#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________30
সকাল ৬ টা বাজে……….
আমেনা ফোনে কথা বলতে বলতে তৃপ্তির রুমের ভিতরে প্রবেশ করলো ।
:+কি বলছিস সালমা । আর মাত্র ২/৩ দিন পর মেয়েটার কলেজ খুলবে । আর এখন ওকে বাড়িতে পাঠাবো ।(আমেনা)
সালমা ফোন কানে রেখে সোফার উপর বসে বললো ।
:+হ্যাঁ,,, আপা,,,, ওকে সাপ্তাহ খানিকের জন্য গ্রামে পাঠিয়ে দিন । কলেজ তো সারা জীবনই করতে পারবে । কিন্তু বান্ধবীর বিয়ে তো আর আসবে না । জীবনে মানুষের বিয়ে একবারই হয় । মেয়ে গুলো সেই ছোট থেকে এক সাথে বড় হয়েছে । তৃপ্তি বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর ওরাও এখন আর বেসি আমাদের বাড়ি আসে না । আগে যখন তৃপ্তি বাড়িতে ছিল তখন ওরা প্রতিদিনই আমাদের বাড়িতে আসতো । পুরো বাড়ি মাতিয়ে রাখতো তিনো জনে । এখন তৃপ্তি না থাকায় ওরাও আর আসে না ।(সালমা)
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন সালমা । সালমার কথা সুনে আমেনা বললো ।
:+আচ্ছা,,, ঠিক আছে । আমি পাঠিয়ে দিচ্ছি ।(আমেনা)
:+সাথে নিদ্রকেও পাঠিয়ে দিয়েন । ছেলেটা আগের বার এসে ঠিক মতো থাকতে পারেনি ।(সালমা)
আমেনা তৃপ্তির বেডের পাসে বসে বললো ।
:+ তৃপ্তিকে তো নিদ্রই নিয়ে যাবে । ও ছারা আবার কে নিয়ে যাবে তৃপ্তিকে । আমি তো যেতেই পারবো না । তোর ভাইজানের অফিস । বুঝতেই পারছিস ।(আমেনা)
:+আপা আমি আপনাদের আসতে বলবোও না । কারন আপনাদের আসতে বললেই আপনারা বলেন অফিস /কাজ/এটা ওটা । সুনেন আপা মানুষের কাজ আজীবনই থাকবে । তাই বলে কাছের মানুষের সাথে দেখা শুনার করতেও আসতে পারবেন না । আজ কত বছর হয়ে গেছে আপনাকে সামনে থেকে দেখি না ।(সালমা)
অভিমানি সুরে বলে সালমা । আমেনা একটু হেসে বললো ।
:+আরে আমি কি তাই বলছি নাকি যে তোদের দেখতে যাবো না । তোরাও তো আমাদের এখানে আসিস না ।(আমেনা)
:+আচ্ছা আপা এখন তৃপ্তির কাছে ফোন’টা দিন । মেয়েটার সাথে আজ দুই দিন ঠিক মতো কথা বলতে পরিনি । মন’টা কেমন যেন করছে ।(সালমা)
:+ঠিক আছে ।(আমেনা)
এই বলে আমেনা কান থেকে ফোন সরিয়ে তৃপ্তির দিকে তাকালো । দেখলো তৃপ্তি অঘর ঘুমে তলিয়ে আছে । বালিস টাকে বাচ্চাদের মতো জরিয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে তৃপ্তি । আমেনা তৃপ্তির মাথায় আলতো করে হাত বুলাতে বুলাতে তৃপ্তিকে ডাক দিলেন ।
:+তৃপ্তি মা ,,,,,,,উঠ । তোর আম্মু কল করেছে কথা বলবি না ।(আমেনা)
কিন্তু তৃপ্তির কোন হেল দোল নেই । সে নিজের মতো করে ঘুমাচ্ছে । আমেনা এবার তৃপ্তির হাত ধরে টেনে তৃপ্তিকে বেডের উপর বসিয়ে দিলেন । আচমকা এমন হওয়ায় তৃপ্তি পিট পিট করে চোখ খুললো ।
:+বড় আম্মু এমন করছো কেন একটু ঘুমুতে দাও না ।(তৃপ্তি)
আমেনা তৃপ্তির কানে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বললো ।
:+তোর আম্মু কল করছে আগে কথা বল । তারপর ঘুম ।(আমেনা)
তৃপ্তি একরাশ বিরক্তি নিয়ে কানে ফোন ধরল । কিন্তু তার চোখ দু’টো আবার বন্ধ করে নিলো ।
