#ভ্যাম্পায়ার_সিটি
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_৪_থেকে_৫
“ভ্যাম্পায়ার ক্রাউনের অনুসারীরা ক্রাউনের আদেশ মেনে আকাশের বাংলোর ভিতরে প্রবেশ করার জন্য বাংলোর দরজার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। তারা দরজার প্রায় মুখোমুখি চলে গিয়েছে। তখনি আকাশ ভিতর থেকে বাংলোর দরজা খুলে বিশাল একটা অস্ত্র হাতে করে নিয়ে এসে দরজার সামনে দাঁড়ায়। আকাশকে অদ্ভুত রকমের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে ভ্যাম্পায়ার ক্রাউনের অনুসারীরা থেমে যায়। তবে ক্রাউন হাসতে আরম্ভ করে। কারন তার সামনে অস্ত্র সস্ত্রের কোনো খাওয়া দেয়। ক্রাউনের হাসি দেখে আকাশ ক্রাউনকে বলে,
–ওর তার মানে তুই এই ক্রাউন?
–হুম আমিই ক্রাউন।
–যাক ভালোই হয়েছে তোর সাথে দেখা হয়ে। এবার তাহলে খেলা জমজমাট হবে। আমি তোরই তালাশ করছিলাম। কিন্তু তুই তো দেখি নিজেই আমার সামনে এসে ধরা দিয়েছিস।
–আমি কারোর সামনেই ধরা দেইনি। আর আমাকে ধরার মতন ক্ষমতা এখনো কাররো হয়নি। উল্টো আমি নিজেই মানুষকে ধরে ভ্যাম্পায়ার বানিয়ে দেয়। এখন তোকেও আমার শিকার বানাবো।
–ক্রাউন বাকি আট-দশটা মানুষের মতন আমাকে সাধারণ ভাবে নিলে ভুল করবি।
–ক্রাউন কখনো ভুল করে না। ক্রাউন যা করে সব ঠিক। এই তোরা বেটাকে ধরে আমার সামনে নিয়ে আয়। ওর রক্ত পান করার তীব্রতর আকাঙ্খা জেগেছে আমার মাঝে।
–জ্বি হুকুম আমরা আপনার শিকারকে ধরে এনে আপনার সামনে হাজির করছি।
.
ক্রাউনের অনুসারী ভ্যাম্পায়ার যারা বাংলোর ভিতরে যাওয়ার জন্য সামনের দিকে অগ্রসর হয়েছিলো, তারা আকাশের দিকে এগোতো শুরু করে তাকে ধরার জন্য। ভ্যাম্পায়ার গুলো আকাশের প্রায় কাছাকাছি চলে গিয়েছে। এমন সময় আকাশ হাতে করে নিয়ে আসা অস্ত্রটা দিয়ে ভ্যাম্পায়ার গুলোর দিকে গুলি ছুঁড়তে আরম্ভ করে। “অপরপাশ থেকে ক্রাউন আকাশের গুলি ছুঁড়া দেখে আগের ন্যায় শব্দ করে হাসতে আরম্ভ করে। কারন পিস্তলের বুলেটে কখনোই ভ্যাম্পায়াররা মরবে না। কিন্তু কিছু সময় পেরোতেই ক্রাউনের মুখের হাসি গায়েব হয়ে যায়। আকাশের গুলির বুলেট ক্রাউনের তৈরী করা ভ্যাম্পায়ারকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে দেয়। যেসব দেখে ক্রাউনের মুখ থেকে হাসির রেখা গায়েব হওয়ার পাশাপাশি তার চেহারায় চিন্তার ছাপ ফুটে উঠে। ক্রাউনের চিন্তিত চেহারা দেখে এবার আকাশ হাসতে হাসতে ক্রাউনকে বলে,
–কি জনাব হুঁশ নিজের জায়গা মতন এসেছে? নাকি আরো কিছু শকট খাওয়াবো?
.
আকাশের কথার প্রতিত্তোরে ক্রাউন রাগান্বিত কন্ঠে বলে উঠে,
–তুই কি ভাবে এমনটা করেছিস?
আমার তৈরী করা ভ্যাম্পায়ারকে তো গুলি করে মারা অসম্ভব। সেখানে তুই তাঁদেরকে জ্বালিয়ে ছাই বানিয়ে দিয়েছিস। কি করে সম্ভব এটা!
