#তৃপ্তিতে_আসক্ত_নিদ্র🧡
#DcD_দীপ্ত
#পর্ব__________50
পুরো কলেজ খুজেও তৃপ্তিকে খুজে পাওয়া যায়নি । নিদ্র পুরো পাগল হয়ে গেছে । একবার এদিক আবার ওদিকে দৌড়াচ্ছে । আদি, জুই সহ আরো অনেক ছেলে খুজচ্ছে তৃপ্তিকে । কিন্তু কেও খুঁজে পাচ্ছে না । নিদ্র সিরি বেয়ে দৌড়ে তিন তলার একটা রুমে প্রবেশ করলো । পুরো রুমে চোখ বুলিয়েও নিদ্র তৃপ্তিকে দেখতে পেলো না । তৃপ্তি বলে একটা চিৎকার দিয়ে ফ্লোরে বসে পরলো নিদ্র । হঠাৎ নিদ্রর কাধে হাত রাখলো জুই । নিদ্র ভেজা চোখ নিয়ে জুইর দিকে তাকালো । জুইর চোখেও পানি ।
:+ভাইয়া শান্ত হন । এভাবে এদিক ওদিক ছোটাছুটি করলে তো ওকে পাওয়া যাবে না । একটু শান্ত ভাবে ভেবে দেখুন তৃপ্তি কোথায় যেতে পারে ।(জুই)
জুইর কথা শুনে, নিদ্র নিজের মাথা দু’হাত দিয়ে চেপে ধরে একটা বেঞ্চে উঠে বসলো । আর জুই রুমের জানালার দিকে চলে গেল । নিদ্র নিজের পকেট থেকে ফোন বের করে, আমেনাকে কল করলো । উদ্দেশ্য তৃপ্তি বাসায় চলে গেছে কিনা তা যানার জন্য । কয়েক বার রিং হবার পর আমেনা কল রিসিপ করলো । নিদ্র বিচলিত কন্ঠে বলে উঠলো ।
:+MOM… তৃপ্তি কি বাসায় গেছে ।(নিদ্র)
কথা’টা শুনে আমেনা চমকালেন । তিনি ড্রইংরুমে বসে ছিলেন । তৃপ্তি যদি বাসায় আসতো তাহলে তিনি অবশ্য দেখতেন । আমেনা এদিক ওদিক তাকিয়ে বলে উঠলো ।
:+না,,ওতো বাসায় আসেনি । কেন? কি হয়েছে?(আমেনা)
শেষের কথা আতংকের সাথে বললেন আমেনা । নিদ্র কি বলবে বুঝতে পারছে না । হঠাৎ জুই চিৎকার করে বলে উঠলো ।
:+ভাইয়া,,, তৃপ্তি পিছনের দিকে ।(জুই)
জুইর চিৎকার শুনে নিদ্র কল কেটে দিলো । এদিকে আমেনা সস্থির নিশ্বাস ছারলেন । তিনি তো খনিকের জন্য কতো কিছু ভেবে ফেলেছেন । জুইর চিৎকার শুনে তিনি বুঝলেন,তৃপ্তি হয়তো কোথাও গেছে । আর নিদ্র হয়তো তৃপ্তিকে খুজে পায়নি । তাই কল করেছে । নিদ্র দৌড়ে জুইর কাছে গিয়ে দারালো । তারপর চকচকে চোখে বলে উঠলো ।
:+কোথায় তৃপ্তি ।(নিদ্র)
জুই হাতের আঙুল দিয়ে জানালার বাহিরে দেখিয়ে দিলো তৃপ্তিকে । কলেজের পিছনের বাগানে একটা বড় গাছের নিচে অঙ্গেন হয়ে পড়ে আছে তৃপ্তি । আর তার পাসে দারিয়ে আছে সাত’টা ছেলে । নিদ্র সেদিকে তাকিয়ে এসব দেখে জানালার গ্রিল দু’হাত দিয়ে শক্ত করে ধরলো । তারপর দাঁতে দাঁত চেপে ধরে বললো ।
:+ছারবো না একটা কেও ।(নিদ্র)
বলেই জানালার গ্রিল ঝারা মেরে ছেরে দিয়ে, ক্লাস রুম থেকে হন-হনিয়ে বেরিয়ে গেল নিদ্র । জুইও নিদ্রর পিছু পিছু বেরিয়ে গেল ।
★
:+দেরি করছিস কেন? তারাতাড়ি গলায় ছুরি চালিয়ে’দে । আমাদের তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে ।(ছেলে)
নেতা ছেলেটির কথা শুনে, একটা ছেলে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বললো ।
:+ভাই মা’ল’টা সেই দেখতে । একটু মজা করে নেই । এমন মা’ল আর পাওয়া যাবে কিনা, যানি না ।(ছেলে)