:+হ্যালো আম্মু । কেমন আছো তুমি ।(তৃপ্তি)
ঘুম জোরালো কন্ঠে বলে তৃপ্তি । সালমা একটা দীর্ঘশ্বাস ছারেন ।
:+একটু আগেও তেমন একটা ভালোছিলাম না । কিন্তু এখন ভালো আছি ।(সালমা)
:+কেন কি হয়েছে তোমার আম্মু ।(তৃপ্তি)
বলতে বলতে আমেনার বুকের উপর ঢুলে পরে তৃপ্তি । আমেনাও তৃপ্তির মাথা নিজের বুকের সাথে জরিয়ে নেয় । এরপর তৃপ্তির চুলে বেনি কেটে দিতে লাগলো আমেনা ।
:+আমার কিছু হয়নি । তবে তোর ফ্রেন্ড মিমের হবে ।(সালমা)
:+মিমের হবে মানে,,,, কি বলছো তুমি আম্মু।(তৃপ্তি)
:+কাল রাতে নিদ্র তোকে কিছু বলেনি ।(সালমা)
:+কৈ নাতো,,,, আমাকে তো ভাইয়া কিছু বলেনি ।(তৃপ্তি)
:+সামিয়া যে কাল রাতে কল করে ছিল এই বেপারে নিদ্র তোকে কিছু বলনি ।(সালমা)
:+না আম্মু ।(তৃপ্তি)
:+ওহ,,,বুঝচ্ছি,,,নিদ্র মনে হয় বিজি ছিল । তাই হয়তো তোকে কিছু বলতে পারেনি । কাল রাতে ১০টায় সামিয়া কল করেছিল নিদ্রর কাছে । আচ্ছা সুন । কাল তোর ফ্রেন্ড মিমের গায়ে হলুদ । পরসু তার বিয়ে ।(সালমা)
:+কি বলছো আম্মু তুমি । মিমের বিয়ে মানে ।(তৃপ্তি)
চট করে চোখ খুলে আমেনার বুক থেকে মাথা তুলে ঠিক হয়ে বসে জোর গলায় বললো তৃপ্তি । আর কোন বিষয়ে তৃপ্তি না বুঝুক । তবে বিয়ের বিষয়ে সে বেস ভালোই বুঝে । আর সেই ভালো বুঝা’টা হলো । মেয়েরা বিয়ের পর অন্য বাড়িতে চলে যায় । তারপর থেকে তাদের সংসার সুরু হয় । কিন্তু সংসারে কি করতে হয় এই বিষয়ে তার ধারনা নেই । সালমা তৃপ্তির বাক্য সুনে বললো ।
:+হ্যাঁ,,,,আমি ঠিকই বলছি । পরসু মিমের বিয়ে । এই কথা কাল রাতে তোর সাথে বলার জন্য সামিয়া নিদ্রর ফোনে কল করেছিল । কিন্তু নিদ্র নাকি বাহিরে তার বন্ধুদের সাথে ছিল । তাই সামিয়া তোর সাথে কথা বলতে পারেনি । আজ সকাল ভোরে সামিয়া এসে আমাকে বলে গেছে । তোর সাথে কথা বলে তোকে তারাতাড়ি বাড়িতে আনতে ।(সালমা)
:+আচ্ছা আম্মু এখন আমি কল কেটে দিচ্ছি । পরে তোমার সাথে কথা হবে ।(তৃপ্তি)
:+এই শুন শুন,,,হাতে সময় নেই । তুই নিদ্রকে নিয়ে এখনই রওনা দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আয়,,,,।(সালমা)
টু টু টু টু টু
সালমা আর কিছু বলার আগে তৃপ্তি কল কেটে দিলো । কল কেটে দিয়ে আমেনা দিকে কটমট করে তাকালো তৃপ্তি । আমেনা সুকনো একটা ঢোক গিলে তৃপ্তিকে বললো ।
:+আমার দিকে এমন ভাবে তাকাচ্ছিস কেন ।(আমেনা)
:+তোমার ছেলে এটা কি করলো । কুচুর গোরাও তো ছেলেকে শাসন করো না । কতো বড় সাহস আমার ফ্রেন্ড কল করে আর আমার সাথেই কথা বলতে দেয় না । কাল রাত ১০টায় তো ওই শয়তান বাড়িতেই ছিল । তাহলে কেন বললো ও বাড়িতে নেই । আমার সাথে কেন কথা বলতে দিলো না আমার ফ্রেন্ড কে ।(তৃপ্তি)
রাগে ডগমগ করতে করতে বলে তৃপ্তি । আমেনা শান্ত করার জন্য বললো ।
:+এমন করিস না মা । এখন তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে তৈরি হয়ে নে । আমি নিদ্রকে ডেকে দিচ্ছি । তোদের তো অনেক দুর যেতে হবে তাই না ।(আমেনা)