–শোন আমরা মানুষ। আমাদের কাছে অসম্ভব বলতে কিছুই নেই। আর সবে তো মাত্র শুরু। মাত্র তোর অনুসারী দুই-চারটাকেই শেষ করেছি। এখনো তো তোকে মারা বাকি আছে।
–আমার দু-চারটা অনুসারীকে মেরে নিজেকে মহৎ ভাবিস না।
–নিজেকে এখনো মহৎ ভাবছি না। তবে তোকে শেষ করতে পারলে অবশ্যই নিজেকে মহৎ ভাববো।
–তোর এই স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না। আমরা এখন চললাম। তবে খুব জলদি তোর সাথে আমার আবার দেখা হবে। তখন তোর শরীরের রক্ত তৃপ্তি সহকারে পান করবো আমি।
–আরে কোথায় যাচ্ছিস? সাহস থাকলে আমার সাথে লড়াই করে আমায় পরাজয় কর। তারপর না হয় আমার শরীরের রক্ত পান করার কথা ভাবিস।
.
ক্রাউন আর কোনো কথা না বলে তার অনুসারীদেরকে নিয়ে আকাশের সামনে থেকে গায়েব হয়ে যায়। আকাশ ক্রাউনের এমন আচরণ দেখে হাসতে হাসতে বাংলোর ভিতরে এসে মুজাহিদকে বলে,
–যাক মুজাহিদ বুদ্ধিমানের একটা কাজ করেছিস তুই। আসার সময় বুদ্ধি করে ড্রয়িড থেকে আলট্রা ভায়োলেট কিরণের সিরাম দ্বারা একটা অস্ত্র বানিয়ে নিয়ে এসেছিস।
–ভাই আমি চাইলে এই অস্ত্র দিয়ে আসার সময়েই তাঁদের মোকাবেলা করতে পারতাম। কিন্তু পরে ভাবলাম তাঁদেরকে আমাদের বাংলোর সামনে নিয়ে আসি।
–হুম ভালো করেছিস। আর অস্ত্রটা একদম পারফেক্ট হয়েছে। এখন থেকে ভ্যাম্পায়ারকে ভয় পাওয়ার মতন কিছুই নেই। কারন তাঁদের মোকাবেলা করার মতন অস্ত্র আমরা বানিয়ে নিয়েছি। এখন থেকে ভ্যাম্পায়ারদের কাম ডাউন শুরু। এতোদিন মানুষ ভ্যাম্পায়ারদেরকে ভয় পেয়ে আতঙ্কে দিলো। এখন ভ্যাম্পায়ার আমাদেরকে দেখে আতঙ্কে থাকবে। আর আগামীকাল থেকে আমরা সবাই রাতের বেলায় খোলা রাস্তায় ঘুরে বেড়াবো এবং সাথে ভ্যাম্পায়ারের তালাশ করবো।
তারপর দেখবো কি ভাবে ভ্যাম্পায়াররা মানুষের উপরে আক্রমণ করে।
–জ্বি ভাই একদম ঠিক কাজ হবে এটা। কারন শহরের মানুষজন অনেক ভয়ে আছে। সবার ভিতর থেকে আমাদের এই ভয় টাকে দূর করতে হবে।
–হুম।
আচ্ছা মুজাহিদ শোন এবার তোরা সবাই মিলে অস্ত্রের ভিতরে বুলেটের জায়গায় আলট্রা ভায়োলেট কিরণের তৈরী সিরাম গুলো লোড করে নে। আর কিছু অস্ত্র প্রয়োজনের বাহিরেও এক্সট্রা করে তৈরী করে রাখিস। কারন কখন অতিরিক্ত প্রয়োজন পরে বলা যাচ্ছে না।
–ঠিক আছে ভাই।
–আমি রুমে গেলাম।
.
