গল্প : #Selfies
পর্ব :- ১২
Writer :- Kabbo Ahammad
.
.
–কাব্য সাহেব এবার আপনার চোখ খুলুন।
আমি ম্যামের কথা মত চোখ খুলতেই যা দেখলাম।
তা দেখে যেন আমি আকাশ থেকে পড়লাম।
কারন আমি চোখ খুলতেই দেখি মিরা আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
তাও আবার খুব আপত্তিকর অবস্থায় সম্পূর্ন…!!
আমি সাথে সাথেই নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম।
–মিরা তুমি?
আর কি ব্যাপার তুমি এখানে কেন এসেছো? আর আমার সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন? আর ম্যাম কোথায়.!!
(আমি চোখ বন্ধ করে বললাম)
–কেন এসেছি তুমি জানো না কাব্য। আমি তো তোমার ইচ্ছা পুরন করতে এসেছি। আর তুমি তো আমাকে ঠিক এভাবেই কাছে পেতে ছেয়েছিলে তাই না।
তাহলে এখন কেন এভাবে চোখ বন্ধ করে আছো কেন।
–মিরা প্লিজ আমি তোমাকে কিভাবে পেতে চেয়েছি তা তোমার থেকে আমাকে শিখিতে হবে না।
প্লিজ তুমি এখন কাপর পড়ে নাও এখান থেকে চলে যাও।
–কিহ্ চলে যাবো?
চলে যাওয়ার জন্য তো আমি আসি নি কাব্য।
আমি তোমাকে আজ আপন করে পাবো বলেই এসেছি। আর শুধু আজকের জন্য নয় সারা জীবনের জন্য। আর যদি আজকের পর আমি তোমাকে আপন করে না পাই, তাহলে এখান থেকে আমি না। আমার লাশ যাবে।
এই বলে মিরা আমাকে জরিয়ে ধরে কিস করতে শুরু করলো। আমি অনেক চেষ্টা করেও ওকে নিজের কাছ থেকে সরাতে পারছি না।
এক পর্যায়ে আমি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না।
আস্তে আস্তে আমিও মিরাকে মিরার ডাকে সারা দিয়ে ওর মাঝে হারিয়ে যেতে থাকি।
এবং সব শেষে আমি বিছানায় শুয়ে আছি।
আর মিরাও সম্পূর্ন আপত্তিকর অবস্থায় আমার বুকের উপর শুয়ে আছে।
আমি শুয়ে শুয়ে ভাবতে লাগলাম। না না এটা আমি কি করলাম। একটা মেয়ের সব চাইতে দামি জিনিটা আজ আমি তার কাছ থেকে নিয়ে নিলাম। এখন যদি আমি ওকে আমি না মেনে নেই তাহলে?
তাহলে তো আমি মিরার কাছে নয়। বরং নিজের কাছেই সারাজীবন অপরাধি হয়ে থাকবো। আর আমার পাপের ফল যদি কোন দিন আমার পরিবারের উপর দিয়ে যায়। তাহলে তো আমি বেচে থেকেও মরে যাবো।
আর নিজের এই অপরাধ বোধ থেকে বাচার একমাত্র উপায় হল মিরাকে মেনে নেওয়া।
কিন্তু মিরার বাবা কি আমাদের এই সম্পর্ক মেনে নিবে?
তাই আমি মিরাকে বললাম..
–আচ্ছা মিরা তোমার বাবাকি আমাদের এ সম্পর্ক মেনে নেবে?
–কেন নিবে না।
আমি তার একমাত্র চোঁখের মনি আমার সুখের জন্যে বাবা সব করতে পারে।
–হ্যাঁ মিরা হয়তো তোমার সুখের জন্যে তিনি তার জীবনটাও দিতে পারে।
কিন্তু একটা কথা ভেবেছো তিনি কি আদৌও আমাকে তোমার জন্যে পছন্দ করবে? কোথায় তুমি আর কোথায় আমি মিরা।
–কাব্য এসব কিছু নিয়ে তোমাকে ভাবতে হবে না।
তোমার আর আমার সম্পর্কের কথা বাবা সব জানে।আর তিনি আমাদের এ সম্পর্ক মেনেও নিয়েছেন।
(মিরা আমাকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো)
–কিহ্ সত্যি।
কিন্তু মিরা আমার একটা জায়গায় খটকা লাগছে যে তোমার বাবা আমাকে না দেখে কোন কিছু না শুনেই কি ভাবে মেনে নিলো?
