#বৃষ্টিস্নাত প্রেমের গল্প
#পর্ব-২৮
#লেখনীতে-আসমিতা আক্তার ( পাখি )
আকস্মিক লিলির আওয়াজ শুনে রুদ্ধ হুরকে ঝটকা মেরে নিজের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়। সোজা হয়ে চেয়ারে বসে খাবারের দিকে মনোযোগ দেয়। হতভম্বতার সহিত রুদ্ধের দিকে তাকালো হুর। তার ভাব খানা এমন যে কিছুক্ষণ পূর্বের ঘটনায় সে জড়িত ছিল না। কোন কিছুই সে জানে না।তবে রুদ্ধকে দেখা গেল ক্ষিপ্ত। রাগের ফোঁস ফোঁস করে নিঃশ্বাস ছাড়ছে। প্লেটে চামচ দিয়ে বারবার বারি মারছে। রাগ কমানোর প্রচেষ্টা। লিলি হুরকে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে জিজ্ঞেস করে।
“কি হলো হুর খাবার না খেয়ে তুমি দাঁড়িয়ে আছো কেন?
হুর দাঁত কেলিয়ে হেসে উত্তর দেয়,
“এইতো আপু খাচ্ছি।তুমি কি কিছু বলবে?
“হ্যাঁ, বলার জন্যই আসলাম।জেরিন জিজ্ঞেস করলো তোমার আলমারির কাপড় কোথায় রাখবে!
আড় চোখে রুদ্ধের দিকে তাকাল হুর ।রুদ্ধ তাকে তার রুমে শিফট হতে বলেছে ঠিকই কিন্তু এটা বলেনি তার জিনিসপত্র কোথায় রাখবে।নিজের আলমারিতেও রাখতে বলেনি। তাই লিলিকে এর উত্তর দিতে পারছে না। যেই না কিছু বলতে যাবে ওমনি রুদ্ধ বলে ,
“ওর সব কাপড় আমার আলমারির এক সাইডে গুছিয়ে রাখুন।
পূর্ণদৃষ্টি খাবারে তার মনোযোগ। লিলি চলে যেতেই হুর রুদ্ধের পাশে বসলো। অস্বস্তি নিয়ে খাবার খেতে লাগলো।ক্ষণে ক্ষণে বদলে যাওয়া দৃষ্টি নিতে পারেনা হুর।
অমনোযোগী হয়ে ড্রেসিং টেবিলের জিনিসপত্র গোছাচ্ছে হুর। একটা কথা মস্তিষ্কে বারবার আসছে। তবে রুদ্ধকে সে জিজ্ঞেস করতে পারছে না। রুদ্ধেরর রিঅ্যাকশন কেমন হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে করতে সে প্রশ্ন করছে না। তবে প্রশ্ন না, করে থাকতেও পারছেনা। রুদ্ধ সোফায় বসে জরুরী কিছু ডকুমেন্ট সেটাপ করছে। কাল থেকে অফিসে যাওয়া শুরু করবে।তাই প্রস্তুতি নিচ্ছে। নিজেকে প্রস্তুত করে রয়ে সয়ে রুদ্ধ কে জিজ্ঞেস করেই বসলো।
“আচ্ছা, আপনার পরিবারের কেউ নেই?আজ অবধি আমি আপনার পরিবারের কাউকে দেখি নি। কোথায় তারা?