ছেলেটির কথা শুনে নেতা ছেলেটি রেগে গর্জিয়ে উঠে বললো ।
:+এখন শারীরিক চাহিদা মেটানোর সময় নেই । তাড়াতাড়ি এটার লাশ ফেলতে হবে । ৫ লাখ টাকা এডভান্স দিয়েছে এর জন্য । কাজ শেষ হলে আরো ৫ লাখ পাবো । আর এটা আমাদের এরিয়া না । যে নাচতে নাচতে বেরিয়ে যাবো । অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে বের হতে হবে এখান থেকে । তাই বলছি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ কর ।(ছেলে)
নেতার কথা শেষ হতে, আরেক’টা ছেলে আপদার শুরে বলে উঠলো ।
:+তাহলে ক্লাবে আজ মজা করবো । তিন মা*রে ধরে রাখা হয়েছে । ইচ্ছা মতো মজা করবো । আপনি বাধা দিতে পারবেন না নেতা ।(ছেলে)
এই ছেলেটির কথা শুনে নেতা ছেলেটি আবার বলে উঠলো ।
:+ঠিক আছে,,, যতো ইচ্ছে মজা করিস । এখন এটার গলা কাট । ক্লাবে আমি বিয়ারের বেবস্থা করে দেবো । এখন কাজ শেষ কর তাড়াতাড়ি ।(ছেলে)
নেতার কথা শুনে, একটা ছেলে এদিয়ে গেল হাতে ছুরি নিয়ে । গাছের গোড়ায় মাটিতে অঙ্গেন হয়ে পড়ে আছে তৃপ্তি । ছেলেটি তৃপ্তির পাসে বসে বলে উঠলো ।
:+খা*** তো সেই মা’ল । ভাই একটু মজা করি দিন না ।(ছেলে)
নেতার দিকে তাকিয়ে শেষের কথা বললো ছেলেটি । ছেলেটির কথা শুনে নেতা রেগে বলে উঠলো ।
:+আজ তোদের কি হয়েছে বুঝতে পারছি না । এর থেকেও অনেক সুন্দর মেয়েকে ভোগ করেছিস । আজ একে ছেরে দিলে কি হয় । আমরা এখানে মাডার করতে আসছি । শারীরিক চাহিদা মেটানোর জন্য না ।(ছেলে)
নেতার কথা শুনে পাস থেকে কান কাটা একটা ছেলে বলে উঠলো ।
:+ভাই মা’ল’টার দিকে একটু তাকান । এমন খা*** আর পাওয়া যাবে না । আগে অনেক খা**রে দেখছি । কিন্তু এর মতো দেখিনি । দেখেন কেমন গুলো মুলো সাইজ ।(ছেলে)
নেতা এবার রেগে আগুন হয়ে গেলো । একটা ছেলের হাত থেকে খপ করে একটা ছুরি নিয়ে নিলো । এটা দেখে তৃপ্তির পাসে বসে থাকা ছেলেটি তৃপ্তির গলায় ছুরি ঠেকিয়ে বললো ।
:+ভাই কাজ করছি । প্লিজ আপনি রাগ কইরেন না ।(ছেলে)
নেতা ছুরি’টা মাটিতে ফেলে দিয়ে বললো ।
:+তাড়াতাড়ি কাজ শেষ কর ।(ছেলে)
নেতার কথা শুনে ছেলেটি তৃপ্তির গলা থেকে ছুরি উঠিয়ে দারিয়ে বললো ।
:+আজ কতো তারিখ ।(ছেলে)
একটা ছেলে ফোনে ডেট দেখে বললো ।
:+জুনের ২৭ তারিখ ।(ছেলে)
ছেলেটির কথা শুনে তৃপ্তির পাসে দারিয়ে থাকা ছেলেটি হেসে উঠে বললো ।
:+এই দিনে আমি মাডার করা সুরু করছি । এটা আমার চার নাম্বার মাডার । সবাই উইস কর আমাকে ।(ছেলেটি)
ছেলেটির কথা শুনে, সব ছেলেরা হাসতে হাসতে, হাতে তালি বাজিয়ে বলে উঠলো ।
:+হেপি মাডার ডে টু ইউ । হেপি মাডার ডে টু ইউ । (সব ছেলেরা)
