আলোকিত অন্ধকার পর্ব-২৩ শেষ পর্ব

0
413

#আলোকিত_অন্ধকার
#কলমে_নাঈমা_বিনতে_আয়েশা
#সমাপ্তি_পরিচ্ছেদ
_______________________________
চারুর বিয়েতে মোটেই দেরি করতে চায় না রেণু, বিশেষত তাহেরের কথা শোনার পর থেকে।
সালিহাও এসেছে রিহানকে নিয়ে চারুর নানা বাড়িতে। সবাই অবাক হলেও নিধি সেটা ম্যানেজ করে নিয়েছে।
চারুর নানা নানি আজ সবচেয়ে বেশি খুশি।
তনু, ত্বাসিন, মিফা, মেহরীন চারিদিকে ছুটোছুটি করে বেড়াচ্ছে আর ওদের সাথে ছুটোছুটি করছে নিধি।
অবশেষে সবার সম্মতিক্রমে রেণু ফেরার পরদিন সন্ধ্যায় মাহমুদের সাথে একেবারেই ঘরোয়া পরিবেশে বিয়ে হয়ে গেল চারুর।
চারুর মনে হচ্ছে এই মূহুর্ত থেকে সে আর একা নেই, জীবনপথ পাড়ি দেওয়ার জন্য কেউ তো আছে একজন।
চলে যাওয়ার মূহুর্তে চারুর পাশে এসে বসে,
-আপু! ভাল থাকিস!
এবারে কেঁদে ফেলে চারু। চারু ভাবে তার ভাইটা বুঝতে শিখেছে। চারুর মাথায় হাত রাখে তরু।
বাবা-মা, ভাইবোন, ছোটমণি, আঙ্কেল সবার থেকে ভয়, সংকোচ, দায়িত্ব, আর আনন্দের মিশ্রিত অনুভূতি নিয়ে বিদায় নেয় চারু।
হয়তো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর একটা দৃশ্যের অবতারণা তখন হচ্ছিল যখন মেহরীনকে কোলে চারু আর তনুকে কোলে মাহমুদ পাশাপাশি হেঁটে চলে যাচ্ছিল। রাতের মোম জ্যোৎস্নাগুলোও হাসছিল সেই সুন্দর দৃশ্যের সাক্ষী হতে পেরে।
.
একটা সময় ফুরিয়ে গেলে নির্ধারিত কাজটি না করা গেলে সেটি আর পাওয়া যায় না।
আজ কানাডা ফিরে যাচ্ছে তুর্য। তবে একা নয় বাবা মাকে একেবারে নিয়ে যাচ্ছে। তুর্যের সম্ভব না এই মূহুর্তে বাংলাদেশে ফিরে আসা।
আবার বাবামাকে রেখে যাওয়া আরো অসম্ভব।
বাংলাদেশে নিজেদের জন্য ছোট একটা বাড়ি রেখে বড় প্রাসাদতুল্য বাড়িটা একটা শিশু হাসপাতালের মালিকানাধীনে দিয়ে বাবা মা নিয়ে পাড়ি জমাল তুর্য।
টিনার সেই আগের ঔদ্ধত্য এখন আর নেই, ঝিমিয়ে গেছেন পুরোটাই। রাইয়্যানার সঙ্গই এখন ভাল লাগে টিনার।
ইসলামের দিক গুলো জানার পর অনুশোচনার আগুনে প্রতিনিয়ত দগ্ধ হন তিনি। তিন্নির দিকে তিনি খেয়াল রাখলে হয়তো পরিস্থিতি অনুকূলে থাকতে পারতো।
তিন্নির বাচ্চা বা সে সম্বন্ধীয় কোনো কথা তুর্য বাবা মাকে জানতে দেয় নি।
সবদিক থেকে আগলে রাখতেই তাদের নিয়ে আজ চলে যাচ্ছে সে।
-রাইয়্যানা?
-জ্বি
-সবচেয়ে বড় একটা আফসোস থেকে গেল!
-বাদ দাও তুর্য! আল্লাহর কাছে দোয়া করো।
দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে বলে তুর্য, ‘আল্লাহ আমার বোনটাকে ক্ষমা করো!’
