বডিগার্ড থেকে বর . Part – 04

0
492

গল্প – বডিগার্ড থেকে বর
.
Part – 04
.
writer – #ArFin_SuMon (Mr. Romio)
.
.
স্যারকে আসতে দেখে একটু শান্তি পেলাম। অন্নত এলিয়েন দেখার জন্য সবাই তাকিয়ে থাকবে না।

–পিছনে তাকিয়ে আছো কেনো সবাই? ও জুলি আর কাননের বডিগার্ড কোন এলিয়েন না। (স্যার)
.
আহহহ, স্যার আমার মুখের কথাটি বলে দিলো।সবাই ক্লাস করছে। আমি সবাইকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছি। দেখি কানন আমার দিকে বার বার তাকাচ্ছে। স্যার কি বললো দুজনের বডিগার্ড নিযোগ করা হয়েছে নাকি আমাকে। আজকে গিয়ে আন্টির কাছে জানতে চাইবো কার বডিগার্ড আমি।কাননের থেকে দুজন পরে দেখি ফুলটুসি। না এটা তো ফুলটুসি না চার চোঁখ। এমা কালকের ওই মেয়েটি যে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলো।তাকিয়ে আছে দেখো। চোঁখ দুটো যেনো সরছে না।শালার কপাল। এভাবে যদি প্রতিদিন চলতে থাকে তাহলে আমারে কোন দিন কোন মাইয়া নিয়ে পালিয়ে যাবে তার কোন ঠিক নাই। আজ থেকে কারো দিকে তাকাবো না।
প্রথম ঘন্টা শেষ হতেই কানন লাফিয়ে লাফিয়ে আমার কাছে আসলো। সাথে আরো ৪/৫ টা। এদের কারনে ম্যাডাম কে দেখতে পারছি না।
.
–আপনি না খুব ভালো একটা কাজ করছেন রুমে এসে পাহাড়া দিচ্ছেন। (একটা মেয়ে বলে উঠলো)
আমিঃ- আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা তো পালন করতেই হবে।
–আমার জন্য একটা সুবিধা হলো,সবসময় আপনাকে দেখতে পারবো।(মিরা)
(স্যার ওর নাম ধরে ডাক দেওয়াতে বুঝতে পারলাম ওর নাম মিরা)
কাননঃ- ওই এটা আমার জিনিস নজর দিবি না।
–হচ্ছে টা কি ও আমার।(অন্য একটা মেয়ে)
–এই দাড়া সবাই কি তোদের তোদের করছিস ও আমার।(আরেকটা মেয়ে)
–এই ও কারো না,ও শুধু আমার।(এমা এ তো চার চোঁখ)
বুঝো ঠেলা কোন জঙ্গলে যাবো। এ মাইয়া গুলো কি শুরু করছে আমাকে নিয়ে। আরে আমি মানুষ একজন তোরা যদি একসাথে সবাই টানাটানি করিস আমি তাহলে কোথায় যাবো।
কাননঃ- এই কি ভাবছো? তুমি শুধু আমার।
আমিঃ- আপনাদের এসব বাদ দিবেন। আমি এখানে এসেছি ম্যাডাম কে পাহাড়া দিতে আপনাদের সাথে প্রেম করতে না। দূরে গিয়ে মরেন। আর মিস কানন আপনার নামে বাড়িতে বিচার দিবো।
.
ম্যাডাম আসাতে সবাই যার যার সিটে চলে গেলো।
ম্যাডাম তো দেখি ছাএীদের থেকেও খারাপ। আসার পর থেকে তাকিয়ে আছে। যতবার না বইয়ের দিকে তাকাচ্ছে তার থেকে বেশি আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
মাওলা তুমি কোথায়, আমারে উঠাই নাও আর কারো ক্রাশ হতে চাই না।
ক্লাস শেষে বাড়িতে এসে, ফ্রেশ হয়ে খেতে গেলাম।দেখি আন্টি বসে আছে।
.
আমিঃ- আন্টি এখনো খাওয়া হয়নি আপনার।
আন্টিঃ- তোমার জন্য বসে আছি বাবা।
আমিঃ- আমার জন্য কেনো বসে আছেন আমি তো এ বাড়ির একজন কর্মচারী।
আন্টিঃ- তুমি এ বাড়ির কর্মচারী না একজন সদস্য। নিজেকে কর্মচারী মনে করবে না।
আমিঃ- বাদ দেন এসব। এটা বলুন আমাকে কার বডিগার্ড রাখা হয়েছে?
আন্টিঃ- দুজনের।
আমিঃ- দুজনের মানে?
আন্টিঃ- জুলি, কানন দুজনের জন্যই রাখা হয়েছে।
আমিঃ- ওহহহ,আচ্ছা।
.
১ সাপ্তাহ অনেক কষ্টে কাটালাম। ক্লাসে বসে গার্ড দেওয়া মনে হয় আর সম্ভবনা। মাইয়াগুলোর জ্বালায় জীবনটা পুরো বাঁশ হইয়া গেলো।
তাই কয়েকটা ছেলেকে ক্লাসের ভিতরে কি হচ্ছে জানার জন্য ঠিক করলাম। ওরা ক্লাসে ম্যাডামের কোন বিপদ হলে আমাকে তা জানিয়ে দিবে।
এভাবে চলছে আমার কাজ। আর কানন মেয়েটা প্রতিদিন বিরক্ত করে আমাকে।