এদের এমন কান্ড দেখে নেতা ছেলেটির রাগের সীমা অতিক্রম হয়ে যাচ্ছে । তবুও এদের কিছু বলতে পারছে না সে । এদের কিছু বললে, সে চলবে কাকে দিয়ে । তৃপ্তির পাসে দারিয়ে থাকা ছেলেটি হাতের ছুরি শক্ত করে ধরে তৃপ্তির দিকে ঘুরে দারালো । এরপর তৃপ্তির দিকে একটু ঝুকে, তৃপ্তির গলায় ছুরি ঠেকাতে যাবে, এমন সময় কোথা থেকে ঝড়ের গতিয়ে, নিদ্র দৌড়ে এসে ছেলেটির দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দিলো । ছেলেটির দেহ কাটা মুরগীর মতো মাটিতে পড়ে লাফাতে লাগলো । চিরচির করে রক্ত বেরোতে লাগলো ছেলেটির কেটে যাওয়া গলা দিয়ে । সেই রক্ত গিয়ে পড়ছে তৃপ্তির শরীরে । আর কাটা মাথা’টা বলের মতো গড়িয়ে একটা গাছের গোড়ায় গিয়ে ঠেকলো । এমন দৃশ্য দেখে নেতা ছেলেটি সহ সব ছেলেরা দু’পা পিছিয়ে গেল । একটা ছেলে চিৎকার করে লম্বা একটা ছুরি নিয়ে নিদ্রর দিকে দৌড় দিলো । নিদ্র হাতের রা’ন’দা’টি শক্ত করে ধরে ছেলেটির দিকে রক্ত চোক্ষু নিয়ে তাকালো । নিদ্রর গায়ে মুখে রক্ত লেগে থাকায়, নিদ্রকে আরো ভয়ংকর লাগছে । যেই ছেলেটি দৌড় দিয়েছিল নিদ্রর দিকে । সেই ছেলেটি নিদ্রর পেট বরাবর ছুরি চালিয়েছে । নিদ্র যায়গা থেকে কায়দা করে সরে গিয়ে, ছেলেটির যে হাতে ছুরি ছিল, সেই হাত এক কোপে কেটে ফেললো । ছেলেটি নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করতে করতে মাটিতে লুটিয়ে পরলো । নেতা ছেলেটি ভয় পেয়ে আরো পিছিয়ে গেল । এমন সময় আরো দু’টা ছেলে চিৎকার করে দৌড়ে আসলো নিদ্রর দিকে । নিদ্র একটা ছেলেকে সামলাতে পারলেও, আরেক টাকে সামলাতে পারে নি । দ্বিতীয় ছেলেটি নিদ্রর পেটে, পচ করে একটা পোঁচ লাগিয়ে দেয় । নিদ্র আঘাত লাগাতে একটু পিছিয়ে গেল । প্রথম ছেলেটি আবার দৌড়ে আসতেই, এক কোপে ছেলেটির দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দেয় নিদ্র । দ্বিতীয় ছেলেটি ভয় পেয়ে পালাতে যাবে, তার আগেই নিদ্র ছেলেটির পায়ে কোপ মারলো । ছেলেটি মাটিকে লুটিয়ে পরলো । মাটিতে লুটিয়ে পড়তেই, এই ছেলেটিরও দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দিলো নিদ্র । নেতা ছেলেটি এমন দৃশ্য জীবনে কখনো দেখেনি । ভয়ে কি করবে বুঝতে পারছে না নেতা ছেলেটি । নেতা সহ এখন আর দু’জন ছেলে আছে । নিদ্র এক হাত দিয়ে মুখের উপর থেকে চুল সরিয়ে নেতা ছেলেটির দিকে তাকালো । নেতা ভয়ান্তক গলায় বলে উঠলো ।
:+ কে,,, কে তুই? এদের এ এমন ভা ভাবে মা মারছিস কেন?(ছেলে)
নেতা ছেলেটির কথা শুনে, নিদ্র তৃপ্তির দিকে এক পলক তাকালো । মেয়েটা ডান পাসে কাত হয়ে গাছের গোড়ায় অঙ্গেন হয়ে পড়ে আছে । নেতা ছেলেটি, তৃপ্তির দিকে একবার তাকিয়ে, আবার নিদ্রর দিকে তাকালো । নিদ্র কিছু বলছে না দেখে, নেতা ছেলেটির পাসে দারিয়ে থাকা একটা ছেলে হাতে ১ ফুট ওলা ছুরি নিয়ে নিদ্রর দিকে তেরে আসতে আসতে বললো ।
:+নেতা কি বলছে, কথা কানে যায় না তোর । তিন, চারজনকে মেরে হিরো সাজতে আসছিস ।(ছেলে)