আমেনার কথা সুনে তৃপ্তি চিৎকার করে বলে উঠলো ।
:+যাবো না আমি । তোমার ওই শয়তান ছেলের সাথে ।(তৃপ্তি)
আমেনা অবাক হয়ে বললো ।
:+তাহলে কার সাথে যাবি ।(আমেনা)
তৃপ্তি চুপ করে কিছু একটা ভেবে তারপর বললো ।
:+হ্যাঁ,,,,পাইছি,,,,নীলা,,, নীলা আপুর সাথে যাবো । উনি বলছে আমাদের গ্রাম দেখতে যাবেন ।(তৃপ্তি)
বলেই বেড থেকে নেমে দাঁরালো তৃপ্তি । আমেনা তৃপ্তির হাত ধরে বললো ।
:+তুই আবার ওই মেয়ের কাছে যাচ্ছিস । ওই মেয়ের জন্য তুই কালকে চড় খেয়েছিস,,,, ।(আমেনা)
:+নীলা আপুর কোন দোষ নেই । দোষ তোমার ছেলের ।(তৃপ্তি)
এরপর বাম গালে বাম হাত রেখে বললো ।
:+এতো জোরে চড় মারলো আমায় । যাবো না আমি তোমার ছেলের সাথে । আমি নীলা আপুকে নিয়ে যাবো । তোমার ওই শয়তান ছেলের থেকে নীলা আপু অনেক ভালো ।(তৃপ্তি)
এই বলে আমেনার হাত নিজের হাত থেকে ছারিয়ে নিলো তৃপ্তি । এরপর রুম থেকে বেরিয়ে নীলাদের ফ্ল্যাটে দিকে হাটা ধরলো । আমেনা তৃপ্তিকে পিছন থেকে ডাকতে ডাকতে তৃপ্তির পিছু পিছু যেতে লাগলো । কিন্তু কোন কাজ হলো না । তৃপ্তি পিছনে না তাকিয়েই লিফটের মধ্যে ডুকে লিফট চালু করে দিলো ।
★
:+ওই উঠ,,,, কি পরে পরে ঘুমাচ্ছিস ।(আমেনা)
নিদ্রর কান টেনে বেডের উপর বসিয়ে বললো আমেনা ।
:+আহ,,,MOM কি করছো ছারো প্লিজ । ব্যথা পাচ্ছি তো ।(নিদ্র)
:+কাল রাতে তৃপ্তির ফ্রেন্ড তোর ফোনে কল করেছিল ।(আমেনা)
আমেনার কথা শুনে আমেনার দিকে তাকালো নিদ্র ।
:+কিরে কথা বলছিস না কেন ।(আমেনা)
:+ইয়ে,,,, না মানে,,,,,,, MOM…।(নিদ্র)
:+কল করে ছিল কিনা সেটা বল ।(আমেনা)
:+হ্যাঁ,,,,,কাল রাত ৯.৩৯ হবে হয় তো,,, । ওই সময় কল করেছিল ।(নিদ্র)
:+হাঁদারাম এখন যে মেয়েটা আরো রেগে গেছে তোর উপর । এখন ওর রাগ ভাঙাবি কি করে ।(আমেনা)
:+কোন মেয়ে রেগে গেছে আমার উপর (নিদ্র)
আমেনা নিদ্রর কান ছেরে দিয়ে বললো ।
:+ওই যে কাল তুই আমার সামনে যাকে তোর বৌ বলে দাবি করলি,, সে ।(আমেনা)
:+কি বলছো MOM তুমি,,,,।(নিদ্র)
:+হ্যাঁ,,,আমি ঠিকই বলছি । তৃপ্তি এখন তোর উপর অনেক রেগে গেছে । তুই কাল রাতে ওর ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলতে দেসনি বলে এখন নীলাদের ফ্ল্যাটে গেছে নীলাকে নিয়ে গ্রামে যাবে বলে ।(আমেনা)
:+এ্যাঁ,,,,,।(নিদ্র)
:+এ্যাঁ,,,,না,,,,হ্যাঁ ।(আমেনা)
:+কেমনে কি হলো,,,। আমাকে একটু সব গুছিয়ে বলো তো ।(নিদ্র)
:+তাহলে শুন,,,,,,।(আমেনা)
এই বলে আমেনা নিদ্রকে সব বললো । সব শুনে নিদ্র মাথায় হাত দিয়ে বললো ।
:+চাচি আম্মা কল করে সব বলে দিয়েছে । আমি ভেবেছিলাম ওকে একটা সারপ্রাইজ দেবো । ওর রাগ ভাঙানোর একটা উপায় পেয়েছিলাম ।(নিদ্র)
:+আর সারপ্রাইজ,,,,,। এখন ও নীলাদের ফ্ল্যাটে গেছে নীলাকে নিয়ে যাবে বলে,,,,,।(আমেনা)
:+ওই ছেচড়া মেয়ের কাছে আবার গেছে । কি যাদু করছে ওকে ওই মেয়ে । ধুর ভালো লাগে না ।(নিদ্র)
