#বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প
#পর্ব-১
#লেখনীতে- আসমিতা আক্তার ( পাখি )
গু’লির তীব্র আওয়াজে কান ফেটে যাওয়ার জোগার।তবুও গু’লি চলাচল বন্ধ হচ্ছে না।সময়টা এখন মধ্যরাত!বৃষ্টির বেগ ধীরে ধীরে বেড়ে চলছে।বৃষ্টির বেগ বাড়ার কারনে সব অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।তাও হাত থেমে নেই রুদ্ধের।সে সামনে লাগাতার গু’লি ছুড়ে দিচ্ছে। তাল মিলাচ্ছে তার বডিগার্ড’সরাও।সব দিক দিয়ে পুলিশ ঘেরা।রুদ্ধ ক্রোধিত নয়নে অফিসারদের দিকে তাক করে এলোপাতাড়ি গু’লি করছে।অর্ধেকের মতো প্রায় অফিসার আহত হয়ে মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েছে।হঠাৎ করেই ট্রিগার থেকে আঙুল সরে যায় রুদ্ধের।পিছন থেকে কেউ তাকে জাপ্টে ধরে আছে।রুদ্ধ বুঝলো তার বুক কেউ খামচে ধরে আছে।মাথা নিচু করে নিজের বুকের দিকে তাকাতেই দেখলো ফর্সা দুটি হাত। মেয়েলি হাত!হাতটা দেখতে একদম বাচ্চাদের মতো।রুদ্ধ নিজের বু’ক থাকা হাত জোরা সরিয়ে পিছন ফিরে তাকাতেই থমকে গেল।গোলগোল আঁখিযুগল পিটপিট করে তার দিকেই চেয়ে আছে।গোলাপি পাপড়ির ন্যায় চিকন ঠোঁট জোড়া।বৃষ্টির পানি ঠোঁটে মুক্তোর মতো লেগে থাকার কারনে সদ্য ফুটন্ত গোলাপ মনে হচ্ছে।লম্বাটে চেহারা!রুদ্ধ খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলো রমনীটি কে।মেয়েটির দু’হাত তার হাতের মুঠোয় এখনও।মেয়েটি দুর্বল চোখে রুদ্ধের দিকে তাকিয়ে আস্তে আস্তে তার আঁখি পল্লব বন্ধ করতে লাগলো। সাথে সাথে নেতিয়ে পড়লো তার শরীর।মেয়েটিকে পড়ে যেতে দেখে রুদ্ধ মেয়েটিকে নিজের সাথে জাপ্টে ধরলো।এখনও তার দৃষ্টি মেয়েটির থেকে সরে নি। আশেপাশে কি হচ্ছে তাও যেন হুশ নেই।হঠাৎ করে বুক দ্রুত গতিতে বিট করতে লাগলো।
হাতে তীব্র ব্যাথা অনুভব হতেই নিজের সম্বিত ফিরে পায় রুদ্ধ।ঢিলে হয়ে যায় হাতের বাধন।তবে মেয়েটিকে পড়তে দেয় না।ঘাড় ঘুরিয়ে হাতের দিকে তাকাতেই বুঝলো হাতে গু’লি লেগেছে।রক্তচক্ষু নিয়ে সামনে গু’লি করা ব্যক্তির দিকে তাকাতেই ভয়ে সিটে গেল অফিসার।সাথে সাথে প্যান্টের পিছনে থাকা আরেকটি পি’স্তল বের করে পরপর তিনটে গু’লি করলো সেই অফিসারের বুকে।মুহুর্তেই মাটিতে ঢলে পড়লেন তিনি।মেয়েটইকে বু’কে জড়িয়েই আরো করেক জন কে গু’লি করে রুদ্ধ, তারপর তার বডিগার্ড এর দিকে তাকিয়ে বললো