আকাশ সবাইকে গুলির ভিতরে বুলেটের বদলে সিরাম গুলো লোড করতে বলে সে নিজের রুমে চলে আসে। আকাশের কথা মতন মুজাহিদ লোকজনকে নিয়ে অস্ত্রের মধ্যে আলট্রা ভায়োলেট কিরণের তৈরী সিরাম গুলো লোড করতে থাকে। আকাশ এবং তার সঙ্গী সাথী সবাই প্রস্তুত ভ্যাম্পায়ারকে মারার জন্য। সবাই বেশ খুশি ভ্যাম্পায়ারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অস্ত্র সামগ্রী বানিয়ে। মুজাহিদ অস্ত্র বানানোর পাশাপাশি সবাইকে নিয়ে হালকা পাতলা সেলিব্রেশন করছে। “অপরদিকে ক্রাউন পুরোপুরি উন্মাদ হয়ে গেছে। সে আকাশের কাছে সাময়িক পরাজয় হয়ে ভয়ানক পাগলামো শুরু করেছে। ক্রাউনের বিকৃত মস্তিষ্ক আরো বিগড়ে গেছে আকাশের কাছে সাময়িক পরাজয় হয়ে। তাই সে নিজের রাগ কে কন্ট্রোল করতে না পেরে নিজের অনুসারীদের এই প্রাণ নিতে আরম্ভ করে। ইতিমধ্যে সে দশ-পনেরো জন অনুসারীকে সে মেরে ফেলেছে। কিন্তু তবুও তার বিকৃত মস্তিষ্ক শান্ত হচ্ছে না। যার দরুন সে সোজা রুস্তম নামক গড অফ ভ্যাম্পায়ারের কাছে চলে যায়। রুস্তম নামক গড অফ ভ্যাম্পায়ারের কাছে গিয়ে গড অফ ভ্যাম্পায়ারকে বলে তাকে এমন একটা শক্তি প্রদান করতে, যাতে করে তাকে কেউ হারাতে পারবে না। কিন্তু গড অফ ভ্যাম্পায়ার তার কথার কোনো উত্তর দেয় না। কারন গড অফ ভ্যাম্পায়ার চেয়ারের মধ্যে বসে ঘুমিয়ে আছে। গড অফ ভ্যাম্পায়ারকে কিছু বলতে বা তার থেকে কিছু চাইতে হলে তাকে আগে ঘুম থেকে জাগানো প্রয়োজন। এছাড়া তাকে হাজার ডাকলেও সে ঘুম থেকে জাগবে না। তাকে জাগাতে হলে যে কারোর শরীরের এক বাটি রক্ত পান করাতে হবে। তাহলেই সে ঘুম থেকে জাগবে। কিন্তু ক্রাউন তাকে রক্ত পান না করিয়ে ডাকতে থাকে। যার কারনে গড অফ ভ্যাম্পায়ার ক্রাউনের ডাকে কোনো সারা দেয় না। গড অফ ভ্যাম্পায়ার ক্রাউনের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় ক্রাউন এবার এতো পরিমাণে উন্মাদ হয়ে যায় যে, সে গড অফ ভ্যাম্পায়ারের গলাতেই কামড় বসিয়ে দেয়। ক্রাউন গড অফ ভ্যাম্পায়ারের গলায় কামড় বসিয়ে দিয়ে তার শরীর থেকে সমস্ত রক্ত খেয়ে নেয়। যার ফলে গড অফ ভ্যাম্পায়ার ঘুমন্ত অবস্থাতেই মৃত্যুবরন করে। এবং তার শরীর চেয়ার থেকে ঢুলে নিচে পড়ে যায়। ক্রাউনের এমন আচরণে বাকি দু’জন গড অফ ভ্যাম্পায়ার ঘুমন্ত অবস্থা থেকে রক্ত পান করানো ছাড়াই হুট করে জাগ্রত হয়ে যায়। যারা কিনা দু’জন দুই স্থানে ঘুমিয়ে ছিলো। গড অফ ভ্যাম্পায়ারদের আলাদা আলাদা রাজ্য আছে। ক্রাউন রুস্তম নামক ভ্যাম্পায়ারের রাজ্য এসে তাকে ঘুমন্ত অবস্থাতেই মেরে ফেলেছে। আর বাকি দু’জন ভ্যাম্পায়ার তাঁদের নিজ নিজ রাজ্যে ঘুমিয়ে ছিলো। কিন্তু ক্রাউন রুস্তমকে মেরে ফেলায় তারা ঘুম থেকে আপনা-আপনিই জাগ্রত হয়ে যায়। আর জেনে যায় কেউ রুস্তম নামক গড অফ ভ্যাম্পায়ারকে মেরে ফেলেছে। এটা জানার পর বাকি দু’জন গড অফ ভ্যাম্পায়ার একত্রে মিলে ক্রোধিত হয়ে রুস্তমের রাজ্যে আসে। কিন্তু তারা সেখানে এসে রুস্তমের লাশ ছাড়া কোনো কিছুই খুঁজে পায় না। তারা রুস্তমের হত্যাকারীকে খোঁজার জন্য আশপাশ ভালো করে দেখতে থাকে। ক্রাউন রুস্তমকে মেরে সমস্ত প্রমাণ মুছে ফেলায় বাকি দু’জন গড অফ ভ্যাম্পায়াররা তার বিরুদ্ধে কোনো কিছুই পায় না। যার কারনে তাঁদের ক্রোধ আরো বেড়ে যায়। এতোটা সময় তারা দু’জন মানুষের আকৃতি ধারণ করে ছিলো। কিন্তু অতিরিক্ত রেগে যাওয়ায় তারা মানুষ থেকে ভয়ানক শয়তানের রূপ ধারণ করেছে। শয়তানের রূপ ধারণ করার পর তারা রুস্তমের রাজ্য থেকে বেরিয়ে গিয়ে দু’জন একত্রে মিলে আকাশের দিকে হাত দিয়ে ইশারা করে মন্ত্র পড়তে আরম্ভ করে। যার কিছুক্ষণ পরেই অনেক জোরালো একটা আলোকরশ্মি আকাশ থেকে জমিনের দিকে তেড়ে আসে। আকাশ থেকে তেড়ে আসা আলোকরশ্মিটা জমিনে তেড়ে এসে জমিনের সাথে সংযোগ পড়ে একটা দরজার মতন পোর্টাল খুলে দেয়। যার ভিতর থেকে বিভৎস আকৃতির অনেক বড় বড় শয়তান বেরিয়ে আসে। পোর্টালের ভিতর থেকে বিভৎস আকৃতির শয়তান গুলো বেরিয়ে এসে গড অফ ভ্যাম্পায়ারকে সম্মান দেওয়ার উদ্দেশ্যে তাঁদের সামনে মাথা ঝুঁকিয়ে দেয়। তখনি গড অফ ভ্যাম্পায়ার থেকে একজন ভ্যাম্পায়ার যার নাম কিনা লিঙ্কন, সে সেই শয়তান গুলোকে বলে,
–রুস্তমকে মেরা ফেলা হয়েছে। তোমরা তার রাজ্যের ভিতরে প্রবেশ করো।
.