:+আর ভালো লাগতে হবে না । এখন তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নে ।(আমেনা)
:+আচ্ছা তুমি যাও আমি রেডি হয়ে আসছি ।(নিদ্র)
আমেনা আর কিছু না বলে নিদ্রর রুম থেকে বেরিয়ে গেল । আর নিদ্র শাওয়ার নিবে বলে টাওয়াল নিয়ে ওয়াসরুমে চলে গেল ।
★
:+ও,,,, আপু,,,,,, আপু উঠো ।(তৃপ্তি)
নীলাকে ধাক্কা দিতে দিতে বললো তৃপ্তি । সেই কখন থেকে সে নীলাকে ধাক্কাচ্ছে কিন্তু নীলার ঘুমই ভাঙছে না ।
:+উমম মমম।(নীলা)
:+আরে উঠো না ।(তৃপ্তি)
এবার তৃপ্তি নীলার ডান হাত নিজের দু’হাত দিয়ে টানতে টানতে বললো । নীলা বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলো ।
:+আহহ । সুমি ছার তো । প্রতিদিন এক পেরা ভালো লাগে না । তুই অফিসে যাবি এতে আমাকে ডাকার কি আছে ।(নীলা)
:+আরে আমি,,,,,,,,,,,,,।(তৃপ্তি)
নীলা তৃপ্তিকে আর কিছু বলতে না দিয়ে । এক যাটকায় তৃপ্তিকে বেডের উপর টেনে সুয়িয়ে দিলো । এরপর নীলা তৃপ্তিকে আকরে পিসঠে জরিয়ে ধরে বললো ।
:+সালি প্রতিদিন আমার ঘুম না ভাঙালে তোর পেটের ভাত হজম হয় না,,,, না । আজ তোকে ছারছি না । আজ তোর অফিস বন্ধ । আজ তোকে আমি আর অফিসে যেতে দিচ্ছি না । আজ তুই আমার সাথে এখানে পরে পরে ঘুমাবি ।(নীলা)
তৃপ্তি কিছু বলতে পারছে না । কি বলবে সে নিজেই ভেবে পাচ্ছে না । নীলা ঘুমের ঘরে তৃপ্তিকে সুমি ভেবে এমন আচরণ করছে । হঠাৎ নীলা তৃপ্তির শরীরে চাপ দিলো । এরপর বললো ।
:+কি বেপার সুমি । তোর শরীর এমন নরম হলো কবে থেকে ।(নীলা)
এবার তৃপ্তি মুখ খুললো ।
:+আপু আমি,,, সুমি আপু না,,, আমি তৃপ্তি ।(তৃপ্তি)
চট করে চোখ খুলে নীলা । এরপর তৃপ্তিকে ছেরে দিয়ে বেডের উপর উঠে বসলো সে । দু’হাত মুঠি করে একবার চোখ ডলে বললো ।
:+তুই এখানে কি করে ।(নীলা)
তৃপ্তি একটা মিষ্টি হাসি দিলো । নীলা ভালো করে তৃপ্তির দিকে তাকালো । গাল’টা এখনো সামান্য ফুলে আছে । আঙুলের দাগ গুলো তেমন একটা বুঝা যাচ্ছে না । তবে ভালো করে তাকালে বুঝা যায় । ঠোঁটের কাটা কোন এখনো একটু ফুলা । নীলা তৃপ্তির বাম গালে আলতো করে ডান হাত রেখে বললো ।
:+কাল খুব ব্যথা পেয়েছিস নারে ।(নীলা)
তৃপ্তি এবার গাল ফুলিয়ে অন্য দিকে মুখ সরিয়ে নিয়ে বললো ।
:+হুম ।(তৃপ্তি)
:+আম সরি সুইটি । আমি আসলে বুঝতে পারিনি ভিডিও’টা দেখার পর নিদ্র এমন রিয়েক্ট করবে ।(নীলা)
বলতে বলতে চোখ দিয়ে পানি ছেরে দিলো নীলা । তৃপ্তি শুয়া থেকে উঠে বসে নীলার চোখের পানি মুছে দিয়ে বললো ।
:+এসব কথা আর মনে এনো না । যা হবার তা হয়ে গেছে ।(তৃপ্তি)
:+আমার জন্য তোকে চড় খেতে হলো ।(নীলা)
বলতে বলতে তৃপ্তিকে জরিয়ে ধরলো নীলা ।
:+আরে বাদ দাও না আপু । তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে ।(তৃপ্তি)
:+কি কথা ।(নীলা)
তৃপ্তিকে ছেরে দিয়ে ঠিক হয়ে বসলো নীলা ।
:+তোমাকে আমার সাথে যেতে হবে ।(তৃপ্তি)
নীলা অবাক হয়ে বললো ।
:+তোর সাথে কোথায় যাবো ।(নীলা)
