অসম্ভবেও আমার তুমি নুসরাত সুলতানা সেজুথি পর্ব–০৩

0
526

# অসম্ভবেও আমার তুমি
নুসরাত সুলতানা সেজুথি
পর্ব–০৩

“” একই সাথে দুজন স্ত্রীকে বর্তমান রাখতে লজ্জ্বা করেনা আপনার?
তনয়ার কথায় চোখের বর্ন লাল হয়ে এলো আবরারের। চোখ পাকিয়ে তনয়ার মুখের দিকে তাকালো।শান্ত অথচ কড়া কন্ঠে বলল,

—- আপনি আমাকে এই কথা বলার সাহস পান কি করে?

তনয়া স্ফীত হেসে বলল,
— সাহস নিয়ে পরে ভাববেন না হয়,,,প্রশ্নের উত্তর তো নেই আপনার কাছে,তাইনা?

এ পর্যায়ে ঠোঁট বাকিয়ে ধিক্কারমূলক হেসে উঠলো আবরার।

— আছে অবশ্যই আছে। কিন্তু আপনাকে উত্তর দেয়ার প্রয়োজন বোধ করিনা আমি,,,
তবে অবাক হচ্ছি,,,যে মেয়ে আগে আমার সামনে ঠিকঠাক দাড়াতে পারতোনা,,,আজকাল একটু বেশিই মুখে বুলে ফুটছে তার,,
ভুলেও আমার মুখের ওপর এতো সাহসিকতা দেখাতে যাবেন না তনয়া । পরিনাম ভালো হবেনা।

কথাটা বলে উল্টো ঘুরে গেলো আবরার। আর ওপাশ থেকে ডুকরে কেঁদে উঠলো তনয়া,,,
কান্নার শব্দ কানে আসতেই তেঁতে উঠলো আবরার। কিঞ্চিৎ ঘাড় বাকিয়ে বলে উঠলো,

— আমার ঘুম পাচ্ছে,,,কোনও রকম আওয়াজ যেন না হয়।

তনয়াও এবার উল্টো ঘুরে গেলো,,,কান্না তো থামছেইনা তার, তবুও মুখ থেকে বেরিয়ে আসা আওয়াজ গুলো আটকাতে শাড়ির আঁচলে মুখ চেপে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে রইলো সে।

“” কোন অপরাধের কারনে এত জঘন্য শাস্তি পাচ্ছে সে,,, বিয়ের এক বছরের মাথাতেই সতীন সমেত ঘর করতে হচ্ছে?? এটাই তবে ভাগ্যের লিখন? সব ভালোবাসা তার ফিকে হয়ে গেলো?
আজ যখন আবরার স্নিগ্ধা সমেত বাড়ির দোরগোড়ায় হাজির হয়, তখন এক মুহুর্তেই মাথায় আকাশ ভেঙে পরার মতো অনুভূতি হচ্ছিলো তার।

কিন্তু একটা বারের জন্যেও তখন আবরার কে সে প্রশ্ন করতে পারেনি,,,
আচ্ছা সে কি কোনও অংশে কম পরে গেলো?? রুপে কিংবা গুনে?? হ্যা মেনে নেওয়া যায় স্নিগ্ধা মেয়েটা সুন্দরী,,, তাই বলে এক বছরেই স্বামীর মন বদলে এলো তার??
এতদিন আবরার কে বদমেজাজি রাগী মনে হলেও আজকের পর তার চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন উঠছে মনে,,,,অথচ বিয়ের সময় তার বাবা বলেছিলেন এমন হিরের টুকরো ছেলে দুটো হয়না,,,মিথ্যে মিথ্যে সব মিথ্যে,,,

কান্নার শব্দ বাইরে না এলেও অনবরত খাট কেঁপে ওঠায় আবরারের বুঝতে অসুবিধে হলোনা যে তনয়া কাঁদছে,,,এ পর্যায়ে একটু হলেও খারাপ লাগা কাজ করলো তার মধ্যে। মেয়েটা তো তার জন্যেই কষ্ট পাচ্ছে,,,, কিন্ত এখানে তার কি করনীয়,,,
তনয়ার প্রতি তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই,,,যার আকাশ চুম্বী আছে স্নিগ্ধার জন্যে,,

তাই তনয়ার কান্নায় পাত্তা না দিয়ে চোখ বন্ধ করে ঘুমোনোর চেষ্টা করতে শুরু করলো আবরার,বিপত্তি বাঁধলো এখানেও,,চোখের পাতা এক করতেই স্নিগ্ধার মুখ টা ভেসে উঠলো সামনে।