পোর্টাল থেকে প্রকট হওয়া শয়তান গুলো লিঙ্কনের কথা মতন রুস্তমের রাজ্যে প্রবেশ করে। রুস্তমের রাজ্যে প্রবেশ করার পর তারা রুস্তমের মৃত লাশ দেখে এতো জোরে চিৎকার করে, যেই চিৎকারের আওয়াজে রুস্তমের পুরো রাজ্য ভেঙ্গে চুরমার হয়ে ধুলোর সাথে মিশে যায়। “অন্যদিকে এই ভয়ানক চিৎকারের আওয়াজ ডেমন হান্টারদের কানে গিয়ে পৌঁছায়। তারা আওয়াজটা শোনা মাত্রই বুঝে ফেলে ভয়ানক কোনো বিপদ আসতে চলেছে। তাই তারা নিজেদের বাসস্থান ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে মানুষদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য। এমন সময় আকাশ থেকে জমিনের সাথে সংযোগ গড়া আলোকরশ্মিটা তারা বহু দূর থেকে দেখতে পায়। যেটা দেখে তাঁদের বুঝতে বাকি নাই, যে ভ্যাম্পায়াররা খুব বড়সড় কিছু একটা করতে চলেছে। কিন্তু বর্তমানে ভ্যাম্পায়ারের সাথে মোকাবিলা করার মতন কোনো অস্ত্র না থাকায় তারা আলোকরশ্মিটার দিকে না গিয়ে আকাশের বাংলোতে চলে যায়। আকাশের বাংলোতে গিয়ে ডেমন হান্টাররা ভয়ানক বিপদের আভাস সম্পর্কে আকাশকে আগাম জানিয়ে দেয়। আকাশ ডেমন হান্টারদের কথাবার্তা শুনে কিছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা করে বলে,
–আচ্ছা এখন কি করা যায় বলেন?
এমনিতেই তো ভ্যাম্পায়াররা মানুষ মারছে। তার উপরে এখন তারা কি প্ল্যান সাজাচ্ছে কে জানে।
.
আকাশের প্রশ্নের উত্তরে ডেমন হান্টারের বর্তমান প্রতিনিধি বলে,
–ভাই আমাদের একবার সেই আলোকরশ্মিটার দিকে যাওয়া উচিৎ।
–ঠিক আছে তাহলে চলেন আমরা সবাই মিলে সেদিকে যাবো। দেখি ভ্যাম্পায়াররা কি খিচুড়ি পাকাচ্ছে।
–হুম ভাই চলেন, কিন্তু ভ্যাম্পায়ারের বিরদ্ধে লড়াই করার মতন একটা অস্ত্র তৈরী করবেন বলেছিলেন সেটা কি তৈরী হয়েছে?
–হুম হয়েছে। আপনারা আমাদের সাথে চলুন। বাকি সেখানে যাওয়ার পর অস্ত্রের কামাল দেখতে পাবেন।
–হুম ভাই চলুন।
.