:+আমাদের গ্রামের বাড়িতে ।(তৃপ্তি)
:+গ্রামের বাড়িতে মানে ।(নীলা)
:+গ্রামের বাড়িতে মানে হলো,,,,,,,,,,,,।(তৃপ্তি)
এরপর তৃপ্তি নীলাকে মিমের বিয়ের বেপারে যানালো । সব শুনে নীলা বললো ।
:+আমি যেতে পারবো না সুইটি ।(নীলা)
তৃপ্তি কপালে ভাজ এনে বললো ।
:+যেতে পারবে না কেন ।(তৃপ্তি)
:+আমি গেলে নিদ্র অনেক রেগে যাবে । আর কালকের বিষয় নিয়ে আন্টিও আমাকে তোর সাথে যেতে দিবেন না ।(নীলা)
জোরে একটা নিশ্বাস ছেরে বলে নীলা ।
:+বড় আম্মু যেতে দিবে । ১০০ বার দিবে । আর ওই শয়তানকে তো সাথে নিবো না । সুধু আমি আর তুমি যাবো ।(তৃপ্তি)
নীলা তৃপ্তির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে বললো ।
:+কি বলছিস তুই । তুই রাস্তা ঘাট কিছু চিনস যে একা একা যাওয়ার কথা বলছিস ।(নীলা)
:+রাস্তা চিনা লাগবে কেন । বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটা গাড়ি নিবো । তারপর ড্রাইভারকে বলবো আমাদের গ্রামের বাড়ি নিয়ে চলুন । বেচ ড্রাইভার আমাদের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাবে । গ্রামে তো আমরা এমন করেই চলা চল করি । ড্রাইভার দের যেখানে নিয়ে যেতে বলি ড্রাইভার আমাদের সেখানে নিয়ে যায় ।(তৃপ্তি)
নীলা উচ্চ স্বরে হেসে বললো ।
:+সুইটি আমি তোকে যতটা বকা ভাবছি । তুই তার থেকেও বেসি বোকা ।(নীলা)
:+এই আপুউউউউউউউউউ ।(তৃপ্তি)
নীলা তৃপ্তির গালে আলতো করে হাত রেখে বললো ।
:+আমি যেতে পারবো না সোনা । আমার আম্মু আমাকে যেতে দিবে না । তুই বরং তোর নিদ্র ভাইয়াকে নিয়ে যা ।(নীলা)
তৃপ্তি নীলার হাত নিজের দু’হাতের মুঠোয় নিয়ে বললো ।
:+আমি আন্টিকে বলছি এই বেপারে । আন্টি বলছে তুমি যদি যেতে চাও তাহলে তিনি কিছু বলবেন না ।(তৃপ্তি)
:+এটা হয় না সুইটি । নিদ্র অনেক রাগ,,,,,,।(নীলা)
নীলার কথা আটকিয়ে তৃপ্তি রেগে জোর গলায় বললো ।
:+আমি তোমাকে বলছি,,, তুমি যাবে মানে যাবে । এখানে কে রাগ করলো আর কে রাগ করলো না । এটা তোমাকে ভাবতে হবে না । আমি নিচে গেলাম তৈরি হতে । তুমি তারাতারি তৈরি হয়ে নিচে আসো ।(তৃপ্তি)
এই বলে তৃপ্তি নীলার বেড থেকে নেমে দারালো ।
:+কিন্তু,,,,,,,,,,,,,।(নীলা)
:+কোন কিন্তু না । যা বলছি তাই করবে । নাহলে হাত পা বেধে নিয়ে যাবো । গড ইট । মনে থাকে যেন । তাড়াতারি তৈরি হও । আমি গেলাম ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তি পিছনে ঘুরে নীলার রুম থেকে বেরোনোর জন্য পা বারালো । তখনি নীলা আবার তৃপ্তিকে ডাক দিলো ।
:+সুইটি,,,,,,,,,,।(নীলা)
তৃপ্তির মাথা এবার পুরো গরম হয়ে গেল । সে নীলার কাছে এসে নীলার জামার কলার ধরে বললো ।
:+তুমি কি আমাকে আরো রাগাতে চাও ।(তৃপ্তি)
নীলা ভয়ান্তক চোখে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ।
:+না না না । আমি যাবো । আমি রেডি হচ্ছি তো । তুই যা । তুই ও রেডি হ ।(নীলা)
:+হুম গুড । আমি গেলাম । তুমি রেডি হয়ে তোমার বেগ পত্র নিয়ে নিচে আসো ।(তৃপ্তি)