.
তারানার বাসার ড্রয়িংরুমে তনু আর মেহরীনকে নিয়ে বসে আছে চারু আর মাহমুদ। মিফা স্কুলে, তারানার স্বামী ওয়াহেদকে আজ ভোরে চট্টগ্রাম যেতে হয়েছে ব্যবসার কাজে। চাকরীর পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসা করে ওয়াহেদ।
তারানা রান্না করছে। চারু যতবারই গিয়েছে সাহায্য করতে তারানা ঠেলে পাঠিয়ে দিয়েছে।
-মামণি আমি তনুকে নিয়ে এখানে বসে খেলি?
মিফার খেলনা এনে জড়ো করা জায়গা দেখিয়ে প্রশ্ন করে মেহরীন।
মাথা নেড়ে সস্নেহে বলে,
-আচ্ছা মামণি যাও খেলো।
-তুমি ভাল মামণি।
বলে তনুকে নিয়ে খেলা বুঝিয়ে দেওয়ার বৃথা চেষ্টা করতে থাকে মেহরীন।
-এটারই অভাব বোধ করত মেহরীন।
চারুকে উদ্দেশ্য করে বলে মাহমুদ। তারপর আবার বলে,
-তারানা সেটার অনেকটাই পুরণ করেছে কিন্তু বাসায় যে একা থাকতে হতো।
চারু কোনো উত্তর দেয় না। আরেকবার স্নেহভরা চোখে তাকায় মেহরীন আর তনুর দিকে।
-তোমার ছুটি শেষ কবে?
মাহমুদের সাথে অনেক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। তাই কিছুটা নিঃসঙ্কোচে মাহমুদের প্রশ্নের পিঠে পালটা প্রশ্ন করে,
-চাকরিটা ছেড়ে দিবো?
-কেন?
-আমি আমার দুই মেয়ে আর সংসার নিয়ে থাকতে চাই, ওদের সময় দিতে চাই।
-আর আমি?
মুচকি হেসে প্রশ্ন করে মাহমুদ।
-হু আপনাকেও, ওই তো সংসার বললাম!
সলজ্জে উত্তর দেয় চারু।
-আমার নাম সংসার হয়ে গেল!
হাসতে থাকে মাহমুদ। কিছুক্ষণ পর বলে,
-এটা আমিও বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি কিভাবে নাও, যে আমি বিয়ের পরেই অধিকার দেখিয়ে তোমার স্বাধীনতা নষ্ট করছি। অবশ্য তবুও বলতাম, কিন্তু আরেকটু দেরিতে।
-হুউউ। আমি যাদেরই বলি তারা বলে নিজের পায়ে দাঁড়াও অন্যের উপর নির্ভরশীল কেন হবে!
-এক্স্যাক্টলি! প্রয়োজন থাকুক বা না থাকুক মেয়েদের বাইরে যেতেই হবে! কাজ করতেই হবে।
তুমি দেখো, একটা মেয়ে যেভাবে বসের মন জোগানোর জন্য সেজেগুজে অফিসে ছোটে তাতে যে কেউ আকর্ষিত হবে। আবার দেখ সেই মেয়েই বাসায় তার স্বামীর সামনে ততটাই অগোছালো থাকে। ওই স্বামীও তার অফিসের মেয়ে কলিগ/স্টাফদের দিকে ঝুঁকে, তাদের সৌন্দর্য আর গোছানো পরিপাট্য রূপ দেখে বাসায় এসে নিজের অগোছালো বউকে ভাল লাগবে না এটাই স্বাভাবিক।
ফলশ্রুতিতে কি হচ্ছে? পরকীয়ার মতো জঘন্য ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে। বিপন্ন হচ্ছে ভেঙে যাওয়া পরিবারগুলোর সন্তানরা, অথবা অবৈধ সন্তানগুলো।
ভাবতে পারো এইসব ভয়াবহ ঘটনাগুলো আমাদের কাছে এখন খুব স্বাভাবিক! এটাই সবচেয়ে ভয়ের কথা।
তন্ময় হয়ে চারু শুনছিল মাহমুদের কথা।
-ভাবি এসো খেতে, খাওয়ার পরে ভাইয়ার লেকচার শুনবে!
