ভ্যাম্পায়ার সিটি -(পর্ব_১২)

0
336

#ভ্যাম্পায়ার_সিটি
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১২

“ভ্যাম্পায়ার ক্রাউন কফিনের ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে তার অনুসারী সবাইকে একজোট করে অবনীকে খোঁজার উদ্দেশ্যে আকাশের বাসায় যাওয়ার জন্য রওয়ানা হয়। “এদিকে আকাশরাও প্রায় বাসার কাছাকাছি চলে এসেছে। কিন্তু তাঁদের কারোর এই জানা নেই একটু পরে ক্রাউন নামক ভ্যাম্পায়ারের সাথে তাঁদের বাঘে-সিংহের লড়াই হবে। বাড়ির একদম সামনা-সামনি চলে আসার পর হুট করেই তাঁদের গাড়ির সামনে জম্বুকের লিডার হাঁপাতে হাঁপাতে এসে হাজির হয়। জম্বুকের লিডারকে দেখে ড্রাইভার জায়গার মধ্যে গাড়ি ব্রেক করে। সবাই বেশ চমকে আছে জম্বুকের লিডার এভাবে গাড়ির সামনে হুট করে চলে আসায়। কেউ কিন্তু জম্বুকের লিডারের আসল পরিচয় জানে না। তাই আকাশ গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে জম্বুকের লিডারকে বলে,

–কে ভাই আপনি?
আর হুট করে আপনি আমাদের গাড়ির সামনে কেন চলে এসেছেন? আরেকটুর জন্য তো আমার গাড়ির নিচে চাপা পড়ে দূর্ঘটনার স্বীকার হতেন।

–ভাই আমি কে সেটা পরে বলছি। আর আমি মরে গেলেও আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমি যাওয়ার আগে কারোর উপরে প্রতিশোধ নিতে চাই।

–মানে কি?

–ভাই মানে টাও পরে বলছি। কিন্তু আমি শুনলাম আপনি নাকি ডেমন হান্টারদের সাথে মিলে ভ্যাম্পায়ারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন?

–হুম করছি।

–ভাই সে আমারো শত্রু। আর এবার আমি আমার পরিচয়টা দেই। ভাই আমি হচ্ছি জম্মুক সম্প্রদায়ের রাজা সুফিয়ান। ভাই ভ্যাম্পায়াররা আমাদের হাজার খানেক জম্বুককে গতকাল রাতে মেরে ফেলেছে। তাই আমি আপনাদের সাথে একজোট হয়ে ভ্যাম্পায়ারের সাথে লড়াই করতে চাই।

–এই লুফিয়ান কি বলছেন আপনি?
ভ্যাম্পায়াররা আপনার লোকজনকে মারবে কি করে? ভ্যাম্পায়ার সম্প্রদায়ের রাজা লিঙ্কন তো আমার সুরক্ষিত জায়গায় নিজেই আত্মগোপন হয়ে আছে। সে কি করে আপনাদের লোকজনকে মারবে?

–ভাই গড অফ ভ্যাম্পায়ার মারেনি। মেরেছি ক্রাউন। আর ক্রাউন এই তাঁদের দু’জন গড অফ ভ্যাম্পায়ারকে মেরে ফেলেছে।

–কিহহহহহ!

–জ্বি ভাই আমি সত্যি বলছি।
আমরা জম্বুকরা মানুষের জনসাধারণের থেকে অনেক দূরে একটা গুহায় থাকি। আমরা না পারতে মানুষের ক্ষতি করি না। তবে যদিও আমাদের কাজ মানুষকে মেরে নিজেদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করা। কিন্তু তার পরেও আমরা সেভাবে মানুষের ক্ষতি করি না। কিন্তু ভ্যাম্পায়াররা কাউকেই ছাড় দেয় না। তারা মানুষের রক্ত খেয়ে তো তাঁদেরকে মেরে ফেলেই, তার পাশাপাশি গতকাল রাতে ক্রাউন আমাদের গুহায় প্রবেশ করে আমার হাজার খানিক সৈন্যকে সে মেরে ফেলেছে। এমনকি সে নিজের রাজাকেও ছাড় দেয়নি। ভাই সে অনেক হিংস্র হয়ে উঠেছে। আপনি প্লিজ আমাকে আপনাদের সঙ্গে নিন। আমিও আপনাদের সাথে মিলে তার বিরুদ্ধে লড়াই করবো।

