LOVE❤ part:05+6+7

0
639

#LOVE❤
part:05+6+7
Writer: Suvhan Årag (ছদ্মনাম)
!
!
!
##Part_5
👇
রিদিতা র কথা শুনে নোভার পুরো চোখ গরম হ য়ে গেল
-এই মেয়ে তোমার সাহস কি করে হয় আমাকে এই কথা বলার।দু টাকার রাস্তার মেয়ে তার আবার এতো কথা
-ও হ্যালো মিস।যাস্ট মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গোয়েজ।কাকে রাস্তার মেয়ে বলছেন আপনি।রাস্তার মেয়ে তো আপনি নিজে।আর আমার চরিত্র নিয়ে কথা না বলে নিজের চরিএ দেখুন।এসেছেন তো শর্ট টপস জিন্স পরে যাতে আপনার মতো নোংরা মেয়েদের দিকে অন্তত কোন ছেলে তাকায়।ছেলেদের আকৃষ্ট করার জন্য তো এতো ঢঙ করছেন আবার আমাকে উল্টাপাল্টা কথা বলছেন।আর একবার যদি আমার নামে উল্টা পাল্টা কথা বলেন তো আমার চেয়ে খারাপ আপনার জন্য কেউ হবে না
-এই মেয়ে তুমি আমাকে ভয় দেখাচ্ছো।আবেগ তুমি কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনবে।আবেগ আমি তোমার উড বি ওয়াইফ তুমি কি এভাবে আমার অপমান দেখবে
আবেগ এতোক্খন ধরে রিদিতার দিকে তাকিয়ে ওর কথা শুনছিলো।যে মেয়ে কোনো দিন কাউকে জোর গলায় একটা কথা বলেনা আজ সে কিভাবে নিজের জন্য প্রতিবাদ করছে
-ওহ।তো আপনি এখন স্যারকে বলবেন যে আমার চাকরি যেনো চলে যায় তাই তো।আপনার বলা লাগবে না আমি নিজেই চলে যাচ্ছি।আপনাদের মতো নোংরা মানসিকতা র মানুষের সাথে কাজ করার কোনো ইচ্ছে আমার নেই।চাকরি হারানোর ভয় আমি করিনা
-ইউউউ
-ইউ শাটার আপ।আমি আপনার খাই ও না পরিওনা না আপনার আন্ডারে কাজ করি।তাই আমাকে কোনো কথা বলার রাইট আপনার নেই।ভুলে যাই নি আমি কোনো কিছুই।একদিন একটা জিনিস হারানোর ভয় ছিলো তাই চুপ করে ছিলাম ।আজ আমার আর কোনো জিনিস হারানোর ভয় নেই তাই আমি আল্লাহ কে ছাড়া আর কাউকে ভয় পাইনা
আবেগের দিকে তাকিয়ে কথাটা বললো রিদিতা।আর আবেগতো অবাক
-কি জিনিস হারানোর কথা বলছে ও।হারিয়েছি তো আমি।ও তো কিছু হারায় নি। কি চুপ করে থাকার কথা বলছে ও (মনে মনে)
এদিকে নোভা স্পষ্ট খেয়াল করছে যে আবেগ রিদিতার কথাতেই পরে আছে
-না আবেগ।তোমাকে আর কারো হতে দেবোনা ।অনেক কাঠখড় পুড়িয়েছি তোমার জন্য ।এবার শুধু একবার তোমাকে বিয়ে করি তারপর তোমার বাবাকে কিভাবে শায়েস্তা করতে হয় তোমাকে কিভাবে হাতের পুতুল বানাতে হয় দেখিয়ে দেব (মনে মনে)
নোভা আবেগের ধ্যান ভেঙে দিল
-আবেগ তুমি কি এখনো চুপ করে থাকবে।এই মেয়ে টা তোমার সামনে দাঁড়িয়ে তোমার স্ত্রীকে অপমান করছে তুমি কিছু বলবে না
-স্ত্রী??