“দু মিনিটের মধ্যে রাস্তা ফাঁকা করো এক্ষুনি বের হবো আমি।আর জলদি ডাক্তার কে কল করে রুদ্ধ ম্যানশনে আসতে বলো”
গার্ড আশেপাশে তাকিয়ে মাথা নাড়াল।ব্যস্ত ভঙ্গিতে গাড়ির কাছে গিয়ে দরজা খুলে দিল।রুদ্ধ পাঁজা কোলে মেয়েটিকে তুলে ফ্রন্ট সিটে বসিয়ে নিজে ড্রাইভিং সিটে বসে পড়লো।দু’জনের সিট বেল্ট বেঁধে গাড়ি স্টার্ট দিল।মেসেজ করে গার্ডদের সব সামলে নিতে বললো।ক্ষত হাত ব্যাথা করছে, টনটন করে ক্রমশ ব্যাথা বেড়েই চলছে।রক্ত ও অনেক ঝড়ছে।রুদ্ধ তার পকেট চেক করে রুমাল তালাস করলো।সেখানে না পেয়ে গাড়ির ড্রয়ারেও খুজলো কিন্তু কোথাও পেল না।ঘাড় ঘুরিয়ে মেয়েটির দিকে তাকাতেই দেখলো তার গায়ে ওড়না জড়ানো।রুদ্ধ কয়েকবার ভাবলো ওড়না টা নিবে কি না!অনেক ভাবার পর সিদ্ধান্ত নেয়া শেষ হলে গাড়ি এক সাইডে চাপিয়ে রেখে, ফট করে মেয়েটির বুক থেকে ওড়না সরিয়ে নিজের ক্ষত হওয়া হাতে টাইট করে বেঁধে নেয়।আর কোনো দিকে না তাকিয়ে সামনে চোখ রেখে ড্রাইভ করতে শুরু করে।গাড়ি থামে রুদ্ধ ম্যানশনের বাহিরে। রুদ্ধ গাড়ি থেকে নেমে আবারও অচেনা মেয়েটিকে কোলে তুলে নেয়।রুদ্ধের কোলে একটি মেয়েকে দেখে দারোয়ান হতভম্ব হয়ে রুদ্ধের দিকে তাকিয়ে থাকে।দারোয়ান কে গেইট খুলতে না দেখে রুদ্ধ ধমকে উঠে।
“কি হলো গেইট খুলছেন না কেন?
কেঁপে উঠে দারোয়ান।নিজের জায়গা বদলি করে গেইটের সামনে যায়।দরজা খুলে দিতেই রুদ্ধ বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে।ড্রয়িং রুমে আসতেই ডাক্তার কে সোফায় বসে থাকতে দেখা যায়।চেহারায় ক্লান্তির ছাপ,সাথে কিছুটা ভয়ের ও আভাস।ভয় এবং ক্লান্তির ছাপ কেটে গিয়ে চেহারায় বিস্মিত ভাব চলে এলো।তা অবশ্য রুদ্ধের কোলে থাকা মেয়েটিকে দেখে।রুদ্ধ ডাক্তারের মনোভাব বুঝতে পারলেও কিছু বললো না।গম্ভীর স্বরে বললো
“আমি ডাকলে উপরে আসবেন!
ডাক্তার ফ্যালফ্যাল নয়নে রুদ্ধের দিকে তাকিয়ে মাথা কাত করলো।রুদ্ধ তা উপেক্ষা করে চলে গেল উপরে।নিজের রুমে গিয়ে বিছানায় যত্ন সহকারে শুইয়ে দিল।গায়ের উপর কালো রঙা চাদর বু’ক অব্দি ঢেকে দিয়ে লেডি সার্ভেন্ট কে ডেকে মেয়টির ভেজা কাপড় চেঞ্জ করতে বললো।লেডি সার্ভেন্ট আমতা আমতা করে বলতে লাগলো।
” স্যার কি ড্রেস পড়াবো?