ঝলমলে রোদে উপচে পরা উঠোনের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে স্নিগ্ধা,,,,হালকা ঝুঁকে ঝুঁকে ভেজা লম্বা চুলগুলোকে গামছা দিয়ে মুছছে। মুখে লেগে আছে সামান্য হাসি,,,হলুদ বর্নের আলোতে কি স্নিগ্ধই না লাগছে মেয়েটাকে! এ যেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের এক বিশেষ অংশ।
স্নিগ্ধার এমন স্নিগ্ধ রুপে ঘায়েল হয়েই তো আগে পিছে কোনও কিছুর তোয়াক্কা করেনি সে,, সম্পূর্ন নিজের করে নিয়েছে পরিকে,,,হ্যা স্নিগ্ধা তো তার পরিই,,, যদিও পুরোটা বশ মানেনি,,তবে মেনে যাবে শীঘ্রই।

স্নিগ্ধার কথা মাথায় আসতেই চট করে শোয়া থেকে উঠে বসলো আবরার।
গায়ের ব্লাঙ্কেট সরিয়ে বিছানা থেকে নেমে পরলো ,আওয়াজ পেয়ে মাথা তুললো তনয়া,আবরার কে দরজা দিয়ে বেরোতে দেখে ভাবলো হয়তো পানি খেতে উঠেছে,,পরক্ষনে বেড সাইড টেবিলে জগ ভর্তি পানি খেয়াল করতেই বুঝতে পারলো তার ধারনা ভুল। হয়তো বা
আবরার স্নিগ্ধার কাছে যাচ্ছে,,,হয়তোবা কি?? যাচ্ছেইতো।
এবার কান্না আগের থেকেও কয়েক গুন বেড়ে গেলো তনয়ার,,,রাগে দুঃখে নিজের হাত নিজেই কামড়ে ধরলো।

.
.
.

খুব সকাল বেলা রোদের আলো চোখে পরতেই নড়ে উঠলো স্নিগ্ধা। আস্তে আস্তে চোখ খুললো। রুমের চারিদিকে চোখ বোলাতেই বোধগম্য হলো তার গতকাল বদলে যাওয়া নিয়তির কথা। মুহুর্তেই মুখ টা ফ্যাকাশে হয়ে এলো স্নিগ্ধার। তবে পাশ ফিরতেই ভয়ে লাফিয়ে উঠলো।
আবরার গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। এভাবে আবরার কে তার সাথে একি বিছানায় একি ব্ল্যাঙ্কেটের তলায় দেখতেই দম আটকে এলো স্নিগ্ধার।
যতোটা মনে পড়ছে কাল রাতে তো আবরার তাকে শুইয়ে দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলো,,,তবে এখানে কিভাবে?? কোনও ভাবে তাকে ঘুমন্ত পেয়ে লোকটা ফায়দা নিতে এসেছিলো কি??

স্নিগ্ধার ভাবনার মাঝেই ঘুম ভেঙে গেলো আবরারের।
চোখ মেলে স্নিগ্ধাকে নিজের দিকে এমন ভয়ে ভয়ে তাকাতে দেখে ভ্রু ক্রুটি করলো,

— কি হয়েছে পরি,,এতো ঘাবড়ে আছো কেন?

— আপনি এই রুমে কি করছেন?( কাপা গলায়)

আবরারের নিরুদ্বেগ উত্তর,
— ঘুমোচ্ছি,,,দেখতেই তো পাচ্ছো।

—- আপনি তো চলে গেছিলেন তাইনা??

আবরার বলল,

— হ্যা,গিয়েছিলাম,,তাই বলে কি আসতে পারিনা?
এমনিতেও এটা তোমার আর আমার রুম। তাই আমি যখন খুশি তখন আসবো…

স্নিগ্ধা চেঁতে বলল,
— নাহ। আপনি যখন তখন আসতে পারেন না। আপনার আর আমার মধ্যে যে সম্পর্ক রয়েছে সেটা ভিত্তিহীন…

আবরার খুব শান্ত ভাবে বলল

— চিল্লিওনা পরি,কানে লাগছে।
সকাল সকাল আমার রাগ দেখার ভীষণ ইচ্ছে হচ্ছে বুঝি,,,
দেখো তোমার এরকম কোনও ইচ্ছে থাকলেও আই এ্যাম স্যরি,, কারণ নাউ আই এ্যাম ইন আ ভেরি রোমান্টিক মুড,,

কথাটা বলেই স্নিগ্ধার হাতে টান মারলো আবরার। ফলস্বরূপ আবরারের বুকের ওপর এসে পরলো স্নিগ্ধা।
মুহুর্তেই ছোটাছুটি শুরু করলো,

— ছাড়ুন আমাকে,,,ছাড়ুন। আপনি আমাকে ছোঁবেন না।

স্নিগ্ধার কথায় পাত্তা না দিয়ে ওর গলায় নিজের নাক ঘষলো আবরার। মৃদু স্বরে বললো

— আমি ছোঁবোনা তো কে ছোঁবে??ওই বূড়ো টা? যার বউ হওয়ার কথা ছিলো তোমার।

কথাটা বলেই শব্দ করে হেসে উঠলো আবরার। মুহুর্তেই রাগে গিজগিজ করে উঠলো স্নিগ্ধার পুরো শরীর।