-হ্যাঁ ।আমিতো আবেগের উড বি।মানে কদিন পরেতো আমি ও মিসেস আবেগ হব
-হাসালেন মিস নোভা।আরে আপনি এই লোকের স্ত্রী হওয়ার আশা করছেন।আগে দেখুন আপনার মতো কয়টা রক্ষিতা রেখেছে উনি।জামা বদলানোর মতো বৌ বদলানোই তো এদের কাজ।প্রথম এ ভালোবাসার নাম করে ভোগ করবে তারপর একটা মিথ্যা বদনাম দিয়ে ছেড়ে দেবে।এটা এরা ভালো পারে
একটু তাচ্ছিল্যের সাথে আবেগকে বললো।আবেগের গায়ে এই কথাটা খুব লাগলো
-রিদিইইই।তোমার সাহস হয় কি করে আমার চরিত্র নিয়ে কথা বলার
-যে অফিসে নিজের স্টাফ এর হাত ধরে টানাটানি করতে পারে সে আর কতোই বা চরিত্র ধারী হতে পারে সেটা আমার জানা আছে
-রিদিইইই
আবেগ কিছু বলতে পারছেনা।আবেগ ভাবতে ও পারেনি যে রিদির কাছ থেকে তাকে স্পর্শ করার জন্য এই কথা শুনতে হবে।এতোটাই পর হয়ে গেছে সে
আর এই কথা শুনে নোভা তো শেষ
-আবেগগ তুমি
-নোভা আমি সত্যিইই
-আর কিছু শুনবো না।আজকে এই অফিসেই তোমাকে বলতে হবে আমি তোমার কে
বলেই নোভা আবেগকে টানতে টানতে কেবিনের বাইরে এনে সবাইকে ডাকা শুরু করলো রিদিও বাইরে এলো
-নোভা কি করছো তুমি
-এই তো সবাই এসে গেছে।আমি আর কারো অপমান শুনতে চাইনা আবেগ।এখনি সবার সামনে আমাকে তোমার প্রোপোজ করতে হবে।এবং আমাদের এনগেজমেন্ট এর এনাউসমেন্ট দিতে হবে
-কিন্তু নোভা এভাবে হঠাত
-সেটা আমি দেখবো।এখন যা বলছি তাই করো
আবেগ রিদির দিকে তাকালো।রিদির চোখ ছলছল করছে
-আবেগ তুমিকি সত্যিই পারবে অন্য কাউকে ভালোবাসার কথা বলতে(মনে মনে)
-না আমাকে পারতে হবে।তুমি আমার সাথে যেটা করেছো সেটা আমি তোমাকে পদেপদে কষ্ট দেবো(মনে মনে)
আবেগ সবার সামনে নিচু হয় এ সবার সামনে নোভাকে প্রোপোজ করতে বসলো
-I love u নোভা।তোমাকে সারাজীবন আমার পাশে পেতে চাই।আমার করে রাখতে চাই।will u marry me?
আবেগ কথাগুলো বলছে আর আড়চোখে রিদিতার দিকে তাকাচ্ছে
আর নোভাতো আনন্দ এ আত্মহারা।ও ভাবতে পারেনি যে রিদিতা র সামনে আবেগ ওকে এইভাবে প্রোপোজ করবে
নোভা খুশিতে কেঁদে দিয়ে আবেগকে তুলে ওকে সবার সামনে জরিয়ে ধরে
-yes…I will
আবেগ ও আলতো করে নোভাকে জরিয়ে ধরে।আর এদিকে রিদিতার ভেতরটা পুরো জলে যাচ্ছে ।ওর পায়ের নিচের মাটি যেন সরে যাচ্ছে ।ও ভেবেছিল আর যাই করুক আবেগ এইকাজ করবেনা।কিন্তু আবেগ সেটাই করলো আর রিদিতা কে যেভাবে প্রোপোজ করতো সেভাবে নোভাকেও প্রোপোজ করলো
-আপনারা সবাই হয়তো সব বুঝেছেন।ইনি আমার উড বি মিস নোভা।খুব শিগগিরই আমাদের বিয়ে
সবাই করতালি দিয়ে ওদের শুভেচ্ছা জানালো।তারপর চলে গেল
আবেগ পেছনে ফিরে দেখে রিদিতা নেই।বেচারি অনেক আগেই চলে গেছে
আবেগ নোভাকে ছেড়ে রিদিতার কেবিনে গেল।নোভাও পিছু পিছু গেল
আবেগ গিয়ে দেখে রিদিতা ব্যাগ গুছাচ্ছৈ চোখ মুখ ফোলা
-তাহলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছ
আবেগের কথাতে রিদিতা ঘুরে দাঁড়ালো
এর মধ্যে নোভা কেবিনে এলো
-ওকে যেতে দিও না আবেগ।আমাদের বিয়ের সব কাজ ওই করবে
-হ্যাঁ তোমার কথাই থাক নোভা
আবেগের এমন কথাতে রিদিতা অবাক হয় নি
-হুম তা করবো স্যার ।আপনি বরং নাটক করার আগে স্ক্রিপ্ট টা নতুন করে সাজাতে শিখুন।পুরানো স্ক্রিপ্ট এর কথা নতুন আর কতজনকে বলবেন

#Part_6
👇
-পুরানো স্ক্রিপ্ট !!
