#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________26
সন্ধা ৭টা বাজে……….
নিদ্র ও তার বন্ধুরা ক্লাবের মধ্যে বসে আছে । কিন্তু কেও কারো সাথে কথা বলছে না । সবাই সবার নিজ নিজ ফোন নিয়ে বেস্ত । কেও ফেসবুক নিউজফিডে ঘুরছে, কেও ফেসবুকে ভিডিও দেখছে । কেও ফোনে কথা বলছে, আবার কেও টিকটক দেখছে । তবে নিদ্র একদম অন্য রকম তার ফেসবুকের ভিডিও বা টিকটক ভিডিও পছন্দ না । তাই সে একটা ইন্ডিয়ান সাউদি মুভি ফোনে চালিয়ে চেয়ারে বসে টেবিলের উপর মাথা কাত করে সুয়ে ‘রাম চন্দ্রের’ “রামা” মুভি দেখছে । সবাই সবার ফোন নিয়ে বেস্ত । সুজন টিকটক দেখছিল । দেখতে দেখতে হঠাৎ সুজন একটা ভিডিওতে এসে থেমে যায় । ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দু’টা বোরখা পরিতা মেয়ে একে অপরের পাসে হাটছে । আর পাস দিয়ে কত রকমের ফুল গাছ পিছনে সরে যাচ্ছে । ভিডিওটার মধ্যে হঠাৎ আবার হাটা বন্ধ করে কতো সুন্দর একটা দোলনার উপর দোল খেতে দেখা যাচ্ছে দুই রমনিকে । দোলনা’টা বেলি ফুল গাছের লতা দিয়ে পেচানো । থোকায় থোকায় বেলি ফুল ধরে আছে তাতে । “আরবি” একটা গান লাগানো ভিডিওটায় । গান টার সাথে যেন তাদের দু’জনকে বেস মানিয়েছে । ছাদে ভিডিও’টা বানানো হয়েছে এটা বেস বুঝতে পারলো সুজন । কিন্তু সুজন এই দুই রমনিকে দেখে ফিট হয়ে যায় । মন বলছে এখান থেকে একটা ডানা কাটা পরিকে এখনি তুলে নিয়ে আসতে । লম্বা রমনির থেকে একটু খাটো রমনির উপর আরো বেসি ফিট হয় সুজন । চোখ দু’টো তার মাতাল করার মতো । গায়ে গোলাপি রঙের বোরখা, গোলাপি হিজার, গোলাপি নিকাব । পুরো গোলাপি হুর পরি লাকছে । সুজন টিকটক’টা কোন সময় ছেরেছে তা দেখলো । মাত্র ১ ঘন্টা ১০ মিনিট হয়েছে টিকটক’টা ছেরেছে । তার মধ্যেই প্রায় 400k এর উপরে লাইক, 100k এর উপরে কমেন্ট । 200k এর উপরে শেয়ার । সুজন এটা দেখে চোখ বড় বড় হয়ে যায় । কোতুহল নিয়ে কমেন্ট গুলো চেক করতে কমেন্ট বক্স এ ঢুকলো সে । কমেন্ট দেখে যেন সুজনের একে বারে প্রাণ যায় যায় অবস্থা ।
একজন কমেন্টে লিখছে,,,,,,,,,,
_____________________________________________
| উফ আপু তোমাদের দুজকে যা লাকছে না । |
| মন চাচ্ছে এখনি ছুটে চলে যাই |
| তোমাদের কাছে। |
|____________________________________________|
আরেক জন তো বেসি পাকনামি করে ফেলছে,,,,,,
________________________________
| হায় মে মার যাউং গা ।। |
| কেও মুজে ধরো ইয়ার ।। |
| আপু এই গোলাপি পরি কে ।। |