স্বাভাবিক মুখশ্রী রক্তবর্ণ ধারণ করল রুদ্ধের। রাগে হাতে থাকা পেপার মুচড়ে ধরল।কাজ করতে করতে আড় চোখের রুদ্ধের দিকে তাকালো হুর।রুদ্ধের হিংস্র মুখ দেখে ভয়ে তার কলিজা শুকিয়ে গেল।রুদ্ধ হাতে থাকা পেপারটি দুমড়ে মুছরে ঢিল মেরে দূরে ফেলে দিল। সোফা থেকে উঠে বড় কদম ফেলে এর হুরের কাছে আসলো। হঠাৎ রুদ্ধকে নিজের কাছে আসতে দেখে ভয় পেয়ে হুর দু কদম পিছিয়ে গেল। তবুও থামলো না রুদ্ধ। হুরের কাছে এসে হুরের দুগাল বাম হাত দিয়ে চেপে ধরল। শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে হুরের গাল সে চেপে ধরেছে। গালে অতিরিক্ত ব্যথা পাওয়ার কারণে চোখ মুখ কুঁচকে দাঁড়িয়ে রইলো হুর। আর্তনাদ করে রুদ্ধ কে বোঝালো সে ব্যথা বাছে। হুরের আর্তনাদে যেন রুদ্ধের কান অব্দি পৌঁছালো না। সে হুরের গাল চেপে ধরে হিসহিসিয়ে বলে,
“আর দ্বিতীয়বার আমার ফ্যামিলির কথা জিজ্ঞেস করলে,মাটিতে পুঁতে রেখে দিব।
আধো চোখ মেলে তাকালো হুর। চোখ ছলছল করছে। রুদ্ধের কাছ থেকে এমন ব্যবহার সে আশা করেনি। যদিও জানে সে খুবি রাগী।কিন্তু বউ হিসেবে কি তার এমন ব্যবহার প্রাপ্য ছিল। হয়তো ছিল। না, হলে তো রুদ্ধ তার সাথে এমন ব্যবহার করত না। টইটম্বুর নেত্রকোনার কার্নিশ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। সেদিকে লক্ষ্য করল না রুদ্ধ। অতিরিক্ত ক্ষোভে সে ভুলে গেছে ,সে কি করছে।যখন হুরের চোখ খেয়াল করলো তখন তার হাত ঢিলে হয়ে আসলো। গাল থেকে হাত সরিয়ে ফেলল। লক্ষ্য করল হুরের দু’গালে তার আঙ্গুলের ছাপ বসে গেছে। বিচলিত হয়ে হুরের দুগাল নিজের হাতের তালুতে নিল।হুরের চোখের দিকে তাকিয়ে করুন জিজ্ঞেস করল।
“অনেক বেশি ব্যথা পেয়েছো হুর পাখি?সরি আমি তোমার সাথে এমন বিহেভ করতে চাইনি। কিন্তু কি করবো বলো তো!তুমি কেন রাগিয়ে দেয়ার মত কথা আমায় বলো? সরি আর কখনো তোমার সাথে আমি এমন ব্যবহার করবো না। তবে ফারদার তুমি আমার ফ্যামিলিকে নিয়ে কোন কথা বলবে না।
আশ্চর্য হয়ে রুদ্ধকে দেখছে হুর। কিছুক্ষণ আগেই এই মানুষটা ক্ষিপ্ত সিংহর রূপ ধারণ করেছিল। আর এখন তার বিপরীত। ফ্যালফ্যাল নয়নের রুদ্ধকে দেখছে হুর। তবে একটা জিনিস ভালোভাবেই বুঝতে পারল। ফ্যামিলিকে নিয়ে কোন কথা বললে রুদ্ধ তাকে আস্ত ছাড়বে না। কিন্তু ফ্যামিলির কথা শুনে যে মানুষ এতটা রেগে যায় তা কখনো দেখেনি হুর। অবশ্যই তার ফ্যামিলিকে নিয়ে রহস্য লুকিয়ে আছে। যা রুদ্ধ তাকে বলতে চাই না।