ভাবনায় পড়ে গেল রুদ্ধ।বাড়িতে কোনো যুবতী মেয়ে থাকে না তাহলে এই মেয়েকে কি ড্রেস পড়াবে ভেবে পাচ্ছে না।হঠাৎ লেডি সার্ভেন্ট এর দিকে নিজর যেতেই বললো।
“আপনি আপাতত আপনার কোনো একটা ড্রেস পড়িয়ে দিন।সকালের মধ্যেই ড্রেসের ব্যবস্থা করছি আমি।
রুদ্ধ রুম থেকে বের হতেই লেডি সার্ভেন্ট নিজের করা বরাদ্দ রুমে গিয়ে একটা ড্রেস নিয়ে আসলো।বিছানায় থাকা মেয়েটির দিকে চোখ যেতেই একরাশ মুগ্ধতা তার মুখে ঘিরে ধরলো।অনুরূপ সুন্দর মেয়েটি!লেডি সার্ভেন্ট অনেকক্ষন মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থেকে ড্রেস চেঞ্জ করে দিল।রুদ্ধ ডাক্তার কে উপরে না ডেকে নিজেই নিচে চলে আসলো।ডাক্তারের বসা বিপরীত সোফায় বসে মুখ খিচে বললো
” দ্রুত হাতের চিকিৎসা করুন আমার।”
মুহূর্তেই ডাক্তারের কপাল ঘামে ভিজে উঠলো।বিরক্ত হলো রুদ্ধ।কপালে কয়েকটা ভাজ ফেলে বললো।
” আপনাকে আমি ভয় দেখাই নি আর ভয় পাওয়ার মতো কিছু করি ও নি।তাহলে এতো ঘামার কারন বুঝতে পারছি না। এন্ড এখন অবশ্য এই লেইম এক্সকিউজ দিবেন না যে গরমে ঘাম ঝড়ছে। কারন পুরো বাড়িতে এসি লাগানো। তাই গরম লাগার কোনো চান্স ই নেই।নাও ডু ইউ’র ওয়ার্ক!
ডাক্তার বো’কা হাসি দিয়ে বললো।
“হ্যাঁ হ্যাঁ এখনি করছি।
ডাক্তার হাত থেকে ওড়না খুলে ফ্লোরে ফেলে দিল।পরনের কালো শার্ট টা ও খুললো।রক্ত আর পানিতে ভেজার ফলে ওড়না আর শার্টের অবস্থা এখন করুন।রুদ্ধ এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ফ্লোরে পড়ে থাকা ওড়নার দিকে।ডাক্তার রুদ্ধের দৃষ্টি অনুসরণ করে ওড়নার দিকে তাকিয়ে রুদ্ধের দিকে আড়চোখে তাকালো।মনে অনেক প্রশ্ন জাগছে সেই মেয়েটিকে নিয়ে।তবে প্রশ্ন করার সাহস পাচ্ছে না।শান্ত রুদ্ধ ক্ষেপে গেলে যে কতটা ভয়ংকর হতে পারে তা উনি দেখেছেন। তাই ভুল করেও তিনি অতিরিক্ত কোনো কথা বলেন না৷ আসলে তার বলতে ইচ্ছে হয় না।কিন্তু আজ খুব করে ইচ্ছে করছে রুদ্ধকে কয়েকটা প্রশ্ন করতে।রুদ্ধকে কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না দেখে মনে মনেই নিজের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন।গু’লি বের করার সময় দাঁতে দাঁত চেপে বসে ছিল রুদ্ধ।ব্যাথাতুর জায়গাটা মনে হয় অবশ হয়ে আছে ব্যাথায়।ডাক্তার ড্রেসিং করিয়ে কিছু ঔষধ এর নাম লিখে দিল।রুদ্ধের মুখের দিকে একনজর তাকিয়ে নিজের ব্যাগে জিনিসপত্র গোছাতে গোছাতে বললো।
” নিয়মিত ঔষধ খেলে ক্ষত জলদি সেড়ে আছে।অনেক রক্ত লস হয়েছে তাই আমি বলবো রক্ত শরীরে দিতে।বাকিটা তুমি যা ভালো মনে করো।
রুদ্ধ চোখ বন্ধ রেখে সোফায় মাথা ঠেকিয়ে বললো।
“নো নিড!
চশমার আড়ালে তীক্ষ্ণ চোখে রুদ্ধের দিকে তাকালো ডাক্তার।ছেলেটা কখনো তার সাথে সোজাভাবে কথা বলেনি।নিজের ব্যাগ পত্র গোছানোর পর সোফা থেকে উঠে রুদ্ধের উদ্দেশ্যে বলল।
” আচ্ছা, আজ তাহলে উঠি।
রুদ্ধ ডাক্তারের দিকে এক ভ্রু উঁচু করে বলল।
“আমি কি আপনাকে যেতে বলেছি?
