বডিগার্ড থেকে বর . Part – 03

0
533

গল্প – বডিগার্ড থেকে বর
.
Part – 03
.
writer – #ArFin_SuMon (Mr. Romio)
.
.
কাননঃ- বের হবো না,আমার সামনে চেন্জ করতে হবে।
আমিঃ- কি বেয়াদব মেয়েরে মাইরি (মনে মনে)
কাননঃ- কি হলো চেন্জ করেন।
আমিঃ- আন্টি……
কাননঃ- কাউকে ডাকতে হবে না যাচ্ছি আমি পরে আবার আসবো।
এই বলে দৌঁড়ে চলে গেলো..
আমিঃ- আসাচ্ছি পরে আবার (মনে মনে)
.
দেখলেন তো পাঠকগন কি লুইচ্ছা, বেয়াদব, ফাজিল মাইয়া।
ফ্রেশ হয়ে, নাস্তা করে দাড়িয়ে আছি জুলি ম্যাডাম কে নিয়ে ভার্সিটিতে যেতে হবে,অনার্স ১ম বর্ষে পড়ছে।
ওনার সামনে আমি হাটছি বাইরে গাড়ি রেডি করা আছে,গিয়ে দরজা খুলে দিলাম। ভিতরে ডুকে বসে পড়লো।
আমি আল্লাহর নাম নিয়ে গাড়ি চালানো শুরু করলাম।
৩৫ মিনিট পর গাড়ি নিয়ে ভার্সিটির গেটে পৌঁছালাম।
.
আমিঃ- ম্যাডাম গাড়ি কি ভিতরে নিয়ে যাবো।
জুলিঃ- তুই জানিস না।
আমিঃ- ম্যাডাম আমাকে তো কিছু বলা হয়নি তাই।
জুলিঃ- চুপ,,তুই আমাকে কোন প্রশ্ন করবি না শুধু মাএ উওর দিবি না হলে তোরে বিদায় করে দিবো।
.
শালার অহংকার। এত অহংকার কি করে জন্ম নিলো। সামান্য একটা কথা তো জানতে চাইছি আর কিছু তো আর না তার জন্য এমন করতে হবে নাকি।
গাড়িটা ভিতরে ডুকিয়ে একটা ছাঁয়াময় গাছের নিচে রাখলাম।
ম্যাডাম নেমে কয়েকটা মেয়ের সাথে ক্লাসে চলে গেলো। আমি এখনো ভিতরে বসে আছি। একবারও নামতে হয়নি।
কালকে পযর্ন্ত ম্যাডামের অন্য একটা বডিগার্ড ছিলো। আজ থেকে আমি হলাম। ও কেনো চলে গেলো জানি না। বসে বসে এসব ভাবছি তখনি দেখলাম ম্যাডামের সাথে মেয়েগুলো সহ ম্যাডাম আসছে। একটু সামনে আসতে কয়েকটা ছেলে গিয়ে পথ আগলে দাঁড়ালো। ম্যাডাম কে দেখছি ভয় ভয় চোঁখে চারদিকে তাকাচ্ছে। তখন মনে হলো আরে আমাকে তো ওনার জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।
তাড়াতাড়ি করে হাতে হকিস্টিক টা নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে দিলাম দৌঁড়। আমাকে দেখা মাএ ম্যাডাম ভয়ার্ত চেহারা চেন্জ হয়ে গেলো। আর ছেলেগুলো তো ভাসির্টির গেটের দিকে দৌঁড় দিছে।
.
আমিঃ- ম্যাডাম আপনি ঠিক আছেন তো?
জুলিঃ- তোরে কি গাড়িতে বসে থাকার জন্য আমার বডিগার্ড করা হয়েছে।
আমিঃ- স্যরি ম্যাডাম।
.