এই বলে তৃপ্তি নীলার রুম থেকে বেরিয়ে গেল । নীলা বুকে এক হাত দিয়ে জোরে একটা নিশ্বাস ছারলো ।
:+বাপ রে,,,,,এটা কি রকম মেয়ে ।(নীলা)
★
গাড়ির পিছনের ডিকিতে নিজের আর তৃপ্তির লাগেজ তুলে নিয়েছে নিদ্র । এরপর খাবার খাওয়ার জন্য খাবার টেবিলে গিয়ে বসলো সে । খাবার টেবিলে বসে ছিল ফরহাদ, আর তৃপ্তি । আমেনা তাদের রুটি আর মুরগির মাংস দিচ্ছিলেন । নিদ্র খাবার টেবিলে বসতেই তৃপ্তি চিৎকার করে বলে উঠলো ।
:+আমি যাবো না এই শয়তানের সাথে । বান্দর একটা । বড় আম্মু আমি নীলা আপুর সাথে যাবো । তুমি প্লিজ তোমার শয়তান ছেলেকে বলো আমার বেগ গাড়ি থেকে বের করে দিতে ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির কথা সুনে নিদ্রর মাথা গরম হয়ে যায় । তবুও নিজেকে শান্ত করে সে । দাঁত কটমট করতে করতে তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে নিদ্র বললো ।
:+কে বলছে তোকে ওই মেয়ের কাছে যেতে ।(নিদ্র)
তৃপ্তি নিদ্রর দিকে তাকিয়ে ভেবাচেকা খেয়ে যায় । আপনা আপনি বাম হাত বাম গালে চলে যায় । এটা দেখে নিদ্র হেসে ফেলে । তৃপ্তি তাড়াতাড়ি গাল থেকে হাত নামিয়ে নেয় । এরপর আমতা আমতা করে তৃপ্তি বললো ।
:+কে,,, কে,,, কে,,, ব বল বলবে । আ আ আমি নি নি নিজেই গে গে গেছি ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তির তোতলানো দেখে আমেনা মুচকি হাসেন । ফরহাদ সুধু খাবার খাচ্ছেন । তিনি বলার মতো কোন ভাষা খুজে পাচ্ছেন না । তখনি নীলার আগোমন ঘটে । হাতে একটা লাগেজ নিয়ে লিফট থেকে বেরিয়ে আসলো সে । মিষ্টি রঙের বোরখা, কালো নিকাব, বাদামি রঙের হিজাব, পরেছে নীলা । পুরো অস্তির লাকছে নীলাকে । তৃপ্তি নীলাকে দেখে চেয়ার থেকে উঠে নীলার কাছে গেল । তৃপ্তির পরনে নীল রঙের বোরখা,খয়েরী রঙের হিজাব । নিকাব এখনো পরেনি । কারন খাবার খেতে বসেছিল সে । তবে নিকাব’টা সাথেই নিয়ে আসছে । আর উপরে যাবে না বলে । কালো রঙের নিকাব । এদিকে নিদ্র নীলাকে দেখে রাগে চোখ মুখ দিয়ে আগুন বেরুচ্ছে । সে টেবিলের পাস থেকে একটা চেয়ার নিয়ে নীলার দিকে তেরে যেতে লাগলো । নিদ্রর পরনে একটা কালো র্টি’সার্ট,, মেচ করা কালো পেন্ট, কালো সু । চুল গুলো বাম দিকে সিতি করে ডান দিকে ঝুলে আছে । কিছু’টা চুল চোখের উপরেও এসে পরেছে । মুখে চাপ দাড়ি L স্টাইলেস করা । হাতে একটা দামি ব্রেন্ডন এর ঘরি । একটা ক্রাস ক্রাস ভাব ফুটে উঠেছে ওর মাঝে । নীলা নিদ্রকে প্রথম দেখে নিদ্রর দিকে হা করে তাকিয়ে ছিল । পরখনে যখন নীলা নিদ্রর দিকে ভালো করে তাকালো তখন লাগেজ’টা ফেলেই দু’হাত দিয়ে বোরকা টাকে একটু উচু করে লিফটের দিকে দৌড় দিলো তৃপ্তির সামনে থেকে । তৃপ্তি কিছু বুঝতে না পেরে পিছনে ঘুরে তাকালো । দেখলো নিদ্র একটা চেয়ার দু’হাত দিয়ে মাথার উপর উচু করে তার দিকে তেরে আসছে । চোখ মুখ থেকে আগুন বেরুচ্ছে মনে হচ্ছে । এটা দেখে তৃপ্তি দু’হাত দিয়ে নিজের দু’কান ধরে চিৎকার দিয়ে ফ্লোরে বসে পরলো । অবস্থা ভালো না দেখে ফরহাদ তাড়াতাড়ি এসে নিদ্রর হাত থেকে চেয়ার’টা টেনে নিলো । আমেনা এসে নিদ্রর গালে একটা চড় বসিয়ে দিলো ।
