হারাতে_চাই_না_তোমায় #পর্বঃ০৭,৮

0
994

#হারাতে_চাই_না_তোমায়
#পর্বঃ০৭,৮
#লেখিকাঃ_উম্মে_বুশরা


[কিছু কথা-একজন আমাকে পার্সোনালী মেসেজ করে বলেছেন আরু আর আয়ানের বয়স,শিক্ষা কম হয়েছে। আরেকটু বড় হলে মানাতো।তাই সে কথা রাখতেই ওদের বয়স চেঞ্জ করলাম।গল্পের থিম একভাবে সাজিয়ে এসেছি এখন ওদের বয়স বাড়াতে হলে পুরো গল্প আমার চেঞ্জ করতে হবে ওটা এখন সম্ভব না তাই ওদের বয়স ১ বছর করে বাড়ানো হলো।আগে আয়ানের বয়স ছিলো ২০।আর শিক্ষা ছিলো honours 2nd yr আর আরু বয়স ছিলো ১৭আর শিক্ষা inter 1st yr।এখন👉আয়ান রহমান।বয়স ২১।আর শিক্ষা honours 3rd yr আর আরিশা আহমেদ।বয়স ১৮ শিক্ষা inter 2nd yr।আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন)
মারু সেই জায়গায় যেতেই দেখে আগে থেকে সেই ব্যাক্তি ওইখানে বসে আছে।তাই মারু পিছন থেকে গিয়ে বললো,
মারুঃ কখন এসেছো?

ব্যাক্তিঃ এইতো ৫ মিনিট।তোমার আসতে সমস্যা হয়নি তো?
মারুঃ না।আর সমস্যা আমাকে দেখে ভয় পায় 😁

ব্যাক্তিঃ হ্যা সেই।আমার তুফান রাণী

মারুঃ হু😏

কিছুক্ষন চুপ থেকে মারুর হাত ধরে ব্যাক্তিটি বললো,
ব্যাক্তিঃ মারু তুমি কখনো চেঞ্জ হয়ো না এরকম থেকো সব সময়।

মারুঃ হুম আমি তো এরকম থাকবোই কারণ ভবিষ্যতে আমার ছেলে মেয়েদের এমন বানাবো আমি😁😇

ব্যাক্তিঃ ব্যাস তাহলেই হয়ে গেলো।আমাকে আর কেউ খুঁজে পাবে না।

মারুঃ কেনো কেনো?

ব্যাক্তিঃকেনো আবার একদিকে তুমি আরেকদিকে বাচ্চারা মাঝখানে আমি শেষ।আমার তো এসব ভাবতেই টেনশন বেরে যাচ্ছে।

মারু চোখ গরম করে তাকাতেই।ব্যাক্তিটি চুপ হয়ে গেলো।তারপর মারুকে বললো,
ব্যাক্তিঃ আচ্ছা হটাৎ আসতে বললে?আর আরু আর তনু কলেজ আসলো না কেনো?

মারুঃ আর বলো না তনু কাল ওর খালামুনির বাসায় গিয়েছিল এখনো আসে নি আর আরুর নাকী কাল থেকে জ্বর তাই আসবে না আর আন্টিও ওকে আসতে দেবে না।

ব্যাক্তিঃ বলো কী আরুর কী হলো কাল তো ঠিক দেখলাম এক রাতে কী এমন হয়ে গেলো? (জী এই ব্যাক্তি রাফসান।মারু আর রাপসানের রিলেশন ১.৫ বছর আরু আর আয়ানের মাধ্যমেই ওদের পরিচয়)
আজ সকালে আরু যা যা বললো সবটাই রাফসানকে বললো।এবার মারু জিজ্ঞেস করলো,
মারুঃ তুমি ওকে কখন দেখেছো?
তারপর রাফসানও মারুকে কালকের সব ঘটনা বললো।এবার মারু বললো,
মারুঃ আচ্ছা আয়ান ভাইয়া কোনো এমন করলো আরুর সাথে?

