এলোকেশী কন্যা’- [৩০]

0
580

-‘এলোকেশী কন্যা’-
[৩০]
লেখনীতে:- নূরজাহান আক্তার (আলো)

“কিস মি নাও এ্যান্ড দ্যাট অন দ্যা লিপস্!”-

রোদের কথা শুনে আলো হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইল। একোন পাগলের পাল্লায় পড়ল সে। প্রচন্ড জ্বরে রোদের শরীর টলছে, মনে হচ্ছে এখুনি পড়ে যাবে। অথচ জেদ ধরে এখনো দাঁড়িয়ে আছে। টানা তিন ঘন্টা ভিজে মেঘ আর রোদ বাগানে ফুটবল খেলেছে। এত ডেকেও আলোর কথা কেউ শুনে নি। বিকালে এত ভেজার কারণে মেঘের শরীর গরম হওয়ার আগে’ই ওষুধ খাইয়েছে। কিন্তু বড়’টা কারো কথা শুনলে তো! উনি নিজের মর্জি মতো চলো। কারো কথায় পত্তা দেন না উনি।এই বাসায় তাকে কিছু বলার মানুষও নেই! বাকিরা আগ বাড়িয়ে কিছু বলে বকা খেতে ইচ্ছুক নয়! আর বললেও, জল্লাদ’টা কারো কথা শুনবে না। এখন জ্বর বাঁধিয়ে নতুন বায়না ধরেছে। তার নাকি ইয়ে লাগবে, আদর কী! এটা কী হাতের মোয়া, চাইলেই পাওয়া যাবে। যত্তসব ঝামেলা! আলো রেগে চুপ করে ওখানে দাঁড়িয়ে আছে। এই নিয়ে তেরো বার সে এই আবদার করল।
তেরো দিনে নয়, এই মুহূর্তেই তেরো বার। রোদ তখন মেঝেতে ধপ করে বসে চুল খামছে ধরে বিরবির করে বলল,
“আমি ঘুমাতে চাই! একটু, একটু শান্তির ঘুম ঘুমাতে চাই। ওই মেয়েটা আমার ঘুম কেড়ে নিয়েছে। চোখ বন্ধ করলে ওই দৃশ্য চোখে ভাসে। ঠিক মতো ঘুমাতে পারি না আমি। প্লিজ! প্লিজ আলো! আমার কথা শোনো, প্লিজ!”
রোদের বলা পুরো কথা শুনে আলো ভ্রু কুঁচকে ফেলল। রোদ
কী বলল? মেয়ে, কোন মেয়ে? রোদ কার কথা বলছে? কেন ঘুমাতে পারে না রোদ? তাহলে কী পূর্বে রোদের কারো সাথে সম্পর্ক ছিলো? এসব ভাবনাগুলো আলোর মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগল। ওর মাথা কাজ করছে না। রোদ কী বলছে? সে কী আফসোস করছে? আলো এসব আর ভাবতে পারছে না।
সে চুপ করে দাঁড়িয়ে বিষ্ময় নিয়ে শুধু রোদের দিকে তাকিয়ে রইল। যদিও আলোর ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। আর অর্ধেক কথায় বিচার করা বোকামি। এতে সমাধান হয় না বরং আরো জট বাঁধে। কিন্তু সচরাচর অনেকে এটাই করে থাকে। এখন দেখা যাক, আলো কী করে!
আর রোদ ওই জঙ্গি মেয়েদের কথা বলছে। বিশেষ করে ওর সামনে মেঘের বলি আর ওই মেয়েগুলোর ব্যবহার সে ভুলতে পারে নি। ওর মন আর মস্তিষ্কে ঘটনা’টা গেঁথে আছে। প্রতিটা রাতে স্বপ্নে ওদের দেখে সে এখনো আঁতকে উঠে। শুধু মনে হয় ; ওরা মেঘকে কেড়ে নিচ্ছে, কষ্ট দিচ্ছে! স্বপ্নে ঘটলেও ওর কাছে সব’টা বাস্তবিক লাগে। সে ভুলে যায়, আল্লাহর রহমতে ওরা বেঁচে ফিরেছে। ওই ভয়ংকর পরিস্থিতির কথা রোদের মনে বিশ্রীভাবে দাগ কেটে গেছে। আর ওই মেয়েটার ঠোঁটের কালো জিনিসটার গন্ধ মনে হয় সে এখনো পায়। তখন ওর গা গুলিয়ে বমি হয়ে যায়। কতদিন রাতে উঠে সে বমি করেছে তার হিসাব নেই। এখন রোদ সম্পূর্ণভাবে মাছ-মাংস এড়িয়ে চলে। মাংস খেতে গেলে পঁচা মাংসের কথা মনে পড়ে। ছিঃ! কী বিশ্রী সেই গন্ধ! যে ছেলেটা মাছ-মাংস ছাড়া একবেলাও খেতে পারত না। সে এখন সবজি দিয়ে খেয়ে উঠে পড়ে। ওর
আম্মু থাকলে হয়তো খেয়াল করত। আম্মুও নেই, ওর খেয়াল রাখার মানুষও নেই। এজন্য রোদ আর আফসোস করে না। সে ভাগ্য মেনে নিয়েছে।
আজ জ্বরের ঘোরে রোদের একটা কথা মনে হচ্ছে, ওই জঙ্গি মেয়ের ছোঁয়া ওর শরীর থেকে আলো মুছে দিতে পারবে। ওই মেয়েটা জোরপূর্বক ঠোঁট দিয়ে রোদের ঠোঁটে স্পর্শ করেছিল।
এজন্যই রোদ আলোকে ডেকে ‘কিস মি নাও এ্যান্ড দ্যাট অন দ্যা লিপস্’ বলল। কিন্তু আলো তো এসবের কিছুই জানে না৷
তাই সে ভুলভাল ভাবনা নিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। রোদ
আলোকে নিরুত্তর থেকে আর জোর করল না। নিশ্চুপ হয়ে মেঝেতে বসে চুল খামছে ধরে মাথা নিচু করে নিলো। আলো হঠাৎ খেলায় করল; রোদের অশ্রু ফোঁটা ফোঁটা করে মেঝেতে পড়ছে। রোদ নিঃশব্দে কাঁদছে! আলো হতবাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে। রোদ কেন জানি নিজেকে সামলাতে পারছে না। ওর শরীরের প্রতি ঘৃণা আসছে। আর কতদিন এই নোংরা শরীর বয়ে বেড়াবে? এসব ভেবে রাগে জেদে রোদ গ্লাস ভেঙ্গে কাঁচ তুলে নিলো। আজ ওই নোংরা মুছবে নয়তো নিজেকে শেষ করবে। ওই স্পর্শ আর মানতে পারছে না। মরে যেতে ইচ্ছে করে ওর। সে ছেলে হয়েও নোংরা স্পর্শ মানতে পারে না।কেন পারে না? সেও জানে না, তবে পারে না!