সরলতার সাথে ডাক্তার দু’পাশে মাথা নাড়ায়।রুদ্ধ সোফা থেকে দাঁড়া হয়ে বাম হাত পকেটে ঢুকিয়ে বলে।
“আমার সাথে আসুন!”
সামনে হাটা ধরল রুদ্ধ।রুদ্ধকে অনুসরণ করে ডাক্তার ও তার পিছু পিছু যাচ্ছে।নিজের রুমের কাছে গিয়ে দরজায় টোকা দিতে লেডি সার্ভেন্ট দরজা খুলে দেয়।রুদ্ধ গম্ভীর কণ্ঠে বললো।
“এত সময় লাগে ড্রেস চেঞ্জ করাতে?
লেডি সার্ভেন্ট চিকন স্বরে বলল।
“সর্যি স্যার।
সামনে থেকে সরে দাড়ালো লেডি সার্ভেন্ট।রুদ্ধ রুমে প্রবেশ করে বিছানায় থাকা মেয়েটির দিকে এক পলক তাকালো।মেয়েটিকে দেখিয়ে ডাক্তার কে বলল।
“ওর চিকিৎসা করুন! দেখুন কি হয়েছে?
ডাক্তার এক ধ্যানে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে আছে।মেয়ে নয় যেন হুর পরী।এই হুরপরীর সাথে রুদ্ধের কি সম্পর্ক হতে পারে জানার তীব্র ইচ্ছে জাগছে মনে।রুদ্ধ খেয়াল করল ডাক্তার বিছানায় থাকা মেয়েটির দিকে প্রখর দৃষ্টি নিক্ষেপ করে তাকিয়ে আছে।মস্তিষ্কে রাগ হানা দিল তার। বাজখাই গলায় বলল।
“আপনাকে এখানে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।ট্রিট দ্য গার্ল।
ডাক্তার আর কোন কিছু না বলে মেয়েটিকে চিকিৎসা করতে লাগলো।হাতের কয়েক জায়গায় এবং কপালের এক সাইডে চোট লেগেছে।ক্ষত জায়গাগুলোতে ক্লিন করে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিল।পায়ের কাছে চোখ যেতেই দেখলো পায়ের গোড়ালি ফুলে লাল হয়ে আছে।লালের সাথে সাথে কিছুটা নীল আভাও ধারণ করেছে।পা এদিক ওদিক নাড়িয়ে বুঝল মচকে গিয়েছে।ব্যথার স্প্রে সেখানে লাগিয়ে বিছানা থেকে উঠে কাগজে আরো কিছু ওষুধের নাম লিখে রুদ্ধের সামনে ধরে বলল।
“অতিরিক্ত ভয়ের কারণে জ্ঞান হারিয়েছে।সকালের মধ্যেই জ্ঞান ফিরে আসবে।আর পা ও মচকে গিয়েছে।এই ওষুধগুলো খাওয়ালে পা ব্যথা কমে যাবে।
রুদ্ধ জ্ঞানহীন মেয়েটির দিকে তাকিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে বলল।
“হুম! আপনি এখন আসতে পারেন।
ডাক্তারের সাথে সাথে লেডস সার্ভেন্ট ও রুম ত্যাগ করল।রুদ্ধ আরো কিছুক্ষণ মেয়েটির দিকে তাকিয়ে থেকে কাপড় নিয়ে চলে গেল ওয়াশরুমে। ভেজা কাপড় এখনো চেঞ্জ করা হয়নি।ভেজা কাপড় পাল্টিয়ে শুকনো কাপড় পরে ড্রেসিং টেবিলের সামনে এসে মাথা মুছতে লাগলো রুদ্ধ।ড্রেসিং টেবিলের আয়না দিয়ে বিছানায় থাকা রমণীটির দিকে চোখ পড়তেই বক্ষ স্থলে শীতল স্রোত বয়ে গেল।রুদ্ধ দ্রুত চোখ সরিয়ে নিল বিছানা থেকে।
কেউর কান্নার শব্দ কর্ণপাত হতেই ঘুম ভেঙ্গে গেল রুদ্ধের।সামনে তাকিয়ে দেখলো অচেনা মেয়েটি খাটের এক কোনায় জড়োসড়ো হয়ে হিচকি তুলে কান্না করছে।হঠাৎ মেয়েটির কান্নার কারণ বুঝতে পারছে না রুদ্ধ।সোফা ছেড়ে বিছানার কাছে এসে ভরাট কন্ঠে মেয়েটির উদ্দেশ্যে বলল।
“কি হলো এভাবে কান্না করছো কেন?