রাফসানঃ সেটা তো আয়ান ভালো জানে।

মারুঃ জানো ওইদিন যখন আয়ান ভাইয়া আরুকে এসব কথা বলছিলো তখন মনে হয় আরুকে পুরো মেরে ফেলবে আবার যখন এসব কথা শুনার পর আরু কান্না করছিলো তখন উনি আরুর দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে ছিলো।

রাফসানঃ হুম।ওইদিনের পর আয়ান আমার সাথে কথা বলেনি।

মারুঃ জানো ওই রিয়াকে ইচ্ছে করছে বুড়িগঙ্গা নদীর পানিতে কয়েকটা চুবানি দেই।

রাফসানঃ(হেসে বললো) আচ্ছা বাদ দাও আমি আজ আয়ানের সাথে কথা বলবো
মারুঃ হুম
মারু আর রাফসান কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে মারুকে বাসায় দিয়ে রাপসান চলে গেলো।

রাত ১০ টা
আরু বিছানায় বসে আছে হাতে বই নিয়ে।সামনে ওর পরীক্ষা অথচ বইয়ের সাথে ওর যোগাযোগ একদম নেই বললেই চলে।সারাদিন মাথায় আয়ানের কথ ঘুরাঘুরি করে।ওরি বা কী দোষ।কিন্তু আরু এখন ঠিক করেছে ভালো মতো লেখাপড়া করবে বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করবে।আয়ানের চিন্তা সাইডে রেখে।সন্ধ্যায় তনু আর মারুর সাথে কথা হয়েছে ওদের কলেজ ঠিক মতো যেতে বললো আর ও ২/৩ কলেজ যাবে না এটাও জানিয়ে দিলো।ওরাও আর কিছু বললো না।

এদিকে,
রাফসান আর আয়ান বসে আছে ওদের আড্ডা খানায়।রাফসান অনেকক্ষন ধরে খেয়াল করছে আয়ান কেমন যেনো করছে কিছু জানতে চাইছে কিন্তু জিজ্ঞেস করতে পারছে না।অনেকক্ষন আয়ানের এসব লক্ষ করার পর রাফসান বললো,
রাফসানঃ তোকে এমন অস্থির দেখাচ্ছে কেন? কী হয়েছে
আয়ানঃ কই না তো আমি ঠিক আছি।
রাফসানঃ মনে তো হচ্ছে কিছু একটা হয়েছে।
আয়ানঃ আরে আমার কথা বাদ দে।তোর কথা বল মারুর সাথে কথা হয়?
রাফসানঃ হুম আজও দেখা করলাম
আয়ানঃ ভালোই (আকাশের দিকে তাকিয়ে)
রাফসানঃ তোর অবস্থা বল রিয়ার সাথে কেমন চলছে রিলেশন?
আয়ান এবার চোখ মুখ শক্ত করে বিরক্ত কন্ঠে বললো,
আয়ানঃ এসব কথা বাদ দে আর না দিলে আমি চলে যাই
রাফসানঃ আচ্ছা আচ্ছা।……একটা সত্যি কথা বলবি
আয়ানঃ হুম বল
রাফসানঃ কেন এমন করছিস আরুর সাথে?নিজেও কষ্ট পাচ্ছিস ওকে কষ্ট দিচ্ছিস।কী লাভ এতে
আয়ানঃ বললাম তো ৩ বছর বগের প্রতিশোধ নিচ্ছি।আর আমার কোনো কষ্ট হচ্ছে না আর আরু ও কোনো কষ্ট পাচ্ছে না।
রাফসানঃ তুই অবুঝের মতো সেই ৩ বছর আগের ঘটনায় পরে আছিস। তখন আরুর বয়সটা কতো ছিলো বলতো ও না বুঝে এটা করেছে।তুইতো আমাকে বলেছিলি ‘আরু ভয় পেয়ে এমন করেছে আমার আরু এমন করতে পারে না।’এসব বলেইনতুই আবার ফিরে গিয়েছিলি ওর লাইফে।আর তোর কষ্ট হচ্ছে না এটা আমাকে বললি আর বিশ্বাস করবো
আয়ানঃ না না আমার কষ্ট হচ্ছে না।আরুও কষ্ট পাচ্ছে না।ওর মনে অন্য কিছু চলছিলো তা হয়নি বলেই হয়তো ও এমন করছে।
রাফসানঃ এটা তোর মুখের কথা যে তোর কষ্ট হচ্ছে না।তোর চোখ অন্য কথা বলছে।আরুর জন্য এখনো তোর ভালোবাসা আগের মতোই আছে।
আয়ান কিছু না বলে চুপ করে রইলো।রাফসান বললো,
রাফসানঃ কী হলো বল।ভালোবাসিস তো ওকে??
আমি জানি তুই ভালে বাসিস।
আয়ানঃ হ্যা হ্যা আমি ভালোবাসি ওকে আগের মতো ওর আমার মন থেকে দূরে যায় নি না কখনো যাবে।
রাফসানঃ তাহলে কেনো দুজন কষ্ট পাচ্ছিস?জানিস আরুর কাল থেকে জ্বর।
আয়ান আতঙ্কিত হয়ে বললো,
আয়ানঃ কি বলছিস? জ্বর আসলো কী করে?এই মেয়ে আমাকে শান্তি দেয় না নিশ্চয়ই শাওয়ারের পানিতে বেশি ভিঝেছে
এসব বলছে আর পকেট থেকে ফোন বের করে কল করতে যাবে আর হুস ফিরে ও কী করছিলো।তারপর ফোন রেখে দেয়।এবার রাফসান বললো,
রাফসানঃ ও এখন ঠিক আছে শুধু শরীর টা একটু দুর্ভল।
আয়ান কিছু বললো না।আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলো।রাফসান বললো,
রাফসানঃ কেনো এমন করছিস বলনা সত্যিটা
আয়ান প্রায় অনেকক্ষন নিরব থাকার পর রাফসানকে বলতে শুরু করলো,
আয়ানঃ…………