বলতে বলতে ছেলেটি নিদ্রর সামনে আসতে লাগলো । পিছন থেকে নেতা ছেলেটি কিছু বলতে যাচ্ছিল । কিন্তু ছেলেটি নিদ্রর এতো সামনে চলে আসছে, যে নেতা ছেলেটি কিছু বলতেও পারলো না । নিদ্র দু’পা এগিয়ে এসে, ছেলেটি কিছু বুঝে উঠার আগেই, ছেলেটির গলা বরাবর কোপ মেরে দিলো । ছেলেটি মাটিতে পড়ে লাফতে লাগলো । দু’মিনিট না যেতেই ছেলেটি নিস্তেজ হয়ে গেল । নিদ্র হাত দিয়ে মুখ থেকে রক্ত মুছে, নেতা ছেলেটির দিকে তাকালো । দেখলো নেতা ছেলেটি সেখানে নেই । নিদ্র সতর্ক ভংগিতে গাছের গোড়ার দিকে তাকালো । তৃপ্তিও গাছের গোড়ায় নেই । নিদ্র এদিকে ওদিকে ঘুরে তাকাতে লাগলো । চার দিকে তাকিয়ে, এক দিকে নিদ্রর চোখ আটকে গেল । কপালের রগ টান টান হয়ে দাড়িয়ে গেলো । সে দেখলো নেতা ছেলেটি তৃপ্তিকে কাধে তুলে নিয়ে এক দিকে দৌড় দিচ্ছে । আর নেতা ছেলেটির পিছু পিছু আরেক’টা ছেলেও দৌড়াচ্ছে । নিদ্র হাতের রা’ন’দা শক্ত করে ধরে, সেদিকে দৌড় দিলো । নেতা ছেলেটি এক বার পিছনে তাকাচ্ছে, আবার দৌড় দিচ্ছে । নিদ্র তাদের প্রায় কাছে চলে আসছে । নেতা ছেলেটির পিছনে দৌড়ানো ছেলেটি দাড়িয়ে নিদ্রর দিকে ছুড়ি ছুরে মারলো । নিদ্র যায়গা থেকে সরে গেল । ছুরি’টা নিদ্রর পাস দিয়ে মাটিতে পড়ে গেলো । ছেলেটি আবার আরেক’টা ছুরি নিয়ে নিদ্রর দিকে দৌড় দিলো । নিদ্রও দৌড় দিলো । ছেলেটি আর নিদ্র যখন মুখোমুখি, তখন নিদ্র মাটিতে বসে পড়ে ছেলেটির পায়ে কোপ মেরে দিলো । ছেলেটি আর্তনাদ করে মাটিতে পড়ে গেলো । নিদ্র আবার দৌড় দিলো নেতা ছেলেটির পিছু । নেতা ছেলেটি যখন দেখলো নিদ্র তার প্রায় অল্প কিছু তফাৎ । তখন তৃপ্তিকে কাধ থেকে ঝারা মেরে মাটিতে ফেলে দিলো । তৃপ্তির অঙ্গেন গেহ’টা মাটিতে ধপাস করে পড়ে, দুই/ তিন বার গড় দিলো । নেতা ছেলেটি পিছনে ঘুরে, নিদ্রর দিকে তেরে আসতে লাগলো । নিদ্র যায়গা থেকে সরে গেল । নেতা ছেলেটি পাসে কাটিয়ে মাটিতে পড়ে গেলো । এমন সময় পায়ে কোপ মারা ছেলেটি খুড়িয়ে খুড়িয়ে নিদ্রর পিছনে এসে দারালো । চিৎকার দিয়ে নিদ্রকে কোপ দিতে যাবে, তার আগেই নিদ্র যায়গা থেকে সরে গেল । পা কাটা ছেলেটি মাটিতে পড়ে গেলো । নিদ্র দেরি না করে ছেলেটির গলা বরাবর কোপ মেরে দিলো । এরপর নেতা ছেলেটির দিকে তাকালো নিদ্র । দেখে তৃপ্তির দিকে হাতে ছুড়ি নিয়ে তেড়ে যাচ্ছে নেতা ছেলেটি । নিদ্র এটা দেখে দৌড় দিলো । নেতা ছেলেটির উদ্দেশ্য তৃপ্তি । আর নিদ্রর উদ্দেশ্য নেতা ছেলেটি । নেতা ছেলেটির হাতে ছোট একটা ছুড়ি । নেতা ছেলেটি যেই তৃপ্তির পেটে ছুড়ি ডুকাতে যাবে । ওমনি নিদ্র ধাক্কা মারলো নেতা ছেলেটিকে । ফল স্রুতিতে নেতা ছেলেটির ছুড়ি খচ করে তৃপ্তির পেটে না ঢুকলেও হাতে গেথে গেল । নিদ্রর ধাক্কা খেয়ে নেতা ছেলেটি মাটিতে গড় দিয়ে পড়ে গেলো । নিদ্র দেরি না করে, নেতা ছেলেটির গলা বরাবর কোপ মেরে দিলো । নেতা ছেলেটির দেহ লাফাতে লাগলো । চিরচির করে গলা দিয়ে রক্ত বেরোতে লাগলো । রক্তে চার পাস ভেষে যাচ্ছে । মিনিট তিন পড় পুরো শান্ত হয়ে গেল নেতা ছেলেটির দেহ । এদিকে হাতে সিন-সিন যন্ত্রনা হওয়ায় ধিরে ধিরে চোখ খুললো তৃপ্তি । নিজের