-হ্যাঁ পুরানো স্ক্রিপ্ট ।এই পুরানো স্ক্রিপ্ট এর লেখা বলেই তো আগে একজনকে ফাঁসিয়েছেন নিজের জালে।যেই নিজের পাওয়া শেষ সেই তাকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে এখন নতুন ফুল দেখে মেতেছেন ।তা এই ফুল কতোদিন টিকবে আমার মতো দু বছর নাকি আরো কম
-রিদিতাআ
-আস্তে কথা বলুন মি আবেগ।আপনার এই জোর গলা দিয়ে আমাকে আর দমাতে পারবেন না আপনি।আর না
নোভাতো আরো রেগে আগুন ।আবেগ ওকে ছেড়ে রিদিতা র সাথে কথা বলতে বলতে রিদিতা র আরো কাছে চলে যাচ্ছে
-আবেগ তুমি থামবে।তুমি আবার এই নষ্ট মেয়ে টার সাথে কথা বলছো
-ও হ্যালো মিস।আমার নামে অনেক্খন ধরে উল্টোপাল্টা কথা বলছেন।কাকে নষ্ট বলছেন আপনি।নিজে তো একটা নষ্ট মেয়ে ।তার মুখে আবার বড় বড় কথা।আর যদি একবার আমার নামে বাজে কথা শুনি আমার থেকে খারাপ আপনার জন্যে কেউ হবে না বলে দিলাম
বলেই রিদিতা হাঁটা শুরু করলো।কিন্তু আবেগ আবার তাকে পিছু ডাকলো
-আগে যে চার কথাতে রা দিতো না তার মুখ থেকে আজ এতো কথা।এই রূপটাতো এতোদিন ঢাকা রেখেছিলে না নিজের চরিত্রের মতো
রিদিতা আবেগের কথা শুনে ঘুরে দাঁড়ালো
-হাহা রূপ।সবাইকে কি আপনি নিজের মতো মনে করেন মি আবেগ।সবাই আপনার মতো মুখোশধারী মানুষ না।আর চরিত্র ।সেটা না হয় না বললাম
বলে রিদিতা চলে গেল।চোখের কোন থেকে আসা পানিটা মুছে ফেললো
-বাহ আবেগ বাহ।এইদিন ও আমাকে তুমি দেখালে।এই ছিল তোমার ভালোবাসা ।আজ কতো কথা শোনালে তুমি আমাকে।ভালো থেকো আবেগ।তুমি যা চাইছো তাই হবে।আমি নিজে তোমার বিয়ের সব কাজে সাহায্য করবো।আমি তো তোমাকে ভালো রাখতে পারলাম না যদি নোভা পারে তবে তাই হোক।তোমাকে সুখী দেখেই না হয় চলে যাব অনেক দূরে
চোখের পানি মুছে আবার হাঁটা শুরু করলো রিদিতা
রাতের বেলা
আবেগ শুয়ে আছে।আবেগের চোখে ঘুম নেই।কিন্তু চোখ পানিতে ভেজা।
আবেগের আরো কষ্ট হচ্ছে কারণ নোভা বলে দিয়েছে পৌরশু ওদের এনগেজমেন্ট ।এটা কেউ আটকাতে পারবেনা নোভা বলেই দিয়েছে
-আচ্ছা রিদিতা আমাকে ছাড়া তোমার রাত গুলো কেমন কাটে।নিশ্চয়ই ভালো কাটে বলো।কিন্তু আমার তো কাটে না।আমিতো কতো রাত ঘুমাতে পারিনা রিদি।কেমন করে পারলে আমাকে এতো কষ্ট দিতে
চোখবুজে আবেগ ডুব দিলো অতীতে
-আমি পারবো না তুমি মশারি টাঙাও
-রিদি তুমি না আমার মিষ্টি বৌ।তুমি টাঙাও না।আমি না হয় কাল টাঙাবো
-পারব না।তুমি ওরকম বলো কিন্তু পরের দিন আর টাঙাও না।আমি আর শুনবো না।তুমি টাঙাও