সব শুনে রাফসান বললো,
রাফসানঃ তোর কোথাও ভুল হচ্ছে আয়ান।অনেক বড় ভুল।এই ভুলের জন্য না তোকে একসময় সব হারাতে হয়।আমি আগেই তোকে সাবধান করলাম
ওরা আর কোনো কথা বললো না।উঠে চলে গেলো।তবে রাফসান অনেক বুঝাতে লাগলো।আয়ান একবার ভেবেছিলো আরুর কাছে যাবে পরে ভাবলো না যাবো না।বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পরলো।
সকালে…

চলবে…

#হারাতে_চাই_না_তোমায়
#পর্ব-০৮
#লেখিকাঃ_উম্মে_বুশরা

[নিচের কথা গুলো একটু পরবেন]
সাকলে আয়ান ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলো।আজ ওকে এক জায়গায় যেতে হবে।তাই তাড়াতাড়ি ব্রেকফস্ট খেয়ে বেড়িয়ে যাবে।আয়ান নিচে নামছে আর ফোন টিপছে টেবিলের কাছে আসতে আসতে ওর মাকে বললো,
আয়ানঃ মা ব্রকফাস্ট দাও।
আয়ানের মা ছেলের দেখে ছেলের ফোনের ভিতর ঢুকে আছে সামনে কি আছে তা খেয়াল নেই।আয়ানের মা এবার বিরক্ত কন্ঠে বললেন,
আফিয়া আহমেদঃ বাবা আমার সামনে তাকিয়ে দেখো টেবিলে ব্রেকফাস্ট দেওয়া আছে।আমি বুঝি কী আছে এই ফোনে যখন যেখানে সময় পায় সেখানেই এটার(ফোন) ভিতরে চোখ থাকে।তখন দিন দুনিয়ার কোনো খবর থাকে না।
আয়ান কিছু না বলে একটা কিউট হাসি দিয়ে চেয়ারে বসে খেতে লাগলো।আয়ানের মা আর কিছু না বলে কিচেনে চলে গেলেন।আয়ান জানে এমন হেসে কোনো কথা না বললে এখন আর বকা শুনতে হবে না।এই হাসিই যেন আফিয়া আহমেদের ছেলের প্রতি রাগ পানি করার ঔষধ।আয়ান এবার খাচ্ছে আর ফোন ঘাটছে।আয়ানের খাওয়া প্রায় শেষের দিকে আয়ানের মা কিচেন থেকে বের হতেই দেখে রিয়া ওনাদের বাসায় ঢুকছে।তাই উনি কিছুটা খুশি বললেন,
আফিয়া আহমেদঃ আরে রিয়া যে,কী ব্যাপার।কেমন আছো আর বাসার সবাই কেমন আছে।

