান সাইক তালুকদার এর দলের ছেলেপুলে’রা।তার-ই বিপক্ষ দলের নেতা সুয়ারেজ সিকদার এর ছেলেদের বেধড়ক মার*ধর করে হসপিটালে ভর্তি করিয়েছে।এমপি নাদমান সাইক তালুকদার এর দলের যেসব ছেলেরা এই মর্মা*ন্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে,তাদের কেবলই পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে। কয়েক জনে’র নাম আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি তামিম আহমেদ, সিহাব,শাওন,ফাহিম,অনিক,রাসেল।তাদের পুলিশ টেনেহিঁচড়ে নিয়ে গিয়েছে। আশ্চর্যজনক বিষয় হলো তাদের ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রত্যেকের মুখে হাসি বিদ্যমান ছিল। আমরা কিছুক্ষণের মধ্যে-ই এমপি নাদমান সাইক তালুকদার এর সাথে সরাসরি কথা বলব।সাংবাদিকদের ভিড়ের মাঝে-ই সুয়ারেজ সিকদারের গাড়ি এসে থামে পার্টি অফিস এর সামনে। সাংবাদিকদের মনোযোগ নিবদ্ধ হয় সুয়ারেজ সিকদার এর উপর। সকলেই, দৌড়ে যায় তার ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্যে।সুয়ারেজ সাংবাদিকদের ঠেলে পার্টি অফিস এর ভিতরে যায়।রাফান চুল ব্যাকব্রাশ করে কলার টেনে সাংবাদিকদের সামনে ইন্টারভিউ দেয়।ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে তার ভালো লাগে। নিজের মধ্যে সুপারস্টার একটা ফিল আসে।সুয়ারেজ, নাদমান এর সামনে চেয়ার টেনে বসে।রা*গে তার শরীর কাঁপ*ছে। মাথার দুইপাশের রগ গুলো ফুলে আছে। নাদমান শান্ত,শীতল তার চাহনি।সুয়ারেজ বাজখাঁই গলায় নাদমান-কে বলল,
~কু*বাচ্চা আমার ছেলেদের গায়ে। তোর ছেলেরা কেন হাত দিয়েছে?

নাদমান নড়েচড়ে বসলো। চোখ বন্ধ করে রা*গ দমন করল।
~তুই খুব ভালো করে জানিস কেন মে*রেছে? তোর দলের ছেলেরা চাঁদা*বাজি, প্রকাশ্যে মাদ*ক সেবন,বিভিন্ন মেয়েদের উত্য*ক্ত করত।এমনকি,মেয়েদের শরীরে বা*জে স্প*র্শ করতে তারা দ্বিধা করেনি।তোকে আমি বারবার ইনফর্ম করেছি এসব বারবার বলেছি নিজের পোষা কু***ত্তাদের সামলাতে। তুই না সামলিয়ে মুখোশের আড়ালে আরও উৎসাহ দিয়েছিস।

~দেশে আইন ছিল না?ওরা কেন গা*য়ে হাত দিলো?

নাদমান কট*মট দৃষ্টিতে সুয়ারেজ সিকদার এর দিকে তাকিয়ে বলল,
~দেশে আইন আছে বলেই বেঁ*চে আছে।নয়, তোকে সহ কু*ত্তাগুলোকে এক ক*বরে মাটি দিতাম।এসব কু*ত্তা লালন না করে কিছু ভালো মানুষ লালন কর।দেশ ও জাতির উপকারে আসবে। আমরা একটা সুষ্ঠু সমাজ পাব।তাহলে, নির্বাচন এর পূর্বে তোর ভোট চু*রি’র চিন্তা থাকবে না।

সুয়ারেজ তাচ্ছিল্যের হাসি হাসল।
~আমি শুধু কু*ত্তা লালন করি না।হিং*স্র হা*য়েনা ও লালন করি।তাদের আবার নারী দে****র লো*ভ বেশি। তোর বোনটাকে সামলে রাখিস।

চলবে —–
(দুইদিন পরপর গল্প দেওয়ার কথা ছিল। একদিন পরেই দিলাম। গল্প আটটার দিকে পোস্ট করতাম।কিন্তু, প্রায় ৮০০+ শব্দ কয় থেকে কয় চাপ লেগে ডিলেট হয়ে গিয়েছে। আবার লিখেছি এলোমেলো হয়েছে আজ লেখা। আজ দয়া করে আমার ক*ষ্টের মূল্য দিবেন।দয়া করে কমেন্ট করবেন। ভুল গুলো বলবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here