আর একটা কথা বুঝতেছি না। তুমি আসার আগে আমার অফিসের ম্যাম এসেছিলো। তিনিইবা হঠাৎ করে কোথায় উধাও হয়ে গেলেন।
–আরে বুদ্ধু হাধারাম এখনো বুঝলে না। আমিই তোমার অফিসের বস ছিলাম। আর আব্বুর কথা তোমাকে শুনতে হবে না। এখন চল দুজনে এক সাথে গোসল করবো।
–না না আমি পারবো না।
তুমি আগে গোসল করে আসো তারপর আমি।
–কেন একসাথে করলে সমস্যা কি??
–আমার লজ্জা করে।
–কিহ্ লজ্জা করে? 🙉🙉🙉
এতক্ষণ তো লজ্জা করলো না। আর গোসল করতে লজ্জা করছে কেন?
(মিরা আমার নাক টিপে বললো)
–আসলে হয়েছে কি মিরা।
শুনেছি মেয়েদের নাকি গোসল করার পর তার ভিজা শরিরে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। আর তুমি তো এমনিতেই এত সুন্দর তখন আমার আবারো তোমাকে আদর করতে মন চায়।
(একটু মুচকি হেসে বললাম)
–যা পাজি ছেলে।
এই বলে মিরা ফ্রেশ হতে চলে গেলো ওর ফ্রেশ হওয়া শেষ হলে আমিও ফ্রেশ হতে নিলাম।
তারপর আমি ওকে ওর বাড়িতে পৌছে দেই।
আমাদের জীবনের এ ঘটনার পার থেকে আমি মিরাকে মন থেকেই ভালোবাসার চেষ্টা করি।
যদিও মনের এক কোনে স্বর্নার নামটা এখনো বাসা বেধে আছে। যাইহোক আমাদের ভালোবাসা আর খুনসুটিতে আরো কিছুদিন চলে যায়। আর এ কয় দিন আমি স্বর্নাকে একটি বারের জন্যও দেখি নাই।
হয়তো আমাকে ভুলবুঝে চলে গেছে।
তারপর একদিন আমি মিরা আর নীলা কলেজে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম।
হঠাৎ করে ঠিক তখনি কোথায় থেকে যেন স্বর্না আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালো।
আমি স্বর্নাকে দেখে বিরক্ত হয়ে বললাম।
–একি আপনি আবার আমাদের বিরক্ত করতে আসছেন।
–কাব্য তোমার সাথে আমার কিছু ব্যক্তিগত কথা ছিলো। যদি একটু …
(লীমা করুন ভাবে বললো)
–আমি কোথাও যেতে পারবো না। আপনার যা বলার এখানেই বলুন।
–কাব্য তুমি যদি একটু আমার সাথে দুরে কোথাও যেতে তাহলে…
–ঐ তোকে কাব্য কি বললো শুনতে পাস নাই। তোর যা বলার আমাদের সামনে বল।
(পাশ থেকে মিরা রেগে গিয়ে বললো)
তারপর স্বর্না একবার আমার দিকে আর একবার মিরার দিকে তাকিয়ে যা বললো।
তা শুনে আমি আর মিরা যেন আকাশ থেকে পড়লাম।
আর আমার তো পায়ের নিছ থেকে মাটি সরে গেছে মনে হলো………
কারন স্বর্না আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল।।
–কাব্য আমি তোমার সন্তানের মা হতে চলেছি।
আমি তো স্বর্নার কথা শুনে আকাশ থেকে পড়লাম।
ও আমার সন্তানের মা হতে চলেছে মানে।
নিশ্চিত স্বর্না আবার আমার সাজানো গোছানো এই জীবনটা নষ্ট করতে এসেছে।
আচ্ছা কি পায় এ মেয়ে সব সময় আমাকে আমার ভালোবাসার মানুষদের কাছ থেকে আলাদা করে।
ও কি চায় না আমি একটু সুখে থাকি।
আমার কষ্ট দেখে কি ও খুব আনন্দ পায়। না অনেক হয়েছে জীবনে অনেক অন্যায় অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করেছি। আজ আর না আমি যদি আজও যদি সহ্য করি। তাহলে আজ আমাকে মিরা নামটাকে হারাতে হবে। আর আমার জীবনট আবারো শুন্য মরুভুমি হয়ে যাবে। আর তা আমি মানতে পারবো না। তাই রেগে গিয়ে স্বর্নাকে বললাম।।
–হ্যালো আপনি এসব কি আবুল তাবুল কথা বলছেন।আমার সাথে তো আপনার কোন সম্পর্কই নেই তাহলে আপনি আমার দিকে কেন মিথ্যা অভিযোগের আঙ্গুল তুলছেন।
(এদিকে মিরা কিছুই বলছে না। শুধু আমার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে)
–বিশ্বাস করো কাব্য আমি কোন মিথ্যা কথা বলছি না।সত্যিই আমার পেটে তোমার সন্তানের অস্তিত বেড়ে উঠছে। দয়া করে তুমি আমাকে মেনে নাও কাব্য প্লিজ। তুমি যদি আমাকে মেনে না নাও তাহলে মরা ছারা আমার আর কোন পথ থাকবে না।
(স্বর্না কাঁদতে কাঁদতে করুন ভাবে বললো)
–না আমি বিশ্বাস করি না।
আপনি যা বলছেন সব মিথ্যা বলছেন। আমার আর আপনার মধ্যে এমন কোন সম্পর্ক হয় নাই। যাতে আপনি আমার সন্তানের মা হতে পারেন। আর আপনি এর আগেও আমার জীবনটা নষ্ট করতে চেয়েছিলেন।
আর আজ যখন আমি একটু সুখে আছি তখন আমার সুখ তোর সহ্য হচ্ছেনা। তাই তো।
(রেগে গিয়ে বললাম)
–কাব্য বিশ্বাস করো আমি যা বলছি সত্যি বলছি।
আমার পেটে তোমার…
(কাঁদতে কাঁদতে বললো স্বর্না)
–কি উল্টাপাল্টা কথা বলছেন হ্যাঁ।
আর শুন তোর কাছে কোন প্রমান আছে যে তোর পেটে আমার সন্তান আছে।
স্বর্না একদম নিশ্চুপ….