–এজন্যই তো বলি গড অফ ভ্যাম্পায়ার লিঙ্কন আমাদেরকে কথা দেওয়ার পরেও কেন ভ্যাম্পায়ারের হাতে মানুষ মরতেছে। তার মানে গড অফ ভ্যাম্পায়ার লিঙ্কন সত্যিই বলেছিল, যে সে কিছুই জানে না৷ আর তার অগোচরে ক্রাউন এসব করে বেড়াচ্ছে।

–জ্বি ভাই ক্রাউন এই এসব করছে।

–ঠিক আছে আপনি আমাদের পিছু পিছু বাংলোতে আসুন। আর একটু সামনে গেলেই আমাদের বাংলো।

–ঠিক আছে।
.
ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট করে বাংলোতে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে। আর তার পিছু পিছু জম্মুকের লিডার সুফিয়ান আসতে থাকে। মিনিট পাঁচেকের মধ্যে সবাই এসে বাংলোর সামনে হাজির হয়। বাংলোর সামনে হাজির হতেই আকাশ রাজকে বলে,

–রাজ গড অফ ভ্যাম্পায়ারকে আমাদের বাংলোতে নিয়ে আয়। আর মুজাহিদকে বল ডেমন হান্টারদেরকে খবর লাগাতে।

–ঠিক আছে ভাই।
.
রাজ আকাশের কথা মুজাহিদের কান অব্দি পৌঁছে দিয়ে গড অফ ভ্যাম্পায়ারকে নিয়ে আসার জন্য চলে যায়। সবাই বাংলোর সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
কিছুক্ষণ সময় পেরোতেই রাজ গড অফ ভ্যাম্পায়ার লিঙ্কনকে তার সঙ্গে করে নিয়ে আসে। আর অপরদিকে মুজাহিদের খবর পেয়ে ডেমন হান্টাররাও চলে আসে। আকাশ সবাইলে একত্রে করে ক্রাউনের পর্দা ফাঁস করে।

–দেখুন ক্রাউন এই সবাইকে মারছে। সে পরশু রাতে শতের উপরে মানুষ মেরেছে। তার উপরে সে তার নিজের সম্প্রদায়ের দু’জন রাজাকেও মেরে ফেলেছে। তাই এবার আপনারা রেডি হয়ে থাকুন। আগামীকাল আমরা সবাই মিলে ক্রাউনের ব্যবস্থা নিব।
.
আকাশের কথায় ডেমন হান্টারের বর্তমান লিডার বলে,

–ভাই আমরা অলওয়েজ রেডি। আমরা সব সময়ই ভ্যাম্পায়ারের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরী আছি। তার উপরে যদি আবার তারা মানুষের প্রাণ নেওয়া হামলা করে, তাহলে তো কথাই নেই। সোজা এখুনি তাঁদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়বো।

–নাহ তার কোনো প্রয়োজন নেই। আজকের দিনটা কোনো মতে কাটিয়ে দিন। কারন আগামীকাল আমি আর অবনী বিয়ে করতে চলেছি। আগামীকাল অবনীকে আমি আগে নিজের করে নেই। তারপর রাতের বেলায় ক্রাউন নামক অধ্যায় টার সমাপ্তি করবো।