গুমোট গলায় বলল,

— আপনার বউ হওয়ার থেকে ওটাই ভালো ছিলো,অন্তত সতীন নিয়ে ঘর করতে হতোনা সেখানে।

এ পর্যায়ে আবরার কিছু বলতে নিতে ধরলেও দরজায় করাঘাতের শব্দ কানে আসতেই থেমে গেলো সে,,,হাত খানিকটা ঢিলে করতেই ধড়ফড় করে ওর বুক থেকে সরে গেলো স্নিগ্ধা।

আবরার বিছানা থেকে নেমে এগিয়ে গেলো দরজার দিকে,,,
দরজা খুলতেই ওপাশের সার্ভেন্ট কে দেখে ভ্রু কোঁচকালো

— কি হয়েছে??

মকবুল নম্র ভাবে বলল,

— স্যার,,বড় ম্যাডাম জিজ্ঞেস করছিলেন যে খাবার টেবিলে খাবেন নাকি এখানে দিয়ে যাবো?

এই সময়ে এমন প্রশ্ন পছন্দ হলোনা আবরারের। দাঁতে চিবিয়ে বলল

— আমি চেয়েছি খাবার?? এতো আগ বাড়িয়ে আমাকে খাবার খাওয়াতে বলা হয়নি তোমাদের,,,যাও গিয়ে কাজ করো নিজেদের। ইডিয়ট!

শেষের কথাগুলো ধমকে বলল আবরার।মকবুল কেঁপে উঠলো ,অন্যদিকে দ্রুত পায়ে এগিয়ে আবরারের পাশে এসে দাড়ালো স্নিগ্ধা। নাক মুখ কুঁচকে বলল,

— আপনি ওনাকে এভাবে বকছেন কেন?? উনিতো সেটাই করবেন যা ওনাকে বলা হবে,,গরীব দের কি মানুষ বলে ভাবেন না আপনি? টাকা আছে বলে যা খুশি…

আবরার চোখ রাঙিয়ে বলল,

— চুপ! তোমাকে এতো কথা বলতে কে বলেছে?? যাও ভেতরে যাও।

আর তুমি দাড়িয়ে মজা দেখছো?? যাস্ট গো( মকবুলের দিকে তাকিয়ে)

— স্যরি স্যার!

শক্ত চোয়াল নিয়ে দরজা আটকালো আবরার। দাঁতের সাথে দাঁত চিবিয়ে বিছানার ওপর বসে পরলো স্নিগ্ধা। এই লোক আস্ত বদ তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিছুতেই এর সাথে সংসার করা সম্ভব নয়,,
যে করেই হোক এই বাড়ি থেকে তাকে পালাতে হবে,, যে করেই হোক।

আবরার আলমারি থেকে শার্ট বের করতে করতে স্নিগ্ধাকে বলল,

— যাও গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও,আমি খাবার পাঠাতে বলছি।

আবরারের কথায় চোখ উঠিয়ে তাকালো স্নিগ্ধা। হঠাৎই কোমল কন্ঠে বলল..

— সারাদিন কি এই রুমেই বন্দি রাখবেন আমায়? দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার,,অন্তত রুমের বাইরে বের হতে দিন একটু।

স্নিগ্ধার কথায় কিছুক্ষন তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো আবরার। একটু ভেবে বলল,

— ঠিক আছে,তবে গত কালকের মত কোনও বেয়াদবি করলে পরিনতি ভালো হবেনা,,

স্নিগ্ধা চট করে গম্ভীর মুখে বলল,

— করবোনা।

— গুড। যাও এবার।
,
,
,

আবরার আর স্নিগ্ধার খাবারের সময় সামনে আসেনি তনয়া,পর্দার আড়ালে দাড়িয়েই ওদের দেখছিলো সে,,,স্নিগ্ধার ভেজা চুল গুলোর দিকেই বেশি মনোযোগ ছিলো তনয়ার। স্নিগ্ধার চুল থেকে টপটপ করে পানি ঝড়তে দেখে বহু কষ্টে ঠোঁট কামড়ে কান্না আটকে নিয়েছিলো নিজের। বিয়ের পরের দিন কোনো মেয়ের ভেজা চুলের মানে বোঝা দুঃসাধ্য কিছু নয়। এই সুখ তার প্রাপ্য,একমাত্র তার।অথচ আবরার আজ তার পরিনতি কি করুন করে তুলেছে।এখন থেকে প্রত্যেক টা রাত হয়তো বালিশ ভিজিয়ে ঘুমোতে হবে,চোখের সামনে দেখতে হবে তার স্বামীর অন্য নারীর সাথে সাজানো সংসার।