রোদের হাতে কাঁচ দেখে আলো দ্রুত কয়েক পা এগিয়ে গেল।
ওড়নাটা টান দিয়ে রোদের চোখ বেঁধে পায়ের উপর পা তুলে দাঁড়িয়ে গেল। রোদ ততক্ষণে শান্ত হয়ে গেছে। যেন সে কিচ্ছু
বুঝে না। আলো আর কিছু ভাবারও নেই, বলার নেই! কারণ এই মানুষটা এখন ওর নিজের। যাকে দশদিন আগে কবুল বলে বৈধভাবে পেয়েছে সে, তাও স্ব-ইচ্ছায়। তাহলে আবদার ‘টা মানতে আর বাঁধা কীসের! রোদ অন্যায় কিছু তো চাচ্ছে না। আবদার, দাবি, চাওয়া, যায় হোক সে বৈধ ভাবে’ই চাচ্ছে।
এসব অবান্তর ভাবনার ছেদ কাটিয়ে আলো সন্তর্পণে রোদের হাত থেকে কাঁচ’টা নিয়ে ফেলে দিলো। কাঁচ’টা পড়ে নিশ্চুপ রুমে একটা শব্দের সৃষ্টি হলো। আলো বার দু’য়ের ঢোক গিলে উষ্ণ ছোঁয়ায় রোদের অধর স্পর্শ করল। জ্বরের প্রচন্ড তাপে রোদের ঠোঁট’টাকে আলোর জ্বলন্ত কয়লা মনে হলো। কয়েক মিনিট রাখলে ওর ঠোঁটও ঝলসে যেতে পারে, এতটা উত্তাপ!
কয়েক সেকেন্ডে আলো রোদের অধরসহ কপাল ছুঁইয়ে সরে গেল। ওর নিজের শরীরও প্রচন্ড কাঁপছে। প্রথম স্পর্শ তাও নিজে থেকে এগিয়ে এসে! অঢেল লজ্জা আর অস্বস্তিবোধের সংমিশ্রণ এই অনুভুতিটা। রোদ তখনো চোখ বাঁধা অবস্থায় থম মেরে দাঁড়িয়ে আছে। যেন বরফে জমে গেছে। রোদ শরীর থেকে নোংরা স্পর্শ চিরতরে মুছে ফেলতে চাচ্ছিল। এবং এক মেয়ের স্পর্শ মুছতে অন্য মেয়ের সান্নিধ্য আবদার করেছিল।
কিন্তু এই মেয়ের স্পর্শে ওর শরীরে যেন বৈদ্যুতিক শক খেলে গেল। মাথা’টা ঝিমঝিম করছে, ঠোঁট’টাও অবশ লাগছে। কি আশ্চর্য! হঠাৎ শরীরে এমন অনুভূত হচ্ছে কেন? কিছুক্ষণ আগেও তো ঠিক ছিলো। তাহলে? নাকি মেয়েদের সংস্পর্শ’ই স্বাভাবিক হয় না? আলো ওড়না’টা খুলে দিলে সে চুপটি করে শুয়ে পড়ল। না কোনো কথা বলল, না চোখ তুলে তাকাল! কিচ্ছু ভাবতে পারছে না, ওর প্রচন্ড মাথা ঘুরছে। তবে আজ রোদ ঘুমাবে, শান্তির ঘুম ঘুমাবে। রোদের এমন কাজে আলো দীর্ঘশ্বাস ফেলে পানি এনে পাশে বসল। রোদের শরীরে ১০৩’ জ্বর! আলো উঠে রোদকে জোরপূর্বক ওষুধ খাইয়ে জলপট্টি দিতে থাকল। রোদ চোখ খুলে মুচকি হেসে পুনরায় চোখ বন্ধ করে নিলো। জ্বর বাঁধিয়ে বাঘ আজকে মিঞাও হয়ে গেছে। নাহলে এতক্ষণ আলোকে ধমকে কাবু করিয়ে রাখত। এসব ভেবে আলো টানাটানি করে রোদের টি-শার্ট’টা খুলে শরীর মুছে দিলো। তখন রোদ বিরবির করে বলল,
“টি-শার্ট খুললে ভালো কথা টাওজারে হাত দিও না। আমার লজ্জা লাগছে।”
রোদের কথা শুনে আলো দাঁত মুখে খিঁচে নিজেকে সামলে নিলো। রাগে ওর পুরো শরীর কিড়মিড় করছে। বন-মানুষটা
এই অবস্থায়তেও ওকে ইচ্ছে করে রাগাচ্ছে। আলোকে চুপ থাকতে দেখে রোদ আবার বলল,
” মনের বিরুদ্ধে এসব করার দরকার নাই, রুমে যাও।”
“এখনো তেজ কমছে না তাই না? খাটাশ লোক, আমাকে না খোঁচালে হয় না?”
“উহুম, মোটেও হয় না।”
একথা’টা বলে রোদ চোখ দু’টো বন্ধ করে নিলো। পরেরদিন সকালটা শুরু হলো; দুষ্টু রোদ আর মিষ্টি আলোর ছোঁয়াছুঁয়ি খেলার মাধ্যমে। জানালার থাই’টা অতিক্রম করে প্রস্থবরাবর
রোদ রুমে প্রবেশ করেছে। বোঝায় যাচ্ছে, আজকে নিদারুণ রৌদ্রজ্জ্বল একটা দিন। পুরো রুমটাতে কাঁচা সোনার মতো ভুরিভুরি আলোর উপস্থিততে আঁধার যেন তার লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। খানিকক্ষণ পরে, ছোট্ট একটা চড়ুই পাখি ঠোঁট দিয়ে থাই গ্লাসে দু’টো টোকা দিয়ে গেল। হয়তো সে বলতে দিতে এসেছিল, ‘ওঠো আর কত ঘুমাবে? দেখো কী সুন্দর সকাল।’ চড়ুইয়ের ঠকঠক শব্দে রোদ চোখ খুলে তাকাল। আচমকা ওর দৃষ্টি আটকালো; লালবর্ণ একজোড়া চোখ আর মলিন একটা মুখের দিকে। আলোকে দেখে রোদ তড়িঘড়ি করে উঠে বসে ভ্রু কুঁচকে তাকাল। সকালবেলায় আলোর কী হয়েছে? কাঁদছে কেন? পড়ে ব্যথা পেয়েছে নাকি?এসব ভেবে রোদের আলোকে ভাবে ভাবে পরখ করে নিলো। কিন্তু তেমন কিছু পেলো না। আলো তখনো শান্ত দৃষ্টি নিয়ে রোদের দিকে তাকিয়ে আছে। চোখ নাকি মনের কথা বলে। তেমনি আলোর
চোখ দু’টোতে কিছু জানার আঁকুতি দেখা যাচ্ছে। রোদ ওর
বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে আলোর চোখ মুছে দিয়ে বলল,
“সকাল বেলায় মুখের এই অবস্থা কেন? কোনো সমস্যা?”