কান্না করার ফলে প্রায় চোখ বন্ধ হয়ে আছে তার।কান্নার গতি কমিয়ে দিয়ে চোখ খুলে সামনে থাকা পুরুষটি কে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়লো তার বুকে।শব্দ করে কান্না করা অবস্থাতে বলে।
“ওরা, ওরা আমায় মে’রে ফেলবে প্লিজ আমাকে বাঁচান। ওরা আমায় বাঁচতে দিবে না।আমি ম’রতে চাই না।আমার বাবা মায়ের মত তারা আমাকেও মেরে ফেলবে।
অঝোরে কাঁদতে লাগল অচেনা রমণী।মেয়েটির কথা শুনে রুদ্ধের হাজারো প্রশ্ন আসছে মাথার মধ্যে।কিন্তু এখন পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য প্রশ্ন করা একদমই বেমানান।সুযোগ বুঝে না হয় পরে প্রশ্ন করা যাবে কিন্তু তার আগে এই মেয়েটিকে সামলাতে হবে।রুদ্ধ নিজের কাছ থেকে মেয়েটিকে ছাড়িয়ে রাশভারী গলায় বলল
“ডোন্ট ওয়্যারি কিছু হবে না তোমার।যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি আমার কাছে আছো একদমই সেইফ থাকবে।কেউ মারতে পারবে না তোমায়।এখন কান্না বন্ধ করে নিশ্চিন্তে ঘুমাও।ডাক্তার বলেছে তোমার শরীর অনেক দুর্বল।এখন বিশ্রাম না করলে আরো অনেক অসুস্থ পড়ে যাবে।
রুদ্ধের কথা শুনে মনে কিছুটা ভয় কম হলেও একবারের জন্য কেটে যায়নি।মনে এখনো কিছুটা ভয় নিয়েই রুদ্ধের দিকে তাকিয়ে আছে।মেয়েটি একবার পুরো ঘরে চোখ বুলিয়ে আবার রুদ্ধের দিকে তাকাল।রুদ্ধ মেয়েটির দিকে তাকিয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বিছানার এক পাশে বসে বলল।
“চিন্তা নেই আমি এখানে বসে আছি তুমি নিশ্চিন্তে ঘুমাও।কেউ আসবে না এখানে।
ভরসা পেয়ে মেয়েটি খাটের অন্য প্রান্তে গিয়ে গুটিসুটি মেরে গায়ের ওপরে চাদর দিয়ে শুয়ে পড়লো।চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ছে এখনো নোনা জল। বারবার চোখের পাপড়ি ও কেঁপে কেঁপে উঠছে।তার চোখের পানিই বলে দিচ্ছে সে কতটা কষ্টের মাঝে আছে।ফুপিয়ে কান্না করতে করতে একসময় মেয়েটির ঘুমিয়ে পড়ে।রুদ্ধ তার দিকে তাকিয়ে আকাশ পাতাল কল্পনা জল্পনা করতে থাকে।
( চলে আসলাম নতুন আর এক গল্প নিয়ে। শুরুতে গল্প টুকু কেমন লেগেছে তা আমি জানিনা। এবং শেষ অব্দিও কেমন হবে তাও জানিনা। তবে এই গল্পের থিমটা অনেক আগেই আমার মস্তিষ্কে এসেছিল।ভেবেছিলাম এমন একটা গল্প নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।নতুন নাম, নতুন জুটি, নতুন গল্প!আশা করি আপনাদের ভালই লাগবে )