-থাক টাঙাতে হবে না।তুমিতো আমাকে ভালোবাসা না তাই তুমি টাঙাতে চাও না
বলে আবেগ দুহাত মুখে বাধিয়ে বসে আছে।রিদিতা র ও ভীষণ রাগ হলো
-ঠিক আছে থাকো তুমি।তোমার মতো স্বামী র আমার দরকার নেই।প্রতিদিন সামান্য মশারী টাঙানো নিয়ে আমাকে উল্টা পাল্টা কথা বলে।চলে যাচ্ছি আমি
-কোথায় যাচ্ছ তুমি
-কি আর করবো।এই রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি কোনো ভালো ছেলে পাই কি না।তাকে গিয়ে বলবো আমাকে কিছু দিতে হবেনা শুধু মশারী টাঙিয়ে দিলেই হবে রাতে
-মানে
-মানে খুব সোজা আরেকজন কে বিয়ে করে সংসার করবো
রিদিতা একটু মজা করেই কথা বললো ।কিন্তু আবেগতো সিরিয়াস নিলো।রাগে আবেগের চোখ মুখ লাল হয়ে গেল
আবেগ রিদিতাকে হ্যাঁচকা টান মেরে খাটের সাথে চেপে ধরলো
-আআআ আবেগ কি করছো টাকি
-কেনো খুব শখ না তোর অন্য কাউকে বিয়ে করার।তোর সব শখ আমি ঘুচিয়ে দেব।আমাকে ছাড়া অন্য কারোর কথা ভাবলে তোকে আমি গলাটিপে মেরে নদীতে ভাসিয়ে দেব তারপর নিজে মরবো।বুঝেছিষ
আবেগের কথাতে রিদিতার খুব হাসি পাচ্ছে।আবেগ যে কথাটা এভাবে নেবে রিদিতা ভাবতেও পারেনি
রিদিতা আরো একটু দুষ্টুমি শুরু করলো
-তুমি বললেই হলো নাকি।ছাড়ো আমাকে।আমি আর তোমার সাথে থাকবোনা
-কি বললে।তোমাকে তো আমি,,,,
আবেগের কথা শেষ করার আগেই রিদিতা আবেগের ঠোঁটে ভালোবাসার পরশ দিলো
-এটা কি হলো
-কি করবো।তুমি যে আমার এই তামাশাটা এতো সিরিয়াস নেবে বুঝতেই পারিনি
-তুমি মজা করছিলে
-হুভম
-ফের যদি এই রকম বিষয় নিয়ে মজা করেছো না তোমার খবর আছে
-নেও সরো তো
-নাহ মজা যখন করেছো শাস্তি তো পেতেই হবে
-কি শাস্তি
আবেগ মুখে দুষ্টু হাসি দিয়ে রিদিতার দিকে তাকালো
রিদিতাও এর মানে বুজেছে
-এইইই একদম না সরো বলছি
-হাহা সুন্দরী তোমার কথাই কাজ হবেনা।রাত তো আভি বাকি হে
-এই নাআআআ,,,,,উমমমমম
আবেগ রিদিতার ঠোঁট দখল করে নিলো
তারপর আর কি রাত টা আরো আরেকবার সাক্ষী হলো তাদের ভালোবাসার
এসব ভাবতেই আবেগের চোখ খুলে গেল
-খুব কি খারাপ রেখেছিলাম তোমাকে।একটু কি সুখ দিতে পারিনি।চিন্তা করোনা রিদিতা ভালোই হয় এছে তুমি আমার সামনে থাকবে সবসময় তোমাকে আমি কষ্ট দেবো অনেক কষ্ট দেবো।যতোটা কষ্ট আমি পাচ্ছি ততোধিক কষ্ট তোমাকে দেবো আমি। আই প্রমিস রিদি আই প্রমিস
ঐদিকে
-আর কতোক্খন বসে আকাশ দেখবি
-ঘুম আসছে না রে
-কোনদিন তোর ঘুম আসে বলতে পারিস।কতো রাত হয়ে গেছে চল ঘুমাবি।এই শরীর নিয়ে এতো রাত জাগতে তোকে নিষেধ করি।কেনো শুনিস না
-হুম।তোর জ্বর কমেছে?