আলো জবাবে উত্তর না দিয়ে ছলছল চোখে হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়াল। অর্থাৎ অনেক সমস্যা। রোদ ভ্রু কুঁচকে কিছু একটা ভেবে বলল,
“আমি জানি আমাদের মধ্যে কিছু হয় নি। খবরদার আমার দিকে ভুলভাল কাজের আঙুল তুলবে না। নয়তো মরে তক্তা বানিয়ে দিবো।”
রোদের কথা শুনে আলোর চোখ বড় বড় হয়ে গেল। এসব সে কখন বলল? এই ছেলে এত বেশি বুঝে কেন? কালকে রাতে তেমন কিছু হলেও সে এতটা অবাক হতো। যতটা সে অবাক হয়েছে রোদের কথা শুনে। আলোর মনে কী চলছে, বোঝার চেষ্টা করে রোদ ব্যর্থ হলো। তবে কিছু একটা হয়েছে নিশ্চিত।
আজকে শুক্রবার বিধায় রোদের তাড়াহুড়ো নেই। এজন্য সে পুরো কাহিনী জেনেই ছাড়বে। একটা মানুষ অযথা তো আর কাঁদে না। কিছু তো হয়েছে’ই, সেটা কী? রোদ স্বাভাবিক ভাবে ব্যাপারটা জানতে চাইল। আলো ‘দাদীমা’ বলে দুই হাতে মুখ ঢেকে কেঁদে উঠল।
“খারাপ স্বপ্ন দেখেছো?”
“না, স সত্যটা জেনে গেছি।”
“কোন সত্য?”
“যেটা আমার থেকে আপনি লুকিয়ে রেখেছিলেন।”
রোদের আর বুঝতে বাকি নেই আলো কীসের কথা বলছে। এটা হওয়ারই ছিল। আজ অথবা কাল আলোকে সত্যিটা সে জানাত। এসব জানা ওর দরকার। আর কিছু কিছু জিনিস লুকানো যায় না; যেমন সত্য কথা। না চাইলেও সেটা একদিন সঠিক সময়ে ধরা দেয়। দুইদিন আগে আর পরে। তাই আলো জেনে গেছে দেখেও রোদ একদম স্বাভাবিক থাকল। হাবভাব এমন যেন এটা সামান্য ব্যাপার। ওদের কারো মুখে কথা নেই।
ব্যাপারটা আলোকে স্পষ্টভাবে বোঝাতে রোদ আগে মুখ খুলল,
“জানি কষ্ট হচ্ছে তোমার। তবুও সত্যিটা তোমাকে মেনে নিতে হবে। শোনো, প্রতিটা মানুষের মধ্যে দু’টো সত্তা থাকে, ভালো আর খারাপ। এটা সবার মধ্যেই বিদ্যামান। তবে একটা মানুষ দু’টো সত্তাকে একসাথে দৃশ্যমান করতে পারে না। সময় বুঝে তার সত্তা গুলোর রুপ দৃশ্যমান করে। বিশেষ করে স্বার্থে টান লাগলে খারাপ রুপ’টা আগে বেরিয়ে আসে। তখন চেনা যায় ওই মানুষটাকে। তোমার দাদীমার সঙ্গেও তাই ঘটেছে।এজন্য উনার রাস্তা থেকে মুনকে সরিয়ে ফেলেছে। যাতে মুন সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে। এটা নির্মম সত্য। আর মকবুল সে হচ্ছে নিঃস্বার্থ একজন প্রেমিক। অথচ দেখো তার পরিণতি কতটা হৃদয়বিদারক।”