আকাশ ভ্যাম্পায়ারকে মরার অস্ত্রশস্ত্র সহ ডেমন হান্টারদেরকে সঙ্গে নিয়ে সেই আলোকরশ্মিটার দিকে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পরে। সকলেই ভেবেছে ক্রাউন এবং তার অনুসারীরাই হয়তো ভয়ানক কিছু করতে চলেছে। এবং আলোকরশ্মির কার্যক্রমটাও হয়তো ক্রাউন করছে। কিন্তু তাঁদের কারোর এই চিন্তা-ভাবনায় নেই যে আলোকরশ্মির কার্যক্রম টা ক্রাউন নয়, বরং সেটা করছে ভ্যাম্পায়ারের সম্প্রদায়ের দুই সূচনাকারী গড অফ ভ্যাম্পায়ার। যারা কিনা এক কথায় বলতে গেলে রক্ত খাওয়া নরপিশাচ। তাঁদের সামনে কখনো কোনো মানুষ পড়লে সেই মানুষ আর পরের সকালের সূর্য দেখতে পারে না। গড অফ ভ্যাম্পায়ারদের সম্পর্কে এই অজানা তথ্য না জেনেই আকাশ অস্ত্রশস্ত্র সহ লোকজনকে নিয়ে সেই নরপিশাচ গুলোর দিকে রওয়ানা হয়েছে। গড অফ ভ্যাম্পায়ার নামক নরপিশাচ গুলোর সামনে যাওয়ার পর তাঁদের সাথে কি ঘটতে পারে সেই বিষয়ে কারোর এই কোনো আইডিয়া নেই…..
চলবে…..
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।
#ভ্যাম্পায়ার_সিটি
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_৫
“ভ্যাম্পায়ারদের সম্পর্কে এই অজানা তথ্য না জেনেই আকাশ অস্ত্রশস্ত্র সহ লোকজনকে নিয়ে সেই নরপিশাচ গুলোর দিকে রওয়ানা হয়েছে। গড অফ ভ্যাম্পায়ার নামক নরপিশাচ গুলোর সামনে যাওয়ার পর তাঁদের সাথে কি ঘটতে পারে সেই বিষয়ে কারোর এই কোনো আইডিয়া নেই। তারা না জেনেই আলোকরশ্মিটার দিকে যাত্রাপথ শুরু করেছে। ” অপরদিকে পোর্টালের মাধ্যমে বিচরণ করা ভ্যাম্পায়ার গুলা রুস্তমের রাজ্যকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে রুস্তমের লাশকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে আলোকরশ্মিটার সামনে রাখে। তারপর
গড অফ ভ্যাম্পায়ার এবং তারা মিলে রুস্তমের অন্তিম যাত্রার কারুকাজ শুরু করে। তারা সবাই মিলে কি যেনো পাঠ করছে রুস্তমের লাশকে সামনে রেখে। “এদিকে আকাশের লোকজন সহ আকাশ এবং ডেমন হান্টাররা কিছু সময় যাত্রা করার পর সেই আলোকরশ্মিটার সামনে এসে পৌঁছায়। তারা আলোকরশ্মিটার সামনে এসে পৌঁছাতেই হতবাক হয়ে যায়। কারন তারা আলোকরশ্মিটার সামনে এসে দেখে ভ্যাম্পায়ারের মেলা বসেছে। এতো গুলো ভ্যাম্পায়ারকে দেখে সবাই আতঙ্কিত হয়ে গেছে৷ বিশেষ করে ডেমন হান্টাররা। কারন তাঁদের হাতের ব্রেসলেট জাতীয় ফিতা গুলো জ্বলতে আরম্ভ করেছে। যেই ফিতা গুলো সর্বদাই তাঁদের হাতে থাকে। এবং এই ফিতার কার্যকরিতা হচ্ছে আশেপাশে কোনো বিপদজনক কোনো বস্তু থাকলে বা ভয়ানক কোনো বিপদ আসতে চললে এই ফিতা গুলো জ্বলে উঠে। ডেমন হান্টারদের প্রতিনিধি তাঁদের সবার হাতের ফিতা গুলোকে জ্বলতে দেখে আকাশকে বলে,
–ভাই আমরা অনেক ভয়ঙ্কর কিছুর আভাস পাচ্ছি। তাই আমাদের জলদি এখান থেকে চলে যাওয়া উচিৎ।
–চলে যাবো মানে কি? আমরা না ভ্যাম্পায়ারকে মারতে এসেছি। তাহলে কায়ারের মতন তাঁদেরকে না মেরে চলে যাবো কেন?