-হ্যাঁ কাল থেকে অফিসে জয়েন্ট করবো
-আচ্ছা
-চল ঘুমুতে
-তুই যা আমি আসছি
-আচ্ছা
এখনো আকাশের দিকে চেয়ে আছে রিদিতা
-কাল সকাল হবে।আবার তোমাকে দেখবো আবেগ।জানি তুমি এখন অন্য কারো।কিন্তু কি করবো বলো তোমাকে না দেখলে যে আমি আরো কষ্ট পাই।আল্লাহ হয়তো এজন্য তোমাকে আরেকবার দেখার সুযোগ করে দিলো।আর তো বেশিদিন না।তারপর তো আর তোমাকে দেখতেই পাব না।চলে যাব অনেক দূরে
আকাশের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছারলো রিদিতা
-স্যার অনেক কষ্ট এ আপনার পাসপোর্ট টা করেছি
-তোমাকে ধন্যবাদ অনেক ধন্যবাদ ।খুব শিগগিরই যে আমাকে দেশে ফিরতে হবে।অনেক হিসাবনিকাশ বাকি আছে আমার ।তুমি তৈরি থাকো নোভা।আমার সন্তান কে মেরে ফেলেছো তুমি তোমার জন্য আজ আমার এই অবস্থা তোমাকে এই আশফি চৌধুরি এবার উচিত শিক্ষা দেবে

#Part_7
👇
এই দুদিন ধরে রিদিতার শরীর টা কেমন যাচ্ছে।মাথা ঘুরাচ্ছে।আর বমি তো আছেই।তবে এরপরে ও কষ্ট করে বেচারী অফিস করছে
-রিদি আজকে ছুটি নে।তোর শরীর আমার ভালো ঠেকছে না।কাল তোকে নিয়ে একবার চেকাপ করাতে যাব
-তাই ভাবছি।কিন্তু আজ নাকি বসের এনগেজমেন্ট।উনি কি ছুটি দেবে
-কেনো দেবে না শুনি।তুই যা গিয়ে ছুটি নিয়ে আয়
-হুম
রিদিতা আবেগের কেবিনে এর দিকে গেল
-নোভা কি হচ্ছে ছাড় বলছি
-আবেগ প্লিজ।একটু জরিয়ে এই তো ধরেছি তোমাকে।এমন করছো কেনো
-তুমি একটা অবিবাহিত মেয়ে হয়ে একটা পরপুরুষ কে এভাবে জরিয়ে ধরতে পারো না ।ছাড় বলছি
-ওহ আবেগ আমরা তো বিয়ে করছি নাকি।আজ তো আমাদের এনগেজমেন্ট।এতে কি হবে শুনি।আজকাল তো বিয়ে এর আগেই সবাই রুমডেট করে।আর তুমি,,,,
-নোভা।একদম চুপপ থাকবে।তোমার মানসিকতা এতো নোংরা জানা ছিল না
-আবেগ সরি প্লিজ রেগো না।আবেগ কিছু না হোক একটা লিপকিস তো করতেই পারো তুমি আমাকে
-কিহহহ
-ওহ আবেগ প্লিজ।আমি কিছু মনে করবো না।একবার তো আমাকে লিপকিস অন্তত করো।দেখবে তোমারি নেশা হয়ে যাবে আমার প্রতি
এই কথা শুনে আবেগের মাথা গরম হয়ে গেল
-নেশা শুধু আমার একজনের প্রতিইই বুঝেছো । সি ইজ মাই ড্রাগ মাই ড্রিংকস মাই অল
-যাস্ট শাট আপনাদের আবেগ।তুমি ঐ মেয়ে টার কথা একদম মুখে আনবে না বলে দিলাম।আজ তোমার ঠোট তো আমি দখল করবোই তোমাকে এটা বুজিয়ে দেব তোমার সব কিছু শুধু আমার বুঝেছো
-নোভাহহহ
নোভাকে আবেগ ছাড়াতেই পারছে না ।এই মেয়ে টা আবেগকে একদম আশটেপিশটে ধরেছে
নোভা আবেগের ঠোঁটের অনেক কাছে চলে যাচ্ছিল।কিন্তু কে জানত এই দৃশ্য রিদিতার চোখে পরবে