সারারাত কান্নার ফলে আলো আর কাঁদছে পারছে না। তবুও নিরবে অশ্রু ঝরিয়ে যাচ্ছে। বেহায়া চোখ দু’টোও আজ বড্ড অবাধ্য। হৃদয়টা জ্বলছে বিধায় আপনাআপনি অশ্রু ঝরছে। আসলেই কী তাই? কী জানি, হবে হয়তো! আলো চুপ করে
রোদের পাশে শুয়ে পড়ল। মাথা ঘুরছে। মস্তিষ্কটাও অকেজো লাগছে। নিজের জীবনটাকে ওর ভাসমান কচুরিপানার মতো লাগছে। যার না আছে পিছুটান আর না স্থায়ী ঠিকানা। নদীর বেপরোয়া স্রোতের টানে যতক্ষণ ভেসে যাওয়া যায়। বাঁচতে হলে ভাসতে হবে। ঠিক, কষ্টের সাগরে ভাসা মানব জাতির মতো। রোদ আলোর মাথার নিচে বালিশ দিয়ে অশ্রু মুছিয়ে দিলো।আলো চুপ করে সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে আছে।
এমনটা তো না হলেও পারত; তাহলে কেন হলো? জীবনের সমীকরণ’টা দিন দিন যেন জটিল হতেই আছে। কবে থামবে এসব? তখন রোদ আলোর কপালে আদর দিয়ে বলল,
“আছি তো আমি।”

একথা শুনে আলো রোদের হাতটা আঁকড়ে ধরে শব্দ করে কাঁদতে লাগল।

To be continue……….!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here