| মুজে মার ডালা আপু ।। |
|_______________________________|
___________________________________
| wow so Hot & sexy 😍 |
|__________________________________|
_______________________________________
| উফ এই প্রজন্ত কত বার যে |
| দেখছি ভিডিওটা । |
| বলে বুঝাতে পারবো না । |
| মন চাচ্ছে সারাখন দেখি । |
| যত বার দেখি তত বারই আবার |
| দেখতে মন চায় । |
|______________________________________|
সুজনের যেন মাথা ঘুরে যাওয়ার অবস্থা এদের কমেন্ট দেখে । তাড়তাড়ি কমেন্ট বক্স থেকে বেরিয়ে আসলো সুজন । এরপর টিকটক আইডিতে ঢুকলো সে । আইডিতে গিয়ে সুজন নিজের মাথায় হাত দিয়ে ফেললো । আর মুখে আসতে করে বললো ।
:+আরে এটা তো নীলা ।(সুজন)
নীলাকে নিদ্রর সব ফ্রেন্ডরাই চিনে । সুজন মোবাইল থেকে মাথা তুলে সবাইকে এক নজর দেখে বললো ।
:+hey gayes luk at te’s….l(হেই গায়েজ লুক এট দিচ)।(সুজন)
সুজনের কথা সুনে সবাই সুজনের দিকে তাকালো কেবল মাত্র নিদ্র ছারা । কারন নিদ্র মুভি দেখতে বেস্ত । মুভিতে এখন বেস জবরদস্ত ফাইট চলছে । রাম চন্দ্র ভিলেনের সাথে ফাইট করছেন নিজের ভাইদের বাচানোর জন্য । সুজন নিদ্রকে প্রতাখান করে বাকিদের বললো ।
:+এদিকে আয় সবাই দেখে যা একটা জিনিস ।(সুজন)
সাব্বির,রাশেদ,রাহুল,জেক এসে সুজনের পাসে দারালো । জেক বললো ।
:+কি জিনিস ।(জেক)
:+এই ভিডিও’টা দেখ ।(সুজন)
এই বলে সুজন সবার সামনে ভিডিও’টা আবার প্লে করলো । ভিডিও’টা দেখে সাব্বির নিজের বুকের উপর ডান হাত রেখে বললো ।
:+আয়,,,, হায়,, এ কোন আশমানের পরি ভাই । দিল কো ছু লিয়া ।(সাব্বির)
বাকি সবাই ভিডিও’টার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে । সুজন এবার টিকটক আইডিতে ঢুকে বললো ।
:+ তাহলে দেখ এটা কোন আশমানের পরি ।(সুজন)
আইডির ভিতরে নীলাকে দেখে সবাই এক সাথে বলে উঠলো ।
:+নীলাআআআআআআ ।(এক সাথে সবাই)
সবার চিৎকারের আওয়াজ সুনে নিদ্র টেবিল থেকে মাথা তুলে তাকালো । দেখলো সবাই এক যায়গায় দারিয়ে নীলা বলে চিৎকার দিয়েছে । নীলার নাম সুনে বেস অবাক হলো নিদ্র ।
:+ওই তোরা ওখানে দারিয়ে সব কয়টা কি করছি ।(নিদ্র)
সবাই নিদ্রর দিকে তাকালো । সুজন একটা চেয়ার টেনে নিদ্র পাসে বসে বললো ।
:+আব,,দেখ তো এই দুই রমনিকে চিনতে পারিস কি না ।(সুজন)
সুজনের পাসে আবার সবাই এসে দারালো । সুজন ভিডিও প্লে করলো । ভিডিও’টা প্রথমে দেখে নিদ্র এদের চিনতে পারেনি । কারন হলো ইডিট,,,, ইডিটের কারনে নিদ্র এদের প্রথমে চিনতে পারলো না । বুঝতেই পারলো না কিছু ।