–ভাই আমরাও কিন্তু ভ্যাম্পায়ারের শিকার করি। তবে বর্তমানে প্রতিপক্ষদের মধ্যে অনেক শক্তিশালী কেউ একজন হয়তো আছে। যার কারনে আমাদের হাতে ব্রেসলেট জাতীয় ফিতা গুলো জ্বলজ্বল করছে। আর তার চাইতেও বড় কথা আমরা আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবনে বহু ভ্যাম্পায়ারকে মেরেছি। কিন্তু বর্তমানে সামনে যাদেরকে দেখতে পাচ্ছি, তাঁদের মতন বিশাল আকৃতির কোনো ভ্যাম্পায়ারকে আমরা আমাদের এই জন্মে কোনোদিন দেখিনি। তাছাড়া আমাদের শরীরের সাংকেতিক জিনিসটা অনেক বড় বিপদের সংকেত দিচ্ছে আমাদেরকে। তাই আমাদের এখন এখান থেকে চলে যাওয়া উচিৎ।
–ডেমন হান্টার আপনারা চলে গেলে চলে যেতে পারেন। কিন্তু আমি পিছপা হতে শিখিনি কোনো দিন। হয় মরবো না হয় মারবো। দু’টোর একটা তো অবশ্যই হবে। কিন্তু আমি পিছপা হবো না।
–ভাই আমার কথা বুঝার ট্রাই করেন প্লিজ। আমি জানি আপনি অনেক বড় মাপের একজন লোক। কিন্তু বিশ্বাস করেন আমার কথায় সবার মঙ্গল নিহিত আছে।
–ডেমন হান্টার বললাম তো হয় মরবো না হয় মারবো কিন্তু পিছপা হবো না।
.
ডেমন হান্টার আকাশকে হাজার বারন করা সত্বেও সে ডেমন হান্টারের কথা শুনে না। আকাশ তার জেদেই এঁটে থাকে। যার কারনে ডেমন হান্টাররাও আকাশের সঙ্গ দিতে বাধ্য হয়। অবশ্য তারা চাইলে চলে যেতে পারতো, কিন্তু তারা সেটা কখনোই করবে না। কারন তাঁদের কাজ মানুষদেরকে ভ্যাম্পায়ারের হাত থেকে বাঁচানো। মানুষকে ভ্যাম্পয়ারের হাতে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যাওয়া নয়। তাই তারা নিজের অনিচ্ছা সত্বেই আকাশের সঙ্গ দেয়। আকাশ এবং ডেমন হান্টাররা গড অফ ভ্যাম্পায়ারদের থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। গড অফ ভ্যাম্পায়ার মানে লিঙ্কন এবং তার আরেকজন সাথী সহ পোর্টালের মাধ্যমে আসা দানব আকৃতির কোনো ভ্যাম্পায়ার এখনো আকাশদেরকে দেখেনি। তবে তারা রুস্তমের বিদায় লগ্নের কারুকাজ করার সময় হুট করেই মানুষের শরীরের ঘ্রাণ পায়। যার কারনে তারা নিজেদের কাজে ব্যাঘাত ঘটিয়ে আশেপাশে নজর ঘুরাতে থাকে। তখনি তাঁদের সকলের নজর আকাশদের উপরে গিয়ে পড়ে। যেটা দেখে আকাশ সবাইকে বলে,
–তারা আমাদেরকে দেখে নিয়েছে। এখন তারা সবাই আমাদের দিকে তেড়েফুঁড়ে আসবে আমাদের রক্ত পান করার জন্য। তাই সবাই প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। আর মুজাহিদ এবং রাজ তোরাও প্রস্তুতি নিয়ে থাক।
–ভাই আমরা অলওয়েজ প্রস্তুত আছি তাঁদের সাথে লড়াই করার জন্য।
.
মুজাহিদ অলওয়েজ প্রস্তুত আছি এই কথাটা বলে শেষ করতে না করতেই পোর্টালের মাধ্যমে জমিনে বিচরণ করা দানব আকৃতির ভ্যাম্পায়ার গুলা আকাশদের দিকে তেড়ে আসতে আরম্ভ করে। যেটা দেখে সবাই আলট্রা ভায়োলেট কিরণের দ্বারা তৈরী অস্ত্র দিয়ে তাঁদের দিকে আন্ধাধুন গুলি ছুঁড়তে আরম্ভ করে। যেই গুলির আঘাতে দানব আকৃতির একজন ভ্যাম্পায়ার জ্বলে ছাই হয়ে যায়। আকাশদের গুলির এই পাওয়ার পাওয়ার দেখে দানব আকৃতির ভ্যাম্পায়ার গুলো সাময়িকের জন্য থেমে যায়। তবে তারা থেমে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বিচক্ষণতার সহিত নিজের হাত দিয়ে জাদুই একটা ঢাল বানিয়ে নেয়। তারপর সেটার সাহায্যে নিজদের রক্ষাকবচ বানিয়ে আকাশদের দিকে এগোতে আরম্ভ করে। এবার আকাশদের বর্ষন করা গুলিতে ভ্যাম্পায়ারদের কোনো কিছুই হয় না। সমস্ত গুলি তাঁদের রক্ষাকবচের মধ্যে গিয়ে লাগে। দানব আকৃতির ভ্যাম্পায়ার গুলো এগোতে এগোতে আকাশদের একদম নিকটে চলে গিয়েছে। তখনি আকাশ হাত উত্তলন করে নিজের সামনে অদৃশ্য একটা দেয়াল বানিয়ে দেয়। আকাশের মাঝে এই বিশেষ ক্ষমতা এসেছে অবনীর কারনে। তার উপরে সে বর্তমানে ড্রয়িডের প্রেসিডেন্ট বা রাজা। তাই আকাশ আরো নানান রকমের শক্তি প্রাপ্ত করেছে। তবে সকল শক্তির উৎস কিন্তু অবনী। তার কারনেই তার মাঝে সকল শক্তি বিরাজ করেছে। এক কথায় বলতে গেলে আকাশ অবনীর শক্তিকেই ব্যবহার করছে। আকাশ অদৃশ্য দেয়াল বানিয়ে দেওয়ার কারনে সেই দানব আকৃতির ভ্যাম্পায়ার গুলো আকাশদের উপরে হামলা করতে পারে না। তারা আকাশের বানিয়ে দেওয়া অদৃশ্য দেয়ালের অপরপাশে আঁটকে গেছে। তবে তারাও কম নয়। তারা নিজেদের শক্তির ব্যবহার করে হাতের ঢাল টা দিয়ে দেয়ালের মাঝে জোরে জোরে আঘাত করতে থাকে। যেটা দেখে আকাশ সবাইকে বলে,
–এই মুজাহিদ তোরা সবাই এখান থেকে চলে যা। কারন যে কোনো সময় যে কোনো কিছুই হতে পারে। তোরা সবাই চলে যা। আমি ওদেরকে আঁটকে রাখছি। তোরা সুরক্ষিত জায়গায় পৌঁছে গেলেই আমিও আমার মতন চলে আসবো।
–ভাই আপনাকে এই বিপদের মুখে ফেলে আমরা কেউ এই যাচ্ছি না।
–মুজাহিদ আমি কিন্তু আদেশ করেছি তোকে সবাইকে নিয়ে এখান থেকে চলে যেতে।
.
মুজাহিদ না পারতে আকাশের কথা মেনে নিয়ে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসে। ডেমন হান্টাররাও মুজাহিদদের সাথে চলে গেছে। এদিকে দানব আকৃতির ভ্যাম্পায়ার গুলা অদৃশ্য দেয়াল টাকে ভাঙ্গার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও তারা বিফল হয়। যেটা দেখে লিঙ্কন নামক গড অফ ভ্যাম্পায়ারটা আকাশের অদৃশ্য দেয়ালের দিকে হাত দিয়ে ইশারা করে। যার ফলে লিঙ্কনের হাত থেকে লাল বর্ণের অগণিত কলা বাঁদুর বেরিয়ে আকাশের অদৃশ্য দেয়ালের দিকে তেড়ে আসতে থাকে। কলা বাঁদুর গুলো অদৃশ্য দেয়ালের সামনে এসে হুট করেই একে অপরের সাথে মিশে গিয়ে বিশাল একটা দানবে পরিণত হয়। কলা বাঁদুর গুলো দানবে পরিণত হওয়ার পর সজোড়ে অদৃশ্য দেয়ালের মাঝে একটা ধাক্কা মারে। যার ফলে অদৃশ্য দেয়াল ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। আর আকাশ বহু দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে। এবার সমস্ত ভ্যাম্পায়ার এবং কলা বাঁদুরের তৈরী সেই দানবটা আকাশের দিকে এগোতে থাকে তাকে মারার জন্য। কিন্তু অপরদিকে আকাশ মাটিতে ছিটকে পড়েই থাকে। কারন সে ছিটকে পড়ার পরেই বেহুঁশ হয়ে গেছে। এবং তার সাথে সাথে আকাশের শরীরের অনেক জায়গায় চোট লেগেছে। যার কারনে সে বাঁচার কোনো ধরনের প্রয়াস করে না ভ্যাম্পায়ারদের হাত থেকে। এমন সময় ডেমন হান্টারের বর্তমান প্রতিনিধি অদৃশ্য থেকে প্রকট হয়ে আকাশকে সঙ্গে নিয়ে আবার অদৃশ্য হয়ে আকাশের বাংলোতে চলে আসে। আকাশের আদেশে সবাই বাংলোতে ফিরে এসেছে। কিন্তু বর্তমানে আকাশের অবস্থা বেশ খারাপ। মুজাহিদ যে কোনো একভাবে ডক্টরকে নিয়ে এসেছে আকাশকে দেখার জন্য। ডক্টর আকাশের চেকআপ করে বলে তার শরীরের বেশ কয় জায়গায় ইঞ্জুরি হয়েছে। বিশেষ করে তার কোমরে। কারন আকাশের পিঠের দিকে একটা জায়গায় বেশ চোটের আঘাত দেখা যাচ্ছে। যার কারনে স্পষ্ট ভাবে বুঝা যাচ্ছে যে আকাশের কোমরের বড় ধরনের একটা ক্ষতি হয়েছে। তবে হাড় ভেঙ্গেছে কিনা সেটাতে নিশ্চিত নয়। এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে হলে এক্স-রে করতে হবে।