গায়ে রক্ত আর হাতে ছুড়ি গাথা দেখে চিৎকার দিয়ে আবার অঙ্গেন হয়ে গেলো সে । তৃপ্তির চিৎকার শুনে নিদ্রর হুস ফিরে । সে এতোখন নেতা ছেলেটির দিকে তাকিয়ে ছিল । আর রাগে ফুসফাস করছিল । রা’ন’দা হাত থেকে ফেলে দিয়ে, তৃপ্তির দিকে দৌড়ে গিয়ে মাটিতে হুমড়ি খেয়ে পড়লো নিদ্র । এরপর তৃপ্তির হাত থেকে টান মেরে ছুরি’টা খুলে ছুরে ফেলে দিলো । ছুরি হাত থেকে খুলতেই আরো বেশি রক্ত গল গল করে বেরোতে লাগলো । নিদ্র তাড়াতাড়ি গায়ের শার্ট খুলে শক্ত করে তৃপ্তির হাত বেধে নিলো । এরপর তৃপ্তিকে দু’হাত দিয়ে কোলে তুলে নিয়ে, শক্ত করে নিজের বুকের সাথে জরিয়ে ধরলো । খনিকের জন্য যেন নিদ্রর প্রাণ ফিরে এলো । তৃপ্তির কপালে একটা চুমু দিয়ে নিদ্র বলে উঠলো ।
:+আমার জানের দিকে যে নজর দিবে । আমি তাদের কাওকে ছারবো না । মেরে মাটি চাপা দিয়ে দেবো ।(নিদ্র)
এই বলে বাগান থেকে কলেজের দিকে আসতে লাগলো নিদ্র । কিন্তু হঠাৎ নিদ্র কিছু একটা ভেবে দারিয়ে গেল । তৃপ্তিকে কোলে নিয়ে মাটিতে বসে পরলো সে । এরপর পকেট থেকে ফোন বের করে রাহুলকে কল করলো । রাহুলকে কল করে কলেজের বাগানে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব পাড়ে আসতে বললো । এরপর তৃপ্তিকে বুকের সাথে শক্ত করে ধরে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো নিদ্র । শার্টের বাধন শক্ত হওয়ায় তৃপ্তির হাত থেকে তেমন রক্ত পড়ছে না । তবে চুয়িয়ে চুয়িয়ে একটু একটু করে পড়ছে । প্রায় সাত মিনিট পড় রাহুল, জেক, আদি, জুই, আরো অনেক ছেলে আসলো । তারা এসে নিদ্র আর তৃপ্তির এই অবস্থা দেখে আঁতকে উঠলো । রাহুল আর জেক দৌড়ে নিদ্রর কাছে মাটিতে হুমড়ি খেয়ে বসে বলে উঠলো ।
:+কি হয়েছে নিদ্র? তোদের এই অবস্থা কেন?(রাহুল আর জেক)
নিদ্র এতোখন চোখ বুঝে ছিল । রাহুল আর জেকের কথা শুনে সে চোখ খুললো । এরপর ভাঙা গলায় বলে উঠলো ।
:+ওরা আমার জান পাখি’কে মারতে আসছে । শেষ করে দিয়েছি সবাইকে ।(নিদ্র)
ডান হাত দিয়ে, ডান দিকে ইশারা করে শেষের কথা’টা বললো নিদ্র । রাহুল, জেক, আদি, জুই সহ সব ছেলেরা তাকালো সেদিকে । দেখলো চার’টা ছেলে মাথা কাটা অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে । জুই ভয়ে থর থর করে কেপে উঠলো । জীবনে প্রথম মাডার দেখছে সে । নিদ্র চোখের পানি মুছে, তৃপ্তিকে কোলে তুলে নিয়ে দাড়ালো । এরপর শান্ত গলায় বলে উঠলো ।
:+রাহুল তোকে না বলছি একটা গাড়ি নিয়ে আসতে । এনেছিস? (নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, রাহুল চমকে নিদ্রর দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ।
:+হ্যাঁ,,,এনেছি ।(রাহুল)
:+ওকে তোরা হসপিটালে নিয়ে যা । ওর হাতে ছুরি লেগেছে । আমার আরো কিছু কাজ বাকি আছে । এগুলো শেষ করে তারপর আমি আসছি ।(নিদ্র)
কথা’টা বলে রাহুলের কোলে তৃপ্তিকে তুলে দিলো নিদ্র । এরপর জুইর দিকে তাকিয়ে নিদ্র আবার বললো ।
:+জুই তুমিও রাহুলের সাথে হসপিটালে যাও । ওখানে তোমার একটু দরকার পড়বে ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, জুই ভয়ে কিছু বললো না । সুধু মাথা নাড়িয়ে রাহুলের সাথে চলে গেল । রাহুল আর জুই, তৃপ্তিকে নিয়ে হসপিটালের উদ্দেশ্য বেরিয়ে গেল । জেক তখন নিদ্রকে বললো ।
:+কি এমন হয়েছে । যে তুই এদের এমন ভাবে মারলি ।(জেক)
জেকের কথা শুনে, নিদ্র মাটিতে আবার বসে পড়ে বললো ।
:+এই বিষয়ে এখন কিছু বলতে পারবো না । সুধু আমি এখন যা বলবো তোরা তা শুন । ওই গাছের দিচে বড় একটা কবর খোদ ।(নিদ্র)
তৃপ্তিকে যেই গাছের নিচে অঙ্গেন অবস্থায় দেখেছিল । সেই গাছ দেখিয়ে বললো নিদ্র । জেক অবাক হয়ে বলে উঠলো ।
:+কবর খোদবো মানে ।(জেক)
জেকর কথা শুনে নিদ্র একটু রেগে বলে উঠলো ।
:+তোকে এতো মানে বুঝতে পাড়বো না এখন । ওই গাছের নিচে কবর খোদ । আর ওই গাছের পিছনে হাত কাটা একটা ছেলে লুকিয়ে আছে । ওকে ধরে নিয়ে আয় ।(নিদ্র)
নিদ্র বেশ জোরেই কথা বলছিল । নিদ্রর কথা শুনে গাছ’টার পিছন থেকে একটা ছেলে দৌড় দিলো । ছেলেটার কেটে যাওয়া হাত থেকে রক্ত পড়ছে । ছেলেটা দৌড়ে চলে যাচ্ছে দেখে, আদি কয়েক’টা ছেলেকে পাঠালো ওই ছেলেটাকে ধরার জন্য । আর কয়েক’টা ছেলেকে কবর খোদার কাজে লাগিয়ে দিলো । অতপর হাত কাটা ছেলেকে ধরে আনা হলো । ছেলে’টা এক হাত দিয়ে নিদ্র পা জরিয়ে ধরে কাদতে কাদতে বলে উঠলো ।
:+ভাই আমাকে ছেড়ে দিন । আমি জীবনে আর কোন দিন এমন কাজ করবো না ।(ছেলে)
নিদ্র ছেলেটিকে লাত্থি মেরে নিজের পা থেকে ছারিয়ে বললো ।
:+কেন তোরা আমার কলিজার দিকে নজর দিয়েছিস । তোকে তো মরতে হবেই ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে ছেলেটি জোরে কেদে উঠে বললো ।
:+ভাই আমরা ওনার দিকে তাকায় নি । আমাদের সাথে ১০ লাখ টাকার কন্টাক্ট হয়েছে । যে এই মেয়েকে মারতে পারলে আমাদের ১০ লাখ টাকা দেবে । এডভান্স ৫ লাখ টাকা দিয়েও দিয়েছে ।(ছেলে)
ছেলেটার কথা শুনে নিদ্র চমকে দারিয়ে গেল । তৃপ্তিকে মারার জন্য টাকা দিয়েছে কেও এদের । কিন্তু কে তৃপ্তিকে মারতে চায় । নিদ্র ভেবে পাচ্ছে না । হঠাৎ নিদ্র ছেলেটির বুকের উপর পা রেখে বললো ।
:+কে তোদের টাকা দিয়েছে ওকে মারার জন্য । বল তাড়াতাড়ি ।(নিদ্র)
জোরে ধমক দিয়ে বললো নিদ্র । ছেলেটি কাদতে কাদতে বলতে লাগলো ।
:+আজ সকালে বৃষ্টি নামের একটা মেয়ে আমাদেরকে কল করে এখানে আসতে বলে । বৃষ্টি মেয়েটা আমাদের নেতার ফুফাতো ভাইয়ের, খালাতো বোন হয় । ওই মেয়ে আমাদের ৫ লাখ টাকা এডভান্স দিয়ে বললো । এই মেয়েকে মেরে ফেলতে । মারার পড় আরো ৫ লাখ টাকা দেবে । আমরা টাকার লোভে কাজ’টা করতে রাজি হয়ে যাই । জীবনে অনেক মেয়েকে মেরেছি । কিন্তু আজ এমন কিছু হবে যানলে কখনো আমরা এই কাজ হাতে নিতাম না । আমাকে মাপ করে দেন ভাই । আমি আর জীবনেও এমন কাজ করবো না ।(ছেলেটি)