:+না চিনলাম না তো ।(নিদ্র)
:+তাহলে দেখ এবার এটা কে ।(সুজন)
সুজন আবার নীলার টিকটক আইডিতে ঢুকে নিদ্রকে দেখাতে লাগলো । সাব্বির বলে উঠলো ।
:+আচ্ছা আমরা বুঝলাম এটা নীলার টিকটক আইডি । কিন্তু নীলার ভিডিও গুলা তো 20k বা 30k এর উপরে লাইক যায় না । কিন্তু আজ এমন এক ভিডিও বানালো । ভাইরে,,,, ভাই,,,, পুরাই ভাইরাল । 400k এর উপরে লাইক উইঠা গেল গা । আমি বুঝতে পরলাম যে লম্বা মেয়ে’টা নীলা । কিন্তু ওর থেকে খাটো মেয়ে’টা কে । আমি তো ফিট মামা ওই মেয়ে উপর । পুরো হট একটা grails(গ্যালর্স),,,।(সাব্বির)
নিদ্র এতোখন সাব্বিরের কথা সুনছিল । সাব্বিরের কথা শেষ হতেই সুজনের হাত থেকে টান দিয়ে ফোন’টা নিয়ে নিলো নিদ্র । এরপর নীলার টিকটক আইডি ভালো করে দেখে আবার ভিডিও’টা প্লে করলো । নিদ্র এবার বুঝতে পারলো খাটো মেয়ে’টা আসলে কে । কপালের রগ টান টান হয়ে দারিয়ে গেছে নিদ্রর । চোখ দু’টো লাল বর্ন ধারন করলো । কান দু’টো খারা খারা হয়ে গেল । দাঁতে দাঁত চেপে, কাপা কাপা হাতে কমেন্ট বক্সের ভিতরে প্রবেশ করলো সে । কমেন্ট দেখে নিদ্র বসা থেকে দারিয়ে পরলো । ঠাস করে সুজনের ফোন’টা ক্লাবের ফ্লোরে জোরে ছুরে মারলো । ফোন’টা ভেঙে ৩/৪ ভাগ হয়ে গেল । সামনে ছিল প্লাস্টিকের টেবিল । টেবিল টাকে ডান হাত দিয়ে উপরে ফেলে দিলো নিদ্র । এরপর সামনে থাকা চেয়ার গুলোতে লাথ মেরে সামানে থেকে সরিয়ে বড় বড় পা ফেলে ক্লাব থেকে বেরিয়ে আসলো সে । বিষয়’টা এতো তাড়াতাড়ি ঘটলো যে কেও কিছু বুঝেতে পারলো না । সুধু নিদ্রর দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল সবাই । ভাবনার অবসান ঘটিয়ে রাহুল বললো ।
:+কি হলো কিছুই বুঝলাম না । ও হঠাৎ ভিডিওটা দেখে এমন রেগে গেল কেন । এর আগেও তো নীলার টিকটক অনেক বার ওকে দেখিয়েছি ।(রাহুল)
:+আমার প্রিয় ফোন,,,, আমার জান,,,,নি,,,,নিদ্রঅঅঅঅঅঅঅঅঅঅ ।(সুজন)
সুজন তার ফোনের ভাঙা পার্ট গুলো হাতে নিয়ে চিৎকার করে উঠলো । সাব্বির,রাশেদ,জেক, ভাবনার মাজে পরে গেল । ক্লাব থেকে বেরিয়ে নিদ্র বাইক নিয়ে সোজা বাসায় চলে আসলো । বাইক পার্ক করে MOM…MOM বলে চিৎকার করতে করতে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো সে ।
:+MOOOOOM..MOOOOM..কোথায় তুমি ।(নিদ্র)