–ঠিক আছে ভাই আপনি যেটা ঠিক মনে করেন।

–হুম এবার সবাই চলে যান। আগামীকাল দেখা যাবে সব কিছু।
.
আকাশের কথায় ডেমন হান্টার এবং লিঙ্কন চলে যাওয়ার জন্য কদম বাড়ায়। এমন সময় হুট করেই ক্রাউন তার বিশাল সৈন্য সেনা নিয়ে আকাশের বাংলোর সামনে এসে হাজির হয়। যেটা দেখে সবাই থতমত খেয়ে যায়। কিন্তু ক্রাউনকে দেখা মাত্রই লিঙ্কনের রাগ উঠে যায়। কারন সে তার সাথের বাকি দু’জন গড অফ ভ্যাম্পায়ারকে মেরে ফেলেছে। অবশ্য যদিও গতকাল লিঙ্কন বেশ ঘাবড়ে ছিল। তবে তার সঙ্গীদের হত্যাকারী ক্রাউন এটা জানার পর তার ভয়ভীতি পালিয়ে গিয়ে তার ভিতরে ভয়ানক ক্রোধের জন্ম নিয়েছে। লিঙ্কন একাই কাউকে কিছু না বলে ক্রাউনের দিকে এগিয়ে যায়। তারপর ক্রাউনের একদম কাছে গিয়ে ক্রাউনকে বলে,

–তার মানে ঘরের মানুষ এই খুনি।

–হুম আমিই খুনি।

–ক্রাউন গড অফ ভ্যাম্পায়াররা তোর কি ক্ষতি করেছিল? যার কারনে তুই নিজের সম্প্রদায়ের রাজাকেই পিঠ পিছে ছুরি মেরে মেরে ফেলেছিস?

–কারন আমি আর তোদের গোলামী করতে চাই না। বহু শত বছর তোদের গোলামী করেছি। কিন্তু কোনো ফল পাইনি। তোরা তোদের মতন রাজার আসন নিয়ে ঘাপটি মেরে বসে ছিলি, আর আমরা তোদের আদেশ পালন করেছি।

–ক্রাউন তোর ও তো পাওয়ার কম ছিল না। আমাদের পরেই তো তোর অবস্থান ছিল। তারপরেও কেন তুই এমনটা করলি?

–কারন ঐ যে বললাম আমি আর তোদের গোলামী করতে চাই না। আমি চাই আমি নিজেই ভ্যাম্পায়ার সম্প্রদায়ের রাজা হবো। তাই তো আমি ভ্যাম্পায়ার সিটি ছেড়ে শহরে এসেছি নিজের আলাদা করে সৈন্য সেনা তৈরী করতে। কিন্তু তুই আর লুফিয়ান আমার কাজে এসে বাঁধা দিয়েছিস। আমি চেয়েছিলাম আরো বহু পরে তোদেরকে শেষ করে নিজে একাই রাজত্ব করবো। কিন্তু কয়েকদিন আগে তুই আমার গলা চেপে ধরে সবার সামনে আমার অপমান করেছিস। তাই গড অফ ভ্যাম্পায়ারদেরকে শেষ করার কাজটা আমার জলদিই করতে হলো। বাকি দু’জন গড অফ ভ্যাম্পায়ারকে তো মেরে ফেলেছি। কিন্তু তুই বেঁচে গেছিস। তবে এখন তোকেও শেষ করে দিব। তোকে শেষ করার পর এখানের সবাইকে মেরে ঐ যে মেয়েটাকে দেখছিস, তাকে আমি নিজের সঙ্গে করে নিয়ে যাবো।
.
ক্রাউনের কথা শুনে লিঙ্কন এবং বাকি সবার রাগ উঠে যায়। বিশের করে আকাশের। কিন্তু সে কিছুই করে না। তবে সে কিছু না করলেও লিঙ্কন থেমে নেই। সে মুহূর্তের মধ্যেই মানুষের রূপ থেকে ভয়ানক একটা শয়তানে পরিবর্তন হয়। লিঙ্কনকে নিজের রূপ পরিবর্তন করতে দেখে ক্রাউন ও নিজের রূপ পরিবর্তন করে ফেলে। সেও এবার শয়তানের রূপ ধারণ করেছে। ক্রাউন শয়তানের রূপ ধারণ করতেই তার পিছন থেকে বিশাল বড় বড় দু’টো পাখনা বেরিয়ে আসে। এবং তার শরীর আগুনের মতন জ্বলজ্বল করতে থাকে। যেটা দেখে লিঙ্কন কিছুটা ঘাবড়ে যায়। কারন ক্রাউনের শরীরে সে বাকি দু’জন গড অফ ভ্যাম্পায়ারের শক্তি সহ দেখতে পাচ্ছে। তবে সে পিছু হাঁটে না। সে ক্রাউনের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে মারার জন্য। দু’জনের ভিতরে বেশ ধামাকাদার লড়াই শুরু হয়েছে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত লিঙ্কন তার সামনে বেশি একটা সময় টিকতে পারে না। ক্রাউন, লিঙ্কনের গলা চেপে ধরে ঠুস করে লিঙ্কনের ঘাড়ের হাড় ভেঙ্গে ফেলে। যার ফলে লিঙ্কন মাটিতে ঢুলে পড়ে। আর ক্রাউন সজোরে হাসতে হাসতে তার অনুসারীদেরকে বলে,