–জানি না কার না কার সাথে নষ্টামি করে এসেছিস আর বলছিস এটা আমার সন্তান।
আর হ্যাঁ একটা কথা কান খুলে শুনে রাখ আমি যদি আমার জীবনে খারাপ কিছু করে থাকি সেটা একমাত্র আমার এই কলিজার সাথে (মিরাকে দেখিয়ে বললাম) সাথে করেছি….
এজন্য যদি আমার সন্তানের মা কেউ হয় সে একমাত্র মিরাই হবে আর কেও না।
স্বর্না এবার আমার দিকে করুন ভাবে তাকিয়ে বললো।
–হ্যাঁ আমি যানি এখন আমি তোমাকে কোন প্রমান দিতে পারবো না কাব্য। তবে হ্যাঁ যে দিন ও পৃথিবীতে আসবে সেদিন তুমি চাইলে ডিএনএ টেষ্ট করে দেখতে পারো।
এরপর কিছুক্ষণের জন্য সবাই স্তব্ধ……
কিছুক্ষণ পর স্বর্না আবারো বলতে লাগলো।
–আচ্ছা কাব্য তোমার কি মনে আছে প্রায় দুই তিন মাস আগে তুমি বৃষ্টিতে ভিজে অফিস থেকে আসার কারনে তোমার খুব জ্বড় এসেছিলো। অবশ্য জ্বরটা আগে থেকেই একটু ছিলো।
যাইহোক সেদিন রাতের কথা কি তোমার মনে আছে?
কি হয়েছিলো সে রাতে।
(স্বর্না বললো)
–মনে থাকবে না কেন রাতে আমি প্যারাসিটামল খেয়ে শুয়েছিলাম। আর পরের দিন ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার জ্বড় ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু এর সাথে তোর কি সম্পর্ক??
–হ্যাঁ সম্পর্ক আছে কাব্য।
কারন সে রাতে তোমার জ্বর সামান্য এ্রকটা প্যারাসিটামল খেয়ে ঠিক হয় নাই। হয়েছিলো আমার কারনে। আচ্ছা তুমি কি জানো সে রাতে আসলে কি হয়েছিলো। আরে হ্যাঁ তুমি জানবে কি করে। সে রাতে তো তোমার জ্বর এতটাই বেশী ছিলো যে তুমি বুঝতেই পারো নাই তোমার ঘরে কে এসেছিলো।
এবং তুমি যানতে চাও কি হয়েছিল সে রাতে?
তাহলে শুনো
সে রাতে যখন আমি তোমার ঘরে এসেছিলাম তখন দেখি তুমি জ্বড়ে কাপছো। হয়তো ভাবছো আমি কি ভাবে তোমার রুমে এলাম।
সেটা না হয় নাই বা জানলে। যানো তোমার জ্বড় দেখে আমি সারা রাত তোমার সেবা করে গেছি।
যাতে তুমি সুস্থ হয়। কিন্তু তোমার জ্বড় কমছিলো না।
বরং বারছিলো। আর তুমি ঠান্ডায় কাপছিলে।
তাই আমি যখন তোমার শরীরে যখন কম্বল দিতে যাবো। তখন তুমি আমাকে তোমার কাছে টেনে নাও।আর….