ছেলেটির কথা শুনে, নিদ্রর আর বুঝতে বাকি রইলো না, যে এই কাজ কে করতে পাঠিয়েছে এদের । নিদ্র কিছু না বলে, ডান দিকে কয়েক পা হেটে গিয়ে, মাটিতে পড়ে থাকা রক্তাত্ত রা’ন’দা’টি আবার হাতে তুলে নিলো । ছেলেটি ভয়ে চিৎকার করে উঠলো । নিদ্র গাছের গোড়ার দিকে তাকালো । কবর প্রায় খোদা শেষ । নিদ্র ছেলেটির কাছে গিয়ে, ছেলেটির শার্টের কলার চেপে ধরে টেনে কবরের পাশে এনে দারালো । জেক,আদি সহ সব ছেলেরা নিদ্রর দিকে তাকিয়ে রুইলো । আর ছেলেটি আকুতি মিনতি করতে লাগলো নিদ্রর কাছে । কিন্তু ছেলেটির আকুতি মিনতি যেন নিদ্রর কানে পৌঁছায় নি । কবর খোদা ছেলে গুলো, কবর থেকে উঠে এলো । নিদ্র আর দেরি না করে ছেলেটির গলায় রা’ন’দা ঠেকিয়ে টান মারলো । ফল স্রুতিতে ছেলেটার গলা কেটে গেলো । নিদ্র ধাক্কা মেরে ছেলেটিকে কবরে ফেলে দিলো । ছেলেটির দেহ কবরে পড়ে লাফাতে লাগলো । নিদ্র রাগে ফুঁসে উঠে হাত দিয়ে ডান পাসে দেখিয়ে জেক’কে বললো ।
:+ওই দিকে দু’টা লাশ আছে । আর এখানে চার’টা । তোরা রক্ত সহ মাটি তুলে, লাশ গুলো কবর দিয়ে দে । এক বিন্দু রক্তও যেন মাটিতে না থাকে । আমি কলেজের ভিরতে যাচ্ছি । আজ এর একটা বিহিত করেই ছারবো ।(নিদ্র)
এই বলে রা’ন’দা’টি হাতে নিয়েই হন-হনিয়ে কলেজের দিকে হাটা ধারলো নিদ্র । জেক জোরে একটা নিশ্বাস ছারলো । এরপর নিদ্র যা বললো তা করার জন্য বললো আদিকে । আদিও তাই করতে লাগলো । এদিকে কলেজের ভিতরে পিন্সিপেল স্যারের রুমে গিয়ে টেবিলের উপর রা’ন’দা’টি কোপ মেরে দারালো নিদ্র । হঠাৎ এমন কিছু দেখে পিন্সিপেল ভয় পেয়ে গেল । ভয়ে থমথমি খেয়ে দারিয়ে নিদ্রর দিকে তাকালো পিন্সিপেল । দেখলো নিদ্রর গায়ে শিনা কাটা গেঞ্জি । তার গায়ে রক্ত একেবারে চেপ চেপ করছে । পেটের দিক’টায় সামন্য কাটা গেছে । নিদ্রর এমন দৃশ্য দেখে পিন্সিপেল ভয়ে বলে উঠলো ।
:+এসব কি নিদ্র । আবার কি হয়েছে তোমার? (পি.স্যার)
নিদ্র কিছু না বলে প্রথমে একটা চেয়ারে বসলো । এরপর নিজের চুল গুলো হাত দিয়ে পিছনে ঠেলে নিয়ে বললো ।
:+বৃষ্টিকে কল করে তাড়াতাড়ি কলেজে আসতে বলুন ।(নিদ্র)
নিদ্রর গম্ভীর কণ্ঠে রাগ অনুভব করলো পিন্সিপেল । তিনি আস্তে করে বলে উঠলেন ।
:+কোন বৃষ্টি । কলেজে তো অনেক মেয়ের নাম বৃষ্টি আছে ।(পি.স্যার)
নিদ্র পিন্সিপেলের কথা শুনে এক পলক পিন্সিপেলের দিকে তাকালো । এরপর চোখ দু’টো বুঝে চেয়ারে হেলান দিয়ে বললো ।
:+যেই মেয়ের নামে আমি আপনার কাছে কয়েক বার অভিযোগ করছি । সেই মেয়েকে ডাকুন । বড়লোক বাপের একমাত্র অহংকারি, নষ্টা মেয়েকে ।(নিদ্র)
নিদ্রর কথা শুনে, পিন্সিপেল বুঝে গেল কোন বৃষ্টির কথা বলছে নিদ্র । আর এটাও তিনি বেশ বুঝতে পারছেন, নিশ্চয় বড় কোনো সমস্যা হয়েছে । নিদ্রর অবস্থা দেখে তিনি কিছু’টা আন্দাজ করতে পারছেন । এটা নতুন নয়, এর আগেও নিদ্রকে এই অবস্থায় অনেক বার দেখেছে পিন্সিপেল । পিন্সিপেলের দুই চোখ সাক্ষী আছে নিদ্রর অনেক কয্য ক্রমের । নিদ্র চুপচাপ বসে রইলো । আর পিন্সিপেল নিদ্রর থেকে কিছু দুরে সরে গিয়ে, বুদ্ধি করে বৃষ্টিকে কল না করে । বৃষ্টির আব্বুকে কল করে বৃষ্টিকে নিয়ে কলেজে আসতে বললো ।