:+কি ভাবিস নিজেকে তুই । একটা ভিডিও জন্য তুই মেয়েটাকে চেয়ার দিয়ে মারবি ।(আমেনা)
নিদ্র কিছু না বলে চোখ বুঝে দু’হাত মুঠ করে দারিয়ে রইলো । নিজেকে শান্ত করার চেস্টা করলো সে । আমেনা নিদ্রর হাত টেনে ওখান থেকে একটু সাইডে নিয়ে গিয়ে বললেন ।
:+কি করছিস তুই এসব । মেয়ে’টা ভয় পায়ে আছে এমনি তেই । তার উপর এখন আবার তুই এসব কি করছিস । ওর যাকে নিয়ে যেতে চায় নিয়ে যাক না । এতে সমস্য কি । এখন যদি তৃপ্তি তোর সাথে যেতে না চায় । তখন কি করবি । আমি অনেক বুঝিয়ে মেয়ে’টাকে রাজি করাচ্ছি,,,, আর তুই ।(আমেনা)
নিদ্র এবার চোখ খুলে আমেনার দিকে তাকালো । আমেনা নিদ্রর হাত ছেরে দিলেন । চোখ দু’টো থেকে যেন আগুন বেরুচ্ছে নিদ্রর । আমেনা এবার ঠুকরে কেদে উঠলেন ।
:+এতো রাগ কেন তোর ।(আমেনা)
নিদ্র আমেনাকে নিজের বুকের সাথে শক্ত করে জরিয়ে ধরলো । নিদ্রর চোখ দিয়েও পানি পরছে ।
:+ওকে ছারা আমি বাচবো না MOM । তাই তো ওকে সব সময় একটু রাগের মাঝে রাখি । জেসিকার কথা মনে আছে তোমার MOM । কি খেল’টাই না খেললো সে । প্রথমে তো ও এই তৃপ্তির মতোই ছিল তাই না ।(নিদ্র)
:+হুম । পুরোনো ঘা আর যাগিয়ে তুলিস না বাবা । (আমেনা)
:+আরে সুনো না । পরে দেখলে তো । কেমন আমাদের পর করে ও একটা নিচ পথ বেছে নিলো । আমি চাই না আমার কিউটিকে হারাতে MOM । ওকে ছারা আমি বাচবো না ।(নিদ্র)
আমেনা নিদ্রকে শক্ত করে জরিয়ে ধরে কদে উঠেন ।
:+MOM..এবার ছারো । আমাদের যেতে হবে তো । এখান থেকে যতদেরি করবো । তত দেরিতে পৌছাবো।(নিদ্র)
নিদ্রর কথায় আমেনা নিজেকে শান্ত করলো । নিদ্র আমেনাকে ছেরে দিলো । আমেনাও নিজেকে ছারিয়ে চোখের পানি মুছে নিলো ।
:+চল আর ওর উপর একদম রাগ দেখাবি না । তাহলে পথে কোন বিপদ ঘটাতে পারে । আমি তোদের দু’জেন কাওকেই হারাতে চাইনা ।(আমেনা)
:+তুমি চিন্তা মুক্ত থাকো MOM..। ওর উপর আর রাগ দেখাবো না । তবে নীলাকে না নিয়ে গেলে হয় না ।(নিদ্র)
:+না হয় না । কারন এখন তৃপ্তি ওকে নিয়েই যাবে । তোর এমন ব্যাবহার করা মোটেও উচিত হয়নি ।(আমেনা)
নিদ্র একটা হাসি দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলো । এতপর গাড়িতে ড্রাইভার সিটে উঠে বসলো সে । আমেনা তৃপ্তির কাছে গেল । দেখলো তৃপ্তি নীলার সাথে দারিয়ে আছে । ফরহাদ খাবার টেবিলে বসে আবার নিজের খাওয়ায় মন দিলেন । তার যেন এসবে কিছুই যায় আসে না । আমেনা তৃপ্তি আর নীলার কাছে গেল ।
:+বড় আম্মু আমি তোমার ছেলে সাথে যাবো না । এটা আমার এক দম ফাইনাল কথা ।(তৃপ্তি)
আমেনা তৃপ্তির মুখের উপর নিকাব’টা বেধে দিত দিতে বলেন ।
:+ও আর এখন তোদের কিছু বলবে না । আমি ওকে বুঝিয়ে নিয়েছি । তোরা নিশ্চিতে যেতে পারিস ।(আমেনা)