(বলেই স্বর্না কাঁদতেছে)
স্বর্নার কথা শুনে আমি যেন পাথর হয়ে গেলাম।
কি বলবো আমি কিছুই বুঝতেছি না। তার মানে সে দিন সকালে আমি যা..………………
ঠাসস ঠাসস হঠাৎ কে যেন আমাকে চড় দিলো।
আমি তাকিয়ে দেখি আমাকে যে চড় দিয়েছে সে আর কেউ নয় মিরা।
আমি মিরাকে কিছু বলতে যাবো।নতার আগেই মিরা কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে চলে গেলো। মিরাকে এভাবে যেতে দেখে নীলাও ওর পিছনে দৌঁড়ে গেলো।
আমি এখন কি করবো কিছুই বুঝতেছি না।
আমার পাশেই স্বর্না দাঁড়িয়ে কাঁদতেছে। আর এদিকে কলেজের অনেকেই আমাদের তিন জনকে নিয়ে বাজে কথা বলছে।
কেউ কেউ তো বলছে সালা ক্ষেতটার সাথে কপাল ঘসা দরকার। তা না হলে এরকম হট দুটো মেয়েকে বিছানায় নিতে পারে ।
আবার কেউ কেউ বলছে দেখিস দুই দিন পর শুনতে পারবি এদুটো মালকে একবিছানায় নিয়ে থাকছে।
ওদের কথা গুলো বুকের ভিতর যেন সুচের মত ফুটছে।তাই মাথা নিচু করে কলেজ থেকে বের হয়ে আসি।
(আর এদিকে মিরা কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসে)
আমি ভাবতেও পারছি না কাব্য আমার সাথে এত বড় চিট করতে পারে। ওর যখন মেয়েদের দেহের প্রতি এতই লোভ ছিলো। তখন আমাকে বলতেই পারতো।আমি আমার দেহকে ওকে আরো আগে দিয়ে দিতাম।কিন্তু ও ঐ মেয়েটার সাথে ছিঃ।
এ কথা ভাবতেই দম বন্ধ হয়ে আসছে। বুকের ভিতর খুব কষ্ট হচ্ছে। এতটা কষ্ট আগে কখনো হয় নাই।
না এত কষ্ট আমি সহ্য করতে পারবো না। তার থেকে বরং আমি মরে যাবো। হ্যাঁ এটাই ঠিক হবে।
এটা ভেবে মিরা যখন গলায় দড়ি দিতে যাবে।
ঠিক তখনি কে যেম মিরাকে ঠাসস করে চড় দেয়।
মিরা মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে যে নীলা ওর সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
–এটা তুই কি করতে যাচ্ছিলি। তুই কি পাগল হয়ে গেছিস মিরা। (নীলা)
–হ্যাঁ হ্যাঁ আমি পাগল হয়ে গেছি। তুই আমাকে কেন বাঁচাতে আসলি। আমাকে মরতে দে প্লিজ আমাকে মরতে দে নীলা।
(কাঁদতে কাঁদতে বললো মিরা)
–আচ্ছা তুই মরে গেলেই কি সব ঠিক হয়ে যাবে।(নীলা)
–আমি কিছু যানি না। হ্যাঁ যানি কিছুই ঠিক হবে না।কিন্তু মরে গেলে তো আর এটা শুনতে হবে না আমার ভালোবালার মানুষের সন্তান অন্য কোন মেয়ের পেটে।এটাতো অন্তত দেখতে হবে না। ওর বুকে মাথা রেখে অন্য কেও শুয়ে আছে।(মিরা)
–যদি এসব শুনতে বা দেখতে না চাস তাহলে এমন কিছু কর।রযাতে তুই তোর ভালোবাসার মানুষকে কাছে পাস।(নীলা)
–না রে এমন কোন উপায় আমার জানা নেই যাতে করে আমার ভালোবাসার মানুষকে আমি কাছে পাবো।
কি করবো নীলা আমি তুই বল আমায়।
তুই তুই তো নিজেই শুনলি স্বর্না কি বলছে।
ওর গর্ভের সন্তানের বৈধতা দিতে ও ডিএনএ টেষ্ট করতেও ভয় পায় না। আমি যদি আইনের সহায়তাও নিতে চাই তখন, তখন কাব্যকে অপরাধির কাঠঘড়ায় দাঁড়াতে হবে। সবাই ওর নামে যা নয় তাই বলবে।
আর আমি তা শুনে বেচে থাকতে পারবো না।
তুই জানিস নীলা যারা প্রেমে ব্যার্থ হয়ে আত্যহত্যা করতো তাদের দেখলে আমার হাসি পেতো। ভাবতাম কি একটা তুচ্ছ কারনে তারা আত্যহত্যা করে।
কিন্তু আজ বুঝতে পারছি তারা কেন এ পথ বেচে নেয়।
(মিরা কাঁদতে কাঁদতে নীলাকে বলছে)
.
.
.
চলবে………………………♥