আয়ান খাওয়া ছেড়ে তাকিয়ে দেখে রিয়া এসেছে সকাল সকাল ওর মুখ দেখে আয়ানের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো।আজ নিশ্চিত দিনটা খারাপ যাবে।ওকে দেখে যতটা না বিরক্ত হয়েছে তার থেকেও বেশি মেজাজ গরম হয়েছে রিয়ার ড্রেসআপে।আয়ানের মা’ও এই কারণে রিয়াকে দেখে খুশি হয়ন।রিয়া একটা S কালার স্লিভলেস ড্রেস পরেছে তাও আবার হাটুর একটু নিচ পর্যন্ত।যদিও আয়ানরা হাই সোসাইটিতে যাতায়াত কিন্তু কখনো এইসব ড্রেস ওদের পছন্দ নয়।এসব ভেবেই আয়ান আবর খেতে লাগলো।এবার রিয়া টেবিলের কাছে আসতে আসতে আয়ানের মা’কে বললো,
রিয়াঃ আমি ভালো আছি আন্টি।তুমি কেমন আছো?
আর বাসার সবাইও ভালো আছে।

আফিয়া আহমেদঃ আমিও আছি ভালো।তবে বয়স হচ্ছে তো আগের মতো আর শরীর দেয় না।তা তুমি হটাৎ?
রিয়াঃ আসলে আন্টি অনেক দিন কোথাও যাওয়া হয় না তাই ভাবলাম আমি আর আয়ান আজ কোথাও গিয়ে ঘুরে আসি।(কিছুটা লজ্জা পেয়ে)
আয়ান এবার খাওয়া ছেড়ে উঠে দাড়ালো আর ভাবলো ব্যাস শেষ ও ভেবেছিলো আজ দিনটা খারাপ যাবে কিন্তু তা যে এতো তাড়াতাড়ি তা বুঝতে পারে নি।এবার আয়ান বললো,
আয়ানঃ আমি কোথাও যেতে পারবো না আমার কাজ আছে।
রিয়াঃ প্লিজ চলো না।অনেক দিন কোথাও যাই নি।মনও ফ্রেশ লাগবে।আর আমি তো সব সময় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলি না।চলো না।আন্টি কিছু বলো ওকে(ন্যাকা কান্না করে)
আফিয়া আহমেদঃ ঠিকি তো বলেছে সব সময় তো ও বলে না যাওয়ার কথা আর মনও একটু ফ্রেশ লাগবে যা ঘুরে আয়।
আয়ান রেগে বললো,
আয়ানঃ আমি বললাম তো যাবো না এক কথা কানে দিয়ে ঢুকে না তোমাদের।আর আমার মন এমনেতেই ফ্রেশ আছে নতুন করে ফ্রেশ হওয়া লাগবে না।
বলেই খাওয়ার প্লেটটা টেবিলের উপর দূরে ঠেলে উঠে চলে গেলো বাহিরে।প্লেটের সাথে ধাক্কা খেয়ে একটা গ্লাস নিচে পরে গেলো কাচ ভাঙার আওয়াজে আর আয়ানের ধমকে আফিয়া আহমেদ চমকে উঠে আর রিয়া ভয় পেয়ে টেবিল থেকে একটু সরে গেলো।আয়ানের মা ভাবছেন ছেলে হটাৎ এমন রেগে গেলো কেনো।পরে ভাবলেন ছেলের রাগটাই তো নাকের ডগায়।এদিকে রিয়া এই প্রথম আয়ানের এমন ব্যাবহার দেখেছে।আগে একবার আয়ানের মার মুখল শুনেছিলো আয়ানের অনেক জিদ।আর ওকে জোর করে কিছু করানো যায় না।রিয়া এসব ভাবছে তখনই আয়ানের মা বললেন,
আফিয়া আহমেদঃ তুমি কিছু মনে করো না মা ও এরকমই কখন কী করে কেউ বুঝতে পারে না ওর মন যা বলবে তাই করবে।আর মনের মতো না হলে সব ধংস করে দিতেও দুবার ভাবে না।
রিয়াঃ না ঠিক আছে আন্টি আমি কিছু মনে করে নি।আমি আজ আসি।
আফিয়া আহমেদঃ সেকি এইতো এলে দুপুরে খেয়ে তারপর যেও।
রিয়াঃ না আন্টি যে কারনে এসেছিলাম তা যেহেতু হলো না তাহলে আর কী করবো।আমি অন্য একদিন আসবো আজ যাই।
আফিয়া আহমেদঃ যাওয়ার ইচ্ছে হলে তো আটকাতে পারবো না তবে আবার আসবে তোমার বাবা মাকে সাথে নিয়ে।
রিয়াঃ আচ্ছা আন্টি।
রিয়া চলে গেলো আয়ানের মা ও কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে কিচেনে চলে গেলেন।