ম্যাডাম ওনার বান্ধবীদের সাথে হাটছে। আমি এসে গাড়ির উপরে বসলাম আর ম্যাডামের দিকে লক্ষ্য রাখছি। মেয়েদের থেকে দূরে থাকতে বেশি ভালো লাগে। এখন তো পুরো একটা মেয়ের বডিগার্ড হয়ে গেলাম। তার সাথে সাথে হেঁটে তাকে গার্ড দেওয়ার থেকে এখান থেকে বসে দিচ্ছি।
যত মেয়ে ডুকছে গেট দিয়ে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে আর কয়েকটা মেয়ে যে গাছটার নিচে গাড়ি দাঁড় করানো তার থেকে একটু দূরে বসে কি যেনো বলছে আর তাকিয়ে আছে। এ মাইয়া গুলো কি কখনো ছেলে দেখে নাই। এমন ভাবে তাকিয়ে আছে মনে হচ্ছে কোন এলিয়েন বসে আছি তাহাদের সামনে।
ম্যাডামের অবস্থান দেখে নিলাম একবার। আমার দিকে সিংহের মতো থুক্কু সিংহীর মতো তাকিয়ে আছে। বুঝতে পারছি আজকে আমার খবর আছে।
বাম পাশে তাকাতেই দেখি ৪ টা চোঁখ আমার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে সামনে যাচ্ছে। মানে চশমা পড়া একটা মেয়ে যাচ্ছে আমার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে টেলেন্ট আছে মাইরি কি সুন্দর করে তাকিয়ে আছে। হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেলো। সবাই হেসে উঠলো যারা এটা লক্ষ্য করছে। আমার হাসা বারন তাই ইচ্ছা থাকার সত্তেও হাসতে পারলাম না। বেচারির জন্য কষ্ট হচ্ছে। সবার সামনে পড়ে গেলো তাও আমাকে দেখতে দেখতে।
প্রথম দিন শেষ হলো আরো নানা ধরনের কাহিনীর মাধ্যমে।
.
বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে , খেয়ে দিলাম একটা ঘুম।৬ টায় উঠলাম ঘুম থেকে।
আন্টি ডাক দিলো ওনাদের সাথে আড্ডা দিতে।
.
আন্টিঃ- কেমন কাটলো প্রথম দিন।
আমিঃ- আর বলবেন না আন্টি,,,একটুও হাসতে পারি নাই।
কাননঃ- কেনো হাসতে পারেন নাই।
আমিঃ- বডিগার্ড তো তাই।
কাননঃ- কাহিনী কি সেটা বলেন।
আমিঃ- (পুরো বাহিনীটা বললাম)
সবাই হাসতে হাসতে শেষ।
আমিঃ- আন্টি আঙ্কেল কোথায়?
আন্টিঃ- ওনি তো,বিকালের ফ্লাইটে চলে গেছে।কেনো?
আমিঃ- আন্টি আমাকে যদি কাজ গুলো ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিতেন তাহলে ভালো হতো।
আন্টিঃ- কিছু বলে দিতে হবে না। তুমি সবসময় ওর পাশে পাশে থাকবে, ও যেখানে যাবে সেখানে যাবে। ও বারন করার পরও তোমাকে তোমার দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আমিঃ- আমার দায়িত্ব আমি যথাযত ভাবে পালন করবো।
আন্টিঃ- আমার মেয়েটার যেনো কোন ক্ষতি না হয় তবে নিজের দিকেও খেয়াল রেখো।
আমিঃ- দোয়া করবেন আন্টি।
.
কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাইরে বের হলাম। নতুন এলাকা একটু রাতে ঘুরে দেখতে দেখতে প্রায় ১০ টা বাজলো। বাড়িতে এসে কলিং বেল বাজানোর সাথে সাথে দরজা খুলে দিলো কানন।
.
কাননঃ- কি মশাই কোথায় ছিলেন?
আমিঃ- আপনাকে বলবো কেনো?