★
তৃপ্তিকে হসপিটালে ভর্তি করার পর, ডক্টর’রা রাহুলে যানালো, তৃপ্তির হাতের অপারেশন করতে হবে । হাতে কব্জির একটু উপরে ছুরি ডুকায়, হাতের রগ কেটে গেছে । তাড়াতাড়ি অপারেশন না করলে সমস্যা হবে । রাহুল অনেক বার কল করছে নিদ্রকে । কিন্তু নিদ্রর ফোন অফ পাচ্ছে । শেষে রাহুল নিজে বনসই করে দেয় তৃপ্তির বড় ভাই বলে । জুই কেবিনের ভিতরে তৃপ্তির পাসে বসে আছে । রাহুল ঔষধ পত্র নিয়ে ছুটা-ছুটি করছে । তৃপ্তির ঙ্গেন ফিরেছে । নিদ্রকে নিজের পাসে না দেখে ভিষন খারাপ লাগছে তার । জুই, তৃপ্তির ঙ্গেন ফেরা দেখেই প্রশ্ন করে বসলো ।
:+তুই তো আমার সাথে ওয়াসরুমের সামনে ছিলি । তাহলে ওদের সাথে বাগনে কি করে গেলি ।(জুই)
তৃপ্তি কিছু বলতে পারছে না । তার চোখ দিয়ে সুধু পানি গড়িয়ে পড়ছে । হাত প্রছন্ড যন্ত্রণা করছে । বেথ্যার কারনে থাকতে পারছে না তৃপ্তি । জুই কিছু’টা বুঝতে পেরে, সেদিকে আর কথা বারালো না । সুদু তৃপ্তির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো । তৃপ্তি ফুফিয়ে কেদে উঠলো । কি জন্য কেদে উঠলো জুই সেটা বুঝতে পারছে না । বেথ্যায় না অন্য কোনো কারন । অবশ্য এই সময় বেথ্যার কারনেই কাদবে জুইর ধারনা । নাহলে আর কি জন্য কাদবে । একজন নার্স এসে তৃপ্তিকে একটা বেথ্যার ইনজেকশন দিয়ে গেল । কিছুখন পরে তৃপ্তিকে অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হবে । রাহুল এক বেগ রক্ত দিয়েছে । আর এক বেগ রক্ত হসপিটাল থেকে কিনে নিয়েছে । তৃপ্তির রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ । যার করনে রাহুলের সাথে মেচ করে যায় । রাহুলেরও রক্তের গ্রুপ ও পজিটিভ । প্রায় ২০ মিনিট পর তৃপ্তিকে অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়ার জন্য, হসপিটালের ট্রলি নিয়ে আসলো ওয়াডবয়েরা । সাথে রাহুলও আছে । তৃপ্তি ফুফিয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে । প্রিয় মানুষ কাওকে নিজের পাসে না দেখে তার বুক থেকে থেকে কেপে উঠছে । তৃপ্তি অপারেশন রুমে যাবে না বলে দেয় । কিন্তু রাহুল বুদ্ধি করে একজন নার্সকে দিকে তৃপ্তিকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে নেয় । এরপর তৃপ্তিকে ট্রলিতে তুলে অপারেশন রুমে নিয়ে যাওয়া হয় ।
#চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
[।কপি করা নিষেধ।]
[।বি.দ্র: ভুল ত্রুটি ক্ষমার দিষ্টিতে দেখবেন ধন্যবাদ।]
আইডি লিংক, প্লিজ সবাই ফলো করুন, গল্প কখন আসবে আইডিতে জানিয়ে দেওয়া হবে ।
👇
https://www.facebook.com/profile.php?id=100076569764322
👇
দী প্ত