হাসিমুখে বলে তারানা। তনুকে কোলে তুলে মাহমুদ পা বাড়ায় টেবিলের দিকে। চারু মেহরীনকে নিয়ে এগিয়ে যায়।
সবাই খেতে বসলে তারানা বলে,
-ভাইয়া ওয়ালিমা তো দুইদিন পরে, রিহান আঙ্কেল একটু ওই বাসায় আজ দুপুরে যেতে বলছে সবাইকে। রেণু আন্টিদের সবাইকে আসতে বলেছে। আমাকে ফোন দিয়েছিল।
আর এটা নাকি সালিহা আন্টিই আয়োজন করেছে। আর এভাবে ফর্মালিটির বাইরে গিয়ে দাওয়াত দেওয়াতে বারবার অনুরোধ করেছেন কিছু যেন না মনে করি।
চারু বেশ অবাক হয় সালিহার দাওয়াতের কথা শুনে। বিয়ের দিন কিছুটা শুনেছিল সালিহার কথা রেণুর কাছে। অতটা বুঝেনি। তবে এর মাঝে সালিহা ফোন করেছে দুই একবার। অবশ্য সবাই খোঁজ নিয়েছে বলে চারু আর বেশি মাথা ঘামায়নি।
-দাওয়াত যখন দিয়েছে তখন তো যেতেই হবে।
মাহমুদের কথার জবাবে তারানা বলে,
-আচ্ছা আমি তাহলে দুপুরের রান্না করলাম না, এখন বাকি খাবার গুলো ফ্রিজে রেখে যাবো। কি বলো ভাবি?
তারানা এখন আর নাম ধরে ডাকেনা। ভাবি সম্বোধন করে চারুকে।
-আচ্ছা ঠিক আছে।
মেহরীন আর তনুকে খাওয়াতে খাওয়াতে উত্তর দেয় চারু। মাহমুদ বলে,
-যাওয়ার পথে মিফার স্কুল হয়ে মিফাকে নিয়ে যাবো।
হ্যাঁসূচক মাথা নাড়ায় তারানা।
.
যাওয়া আসার জন্য একটা কার রিজার্ভ করে নেয় মাহমুদ। ফিরতে রাত হতে পারে।
সবাই গুছিয়ে রিহানদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। স্কুলের কাছে এসে তনু আর মেহরীনকে নিয়ে চারু যায় সহকর্মী আপাদের সাথে কথা বলতে, তারানা যায় মিফার ক্লাসরুমে মিফাকে আনতে।
মিফার ক্লাসরুমে গিয়ে দেখে চলমান ক্লাসের দশ মিনিট বাকি। ক্লাসরুমের সোজাসুজি বারান্দায় অপেক্ষা করতে থাকে তারানা।
মাহমুদ ড্রাইভারকে স্কুলের গেইট ঘেঁষে অপেক্ষা করতে বলে গাড়ির বাইরে এসে দাঁড়ায়।
সহকর্মীদের সাথে কুশলাদি সেরে বিদায় নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে চারু।
একহাতে তনু আর আরেক হাতে মেহরীনকে নিয়ে বাইরের বারান্দায় এসে দাঁড়াতেই স্থির হয়ে যায় ও!
অপরদিক থেকে এগিয়ে আসছে তাহের!
অপরিচিত কাউকে গাড়ি রেখে স্কুলে ঢুকতে দেখে মাহমুদ, কিন্তু গুরুত্ব দেয় না। কে না কে হবে হয়তো।
কিন্তু ভিতরে চারু আর তারানার কথা মনে পড়ায় ড্রাইভারকে অপেক্ষা করতে বলে দ্রুত ভিতরে যায় মাহমুদ।
-চারু আমি জানি তুমি বিয়ে করোনি! এরা তোমার কোনো আত্মীয়ের মেয়ে! চলো আমার সাথে!
এই কথাটুকুই শুনতে পায় মাহমুদ।
সামনে এসে চারুকে আড়াল করে দাঁড়িয়ে সোজাসাপটা ভদ্রলোকের মতো প্রশ্ন করে,
-কি ভাই আমার বউকে কি সব বলছেন!…
-মা…মানে?