হুরকে কোন কথা বলতে না দেখে রুদ্ধু হুরকে নিজের বুকের মাঝে নিয়ে নিল। মাথায় হাত বোলাতে লাগলো। নিজেকে এবং হুরকে শান্ত করার প্রয়োজন। কিন্তু হুর শান্ত হতে পারছে না। বারবার মস্তিষ্কে ঘুরছে রুদ্ধর ফ্যামিলি কে!এমনকি ঘটেছিল যে রুদ্ধ তার পরিবারের কথা শুনলেই এত ক্ষিপ্ত হয়? আর এখন তারা কোথায়?কে কে আছে রুদ্ধের ফ্যামিলিতে? এমন হাজারো প্রশ্ন মাথায় ভর করছে তার।রুদ্ধ তার বুক থেকে হুরের মাথা উঁচু করে নিজ অধর হুরের সারা মুখশ্রীতে বুলাতে লাগলো।শেষে একটা কথাই বলল,
“কখনো আমাকে রাগিয়ে দিবে না। কয়েনের যেমন দুটো পিঠ থাকে। তেমনি রুদ্ধর ও দুইটি পিঠ আছে। আমি কখনো চাইনা যে তুমি আমার ভয়ানক রূপ দেখো।
সেদিনের পর হুর রুদ্ধকে তার পরিবার কে নিয়ে কোনো কথা বলেনি। খুবই ব্যস্ততায় কাটছে তার দিন।পরিক্ষা শুরু হয়েছে কয়েকদিন আগে৷আর দুই টা বাকি আছে। পড়ার প্রতি এতটাই মনোযোগী যে সে রুদ্ধকে সময়ই দিতে পারছে না। তার সাথে ভালো কি মন্দ কথা বলার সময় পাচ্ছে না। কলেজ থেকে কোচিং, কোচিং থেকে এসে আবার বাসায় পড়তে বসে।যার দরুন রুদ্ধকে সময় দিতে পারে না। এতে রুদ্ধ ও কিছু বলে না। বা কিছু মনে করে না। পরিক্ষা শেষ হওয়া অবদি সে হুরকে সময় দিল।
আজ হুরের পরিক্ষা শেষ হল। শান্তি লাগছে খুব। এত দিন পরিক্ষার জন্য নিশ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসছিল। খুব দুশ্চিন্তায় ছিল পরিক্ষা নিয়ে। তবে বন্ধু-বান্ধব এবং নিজের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ছিল সে পরিক্ষা ভালো ভাবে দিতে পারবে। হল ও তাই। সব কিছুর মাঝে বিশেষ করে আকাশ হুরকে অনেক সহায়তা করেছে।সব নোটস হুরের জন্য কালেক্ট করে রেখেছিল। হুর বন্ধু-বান্ধব মহলের কাউকে এখনও জানায় নি যে, সে বিবাহিত। কিছুদিন পর জানাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
রুদ্ধ নিজেও এ ক’দিনে খুব ব্যস্ত ছিল। অফিসের অনেক কাজ পেন্ডিং পড়ে ছিল।অফিসের নিজের কেবিনে বসে রুদ্ধ তার কাজ করছিল।চোখ স্থির হয়ে আছে তার ল্যাপটপে।এমন সময় কেবিনে প্রবেশ করে ইমতিয়াজ। চেহারায় দুশ্চিন্তার ছাপ। তা দেখে রুদ্ধ বলে,
“কি হয়েছে?
চেয়ারে বসে ইমতিয়াজ। রুদ্ধ বুঝল ব্যাপার খুবই সিরিয়াস। না,হলে ইমতিয়াজ কে এত শান্ত দেখাতো না। রুদ্ধ ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে ইমতিয়াজ এর দিকে রাখে। দুশ্চিন্তার কারণ খোজার চেষ্টা করে। রুদ্ধকে বেশিক্ষন চিন্তা করতে হয় নি। তার পূর্বেই ইমতিয়াজ বলে,
“খোকন ভয়াবহ কিছু প্ল্যান করছে। খুবই ক্ষীপ্ত হয়ে আছে। না জানি কি করে!তার নজর এখন ভাবির উপর পড়েছে। তাই হয়তো তাকেই টার্গেট বানাবে।
শান্ত মস্তিষ্কে সবটা শুনল রুদ্ধ।বলল,
” হুর আমার বউ তা কি জানে?