দুপুর ১.২৫,
আয়ান আর রাফসান দাড়িয়ে আছে আরুদের কলেজের সামনে উদ্দেশ্য এক নজর আরুকে দেখা।কাল ওর জ্বর শুনার পর থেকে মনটা আকুল হয়ে আছে আরুকে একটু দেখবে বলে।কাছ থেকে তো দেখতে পারবে না দূর থেকে একটু দেখল চলে যাবে।আয়ান বার বার ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছে ছুটি হচ্ছে না কেনো এখনো।রাফসান বিরক্ত হয়ে বললো,
রাফসানঃ ভাই আমার এতো যদি দেখার সখ তাহলে সামনে বসিয়ে রেখে সারাদিন দেখ।এই গরমে এভাবে বসে থাকতে আর ভালো লাগছে না আর এভাবে লুকিয়ে দেখার কি আছে? নিজেতো কষ্ট পাচ্ছিস ওকেও দিচ্ছিস।আর নিজে এসেছিস ভালো আমাকে কেনো এই গরমে এনে দাড় করিয়ে রাখলি?
আয়ানঃ মারুর সাথে দেখা করাতে নিয়ে এসেছি।এবার চুপ কর।আর কানের মাথা খাস না।
রাফসান আর কিছু বললো না আয়ান এবার ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ১.৩০ বাজে এখনই ছুটি হবে।আয়ান ভাবতে ভাবতেই ছুটি হলো আরুদের।আয়ান গেটের দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু আরুর বের হওয়ার খবর নেই।অনেকক্ষন পর তনু আর মারুকে দেখে আয়ানের ঠোঁটের কোনে কিঞ্চিৎ হাসি ফুটলো কিন্তু তা বেশিক্ষন টিকলো না যখন দেখলো ওদের সাথে আরু নেই।তনু আর মারু কথা বলতে বলতে এগিয়ে এসে দেখে রাফসান আর আয়ান দাড়িয়ে আছে।আয়ানকে দেখে ওদের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো কিন্তু কিছু বললো না এক এটা রাস্তা আর দুই আয়ান ওদের বড় এভাবে গায়ে পরে আয়ানের সাথে কথা বলা যাবে না আর ওরা বলতেও ইচ্ছুক নয়।ওদের আসতে দেখে আয়ান একটু সরে গেলো তবে বেশি দূর না ওদের কথা শুনতে পাবে।দূরে দাড়িয়ে পকেট থেকে ফোন বের করে চোখ ফোনের দিকে আর কান ওদের কথার দিকে।মারু রাফসানের সামনে এসে দাড়িয়ে বলে,
মারুঃ তুমি এখানে।আমাকে তো আগে বললে না।
রাফসানঃ আব…তোমাকে ট্রিট দিতে আসলাম।হে হে
মারুঃ হটাৎ ট্রিট🤨 কাহিনী কী🤨
রাফসানঃ এমনি ইচ্ছে হলো।আর দেখো একদম এভাবক তাকাবে না।