–দেখ আমি আমাদের সম্প্রদায়ের মুর্খ রাজাকেই মেরে ফেলেছি। এখন থেকে আমিই হলাম ভ্যাম্পায়ার সম্প্রদায়ের রাজা। এখন থেকে আমি হলাম ভ্যাম্পায়ার সম্প্রদায়ের গড। আজ থেকে সমস্ত ভ্যাম্পায়ার আমার আদেশের পালন করবি।
.
ক্রাউনের কথায় তার সৈন্য সেনারা তার দিকে হালকা নুইয়ে তাকে সম্মান জানায়। “অপরদিকে আকাশ,অবনী এবং বাকিরা সবাই এই দৃশ্য দেখে রাগে বোম হয়ে যায়। বিশেষ করে আকাশ। কারন অবনীকে নাকি ক্রাউন তার সঙ্গে করে নিয়ে যাবে। আকাশ নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে তার লোকজনকে বলে,

–এই বেটাকে আজকেই শেষ করবো। আগামীকালের গুষ্টি আমি টুট,টুট,টুট। আজকেই এই শয়তান শেষ। এই তোরা সবাই নিজেদের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার সাথে মিলে ওর উপরে হামলা কর। সবাই মিলে আজকে ওকে পায়ের নিচে কুচলে মারবো। তখন ওর বাহাদুরি দেখানো আর আমার প্রিয় মানুষের উপরে নজর দেওয়া চিরতরের মতন বন্ধ হয়ে যাবে।
.
আকাশের কথায় অবনী বাদে আকাশ সহ সবাই ক্রাউনকে মারার জন্য নিজের সাময়িক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তেড়ে যায়। আকাশের সাথে জম্বুকের লিডারটাও রয়েছে। সবাই ক্রাউন এবং তার সৈন্যদের দিকে তেড়ে তাঁদের সামনা-সামনি যাওয়ার পর গুলি ছুঁড়তে আরম্ভ করে। সবাই আন্ধাধুন গুলি ছুঁড়ছে। কিন্তু কারোর এই কিছু হচ্ছে না। কারন ক্রাউন নিজের শক্তির মাধ্যমে সমস্ত গুলিকে অদৃশ্যর সাথে মিলিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু আকাশের লোকজনের থামা থামির নাম নেই। তারা গুলি ছুঁড়েই চলেছে। যার ফলে ক্রাউন রেগে গিয়ে কিছু ছুঁড়ে ফেলবার মতন আকাশদের দিকে হাত দিয়ে ইশারা করে। ক্রাউনের হাতের ইশারায় আকাশের লোকজন সহ আকাশ এবং ডেমন হান্টাররা সবাই ছিঁটকে কয়েক হাত পিছনে এসে মাটির উপরে আছড়ে পড়ে। যেটা দেখে এবার অবনীর মাথা খারাপ হয়ে যায়। তাই সে গতবারেরর ন্যায় সবার সামনে একটা অদৃশ্য দেয়াল দাঁড় করিয়ে দিয়ে একাই সে ক্রাউনের নিকট চলে যায়। তারপর ক্রাউনের নিকটে গিয়ে সে নিজের সমস্ত শক্তিকে একত্রে করে ক্রাউনের উপরে হামলা করে। আকাশ থেকে বজ্রপাত এসে ক্রাউনের উপরে পড়ে। প্রবলবেগে দমকা হাওয়া এসে দুনিয়াদারীকে অন্ধকার বানিয়ে দেয়। তার উপরে অবনী বুলেট গতিতে দৌড়ে গিয়ে ক্রাউনের দিকে আগুন ছুঁড়তে আরম্ভ করে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে ক্রাউন অবনীর সমস্ত হামলা থেকে বেঁচে যায় নিজের স্বৈরাচারী শক্তির প্রয়োগ করে। অবনীর এতো ভয়ানক আক্রমণে ক্রাউনের একটা পশম পর্যন্ত বাকা হয়নি। বরং সে অবনীর দিকে হাত দিয়ে ইশারা করতেই অবনী নিজের অনিচ্ছায় হাওয়ায় ভেসে ক্রাউনের একদম সামনে চলে যায়। ক্রাউনের সামনে যাওয়ার পর ক্রাউন অবনীকে বন্দী বানিয়ে নিজের সঙ্গে নিয়ে চলে যায়। ক্রাউন অবনীকে বন্দী বানানোর সাথে সাথে অবনীর বানানো অদৃশ্য দেয়ালটাও ভেঙ্গে গেছে। “অপরপ্রান্ত থেকে আকাশ এই দৃশ্য দেখে অবনীকে বাঁচানোর জন্য দৌড়ে ছুটে যায়। কিন্তু আকাশ তাকে ক্রাউনের হাত থেকে বাঁচাতে পারে না। সে এসে পৌঁছানোর আগেই ক্রাউন অবনীকে নিয়ে চম্পট হয়ে যায়। আকাশ অবনীকে বাঁচাতে না পেরে রাগে তার চোখ-মুখ দিয়ে পানি বের হতে আরম্ভ করেছে। এমন সময় পাশেই মাটির উপরে পড়ে থাকা লিঙ্কন আকাশকে ইশারা করে তার কাছে ডাকে। আকাশ লিঙ্কনের ইশারা দেখে তার কাছে যায়। তার কাছে যাওয়ার পর লিঙ্কন আকাশকে গোঙ্গাতে গোঙ্গাতে বলে,