তবে কন্ডিশন দেখে এমন-ই মনে হচ্ছে। তাই ডক্টর জলদি আকাশের কোমরের এক্স-রে করতে বলে।
বাকি আকাশের সামান্য চোট পাওয়া স্থান গুলো ডক্টর ক্লিন করে মেডিসিন লাগিয়ে দেয়। তারপর তিনি চলে যায়। আর যাওয়ার আগে বলে যায় জলদি তার জ্ঞান ফিরে আসবে। রাত বাজে তিনটা কিন্তু আকাশের এখনো জ্ঞান ফিরে আসেনি। সবাই বেশ চিন্তিত আকাশকে নিয়ে। পুরো রাত পেরিয়ে সকালে সূর্য উদয় হয়েছে। এমন সময় আকাশের জ্ঞান ফিরে আসে। আকাশের জ্ঞান ফেরায় সবাই বেশ খুশি। কিন্তু আকাশ জ্ঞান ফেরবার পর কোমরে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করে। তাই সে মুজাহিদকে বলে,
–মুজাহিদ আমার কোমরে প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে। ব্যথা কমে এমন কিছু একটা কর তো।
–ভাই আপনাকে নিয়ে একটু পর হসপিটালে যাবো। কারন আপনার কোমরে বেশ চোট লেগেছে। আপনার কোমরের এক্স-রে করতে হবে। তারপর রিপোর্ট মোতাবেক ডক্টর ট্রিটমেন্ট করবে।
–যা করবি কর কিন্তু জলদি করবি। কারন কোমরের ব্যথায় আমার অসহ্য লাগছে।
.
আরেকটু সময় যেতেই মুজাহিদ আরো কয়েকজন গাড়ি করে আকাশকে হসপিটালে নিয়ে গিয়ে আকাশের কোমরের এক্স-রে করায়। এক্স-রে রিপোর্টে তেমন কোনো কিছু ধরা পড়েনি। সব কিছু স্বাভাবিক আছে। যেটা দেখে সবাই চিন্তা মুক্ত হয়েছে। কিন্তু আকাশের কোমরের পেইন কোনো ভাবেই কমে না। দেখতে দেখতে রাত হয়ে এসেছে। এর মাঝে গতকালের সেই ডক্টর এসে আকাশের এক্স-রে রিপোর্ট দেখে তাকে কিছু ঔষধ কন্টিনিউ করতে বলেছে। আর সব কিছু স্বাভাবিক আছে রিপোর্ট দেখে সেটা তিনিও নিশ্চিত করেছে। কিন্তু সব কিছু স্বাভাবিক থাকলেও আকাশের কোমরে অস্বাভাবিক রকমের একটা পেইন হচ্ছে। সে এই পেইন থেকে সাময়িক মুক্তির জন্য ঘুমানোর প্রয়াস করে। বেশ কিছুক্ষণ চেষ্টার পর আকাশ ঘুমিয়ে পড়ে। আকাশ ঘুমিয়ে গেছে দেখে আকাশকে শান্তি মতন ঘুমাতে দিয়ে সবাই আকাশের কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে। কিন্তু আকাশের এই ঘুম দীর্ঘায়ু হয় না। মধ্যরাতে হুট করেই কোমরের ব্যথা উঠায় তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভাঙ্গার পর আকাশ ব্যথায় কোকাতে আরম্ভ করে। তার যেনো মৃত্যু যন্ত্রণা হচ্ছে। কোনো মতেই সে নিজেকে সামাল দিতে পারছে না। বেশ কয়েক ধরের প্রচেষ্টা চালিয়েছে সে ব্যথা কমানোর। একবার বালিশে নিজের মুখ শক্ত করে গুঁজে দিয়েছে। একবার কোমরের নিচে বালিশ দিয়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করেছে। তবে কোনো মতেই কিছু হয়নি। তাই সে আবারো কোকাতে আরম্ভ করে। এমন সময় হুট করে কেউ একজন আকাশের বিছানায় শুয়ে পিছন থেকে আকাশকে জড়িয়ে ধরে তার কাঁধে চুমু খেতে আরম্ভ করে। যার ফলে আকাশ কোকানো বন্ধ করে দিয়ে একদম চুপচাপ হয়ে যায়….
চলবে….
ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।