মারুঃ 🤨🤨🤨🙄
রাফসানঃ আরে জান আমি কাল রাতে স্বপ্ন দেখেছি আমি তোমাদের ট্রিট দিচ্ছি তাই তো সকাল হতেই তোমাকে না জানিয়ে চলে আসলাম ঠিক করেছি না?
রাফসানএবার আয়ানের দিকে তাকাতে ও কিছু একটা ইশারা করলো।রাফসানও ইশারায় বললো ওকে।
মারুঃ হুম🙄…..তো কী ট্রিট দিবে?
রাফসানঃ তোমারা বলো তোমরা কী চাও?
মারুঃ তুমি স্বপ্নে আমাদের যা ট্রিট দিতে দেখছো তাই
রাফসামঃআ….আসলে আমি ভুলে গেছি।…..তোমারা বলো কী চাও।বাই দ্যা ওয়ে আরু কোথায়?
মারুঃ কেনে?
রাফসানঃ আরে এমনি তোমাদের দুজনকে দেখছি ওকে দেখছি না তাই বললাম।
মারুঃ তোমাকে তো কাল বললাম সব
রাফসানঃ সেকী ও এখনো সুস্থ হয়নি
মারুঃ আছে শরীর টা এখনো দুর্ভল।তাই আসতে পারে নি
মারুদের এটা বলতে ইচ্ছা করছিলো না আয়ানকর সামনে তাও বলতে হলো।
রাফসানঃ ওহহ তো ও কলেজ আসবে কবে?
মারুঃ ১/২ দিন পর।
এটা শুনে আয়ান আর না দাড়িয়ে বাইক নিয়ে চলে গেলো।আর ওরা ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলো।মারু বললো,
মারুঃ উনি কেন এসেছেন?আর এভাবে চলে গেলো কেনো?
রাফসানঃ আরে আমার সাথে এসেছিলো আর হটাৎ মনে হয় কোনো কাজ পরেছে তাই চলে গেছে বাদ দাও চলো তোমারা।
রাফসান ওদের নিয়ে ফুচকা খাওয়ালো।তারপর যে যার বাসায় আর রাফসান আয়ানের কাছে।

২ দিন পর

[আমি গল্প জগতে নতুন তবুও আপনারা আমাকে আপন করে নিয়েছেন আমি লিখি আপনাদের জন্য আর আপনার যদি না বুঝেন তাহলে আমার লেখার কোনো সার্থকতা নেই।তাই যারা আমার গল্প রেগুলার পরেন তার প্লিজ একটু রেসপন্স করবেন।খারাপ হলেও জানাবেন ভালো হলেও জানাবেন। তহলে আমি লিখার মজা পাবো।আর আমারনআপনাদের কমেন্ট বেশি দেখা হয় না কিন্তু আজ সারাদিন পর অনলাইনে এসে একটা কমেন্ট দেকলাম যে,’উনি নাকী কিছু বুঝেন নি’ তাহলে আমি বলবো আপনি প্রথম থেকে গল্প পড়েন নি।যাই হোক এটা দেখে একটু খারাপ লাগলো।তাই আবার বলছি একটু রেসপন্স করবেন ]
রিচেক করা হয়নি

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here