:+না আমি তোমার ছেলের সাথে যাবো না মানে যাবো না । এই আমি সোফার উপর বসলাম ।(তৃপ্তি)
বলেই সোফার উপর বসে পরলো তৃপ্তি । আমেনা নীলাকে বললো ।
:+ওখানে যাবি ভালো কথা । তবে নিদ্রর থেকে দুরে থাকবি । নাহলে এখন কি করতে চেয়েছিল দেখলি না । ঠিক এমনই করবে । এখানে আমি বাধা দিয়েছি । তখন ওখানে ওকে বাধা দেওয়ার জন্য কেও থাকবে না । এতএব নিজের সাবধান নিজে হবি । আমি কি বলছি বুঝতে পারছিস ।(আমেনা)
নীলা মাথা নিচু করে বললো ।
:+জ্বী আন্টি বুঝতে পারছি ।(নীলা)
:+হুম গুড । এখন লাগেজ’টা নিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসো ।(আমেনা)
নীলাকে এটা বলে আমেনা আবার তৃপ্তির দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+তৃপ্তি মা আমার । এখন আর এমন করিস না । বলছি তো নিদ্র আর রাগ দেখাবে না ।(আমেনা)
:+রাগ দেখাবে না যে এটার গেরান্টি,,,,,,,,,।(তৃপ্তি)
তৃপ্তি আর কিছু বলার আগেই কোথা থেকে নিদ্র এসে তৃপ্তিকে কোলে তুলে নিলো ।
:+এটা হচ্ছে তার গেরান্টি । এবার হেপি ।(নিদ্র)
এরপর নিদ্র নীলার দিকে তাকিয়ে বললো ।
:+ওই ডাইনি চল ।(নিদ্র)
এই বলে নিদ্র বাড়ির বাহিরের দিকে হাটা ধরলো । আর নীলা, আমেনা, ফরহাদ নিদ্রর পিছু পিছু চলতে লাগলো । তৃপ্তি নিদ্রকে বকছে ।
:+বান্দর, শয়তান,বদমাস,,ছার আমাকে আমি যাবো না তোর সাথে । বান্দর, হনুমান,,,,,ইত্যাদি ।(তৃপ্তি)
বলে নিদ্রর বুকে কিল ঘুশি দিতে লাগলো তৃপ্তি । কিন্তু নিদ্র কোন কিছু বললো না । সে সোজা গাড়ির কাছে এসে তৃপ্তিকে গাড়ির পিছনের সিটে বসিয়ে দিলো । তৃপ্তি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে নিলেই নিদ্র একটা রাগি দিষ্টি তৃপ্তির উপর নিক্ষেপ করে । এটা দেখে তৃপ্তি সাথে সাথে আমেনাকে বললো ।
:+দেখ দেখ বড় আম্মু আমাকে আবার চোখ রাঙাচ্ছে । এই জন্য আমি বলছি আমি এই শয়তানের সাথে যাবো না ।(তৃপ্তি)
এটা সুনে আমেনা নিদ্রর কাছে আসলো । নিদ্র অসহায় দিষ্টিতে আমেনার দিকে তাকালো । আমেনা আসতে করে একটা চড় মারলো নিদ্রর গালে ।
:+এই দেখ চড় মেরে দিয়েছি । আর তোকে চোখ রাঙাবে না । এই ছেলে খবরদার তুই আমার মেয়েকে চোখ রাঙাবি না ।(আমেনা)
এটা সুনে তৃপ্তি অনেক খুশি হলো । সে চুপচাপ নিজের সিটে বসে পরলো । নীলা এসে তৃপ্তির পাসের সিটে বসে পরলো । নিদ্র নীলার লাগেজ গাড়ির পিছনের ডিকিতে রেখে ড্রাইভিং সিটে বসলো ।
:+MOM,,,, বায় । বায়,,,, পাপা ।(নিদ্র)
:+বায়,,,, বড় আম্মু । বায়,,,বড় আব্বু ।(তৃপ্তি)
তৃপ্তি গাড়ি থেকে হাত বের করে আমেনাকে আর ফরহাদকে হাত নারিয়ে বললো । নিদ্র তৃপ্তির দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো । তৃপ্তি এটা দেখে আমেনাকে ডাক দিতে নিবে । ওমনি নিদ্র গাড়ি চালিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলো ।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
(।কপি করা নিষেধ।)
[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]