রিদিতা আবেগের কেবিনে র দরজা খোলা দেখে ভিতরে ঢুকে
-may I come……
বাকিটা আর বলতে পারেনি।তার আগে সামনের দৃশ্য দেখে রিদিতার পা থেকে যেন মাটি সরে যাচ্ছে
আবেগ নোভাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল।নোভা র তো রিদিতাকে দেখে মাথা গরম হয়ে গেল
-এই মেয়ে তুমি নক করে ঢুকতে পারো না
-আপনারা যদি দরজা না লাগিয়ে লীলা করতে যান তাহলে আমি কেন যে কেউ এটা দেখে ফেলবে (আবেগের দিকে তাকিয়ে)
আবেগের মাথা লজ্জা তে নিচু হয়ে গেল।আর যাই করুক রিদিতার জায়গায় অন্য কাউকে সে ভাবতেই পারে না
-এই মেয়ে তুমি কি বললে
-আমি আপনার সাথে কথা বলতে আসিনি ।আমি স্যার এর সাথে কথা বলতে এসেছি
-ইউউউ,,,,
-নোভা যাও এখান থেকে
-কিন্তু আবেগ
-যাওওও
-যাচ্ছি
নোভা চলে গেল
-আমিও দেখব এই পিরিত কতদিন থাকে।তোমাকে তো আমি আমার বেডে নেবোই তাও বিয়ে র আগে।তোমার স্পর্শ আমার চাই চাই–মনে মনে
আবেগ রিদিতার দিকে তাকিয়ে দেখে রিদিতা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।রিদিতা র চোখের পানি আবেগের চোখ এড়ালো না
-দেখো আমি,,,
-স্যার আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা ছিল
-আমি ইচ্ছে করে নোভাকে,,,
-স্যার আমার কথা ছিল
-বলো(দীর্ঘ শ্বাস ফেলে)
-স্যার আমার আজকের দিনটি ছুটি চাই
-কেনো আমাদের এনগেজমেন্ট দেখতে পারবে না বলে
-না স্যার আমার শরীরটা খারাপ এ জন্য
-কি মনে করেছো অজুহাত দিয়ে তুমি বাঁচবে ।আজকে তোমাকে আমার এনগেজমেন্ট পার্টিতে থাকতেই হবে।কোন ছুটি দেব না তোমাকে।আমি তোমাকে তিলে তিলে কষ্ট দিতে চাই–মনে মনে
-স্যার
-কোন ছুটি দেব না।ইউ ক্যান গো
-স্যার প্লিজ
-আমার এনগেজমেন্ট রিংটা আমি তোমাকে দিয়ে নিয়ে আসবো।আর কোন কথা না
-স্যার,,,,
-ইউ ক্যান গোও
-ওকে স্যার
রিদি যেতে গিয়ে থেমে গেল
-কি হলো
-স্যার একটা কথা ছিল
-কি
-বৃষ্টির ফোটা পাতার ওপর পরলে না ওর বাহিরটাই ভেজে শিরাগুলো কিন্তু ভেতর থেকে ভেজে না।কিন্তু যখন শেষ আশা ডালটা কেউ ভেঙে দেয় তখন আর পাতাটা বাঁচে না
-,,,,,,,,রিদি আমি সত্যি,,,
-এমন না হয় যে কষ্ট টা আপনি আজ কাউকে দিচ্ছে ন সেই কষ্ট টাই আপনার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায় আর তার প্রায়শ্চিত্ত আপনাকে জীবনভোর করতে হয়
চোখের পানি মুছে রিদিতা চলে গেল।আবেগ থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কারণ রিদিতার বলা কথার অর্থ তার জানা
চলবে—

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here