আমেনা কিচেনে রান্না করছিলেন এমন সময় নিদ্রর চেচামেচি সুনতে পেলেন তিনি । তাড়িঘরি করে বেরিয়ে আসলেন তিনি কিচেন থেকে । কিচেন থেকে বেরিয়ে আমেনা নিদ্রর দিকে তাকিয়ে ভরকে গেলেন । পুরো রেগে আগুন হয়ে আছে নিদ্র । আমেনা সুকনো একটা ঢোক গিলে নিদ্র দিকে এগিয়ে গেলো । কেন রেগে আছে এই প্রশ্ন টাও করতে ভয় করছে উনার । নিদ্র আমেনাকে দেখে আমানের সামনে দারিয়ে কাঠ কাঠ গলায় বললো ।
:+তৃপ্তি কোথায় MOM…।(নিদ্র)
আমেনা নিদ্র দিকে এক বার তাকিয়ে আবার চোখ নামিয়ে নিলেন । নিদ্রর চোখের দিকে তাকাতে পারছেন না তিনি । মনে হচ্ছে চোখ থেকে আগুনের গোলা বের হচ্ছে । গলা খাদে নামিয়ে আমেনা বললেন ।
:+মনে হয় নীলাদের ফ্ল্যাটে । রুমে দেখেছি নেই ।(আমেনা)
নিদ্র আর আমেনার সামনে দারিয়ে না থেকে সোজা লিফটের কাছে চলে আসলো । আমেনা জোরে একটা নিশ্বাস ছারলেন । আমেনা সব সময় ছেলেকে সাশন করেন । কিন্তু ছেলের রাগ উঠলে ভয়ে কিছু বলতে পারেন না তিনি । আজ অনেক দিন পর নিদ্রর এই রুপ আবার দেখলেন তিনি । কিন্তু কেন রেগে আছে এই প্রশ্ন টাই করতে পারলেন না আমেনা । তবে এটা বেস বুঝতে পারছেন যে রাগ’টা তৃপ্তির উপর । কিন্তু কেন রেগে গেছে এটা বুঝতে পারছেন না । এখন আমেনার কিছু করার নেই । ছেলের রাগের উপরে তিনি কথা বলতে পারেন না । কপালের ঘাম শাড়ির আচল দিয়ে মুছতে মুছতে আবার কিচেনের দিকে চলে যান আমেনা ।
★
:+আচ্ছা আপু অনেক সময় তো হলো, এবার নিচে চলো । বড় আম্মু নিসচয় আমাকে খুচ্ছে । রাত হয়ে গেলো তো । আর আমার এগুলো পরে বসে থাকতে ভালো লাকছে না ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তি নীলার কাধ থেকে মাথা তুলে বললো । নীলা তৃপ্তির নিকাবের উপর দিয়ে তৃপ্তির দু’গাল টেনে বললো ।
:+আব,,,,,যাবো তো সুইটি । আরো একটু বসি । সবে তো মাত্র ৭.৩৯ বাজে । তোর নিদ্র ভাই নিসচই এখন আসবে না, তাহলে ভয় কিসের । আজ আমরা ভাইরাল । দেখ 500k এর উপরে লাইক পরে গেছে আমাদের ভিডিওতে ।(নীলা)
নীলা এক গাল হেসে তৃপ্তির গাল থেকে হাত নামিয়ে তৃপ্তিকে ফোনে ভিডিও দেখিয়ে বললো ।
:+আমি তোমার এই লাইক ফাইক এগুলো কিছু বুঝি না । সো আমাকে এগুলো দেখিও না । আমার খিদে পেয়েছে আমি নিচে যাবো এখন ।(তৃপ্তি)
সুমি নীলার ফোন টান দিয়ে নিয়ে নিলো এরপর কিছু একটা দেখে বললো ।
:+নীলা তোর আইডিতে তো 600kএর উপরে ফলো আরস হয়ে গেছে । আগে তো মাত্র 80k ফলো আরস ছিল । কিন্তু তুই চুপ করে বসে আছিস কি করে । এই খুশিতে একটা ডান্স তো দিতে পারিস । আর আমাকে কিন্তু ট্রিড দিতে হবে । কত কষ্ট করে ভিডিও করলাম ।(নীলা)
নীলা হাত উচু করে একটা হাসি দিয়ে কোড়ামুড়ি দিয়ে বললো ।