-ভাই এরা আমার বউ বাচ্চা, এই আমার বউ চারু আর এই আমাদের দুই মেয়ে মেহরীন আর তনু। আপনি কে? কে উনি চারু?
-উনি আমার প্রাক্তন স্বামী তাহের।
মূহুর্তেই চোখমুখ শক্ত হয়ে যায় মাহমুদের। চারুর কথায় যা বোঝার বুঝে নিয়েছে ও। মেহরীনের দিকে তাকিয়ে বলে,
-মা যাও তনুকে নিয়ে সামনে খুব আস্তে আস্তে হাঁটো আমি যেন দেখতে পাই তোমাদের।
ওদের পাঠিয়ে দিয়ে মাহমুদ শক্ত করে ধরে চারুর হাত,
সেভাবেই প্রশ্ন করে
-কি সমস্যা!
তাহের কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছিল, সামলে নিয়ে নির্লজ্জের মতো আবার জানতে চায়,
-চারু যদি আপনার বউই হয় তবে এত বড় বাচ্চা আসলো কোথা থেকে?
-ওটা আমার আগের স্ত্রীর বাচ্চা! বুঝেছেন! এবার চলে যান। আমার কি মনে হয় জানেন, যে কারণে আপনি চারুকে ছেড়েছেন, আসলে অক্ষমতা আপনার তাই আপনি আবার এসেছেন ওকে ফিরিয়ে নিতে!
কি কাপুরষ রে মশাই আপনি!
মাহমুদের বিদ্রুপাত্মক কথায় ফ্যাকাশে হয়ে যায় তাহেরের চোখমুখ।
নিজের অক্ষমতার কথা ভেবে চারুর সামনে লজ্জা এড়াতে সেখান থেকে দ্রুত চলে যায় তাহের।
চারু মাহমুদের দিকে তাকিয়ে বলে,
-আপনি বলতে চাইছেন এই কারণেই তাহের আমাকে ফিরিয়ে নিতে এসেছিল?
-আমার তাই মনে হয়েছিল, তাই বলে দিলাম। এখন দেখছি সেটাই সত্যি! আল্লাহ বাঁচিয়েছেন তোমাকে।
চারুর দিকে তাকিয়ে নির্ভরতার হাসি দেয় মাহমুদ।
-আল্লাহ যা করেন ভালো জন্যেই করেন! আলহামদুলিল্লাহ।
স্বস্তির সাথে বলে চারু।
তারপর ওরা এগিয়ে যায় মেহরীন আর তনুর দিকে।
তনুকে কোলে নিয়ে মেহরীনের হাত ধরে মাহমুদ চারুর দিকে তাকিয়ে বলে,
-তারানাকে এসব বলতে হবে না। শুধুশুধু চিন্তা বাড়িয়ে লাভ নেই।
হ্যাঁসূচক মাথা নাড়ে চারু।
কিছুক্ষণ পরেই মিফাকে নিয়ে আসে তারানা।
গাড়িতে উঠে মাহমুদ চারুর দিকে তাকিয়ে ফিসফিসিয়ে বলে,
-মেহরীনকে আগের স্ত্রীর বাচ্চা বলেছি তাই খারাপ লেগেছে? আসলে আমি ওই পরিস্থিতিতে…
মাহমুদ কথা শেষ করার আগেই চারু মাহমুদের হাত ধরে শক্ত করে, তারপর বলে,
-একদম রাগ করিনি!
মুচকি হেসে দুই ভ্রু একসাথে উঁচু করে কপট অবাক হওয়ার ভঙ্গিতে মাহমুদ বলে,
-বাব্বাহ!
লজ্জা পায় চারু।
মাহমুদ চারুর হাতটা নিজের দু’হাতের মুঠো মধ্যে নিয়ে বলে,
-আমাদেরকে দুই মেয়েকে নিয়ে আমরা যেন আল্লাহর পথে থাকতে পারি। আমাদের সৎ নিয়তকে আল্লাহ কবুল করে নিন।
চারু মুখ নিচু করেই বলে,
-আমিন।
.