১ মাস পর সন্ধ্যায় রুম থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে আন্টি এসে সামনে দাড়ালো। আন্টিকে কেমন যেনো দেখাচ্ছে।
.
আমিঃ- আন্টি কি হয়েছে?
আন্টিঃ- বাবা তুমি ব্যাগটা গুছিয়ে নাও।
আমিঃ- কেনো ব্যাগ গুছাবো বলেন আন্টি?
আন্টিঃ- আজকে রাতে কানন আর জুলি ওদের বন্ধুদের সাথে কোথায় যেনো বেড়াতে যাবে।কয়েকটা দিন ওখানে থাকবে। তাই তোমাকে ওদের সাথে যেতে হবে। অনেক বার বারন করছি কেউ শুনতে চায় না ওরা যাবেই যাবে। জানি না কোথায় কি বিপদ লুকিয়ে আছে তাই তোমাকে ওদের সাথে যেতে হবে।
আমিঃ- আমি আছি তো আন্টি,আপনি টেনশন করবেন না আমি ওনাদের দেখে রাখবো।
আন্টিঃ- তাহলে তুমি রেডি হয়ে নাও।
আমিঃ- হুম।
.
অনেক দিন হলো কোথাও যাই না, একটু ঘুরে আসাও যাবে। ম্যাডাম আর কাননকে নিয়ে রওনা দিলাম।
বাড়ির বাইরে বাস এসে দাড়িয়ে আছে। আমাকে দেখা মাএ মাইয়া গুলো রমিও যাবে আমাদের সাথে বলে চিৎকার দিয়ে উঠলো। বাসে ৩টা ছেলে আছে আর সবগুলো মেয়ে। ছেলেগুলোর সাথে গিয়ে বসলাম। কিছুক্ষণ গল্প করে ঘুমিয়ে পড়লাম।পুরো বাসের সবাই ঘুমাচ্ছে।
.
সকালে চোঁখ খুলে দেখি অপরূপ এক দৃশ্য। অসাধারন একটা জায়গায় এসে পড়ছি। সকালের সূর্যের আলো মুখে এসে পড়েছে। এখনো কেউ উঠে নাই। সবাই ঘুমাচ্ছে। অসাধারন দৃশ্যটা দেখে আর বাসে বসে থাকতে পারলাম না তাই দরজা খুলে নিচে নেমে পড়লাম।
জায়গাটা অনেক সুন্দর, চারপাশ টা ঘুরে ঘুরে দেখলাম। ঘুরতে ঘুরতে যখন লেকের পাড়ে এসে বসেছি তখনই মনে পড়লো এটা তো মহামায়া লেক। আমাদের বাড়ি থেকে ১ ঘন্টা লাগে গাড়ি নিয়ে আসতে। একটা বোর্ড বাড়া করে ঝর্না দেখতে গেলাম লেকের পর্ব পাড়ে প্রায় ৩ ঘন্টা বোর্ডে করে ঝর্নায় পৌঁছালাম। তার সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলাম।তারপর সেখান থেকে লাফ দিলাম লেকের পানিতে। কিছুক্ষণ সাঁতার কেঁটে আবার বোর্ডে উঠলাম।
১১:৩০ এ আগের জায়গায় দাড়ালো। আমি নেমে ওর বাড়া দিয়ে বাসের দিকে রওনা দিলাম।
সবাই বাইরে বসে আছে বাসের সামনে। ছেলে ৩ টা বাসের উপরে।
আমি আস্তে আস্তে এগুচ্ছি আর ম্যাডাম আমাকে দেখে রাগি চোঁখে তাকিয়ে আছে। আর সবাই এসে আমাকে ঘিরে ধরলো।
.
ম্যাডামঃ- এই তুই কোথায় গিয়েছিল? এখন কয়টা বাজে খবর আছে?
আমিঃ- ম্যাডাম এটা আমার এলাকার মধ্যেই পড়ে। আমি এখানে আগে আরও এসেছি তাই একটু ঘুরতে গিয়েছিলাম।
ম্যাডামঃ- কোথায় গিয়েছিলি যে ভিজে আসছিস।
আমিঃ- ঝর্নায় গিয়েছি,লেকে সাঁতার কাটছি।
ম্যাডামঃ- ঝর্নাও আছে এখানে।
আমিঃ- অসাধারণ একটা জায়গা ম্যাডাম এটা।
কাননঃ- জুলি ও যেহেতু এ জায়গাটা ভালো ভাবে চিনে তাহলে তো ভালো ভাবে ঘুরতে পারবো।
.
সারাদিন অনেক ঘুরাঘুরি করলাম। সবাই অনেক আনন্দ করলো। আমার খবর করে ছাড়লো মাইয়া গুলো। একটা এদিকে টানে আরেকটা ওইদিকে টানে। শুধু সেলফি আর সেলফি। এ বলে সেলফি তুলবো ও বলে সেলফি তুলবো আমার জীবনটা শেষ কইরা দিবে এ মাইয়া গুলো।
দুপুরে আমার পরিচিত একটা হোটেল থেকে খাবার এনে দুপুরে খেলাম সবাই মিলে। একটা জিনিস খারাপ লাগলো। সবাই অসাধারন কাপড় পড়ে এসেছে আর ম্যাডাম জিন্স আর শার্ট পড়ে এসেছে তাই খারাপ লাগলো।
সন্ধ্যায় সবাই তাবু খাটানোর জন্য আলোচনা করছে।
.
.
চলবে……………………


[ আগের পর্বের সাড়াতেই বুঝতে পারছি গল্পটি আপনাদের কাছে কেমন লাগছে। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ♥..আশা করি সবাই সব সময় এভাবেই সাপোর্ট করবেন,, আবারো বলবো অনেক ধন্যবাদ সবাইকে]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here