:+এখন এখানে ডান্স করার মুড আমার নাই । রুমে গিয়ে ফুল স্পিকারে গান চালিয়ে উরা ধুরা ডান্স করবো । তারপর এই ভিডিও like/mojo/এগুলোতে ছারবো । আর রইলো তোদের ট্রিড । কাল সেটা পেয়ে যাবি আর,,,,,,,,।(নীলা)
নীলার পুরো কথা শেষ হওয়ার আগেই । ঠাস ঠাস করে একটা বিকট আওয়াজ হলো । আওয়াজ সুনে কেপে উঠলো তিনো জনে ।
:+তৃপ্তি ছাদের দরজা খোল,,,,,ফাআআআস্ট ।(নিদ্র)
ছাদের দরজার থাপ্পড়াতে থাপ্পড়াতে চিৎকারে করে বলে উঠলো নিদ্র । নিচ থেকে লিফটে করে পাচ তলায় এসে নীলার রুমের দিকে ছুটে গিয়ে ছিল নিদ্র । কিন্তু নীলাকে বা তৃপ্তিকে সেখানে পেলো না । তারপর নীলার আম্মুকে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন । তৃপ্তি, নীলা আর সুমি ছাদে গেছে সেই বিকেলে কিন্তু এখনো আসেনি । সুনে নিদ্রর পায়ের রক্ত মাথা উঠে গেল । তাই নিদ্র ছুটে এসছে ছাদের দরজার সামনে । নিদ্র গলার আওয়াজ শুনে সুমি,নীলা অনেক ভয় পেয়ে গেল, সাথে তৃপ্তিও ।
:+আপু তুমি তো বলে ছিলে ভাইয়া এখন আসবে না । তাহলে এখন কোথা থেকে এলো ।(তৃপ্তি)
তখনি নিদ্র আবার চিৎকার করে বলে উঠলো ।
:+তৃপ্তি ছাদের দরজা খুলবি । নাকি আমি দরজা ভেঙে ফেলবো ।(নিদ্র)
বলেই ছাদের দরজায় একটা ঘুশি মারলো । নীলা আর সুমি সুকনো একটা ঢোক গিললো ।
:+নীলা মনে হচ্ছে নিদ্র ভাইয়া অনেক রেগে আছে । আমি তোকে বারন করে ছিলাম । ওকে নিয়ে ভিডিও না বানাতে । নিসচয় ভাইয়া ভিডওটা দেখেছে ।(সুমি)
নীলা মনে একটা আতংক ঢুকে গেল ।
:+ও কবে থেকে টিকটক দেখা সুরু করলো । এখন কি হবে সুমি ।(নীলা)
:+আমি কি করে বলবো । এমনি তেই নিদ্র ভাইয়া তোর উপর রেগে আছে । তার উপর এখন আবার তুই তৃপ্তিকে নিয়ে ভিডিও বানালি । বারন করে ছিলাম আমি । সুনিস নি তুই এবার বুঝ ।(সুমি)
:+কিছু হবে না আমি ভাইয়াকে মেনেজ করে নেবো । ভাইয়া তোমাকে কিছু বলবে না ।(তৃপ্তি)
এই বলে তৃপ্তি দোলনা থেকে নেমে দরজা খুলার জন্য পা বারাতেই নীলা তৃপ্তির হাত টেনে ধরলো ।
:+খুলিস না । খুললে আমাদের অবস্থা নাজে হাল করে ছারবে ।(নীলা)
তৃপ্তি নীলার হাতের উপর হাত রেখে বললো ।
:+কিছু হবে না আপু ।(তৃপ্তি)
নীলার হাত নিজের হাত থেকে ছারিয়ে ছাদের দরজা খোলার জন্য দরজার কাছে এসে দারালো তৃপ্তি । জোরে একটা নিশ্বাস নিয়ে দরজা খুলে দিতেই সজোরে একটা চড় পরলো তৃপ্তির গালে । তৃপ্তি টাল সামলাতে না পেরে ছাদের ফ্লোরে হুমড়ি খেয়ে পরলো । মাথা ভো ভো করে ঘুরতে লাগলো । ঠোঁটের কোন বেয়ে গরম রক্ত বেরিয়ে আসলো । মুখে নিকাব থাকায় সেটা বুঝা গেল না । চোখের