–বিশ্বাসঘাতক টা আমাকে মরনের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছে। আমি আর কিছু সময় পরেই এই পৃথিবী ছেড়ে বিদায় নিব। তাই তুই আমায় কামড়ে আমার শরীর থেকে কিছুটা রক্ত চুষে নে।
.
আকাশ লিঙ্কনের কথা শুনে বেশ ভাবুক হয়ে যায়। কারন আকাশ ভালো করেই জানে সে লিঙ্কনের রক্ত খেলে সেও ভ্যাম্পায়ার হয়ে যাবে। তাই সে চুপ করে আছে। আকাশের চুপ করে থাকা দেখে লিঙ্কন আবার আকাশকে বলে,

–দেখ তোর প্রিয় মানুষটাকে ক্রাউন উঠিয়ে নিয়ে গেছে। তুই নিজের মানুষ টাকে ফিরিয়ে আনতে হলে ক্রাউনের সাথে লড়াই করে তোর তাকে পরাজয় করতে হবে। আর ক্রাউনের সাথে লড়াই করলে কিন্তু তোর বেশ শক্তির প্রয়োজন পড়বে। তাই তুই আমার শক্তির সাহায্য নে। এতে করে তোর এই উপকার হবে।
.
আকাশ লিঙ্কনের কথা শুনে আর কোনো কিছু না ভেবেই লিঙ্কনের গলায় কামড় বসিয়ে দেয়। কারন তার যে করেই হোক অবনীকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই সে দ্বিধাবোধকে সাইডে রেখে লিঙ্কনের কিছুটা রক্ত চুষে নিয়েছে। আকাশ লিঙ্কনের রক্ত চুষে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর তার মুখের দু’টো দাঁত বড় বড় হয়ে ঠোঁটের পাশ বেয়ে বেরিয়ে এসেছে। এবং সেই সঙ্গে মানুষের আকৃতি পাল্টে গিয়ে ক্রাউনের মতন বিশাল একটা দানবের আকৃতি ধারণ করেছে। যেটা দেখে আকাশের নিজের লোকজন এবং ডেমন হান্টারদের ভয়ে চোখ বড় বড় হয়ে গিয়েছে….

চলবে….

ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here