আন্টিঃ- রমিও বাবা কি হলো ভিতরে আসো।
আমিঃ- জ্বি, আন্টি আসছি।
.
ফ্রেশ হয়ে খেতে বসলাম। ম্যাডাম আসছে না।আন্টির কাছে জানতে চাইলে আন্টি বলে,ওনার জন্য খাবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
খাওয়া শেষ করে ঘুম দিলাম।
পরেরদিন ঘুম থেকে উঠে,প্রতিদিনের কাজ গুলো শেষ করে। নাস্তা করে বসে আছি। ম্যাডাম আসলে ভাসির্টির দিকে রওনা দিবো। এইতো ম্যাডাম আসছে। গাড়ির দরজা খুলে দিলাম ম্যাডাম ডুকলো। সাথে আসছে কানন।
.
কাননঃ- দরজা বন্ধ করেন কেনো? আমি যাবো।
আমিঃ- আপনি কোথায় যাবেন?
কাননঃ- আরে আমরা সেম ইয়ার।
আমিঃ- ওহহহহ,,
কাননঃ- হুম,দরজা খুলে দেন।
আমিঃ- আপনি নিজে খুলে ডুকেন।
কাননঃ- জুলি কে বলবো নাকি।
আমিঃ- খুলে দিচ্ছি তো।
.
শালার কপাল। কেনো যে বডিগার্ডের চাকরি করছি আল্লাহ জানে।
কখন যে ভাসির্টিতে এসে পড়ছি মনে করতে পারছি না।
ম্যাডাম আর কানন নেমে চলে গেলো। আজকেও দেখছি ছেলেগুলো পথ আগলে দাঁড়ালো। আজ এদের খবর আছে।
স্টিক টা হাতে নিয়ে এগিয়ে গেলাম। আর সব কয়টাকে ইচ্ছে মতো পিটালাম। তারপর একটা গাড়ি এসে ওদের কে নিয়ে গেলো।
ম্যাডাম আর কানন আর কালকের মেয়েগুলো সবাই ক্লাসে চলে যায় আর আমি প্রিন্সিপালের রুমে দিকে পা বাড়ালাম।
.
৩০ মিনিট কথা বলার পর স্যার রাজি হলো। কথা বলছিলাম ম্যাডামের জন্য। ওনার বডিগার্ড হলাম মাএ দুদিন হলো এর মধ্যে দুই বার বিপদের মুখে পড়লো তাই আর কোন রিক্স নিতে চাইলাম না।স্যারের সাথে কথা বলে অন্য সব স্যার ম্যাডামের সাথে আলোচনা করে সিধান্ত হলো যে ম্যাডামের সাথে ক্লাসে আমিও থাকবো।
.
পরদিন ম্যাডাম আর কানন ক্লাসে যাওয়ার পর আমি গাড়িটা একটা গাছের নিচে রেখে ক্লাস রুমে প্রবেশ করলাম।
সবাই তাকিয়ে আছে। আমার জন্য একটা চেয়ার রাখা আছে ওটাতে গিয়ে বসলাম সবাই পিছনে তাকিয়ে আছে। নিজেকে একটা এলিয়েন মনে হচ্ছে। ম্যাডাম রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। স্যার কে আসতে দেখে একটু শান্তি পেলাম।
.
.
চলবে……………………


[গল্পটি কেমন হচ্ছে সবাই ঘটনামূলক মন্তব্য করে জানাবেন। আপনাদের ছোট একটা কমেন্ট আমার কাছে অনেক মূল্যবান। কারন আপনাদের ছোট একটা মন্তব্যর ফলে অনেক অনেক উৎসাহ পেয়ে থাকি। তাই দয়া করে ৫সেকেন্ড সময় ব্যয় করে গল্পটি কেমন হচ্ছে জানাবেন। ভালো হলেও জানাবেন আর খারাপ হলেও। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে লেখাটুকু পড়ার জন্য]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here