,
,
,

আবরার কাজে বেড়িয়েছে। এই ফাঁকে বাড়ির চারপাশ ঘুরে ঘুরে দেখছে স্নিগ্ধা। আবরার কে অনেক মিনতি করায় আজ আর তাকে রুমে আটকে রেখে তালা দেয়নি সে,বাড়িটা ঘুরে দেখার অনুমতি দিয়েছে।এ নিয়ে স্নিগ্ধা হাসিও পাচ্ছে অবশ্য।

“” বোকা লোকটা তো আর জানেনা সে কেন এভাবে ঘুরে দেখতে চাইছিলো,তবে এত বড় বাড়ি জীবনে এই প্রথম বার দেখলো স্নিগ্ধা,কোনও রাজপ্রাসাদের তুলনায় এটি কম কিছু নয়। কোন জায়গা থেকে শুরু হয়েছে আর কোন জায়গা থেকে শেষ হয়েছে বুঝে ওঠা মুশকিল। তারওপরে বাড়িতে এত লোক জন,
এরকম হলে সে পালাবে কি করে??

— এরকম ঘর জীবনে প্রথম দেখছো তাইনা??

কথাটা শুনতেই পেছন ফিরে তাকালো স্নিগ্ধা। তনয়া দাড়িয়ে আছে শক্ত মুখে।

স্নিগ্ধা তনয়াকে কালই দেখেছে।ইনি আবরারের প্রথম স্ত্রী। কিন্তু এখানে আশা করেনি, ভ্রু কুঁচকে বলল,

— আপনি?

জবাবে তনয়া একটু এগিয়ে এসে দাড়ালো স্নিগ্ধার মুখোমুখি।চেহারায় দাম্ভিকতা এনে বলল,

— আমার বাড়িতে আমিই তো থাকবো? তাই নয় কি?

— হ্যা সেতো অবশ্যই।

মাথা নিচু করলো স্নিগ্ধা। অন্যদিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আপাদমস্তক স্নিগ্ধাকে ভালোভাবে দেখলো তনয়া।

— কি দিয়ে ভোলালে আবরার কে?

চট করে তাকালো স্নিগ্ধা।বুঝে উঠলোনা,

— মানে?

তনয়া ক্ষিপ্ত স্বরে বলল,

— ন্যাকামো করোনা। তোমাদের মত মেয়েদের আমি খুব ভালো করে চিনি,,কি দিয়ে ভুলিয়েছো আমার স্বামীকে? রুপ তাইনা?? মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছো একেবারে,,,যেরকম টা এত টাকা পয়সা দেখে তোমার মাথা ঘুরে গিয়েছে ঠিক সেরকম…

স্নিগ্ধা শান্ত ভাবে বলল,

— এসব আপনি কি বলছেন… আমিতো,,

হাত উঁচু করে থামালো তনয়া।
— চুপ করো, তোমার জন্যে এই প্রথম বার আমার স্বামী আমাকে রেখে অন্য ঘরে ঘুমিয়েছে,,,আচ্ছা
তোমার লজ্জ্বা করেনি একটা বিবাহিত পুরুষের সাথে বিয়ে করতে,,,মেয়ে হয়ে অন্য আরেকটা মেয়ের সংসার ভাঙতে বিবেকে একটুও বাধলোনা তোমার,,,

তনয়ার কন্ঠে ঝড়ে পরছে রাগ,স্নিগ্ধার প্রতি ক্রুদ্ধতা।স্নিগ্ধা এবারেও শান্ত ভাবে বলল,

— দেখুন আপনি আমাকে যা ইচ্ছে হয় বলবেন,কিন্তু তার আগে আমার পুরো কথাটাতো শুনুন,,,

তনয়া ভ্রু কুঁচকে বলল,
— কি শুনবো তোমার মত একটা নোংরা মেয়ের মুখ থেকে?? যে মেয়ে অর্থ সম্পত্তির লোভে সতীন দেখেও সেই সংসারে আসে,,

— আপনি ভুল ভাবছেন,
আমি সত্যিই জানতাম না যে উনি বিবাহিত,,,উনিই ঠকিয়ে বিয়ে করেছেন আমায়,,মিথ্যা বলেছেন,,,

কথার এ পর্যায়ে স্নিগ্ধার গালে ঠাস করে এক চড় বসালো তনয়া। পারলে এই মেয়েকে এক্ষুনি মাটিতে পুতে দিতো।
স্নিগ্ধা স্তব্ধ।গালে হাত দিয়ে তনয়ার দিকে নির্বিকার চোখে তাকালো। চোখ দিয়ে গড়াচ্ছে টান্ডা অশ্রু। উদাস মুখে ভাবলো,

“সব অপমান কি সব সময় কেবল গরিব – দের জন্যেই??

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here