কোন বেয়ে নোনা পানি বেরিয়ে আসলো । নিদ্র তৃপ্তিকে চড় মেরে আর কোন দিকে খেয়াল না করে ছাদে এসে কিছু একটা খুজতে লাগলো । এটা দেখে নীলা আর সুমি ছাদের দরজার দিকে দৌড় দিলো । এবং দরজা দিয়ে নিচে নেমে নিজেদের ফ্ল্যাটে চলে গেল । তারপর নিজেদের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলো । এদিকে নিদ্র হাতের কাছে কিছু না পেয়ে একটা ফুল গাছ ভেঙে লাঠি বানিয়ে নিলো । কিন্তু ততখনে নীলা আর সুমি ছাদ থকে গায়েব হয়ে গেছে । হাতে লাঠি নিয়ে পিছনে ঘুরতেই নিদ্র দেখলো তৃপ্তি নিজের মাথা দু’হাত দিয়ে চেপে ধরে দারিয়ে ঢুলছে । এলো পাথালি পা ফেলছে, কোন দিকে যাবে সেটা বুঝতে পারছে না তৃপ্তি । চোখ দু’টো তার বন্ধ । ছাদে লাইট থাকায় বুঝা ঝাচ্ছে গোলাপি নিকাবে রক্ত লেগে কালো হয়ে গেছে একটু খানি । এটা দেখে নিমিষেই নিদ্রর হাত থেকে লাঠি পরে গেল । রাগ এখন আবেগে পরিনত হলো । দৌড়ে তৃপ্তির কাছে গেল সে । তৃপ্তির দু’গালে হাত রেখে বলে উঠলো ।
:+কিউটি,,, কিউটি চোখ খোল । দেখ আমি আর কখনো তোকে মারবো না । প্লিজ লক্ষি আমার চোখ খোল । এই প্রমিজ করছি । কান ধরছি আর কখনো মারবো না । প্লিজ সোনা আমার চোখ খুলো ।(নিদ্র)
তৃপ্তি একটু একটু করে চোখ খোলার চেষ্টা করলো কিন্তু পারলো না । চোখ দু’টো আবার বুঝে নিলো সে । নিদ্র তৃপ্তিকে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো নিজের বুকের সাথে । “মনে হচ্ছে ছেরে দিলেই পাখি উরাল দিয়ে পালাবে দুর আকাশে” । এখন নিদ্রর নিজের উপরেই নিজের রাগ হচ্ছে । কেন ও নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করতে পারে না । কেন তৃপ্তিকে সে চর মারলো । ওর তো কোন দোষ ছিল না । আসতে আসতে তৃপ্তি নিদ্রর গায়ের উপর নিজের ভার ছেরে দিয়ে অঙ্গেন হয়ে গেল । তৃপ্তি ভার ছেরে দিয়ে পরে যেতে নিলেই নিদ্র আরো শক্ত করে জরিয়ে ধরলো । দু’চোখ দিয়ে দু’ফোটা নোনা পানি গরিয়ে পরলো নিদ্রর । মুখ দিয়ে একটা শব্দও বের করলো না সে । কিন্তু বুকের ভিতটা মোচর দিয়ে চিৎকার করে বলছে । “সরি জান,,, আমি তোমাকে আগাত করতে চাইনি । ভুল হয়ে গেছে আমার, মাপ করে দাও প্লিজ । আর কখনো আমি তোমাকে আগাত করবো না । এবারের মতো খমা করে দিও প্লিজ” । কিন্তু কথা গুলো মুখে বলতে পারলো না । আর বললেও এখন সুনবে কে । তৃপ্তি তো অঙ্গেন হয়ে গেছে ।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
(।কপি করা নিষেধ।)
[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]