“মনে হয় না জানে.. কিন্তু সেদিন পুলিশের সাথে তাকে দেখে এবং সব কথা শুনে বুঝতে পেরেছে তোমার সাথে তার কিছু লিংক আছে।
দুই আঙ্গুল কপালে ঘষে রুদ্ধ বলে,
” হুরের সিকিউরিটি বাড়িয়ে দাও। আর খোকন এর পিছে স্পাই লাগাও। তার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে জানার চেষ্টা করো।
“কিন্তু ভাই ভাবি তো গার্ডসদের নিতে চায় না।
” এক্সট্রা গার্ড রেখে অগোচরে হুরের সিকিউরিটি দিতে বলবে।আর বাকিটা আমি দেখে নিব। বাড়িতেও সিকিউরিটি বাড়িয়ে দাও।
সম্মতি জানিয়ে চলে যায় ইমতিয়াজ। ভাবনায় পড়ে যায় রুদ্ধ। খোকন খুবই ভয়ংকর মানুষ। তার মতোই গ্যাংস্টার। তবে তার উসুল এবং তার কাজকর্ম রুদ্ধের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।রুদ্ধর আর এখন অফিসে থাকতে ইচ্ছে করছে না। হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় দেখে নিল। বিকেল ৫ টা। এখন বিকেল বলাও চলে না। কিছুক্ষন পরই আঁধার নেমে আসবে। দিন ছোট বিদায় ৬ টার আগে আগেই ধরণী তে সন্ধ্যা নেমে আসে। রুদ্ধ ল্যাপটপ, ফোন ব্যাগে ভরে উদ্যোগ হয় বাড়িতে যাওয়ার।
বাড়িতে এসেই ড্রইং রুমের আশেপাশে হুর কে খুজল।পেল না। বুঝল রুমে আছে। তাই দেরি না করে রুমে চলে গেল।হুর বিছানায় উল্টো হয়ে শুয়ে ফোন স্ক্রল করছে। তাই খেয়াল করতে পারলো না রুদ্ধ রুমে এসেছে।সে উচু করে রাখা পা দুলাচ্ছে আর ফোন টি’পছে। হঠাৎ মনে হল তার পায়ে কেউ সুড়সুড়ি দিচ্ছে। দ্রুত হাত থেকে ফোন রেখে পিছন ঘুরল। তাকিয়ে রেখলো রুদ্ধ ঠিক তার পায়ের পিছে দাঁড়িয়ে আছে। পায়ে সুড়সুড়ি কিভাবে পাচ্ছিলো তা সেকেন্ডের মাঝেই বুঝে গেল।শোয়া থেকে উঠে বসে ভ্রু কুঁচকে বললো,
“এই আপনাকে না বলেছি আমায় সুড়সুড়ি দিবেন না?তারপরও কেন দেন?
” তোমায় সুড়সুড়ি দিয়ে আমি বড্ড আনন্দ পাই। তাই দেই।আর তোমায় ফর্সা পা দুটো আমায় খুব টানছিল। তাই সইতে না পেরে সুড়সুড়ি দিয়ে দিলাম।
রাগে দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বসে আছে হুর।কিছু বলতেও পারছে না,আর না পারছে সইতে।হিতাহিত রাগ যেন হারিয়ে ফেলবে এমন অবস্থা। মাথা নিচু করে রাগ নিবারণের চেষ্টা করলো। সক্ষম হতে যাবে সে সময় রুদ্ধের আদেশ কর্ণপাতে বারি খায়।
“আমার জন্য নরমাল কফি নিয়ে আসো।দেড় চামচ চিনি দিবে৷
বিমূঢ় চোখে রুদ্ধের দিকে তাকিয়ে রয় হুর।আশ্চর্যের শেষ সীমায় যেন সে পৌঁছে গেছে।আশ্চর্যতা ধরে রাখতে না পেরে অস্পষ্ট স্বরে বলল,
“হু?
“আমার জন্য কফি নিয়ে আসো কুইক!
চোখ ঝাপটা মেরে রুদ্ধকে ভালোভাবে তাকিয়ে দেখলো সে। বোঝার চেষ্টা করল রুদ্ধ তাকে যা বলেছে আদৌ সে সঠিক শুনেছি কিনা। তবে বেশিক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারল না। কারণ রুদ্ধের চাহনি ছিল তীক্ষ্ণ। যা দেখে হুর কিছুটা ভয় পেল। তাই দৌড় লাগালো রান্না ঘরের দিকে।জেরিন কে বললে জেরিন কফি বানিয়ে দেয়। ধোঁয়া ওঠা গরম কফি নিয়ে রুমে চলে আসল হুর।রুদ্ধ ফ্লোরে পা রেখে বিছানায় বসে ছিল।হুর কফি রুদ্ধের হাতে দেয়।কফি হাতে নিয়ে হুরের দিকে তাকিয়ে রয় কিছুক্ষণ। ধোয়া ওঠা গরম কফিতে, কয়েকবার ফু দিয়ে এক চুমুক পান করে। ডান হাত থেকে বাম হাতে কফি নিয়ে ডান হাত হুরের দিকে এগিয়ে দেয়। ডান হাত এগিয়ে দেয়ার কারণ বুঝতে পারল না হুর। তাই রুদ্ধের দিকে তাকিয়ে রইল। রুদ্ধ বললো,
“ঘড়ি খুলো!