এরপর অনেকগুলো ভোর পেরিয়ে গেছে…
কোনো এক আবিররাঙা বিকেলে চারু আর মাহমুদ বসে আছে ওদের ছাদ বাগানে। চারুর কোলে ওদের একবছরের মেয়ে আয়েশা।
দূরে খেলছে তনু আর মেহরীন।
ছাদে নিজের সবটুকু ভালবাসা দিয়ে বাগান করেছে চারু। অনেকরকম ফুল আর ফলের সমাহার। সারাদিনের কাজের শেষে মাহমুদকে নিয়ে এসে বসে এখানে। সব ক্লান্তি এক নিমিষেই চলে যায়, নিজেদেরকেও কিছুটা সুন্দর সময় দেওয়া যায়।
দুই কানে কামিনী গুচ্ছ গুঁজে কামিনী গাছের মাঝে দাঁড়িয়ে তনু আর মেহরীন বলে ওঠে,
-বাবা মামণি দেখো আমরা ফুলকুমারী।
ওদের হাসি যেন বাগানের ফোটা ফুলগুলোর স্বর্গীয় সুষমা আরো বাড়িয়ে দেয়।
চারু আর মাহমুদ ওদের দিকে তাকিয়ে থাকে। একসময় চারু বলে,
-জানো মাহমুদ, তনু আমার অন্ধকারে খুঁজে পাওয়া আলো।
চারুর কথা শুনে মাহমুদ তাকায় চারুর দিকে। চারু আবার বলে,
-আল্লাহ ওকে আমার কাছে পাঠিয়েছিলেন বলেই হয়তো আজ আমি এত ভাল আছি, নইলে হারিয়ে যেতাম অন্ধকারে।
এই কথাগুলো অনেকবার শুনেছে। তবুও আজ প্রতিবারের মতোই আগ্রহভরে শুনতে থাকে চারুর প্রতিটি কথা…
চারুর কথা, বাচ্চাদের হাসি আর গন্ধরাজ ফুলের ঘ্রাণে এই মূহুর্তে নিজেকে এই নশ্বর পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে হচ্ছে মাহমুদের।
মনে মনে আল্লাহর কাছে সহস্র শুকরিয়া জানায় মাহমুদ।
‘আল্লাহ আমি আমার স্ত্রীর প্রতি খুশি, তুমি তার সৎকর্ম কবুল করে নাও’
আবার চারুর কথার দিকে মনোযোগ দেয়, চারুর বলতে থাকে,
-জানো সব আলো, আলো নয়!……
আর মাহমুদ মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতে থাকে চারুর কিন্নর কন্ঠের প্রত্যেকটি কথা….

আসলেই সব আলো সত্যিকারের আলো নয়, সব অন্ধকার, অন্ধকার নয়।
কোনো এক অন্ধকারে পতিত হয়েছিল তিন্নি আতিফ।
সেই অন্ধকার থেকে আসা তনু আজ চারুর আলো!
অথচ তিন্নি আতিফ পারেনি জীবনের অন্ধকারকে দূর করতে, হারিয়ে গেছে সময়ের টানাপোড়েনে।
জীবনে আসা সব অন্ধকারকে ভয় পেতে নেই।
কিছু অন্ধকার প্রকৃতপক্ষে আলোকিত অন্ধকার!
সবার জীবনের নিকষ কালো অন্ধকার সরে গিয়ে ভরে উঠুক পবিত্র নির্মল আলোয় আলোয়…
ভাল থাকুক সব চারু-মাহমুদরা…
সুন্দর জীবন হোক আমাদের সমাজে থাকা শত শত তনুর…
আজ আহ্বান অন্ধকারের মাঝ থেকে আলোর পথে আসার!
আলোকিত হোক সব অন্ধকার…!
আলোকিত অন্ধকার!

★★(সমাপ্ত)★★
(অবশেষে শেষ হলো আমার তৃতীয় বড় লেখনী #আলোকিত_অন্ধকার।
যারা সার্বিকভাবে পাশে থেকেছেন, সাপোর্ট দিয়েছে সবাইকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ৷

#ভালবাসা_অবিরাম…
#জাযাকুমুল্লাহু_খাইরান…
#হ্যাপি_রিডিং
– নাঈমা বিনতে আয়েশা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here