আবারো চমক পেল হুর। রুদ্ধ আজ তাকে বারবার চমক দিচ্ছে। এত চমক সে নিতে পারছে না। একদিনে এত কিছুর লোড কি নেয়া সম্ভব নাকি। তাই আহাম্মক দৃষ্টিতে এক কদম সামনে এগিয়ে এসে কাঁপা কাঁপা হাতের রুদ্ধের হাতের ঘড়ি খুলে দিল। এখানেই শান্ত হলো না রুদ্ধ। আরেকটা আদেশ চাপিয়ে দিল হুরের ঘাড়ে।
“টাই খুলো!
আগের থেকে বেশি চমকিত হল হুর। ফরমায়েশের উপর ফরমায়েশ দিচ্ছে রুদ্ধ। যা হজম করতে পারছে না হুর। আরো এককদম এগিয়ে এসে রুদ্ধের টাই এ নিজের হাত রাখে।ধীরগতিতে খুলতে থাকে।রুদ্ধ কফির মগে চুমুকে দিচ্ছে আর হুরের মুখ পানে তাকিয়ে আছে।গভীর দৃষ্টি মেলে হুরের দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরা ঠোঁট দেখছে। বোঝা যাচ্ছে মনোযোগ সহকারে হুর তার কাজ করছে।রুদ্ধ হাতে থাকা কফি বিছানার পাশে রেখে হুরের হাত ধরে একটু নিজের দিকে টেনে আনে। ব্যালেন্স রাখতে না পেরে হুর এক হাত দিয়ে রুদ্ধের কাঁধে রাখে। থতমত যে রুদ্ধের দিকে তাকাতেই রুদ্ধ হুরের দুই গাল চেপে ধরে হুরের মুখ তার মুখের কাছে নিয়ে আসে। গাল চেপে ধরার কারনে হুরের গোলাপি রঙা মিলিত দুই ঠোঁট খুলে যায়।বাচ্চাদের মতো ফুলে উঠে একটু ঠোঁট। রুদ্ধ হুরের ফেইস রিঅ্যাকশন দেখার অপেক্ষা না করেই হুরের অধর আঁকড়ে ধরে।বিস্ময়ে চোখ গোলগোল হয়ে আসে হুরের।নিশ্বাস বন্ধ করে নেয়। যখন মনে হলো নিশ্বাস না নিতে পারলে মরে যাবে, তখন জোরে গরম নিশ্বাস ছাড়ল।যা আঁচড়ে পড়ল রুদ্ধের মুখে। রুদ্ধ শিহরিত হয়ে হুরকে আরো নিজের কাছে টেনে নিল।নিজ তৃপ্তি মিটিয়ে হুরকে ছেড়ে দেয়।হুরের গালে হাত রেখে বৃদ্ধাঙ্গুলি দিয়ে হুরের ঠোঁট মুছতে মুছতে বলে,
“এখন থেকে তুমি যেখানেই যাও না কেন গার্ড তোমার সাথে যাবে। কখনও গার্ড ব্যতীত বা আমার পারমিশন ব্যতীত বাসা থেকে বের হবে না। আমার শত্রুপক্ষরা তোমায় টার্গেট করছে। তাই তোমায় সাবধান করছি।কখনও আমার কথায় বাইরে কিছু করবে না।আর এখন থেকে কফি নিজে বানিয়ে আনবে।
( অন্যমনস্ক হয়ে পর্বটা লিখলাম।তবে মন মত লিখতে পারিনি তা বুঝতে পারলাম।)